Tag: Israel

Israel

  • Hamas Chief Yahya Sinwar: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    Hamas Chief Yahya Sinwar: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas Chief Yahya Sinwar)। ইজরায়েলের (Israel) বিদেশমন্ত্রী কাট্‌জের দাবি, বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলের সেনা হামলা চালিয়েছিল গাজার একটি ভবনে। ওই ভবনে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যেই ছিলেন হামাস প্রধান সিনওয়ার। প্রাথমিকভাবে হামাস প্রধানের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও ডিএনএ পরীক্ষার পর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় হামাসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। 

    খুশির হাওয়া ইজরায়েলে (Israel)

    ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Hamas Chief Yahya Sinwar) মৃত্যুর পর উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইজরায়েলে। সেনাবাহিনীকে রীতিমতো উদযাপন করতে দেখা যাচ্ছ ভিডিওতে। তবে এরই মধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লড়াই জারি থাকবে। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আজ আমরা হিসেব মিটিয়েছি। কিন্তু আমাদের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে এবং আমাদের জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে।”

    হামাসকে হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    একই সঙ্গে হামাসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, সব হামাস যোদ্ধার পরিণতি ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Hamas Chief Yahya Sinwar) চেয়েও খারাপ হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ না আমাদের সমস্ত লোককে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।” ইহুদি নেতা  সিনওয়ারের মৃত্যুকে হামাসের (Hamas) শাসনের পতন হিসেবে অভিহিত করে তিনি এটিকে ইজরায়েলের  জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কে এই সিনওয়ার?

    ৬১ বছরের হামাস নেতা ইয়াহিয়ার (Hamas Chief Yahya Sinwar) জন্ম হয়েছিল গাজার খান ইউনিয়ের একটি শরণার্থী শিবিরে। ২০১৭ সালে গাজাতেই তাঁকে হামাসের এক জন নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর অনেক বছর কেটেছে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে। ২২ বছর ইজরায়েলে (Israel) জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সেই কারণে ইজরায়েলি সেনার কার্যকলাপ, তাদের অভিযানের ধরন সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল। এইভাবেই গত এক বছর ধরে আইডিএফ-এর চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে থাকতে পেরেছিলেন সিনওয়ার। ইজরায়েলের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার সন্দেহে ১২ জন প্যালেস্টাইন নাগরিককে হত্যা করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। হামাসের হাতে ধরা পড়া এক ইজরায়েলি জওয়ানের পরিবর্তে ২০১১ সালে ১ হাজার ২৭ জন জেলবন্দিকে ছেড়ে দেয় ইজরায়েল সরকার। তাদের মধ্যে ছিল এই সিনওয়ারও। গাজায় ফিরেই সে দ্রুত হামাসের শীর্ষস্তরে উঠতে শুরু করে। হামাসে যোগ দেওয়ার আগে ইয়াহিয়া বেশ কয়েক বছর জেলবন্দি ছিলেন। ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় আত্মগোপন করে ছিলেন ইয়াহিয়া। তবে হানিয়ার পর হামাসের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। গত অগাস্টে তাঁকে হামাসের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hezbollah Conflict: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    Israel Hezbollah Conflict: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের (Israel Hezbollah Conflict)। শনিবারও লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে (Airstrike) তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। সে দেশের কমান্ড সেন্টার, অস্ত্রভান্ডার, টানেল এবং অন্যান্য পরিকাঠামো লক্ষ্য করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

    কী বলছে ইজরায়েল (Israel Hezbollah Conflict)

    এদিন বেইরুটের (লেবাননের রাজধানী) দক্ষিণ (এই অঞ্চলেই ডেরা বেঁধেছিল হিজবুল্লা) ও আশপাশ এলাকায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে তীব্র হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, “আমাদের অবশ্যই হিজবুল্লার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। শত্রুদের অতিরিক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে হবে। তাদের কোনওরকম ত্রাণ দেওয়া হবে না। হিজবুল্লাকে মাথা তোলার অবকাশও দেওয়া হবে না।”

    ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাত থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকে রবিবার পর্যন্ত। অবশ্য (Israel Hezbollah Conflict) লাগাতার বোমাবর্ষণের আগে বেইরুটের শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত শহরতলি এলাকা দাহিয়ার বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো এই এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তার পরেই হিজবুল্লা নিকেশ করতে প্রাণ পণ করে ইজরায়েল। শুরু হয় বোমাবর্ষণ। জানা গিয়েছে, লেবাননের প্রধান বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকা-সহ বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলিতে অন্তত আটটি হামলা হয়েছে। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি এই হামলাকে খুবই সহিংস বলে বর্ণনা করেছে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    আকাশ পথে হামলার পাশাপাশি ইজরায়েল লেবাননে স্থল অভিযানও জোরদার করেছে। তবে হিজবুল্লার দাবি, সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে তারা ইজরায়েলি প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেছে। তাদের আরও দাবি, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে কামানের গোলা ছুড়েছে। তাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি,

    তাদের সামরিক অভিযানের ফলে লেবাননে অন্তত ৩০ জন কমান্ডার সহ হিজবুল্লার প্রায় ৪৪০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, তাদের প্রধান টার্গেটের মধ্যে রয়েছেন (Airstrike) নিহত হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লার উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিন (Israel Hezbollah Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israeli Agent: নাসারাল্লার সম্পর্কে ইজরায়েলকে তথ্য দিয়েছিল ইরানেরই এজেন্ট!

    Israeli Agent: নাসারাল্লার সম্পর্কে ইজরায়েলকে তথ্য দিয়েছিল ইরানেরই এজেন্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলি সেনার হানায় (Israeli Agent ) খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসারাল্লা (Nasrallah)। তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তেল আভিভকে (ইজরায়েলের রাজধানী) দিয়েছিলেন ইরানেরই এক এজেন্ট। নাসারাল্লা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কারা কারা রয়েছেন, এ সবই আগাম জেনে ফেলেছিল ইজরায়েলি সেনা। তার জেরেই অনায়াস হয়েছে নাসারাল্লা নিকেশ।

    কী বলছেন ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (Israeli Agent)

    ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ জানান, ইরানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান নিজেই একজন ইজরায়েলি এজেন্ট ছিলেন। তিনি জানান, ইরানের সিক্রেট সার্ভিস (ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা) ইরানে পরিচালিত মোসাদের (ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছিল। এতে ছিল আরও ২০ জন এজেন্ট। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অভিযুক্ত ডাবল এজেন্টরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেছিল ইজরায়েলকে।”

    মোসাদের এজেন্ট কে

    তিনি বলেন, “ইরানের মোসাদ বিরোধী গোয়েন্দা সংস্থার বস নিজেই ছিলেন মোসাদের এজেন্ট।” আহমাদিনেজাদ বলেন, “ইরানের সিক্রেট সার্ভিস ইরানে মোসাদের মোকাবিলায় একটা বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছে। এখন জানা যাচ্ছে, এই ইউনিটের যিনি প্রধান তিনি নিজেই একজন মোসাদ এজেন্ট। কেবল তিনি নন, আরও ২০জন এজেন্ট ছিলেন, যাঁরা ইরানে একাধিক অপারেশনে যুক্ত ছিলেন। এঁরা পারমাণবিক নথি চুরি করেছিলেন। ইজরায়েলে পালিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যাও করেছিলেন তাঁরা।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    এর আগে জানা (Israeli Agent) গিয়েছিল, ইরানে নাসারাল্লার ডেরায় হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এক ইরানিয়ান সোর্স হিজবুল্লা প্রধানের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করেছিলেন ইজরায়েলি সেনাকে। তার পরেই বেইরুটের (লেবাননের রাজধানী) দক্ষিণে দাহিয়ায় নাসরাল্লার ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইজরায়েল। দেহ উদ্ধারের পরে দেখা যায়, তাঁর দেহে আঘাতের তেমন চিহ্ন নেই। অনেকের মতে, আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় হিজবুল্লা প্রধানের। জানা (Nasrallah) গিয়েছে, ইজরায়েলের এই হামলায় দু’টন ওজনের ছটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল (Israeli Agent)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। বেইরুটে (লেবাননের রাজধানী) হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা (Benjamin Netanyahu)। পাশাপাশি, সোমবার থেকে লেবাননে ঢুকে গিয়েছে ইজরায়েলি পদাতিক বাহিনীও। হিজবুল্লার তৈরি করা সুড়ঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই আবহে, দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    শবিবার, বেইরুটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। তাতেই খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। অন্যদিকে, সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনি হুথিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এহেন আবহে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সেই সময়ই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই বলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করতে হবে।” তিনি লিখেছেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (PM Modi) এ-ও জানান, পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ করে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হামাসরা। পরে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুসলিম সংগঠন হামাস। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা। হামাসকে নিয়মিত মদত জুগিয়ে যাচ্ছিল লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লা। হামাস ‘বধে’র পর বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হানা চালায় ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    বিমান হানা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে গ্রাউন্ড অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার দাবি, চলতি বছরে তাদের ন’জন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধানও। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” আর মোদি বার্তা দিলেন, “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।”

    বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে (Benjamin Netanyahu) দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গলায় একই সুর (PM Modi)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel air strikes: হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরও থামছে না হামলা, ইজরায়েলের বিমান হানায় লেবাননে মৃত শতাধিক

    Israel air strikes: হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরও থামছে না হামলা, ইজরায়েলের বিমান হানায় লেবাননে মৃত শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে মারার পরও লেবাননে (Lebanon) বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল (Israel air strikes)। রবিবার নতুন করে লেবাননে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনা। তাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন সাড়ে তিনশো জনের বেশি। গত সোমবার থেকে টানা হিজবুল্লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক করেছে ইজরায়েল সেনা। সেই ধারা এখনও অব্যাহত।

    খতম হিজবুল্লার শীর্ষ নেতারা

    শনিবার ইজরায়েলের (Israel air strikes) সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ সোসানি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “হাসান নাসরাল্লা মৃত। হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না।” রবিবার বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলির এক ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হিজবুল্লা প্রধানের দেহ। হিজবুল্লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেবাননে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। মূলত হিজবুল্লা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যু পরও যে হামলা থামবে না, রবিবার নতুন করে বিমান হামলায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, হিজবুল্লার প্রায় সব শীর্ষ নেতাদের এয়ারস্ট্রাইকে খতম করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত লেবাননের দক্ষিণ বেইরুটে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে টানা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। বেইরুটে জনবসতি এলাকাতেও বোমাবর্ষণ করে তারা। তাঁদের লক্ষ্যই ছিল হিজবুল্লা প্রধান এবং বাকি শীর্ষ নেতাদের খতম করা।

    আরও পড়ুন: রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তাব দিল ফ্রান্স, কমানো হয়েছে দাম

    সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু

    লেবাননের (Lebanon) স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আইডিএফ যে হামলা চালিয়েছে তাতে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। নতুন করে বেইরুটেও হামলা করেছে তাঁরা, যেখানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যু পর কেউ কেউ ভেবেছিল যে হামলার গতি কমে আসবে। কিন্তু তা হয়নি। ক্রমাগত দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল (Israel air strikes)। লেবানন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলা বাড়ার পর থেকে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৬ হাজারের বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। গত সোমবারই দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য ছিল, তাঁদের নাগরিকদের ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে তিনি যা খুশি করতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ‘সিজফায়ার’-এর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানেনি ইজরায়েল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    Israel: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না।” হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা (Hezbollah Leader) হাসান নাসরাল্লাহকে বেইরুটে হত্যা করার পর এমনই মন্তব্য করল ইজরায়েল (Israel)। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না। নাসরাল্লাহর পাশাপাশি হিজবুল্লার তথাকথিত দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারাকিও নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    খতম হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও (Israel)

    হিজবুল্লার কয়েকজন কমান্ডারও নিহত হয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। বেইরুটের দক্ষিণে হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দাহিয়া। এখানেই রয়েছে হিজবুল্লার প্রধান সদর দফতর। সেটাও আবার একটি আবাসিক ভবনের নীচে, ভূগর্ভে। এখানেই নিশ্চিন্তে ছিলেন নাসরাল্লাহ। শুক্রবার এই সদর দফতরেই হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) তরফে জানানো হয়, এই হামলাটা এমন সময় চালানো হয়, যখন হিজবুল্লার শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সদর দফতরে উপস্থিত ছিল। সেই সময় তারা ইজরায়েলবাসীর বিরুদ্ধে কীভাবে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালানো যায়, তার পরিকল্পনা করছিল। ইজরায়েলি সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, বেইরুটে থাকা ভবনের নীচে হিজবুল্লার রাখা কয়েক ডজল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও ধ্বংস করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    কী বলছে আইডিএফ

    হিজবুল্লা প্রধানের নিকেশ হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি আইডিএফ (Israel) চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেন, “যারা ইজরায়েল ও তার নাগরিকদের হুমকি দেয়, তাদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে যাবে ইজরায়েল। যারা ইজরায়েলবাসীকে হুমকি দেয়, তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছতে হয়, তা আমরা জানি।” প্রসঙ্গত, ইজরায়েল যেদিন বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, সেদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু ইরান ও তেহরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, “ইরানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে ইজরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছতে পারবে না। এটা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও সত্য।”

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “হামাস অস্ত্র ত্যাগ করলে ও বন্দিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ বিজয় না পাওয়া (Hezbollah Leader) ইস্তক লড়াই চালিয়ে যাবে ইজরায়েল (Israel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন! পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি রকেট বর্ষণ। হিজবুল্লার ১১০০টি ঠিকানা লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। তার আগে ইজরায়েলের তরফে লেবাননের বাসিন্দাদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) রেকর্ড করা ভয়েস-মেসেজ পাঠানো হয় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ফোনে। তারপরই শুরু হয় হামলা। সোমবারের এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত প্রায় ৫০০ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক।

    ছিন্নভিন্ন লেবানন

    সোমবার থেকে লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) উপর রকেট বর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা ইতিমধ্যেই প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা প্রাণ হাতে করে বাঁচছেন সন্তান-পরিবার নিয়ে, না জানি কখন বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে বোমা। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে বেইরুটের দিকে পালাচ্ছেন। ঘরছাড়া মানুষকে ঠাঁই দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু লেবনানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন হিজবুল্লারা তাঁদের ব্যবহার করছে। তাঁরা এটা না বুঝলে আরও মৃত্যু হবে। এদিন প্রায় ৬০০ রকেট হামলা চালায় ইজরায়েল। শয়ে শয়ে রকেট দুরমুশ করে দিয়ে গিয়েছে লেবাননের একাধিক বাড়ি। শিশু থেকে বৃদ্ধ-মহিলা অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    কেন হামলা

    লেবাননের উপর ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) এই হামলার কারণ গাজা। প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্তাইন এবং হামাসকে সমর্থন করছে লেবানন। এর ফলে লেবাননের উপর খেপেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা। প্রায় ৮০০ হিজবুল্লা জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লেবাননে। তাঁরা লেবাননের বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করছে। এক কথায় লেবাননের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যববার করেছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা।

    পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

    হিজবুল্লার (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও পাল্টা রকেট ফেলা হয়েছে ইজরায়েলের পাঁচটি জায়গায়। জানা গেছে, লেবানন থেকে রকেট উড়ে আসতে দেখেই সাইরেন বেজে ওঠে উপকূলবর্তী হাইফাতে। একদিন আগেও সেখানে হামলা হয়। ইজরায়েলেকে জবাব দিতে প্রায় ৩০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল এবং লেবানন, দু’পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইজরায়েল লেবাননকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: আল জাজিরার অফিসে অভিযান ইজরায়েলি সেনার, বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ

    Israel: আল জাজিরার অফিসে অভিযান ইজরায়েলি সেনার, বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে আল জাজিরার (Al Jazeera) অফিসে অভিযান চালাল ইজরায়েলি (Israel) সেনা। রবিবার কাতারের এই টিভি চ্যানেলের অফিসে অভিযান চালায় ইজরায়েল। ৪৫ দিনের জন্য অফিস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এদিন সশস্ত্র ও মুখোশধারী ইজরায়েলি সেনারা লাইভ ব্রটকাস্ট চলাকালীনই আল জাজিরার অফিসে ঢোকে। কর্মীদের দ্রুত অফিস ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আল জাজিরার ব্যুরো চিফ ওয়ালিদ আল ওমারিকে ক্লোজার নোটিশও ধরিয়ে দেন ইজরায়েলি সেনারা।

    আল জাজিরার অফিসে অভিযান (Israel)

    আল জাজিরার অফিসে ঢোকার পর এক সেনাকে বলতে শোনা যায়, আল জাজিরাকে ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার আদালতের রায় রয়েছে। সৈনিকটিকে এও বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করছি সব ক্যামেরা নিয়ে এখনই অফিস ছেড়ে চলে যান।’ গত মে মাসে আল জাজিরার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া (Israel) জেরুজালেমের একটি হোটেলের রুমেও অভিযান চালিয়েছিল ইজরায়েল। তখনও সরকার নেটওয়ার্কের স্থানীয় কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাকে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি হিসেবে দাবি করা হয়েছিল।

    ‘কাঁদানে গ্যাস ও গুলির শব্দও শোনা যায়’

    প্রসঙ্গত, কাতারভিত্তিক এই চ্যানেলটি ইজরায়েলি সেনাদের অফিসে প্রবেশ ও বন্ধের আদেশ দেওয়ার লাইভ ফুটেজ সম্প্রচার করে। আল ওমারি বলেন, “ইজরায়েলি সেনারা অফিসের নথি ও যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করে। কাঁদানে গ্যাস ও গুলির শব্দও শোনা যায়।” প্যালেস্তাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন আল জাজিরার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের অফিসে ইজরায়েলি অভিযানের নিন্দা করেছে। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নির্বিচার সামরিক সিদ্ধান্তটি সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কাজের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের শামিল। এটি প্যালেস্তাইন জনগণের বিরুদ্ধে দখলদারির অপরাধগুলিকে বেআব্রু করেছে।

    আরও পড়ুন: ঝুলির বিড়াল বাইরে! দেশের সিংহভাগ মসজিদেরই নথি নেই, স্বীকার করে নিলেন ওয়েইসি

    আল জাজিরার এক কর্মী বলেন, “এই অভিযান এবং অফিস বন্ধের আদেশ হঠাৎ করে আসেনি। তবে নেটওয়ার্কটা যে অতি শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাও আশা করিনি।” নিডা ইব্রাহিম নামের এক কর্মী বলেন, “আমরা ইজরায়েলি কর্তাদের ব্যুরো বন্ধের হুমকি দিতে শুনেছি। আমরা সরকারের মধ্যে এই আলোচনা শুনেছি। তারা দখলিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সামরিক শাসককে চ্যানেল বন্ধ করতে (Al Jazeera) বলছেন। তবে আজকে এরকমটা ঘটবে, তা আশা করিনি (Israel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননের হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) গোষ্ঠীর ওপর বারবার আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। পেজার, (Pager Blast) ওয়াকিটকির পর ল্যান্ডফোন বিস্ফোরণেই থেমে নেই তেল আভিভ। এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে লেবাননে হিজবুল্লার সামরাস্ত্রকেও টার্গেট করেছে ইজরায়েলি সেনা। এককথায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মঙ্গলবার লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পেজার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হয়েছিল যার সূচনা। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের তৈরি একটি বেনামি সংস্থাই এই পেজারগুলি তৈরি করেছিল এবং সেগুলিতে বিস্ফোরক সংযোজন করেছিল। এরপর গোপনে পরিকল্পনা করে সেই পেজার ইরান-সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করা হয়।

    কীভাবে পেজার হামলার পরিকল্পনা

    এর আগে, মনে করা হয়েছিল যে ইজরায়েলের (Israel-Hezbollah Conflict) গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সরবরাহ চেনে ঢুকে তাইওয়ানে তৈরি পেজারগুলিতে বিস্ফোরক লাগিয়েছিল। তবে নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েল প্রথম থেকেই একটি শেল (ভুয়ো) কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে পেজারগুলি সরবরাহ করা হয়। এমনকী, আরও দুটি কোম্পানি তৈরি করেছিল ইজরায়েল, যাতে আসল নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো যায়। মোসাদ তাদের ফোনে আড়ি পাতছে বা ট্র্যাক করছে ধরে নিয়ে হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ তার সদস্যদের আধুনিক যোগাযোগ ডিভাইস, যেমন মোবাইল ফোন, ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ সেগুলি হ্যাক বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই মোতাবেক, ফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করার ফরমান জারি করেন নাসরাল্লাহ। কিন্তু পেজারকেও যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে তা বুঝতে পারেনি হিজবুল্লা। আচমকা পেজার-অ্যাটাকের দাপটে হিজবুল্লা ঘাবড়ে গিয়েছে বলে একাংশের মত। 

    পরিকল্পনা করে হামলা

    নিরাপদ এবং গোপনীয় যোগাযোগের জন্য হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) হাজার হাজার পেজার কেনার আদেশ দেয়। গত কয়েক মাসে পেজারগুলি হাঙ্গেরি-ভিত্তিক একটি কোম্পানির মাধ্যমে লেবাননে আমদানি করা হয়। লেবানন থেকে পেজারগুলির অর্ডার পাওয়ার পরে, ইজরায়েলের গোয়েন্দারা একটি সংস্থা তৈরি করে। এই শেল কোম্পানিটি তিন বছরের ব্র্যান্ড-লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে তাইওয়ানের কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেছিল। শেল কোম্পানিটি হাঙ্গেরিতে সদর দফতর স্থাপন করে, এবং তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য পেজার তৈরি করতে দেখা যায়। এরাই পরে হিজবুল্লার জন্য বিস্ফোরক যুক্ত পেজার তৈরি করে।

    লেবাননই এখন যুদ্ধক্ষেত্র

    মিডিয়ার একাংশের দাবি, পেজার-বিস্ফোরণের (Pager Blast) ঠিক আগে লেবাননে হামলা চালাবে বলে ইজরায়েল (Israel-Hezbollah Conflict) আগাম জানিয়ে রেখেছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকেও। ওয়াশিংটন তা স্বীকার করলেও তাদের দাবি, হামলার ধরন সম্পর্কে তারা একেবারেই অবগত ছিল না। ইজরায়েল যে কোনও মুহূর্তে লেবাননে ‘গ্রাউন্ড ইনভেশন’ চালাতে পারে বলেও এখন আশঙ্কা একাংশের। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অরাষ্ট্রীয় মিলিটারি (নন স্টেট অ্যাক্টর) সংগঠন বলে মনে করা হয়। লেবানন, সিরিয়া, ইরানে ছড়িয়ে থাকা হিজবুল্লার সদস্য সংখ্যা লাখখানেকের বেশি। যার মধ্যে শুধু লেবাননেই অ্যাক্টিভ যোদ্ধা অন্তত ২০ হাজার। ইজরায়েলি আগ্রাসন রুখতে ১৯৮২ সালে লেবানেন জন্ম নেয় ‘হেজবোল্লা— পার্টি অফ গড’। তাই হামাসের মতো হিজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলের সংঘাত কয়েক দশকের। গত ৭ অক্টোবরের পর হিজবুল্লা প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ নেওয়ার পর থেকেই তিক্ততা আরও বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যাটাকের পর এয়ারস্ট্রাইক তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে। 

    হিজবুল্লা-র কাছে বড় ধাক্কা

    লেবাননে পেজার (Pager Blast) ও ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণে ৮৭৯ জন হিজবুল্লা সদস্য নিহত হয়েছেন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে হিজবুল্লার অভ্যন্তরীণ সামরিক গোয়েন্দা নথি থেকে। এই বিস্ফোরণে ১৩১ জন ইরানি ও ৭৯ জন ইয়েমেনিও প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৯১ জন হিজবুল্লার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। হিজবুল্লা প্রকাশ্যে বলেছিল যে বিস্ফোরণে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ক্ষতি হয়েছে, প্রথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৩,০০০ জন আহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লার গোয়েন্দা নথি অনুযায়ী ৮৭৯ জন সদস্যের মৃত্যু, সংগঠনের জন্য এক বিশাল ধাক্কা।

    ইজরায়েলকে হুমকি

    হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েলকে (Israel-Hezbollah Conflict) হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে, কারণ তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে।  এরপরই ফের বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালায়। যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দক্ষিণ লেবাননে শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ওই লঞ্চারগুলো ইজরায়েলের দিকে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share