Tag: Iraq

Iraq

  • Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Iran)। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’। ২৩ জুন এই মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। প্রসঙ্গত, এরমধ্যে কাতারের ‘আল উদিদ’ ঘাঁটি হল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি (US Bases in Qatar)।

    হামলার পরেই হোয়াইট হাউসে বসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    হামলার (Iran) পর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। ইরানের (Iran) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’ -এর খবরকে নিশ্চিত করে।

    মার্কিন নাগরিকদের জন্য উচ্চ সতর্কতা

    হামলার পরেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে সেদেশের আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে সে দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা (US Bases in Qatar)। নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই হামলার আগে অবশ্য ইজরায়েলের বিমান বাহিনী তেহরানে হামলা চালায়। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF)।

    মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার

    অন্যদিকে, ইরানের (Iran) মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, “এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “ঈশ্বরের কৃপায় এই হামলায় কোনও প্রাণহানি বা জখমের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সামরিক বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে এই হামলা প্রতিহত করেছে। কাতার নিরাপদ, এবং আমাদের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।”

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Pakistan: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    Pakistan: ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে ঘুরছে পাকিস্তান, অথচ ভিক্ষুকদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীর মুখে দু’মুঠো অন্ন জোগাতে নিজেই ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে বিশ্বের দরবারে ঘুরছে পাকিস্তান (Pakistan)। সেই পাকিস্তান সরকারই কিনা এবার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’হাজারেরও বেশি ভিক্ষুকের (Beggars) পাসপোর্ট। পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে পাকিস্তানের বহু মানুষে ছোটেন সৌদি আরব, ইরান এবং ইরাকের মতো ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে। সেখানে গিয়েই খুলে ফেলেন তীর্থযাত্রীর মুখোশ।

    ‘বেওসা’ বন্ধে পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত (Pakistan)

    পুণ্যার্থীর বেশে যিনি এসেছিলেন এই সব দেশে, সে-ই তিনিই কিনা মুখোশ সরিয়ে রেখে হয়ে পড়েন ভিখিরি! এতে বিশ্বের দরবার কলঙ্কিত হচ্ছে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি। সেই কারণেই দু’হাজারেরও বেশি ভিক্ষুকের পাসপোর্ট বাতিল করতে চলেছে পাক সরকার। পাকিস্তানের ‘ডন’ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সাত বছরের জন্য বাতিল করা হবে এই পাসপোর্টগুলি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে এরকম একাধিক চক্র রয়েছে। এই চক্রের মাধ্যমেই পুণ্যার্থীর বেশে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয় ভিক্ষুকদের। তার পরেই দিব্যি চলে ‘বেওসা’। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, এই এজেন্টদেরও পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।

    তীর্থে যাওয়ার নাম করে গিয়ে ভিক্ষে!

    সৌদি আরব, ইরাক এবং ইরানে রয়েছে ইসলামিক একাধিক তীর্থক্ষেত্র। সেই তীর্থ দর্শনে যাওয়ার নাম করে গিয়ে তীর্থক্ষেত্রগুলিতে ভিক্ষে করতে বসে যান এজেন্টের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে যাওয়া লোকজন (Pakistan)। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই খবর, সৌদি আরব, ইরাক এবং ইরানের শতকরা ৯০ শতাংশ ভিক্ষুকই পাকিস্তানি নাগরিক। এদের অনেকের কাছেই বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রায়ই ঠাঁই হয় বিভুঁইয়ের জেলে। ফলে ওই দেশগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ভিনদেশি বন্দির সংখ্যা।

    গেল অক্টোবরে মুলতান বিমানবন্দরে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ১৬ জন পাকস্তানিকে। এঁদের মধ্যে নারীদের পাশাপাশি ছিল কয়েকজন শিশুও। তীর্থযাত্রার নাম করে এঁদের ভিক্ষে করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গত ডিসেম্বরেও মুলতান বিমানবন্দর থেকে বের করে দেওয়া হয় ন’জন ভিক্ষুককে।

    আর পড়ুন: গাড়ি চালাচ্ছেন পুতিন, সওয়ার মোদি, রাশিয়ায় ‘দুই হুজুরের গপ্পো’

    পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে। সৌদি আরব, চিন মায় আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের দুয়ারেও বারংবার হাত পেতেছে পাকিস্তানের সরকার। কেউ বাড়িয়ে দেয়নি সাহায্যের হাত। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভুল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারে। তা সত্ত্বেও বিদেশে দেশের সম্মান বাঁচাতে মরিয়া পাক (Pakistan) সরকার। সেই কারণেই পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ভিক্ষুকদের (Beggars)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US Airstrike: জঙ্গি হামলায় ৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু, ইরাক-সিরিয়ার ৮৫ ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত আমেরিকার

    US Airstrike: জঙ্গি হামলায় ৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু, ইরাক-সিরিয়ার ৮৫ ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরাক এবং সিরিয়ার ৮৫টি স্থানে এয়ারস্ট্রাইক (US Airstrike) চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই জর্ডনে জঙ্গি হামলায় তিন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়। তার প্রত্যাঘাত ছিল এদিনের এয়ারস্ট্রাইক।

    গতকালই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যদি তোমরা আমেরিকার ক্ষতি করো, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।’’ এরপরেই প্রত্যাঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই এয়ারস্ট্রাইকের নিন্দা জানিয়েছে ইরাক। তাদের মতে, ‘‘এটি হল সার্বভৌমত্বের উপর হামলা।’’ জানা গিয়েছে, ইরাক সীমান্তে গজিয়ে ওঠা ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে এই এয়ারস্ট্রাইকে (US Airstrike) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করে বি-ওয়ান বোমারু বিমান।

    মার্কিন সেনা কী জানাল?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনার তরফ থেকে বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কোর কুর্দ বাহিনী ও তার সহযোগীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে এয়ারস্ট্রাইক (US Airstrike) চালানো হয়েছে। জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হত এবং মিসাইল, রকেট সমেত অস্ত্রসামগ্রী মজুদ রাখা হত এমন ৮৫টি ঘাঁটিতে এই হামলা হয়েছে। যার মধ্যে সিরিয়ার চারটি স্থানে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ইরাকের তিনটি স্থান অর্থাৎ মোট সাতটি অঞ্চলে এই এয়ারস্ট্রাইক চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও চলবে এমন এয়ার স্ট্রাইক

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডগলাস সিম জানিয়েছেন যে, এই এয়ারস্ট্রাইক সফল হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি এই এয়ার স্ট্রাইকের ফলে ঠিক কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে এবং তারা জানিয়েছে যে, মরুভূমি অঞ্চলে (US Airstrike) ইরাক-সিরিয়ার বর্ডারে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মার্কিন হামলায়। পেন্টাগনের তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে যে, ইরাকের সঙ্গে আমেরিকা যুদ্ধ চায় না, তবে আগামী দিনে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে এই ধরনের এয়ারস্ট্রাইক আরও চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Oil Import: সৌদি আরব এবং ইরাককে পিছনে ফেলে অক্টোবরে ভারতের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া

    Oil Import: সৌদি আরব এবং ইরাককে পিছনে ফেলে অক্টোবরে ভারতের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জ্বালানি তেল সরবরাহে সৌদি আরব (Saudi Arabia) ও ইরাককে (Iraq) পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করে নিল রাশিয়া (Russia)। শুধু অক্টোবর মাসেই ভারতে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের (Crude Oil) রপ্তানি বেড়েছে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ব্যারেল।  শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ।     

    এতদিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের জন্য মূলত সৌদি আরব এবং ইরাকের ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত। কিন্তু জ্বালানি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা ভোরটেক্সা জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে মোট যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত, শতকরা হিসেবে তার ২২ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। ইরাক থেকে ২০.৫ শতাংশ এবং সৌদি থেকে ১৬ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ভারতে এসেছে। 

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এতদিন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে অক্টোবরে ইউরোপকে সরিয়ে সেই জায়গা নিয়েছে ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলি। এই নিষেধাজ্ঞাগুলির মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি তেলও রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার হার শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে ইউরোপ। 

    আরও পড়ুন: শহিদ ভগৎ সিং- এর নামে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ, জারি হল নোটিস  

    রাশিয়া থেকে তেল আমদানির হিসেবে গত মাসে শীর্ষে ছিল চিন। ভোরাটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে চিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা বন্ধু দেশগুলি চলতি বছরের মার্চের দিকে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করে। এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করে রাশিয়া। বন্ধু দেশগুলির কাছে কম দামে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয়  মস্কো। আর ভারত লুফে নেয় সেই প্রস্তাব। 

    ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চলতি সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কোনও প্রকার নৈতিক সংকট নেই ভারতের। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেলে সাধারণ লোকজন ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হবে। যেহেতু আমরা ভারতের নাগরিকের কাছে দায়বদ্ধ, তাই জনস্বার্থেই আমরা রাশিয়া থেকে তেল কিনছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) দেউলিয়া করেছে। ডুবিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিকেও। এবার চিনের শ্যেনদৃষ্টি পড়ছে ইরাকের (Iraq) দিকে। প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ ইরাক। এবার সেই দেশের তৈলক্ষেত্রের দখল নিতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।

    ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে সে দেশের অর্থনীতির। একই অবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনীতির হালও করুণ। এ সবের জন্য এই দুই দেশের রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুষছে চিনকে। কেবল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নয়, ছোট অর্থনীতির দেশগুলির দিকেই নজর রয়েছে চিনের। যেনতেন প্রকারে সে দেশের অর্থনীতির মধ্যে একবার ঢুকতে পারলেই কেল্লাফতে। সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে সেই দেশকে।

    বছর কয়েক আগে ওয়েস্ট এশিয়ান কানট্রি থেকে বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরাক থেকেও সেনা সরিয়ে নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইরাকে থাবা বসাতে চাইছে শি জিন পিংয়ের দেশ। ইরাকে তেলের ওপর চিনের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিন ছোট অর্থনীতির দেশগুলিকে কবজা করেছে, এবার সেই একই পদ্ধতিতে লাল ফৌজের দেশ হস্তগত করতে চাইছে ইরাকের তৈলক্ষেত্রগুলি। প্রায় দু দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। সাদ্দাম হুসেন জমানার হাত থেকে ইরাকিদের মুক্তি দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। সাদ্দাম জমানার পতনের পর আমেরিকা সরে যেতেই একটু একটু করে ইরাকের তৈলক্ষেত্র কবজা করার চেষ্টা করছে চিন।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ইরাকের তৈলক্ষেত্র হস্তগত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি ড্রাগনের দেশ। তবে এখনও অবধি প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে শি জিন পিংয়ের দেশের সেই চেষ্টা। বাধ সেধেছেন ইরাকের তৈলমন্ত্রী স্বয়ং। রাশিয়ার লুকোইল এবং ইউএস ওয়েল জায়েন্ট এক্সন মোবিল চিনের কোনও সংস্থাকে তার শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দেন ইরাকের তৈল মন্ত্রী। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা, ইরান এবং তুরস্কও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর জল শুকিয়ে গিয়ে প্রায় ৩৪০০ বছরের পুরনো  প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হল ইরাক থেকে। ঘটনাটি ইরাকের কুর্দিস্তানের (Kurdistan ) কেমুন(Kemune)নামক শহরের। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেড়েছে ,ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে ইরাকের সবচেয়ে বড় নদী টাইগ্রিসের (Tigris River) জল কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে প্রাচীন এই শহর।

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষগুলি ব্রোঞ্জ যুগের বলেই ধারণা করা হয়েছে। টাইগ্রিস নদীর জল খরায় শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ব্রোঞ্জ যুগের প্রায় অনেক ধ্বংসাবশেষই এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান (German) ও কুর্দি (Kurdish) প্রত্নতাত্ত্বিকদের (archaeologist) একটি দল সেখানে খনন কাজ করেছে। গবেষকদের ধারণা, এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের  (Mittani Empire) আমলের ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। জার্মানির (Germany) ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের  (University of Freiburg) প্রত্নতাত্ত্বিকরা ও অধ্যাপক ইভানা পুলজিজ (Dr Ivana Puljiz) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে, শহরটি সরাসরি টাইগ্রিসের উপর অবস্থিত হওয়ায়, মিত্তানি সাম্রাজ্যের মূল অংশ বর্তমান উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সঙ্গে এর পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    এর আগেও এই অঞ্চলের খননকার্য শুরু হলেও জলাশয়ের জল বেড়ে যাওয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেটি তখন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু এবারে জলাধারের জলের স্তর অনেকটাই নেমে যায়, তারপরেই গবেষকরা এই হারিয়ে যাওয়া শহরের সন্ধান পান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানায়, প্রাচীন শহরটির সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধ্বংসাবশেষটিকে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন এবং স্থানটিকে নুড়ি দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছিলেন যাতে কাদামাটির দেওয়াল রক্ষা করা যায়। তবে বর্তমানে জলের স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং শহরটি এখন আবার ডুবে গেছে। আবার কবে এই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস জেগে উঠবে, তা এখন সময়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

LinkedIn
Share