Tag: ISIS

ISIS

  • Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) কানহাইয়া লাল তেলির (Kanhaiya Lal Teli) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (National Investigation Agency)কাছে। বুধবার এনআইএ -কে  তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (HMO India)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকর তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় কোনও সংগঠন বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি-গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পেশায় দরজি রাজস্থানের (Rajasthan) যুবক কানহাইয়া লাল তেলি। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুরের ওই দর্জির দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় বুধবারও উদয়পুর–সহ রাজস্থানে উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেহ এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে জঙ্গি সংগঠন। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গি যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে সিটও। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে বুধবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল । 

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা রাজে

    উদয়পুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও এবং দুই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশের ভিডিও বার্তা। সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ও বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকেও হত্যার হুমকি দেয়। রাজস্থান পুলিশের তরফে ওই ভিডিওটি সাধারণ মানুষকে দেখতে বারণ করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়, “এই ভিডিওটি খুনিরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য করেছে। এতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এটি দেখতে খুব ভয়ঙ্কর, ভিডিওটি দেখবেন না।” রাজস্থানের এডিজি  আইন – শৃঙ্খলা হাওয়া সিং ঝুমারিয়াও গণমাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

     মঙ্গলবারই রাজস্থান পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, কানহাইয়াকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনা ব্যক্তি বিশেষের নয়, বরং এর সঙ্গে কোনও সংগঠন জড়িত রয়েছে। জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় আইসিস যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান এনআইএ-র। আইসিসের মতোই খুনের ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় খুনিরা। এই ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ রয়েছে বলেও খবর। অশান্তি এড়াতে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। উদয়পুর শহরের একটা বড় অংশে কারফিউ জারি রয়েছে। একমাসের জন্য রাজস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

  • ISIS Terrorist Musa: আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    ISIS Terrorist Musa: আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত আইএস (ISIS) জঙ্গি আবু মুসাকে (Abu Musa) গ্রেফতারের ছ’বছর পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) সাজা শোনালো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) বিশেষ আদালত। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সিআইডির (CID) হাতে গ্রেফতার হয়েছিল বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Burdwan blast case) অভিযুক্ত মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসা। দেশদ্রোহিতা (Treason) ও সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  

    ২০১৩ সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের (Khagragarh blast) সঙ্গে যুক্ত ছিল এই জঙ্গি। ২০১৩ সাল থেকেই তাকে ধরতে ওৎ পেতে ছিল তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে ২০১৬ সালে হাওড়া-বিশ্বভারতী প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র। পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে বীরভূমে নাশকতার ছক কষেছিল সে।  

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    ২০১৪ সালে এই জঙ্গি আইএসের খাতায় নাম লেখায়। আইএসের এক জঙ্গির সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ হয় তার। সেও বেশ কয়েকজনকে ওই জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত করে। পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ।

    তদন্ত এগোলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল মুসার। দেশদ্রোহিতা ও  সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয় মুসা। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১(এ), ১২২, ১২৩ ধারায়, ইউএপিএ আইনের ১৮, ২০ ও ৩৮ ধারায় এবং অস্ত্র আইনের মামলা চলে। তার জেরেই শুক্রবার কলকাতায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুসার সাজা ঘোষণা করা হল।    

    আরও পড়ুন: নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    এই প্রথম এই রাজ্যে কোনও আইএস জঙ্গির সাজা ঘোষণা করা হল। গ্রেফতার হওয়ার ছ’বছর পর যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হল মুসাকে। জেলবন্দি এই ছ’বছরেও একটুও বদলায়নি মুসা। ভাটা পড়েনি তেজে। জেলেও একাধিকবার  খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এই জঙ্গির বিরুদ্ধে। এমনকি ২০১৮ সালে শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষের মধ্যে ক্ষেপে ওঠে মুসা। বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ে সে। যদিও লক্ষ্য ব্যর্থ হয় এবং তা এক আইনজীবীর গা ঘেঁষে চলে যায়। এই ঘটনার জেরে ভিডিও কনফারেন্সে তার শুনানির আবেদন জানানো হয়।   

    এছাড়াও জেলের ভিতরে অন্য বন্দিদের আক্রমণ করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে মুসার বিরুদ্ধে। জানুয়ারিতে মুসা পিভিসি পাইপ নিয়ে আক্রমণ করেছিল হেড ওয়ার্ডেন অমল কর্মকারকে। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ওয়ার্ডেন। ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুসা আলিপুর সংশোধনাগারের এক ওয়ার্ডেনকে আক্রমণ করেছিল। 

    আন্তর্জাতি জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত মুসা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তামিলনাড়ু, হায়দ্রাবাদ, এমনকি জম্মু-কাশ্মীরের আইএস জঙ্গিদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মুসার৷ খাগড়াগড় বিস্ফোরণে ধৃত বীরভূমের আবদুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার ৷ মুসা ও আবদুল্লা একসঙ্গে তামিলনাড়ুতে থাকত বলে পরবর্তীতে জানতে পারেন গোয়েন্দারা৷ গোটা দেশের আইএস জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করত সে।

    মুসাকে জেরা করে আইএস সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য আদায় করেন গোয়েন্দারা। যেমন মুসা জানিয়েছিল আইএস মডিউলে সবাইকে কোড নামে ডাকা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার পর মুসার নাম হয়েছিল আবু আল মুসা আল বাঙালি৷ সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে নিয়মিত ফোন আসত মুসার কাছে। নাশকতা নিয়ে চলত দীর্ঘ শলা পরামর্শ। ২০১৫ সালে বেশ কয়েক মাস দিল্লি ও কাশ্মীরে কাটিয়েছিল মুসা৷ এহেন জঙ্গিকে এদিন সাজা দিল আদালত। 

     

     

     

     

LinkedIn
Share