Tag: intelligence

intelligence

  • Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    Autism: আক্রান্তের মতো অভিভাবকদেরও প্রয়োজন থেরাপি! অটিজম মোকাবিলায় কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কেউ কথা বলতে চায় না। আবার কেউ ডাকলেও কোনও রকম সাড়া দেয় না। অনেক সময়েই শিশুর এমন আচরণ অবাক করে। অভিভাবকেরাও অনেক সময় এগুলো গুরুতর সমস্যা বলে বিবেচনা করেন না। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ ! বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও অটিজম (Autism) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ দেশের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ অটিজমে আক্রান্ত। তবে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঠিকমতো রোগ নির্ণয় না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার জেরে সমস্যা নির্ণয় হয় না। এর ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

    আক্রান্তের মতোই কেন অভিভাবকদের থেরাপিও জরুরি? (Autism)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম একটি আচরণগত সমস্যা। জিনের এক ধরনের সমস্যার জেরেই অটিজম আক্রান্ত হয়। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে দু’বছর বয়স থেকেই নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা নির্ণয় করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। এই সমস্যার উপসর্গ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। শিশু অটিজম আক্রান্ত হলে, শিশুর পাশপাশি তার বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় থেরাপি জরুরি।

    পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু আর পাঁচজন সাধারণ ছেলেমেয়েদের মতো জীবন যাপন করতে পারবেন না। এই সম্পর্কে তার পরিবারের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অধিকাংশ সময়েই শিশু অটিজম (Autism) আক্রান্ত জানার পরে, বাবা-মায়ের মধ্যে মারাত্মক হতাশা গ্রাস করে। এর ফলে শিশুর বিকাশ আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই দরকার সার্পোট গ্রুপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অটিজম আক্রান্তের বিকাশের মাপকাঠি আলাদা। কীভাবে অটিজম আক্রান্তকে জীবন যাপনের কৌশল শেখানো‌ যায়, কীভাবে তাকে নানান কাজ করার নির্দেশ দেওয়া যায়, তার কৌশল রপ্ত করা জরুরি। ঠিকমতো সহযোগিতা পেলে অটিজম আক্রান্ত মানুষ ভালোভাবেই জীবন যাপন করতে পারেন। আর শিশুকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে, তার বাবা-মা। অটিজম আক্রান্ত সন্তানকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হতেই অভিভাবকদের থেরাপি জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে অটিজম আক্রান্ত পরিবারের থেকে ঠিকমতো সহযোগিতা না পাওয়ার জেরে, তার বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে তার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই অটিজম সমস্যা মোকাবিলায় শিশুর থেরাপির (Therapy) পাশপাশি জরুরি অভিভাবকদের কর্মশালাও।

    সন্তানের অটিজম রয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন? (Autism)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই অটিজম নিয়ে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে কথা বলবে না। সাধারণত শিশুর দু’বছর বয়সের পরেই কথা বলা শুরু হয়। পরিবারের সকলকে নানান নামে ডাকে। শিশুকে তার নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয়। কিন্তু যদি শিশু কখনই কোনও সাড়া না দেয়, কিংবা নিজেও কোনও কথা বলার চেষ্টা না করে, তাহলে এটা গুরুতর সমস্যা বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি অটিজমের অন্যতম লক্ষণ হল মেলামেশায় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দু-তিন বছরের শিশু একে অপরের সঙ্গে মেশামেশা করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে কখনই অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে আগ্রহী হবে না।‌ সামাজিক যোগাযোগে অনীহা অটিজমের অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
    যে কোনও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আটকে থাকা কিংবা সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না বলা, অটিজমের (Autism) অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সাধারণ দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা কোনও বিষয়েই একটানা দীর্ঘ সময় দেখে না। কিন্তু শিশু অটিজমে আক্রান্ত হলে সে ঘরের ফ্যানের দিকে বা আলোর দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে। আবার আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় কখনই সে চোখের দিকে সরাসরি তাকাবে না। এই ধরনের উপসর্গ শিশুর মধ্যে দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজরদারি জরুরি।
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট কিছু স্নায়বিক এবং আচরণগত পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু অটিজমে আক্রান্ত কিনা তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সমস্যা চিহ্নিত হলে তবেই মোকাবিলা সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে (Kashmir) অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় বিহার (Bihar) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মৌলবীরা (Maulvi)। উপত্যকায় ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাসের (Hybrid Terrorism) জন্য তারাই দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা তথ্যে (intel note)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরি যুবকদের বিভ্রান্ত করতে তারা গোপনে কোরান সম্পর্কে তাদের সীমিত জ্ঞানকে কাজে লাগায়।

    নয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই অশান্তির আঁচ পুড়তে থাকে কাশ্মীর। হিন্দু পণ্ডিতদের নির্বিচারে নিধন করে উপত্যকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। উনিশের ভোটের পর কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরে ক্রমেই নিভতে থাকে অশান্তির আঁচ। সম্প্রতি ফের কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাস। আর এই সন্ত্রাসের শিকড় খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই জানা যায়, উপত্যকার তরুণদের ‘মাথা খাচ্ছে’ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীদের একাংশ।

    প্রকাশ্যে আসা গোয়েন্দা নোট থেকে জানা যাচ্ছে, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা জীবিকার খোঁজে কাশ্মীরে যান। সেখানে অনায়াসেই মিলে যায় ইমামের চাকরি। তারপরেই শুরু হয় আসল খেলা। ধর্মশিক্ষার নামে তৈরি হতে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি (hybrid terrorist)।

    হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী কারা? গোয়েন্দাদের মতে, যারা জঙ্গি-তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও একটি জঙ্গি হামলার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের বলা হয়ে থাকে হাইব্রিড জঙ্গি। এর সুবিধা হল, এভাবে সহজেই নিরাপত্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দেওয়া যায়।

    গোয়েন্দাদের ওই নোটে বলা হয়েছে, এই মৌলবীরা প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে ওই তরুণদের জ্ঞান পরীক্ষা করে। পরে ‘ভাল মুসলিম’ না হওয়ার জন্য তরুণদের উপহাস করে। পরে জেহাদের জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    এই মৌলবীরা (maulvis) যে তরুণদের মাথা খাচ্ছে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে নোটে কাশ্মীরের শাঙ্গুশের উল্লেখ করা হয়েছে। এক সময় অনন্তনাগের এই তহশিল ছিল অন্যতম শান্তিপূর্ণ এলাকা। এলাকার তরুণরা সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী সহ সরকারি নানা বিভাগে কাজ করত। ২০১২-১৩ সালে এখানকার মসজিদে ‘বহিরাগত’ মৌলবীদের নিয়োগ করা হয়।

    নোটে বলা হয়েছে, তার জেরে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিংস্র হয়ে ওঠে শাঙ্গুস। পরে পুলিশ ওই মৌলবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে জেলার বাইরে পাঠায়। তার জেরে আপাতত শান্ত ওই এলাকা। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে পুলওয়ামা, ওয়াচি, কুলগাম এবং শোপিয়ানেও।

     

LinkedIn
Share