Tag: Infiltration

Infiltration

  • Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    Terrorist Bagu Khan: কাশ্মীরে খতম হিউম্যান জিপিএস, চেনেন একে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গুরেজ সেক্টরে গত সপ্তাহে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন ছিল বাগু খান। হিউম্যান জিপিএস নামেও পরিচিত ছিল সে। বাগু (Terrorist Bagu Khan) এবং আর এক জঙ্গি নওশেরা যখন নার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল, তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

    কে এই বাগু খান? (Terrorist Bagu Khan)

    প্রশ্ন হল, কে এই বাগু খান? বাগু খান সমন্দর চাচা নামেও পরিচিত ছিল। সে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে গুরেজ সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে ১০০ও বেশি জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়িত ছিল। তার অধিকাংশ চেষ্টাই সফল হয়েছিল। কারণ সে এই অঞ্চলটির দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও গোপন রুটগুলি সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল। সে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাতায়াতকারীদের অন্যতম প্রবীণ হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষতার কারণে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হত। কখনও কোনও জঙ্গিকে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকাতে হলে ডাক পড়ত বাগুর।

    হিজবুল কমান্ডার

    বাগু মূলত হিজবুল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তবে সে আরও কয়েকটি সংগঠনকেও সাহায্য করেছিল। গুরেজ ও আশপাশের সেক্টরগুলি দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেও সাহায্য করেছে সে। কুখ্যাত এই জঙ্গির মৃত্যু এই অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্যদানকারী লজিস্টিক নেটওয়ার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাম্প্রতিক যে সংঘর্ষটি নৌশেরা নার এলাকায় হয়েছে, তার নাম “অপারেশন নৌশেরা নার চতুর্থ”। এখানে সেনারা ভারী অস্ত্রসজ্জিত একদল অনুপ্রবেশকারীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় গুলি যুদ্ধ। নিকেশ হয় বাগু-সহ দুজন। বাকিরা পালিয়ে যায় (Terrorist Bagu Khan)।

    জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে বাগু ঘাঁটি গেড়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তার প্রধান কাজই ছিল, ভারতে জঙ্গি ঢোকানো। বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার গুরেজে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি (Jammu Kashmir)। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এরপর ফের একবার অভিযান চালানো হয় গুরেজে। তাতেই খতম হয় বাগু (Terrorist Bagu Khan)।

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    India Pakistan Conflict: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ৫০ জঙ্গিকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান! রুখে দেয় বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই ভারতে ৫০ জন জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন বিএসএফের এক আধিকারিক। প্রতিদিনই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সীমান্তে গোলাগুলি চালানো আর ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি প্রবেশ করানো পাকিস্তানের অভ্যেস। সেই মতোই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরই জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে আইএসআই। যদিও জঙ্গি অনুপ্রবেশের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বিএসএফ।

    কীভাবে হয়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    বিএসএফের ডিআইজি এসএস মাঁদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গির একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। গত ৮ মে সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে বেশ কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তার সঙ্গে সীমান্তের ও পারে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত গোলাগুলি চলছিল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমাবর্ষণ করে। পাল্টা হামলার মুখে পড়ে জঙ্গিরা পালাতে শুরু করে।

    দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। তার ঠিক পর দিন অর্থাৎ ৮ মে সাম্বা সেক্টর দিয়ে ৪০-৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে বড় নাশকতার চেষ্টা করেছিল, তা বানচাল করে দিয়েছে বিএসএফ। সাম্বায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিকেশ করা হয় ৭ জঙ্গিকে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক ছিল পাকিস্তানের (India-Pakistan)। একদিকে হাতিয়ার সেনা, অন্যদিকে দোসর জঙ্গিরা। তবে বিএসএফ সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়।

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

  • Jharkhand: ‘‘মিথ্যে তথ্য দিলে…’’, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ মামলায় ঝাড়খণ্ডকে সতর্ক করল আদালত

    Jharkhand: ‘‘মিথ্যে তথ্য দিলে…’’, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ মামলায় ঝাড়খণ্ডকে সতর্ক করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltration) সংক্রান্ত যে তথ্য হলফনামা মারফত আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার, তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে বলে সতর্ক করল ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) হাইকোর্ট। পাঁচ সেপ্টেম্বর একটি শুনানির প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে আসে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের এই ‘সতর্কবার্তা’।

    আদালতের পর্যবক্ষেণ (Jharkhand)

    জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের দুমকা, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, দেওঘর, গড্ডা এবং জামতাড়ার জেলা কালেক্টররা যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি একে রায়ের বেঞ্চ। অভিযোগ, ওই হলফনামায় ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে সংশ্লিংষ্ট জেলার কালেক্টররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা নাকি সেখানে ঘটেনি। এর পরেই এসেছে আদালতের পর্যবক্ষেণ। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, হলফনামায় যে তথ্য দাখিল করা হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে, আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।

    তুষার মেহতার বক্তব্য

    এদিনের শুনানিতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) আদালতের ডিভিশন বেঞ্চকে তিনি জানান, রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি উদ্বেগজনক। অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের মাধ্যমে দেশের অন্য রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। প্রভাব ফেলতে পারে সেখানকার জনসংখ্যার ওপর। তিনি জানান, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা হ্রাস একটি গুরুতর বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকার এটা গভীরভাবে স্টাডি করেছে। সলিসিটর জেনারেল জানান, যেহেতু বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্র একটি হলফনামা দাখিল করবে। এই স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে আইবি এবং বিএসএফ। মেহতা বলেন, “এজন্য আমাদের সময় প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: সংঘাত অতীত, প্রতিরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ভারত ও মলদ্বীপ

    প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই হাইকোর্ট রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়, রাজ্যের সাঁওতাল অধ্যুষিত আদিবাসী অঞ্চলে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করার জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হোক। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবাংলা হয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা। পরে জনজাতি সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে থেকে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। যার জেরে এক দিকে যেমন বেড়ে যাচ্ছে জনসংখ্যা, তেমনি (Bangladeshi Infiltration) জনজাতির জমি দখল করে নিচ্ছে মুসলমানরা (Jharkhand)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শির ঘরে আগুন। স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থ যে নিশ্চিন্তে থাকবে না, এ আর নতুন কথা কী! ভারতের পড়শি বাংলাদেশের অশান্তির (Bangladesh Crisis) আঁচ লাগতে পারে এ পারেও। সংরক্ষণকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল (Terrorists Infiltration) বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। বর্তমান বাংলাদেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। তার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছন্দে ফিরছে। তবে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় কাঁটা ভারত। প্রাক্তন হাইকমিশনার তথা প্রাক্তন সচিব এবং রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “ভারতকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।”

    হতে পারে জঙ্গি অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis)

    তাঁর মতে, ডামাডোলের বাজারে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে সন্ত্রাসবাদী এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। এ দেশে চালাতে পারে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের এই অশান্তির প্রভাব পড়তে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র ওপরও প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে আঞ্চলিক টাইয়ের ওপরও। আর এই রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তা বাংলাদেশে সূচনা করবে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতার।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব!

    বাংলাদেশের অস্থিরতার ব্যাপক প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়বে বলেও মনে করেন এই প্রাক্তন হাইকমিশনার। তবে বাংলাদেশের নয়া সরকারের সঙ্গে ভারত নতুন উদ্যমে কাজ করবে বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের সঙ্গে ভারত সরকারের বোঝাপড়া বেশ ভালো। পদ্মার এক পারে হাসিনা এবং অন্য পারে মোদি জমানায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল। অশান্তির আঁচ ‘গণভবনে’ (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) আছড়ে পড়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। দেশের রাশ চলে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে।

    কী বলছেন প্রাক্তন হাইকমিশনার

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সব কিছুই মসৃণভাবে চলছিল। সম্প্রতি একটি বিদেশি রাষ্ট্র তাঁকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছিলেন হাসিনা।” বিশ্লেষকদের মতে, তার পর থেকেই একটু একটু করে গরম হতে থাকে আন্দোলনের তাওয়া। সংরক্ষণকে কেন্দ্র (Terrorists Infiltration) করে দেশজুড়ে হিংসার আগুন ছড়ায় সেই তাওয়া থেকে।

    হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা-পাকিস্তানের সম্পর্ক

    হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কোনও কালেই ভালো ছিল না। বাংলাদেশকে মিলিটারি ফেসিলিটি দিতে চেয়েছিল আমেরিকা। তা নিতে অস্বীকার করেন হাসিনা। হাসিনা সরকারের চিনের দিকে ঢলে পড়াটাও ভালো চোখে দেখেনি বাইডেনের দেশ। এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনওকালেই ভালো ছিল না। বাংলাদেশের জন্মের আগে পাকিস্তানিদের কাছে এই বাঙালি মুসলমানরা ছিল উপেক্ষার পাত্র। একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়া ইস্তকও খান সেনারা বাঙালি মুসলমানদের ভালো চোখে দেখেনি। পাকিস্তানের হাতে খুন হন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি শেখ হাসিনার বাবা। মুজিবুর খুন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে চলে যায়।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    বাংলাদেশ যখন ক্রমেই উন্নতির জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন মোদি জমানায় দ্রুত উন্নতি করছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। সেই দেশই আজ উঠে এসেছে ৫ নম্বরে। অচিরেই (Bangladesh Crisis) চতুর্থ স্থান দখল করবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে একাধিক সমীক্ষায়। রাষ্ট্রদূতের মতে, এমতাবস্থায় ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা প্রবল। তাই সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন। কারণ ঝাঁকের কইয়ের সঙ্গে ঢুকে যাবে জঙ্গি এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। ভারতে ঘটাবে নাশকতামূলক কাজ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যখনই কোনও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তখনই তার ফল ভোগ করতে হয়েছে সে দেশের হিন্দুদের। দেশভাগ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তরাধিকারের কারণে সে দেশের মুসলমানরা বারবার হামলা চালিয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘরে। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিজিরেত।” তাঁর মতে, সেই কারণেই বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে দ্রুত। কারণ এই দেশের হিন্দু নাগরিকরা সব সময় ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়।

    আওয়ামি লিগের ভবিষ্যৎ

    হাসিনার রাজনৈতিক কেরিয়ার আপাতত অনিশ্চিত বলেও মনে করেন এই রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তবে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তাঁর দল আওয়ামি লিগ মুছে যাবে না।”  তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা আন্দোলনেও এর অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন (Terrorists Infiltration) হলে তাতে নিশ্চয়ই অংশ নেবে হাসিনার দল (Bangladesh Crisis)।”

     

  • Bangladesh Crisis: অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান

    Bangladesh Crisis: অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদেশে শরণ পাওয়ার আশায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি সেক্টরে এখনও ভিড় করছেন বাংলাদেশিরা। যাদের একটা বড় অংশ আসলেই নির্যাতনের শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর কয়েক হাজার বাংলাদেশি ভিড় জমিয়েছিলেন সীমান্তে। নিরাপত্তার ফাঁক গলে বহু বাংলাদেশি ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ। বিএসএফ জানিয়েছে, ১১ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশের (Infiltration) অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, অপর দুই গ্রেফতার হয়েছে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে। সাতজনকে মেঘালয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সকলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

    ১১ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার (Infiltration)

    জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দুই অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে একজন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হয়। জানা যায়, তার কাছে ভারতে ঢোকার অনুমতি পত্র (visa) ছিল না। এই প্রেক্ষিতে, ভারত-বাংলা সীমান্তে আর নজবদারি বাড়িয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ হাজার জওয়ানকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বহু জায়গায় রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের (Infiltration) সুযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কাঁটাতারের বেড়া নেই সর্বত্র

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু নদী-নালা, বন জঙ্গল ঘেরা এলাকা রয়েছে। সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। যার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ফাঁক গলে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বিএসএফ কথোপকথন চালিয়ে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়ার (Bangladesh Crisis) যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএসএফের নর্থইস্ট কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’-এ ঢুকে পড়লেও কেউই ভারতীয় সীমান্তে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেননি। অনেককেই বুঝিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন অবধি বিএসএফের ওপরে হামলার ঘটনা বা জোর করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়নি।

    অনুপ্রেবেশ রুখতে তৎপর বিএসএফ (Bangladesh Crisis)

    ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর, গোটা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। এর মাঝে ৯ অগাস্ট প্রায় ১,৭০০ বাংলাদেশি নাগরিক নদীপথ পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সেক্টরে ভারতীয় সীমান্তের কাছে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ চলে আসেন। বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁদের শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে কথাবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কেউই কেউই সশস্ত্র ছিলেন না এবং জোর করে ভারতে ঢোকার (Infiltration) চেষ্টাও করেননি। অন্যদিকে, এদিনই ১০-১৫ জন বাংলাদেশি হিন্দুদের একটি দল অসমের ধুবরি জেলায় ভোগডাঙ্গা সীমান্তের কাছে দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’’, জানাল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক

    অসম এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, তাঁদের সীমান্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে কেউই ভারতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেনি। যদিও প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও অত্যাচারের শিকার বাংলাদেশি হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসার চেষ্টা করছেন।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Infiltration: মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মুসলমান অনুপ্রবেশ! কীভাবে হয় জানেন 

    Infiltration: মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মুসলমান অনুপ্রবেশ! কীভাবে হয় জানেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুসলিম ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration) করতে পারে মাত্র ৫ হাজার টাকার  বিনিময়ে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (India-Bangladesh border) পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা হল চোরা পথের প্রধান প্রবেশ দ্বার, এই তথ্য স্বীকার করেছে খোদ এক অনুপ্রবেশকারী। এই ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। ধৃতের নাম মহম্মদ হাফিজুল। বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের মুক্তাঞ্চল যে পশ্চিমবঙ্গ, তা বারবার সংসদ এবং বিধানসভায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন। তাহলে এই রাজ্যের তৃণমূল শাসক কী কিরছে? অবশ্য লোকসভার ভোটের আগে হাবড়ার এক তৃণমূল নেত্রী অনুপ্রবেশকারীদের প্রকাশ্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলি কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।

    অনুপ্রবেশকারী যুবকের বক্তব্য (Infiltration)

    অনুপ্রবেশকারী (Infiltration) মুসলমান যুবক মহম্মদ হাফিজুল পুলিশের কাছে ধরা পড়ে অনর্গল হিন্দিতে বলছে, “বাংলাদেশের খুলনায় আমার বাড়ি। টাকা দিলে ওপার থেকে এপারে (India-Bangladesh border) আসা যায়। জনপ্রতি ভারতীয় টাকায় ৫ হাজার দিলে পশ্চিমবঙ্গে খুব সহজেই ঢোকা যায়। পুলিশ, বিএসএফ কেউ ধরেও না, কিছু জিজ্ঞেসাও করে না। তবে আমি চোর নই।”

    অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় পশ্চিমবঙ্গ

    বাংলাদেশ থেকে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা (Infiltration) দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সারা ভারতে যাচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে অনেক বার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। সীমান্তের বিএসএফ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এজেন্টরা সক্রিয় রয়েছে। তাদের চোরাকারবার এবং অনুপ্রবেশ করানো নিত্যদিনের ব্যবসা। একই সঙ্গে শুধু সীমান্তে অনুপ্রবেশ করানো নয়, তাদের আশ্রয় দিয়ে প্রয়োজনীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও টাকার বিনিময়ে করে দেওয়া হয়। আর এই কাজে সাহায্য করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের অনুপ্রেবশকারীদের অধিকাংশের জাল প্রমাণপত্রের সূত্র সন্ধানে এই রাজ্যের নাম বার বার উঠে আসে। এমন দৃষ্টান্ত ছিল ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। ওই অভিযুক্তিও অনুপ্রবেশকারী ছিল। এইরকম অবৈধ পাচারচক্র একই ভাবে অসম, ত্রিপুরা প্রদেশের সীমান্ত বরাবরও সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জমা জলে প্লাবিত কলকাতা বিমানবন্দর! আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত

    সীমান্ত কতটা সুরক্ষিত?

    সম্প্রতি সংসদে ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ, বিহারের পূর্ণিয়া, কিষানগঞ্জ এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুর সহ একাধিক অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Infiltration) মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আঞ্চলিক জনবিন্যাস ও ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে পূর্ব ও উত্তরপূর্বের সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা এবং জনবিন্যাস বদলে যাওয়া নিয়ে সমীক্ষা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। একই ভাবে রাজ্যের মুর্শিদবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার অত্যন্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশ নিয়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ (Infiltration) রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) কুপওয়ারা জেলার কেরন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ভিনদেশিরা। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বলছেন ব্রিগেডিয়ার? (Jammu & Kashmir)

    সেনার এক আধিকারিক জানান, ১৩-১৪ জুলাই রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সচরাচর যেসব রাস্তায় এ দেশে ঢোকে, সেই সব রুটে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই গুলি ছুড়তে শুরু করে অনুপ্রবেশকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ২৬৮তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, কেরন সেক্টরের ব্রিগেডিয়ার এনআর কুলকার্নি বলেন, “গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম এলাকায় অশান্তি পাকাতে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল জঙ্গিকা এলাকায় অশান্তি পাকানোর পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। ১২ জুলাই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর দেয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও এ বিষয়ে খবর পায়। তার পরেই চালানো হয় অভিযান।”

    যৌথ অভিযানেই মিলল সাফল্য

    তিনি বলেন, “বিদেশি জঙ্গিরা কেরন সেক্টর দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এই অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা। অনেকগুলি নালাও রয়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে (Jammu & Kashmir) অনুপ্রবেশ করার তালে ছিল জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সেনা, বিএসএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানেই মিলেছে সাফল্য। ১৩-১৪ জুলাই চালানো হয় অভিযান। কয়েকজন খতম হয়। বাকিরা সম্ভবত ফিরে গিয়েছে।” ব্রিগেডিয়ার বলেন, “ওই এলাকায় আমরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। ঘন জঙ্গল এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা।“

    আরও পড়ুন: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল বলেও জানান কুলকার্নি। তিনি বলেন, “ওদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সুসজ্জিত ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে।” তিনি বলেন, “বেশ খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা (Infiltration) জানতে চলেছিল অভিযান। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে (Jammu & Kashmir)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand Assembly Polls: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই প্রধান ইস্যু আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে?

    Jharkhand Assembly Polls: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই প্রধান ইস্যু আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরই হওয়ার কথা ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন (Jharkhand Assembly Polls)। এই নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হতে পারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Infiltration)। এ রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা, বিশেষ করে সাঁওতাল পরগনা বিভাগে ঢুকে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়ে মিশে যাচ্ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ থেকে তারা ঢুকছে পড়ছে ভারতে। তারপর শাসক দলের নেতাদের একাংশের বদান্যতায় তারা তৈরি করে ফেলছে জাল নথিপত্র। সেইসব কাগজ নিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা মিশে যাচ্ছে সাঁওতাল পরগনার জনারণ্যে।

    অনুপ্রবেশের বিপদ (Jharkhand Assembly Polls)

    সাঁওতাল পরগনা এলাকাটি পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া। তাই অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশিরা অনায়াসেই চলে আসছে ঝাড়খণ্ডে। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এ রাজ্যে কাজও পেয়ে যাচ্ছে তারা। তাই পেটে টান পড়ছে জনজাতিদের। এমতাবস্থায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের বিষয়টিকেই হাতিয়ার করতে চাইছে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক দলগুলি। এ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে সাঁওতাল পরগনার ভিড়ে মিশে যাওয়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশ নিয়েই দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে।

    মাথাব্যথা যখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা

    কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব বলছে, এ দেশের (Jharkhand Assembly Polls) ভিড়ে মিশে রয়েছে কয়েক কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তারা। ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায়ও রয়েছে এদেরই একটা বড় অংশ। গোড্ডা, দুমকা, দেওঘর এবং জামতাড়া এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে তারা (Bangladeshi Infiltration)। যার জেরে বদলে গিয়েছে এই সব এলাকার ডেমোগ্রাফি। পাকুড় এবং সাহেবগঞ্জে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন যথাক্রমে ২৬ ও ৪২ শতাংশ। মুসলমানদের হার যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৪ শতাংশ।

    দ্রুত বদলে যাচ্ছে ডেমোগ্রাফি

    নিরন্তর অনুপ্রেবেশ চলতে থাকায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে শতাংশের এই হিসেবও। কেবল তাই নয়, এদেশে ডেরা বেঁধে অনুপ্রবেশকারীরা বিয়ে করে নিচ্ছে উপজাতি সম্প্রদায়ের  মেয়েদের। তাঁদের নামে থাকা জমি অনুপ্রবেশকারীরা লিখিয়ে নিচ্ছে নিজেদের নামে। অবিরাম চলছে ধর্মান্তকরণের কাজও। স্বাভাবিকভাবেই এই সব অঞ্চলে অচিরেই রক্তাল্পতায় ভুগতে পারে হিন্দুধর্ম। এই অনুপ্রবেশকারী জামাইদের বাড়বাড়ন্তে সাঁওতাল পরগনার অনেক জায়গার নামই বদলে হয়েছে ‘জামাইটোলা’।

    মুসলমানদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ

    রাজ্যে মুসলমানদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডিও। গত সপ্তাহেই (Jharkhand Assembly Polls) তিনি বলেছিলেন, “উপজাতীয় জনসংখ্যার ক্রমাগত হ্রাস ও সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে মুসলমান জনসংখ্যার অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি সতর্কতার একটি সঙ্কেত।” এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। সাঁওতাল পরগনার পাকুড়ে যে ক্রমেই ক্ষইছে জনজাতির জনসংখ্যা, তা জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ২০০১ থেকে ২০১১ এই দশ বছরে এই এলাকায় জনজাতি সম্প্রদায়ের হার কমেছে ৪ শতাংশ। এলাকায় মুসলমানদের বাড়বাড়ন্তের জন্য ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। মারান্ডির মতে, যে সময় পাকুড়ে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি কমেছে ৪ শতাংশ, সেই পর্বে এই এলাকায় মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। পাকুড়, সাহেবগঞ্জ-সহ ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানা-সংলগ্ন এলাকায় ডেমোগ্রাফি দ্রুত বদলে যাচ্ছে বলেও জানান মারান্ডি।

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আসন

    গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে দুমকায় এক লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জেএমএমের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারীদের লালনপালন করার (Jharkhand Assembly Polls) অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এই অনুপ্রবেশকারীরা উপজাতির মহিলাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এ রাজ্যের বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮১। এর মধ্যে এসটিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ২৮টি আসন। এর মধ্যে আবার ১৮টি আসন রয়েছে সাঁওতাল পরগনায়। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে এর মধ্যে চারটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    আর পড়ুন: অস্ট্রিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? কী কী বিষয়ে আলোচনা?

    রোটি, বেটি এবং মাটি বাঁচাতে লড়াই

    কিছুদিন আগেই সমাজ কর্মী ড্যানিয়েল ড্যানিশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, গত কয়েক বছর ধরে সাঁওতাল পরগনায় জনসংখ্যার ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। কীভাবে বাড়ছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা, কীভাবেই বা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছেন, তাও আদালতে জানিয়েছিলেন ড্যানিয়েলের আইনজীবী রাজীব কুমার।

    আদালতকে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Jharkhand Assembly Polls) একটি নিষিদ্ধ সংগঠন সাঁওতাল পরগনার অনেক জায়গায় আদিবাসী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছে। তার জেরেই বদলে যাচ্ছে এলাকার ডেমোগ্রাফি। রাজ্যের বিজেপি নেতা অমর কুমার বাউড়ি বলেন, “সাঁওতাল পরগনা এলাকায় দ্রুত (Bangladeshi Infiltration) বদলে যাচ্ছে ডেমোগ্রাফি। জামাইপাড়া তৈরি করে জনজাতিদের জমি দখল করে নিচ্ছে বাংলাদেশিরা।” তিনি বলেন, “হিন্দুরাই যদি সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তাহলে না বাঁচবে সংবিধান, না টিকবে গণতন্ত্র।” পদ্ম-নেতা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Polls) আমরা লড়ব রোটি, বেটি এবং মাটি (খাবার, কন্যা সন্তান এবং জমি) বাঁচাতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share