Tag: Islamabad

Islamabad

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে ভারতের পড়শি এই দেশে গৃহযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত (Baloch Rebels)। মাস দুয়েক আগে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এবার পাকিস্তানের আস্ত একটা শহরেরই দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের পতাকা খুলে সেখানে ওড়ানো হয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ঝান্ডা। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার কয়েকজন সদস্যকে।

    পাক সেনার অস্ত্র লুট (Baloch Rebels)

    সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ডেথ স্কোয়াড। কোয়েটা-করাচি হাইওয়েতে সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে পাক সরকার বা সেনার কোনও যোগ পাওয়া গেলেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চার নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণ গিয়েছে বালোচ আর্মির গুলিতে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা আবদুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে। পাক সেনার হয়ে আলোচনা চালাতেন তিনি। বালোচ লিবারেশন আর্মি বহুদিন ধরে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে।

    পোস্ট ভাইরাল

    এই আবহে অজয় কল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট ভাইরাল হয়েছে (Baloch Rebels) সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বালোচ আর্মির লোকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এটি বালুচিস্তানের কলাট জেলার মাঙ্গোচর শহর। যেখানে বালুচিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল। প্রধান সড়কগুলির নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে, একটি ব্যাঙ্ক ও আদালতের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।”

    গত ২৮ এপ্রিল পাসনি এলাকায় মহম্মদ নওয়াজ নামে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বিএলএ। পরিচয় লুকিয়ে বিদ্রোহীদের ডেথ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করতেন নওয়াজ। তারপর (Pakistan) থেকেই নতুন করে বিএলএর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ (Baloch Rebels)।

     

  • Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার চড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও, পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই চাহিদা সামাল দিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। জিটিআরআই জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য থেমে গেলেও, চাহিদা কমেনি। পাকিস্তান ভারতীয় পণ্য উচ্চমূল্যে ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।”

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি (Pahalgam Attack)

    ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মোস্ট ফেভার্ড নেশন মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। জবাবে পাকিস্তান ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সকল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কেবল মাঝে মধ্যে ওষুধের মতো মানবিক পণ্য রফতানি হয়েছে পাকিস্তানে। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক সত্ত্বেও, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে ৪৪৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (Pakistan) পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যালস, ১২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, ৮৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনি, ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অটো পার্টস এবং ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার (Pahalgam Attack)। এদিকে, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি নগণ্য – মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ডুমুর, তুলসি ও রোজমেরির মতো কৃষিজাত পণ্য।

    জিটিআরআইয়ের অনুমান

    জিটিআরআইয়ের অনুমান, আনুষ্ঠানিক পুনঃরফতানি পথে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্য ছিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক দ্রব্য, চা ও কফি, তুলা ও রং, লবণ, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, অটো পার্টস এবং পেঁয়াজ, টমেটোর মতো পচনশীল পণ্য। জানা গিয়েছে, এই একই পথে পাকিস্তানের যেসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করে, তার মধ্যে রয়েছে, সৈন্ধব লবণ, খেজুর, খোবানি ও বাদামের মতো শুকনো ফল (Pahalgam Attack)। ভারতের এই বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে সরবরাহ শৃঙ্খলে জটিলতা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ফিচ রেটিংসের মতো প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা সহ অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে পাক সরকার যে আরও বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট

    জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা পাক রাজনীতিবিদদের। কারণ পাকিস্তানে ওষুধের কাঁচামালের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। সেই সরবরাহ বন্ধ হতেই বিপাকে ইসলামাবাদ (Pakistan)। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তার পরেও ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে ভেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে পাক সরকার (Pahalgam Attack)।

    ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির জের

    উনিশ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও অবনতি হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্কে। সেই সময়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। যার জেরে ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগেভাগেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের এক আধিকারিক বলেন, “২০১৯ সালের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ওষুধের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিকল্পের খোঁজ করছি।” পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করি। ক্যান্সার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষের প্রতিষেধক ভারত থেকে পাকিস্তানের বাজারে আসে।” তাঁর আশঙ্কা শীঘ্রই বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের বাজারে। জানা গিয়েছে, আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। ওই সব দেশ থেকে ওষুধ কেনার কথা ভাবছে (Pakistan) পাক সরকার। যদিও ঠিক কোথা থেকে ওষুধ কেনা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারি দলনেতা গৌরব গগৈয়ের (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কালবোর্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার হিমন্ত তাক করলেন কংগ্রেস সাংসদ স্বয়ং গৌরবকেই। এদিন সরাসরি গৌরবের নাম না নিয়ে হিমন্ত দাবি করেন, ওই সাংসদ ভারত সরকারকে না জানিয়েই ১৫ দিন কাটিয়ে এসেছেন ইসলামাবাদে। নয়াদিল্লিতে পাক হাই-কমিশনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও রয়েছে।

    হিমন্তর বিস্ফোরক দাবি (Gaurav Gogoi)

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমাদের বড় শত্রু। কিন্তু আমাদের দেশের ভিতরে থেকেই যাঁরা পাকিস্তানের প্রশংসা করেন, তাঁরাই আমাদের জাতির সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু।’’ তাঁর দাবি, অসম পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম সংসদ সদস্যের ব্রিটিশ স্ত্রীর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে “চাঞ্চল্যকর তথ্য” উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশবাসী জানতে পারবেন কীভাবে একজন গর্বিত বাবার সন্তান হয়েও জাতির বিরুদ্ধে যেতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, হিমন্তের স্পষ্ট ইঙ্গিত গৌরব গগৈয়ের দিকে, যিনি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র (Himanta Biswa Sarma)।

    দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই সাংসদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য না দিয়েই ১৫ দিনের জন্য ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সঙ্গে ওই সাংসদের সম্পর্ক রয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের শত্রুকে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু আমাদের দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন (Gaurav Gogoi)।’’ অসম পুলিশের এসআইটি বর্তমানে এই বিষয়টি তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।’’ তাঁর আশ্বাস, রাজ্য সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং তদন্তের ফল শীঘ্রই জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে যে তদন্ত চলছে, তাতে সংসদ সদস্য ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রীর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।’’

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে গৌরবের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাক-যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন হিমন্ত। সেই সময় বিজেপির মুখপাত্র কিশোর উপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এলিজাবেথ (গৌরবের স্ত্রী) পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন (Himanta Biswa Sarma) ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তাঁর। এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও দাবি (Gaurav Gogoi)।

  • Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতের হাতে, এনআইএ হেফাজতে তাহাউর হুসেইন রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা থেকে বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যর্পণের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) গ্রেফতার করে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারীকে। মধ্যরাতে তাঁকে হাজির করানো হয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারকের সামনে। মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai Attack) নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রের দিকটি খতিয়ে দেখতে রানাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায় এনআইএ। আর্জি মঞ্জুর করে বিচারক রানাকে ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে কী বলল এনআইএ?

    ২০০৮ থেকে ২০২৫। ১৭ বছর পর তাহাউর (Tahawwur Rana) শাস্তি পেতে পারে মুম্বই হামলার চক্রান্ত করার জন্য, যা নিরাপরাধ ১৬৬ জনের প্রাণ কেড়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন পেশ করা হয় তাহাউরকে, তখন তদন্তকারী সংস্থা একাধিক জোরাল তথ্য প্রমাণ জমা দেয়, যাতে স্পষ্ট মুম্বই হামলায় সরাসরি যোগ ছিল তাহাউরের। জানা গিয়েছে, তাহাউরের পাঠানো একাধিক ইমেল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, তা জানার জন্য তাহাউরকে জেরা করা জরুরি। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, খুন, প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও তাহাউরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতে এনআইএ জানায়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটাতে রানা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অন্য ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে শলা পরামর্শও করেছিলেন। রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ দিনের হেফাজতে নিতে চায় এনআইএ। বিচারক রানার কাছে জানতে চান, তিনি পাল্টা সওয়ালের জন্য নিজে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করবেন, না কি আদালতের তরফ থেকে তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে? রানা জানান, তাঁর কাছে তাঁর পক্ষে সওয়াল করার মতো কোনও আইনজীবী নেই। এরপর জজ জানান, দিল্লি লিগাল অথরিটি সার্ভিসের তরফে একজন আইনজীবী তাঁকে দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে সওয়াল জবাব করার জন্য। রানার বিরুদ্ধে এনআইএ-র হয়ে কেস লড়বেন প্রবীণ ক্রিমিনাল আইনজীবী দয়া কৃষ্ণণ। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নরেন্দ্র মান আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁকে নেতৃত্ব দেবেন।

    কোথায় রানা?

    রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা! বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, “২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।” ভারতে বিমানটি অবতরণের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। পাকা চুল, মাঝে পড়েছে টাক। গাল ভর্তি লম্বা পাকা দাড়ি। বাদামী রঙের ওভারঅলে দেখা মেলে তাহাউর রানার। তবে তাঁকে প্রকাশ্যে আনা হলেও, তাঁর মুখ প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রের খবর, রানাকে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ কুঠুরিতে রাখা হবে তাঁকে।

    জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোর

    রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতেই, তাহাউরকে (Tahawwur Rana) নিয়ে প্রিজন ভ্যান এনআইএ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছয়। জানা যাচ্ছে, আপাতত ওই ১৮ দিনে এনআইএর তরফে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রানাকে জেরা করা হবে। সেখানে রানার জন্য প্রস্তুত ছিল স্পেশ্যাল সেল। গোটা ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করার চেষ্টায় চলবে রানার লাগাতার জেরা। জানা যাচ্ছে, সিজিও কম্প্লেক্সে ‘অ্যান্টি টেরর এজেন্সি’র হেড অফিসে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হবে রানাকে। জানা যাচ্ছে এনআইএর আইজি, ডেপুটি ইনসপেক্টর সহ পদস্থ একাধিক দাপুটে কর্তারা জেরা করতে চলেছেন রানাকে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে ১২ জন আধিকারিক পাক বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান ব্যবসায়ীকে জেরা করবেন। এই ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে, আইজি আশিস বাত্রা, ডিআইজি জয়া রায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাহাউরকে জেরা করছে এনআইএ। নয়া দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে তৃতীয় তলায় তাহাউর রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা এনআইএ আইজি, ডিআইজি স্তরের কর্মকর্তাদের। ২৪ ঘণ্টাই তাহাউরকে সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হবে। উপস্থিত থাকবেন স্পেশাল সেল কমান্ডোরাও।

  • Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতেই ফিরতে হল ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। বুধবারই তাঁকে বিশেষ বিমানে চড়িয়ে আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অনুমান ছিল বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতে নামবে সেই বিমান। তবে তা পৌঁছল বেলা গড়িয়ে বিকেলে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটের দিকে পালাম বিমানবন্দরে রানাকে নিয়ে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। অবশেষে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১৬ বছর পর ভারতে নিয়ে আসা হল তাহাউর রানাকে।

    রানার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা

    এনআইএ সূত্রে খবর, তাহাউরের প্রত্যপর্ণ নিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়াও বিমানবন্দরে আগে থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে সোয়াট কমান্ডাদের। পাশাপাশি, যে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে রানাকে নিয়ে রওনা দেবে পুলিশ, তার আগুপিছুতে রাখা হবে অস্ত্র বোঝাই বিশেষ সাঁজোয়া গাড়ি। এছাড়াও রাখা হবে মার্কসম্যান গাড়ি। এই গাড়িতে থাকে সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডোরা। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ এনআইএ। তাই একইরকম দেখতে একাধিক ডিকয় (ভুয়ো) গাড়িও রাখা হয়েছে। ফলে, কোন গাড়ি করে, কোন রুট দিয়ে রানাকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা একেবারে গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।

    আজই এনআইএ আদালতে রানা

    বৃহস্পতিবার ভারতে পা রাখা মাত্রই তাঁকে তোলা হবে এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে। আর ওই বিশেষ আদালতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের যেন অভাব না হয়, সেই কারণে আগেভাগেই মুম্বই হামলা ও তাহাউরের যোগসাজোশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কেস ফাইল ও রের্কড করা বয়ান আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারীরা। রানাকে (Tahawwur Rana) প্রথমে এনআইএ হেফাজতে রাখা হতে পারে। সেখানেই মুম্বই হামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। এনআইএ- হেডকোয়ার্টারে একটি সেল রানার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ১২ জন সদস্য যেতে পারবেন। এনআইএ ডিজি সদানন্দ দত্ত, আইজি অনীশ বাতরা ও ডিআইজি জয় রায় রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

    রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে

    অহেতুক কাল বিলম্ব নয়। ভারতে পা রাখার পরই যাতে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে রানা ভারতে পা রাখার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মানকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রানা ভারতে নামলে সরকারিভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কুখ্যাত ওই জঙ্গিকে রাখা হবে দিল্লির তিহাড় জেলে। প্রাথমিকভাবে রানার জন্য দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দুটি জেলে দুটি হাই সিকিউরিটি সেল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে হবে, তাই এখনই তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে না। পরে তদন্তের প্রয়োজনে ওই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, রানা দিল্লিতে নামার পরই দিল্লির বিশেষ এনআইএ কোর্টে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে রানাকে পেশ করা হবে। ওই বিচারপ্রক্রিয়ায় এনআইএ’র হয়ে সওয়াল করবেন বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মান। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিবিআই এবং এনআইএর হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। আগামী ৩ বছরের জন্য রানার বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য মানকে নিয়োগ করেছে সরকার।

    প্রস্তুত তিহাড়

    দিল্লির তিহাড় জেলের একটি হাই-সিকিউরিটি ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। ইতিমধ্যেই জেলের ভিতরে ও বাইরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রানাকে যে সেলে রাখা হবে সেখানে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে হাই অ্যালার্ট ক্যামেরা। রানার ওয়ার্ডে আরও ২ বন্দি থাকবে। তবে রানাকে কারুর সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে দেওয়া হবে না। রানা কোন সেলে থাকবে নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দূরত্ব তৈরির চেষ্টা পাকিস্তানের

    আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো হল ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। এই আবহে তাহাউর প্রসঙ্গে প্রথম বিবৃতি দিল পাকিস্তান সরকার। পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান বোঝাতে চাইছে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেননি। তিনি যে কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” বস্তুত, তাহাউরকে ভারতে আনার পরে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের জয়

    উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই বড় কূটনৈতিক জয় পায় ভারত। তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভারত-মার্কিন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে তাঁকে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিলমোহর দিয়েছিল আমেরিকার শীর্ষ আদালত। এনআইএ আধিকারিকদের হাতে বুধবার রানাকে তুলে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।

     

     

     

     

  • Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    Pakistan: কেউ নিল ল্যাপটপ, কারও হাতে মনিটর, পাকিস্তানে ভুয়ো কলসেন্টারে লুট জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ভুয়ো কলসেন্টার জানার পরেই সেখানে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ল্যাপটপ, মনিটর লুঠ করতে শুরু করেন। এতে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেতেই! সেদেশের জনগণের ভিখারি মানসিকতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি। ইতিমধ্যে ওই লুটের ভিডিও সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। নানা মজার কমেন্ট করতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানে এমন চিত্র আগেও দেখা গিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সদ্য চালু হওয়া একটি মলে কয়েকশো মানুষ ঢুকে পোশাক লুট করে পালিয়েছিল।

    ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি

    জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের (Islamabad) সেক্টর ১১-তে অবস্থিত কলসেন্টারটি। তদন্তে উঠে এসেছে ওই কলসেন্টার থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। চিনের নাগরিকরাই নাকি ওই কল সেন্টারটি চালাতেন। এরপরেই পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(FIA) ওই কলসেন্টারে হানা দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার স্থানীয় মানুষজন ওই কলসেন্টারের সামনে ভিড় করেন। এফআইএ আধিকারিকরা ওই কলসেন্টারে ঢুকতেই স্থানীয় মানুষজনও হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করে। তারপরই শুরু হয় জিনিসপত্র লুট। খুশির মেজাজে কলসেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সবাইকে। শুধু কী তাই! অনেকে আবার কিছু না পেয়ে কী বোর্ডও নিয়ে আসে। কাউকে কাউকে ফার্নিচারও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    গ্রেফতার ২৪জন কল সেন্টার কর্মী

    এদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কলসেন্টারে হানা দিয়ে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তল্লাশির সময় কয়েকজন কলসেন্টার ছেড়ে পালিয়েও যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের এমন চিত্র গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুঠের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল সেসময়। ফের একবার সেই রকমই ছবি সামনে এল পাকিস্তানে (Pakistan)। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শয়ে শয়ে মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছিলেন। যে যেমনভাবে পেরেছিল, জিনিসপত্র লুঠ করেছিলেন। কেউ কেউ হাসিনার শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। ছাগল, হাঁস-ও নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল সেসময়।

  • Pakistan: ইসলামাবাদের রাজপথে লক্ষ লক্ষ ইমরান সমর্থক! সেনা-জনতা সংঘর্ষে নিহত ৬

    Pakistan: ইসলামাবাদের রাজপথে লক্ষ লক্ষ ইমরান সমর্থক! সেনা-জনতা সংঘর্ষে নিহত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মুক্তির দাবিতে উত্তাল ইসলামাবাদ। পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে ইসলামাবাদমুখী বিক্ষোভ সহিংস আকার নিয়েছে। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে আন্দোলনে সংঘর্ষে ৬ জন নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি শামাল দিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে দেখামাত্র গুলি চালানোরও নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর।

    ইমরানকে ছাড়ানোর হুঙ্কার

    রবিবার ইমরানের (Imran Khan) স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে রাজধানীর উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মী-সমর্থকরা। গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় সমর্থকরা। সোমবার সন্ধ্যায় মিছিল ইসলামাবাদে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীরা আরও এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলে নামানো হয় সেনাবাহিনী। লক্ষ লক্ষ সমর্থক রাজধানী শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তাতেই সেনা ও পুলিশকর্মীর মত্যু হয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১১৯ জন। অভিযোগ, পুলিশের ২২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন সমর্থকরা। ইতিমধ্যে তেহরিক-ই-পাকিস্তানের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। এমনকী, ইমরানের সমর্থকদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশিকা জারি করেছে পাক-সেনা।

    খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইমরান খান যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা পিছু হটব না। এগিয়েই যাব। সবাই প্রস্তুত হন। আমাদের আরও বাধা পেরোতে হবে।” প্রথম থেকেই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। সোমবার তিনি বলেন, “খান সাহেবকে (ইমরান খান) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আমরা এখানে এসেছি। ইমরান খানকে নিয়েই ফিরব।” ইসলামাবাদের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও দুই পুলিশ কর্মী। সম্প্রতি কারাবন্দি অবস্থাতেই রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ পাকিস্তানের (Pakistan) বড় শহরগুলি জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী তথা পিটিআই নেতা ইমরান (Imran Khan)। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই এবার ইসলামাবাদের রাজপথে অগনিত মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩তম সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, (সংক্ষেপে এসসিও) সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে ইসলামাবাদে পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। চলতি মাসের ১৫-১৬ তারিখ এই দুদিন ধরে হবে সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই এদিন ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ৯ বছর পরে এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলেন কোনও বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ক্যালেন্ডারের হিসেবে জয়শঙ্করের সফর দুদিনের হলেও, আসলে তিনি ইসলামাবাদে (এখানেই হচ্ছে এসসিও সম্মেলন) থাকবেন ২৪ ঘণ্টারও কম সময়।

    হচ্ছে না পার্শ্ববৈঠক (S Jaishankar)

    ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জয়শঙ্কর ইসলামাবাদে গেলেও, ভারত-পাক পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না। রবিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও পার্শ্ববৈঠকের অনুরোধ পাইনি। আমরাও এই মর্মে কোনও আবেদন করিনি। তবে প্রোটোকল মেনে সব দেশের নেতার মতোই স্বাগত জানানো হবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেও।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সক্রিয়ভাবে এসসিও ফরম্যাটে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে এসসিও কাঠামোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও উদ্যোগ অন্তর্ভু্ক্ত রয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    এদিকে, পাকিস্তানের এক মন্ত্রী আহসান ইকবালের অভিযোগ, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নাকি ইসলামাবাদে এসসিও বানচালের চেষ্টা করছে ভারত। তবে (S Jaishankar) সতীর্থের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি শাহবাজ সরকার। তবে সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইসলামাবাদ ও লাগোয়া রাওয়ালপিণ্ডি এলাকায়। তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এই এলাকায়। পাঁচটি জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে পিটিআইয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি ছোটবড় জঙ্গি সন্ত্রাস চলছে পাকিস্তানে। সেই কারণেই ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে যোগ দিতে উপস্থিত হবেন প্রায় ৯০০ প্রতিনিধি। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজার পুলিশ ও প্যারা মিলিটারি।

    আরও পড়ুন: “ডিজিটাল বিশ্বেও নিয়ম-কানুন প্রয়োজন”, বললেন মোদি, ব্যাখ্যা করলেন কারণও

    ২০১৫ সালে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরের বছর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর এই সে দেশের মাটিতে পা রাখলেন (SCO Summit) জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বছর একাত্তরের ইমরান খান (Imran Khan)। সোমবার তাঁকে খালাস করে দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তাঁরা। কারণ এখনও তাঁদের মাথার ওপর ঝুলছে একাধিক মামলার খাঁড়া।

    বেকসুর খালাস (Imran Khan)

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়া যায় ইমরানের। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। গত অগাস্ট মাস থেকে (Imran Khan) পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন যে তিনটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইফার মামলাও। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের ডিভিশন বেঞ্চ সাইফার মামলার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাঁকে (Imran Khan) বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    সাইফার মামলা

    উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে একটি নথি আনেন তিনি। এনিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ইমরান দাবি করেছিলেন, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা ‘সাইফার’ অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    এদিকে, ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করা হয়। আবার এদিনই ৯ মে দাঙ্গার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুরেশিকে।প্রসঙ্গত, তোষাখানা-সহ একশোটিরও বেশি মামলার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাথার ওপর (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share