Tag: INS Himgiri

INS Himgiri

  • INS Himgiri: চিন-পাকিস্তানের ঘুম ছুটিয়ে এবার সমুদ্র দাপাবে গার্ডেনরিচে তৈরি আইএনএস হিমগিরি

    INS Himgiri: চিন-পাকিস্তানের ঘুম ছুটিয়ে এবার সমুদ্র দাপাবে গার্ডেনরিচে তৈরি আইএনএস হিমগিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগেই আরও বাড়ল ভারতের নৌসেনার শক্তি। শত্রুদের সামনে আরও পরাক্রমী হয়ে উঠল দেশের নৌবাহিনী। তাদের হাতে এল আইএনএস হিমগিরি (INS Himgiri)। ব্রহ্মস ও বারাক মিসাইল বহনকারী এই স্টেলথ যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াতে উন্নতমানের রণতরী তৈরিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। এবারও তার ব্যতিক্রমহল না।

    শক্তি বাড়ল নৌসেনার

    আইএনএস হিমগিরির হাত ধরে ভারতীয় নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল। দেশের সবথেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্টেলথ ফ্রিগেট নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল জিআরএসই। ব্রহ্মস মিসাইল এবং বারাক মিসাইল যুক্ত এই ফ্রিগেট নৌবাহিনীকে সবদিক থেকে সমৃদ্ধ করল বলেই মনে করছেন সামরিকবিশারদরা। আইএনএস হিমগিরি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে নীলগিরি ক্লাসের প্রথম ফ্রিগেট। গার্ডেনরিচ শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই ফ্রিগেট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হল। এটি পি১৭এ (P17A) ফ্রিগেট সিরিজের অধীনে নির্মিত এবং ভারতের দ্বিতীয় ৬৬৭০টনের নীলগিরি ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ।

    হিমগিরির বৈশিষ্ট্য

    হিমিগিরির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর উন্নত স্টেলথ ডিজাইন ও কাঠামো। সুপারস্ট্রাকচার জিওমেট্রিক স্টেলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজ। যার ফলে এটি শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। ডিজেল ও গ্যাস দুই (CODAG) সিস্টেমে চালিত এই যুদ্ধজাহাজ প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল/ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম।

    রেডার ও সেন্সর সিস্টেম: হিমিগিরিতে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও প্রাইমারি ট্র্যাকিং-এর জন্য ব্যবহৃত মাল্টি-ফাংশন ফেজড অ্যারে রেডার (MF-STAR AESA) অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়াও হিমিগিরির লং রেঞ্জ সার্ভিলেন্স রেডার (Long-range surveillance) বা ল্যানজা (Lanza-N) রেডার, লক্ষ্যবস্তুকে দূর থেকে ডিটেক্ট করার জন্যই তৈরি। ৩) এছাড়াও ডিআরডিও (DRDO) নির্মিত হামসা (HUMSA-NG) এনজি হল সাবমেরিন হান্টিং পদ্ধতি যা জাহাজটির মূল চোখ ও কান।

    ইলেকট্রনিক ওয়ারফেস ও ডিকয় প্রোটেকশন (Electronic Warfare ও Decoy Protection): ১) শক্তি ইডব্লু সুইট (Shakti EW Suite) – শত্রুর রেডার ও কমিউনিকেশন জ্যাম করার জন্য ব্যবহার করা হবে। ২) কবচ পদ্ধতি (Kavach & Mareech Systems) – এটি একটি অ্যাক্টিভ ডিকয় লঞ্চার, যা জাহাজ বিধ্বংস্বী ক্ষেপণাস্ত্র বা টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে ব্যবহৃত হবে।

    অস্ত্রসজ্জা: এই অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজে বহন করা যাবে-

    ৮ × ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল।

    ৩২ × বারাক-৮ এলআর স্যাম (Barak-8 LR-SAM বা Medium to Long-range SAM) – শত্রু বিমান ও মিসাইলকে প্রতিহত করার জন্য

    ১ × ৭৬এমএম সুপার গান (76mm Super Rapid Gun Mount) – মাঝারি পাল্লার নৌ ও বিমান টার্গেটের বিরুদ্ধে কাজ করবে এটি

    টর্পেডো লঞ্চার ও রকেট ডেপথ চার্জার – সাবমেরিন হান্টিং-এ কার্যকর হবে।

    ২ × একে ৬৩০এম সিআইডব্লুএস (Close-In Weapon System) – শেষ মুহূর্তে জাহাজের দিকে ধেয়ে আসা মিসাইল বা বিমান থামানোর জন্য ব্যবহৃত হবে।

    ৬× ৫৩৩এমএম টর্পেডো টিউব , ও রকেট লঞ্চার আছে।

    কোন কাজে ব্যবহৃত হবে হিমগিরি

    হিমগিরি মূলত মাল্টি ডাইমেনশনাল ক্ষমতার ফ্রিগেট। যা সমুদ্র সীমার সুরক্ষা, বিমান হামলা প্রতিহত, সাবমেরিন হান্টিং, ও সমুদ্রে স্ট্রাইক অপারেশনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে সাগরে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নৌসেনার জন্য চারটি নজরদারি জাহাজ বানানোর বরাত পায় গার্ডেনরিচ। এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে ‘শত্রু’ পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার ‘নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি। বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে এভাবেই একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছে গার্ডেনরিচ। এবার হিমগিরির পালা।

     

     

     

     

     

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

LinkedIn
Share