মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক রক্ত ঝরেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের ওপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই রাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার।
খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের ৩ (TMC)
এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) তৃণমূলের স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলেরই পাপিয়া ঘোষ। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তৃণমূলের এই নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও, সিবিআই হঠাৎই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করায় তাঁরা আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তিন তৃণমূল নেতাকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই তৃণমূল নেতাদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।
বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁরা
কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তার পরেই কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে অভিজিৎ অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ও পোষ্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাতেই নাম জড়ায় ওই তিন তৃণমূল নেতার। খুনের প্রেক্ষিতে অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা (TMC)। সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে পরেশ, স্বপন এবং পাপিয়ার নাম।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় জড়িত শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু শেষমেশ সামনে আসছে সত্য। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাংকশাল কোর্টে হাজিরা এড়িয়েছিলেন (Calcutta High Court) তৃণমূলের এই তিন অভিযুক্ত নেতা (TMC)।