Tag: israel hamas war

israel hamas war

  • Israel Hamas War: গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার ইজরায়েলি সেনার, এবার ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্ততি?

    Israel Hamas War: গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার ইজরায়েলি সেনার, এবার ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্ততি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজা সীমান্তের কাঁটাতার কেটে গত শনিবার ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস বাহিনী। ৪ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর গাজা সীমান্ত জঙ্গি-মুক্ত করে পুনরুদ্ধার করল ইজরায়েলি সেনা। যুদ্ধে এখনও অবধি ৩ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১২০০ জন ইজরায়েলি। ৯০০ জন মারা গিয়েছেন গাজায়। তবে, লড়াই (Israel Hamas War) এখনও শেষ হয়নি। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবে না সেনা। সেই মতো, বড় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। 

    ইজরায়েলকে বাঁচিয়েছে ‘আয়রন-ডোম’

    শনিবার দক্ষিঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকেই ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট। ইজরায়েলের দাবি, ২০ মিনিটে প্রায় ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল ইজরায়েলের ওপর। কিন্তু, বেশিরভাগ রকেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলের ‘আয়রন-ডোম’। কিন্তু, ঝাঁকের মধ্যে থেকে বহু রকেটগুলি আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের বুকে (Israel Hamas War)। 

    বর্বর, নির্মম হত্যালীলার সাক্ষী বিশ্ব

    শুধু আকাশপথে নয়, হামাস বাহিনী হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথ ও স্থলপথেও। গাজা সীমান্ত জুড়ে ৪০ কিমি লম্বা কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা দিয়ে সেই বেড়া কেটেই অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস জঙ্গিরা। সীমান্ত পেরিয়ে গাড়ি নিয়ে ইজরায়েলের গাজা-সীমান্তবর্তী শহরে ঢুকে পড়ে শয়ে-শয়ে সশস্ত্র জঙ্গি। পাশাপাশি, প্যারাগ্লাইড করে আকাশপথে ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ইজরায়েলি সেনা ছাড়াও শয়ে শয়ে অসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্মম হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। বিরি নামক একটি জায়গাতেই হামাসের যোদ্ধারা শতাধিক নাগরিককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে (Israel Hamas War)। আর শুধু হত্যা করাই নয়। হত্যার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। কোথাও তরুণীকে হত্যা করে তাঁর নগ্ন দেহ শহরজুড়ে ঘোরানো হয়। আবার কোথাও অপহরণ করে পণবন্দি করা হয় শতাধিক ইজরায়েলবাসীকে। জঙ্গি হামলায় মোট ১২০০-র বেশি ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯০০-রও বেশি সাধারণ ইজরায়েলি নাগরিকই রয়েছেন। 

    ইজরায়েলি জবাবে খতম হামাসের দুই শীর্ষ কর্তা

    হামাসের এই অতর্কিত হামলার জবাব দিতে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। হামাস-অধ্যূষিত ও নিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে ইজরায়েলি বোমা-ক্ষেপণাস্ত্র। ইজরায়েলি সেনার জবাবি হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। গাজাতেই হামাসের মূলকেন্দ্র বা ঘাঁটি। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের দাবি, হামাসের ৫০০টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলের বায়ুসেনা আইএএফ দাবি করেছে, তারা হামাসের অর্থনীতি-বিষয়ক মন্ত্রী জাওয়াদ আবু শামলাকে খতম করেছে। পাশাপাশি, জঙ্গি সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যুরোর অন্যতম সিনিয়র সদস্য জাকারিয়া আবু মামারকেও খতম করা হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। ১৫০০ হামাস জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে গাজা স্ট্রিপ ও তার আশেপাশের এলাকাগুলি থেকে। অন্যদিকে, গাজা প্রশাসনের তরফে এখনও অবধি ৭৬৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    গাজায় জরুরি পরিষেবা বন্ধ করল ইজরায়েল

    শুধু হাতে মারা নয়, হামাসকে ভাতে মারার ব্যবস্থাও করেছে ইজরায়েল (Israel Hamas War)। সোমবার গাজাকে চারদিক থেকে ঘিরতে ট্যাঙ্ক বাহিনীকে নামায় আইডিএফ। বন্ধ করে দেওয়া হয় জল, খাবার ও বিদ্যুতের লাইন। গাজার এই সমস্ত জরুরি পরিষেবা ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের তরফে বলা হয়, গাজায় ইজরায়েলি বিমান হানায় ৭৯০টি আবাসন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও ৫৩৩০টি আবাসন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় বর্তমানে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। এদের সিংহভাগই স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। 

    ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্তুতি ইজরায়েলের

    মঙ্গলবার ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়, তারা গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার করেছে। গাজার সীমান্ত ফের এখন ইজরায়েলি সেনার নিয়ন্ত্রণে। সে দেশের সেনার তরফেও বিবৃতিত জানানো হয়েছে, গাজার সীমান্ত ও দক্ষিণ অংশের অধিকাংশ অঞ্চলই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১২টিরও বেশি শহর থেকে উৎখাত করা হয়েছে হামাস বাহিনীকে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধিনতা দেওয়া হয়েছে। হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করতে এবার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে তাদের সেনা (Israel Hamas War)। এর জন্য প্রস্তুতি সারা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’ শুরু হবে। অর্থাৎ, এবার গাজায় নেমে হামাস-নিধন অভিযান চালাবে আইডিএফ। তাঁর হুমকি, গাজা আর পুরনো দিনে ফিরবে না। ফলে, এটা সহজেই অনুমেয় যে, আগামী কয়েকদিন যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘দোস্ত’কে ফোন নেতানিয়াহুর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    Israel Hamas War: ‘দোস্ত’কে ফোন নেতানিয়াহুর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের দিনে (Israel Hamas War) ‘দোস্ত’কেই স্মরণ করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার ফোন করে ইজরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ২০১৭ সালে ইজরায়েল সফরের সময় থেকেই মোদি-নেতানিয়াহুর সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘দোস্ত’ বলেও প্রকাশ্যে সম্বোধন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ‘বিপ্লবী নেতা’ বলেও সম্বোধন করেছেন। পরের বছর যখন নেতানিয়াহু ভারতে আসেন, তখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছিল ভারত-ইজরায়েল।

    ইজরায়েলের ওপর হামলা

    শনিবার ভোরে আচমকাই ইজরায়েলের (Israel Hamas War) ওপর হামলা চালায় হামাসরা। ঘন ঘন রকেট হামাল চালানো হয় ইহুদিদের দেশে। এর পরেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে হাজার দেড়েক মানুষের। জখম হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এমতাবস্থায় ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং ব্রিটেন। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া তো ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল আগেই।

    কী বললেন মোদি?

    এহেন আবহে এদিন মোদির কাছে এল নেতানিয়াহুর ফোন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ দিয়েছি। জানিয়েছি, এই কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে পাশে রয়েছে ইজরায়েলের। ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করছে।” ভারত যে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে তা আগেও জানিয়েছিলেন মোদি।

    তিনি লিখেছিলেন, “ইজরায়েলের ওপর জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি বিস্মিত। নিরীহ যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল। এই কঠিন সময়ে আমরা ইজরায়েলের পাশে রয়েছি।”

    ভারতকে ফোন করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইজরায়েলের (Israel Hamas War) তরফে পোস্ট করা হয়েছে হুঁশিয়ারি দিয়ে। লেখা হয়েছে, “আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে। আমরা আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করব। সন্ত্রাসের সামনে আমরা মাথা নত করব না। যারা নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি করছে, তাদের যাতে এর বড় মূল্য চোকাতে হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর পুজো কাটবে জেলেই, বাইরে চিকিৎসার ছাড়পত্র মিললেও অর্পিতাকে থাকতে হবে গারদেই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel At War: ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের নকশা বদলানোর সময় এসেছে’’! হামাসকে শেষ করার পণ নেতানিয়াহুর

    Israel At War: ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের নকশা বদলানোর সময় এসেছে’’! হামাসকে শেষ করার পণ নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসকে শেষ করার ডাক দিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের নকশা বদলানোর সময় এসেছে’’, হুঙ্কার ইজরায়েল প্রধাননমন্ত্রীর (Israel At War)।

    শনিবার ভোরে ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ সহ একাধিক শহরে একযোগে আকাশ-জল-স্থলপথে নাশকতা হামলা চালায় হামাস। গাজা থেকে উড়ে আসে হাজার হাজার রকেট। এই হামলায় সঙ্গী হয় হেজবোল্লা। একইসঙ্গে, গাড়ি নিয়ে বা প্যারাগ্লাইডিং করে শতাধিক হামাস জঙ্গি ঢুকে পড়ে ইজরায়েলে। নির্বিচারে হত্যা করা হয় শয়ে-শয়ে নিরীহ ইজরায়েলিকে। অপহরণ করে পণবন্দি করা হয় আরও শতাধিকজনকে। সেই বর্বরতার ও পাশবিক হামলার ছবি ও ভিডিও তারা নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।

    ইজরায়েলের জবাবি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা

    এর পরই, যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল (Israel At War)। রবিবার থেকে ইজরায়েলি বায়ুসেনার লাগাতার জবাবি হামলায় বিধ্বস্ত হয় গাজা (Israel Attacks Gaza)। প্রথমে গাজার সাপ্লাই লাইন অবরুদ্ধ করে ইজরায়েলি বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় জল ও বিদ্যুৎ। গাজা সীমান্ত ঘিরে রেখেছে ইজরায়েলি যুদ্ধট্যাঙ্ক। এর পর, বিমান থেকে শুরু হয় লাগাতার বোমাবর্ষণ (Israel Gaza Bombing)। সোমবার, দিনভর গাজা স্ট্রিপে বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। প্যালেস্তেনীয় জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি লক্ষ্য করে আছড়ে পড়ে মুহুর্মুহু বোমা। নিমেষে গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক বাড়ি-বহুতল। সামরিক অভিযানের সেই ছবি ও ভিডিও নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করেন নেতানিয়াহু। 

    হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    এদিন গাজা সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলগুলোর মেয়র এবং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। এই জায়গাগুলোই হামাসের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেই তাঁকে রণহুঙ্কার (Israel At War) দিতে শোনা যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গাজাকে পুরোপুরি ধুলোয় মিশিয়ে দেব আমরা। নৃশংস হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। এবার মধ্য প্রাচ্যের নকশা বলদানোর সময় এসেছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’’ হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সমস্ত ডেরা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) বলেছেন, ‘‘ইজরায়েল যুদ্ধটা (Israel Hamas War) শুরু করেনি, তবে শেষ করবে ইজরায়েল।’’

    দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল?

    দীর্ঘ যুদ্ধের (Israel At War) প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইজরায়েল। সোমবার, দেশবাসীর জন্য বিশেষ অ্যাডভাইসরি জারি করে নেতানিয়াহু সরকার। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও জল সংগ্রহ করে রাখতে বলেছে প্রশাসন। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘকালীন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সেনাবাহিনীকে সেই মতো আক্রমণ শানাতে বলা হয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মঙ্গলবার থেকে গাজায় আক্রমণের ধার আরও বাড়াবে ইজরায়েলি ফৌজ। যে কারণে, গাজার আম জনতাকে অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে (Israel Hamas War) মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১১০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের ওপর হামাসের হামলার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ৫০ বছর পর এই প্রথম কোনও সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করল তেল আভিভ।

    জঙ্গি-হামলায় বিধ্বস্ত ইজরায়েল

    শনিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়)। গাজা থেকে ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে মুহুর্মুহু রকেট। ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয় ইজরায়েলের ওপর। শুধু রকেট হামলাই নয়, প্যারাগ্লাইডারে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে শয়ে-শয়ে হামাস জঙ্গি। হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথেও (Israel Hamas War)। তেল আভিভের রাস্তা কোথাও রকেট হানায় জ্বলছে, তো কোথাও জঙ্গিরা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বিচারে ঘরে ঢুকে নিরীহ বাসিন্দাদের মারা থেকে শুরু করে ইজরায়েলিজের অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে (Israel Situation)। এই সংক্রান্ত বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও মাধ্যম সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ে। গোষ্ঠীর তরফে এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলের পাশে ভারত’, বার্তা মোদির

    ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’, বললেন সেনা মুখপাত্র 

    ইজরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল চলছিল। সেখানে আচমকা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করেছে হামাস জঙ্গিরা। হামলার পর পরই প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭০০-র বেশি। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় জঙ্গি মোকাবিলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বহু সেনা ও পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ২ হাজারের বেশি আহতের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। ইজলায়েলের শতাধিক সাধারণ নাগরিক ও সেনাকর্মীকেও হামাস অপহরণ করে বন্দি করেছে বলে দাবি তেল আভিভের (Israel Situation)। ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র এই ঘটনাকে ভারতের ৯/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের ৯/১১। হামাস আমাদের সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলার করার সাহস দেখায়নি। ওরা সাধারণ নাগরিক, বয়স্ক, শিশুদের হত্যা করেছে।’’

    ৫০ বছর পর সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের

    এর পর রবিবার সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে তেল আভিভ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার আগে, এই মর্মে ভোটদানের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। প্রায় ৫০ বছর পর সরাসরি কোনও যুদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল। নেতাহিয়াহু একটি বার্তায় হামলাকে ইজরায়েলের কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিজ্ঞা করেন, এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘হামাসকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে ইজরায়েল সেনা।’’ সরকারিস্তরে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Situation) হতেই হামাস পরিচালিত গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে জবাবি ‘লৌহ তলোয়ার’ অভিযান চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা, স্থলসেনা। ইজরায়েলি জবাবে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। 

    হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে  ভূমধ্যসাগরে মার্কিন ফ্লিট

    এদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে নিহত হয়েছেন বহু মার্কিন নাগরিকও। এই ঘটনার পরই নড়চড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে ও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরীর একটি বিশাল ফ্লিট পাঠালো পেন্টাগন (Israel Hamas War)। জানা গিয়েছে, ওই ফ্লিটে একটি বিমানবাহীন রণতরী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শক্তিশালী গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার। এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসী হামলায় হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবানেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লাও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মধ্য প্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share