Tag: islam

islam

  • Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার কাজ চলছিল একেবারে জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর ধাঁচে (Islamic Conversion)। ফান্ডিং করত লস্কর জঙ্গি সংগঠন। এমনই একটি বড় ধর্মান্তরণ চক্রের মুখোশ খুলে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ‘অপারেশন অস্মিতা’ নামক এই অভিযানে উঠে এসেছে কলকাতার যোগসূত্রও। আগ্রার দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিঁখোজ হয়ে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয় কলকাতা থেকে (Islam)। গোটা সিন্ডিকেটটি পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে আগ্রার আবদুর রহমান কুরেশি এবং কলকাতার ওসামা নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, কুরেশি ‘দ্য সুন্নাহ চ্যানেল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের মগজধোলাই করত। আগ্রা পুলিশ ইতিমধ্যেই আবদুর রহমান কুরেশিকে গ্রেফতার করেছে। সে একটি জুতার দোকানে একজন সামান্য কর্মচারী। স্থানীয়দের মতে, সে খুবই শান্ত স্বভাবের এবং কম কথা বলত। তার পরিবারও জানিয়েছে, সে খুব একটা বাইরে যেত না বা বাইরের লোকদের সঙ্গে বেশি মিশত না।

    নিখোঁজ দুই বোন, কলকাতা থেকে উদ্ধার (Islamic Conversion)

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আগ্রার সদরবাজার থানায় দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিখোঁজ হন। কয়েকদিন পরে তাঁদের কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বড় বোনটি আগে কাশ্মীরের সায়মা নামে এক মহিলার সংস্পর্শে আসে। সায়মা তাঁর মগজধোলাই করে (Islamic Conversion)। ওই হিন্দু মেয়ে এরপর নিজ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরতে যান এবং পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরিবার তাঁকে ফেরত আনলেও ততদিনে তিনি হিজাব পরা শুরু করেন এবং নামাজ পড়তেন। ২০২৫ সালের মার্চে তিনি আবার নিখোঁজ হন এবং এবার তাঁর ১৯ বছর বয়সি ছোট বোনও নিখোঁজ হয়। পরে দুই বোনকেই কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, তাঁরা আলাদা ঘরে থাকতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বড় মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার পর ছোট বোনকেও টার্গেট করে জেহাদিরা (Islam)।

    ফান্ডিং করত লস্কর-ই-তৈবা (Islamic Conversion)

    পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, বড় মেয়েটি কাশ্মীর থেকে ফিরে আসার পর নিয়মিত নামাজ পড়ার অনুমতি চাইতেন। পরিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, এই জেহাদি সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য ছিল দুই মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তাঁদের নিকাহ (বিয়ে) দিয়ে জিহাদি উদ্দেশ্য পূরণ। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের পেছনে অর্থায়ন করত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। আন্তর্জাতিক কিছু চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ এবং প্রচার চালানো হত।

    কীভাবে চলত ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া?

    আগ্রা পুলিশের দাবি, গোয়ার আয়েশা ওরফে এসবি কৃষ্ণা কানাডাস্থিত সৈয়দ দাউদ আহমেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ভারতে বিতরণ করত। আয়েশার স্বামী শেখর রাই ওরফে হাসান আলি, কলকাতা থেকে সিন্ডিকেটের আইনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত, ধর্মান্তরের জন্য নথিপত্রের ব্যবস্থা করত। আগ্রার আবদুর রেহমান কুরেশি এবং কলকাতার হাসানের মতো ব্যক্তিরা মৌলবাদ পরিচালনা করেছিল। অন্যদিকে, দিল্লির মুস্তাফা ওরফে মনোজ মেয়েদের জন্য নতুন ফোন এবং জাল সিম কার্ড সরবরাহ করত, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। একবার উগ্রপন্থী হয়ে উঠলে, ধরা এড়াতে মেয়েদের গোপনে বাসে করে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হত।

  • Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (UP) মিলল ধর্মান্তর চক্রের বড়সড় হদিশ। রাজ্য পুলিশ ও সন্ত্রাসবাদ দমন স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে মেলে এই চক্রের হদিশ। অভিযোগ, এই চক্র পরিচালনা করছিল জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা (Islamic Conversion Racket)। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতারণা ও প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরিত করা। ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে শান্তি, সম্প্রীতি ও নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোনও ঠাঁই নেই। ছাঙ্গুরবাবাকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যা অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।”

    অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ (Islamic Conversion Racket)

    উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি, জামালউদ্দিন এই বাড়ি থেকেই অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ শুরু করেছিল। লখনউ থেকে মুম্বই পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই চক্রের জাল। জামালউদ্দিনের লোকজন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, টোপ দিয়ে, কখনও আবার ভয় দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করত। এজন্য লেনদেন হত বিপুল পরিমাণ টাকা। জামালউদ্দিনের ফাঁদে পড়ে কিছু মানুষ মুসলিম হওয়ার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চক্রের কথা। তদন্তে নামে এটিএস। এই গ্যাংয়ের বাকিদের গ্রেফতার করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

    ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড়

    তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড় বিস্তৃত আন্তর্জাতিক পর্যায়েও, বিশেষ করে আরব আমিরশাহিতে। জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাংলোয় তার সঙ্গে থাকত নিতু রোহরা, নবীন রোহরা ও তার মেয়ে। এই তিনজনকেই জামালউদ্দিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছিল। বাড়িটিতে থাকত জামালউদ্দিনের ছেলে মেহবুবও। চারজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই পাঁচ বছরে নিতু আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল ১৯ বার। এটিএস জেনেছে (Islamic Conversion Racket), নিতু, তার স্বামী নবীন রোহরা এবং তাদের মেয়ে ২০১৫ সালে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ধর্মান্তরণের সার্টিফিকেট নিয়েছিল। যদিও তাদের পাসপোর্টের রেকর্ডে ভ্রমণের তারিখ নিয়ে অসঙ্গতি রয়েছে।

    পাঁচ বছরে ১৯ বার আরবে!

    মাত্র পাঁচ বছরে এতবার নিতু কেন আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল, বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখছে এটিএস। জামালউদ্দিনের অপারেশন ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত। সে একাধিক ভুয়ো ট্রাস্ট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মধ্যে ছিল “আস্বি এন্টারপ্রাইজেস”, “আস্বি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট”, “আসিপিয়া হাসনি হুসেইনি কালেকশন” এবং “বাবা তাজউদ্দিন আস্বি বুটিক”। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত বিদেশি তহবিলকে সাদা করার (মানি লন্ডারিং) জন্য ব্যবহৃত হত। ধর্মান্তরকরণের উদ্দেশ্যেই এই অর্থ আসত বিদেশ থেকে। এসব ভুয়ো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে (UP) যুক্ত আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা দেখেন, জামালউদ্দিন ৬ লাখ টাকা একটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। এনইএফটির মাধ্যমে স্থানান্তর করেছিল ১০ লাখ টাকাও। এছাড়াও তার সহযোগীদের সঙ্গে আরও অনেক সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে (Islamic Conversion Racket)।

    নেটওয়ার্ক বিস্তৃত বহুদূর

    জামালউদ্দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিল পুনের ইদুল ইসলাম। সে এই নেটওয়ার্ক বিস্তারে সাহায্য করত। জামালউদ্দিন অন্যান্য রাজ্যেও জমি ও সম্পত্তি কিনে অপারেশনাল বেস গড়ে তুলেছিল। এসটিএফ জানিয়েছে, জামালউদ্দিনের পুনেতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। লোনাভালায় তার এক সহযোগী মহম্মদ আহমেদ খানের নামে ১৬ কোটি টাকার একটি সম্পত্তিও সে কিনেছে।

    মিলত মোটা অঙ্কের ইনাম

    এই ধর্মান্তর চক্রে জড়িত মুসলিম পুরুষদের টাকাও দেওয়া হত। কোনও হিন্দু মহিলাকে প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তর করলেই জুটত মোটা অঙ্কের ইনাম। যেসব মহিলাদের ধর্মান্তর করা হত, তাঁদের জাত অনুসারে ঠিক হত টাকার অঙ্ক। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা শিখ নারীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্ততর করতে পারলেই মিলত ১৫-১৬ লাখ টাকা। মহিলা যদি ওবিসি সম্প্রদায়ের হলে মিলত ১০-১২ লাখ টাকা। অন্যান্য জাতের মহিলাদের ধর্মান্তর করতে পারলে মিলত আরও কম টাকা। এর পরিমাণ ৮-১০ লাখ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন করতেই শুরু হয়েছিল এই ‘ব্যবসা’। প্রসঙ্গত, এই মডেলটি অনেকটা বেওয়ার মুসলিম গ্যাং কেসের মতো। সেখানে হিন্দু স্কুলছাত্রীদের টার্গেট করে শোষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের জন্য একইরকম পন্থা অবলম্বন করা হত (Islamic Conversion Racket)।

    রাজনীতির কারবারি থেকে ধর্মান্তর চক্রের চাঁই!

    জামালউদ্দিন ছিল রেহরা মাফি গ্রামের বাসিন্দা। সস্তার আংটির (UP) ফেরিওয়ালা ছিল সে। ২০১৫ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে গ্রামপ্রধান হয় সে। তার পর থেকেই দ্রুত ঘুরতে থাকে তার ভাগ্যের চাকা। রাজনীতিতে ‘মধু’র স্বাদ পেয়ে ছেলে মেহবুবকেও রাজনীতিতে নিয়ে আসে জামালউদ্দিন। যদিও তার পরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল টাকা খরচ করেও আর জিততে পারেনি সে। রাজনীতির এই ‘কারবারে’র পাশাপাশি জামালউদ্দিন বিস্তার করতে থাকে ধর্মান্তর চক্রের জাল। এজন্য অর্থও আসতে থাকে বিদেশ থেকে। রাতারাতি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায় জামালউদ্দিন। সে একাধিক সম্পত্তি কেনে, নির্মাণ করে শোরুম, বানায় বিলাসবহুল বাড়ি, কেনে দামী দামী গাড়িও (Islamic Conversion Racket)।

    মঙ্গলবার কোতোয়ালির উতরৌলায় মধুপুরে জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বাড়িটি (UP)। সেটি খালি করার জন্য তাকে তিনবার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল (Islamic Conversion Racket)।

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • Pahalgam Attack: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে,” বললেন তসলিমা নাসরিন

    Pahalgam Attack: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে,” বললেন তসলিমা নাসরিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, ততদিন সন্ত্রাসবাদ থাকবে।” দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বাংলাদেশের এই নির্বাসিত লেখিকা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। দিল্লির সাহিত্য উৎসবের মঞ্চ থেকে পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করলেন তসলিমা। তিনি বলেন, “১৪০০ বছর ধরে ইসলামের কোনও পরিবর্তন হয়নি। যতদিন না এই ধর্মের পরিবর্তন হচ্ছে, এটি সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিতেই থাকবে।” পহেলগাঁও হামলার ঘটনাকে তিনি ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজেন বেকারি হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। নির্বাসিত এই লেখিকা বলেন, “ঢাকায় মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছিল কারণ তাঁরা কলমা পড়তে পারেননি। এমনটাই হয় যখন ভক্তি মানবতার থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়।”

    চতুর্দিকে মসজিদ (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিন্দু পর্যটকদের কলমা পড়তে বলা হয়। যাঁরা পড়তে পারেননি, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয় (Pahalgam Attack)। তসলিমা বলেন, “ইউরোপে গির্জাগুলিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। আর মুসলমানরা চতুর্দিকে মসজিদ নির্মাণ করে চলেছেন। হাজার হাজার মসজিদ রয়েছে, অথচ তাঁদের আরও চাই।” তিনি (Taslima Nasrin) বলেন, “মাদ্রাসা তুলে দেওয়া উচিত। একটা নয়, শিশুদের সমস্ত বই পড়ার অধিকার থাকা উচিত।”

    ‘আই লভ ইন্ডিয়া’

    বিতর্কিত এই লেখিকা বলেন, “আমি আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক, ১০ বছর সেখানে ছিলাম। তবে সব সময়ই বহিরাগত বলে মনে হত নিজেকে। কলকাতায় এসে ঘরে ফিরেছি বলে মনে হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমায় বের করে দেওয়া হলেও, দিল্লিই দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে যায়। আমার নিজের দেশ আমায় যা দিতে পারেনি, ভারত তা দিয়েছে। আই লভ ইন্ডিয়া। এটাই আমার ঘর।” তসলিমা বলেন, “প্রত্যেক সভ্য দেশে একটি (Pahalgam Attack) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা উচিত। ভারতেও থাকা উচিত। আমি বিষয়টিকে সমর্থন করি (Taslima Nasrin)।”

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বলতে হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়েছিলেন। গেরুয়া এই পতাকা ওড়ালে যে ‘সোনার বাংলা’য় (!) দেশদ্রোহিতার অভিযোগে (Sedition Case) অভিযুক্ত হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশের কয়েকজন হিন্দু। মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোয় ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহম্মদ ইউনূস জমানায় বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বাংলাদেশের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আইন ও ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়ে বিশাল সমাবেশ করেছে। তার পরে পরেই দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। এই দাবিটি ছাড়াও আরও সাত দফা দাবি ছিল হিন্দুদের।

    ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে সমাবেশ

    সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে। প্রথমে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য সফলভাবেই শেষ হয় সমাবেশ। এর পরেই ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। যদিও সনাতন জাগরণ মঞ্চের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বুধবার মামলা রুজু হওয়ার পর মঞ্চের পক্ষ থেকে চেরাগি পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সেই সঙ্গে শুক্রবার, ১ নভেম্বর দেশের ৬৪টি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাকও দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “ছেলে কাঁদে কতক্ষণ? যতক্ষণ না স্তন পান করতে পায়, তারপরই কান্না বন্ধ হয়ে যায়”

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযু্ক্ত পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি অংশ আট দফা দাবি তুলে ধরে এটিকে আওয়ামি লীগ ও ভারত সরকারের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিবাদগুলি রাজনৈতিক নয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও নয়।” কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জানান, প্রশাসনের ওপর সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণের কাজে চাপ সৃষ্টি করতেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাব চিরকালই প্রবল। ১৯৫১ সালে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে এসেছে ৮ শতাংশের নীচে। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি হিন্দু বাংলাদেশ (Sedition Case) ছেড়ে চলে গিয়েছে।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে

    যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন জনৈক ফিরোজ খান। বাংলাদেশের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা একদল লোক চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জিরো পেয়েন্টে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। তার জেরেই দায়ের হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “ওই গেরুয়া পতাকা তোলার সঙ্গে সনাতনী সংগঠনগুলির কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঘটনাটি লালদিঘির প্রতিবাদস্থল থেকে ২ কিমি দূরে ঘটেছিল।” তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবেই ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ঘটনাটার সময় আমি স্থানীয় বিএনপি অফিসে ছিলাম।”

    মামলা প্রত্যাহারের দাবি

    চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম বাংলাদেশে হিন্দুদের দুটি পবিত্র তীর্থস্থানের একটি। কৃষ্ণ দাস সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ৩১ অক্টোবর রাতে দায়ের করেন বিএনপি-র এক স্থানীয় নেতা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আমি শুনেছি যে আমায় গ্রেফতার করা হবে। তবে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন চলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। তাই গ্রেফতারিটা বিলম্বিত হতে পারে (Bangladesh Crisis)।”

    ত্রুটিপূর্ণ মামলা

    বাংলাদেশের এই হিন্দু নেতার মতে, মামলাটি অনেক দিক থেকেই ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রথমত, যে পতাকাটিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তাতে চার কোণায় চারটি চাঁদ ও তারা আঁকা রয়েছে। এটি একটি ইসলামপন্থী পতাকা। দ্বিতীয়ত, যেটিকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তা পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেই ওড়ানো হয়েছিল। তৃতীয়ত, গেরুয়া পতাকাগুলি আলাদা খুঁটিতে উত্তোলন করা হয়েছিল।” বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, সমাবেশে ব্যাপক ভিড় দেখেই প্রশাসনের একাংশ ও উগ্র ইসলামপন্থী দলগুলি অপপ্রচার শুরু করে। কৃষ্ণ দাস বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।”

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্পও। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য (Sedition Case) সংখ্যালঘুদের ওপর গণহিংসা ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। পুরো দেশটি এক ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    Jamia Millia Islamia: প্রাক দীপাবলির অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ স্লোগান, তাল কাটল জামিয়া মিলিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia) চত্বর সাজানো হয়েছিল সুদৃশ্য রঙিন রঙ্গোলিতে। সেই সঙ্গে জ্বালানো হয়েছিল নয়নাভিরাম দিয়া। দীপাবলি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তার আগে আনন্দ করছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। রাষ্ট্রীয় কলা মঞ্চের ব্যানারে আয়োজন করা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানের। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জ্যোতির্ময় ২০২৪’।

    ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’! (Jamia Millia Islamia)

    সাংস্কৃতিক এই অনুষ্ঠানে শিল্পীরা গাইছিলেন গান। রঙ্গোলি প্রতিযোগিতাও হচ্ছিল। জ্বালানো হয়েছিল হাজারো দিয়া। অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যখন আনন্দে আত্মহারা, তখনই কাটল তাল। হঠাৎই ইসলামিক স্লোগান (Islamic Slogans) দিতে থাকেন কয়েকজন ছাত্র। প্রতিবাদ জানান অনু্ষ্ঠানের। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘নারা-ই-তকবীর’, ‘প্যালেস্টাইন জিন্দাবাদ’। ঘটনাটিকে দ্রুত মোবাইল বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কয়েকজন ছাত্র। দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, হিন্দু-মুসলমানের সংঘর্ষ হচ্ছে। ঘটনার সময় হিন্দুরা দিতে থাকেন ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’।

    জামিয়া মিলিয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    হিন্দু উৎসবের বিরোধিতার সাক্ষী এর আগেও হয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ হোলি উৎসব পালন করছিলেন। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রঙ্গোৎসব’। আয়োজন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আচমকাই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় নেমে পড়েন কয়েকজন ছাত্র। শুরু হয় অশান্তি। সেই সময় এক্স হ্যান্ডেলে এক ছাত্র লিখেছিলেন, “সহিহ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, কাফেরদের উৎসবে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয়। ভারতে হিন্দুরা যখন শুধু গরু খাওয়ার কারণে মুসলমানদের অত্যাচার করছে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, তখনও আপনি তাদের সঙ্গে উৎসব পালন করতে চান?” ইসলামে হিন্দুদের উৎসব (Jamia Millia Islamia) পালন করা হারাম বলে বিবেচিত হয়। তার জেরে এই বিশ্ববিদ্যালেয় নানা সময় হিন্দুদের উৎসব পালনের বিরোধিতা করেছে পড়ুয়াদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    হনুমান জয়ন্তী পালন, রাম নবমী উৎসব এবং নবরাত্রি উৎসব কিংবা সরস্বতী পুজো, সব সময়ই অশান্তি পাকিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ভাঙচুর, ইটের টুকরো ছোড়া, এসব ঘটনাও ঘটেছে। প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ক্যাম্পাসে স্লোগানও আগে দিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একদল পড়ুয়া হামাসের সমর্থনে (Islamic Slogans) ব্যাজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও এসেছিলেন (Jamia Millia Islamia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন পলাতক ঘৃণাভাষণকারী ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাকির রয়েছেন পাকিস্তানে (Pakistan)। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অনাথ মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি।

    মঞ্চ থেকে নেমে পালালেন (Zakir Naik)

    সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন তিনি। তাঁর এই মঞ্চ-ত্যাগের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের গবেষক উসমান চৌধুরির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে অনাথ মেয়েরা জাকিরকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। সেই সময় তাঁকে একটি স্মারক দিতে যান উদ্যোক্তারা। সেই স্মারক না নিয়েই ত্রস্ত্র পায়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি (Zakir Naik)।

    জাকিরের মঞ্চ ত্যাগের কারণ

    কী কারণে স্মারক না নিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করলেন জাকির? জানা গিয়েছে, উদ্যোক্তারা ওই অনাথ আশ্রমের মেয়েদের ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এতেই আপত্তি করেন জাকির। তাঁর বক্তব্য, “আপনি তাদের স্পর্শ করতে পারবেন না বা তাদের আপনার কন্যা বলতে পারবেন না।” এই মেয়েদের জাকির ‘নন-মাহরাম’ বলে উল্লেখ করেন। জাকিরের যুক্তি, এই ছোট মেয়েরাই বিবাহযোগ্যা হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের আর কন্যা হিসেবে পরিচয় দেওয়া যায় না। ইসলামে ‘মাহরাম’ শব্দটি এসেছে ‘হারাম’ শব্দ থেকে। এর অর্থ, এমন একজনকে বোঝায় যাকে বিয়ে করা যায় না, যেমন পিতা-পুত্রী। ‘নন-মাহরাম’ বলতে বোঝায় এমন একজনকে যাকে কেউ বিয়ে করতে পারে অথবা সেই ব্যক্তিকে বিয়ে করা হারাম নয়।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোমবারই মাসখানেকের জন্য ইসালামাবাদ সফরে গিয়েছেন জাকির। ভারতের এই শত্রুকে রেড কার্পেটে বরণ করে পাকিস্তানের সরকার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।

    এদিকে, জাকিরের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান যেভাবে জাকিরকে সম্মানিত করেছে, তার নিন্দা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই জাকিরের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রিপোর্টে দেখেছি, জাকিরকে নিয়ে পাকিস্তানে কীভাবে মাতামাতি হচ্ছে। কীভাবে তাঁকে সেখানে (Pakistan) স্বাগত জানানো হচ্ছে (Zakir Naik)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Ghaziabad: ভূতের সাহায্যে রোগ নিরাময়! ধর্মান্তকরণের চেষ্টায় গাজিয়াবাদে গ্রেফতার মৌলবী

    Ghaziabad: ভূতের সাহায্যে রোগ নিরাময়! ধর্মান্তকরণের চেষ্টায় গাজিয়াবাদে গ্রেফতার মৌলবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের সাহায্য রোগ সারানোর নামে প্রতারণা ও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Religious Conversion) করার চেষ্টা- এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মৌলবীকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad)। সেখানে এক হিন্দু মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন যে, এক মৌলবী তাঁর অসুস্থ স্বামীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Religious Conversion) করার চেষ্টা করেছেন ও তাঁকে (মহিলার স্বামী) দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্ররোচনাও দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামীর থেকে টাকা-গাড়িও হাতিয়েছেন ওই মৌলবী।

    ঘটনাটি হল গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) জেলার ওয়েব সিটি থানা এলাকার

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মৌলবীর নাম আবদুর রহমান। স্থানীয় থানায় এই ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ওই মৌলবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কথোপকথনের কল রেকর্ডিং-ও দিয়েছেন ওই মহিলা (Religious Conversion)। এই ঘটনার জেরে  ১৯ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। যোগী রাজ্যের পুলিশ আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘটনাটি হল গাজিয়াবাদ জেলার ওয়েব সিটি থানা এলাকার। এখানেই ওই হিন্দু মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর স্বামী শ্রীশ ওঝা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সেই মতো মৌলবী আবদুর রহমানের কাছে তাঁরা যান এর সমাধান খুঁজতে।

    স্ত্রীকে ভূতের সাহায্যে সুস্থ করা হবে (Religious Conversion)

    পেশায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের মালিক শ্রীশ ওঝা। বাড়ি এবং বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের নকশা তৈরি করেন তিনি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শ্রীশের স্ত্রী কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্তমানে তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রী সাড়া দিচ্ছিলেন না, এনিয়ে শ্রীশ খুব চাপে ছিলেন এবং এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মৌলবী আবদুরের খপ্পরে পড়েন (Religious Conversion)। মৌলবী দাবি করেন যে, তাঁর স্ত্রীকে ভূতের সাহায্যে (Ghaziabad) সুস্থ করা হবে এবং সেই মতো বিগত চার পাঁচ মাস ধরে ৭ লাখ টাকা নেন মৌলবী। এমনকী, শ্রীশের গাড়ি বিক্রি করে সেই টাকাও হাতিয়ে নেন ওই মৌলবী। শুধু তাই নয়। ওই মৌলবী শ্রীশকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ক্রমাগত প্ররোচনা দিতে থাকেন এবং বলতে থাকেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেই সব রোগ থেকে মুক্তি মিলবে (Religious Conversion)। আবদুর রহমান স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর জন্য শ্রীশকে বলতে থাকেন, তাঁর স্ত্রী চরিত্রহীনা। এরপরেই অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায় এবং গ্রেফতার করা হয় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সি মৌলবী আবদুরকে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madrasa Education: প্রকৃত শিক্ষার অনুপযোগী মাদ্রাসা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

    Madrasa Education: প্রকৃত শিক্ষার অনুপযোগী মাদ্রাসা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয় মাদ্রাসা। মাদ্রাসার (Madrasa Education) মতো প্রতিষ্ঠান শিশু শিক্ষা অধিকারের বিরোধী। সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। মাদ্রাসার কর্মপদ্ধতিও বিধিবহির্ভূত বলে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানাল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর (NCPCR)। 

    কেন একথা বলল এনসিপিসিআর?

    কয়েকদিন আগেই একটি রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, মাদ্রাসা (Madrasa Education)  শিক্ষা আইন, ২০০৪ ‘অসাংবিধানিক’। কারণ তা ‘ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি’কে লঙ্ঘন করে। সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদের অধীনে মৌলিক অধিকার বিরোধীও। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা জমা পড়ে। যার পর গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ওই মামলা সূত্রেই জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন মাদ্রাসা সম্পর্কে নিজেদের লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।

    কী বলল কমিশন?

    ২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট বা শিক্ষার অধিকার আইনের এক্তিয়ারে পড়ে না মাদ্রাসা (Madrasa Education)। ফলে মিড ডে মিল, ইউনিফর্ম, প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা পাওয়ার অধিকার ইত্যাদি আইনি সুযোগ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়ে চলেছে। দেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য চালু বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগও তারা পাচ্ছে না। কমিশনের মতে, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতের খুব অল্পই মাদ্রাসায় শেখানো হয়। মূলত ধর্মীয় শিক্ষাই প্রাধান্য পায়। সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি পরিচালক দ্বারা। মূলত তিন ধরনের মাদ্রাসার উল্লেখ করেছে এনসিপিসিআর। 

    তিন ধরনের মাদ্রাসা

    স্বীকৃত মাদ্রাসা– যেখানে ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি বিধিবদ্ধ শিক্ষার কিছুটা শেখানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত। যাদের ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড আছে। 
    অস্বীকৃত মাদ্রাসা– যেখানে বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই। পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেই।
    ভুয়ো মাদ্রাসা– যারা কখনওই রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়ার আবেদন করেনি। এনসিপিসিআর-এর নথি অনুযায়ী দেশের সর্বত্র এমন মাদ্রাসার সংখ্যা বিপুল। এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানে কেমন শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষা দেওয়ার পরিবেশ ও পরিকাঠামো আছে কিনা, তা জানা কঠিন। এখানকার শিক্ষার্থীদের তাই অশিক্ষিত হিসেবেই ধরা হয়।

    সাংবিধানিক ধারা লঙ্ঘন

    কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাদ্রাসায় (Madrasa Education) অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের ইসলামিক ধর্মীয় রীতি মেনে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ২৮ (৩) ধারার সম্পূর্ণ বিরোধী বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, একটি মাদ্রাসা ‘সঠিক’ শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি ‘অযোগ্য স্থান’। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে সন্তোষজনক জায়গা নয় তো বটেই, এমনকী সেখানে শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ২৯ এর অধীনে নির্ধারিত পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিও অনুপস্থিত। এই প্রতিষ্ঠান সাংবিধানিক আদেশের সামগ্রিক লঙ্ঘন…এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫-এর লঙ্ঘন করছে। কমিশনের দাবি, আদতে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের প্রকৃত শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এছাড়াও মৌলিক অধিকার–কোনও শিশুর ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য না করা , শিশুদের সুস্থভাবে এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদার সঙ্গে বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়, তাদের শোষণ থেকে দূরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপিসিআর-এর দাবি, এমন একাধিক শর্ত পূরণ হয় না মাদ্রাসায়।

    আরও পড়ুন: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    কমিশনের যুক্তি

    ধর্মীয় শিক্ষার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে কীভাবে অর্থ খরচ করা হয়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য গত মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ধারা, ২৫ ধারা, ২৬ ধারা, ২৯ ধারা এবং ৩০ ধারার বিরোধী কিনা, তাও ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে হাইকোর্টে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মাদ্রাসায় (Madrasa Education) শিশুদের যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা উপযুক্ত নয়। যা ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের ধারার বিরোধী। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন প্রয়োজ্য হয় না। সাধারণ স্কুলের পড়ুয়ারা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, তা থেকে বঞ্চিত হয় মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় যে কোনও স্কুলকে মৌলিক শিক্ষা প্রদান করতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষার অধিকার আইনের বিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডে সমর্থন করতে পারে না রাষ্ট্র, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনই অভিমত প্রকাশ করে এনসিপিসিআর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share