Tag: ISKCON

ISKCON

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রাজাপুর থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (ISKCON) এসেছেন জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা। ইসকনে জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তা দেখতে হাজির হয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত। দিন কয়েক আগেই হয়ে গেল রথযাত্রা উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে এই উৎসব। রথযাত্রার দিন নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে রাজাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলদেব, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবকে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরকে জগন্নাথদেবের অস্থায়ী মাসি বাড়ি হিসেবে ধরা হয়। উল্টোরথের আগে পর্যন্ত মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবের জাঁকজমকভাবে পুজো চলে।

    জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি ইসকন মন্দিরে (ISKCON)

    ইসকন মন্দিরের (ISKCON) ভিতরেই সাজানো হয়েছে জগন্নাথ দেবের মণ্ডপ। ভোর সাড়ে চারটের নাগাদ শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথদেবের সামনে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয় বিগ্রহের সামনে। তার মধ্যে থাকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, ডোনাট আরও রকমারি খাদ্য। দেশ-বিদেশের বহু ভক্তরা প্রতিনিয়ত আসছেন জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মহারানি সোনার আবরণে সজ্জিত হন। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই চলবে মঙ্গলারতি ও ৫৬ ভোগ আরতি। এছাড়াও প্রতিদিন জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক?

    এ বিষয়ে মায়াপুর (Mayapur) ইসকন (ISKCON) মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ৭ জুলাই রথের দিন বলরাম, সুভদ্রা এবং বলদেবকে তাঁদের অস্থায়ী মাসি বাড়ি মায়াপুর ইসকনের নিয়ে আসা হয়েছে। আবার সাত দিন পর উল্টো রথের দিন তাঁরা নিজের বাড়িতে রওনা হবেন। এই সাতদিন মায়াপুর ইসকনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ প্রদান করা হয়। যেহেতু জগন্নাথদেব খাদ্য রসিক ছিলেন, সেই কারণে তাঁর পছন্দের খাবার যেমন কেক, লাড্ডু থেকে শুরু করে পাস্তা এবং প্রিয় ফল কাঁঠাল ভোগ দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত এই জগন্নাথদেবের ছাপানো ভোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এবং প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষকে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই জগন্নাথদেবের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য সকল ভক্তদের কাছে অনুরোধ রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহা সমারোহে পালিত হতে চলেছে মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্তের ঢল নেমেছে। ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথদেবের নন্দী ঘোষ, বলদেবের তালধ্বজ ও সুভদ্রা দেবীর পদ্মধ্বজ-এই তিনটি সুসজ্জিত রথ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, এক সময়ে মায়াপুর আর রাজাপুর নামে দু’টি গ্রাম ছিল। রাজাপুরের বেশিরভাগই ছিলেন বৈষ্ণব। কয়েকশো বছর আগে নাকি এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করেন। রাজাপুর থেকে রথ যেত মায়াপুর। সেখান থেকে আবার ফিরত রাজাপুর। বহু দিন এই উৎসব বন্ধ ছিল। পরে, ইসকন রথযাত্রা উৎসব শুরু করে। এবারও রথের (Iskcon Rath Yatra) দিন সাতটি পৃথক সংকীর্তনের দল-সহ বিভিন্ন রকম ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানিকে রথে চড়িয়ে আনা হবে মায়াপুরে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ধর্মের মানুষের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছর ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরের রথযাত্রা উৎসব যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। মায়াপুরের রাজাপুর গ্রামে রয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সকাল-সন্ধ্যায় এই প্রশান্ত পল্লিতে শোনা যায় সংকীর্তনের ধ্বনি। মানুষের মহামিলনের উত্তম ক্ষেত্র এই গ্রাম। পরস্পর পরস্পরকে সুখে, দুঃখে আপন করে নেয় এই গ্রামের মানুষ। প্রতি বছর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মানব-মেলবন্ধন ঘটে সকলের। তবে আজ, রবিবার রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে দুপুর ২ টোর সময় শুরু হবে রথযাত্রা। ৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে রথ যাবে চন্দ্রোদয় মন্দির ইসকন মায়াপুরে। উল্টোরথের দিন, ১৫ জুলাই সোমবার পুনরায় রথ ফিরে যাবে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।

    ৫৬ ভোগ ও দীপ দান

    এবছর ৭ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মায়াপুরে (Mayapur) অস্থায়ী গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেব অবস্থান করবেন। এবছর পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে গুন্ডিচা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে, সেখানেই চলবে ৫৬ ভোগ, দীপ দান, জগন্নাথ অষ্টকম্-স্তোত্র পাঠ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ভজন-কীর্তন, নাটক ও নৃত্যানুষ্ঠান এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

    টানা সাতদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান

    মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরের রথযাত্রা পরিচালন কমিটির সদস্য শ্রীমধু রসোমতি দাস বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনে টানা সাত দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। গোটা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ভক্ত এই সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রতি বছরের মতো আমরা মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর থেকে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথদেবকে নিয়ে আসব। উল্টোরথের দিন তাঁরা পুনরায় আবার মায়াপুর ইসকন মন্দির থেকে রাজাপুরে ফিরে যাবেন। তবে, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রিটিরা এই রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকন মন্দিরে আসতেন। এ বছর আমরা সেটা করছি না। ইসকন মন্দিরের সেবায়েত জগন্নাথ কৃপা দাস বলেন, ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় রথ তিনটি প্রবেশ করবে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এই রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার দিকে নজর রেখে প্রশাসনিক নিতাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মন্দির নগরী মায়াপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vrindavan: বৃন্দাবনে ৭০ তলা আকাশচুম্বী কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করবে ইসকন

    Vrindavan: বৃন্দাবনে ৭০ তলা আকাশচুম্বী কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করবে ইসকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বৃন্দাবনে তৈরি হবে গগনচুম্বী মন্দির। ৭০ তলা সমান উঁচু এই বিশালকায় মন্দির তৈরি করছে ইসকন। সংস্থার এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এই মন্দির হবে আন্তর্জাতিকস্তরে ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান নিদর্শন। একইসঙ্গে, ভারতে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে এই মন্দির। আন্তর্জাতিক হরে কৃষ্ণ মুভমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইসকন বেঙ্গালুরুর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চঞ্চলপতি দাসের মতে, আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য জীর্ণ মন্দিরের কাঠামো সুদুর প্রসারী হয় না। তাই দরকার স্থাপত্য মন্দিরের।

    কেমন হবে মন্দির (Vrindavan)?

    চঞ্চলপতি দাস বলেছেন, “এই মান্দির বৃন্দাবনে (Vrindavan) ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬৮ কোটি) ব্যয়ে নির্মিত হবে। মন্দিরটি ৭০ তলা উঁচু এবং ২১০ মিটার চওড়া হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন যে অনুগ্রহ করে আমেরিকা থেকে পাঁচজন মার্কিনীকে ভারতে নিয়ে এসে ভারত দেখান। তাঁদের ভারতে নিয়ে এসে অবশ্যই আধ্যাত্মিকতার সন্ধান করান। তাই এই মন্দির হবে ভব্য এবং দিব্য। যে সমস্ত জিনিসগুলি চিত্তাকর্ষক, আকর্ষণীয় সে সবকিছুই থাকবে। তাঁরা আধ্যাত্মিকতাও খুঁজছেন। তাই আমাদের অবশ্যই আধ্যাত্মিক স্থাপত্য, ধর্মীয় স্থাপত্য থাকতে হবে, যা নিয়ে আপনি গর্বিত হতে পারেন। বিদেশিদের নিয়ে আসতে এবং তাঁদের দেখানোর জন্য এটাও একটা বড় কাজ হতে পারে। আপনি যখন তাঁদের বৃন্দাবনে নিয়ে আসবেন, তখন আপনি অবশ্যই কৃষ্ণের বার্তাকে ঘিরে এই ধরনের বিশ্ব-মানের স্থাপত্য দেখাতে সক্ষম হবেন।’’

    ব্রজ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে

    চঞ্চলপতি দাস এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, “বৃন্দাবনে (Vrindavan) এই পর্যটনের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও উন্নয়নের মধ্যে যোগসূত্রকে শক্তিশালী করবে। এই মন্দিরের স্থাপত্য প্রকল্পটি ব্রজ অঞ্চলের দ্রুত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় মানুষের জন্য জীবন-জীবিকায় ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। ভারতের ঐতিহ্যের স্থাপত্য, দার্শনিক চিন্তাবিদের জ্ঞান, আধ্যাত্মিক সাধনা অন্যদেরকে বিশেষ করে বহিঃর্বিশ্বে দার্শনিক আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিশেষ ক্ষেত্র নির্মাণ করবে। বৃন্দাবন হেরিটেজ টাওয়ার হল একটি অষ্টভুজাকৃতির কাঠামো যার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম ভাগে এই চারটি মন্দির বিরাজমান হবে। মন্দিরে একটি স্মারক শ্রীলা প্রভুপাদের নামে থাকবে। মন্দির কমপ্লেক্সে আরামদায়ক আবাসনের সুবিধাও থাকবে।”

    আরও পড়ুনঃ সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    ২০,০০০ মানুষ প্রতিদিন সমাগম হবে

    ইসকনের ওই কর্তার দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে একটি সত্যিকারের জাগরণ নিয়ে আসবে এই মন্দিরের (Vrindavan) নির্মাণ। প্রতিভা, সৃজনশীলতা, শক্তিতে পূর্ণ, উচ্চ মূল্যবোধ ও চরিত্রে সজ্জিত একটি জাতি তৈরি করবে। বর্তমানে, বলা হয়েছে যে ২ কোটি মানুষ বৃন্দাবনে আসেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন অনুমান বলছে যে, আগামী ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এটি পাঁচগুণ বেশি হতে চলেছে। যা সংখ্যায় হবে ১০ কোটি। চঞ্চলপতি দাস বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা হল একটি খুব বড় সংখ্যায় ভক্ত সমাগম করতে সক্ষম হবে এই মন্দিরে। বড় পার্কিং সুবিধাগুলির মধ্যে একটি তৈরি হবে এখানে। মাল্টি-লেভেল পার্কিং, যা একবারে ৩০০০ গাড়ি পার্ক করতে পারে এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। মন্দির নির্মাণ হলে, প্রতিদিন প্রায় ২০,০০০ মানুষ যাতে একত্রে সমাগম করতে পারেন, তেমনভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon: গোবর্ধন পুজো ও অন্নকূট উৎসবে মায়াপুর ইসকনে যেন ভোগের পাহাড়! বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ

    Iskcon: গোবর্ধন পুজো ও অন্নকূট উৎসবে মায়াপুর ইসকনে যেন ভোগের পাহাড়! বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মায়াপুর ইসকন (Iskcon) মন্দিরে সাড়ম্বরে পালিত হল গোবর্ধন পুজো ও অন্নকূট উৎসব। আর এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে শুরু হয় গোবর্ধন পুজো। মন্দিরে আগত ভক্তদের বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে মন্দিরের তরফ থেকে। বিগ্রহের সামনে যে পরিমাণে ভোগ দেওয়া হয়, তাতে দূর থেকে মনে হয় একটি ছোটখাট ভোগের পাহাড়। এভাবেই মহা সমারোহে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পালিত হল গোবর্ধন অন্নকূট উৎসব। আর এই উপলক্ষে মন্দিরে (Iskcon) আগত হাজার হাজার দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

    হাজার হাজার দর্শনার্থী (Iskcon)

    গোবর্ধন পুজো উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী এদিন সকাল থেকেই সমবেত হতে শুরু করেন মন্দির প্রাঙ্গণে। অন্নকূট বা গোবর্ধন পুজো উপলক্ষে এদিন বিভিন্ন ভাষায় গিরি গোবর্ধনের ওপর ধর্মালোচনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে৷ এমনটাই জানান মায়াপুর ইসকন (Iskcon) মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস। গিরিরাজ ভগবান গোবর্ধনকে এদিন বিভিন্ন ধরনের পদে সুসজ্জিতভাবে ভোগ নিবেদন করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গিরিরাজের প্রতীক। প্রতীক নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে পরিক্রমা করবেন দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ।

    সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান

    এদিন মায়াপুর ইসকন জুড়ে সকাল থেকেই ছিল ভক্তদের ঢল (Iskcon)৷ অগুণতি মানুষ দেশ তথা বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে আসেন এই গোবর্ধন পুজোয় অংশগ্রহণ করতে৷ এছাড়াও এই গোবর্ধন পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান ভক্তরা৷ সকাল থেকে গোটা দিন এখানে কাটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে অনেকের৷ গোবর্ধন পুজো উপলক্ষে ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখেই এদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয় ইসকনের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মায়াপুর ইসকন (ISKCON) মন্দিরে শুরু হল জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় ইসকন মন্দিরে। প্রতি বছরই এই দিনটিকে ধূমধাম করে বিভিন্ন ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

    জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক?

    সকাল থেকেই দফায় দফায় চলে অনুষ্ঠান। রাতে অভিষেক হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির। এদিন সকাল থেকেই মঙ্গল আরতি শুরু হয়। এরপর দিনভর চলে ভাগবত গীতা পাঠ। সন্ধ্যাবেলা চলবে মঙ্গল আরতি। আর এই আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে শুধু দেশের ভক্ত নয়, বিদেশের হাজার হাজার ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এদিন। এ বিষয়ে ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, সারাদিন ধরে বিভিন্ন ভাষায় চলবে ভাগবত পাঠ। সন্ধ্যা থেকে গুরু পূর্ণিমা এরপর ভগবান দর্শন প্রক্রিয়া চলবে। অন্যদিকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দিনভর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে পুষ্পার্পণ করা হবে সমগ্র জাতির মঙ্গল কামনায়। তিনি আরও বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে মন্দিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চলছে বিভিন্ন পরীক্ষা। সকাল থেকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দর্শন করার জন্য বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসকন মন্দিরে ভক্তের অনেকটা ভিড় বেড়ে যায়।

    ভক্তরা কী বললেন?

    সমর ঘোষ নামে এক ভক্ত বলেন, আমি বাগবাজারে থাকি। বুধবারই আমি ইসকনে মন্দিরে চলে এসেছি। ভোর থেকে মন্দিরে রয়েছি। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যেই মন্দিরে (ISKCON) থেকে খুব ভাল সময় কাটবে। সুস্মিতা দাস নামে এক ভক্ত বলেন, প্রতি বছরই আমি এই অনুষ্ঠানে ইসকনে আসার চেষ্টা করি। আমার বাড়ি কালনায়। এদিন ভোরে মন্দিরে চলে আসি। সারাদিন মন্দিরে নানা ধরনের অনুষ্ঠান দেখে মন ভরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য! প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা প্রভু

    Iskcon: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য! প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ইস্কনের (Iskcon) সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভু। এই ঘটনার জেরে এক মাসের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করে ইস্কন। এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল ইস্কনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভুকে। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন। প্রসঙ্গত, স্বামী বিবেকানন্দের ধূমপানের অভ্যাস কিংবা মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অমোঘ লীলা প্রভু। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের যতমত তত পথ নিয়েও কটাক্ষ করেন অমোঘ লীলা প্রভু। এই ভিডিও সামনে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। 

    কী বললেন অমোঘ লীলা প্রভু?

    শনিবারই অমোঘ লীলা প্রভুর ভিডিও বার্তা (Iskcon) সামনে আসে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে আমি যা মন্তব্য করেছিলাম, তার জন্য সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। তাঁদের মাংস ভক্ষণ কিংবা ধূমপানের অভ্যাস নিয়ে যাই বলে থাকি না কেন, তা মন থেকে কাউকে আঘাত করার জন্য বলিনি। আমার বাণীর মাধ্যমে কারও বিশ্বাস কিংবা ভাবাবেগে আঘাত করার মানসিকতা ছিল না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কেউ হয়তো দর্শকাসন থেকে আমায় এই প্রশ্ন করেছিলেন, তাই আমি ওই কথাগুলি বলেছিলাম। কাউকে আঘাত করতে চাইনি। এর জন্য অন্তর থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।’’

    একমাস নিষিদ্ধ অমোঘ লীলা প্রভু

    রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের কারণে ইস্কন (Iskcon) নিষিদ্ধ করে অমোঘ লীলা প্রভুকে। ইস্কনের (Iskcon) তরফ থেকে তাঁকে গোবর্ধন পাহাড়ে একমাস থেকে কৃষ্ণনাম জপ করতে বলা হয়েছে। এই সময় তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, শুধু ফলমূল খেয়েই কাটাতে হবে। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরও কী ভাবে দ্বারকা ইস্কনের প্রধানের ভিডিও প্রকাশ্যে এল? উত্তর দেন ইস্কন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘উনি নির্বাসিতই রয়েছেন। আগামী এক মাস তিনি প্রকাশ্যে আসতে পারবেন না। ইস্কন থেকে তাঁকে ব্যান করা হয়েছে। তবে বহু মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আমাদের কাছেও এই দাবি এসেছে। তাই আমি ওঁকে অনুরোধ করি। সেইমতো উনি আমায় ব্যক্তিগতভাবে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন। উনি নিজে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি পোস্ট করেননি বা প্রকাশ্যে আসেননি। আমায় পাঠানোর পর আমি বিষয়টি সকলকে পাঠাই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার মায়াপু্রের ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রয়েছেন জগন্নাথ দেব। উল্টোরথের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ফিরবেন রাজাপুরের মন্দিরে। আপাতত শতাধিক পদে মহা আনন্দে খাওয়া-দাওয়ায় দিন কাটছে ভগবান জগন্নাথ দেব সহ ভ্রাতা বলরাম ও ভগিনী সুভদ্রার।

    পদ সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে

    নামেই ছাপ্পান্ন ভোগ। কিন্তু সংখ্যায় পদ ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াইশো। মাসির বাড়িতে এমনই বিপুল আয়োজন। কী নেই মেনুতে? ফলমূল, শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাউমিন, পিঠেপুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারী মিষ্টি। দেশি-বিদেশি মেনুতে জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাদের সহযোগীরা দিনভর দুবেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তায় ব্যস্ত। আর ঠিক এভাবেই উল্টো রথ বুধবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারী পদ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করে পুনরায় নিজের স্থায়ী নিবাসে ফিরে যাবেন প্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত এই রথযাত্রা উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে এক  মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

    কী বলছেন ইসকনের আধিকারিক?

    এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথ দেব সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে (Rath Yatra) চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর  ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী অস্থায়ী মাসীর বাড়ি গুন্ডিচায় এসে পৌঁছেছেন। এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি তাঁদের বিভিন্ন রকমারী পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জগতের নাথ যে কদিন মাসির বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরনের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনীকে নিয়ে মাসির বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্নআত্তিতে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছেন ইসকনের ভক্তরা।’’ ভগবান জগন্নাথ দেব বুধবার উল্টো রথের (Rath Yatra) দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।

    মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?

    দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।

    ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maneka Gandhi: ইসকনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য মানেকার, দায়ের ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

    Maneka Gandhi: ইসকনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য মানেকার, দায়ের ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাংসদ মানেকা গান্ধীর (Maneka Gandhi) বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করল ইসকন। শুক্রবার এই মামলা করা হয়েছে। মানেকা গান্ধীর মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ধর্মীয় এই সংগঠন।

    মানেকার বিতর্কিত মন্তব্য

    ইসকন সম্পর্কে বুধবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মানেকা। তিনি বলেছিলেন, “দেশের সব চেয়ে বড় প্রতারক ইস্কন। ওরা গোশালা চালায় এবং সুবিধা নেয় সরকারের থেকে।” তিনি (Maneka Gandhi) বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশে ইসকনের অনন্তপুর গোশালা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে যতগুলি গরু দেখেছিলাম সবকটি দুগ্ধবতী। তাদের মধ্যে এমন কোনও গরু ছিল না, যারা দুধ দেয় না। বাছুরও ছিল না কোনও। অর্থাৎ খুব সহজেই অনুমেয়, বাছুরগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কসাইদের কাছে গরুগুলিকে বিক্রি করে দেয় ইসকন। এরপর রাস্তায় গিয়ে ওরা হরে রাম হরে কৃষ্ণ গাইতে থাকে।”

    মানেকা পশুরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত

    মানেকা এও বলেছিলেন, “তারা (ইসকন) বলে তাদের গোটা জীবন দুধের ওপর নির্ভর। সম্ভবত তারা যা গরু বিক্রি করেছে, তার মতো গরু আর কেউ বিক্রি করেনি। এরা যদি এসব করতে পারে, তাহলে বাকিদের কী অবস্থা?” বিতর্কিত এই মন্তব্যের জেরেই মানেকার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মানহানির মামলা। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সাংসদ মানেকা দীর্ঘদিন ধরেই বন্যপ্রাণ ও পশুরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।

    ইসকনের কলকাতার সহ সভাপতি রাধারমণ দাস বলেন, “আজ আমরা শ্রীমতি মানেকা গান্ধীকে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার নোটিশ পাঠিয়েছি। ইসকনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী ইস্কনের ভক্ত, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা ছড়িয়ে রয়েছেন। এতে সকলেই ব্যথিত। মানহানিকর এই অপবাদ কাম্য নয়। ইসকনের বিরুদ্ধে যে ভুয়ো প্রচার করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ন্যায় পেতে আমরা শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়ব।”

    আরও পড়ুুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share