Tag: ISIS

ISIS

  • PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সে দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজও। রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াও। প্রধানমন্ত্রীর সফরে গন্ডগোল পাকাতে চাইছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক আইএসআইয়ের

    সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই (ISI) খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এই সংগঠনগুলি আমেরিকায় ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফরের মধ্যে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র ছকা হয়েছে ওই বৈঠকে। মোদির আমেরিকা সফরের দিন ঘনিয়ে আসতেই সে দেশে সক্রিয় হয়েছে আইএসআই। কেবল তাই নয়, খালিস্তানপন্থী এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যও করছে পাকিস্তানের ওই গোয়েন্দা বিভাগ।

    মোদির গুরুত্ব

    ইদানিং কালে বিশ্বনেতাদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদিকে। ব্যতিক্রম নয় আমেরিকাও। সেই কারণেই বাইডেন প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদিকে। হাতে গোণা বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন দুবার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশিতভাবেই মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে পাকিস্তানের। সেই কারণেই মোদির সফরে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    জানা গিয়েছে, মোদির (PM Modi) সফরে বিঘ্ন ঘটানোর একটা ছকও কষেছে আইএসআই। কীভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে, কোথায়ইবা দেখান হবে এসবই প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত-বিরোধী বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে খোলা হয়েছে ওয়েবসাইটও। ভারতীয় সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলেও মিথ্যে প্রচার করতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আইএসআইয়ের মদতে যেসব সংগঠন বিক্ষোভ দেখানোর ছক কষছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটারেন্স ফর পিসের মতো সংগঠনও। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। সেই সময় হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ওই সংগঠনগুলি। ‘মোদিকে স্বাগত নয়’, ‘হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা কর’ জাতীয় স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এখন দেখার, বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোপাল-উজ্জ্বয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে (Train Explosion) বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার এই সাজা শুনিয়েছে আদালত। ওই বিস্ফোরণে ৯ জন যাত্রী গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ওই ঘটনার আরও এক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, মহম্মদ ফয়জল, গউস মহম্মদ খান, মহম্মদ আজহার, আতিক মুজাফফর, মহম্মদ দানিস, মহম্মদ সইদ, মির হুসেন এবং আসিফ ইকবাল। মহম্মদ আতিফকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক। 

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ মার্চ ভোপাল থেকে উজ্জ্বয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণ (Train Explosion) ঘটায় এই আট অভিযুক্ত। সেই বিস্ফোরণে জখম হন মোট দশজন। জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে ভোপালগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে নাশকতার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু পরিকল্পনা মতো কাজ হয়না। ভোপাল স্টেশনে নেমে উজ্জয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির শেষ কামরায় বিস্ফোরক রেখে পালায় জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির ওপর হামলার আশঙ্কা! জেট প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের 

    কী জানাল আদালত?

    এদিন এনআইএ আদালতে সাজা ঘোষণা (Train Explosion) করার পর বিচারক ভি এস ত্রিপাঠী বলেন, “এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এর জন্যই অভিযুক্তদের চরম সাজা পাওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার কথা সেদিনই জানিয়েছিল আদালত। সেইমতোই মঙ্গলবার অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, ইতিমধ্যেই তারা পাঁচ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে দিয়েছে। কাজেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবিকে খারিজ করেই আদালত বলে, অভিযুক্তরা দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কাজেই তাদের সাজার ক্ষেত্রে কোনও নরম মনোভাব দেখাবে না আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • NIA Raid: আইসিস সমর্থকদের খোঁজে তিন রাজ্যের ৬০ জায়গায় তল্লাশি চালাল এনআইএ

    NIA Raid: আইসিস সমর্থকদের খোঁজে তিন রাজ্যের ৬০ জায়গায় তল্লাশি চালাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস সমর্থকদের খোঁজে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরলের ৬০টি জায়গায় তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA Raid)। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএসের সঙ্গে জড়িত   সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযানে নামল এনআইএ। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর এবং কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে গত বছরের যে বিস্ফোরণগুলি ঘটেছিল, তারও তল্লাশি চালানো হচ্ছে এই অভিযানে। উল্লেখ্য, কোয়েম্বাটুরে বিস্ফোরণে জামেজা মুবিন নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাকে ২০১৯ সালে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং- এ স্নাতক ছিল ওই জঙ্গি। বিস্ফোরণের পর সেই জঙ্গির বাড়িতে তল্লশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশ।

    কী জানা গেল?        

    গতবছরের অক্টোবর মাসে কোয়েম্বাটুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (NIA Raid) হয়। সেই সময় এই ঘটনায় জড়িত অনেকের খোঁজ পায় পুলিশ। জেরা করা হয়েছিল সন্দেহভাজনদের। কোয়েম্বাটুর বিস্ফোরণে ধৃতদের একজন নাকি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিল যে শ্রীলঙ্কার ইস্টার হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন এইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এই হামলার জন্য। ফিরোজ ইসমাইল নামে এক অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছিল যে, কেরলে জেলে গিয়ে সে আজহারুদ্দিন এবং রশিদ আলি নামে দু’জনের সঙ্গে  দেখা করে।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট   

    নভেম্বরে এক রাতে ম্যাঙ্গালুরুতে এক চলন্ত অটোতে বিস্ফোরণ (NIA Raid) ঘটে। ঘটনায় আহত হন অটোচালক ও অটোর যাত্রী। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, অটো রিক্সায় বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শরিক এক আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠির সমর্থক। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোমা বাঁধত শরিক। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। জানা যায়, এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তের নাম অন্যান্য মামলাতেও জড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, ম্যাঙ্গালুরুর পাশাপাশি, মাইসোর ও শিবমোগাতেও বিস্ফোরণের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল শরিক। গতবছর ১৫ অগস্ট শরিক পালিয়ে প্রথমে কোয়েম্বাটুর ও পরে কেরলে যায়। নাম বদলে ভুয়ো আধারকার্ডও বানায় সে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

                   

  • ISIS: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    ISIS: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খতম ইসলামিক স্টেটের (ISIS) অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল আল সুদানি। আফ্রিকার সোমালিয়ায় (Somalia) আমেরিকা (America) সেনার স্পেশাল ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি। ওই আইএস নেতার সঙ্গে সঙ্গে খতম হয়েছেন তাঁর আরও ১০ সঙ্গীও। বিলাল আল সুদানি ও তাঁর ১০ সঙ্গীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ২৫ জানুয়ারি উত্তর সোমালিয়ায় আইএসের গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়েছিল স্পেশাল ফোর্স। সেই অভিযানেই নিহত হয়েছেন বিলাল ও তাঁর সঙ্গীরা। বিলালের মৃত্যুতে আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় আইএস বড় ধাক্কা খাবে বলেই দাবি মার্কিন সেনার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান মার্ক মিলেরি।

    আইএস…

    এই প্রথম নয়, এর আগেও খতম হয়েছেন আইএসের (ISIS) সর্বোচ্চ নেতা। তবে তিনি মারা গিয়েছেন গত নভেম্বরে, সিরিয়ায় আমেরিকার এয়ারস্ট্রাইকে। আইএসের এই সর্বোচ্চ নেতার নাম আবু আল হাসান আল হাসেমি আল কুরেশি। তাঁর মৃত্যুর পর এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান হন আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশি। বুধবার মার্কিন সেনার হামলায় খতম হওয়া বিলাল এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশির ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই সূত্রের খরব।

    আরও পড়ুুন: টাকা নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    অস্টিন বলেন, আইএস শীর্ষ নেতা ও তাঁর ১০ সঙ্গী নিহত হলেও, সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। যাঁরা এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রসঙ্গত, মার্কিন সেনার অভিযানে ২০১৯ সালে খতম হন আইএসের (ISIS) প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদি। তাঁর মৃত্যুর পরে জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতা হন আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি। মার্কিন সেনা অভিযানে তাঁর মৃত্যুর পর দায়িত্ব দেওয়া হয় হাশেমিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

  • NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল আইএস (IS) জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশি (NIA Arrest)। দীর্ঘ দিন সংশোধনাগারে থাকলেও, সে নিজেকে সংশোধন করেনি। ২০১৯ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের সে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও আইএসের স্লিপার সেল চাঙা করার কাজে নেমে পড়ে। ২০০৯ সালে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। কুরেশিকে রাতভর জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    টাস্কফোর্স…

    এর আগে কুরেশিকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এমপি নগর থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, কুরেশি তালিবানি স্লোগান দিতে থাকে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এহেন কুরেশিকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স (STF)। হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সাদ্দাম। ২০২০ সালে সেই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিল কুরেশি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মধ্য প্রদেশেও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে এবং সংগঠনকে চাঙা করতে বৈঠক ডেকেছিল সে। জানা গিয়েছে, শিক্ষিত, বেকার যুবকদের টার্গেট করত সে। টাকার বিনিময়ে তাদের সংগঠনে শামিল করাই লক্ষ্য ছিল কুরেশির। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    নতুন বছরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ নামের দুই যুবককে। সূত্রের খবর, সাদ্দামের চ্যাট গ্রুপ ডি-কোড করে জানা গিয়েছে একে ৪৭ জোগাড় করতে মরিয়া ছিল সাদ্দাম। হাওড়ার আফতাবউদ্দিন লেন ও শিবপুরের গোলাম হোসেন লেনে সাদ্দাম ও আহমেদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু নথিপত্র। কেবল তাই নয়, সাদ্দামের যোগাযোগ ছিল সিঙ্গাপুরের এক মহিলারও। ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলত সে। টেলিগ্রামে কোড নামে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তি সিরিয়ার আইসিস (ISIS) নেতা। সাদ্দামের নিশানায় ছিলেন দিল্লির দুই নেতা। তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্য নয়ডার একটি সংস্থায় চাকরিও নিয়েছিল সাদ্দাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে আইএসআইএসের (ISIS) সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে (Terrorist) দুজনকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল বছর আঠাশের মহম্মদ সাদ্দাম এবং বছর তিরিশের সঈদ আহমেদ। হাওড়ার বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

    সাদ্দাম ও আহমেদ…

    পুলিশের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, সাদ্দাম এমটেক ছুট। সে গুরগাঁও ভিত্তিক এক সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। আর আহমেদ কাজ করে তার বাবার ফার্মে। জানা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ও ১২২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের অন্য এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ধৃতেরা তরুণদের নিয়োগ করার কাজে লিপ্ত ছিল। তারা অস্ত্র সংগ্রহ করত। জোগাড় করত বিস্ফোরক। সংগ্রহ করত অর্থও। তারা খলিফার শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের ডেরায় (Terrorist) হানা দেওয়া হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ড্রাইভ, পেন ড্রাইভ, নোটবুক, ডেবিট কার্ড এবং একটি টু-হুইলার। জিহাদি সাহিত্য, কয়েকটি জিহাদি চ্যানেলের তালিকা এবং কয়েকটি কোম্পানির নাম লেখা কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সাদ্দামকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানেন না বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। সাদ্দামের এক আত্মীয় বলেন, তারা (পুলিশ) এল, তার মোবাইল এবং কম্পিউটারটা নিয়ে চলে গেল। আমরা জানি না কেন তাকে গ্রেফতার করা হল।

    আরও পড়ুুন: অপরাধী ধরতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ, ছিনিয়ে নিয়ে গেল ২ অভিযুক্তকে

    এসটিএফ সূত্রে খবর, সাদ্দামের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে মিলেছে আইএস জঙ্গিদের নৃশংস খুনের ভিডিও। বিদেশ যাওয়ার ছক কষেছিল সাদ্দাম। সেই মতো তৈরি করেছিল পাসপোর্টও। এসটিএফের দাবি, সুইসাইড স্কোয়াড সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করছিল সাদ্দাম। মিলেছে পাকিস্তান-যোগও। পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। টেলিগ্রাম, সোশ্যাল মিডিয়ার চলত সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh Border Madrassas: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    Bangladesh Border Madrassas: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় বাংলা’, ‘খেলা হবে’-র মতো বাংলাদেশি স্লোগান ধার করে ভোটের বাজার মাতিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে সাফল্যও এসেছিল সংখ্যালঘু তোষণের কার্ড খেলে। সেই তোষণ নীতিই এবার রাজ্য সরকারের শিরপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বলছে রাজ্য গোয়েন্দা রিপোর্ট?

    সম্প্রতি রাজ্য গোয়েন্দা দফতর নবান্নে একটি গোপন রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা (Bangladesh Border) ৮টি জেলায় সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে খারিজি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যে ২৩৩টি মাদ্রাসাকে (Madrassa) রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরটি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে। সীমান্তের পাঁচটি জেলার ১৫টি মাদ্রাসায় দেশ বিরোধী কাজকর্ম চলছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    বিশদে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর দুই ২৪ পরগনা এবং মালদহ নিয়ে বিশেষ খোঁজখবর চালাচ্ছে। এই তিনটি জেলা থেকে আরও ভয়ঙ্কর রিপোর্ট আসতে পারে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দা কর্তারা। নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়ে করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) তরফ থেকে কোনও নির্দেশ নেই। গোয়েন্দা কর্তাদের আশঙ্কা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বিচারে সীমান্তের জেলাগুলি বারুদের স্তূপের উপর বসে। এখন পদক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    দেশবিরোধী কার্যকলাপের ইঙ্গিত?

    গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুসারে কোচবিহার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলাতেই সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে হালফিল ২৩৩টি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) কাজকর্ম মোটেই সন্তোষজনক নয়। সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় নির্মিত হলেও যে পরিমাণ পেট্রো ডলার এখানে আসতে শুরু করেছে তাতে দেশবিরোধী কাজকর্ম চলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইসলামিক দেশ থেকেও নিয়মিত মৌলানারা এখানে আসছেন। বহু সংখ্যক কমবয়সীদের এখানে ধর্মীয় এবং উগ্রচিন্তাধারার শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের অনেকেই মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য গোয়েন্দাদের মতে, এই ২৩৩টি মাদ্রাসার কার্যকলাপ সন্দেহের উপরে নয়।

    এর মধ্যেই আবার নির্দিষ্টভাবে ১৫টি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) খবর রাজ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখানে নানা স্পর্শকাতর এবং বিপজ্জনক কাজ চালানো হচ্ছে। কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ, কালমাটি, গীতলদহ, ইসলামপুরের ঠিকরিবাড়ি, ভইসপিটা, নমুনিয়া, রায়গঞ্জের বামোইর, মালন, ভাটোলে হাট, দক্ষিণ দিনাজপুরের বেলাসথালি, হাসনগর, দীপখণ্ড, মুর্শিদাবাদের ভৌমিকপাড়া, রামনগর, দাঁইরাতুরিতে সবচেয়ে স্পর্শকাতর ১৫টি মাদ্রাসা চলছে। ঘটনাচক্রে সবগুলি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যুক্ত।

    রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের বক্তব্য, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের এসটিএফ একজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। সে বাংলা থেকে যুবকদের মগজধোলাই করে ইরান বা সিরিয়াতে পাঠাত। নিষিদ্ধ হয়েছে পিএফআই, যদিও রাজ্য পুলিশ কোনও পিএফআই নেতাকে গ্রেফতার করেনি। কারণ, নবান্ন অনুমতি দেয়নি। বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার আকছার ঘটে চলেছে। এ সবের পিছনে যে সীমান্তঘেঁষা মাদ্রাসাগুলির (Bangladesh Border Madrassas) যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী অবশ্য রাজ্যের এই রিপোর্টকে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছে। তাদের হাতে থাকা নথি অনুযায়ী, সীমান্তে কয়েক হাজার খারিজি মাদ্রাসা (Bangladesh Border Madrassas) গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকার তা চেপে গিয়ে মাত্র ২৩৩টি মাদ্রাসার কথা জানাচ্ছে। তবে আশার আলো, গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে কখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। পরিস্থিতি এখন হাতের বাইরে যাওয়ায় অল্প হলেও মানতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এখন রিপোর্ট করার নয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

  • Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে নাশকতার ছক বানচাল করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad)। এক সন্দেহভাজন আইএস (IS) জঙ্গিকে আজমগঢ় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের আগে একাধিক জায়গায় হামলার ছক কষেছিল সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। ধৃত জঙ্গির নাম সাবাউদ্দিন আজমি (Sabauddin Azmi)। 

    রাজ্যপুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যপুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন শাখা ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। ধৃতের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ চলছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নতুন  ছেলেদের কাজে লাগানো হত। হাতে কলমে চলত হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ। 

    আরও পড়ুন: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছকও বানচাল করা গিয়েছে। পুলওয়ামায় উদ্ধার হয়েছে ৩০ কেজি বিস্ফোরক। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলার সার্কুলার রোড সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই তাহাব ক্রসিং এলাকায় একটি আইইডি নজরে আসে তাঁদের। বিস্ফোরকটির ওজন ছিল ২৫ থেকে ৩০ কিলোর মধ্যে। 

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গিরা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে আইইডিটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উপত্যকায় এহেন বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গিদের তৎপরতায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।

  • Lal Bazar Attack: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    Lal Bazar Attack: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের লালবাজার এলাকায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট ( Islamic State) হিন্দ প্রভিন্স। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে উপত্যকাবাসী। শ্রীনগরের (Srinagar) লাল বাজারে (Lal Bazar) জি ডি গোয়েঙ্কা স্কুলের (G D Goenka School) বাইরে নাকা তল্লাশির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপরে অতর্কিতে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা (Terrorist)। ওই হামলায় মুস্তাক আহমেদ (Mustaque Ahamed) নামে পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (ASI) প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও দুই পুলিশ কর্মী। হত্যালীলা চালিয়ে নিরাপদেই চম্পট দিয়েছে জঙ্গিরা।

    বুধবার ওই হামলার দায় নিয়ে, আক্রমণের ভিডিও প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন। ভিডিওয় দাবি করা হয়েছে, লুকিয়ে পুলিশের উপর এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। আক্রমণের পর পুলিশের একটি একে ৪৭ রাইফেলও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। উপত্যকায় ক্রমে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা বাড়ছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ে ১১জন পুলিশকর্মী জঙ্গিদের গুলির শিকার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ জন সেনা, ৫ জন আধাসেনা-সহ নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ২২ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪২ জন সদস্য নিহত হন। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    উল্লেখ্য,জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ বেড়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উপত্যকায় ১৪১ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকা ফের একবার অশান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে সুরক্ষা অনেক জোরদার করা হয়েছে। তারই মধ্যে এই আক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ৬৯ জন কাশ্মীরি তরুণকে জঙ্গি সংগঠন নিযুক্ত করেছে। এই সংগঠনটি পাক মদতপুষ্ট। লস্কর, জইশের পাশাপাশি হিজবুল মুজাহিদিন ও রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্টও উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছে বলে কিছুদিন আগে প্রকাশিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়।

LinkedIn
Share