Tag: Israel

Israel

  • Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। শেষমেশ তাতে পড়ল ইতি। তবে মাত্রই চার দিনের জন্য। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে (Hamas Israel War) গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হল চারদিনের। বুধবার ইজরায়েল ক্যাবিনেটের তরফে মঞ্জুর করা হয় হামাসের দেওয়া চুক্তি।

    ৫০ পণবন্দিকে মুক্তি

    জানা গিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি প্রায় ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার বিনিময়েই মিলছে সাময়িক যুদ্ধবিরতি। পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল হামাসের তরফে। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে মানবতার স্বার্থেই। ইজরায়েলের এক সরকারি আধিকারিক জানান, ৫০ জন ইজরায়েলি ও বিদেশি পণবন্দি নাগরিককে মুক্ত করা হবে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। এর পরিবর্তে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে চারদিন। এই চুক্তির পর প্রতি ১০ জন করে পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলে আরও একদিন করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে তেল আভিভ।

    ‘জারি রাখা হবে যুদ্ধ’

    ইজরায়েলের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইজরায়েলি সরকার, ইজরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে, হামাসকে নির্মূল করতে ও গাজা থেকে ইজরায়েলের ওপর যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধ জারি রাখা হবে।” তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে হামাসের তরফেও। তাতে (Hamas Israel War) বলা হয়েছে, “মানবিকতার স্বার্থে এই আবেদন। তবে আমরাও দেখতে চাই ১৫০ জন প্যালেস্তিনীয়কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কিনা।”

    আরও পড়ুুন: মোদির নেতৃত্বে আজ শুরু ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলন, যোগ দেবেন কি ট্রুডো?

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে যে সাময়িক বিরতি হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারই। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, “পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে শিগগিরই চুক্তি সই হতে চলেছে।” হামাসের পলিটিক্যাল চিফ ইসমাইল হানিয়েও বলেছিলেন, “কাতারের মধ্যস্থতায় আমরা যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।”

    গত ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর প্রথম হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের সশস্ত্র বাহিনী হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইজরায়েলি নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে হামাস। হামলার প্রথম দিনেই ইজরায়েল থেকে ২৫০ জনকে অপহরণ করে পণবন্দি করে হামাস। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে যেমন মুক্তি দিয়েছে হামাস, তেমনি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে খুনও করা হয়েছে (Hamas Israel War) বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?

    Israel: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের রক্তে রাঙানো পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার হাত। তার জেরে এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল (Israel)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করা হয়েছে ইজরায়েল সরকারের তরফে।

    নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবা

    মঙ্গলবার ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার অনুরোধ না করা সত্ত্বেও, ইজরায়েল রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং লস্কর-ই-তৈবাকে ইজরায়েল অবৈধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যই সন্তুষ্ট করেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “লস্কর-ই-তৈবা একটি মারাত্মক ও নিন্দনীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, যেটি শত শত ভারতীয় সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি অন্যদেরও হত্যার জন্য দায়ী। ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ এর জন্য কর্মকাণ্ড এখনও সমস্ত শান্তিকামী জাতি ও সমাজের মননে রয়ে গিয়েছে।”

    ‘সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় একজোট হওয়া প্রয়োজন’

    বিবৃতিতে (Israel) এও বলা হয়েছে, “লস্করকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করতে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রীরা যৌথভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সকলের একজোট হওয়া প্রয়োজন, এই বিষয়টিও তুলে ধরতে চায় ইজরায়েল।” হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে তেল আভিভের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের। গত ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের নৃসংশ হামলায় মৃত্যু হয় বহু সাধারণ মানুষের। এর পরেই প্রত্যাঘাত করতে শুরু করে তেল আভিভ। তারা হামলা চালায় গাজা স্ট্রিপের উত্তরে। এই গাজা স্ট্রিপই দখল করে রেখেছিল হামাস। ইজরায়েলি সেনার হানায় পিছু হঠতে থাকে হামাস জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। তবে গাজা স্ট্রিপে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। গাজায় রসদও পাঠায় ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের আর্জি ছিল, হামাসকে এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক নয়াদিল্লি। তবে ইজরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দে করলেও, হামাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। এবার লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ বার্তা দিল মোদির ভারতকে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা। তিনদিন ধরে চলা জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইহুদিও ছিলেন। জঙ্গিদের হামলায় জখম হয়েছিলেন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়ে গেল পণ্যবাহী জাহাজ। ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের ওই জাহাজটির আসার কথা ছিল ভারতে। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) দাবি, জাহাজটি ছিনতাই করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথি। হুথির পাশাপাশি জাহাজ ছিনতাইয়ের নেপথ্যে রয়েছে ইরানের হাতও।

    ভারতে আসার পথে ছিনতাই 

    ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন জাহাজটি জাপানের একটি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ছিলেন ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশের ২৫ জন কর্মী। পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই করার অভিযোগ কবুল করেছে হুথি। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি ইজরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হুথির তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক রীতিনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী হেফাজতে রাখা হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল?

    ইজরায়েলি (Israel Hamas War) সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের কাছে হুথিরা একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে। জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে সেটি অপহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিক সেই জাহাজে রয়েছে। তবে এটি ইজরায়েলি জাহাজ নয়।  ইজরায়েলের কোনও নাগরিকও এই জাহাজে ছিলেন না। গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। ঘটনার জেরে ইরানকেও দুষছে ইজরায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপের হামাস প্রথম ইহুদি দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইহুদিদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার জেরে ইজরায়েলের বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানে তেল আভিভ। ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। সেই হামাসরাই ইজরায়েল আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। হামাসের পাশে দাঁড়ায় হুথিও। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে ইরানও। হামাস পাশে পেয়েছে তুরস্ককেও। মাসাধিক কাল ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাস। এমতাবস্থায় ছিনতাই করা হল আস্ত একটি জাহাজ। যারা ছিনতাই করল, তারা হামাসের সহযোগী। যুদ্ধের ((Israel Hamas War)) ‘রক্ত’ কতদূর গড়ায়, এখন তাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Hamas War) জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন নেতানিয়াহুকে। তাঁকেই অপরাধী ঠাওরেছেন উন্নিথান। যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা উচিত বলেও দাবি করেন কেরলের ওই কংগ্রেস সাংসদ। উন্নিথানের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

    শনিবার কেরলের কাসারাগোদে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ ও প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল সমাবেশের। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্নিথান দোষী সাব্যস্ত করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নুরেমবার্গে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নুরেমবার্গ মডেল লাগু করার সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষের জন্য বিশ্বের মানুষ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ি বলে মনে করছেন। তাই নেতানিয়াহুর ওপর নরেমবার্গ মডেল প্রয়োগ করা উচিত।” উন্নিথান বলেন, “প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা নিয়ে জেনেভা কনভেনশনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি যারা ভঙ্গ করছে, তাদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।” হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে কংগ্রেস যে প্যালেস্তাইনের পাশেই, সেই বার্তাও দিয়েছে কংগ্রেস। ২৩ নভেম্বর কোঝিকোড়ে এনিয়ে একটি সমাবেশ করতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, শুক্রবারই তা প্রকাশ পেয়েছে দিল্লিতে আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আবেদনও জানান প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর প্রথমে হামলা চালায় হামাস। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলেকে নিশানা করে ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। তারা নৃশংসভাবে খুন করে ইজরায়েলের (Israel Hamas War) নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে নেতানিয়াহুর দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক যাতে কংগ্রেসের পাশে থাকে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধীর দলের ভোট ম্যানেজাররা। উন্নিথানের বক্তব্য সেই পথের দিশারী বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    Israel Hamas War: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পশ্চিমী বিশ্বের চাপের মুখেও হামাসদের (Israel Hamas War) উচিত শিক্ষা দেওয়ার পণ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার জানা গেল, গাজায় ইসমাইল হানিয়ার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    ইসমাইলের বাড়িতে হত বৈঠক

    এই ইসমাইল হামাসের প্রবীণ নেতা। ইজরায়েলি সেনার (আইডিএফ) দাবি, ইসমাইলের বাড়িত সন্ত্রাসী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানেই প্রায়ই বৈঠকে বসত হামাসের প্রবীণ নেতারা। ইজরায়েল হামলার পরিকল্পনা ছকা হত এই বাড়িতেই। ইসমাইলের বাড়িতে হামাস নেতারা বৈঠকে বসলেও, তিনি নিজে থাকেন কাতারে। হামাস জঙ্গিদের এই ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে বুধবার ইজরায়েলি সেনা ব্যবহার করেছিল ফাইটার জেট।

    ইজরায়েলি সেনার ট্যুইট-বার্তা

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েলি সেনা লিখেছে, “আজ রাতে (বুধবার) ১৬২ ডিভিশনের ২১৫ ফায়ার ব্রিগেড ফাইটার জেট নিয়ে ইসমাইল হেনিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। ইসমাইল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান। তাঁর বাড়িটি সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ছিল। হামাসের প্রবীণ নেতাদের বৈঠক হত এই বাড়িতে।” দিন কয়েক আগেই একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইসমাইল বলেছিলেন, “আমরা যা করছি, তা যথার্থ। ৭ অক্টোবরের মতো আঘাত আমরা ফের হানব। ইজরায়েলকে (Israel Hamas War) ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। ইজরায়েলের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমরা তাদের হামলার শিকার। তাই আমরা যা করছি, তা যথার্থ। আমাদের প্রতিটি আঘাত যথার্থ। আমরা কোনওমতেই পিছু হটব না।”

    ইসমাইলের বয়স ৬০। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। এই পরিচয় ছাড়াও ইসমাইলের অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। ২০০৬ সালে প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তার জেরে প্রাণ যায় বহু নিরীহ মানুষের। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলি সেনা। ক্রমেই পিছু হঠতে থাকে হামাসের জঙ্গিরা। গাজা স্ট্রিপের উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনা। এখানকার পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করেছে আইডিএফ (Israel Hamas War)।

    আরও পড়ুুন: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলের সেনা (Israel Hamas War)। মঙ্গলবার ভোরে হামাস নিয়ন্ত্রিত এই ভবনের দখল নেয় তেল আভিভ। পরে ভবনের ভেতরে ইজরায়েলের পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ইজরায়েলি সেনা। সেনার গোলান ব্রিগেডের সদস্যদের সেই উল্লাসের ছবি প্রকাশও করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেরা গোলানি ব্রিগেড হামাসের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।

    হামাসকে উৎখাতের শপথ

    সেনার এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “হামাসকে পুরোপুরি উৎখাত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।” ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা গাজাকে দ্রুত হামাসমুক্ত করব। সোমবার আমাদের দখল করা আল-রানতিসি হাসপাতালে ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালাতে হামাস জঙ্গিরা ওই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।” প্রসঙ্গত, স্বশাসিত (Israel Hamas War) প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে বছর পনের আগেই গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিল হামাস। প্রত্যাশিতভাবেই পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করে নিয়েছিল তারা।

    তুমুল লড়াই

    ২৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপে ঢোকে ইজরায়েলি সেনা। তারপর থেকে হামাসের দখলে থাকা একাধিক এলাকার রাশ নেয় তারা। উত্তর গাজায় থাকা হামাসদের বিভিন্ন ঘাঁটিতেও এয়ার স্ট্রাইক চালায় তেল আভিভ। ইজরায়েলকে আঘাত করতে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল হামাস। সেই সব সুড়ঙ্গও দখল করে ইজরায়েলি সেনা। গাজার সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আম-জনতার ভিড়ে মিশে দক্ষিণে চলে গিয়েছে হামাসের একটা বড় অংশ। তবে এদিন বিনা যুদ্ধে পার্লামেন্ট ভবনের রাশ ছাড়েনি হামাস। দু’ পক্ষে ভীষণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ইজরায়েলি সেনা। যে হাসপাতালগুলিকে ওয়ার-রুম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল হামাস, সেগুলির দখলও ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলে হামলা (Israel Hamas War) চালায় হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় নিরীহ নাগরিকদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার পরেই পাল্টা আঘাত হানে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বারো মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • US Airstrikes: সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্ত্র-ঘাঁটিতে আঘাত মার্কিন বায়ুসেনার, মৃত ৯

    US Airstrikes: সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্ত্র-ঘাঁটিতে আঘাত মার্কিন বায়ুসেনার, মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানল মার্কিন বায়ুসেনা (US Airstrikes)। আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রক তরফে এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। মার্কিন আধিকারিকদের উপর হামলার প্রত্যাঘাত হিসেবে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় ন’জন নিহত হয়েছেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে ২ বার সিরিয়াতে এভাবে আঘাত হানল মার্কিনবাহিনী। অন্যদিকে, দক্ষিণ সিরিয়ায় ইরানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। এরফলে ৩ জনের নিহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে।

    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতি

    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের (US Airstrikes) পক্ষ থেকে যে বিবৃতি সামনে এসেছে তাতে বলা হচ্ছে আত্মরক্ষার তাগিদেই পূর্ব সিরিয়ায় এই অপারেশন চালানো হয়েছে।  ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের ‘ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড কর্পস’- এর সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল একটি ঘাঁটি, তা ধ্বংস করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি মার্কিন এফ১৫ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল এক্ষেত্রে। মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব অস্টিনের দাবি, ‘‘এটা ছিল নিছক একটি প্রত্যাঘাত। তার কারণ মার্কিন সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের ওপর ইরাক এবং সিরিয়াতে বারবার আঘাত হানছিল ‘ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড কর্পস।’’ আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিবের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা দায়বদ্ধ নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং তাদের সমস্ত রকম সাহায্য করতে।’’ গত  ২৬ অক্টোবর মার্কিন সেনাবাহিনী একইভাবে আঘাত (US Airstrikes) হেনেছিল সিরিয়াতে।

    মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত

    প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। অতর্কিতে ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের উপর রকেট হামলা চালায় হামাস। মৃত্যু হয় ১,৪০০ ইজরায়েলি নাগরিকের। তারপর থেকেই পাল্টা প্রত্যাঘাত চলছে ইজরায়েলের। অন্যদিকে লেবাননকে ব্যবহার ইরানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লা সরাসরি ইজরায়েলের বিরোধিতা শুরু করে। রকেট হামলা চলে ইজরায়েলের ওপর। পাল্টা হিজবুল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ২০০-এর বেশি ইজরায়েলি। এরই মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সফর করেছেন তেল আভিভে। এবার সামনে এল ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর মার্কিন এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনা। তথ্য বলছে, ইরাকে বর্তমানে মোতায়েন রয়েছে আড়াই হাজারের ওপর মার্কিন সেনা। সিরিয়াতে রয়েছে মার্কিন সেনার (US Airstrikes) সংখ্যা ৯০০।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    Hamas Israel War: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তি হয়েছে মঙ্গলবারই। এদিনই প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাসের ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র প্রদর্শন করল ইজরায়েল। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলকে ফাঁদে ফেলতে উত্তর গাজায় প্রচুর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছিল হামাস। মাটির প্রায় ৮০ মিটার গভীরে সরু সুড়ঙ্গপথ। সেথানেই থরে থরে মজুত করেছিল ভিন দেশ থেকে আমদানি কার অস্ত্রশস্ত্র।

    গাজার সুড়ঙ্গে অস্ত্রসম্ভার

    এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড আরপিজি-৭, চিনা একে সিরিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ইরানে তৈরি স্বল্পপাল্লার রকেটের পাশাপাশি মজুত করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকও। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েলি সেনার তরফে হামাসের ডেরায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকার পাশাপাশি ছবি এবং ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে হাজার দেড়েক হ্যান্ড গ্রেনেড, ৭৬০টি আরপিজি, আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য বানানো ৪২৭টি বিস্ফোরক ভরা বেল্ট, ৩৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০৬টি রকেট।

    সুড়ঙ্গ থেকে টেনে বের করে মারব

    ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে (Hamas Israel War), গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে তারা। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে বোমাবর্ষণ। হামাসদের সুড়ঙ্গেও ঢুকে পড়েছে তারা। এই সব সঙ্কীর্ণ সুড়ঙ্গগুলির কোনও কোনওটা লম্বায় ৪০-৪১ কিলোমিটার। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, সুড়ঙ্গ থেকে টেনে বের করে এনে মারা হবে হামাসদের। এর আগে ফোমের মতো এক ধরনের বোমা দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইজরায়েল। পরে ঠিক হয়, হামাসদের নির্মূল করা হবে। তারা যাতে সুড়ঙ্গ পথে পালাতে না পারে, তাই ঘিরে ফেলা হয়েছে গাজা স্ট্রিপ। সুড়ঙ্গেও ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। তারা জানিয়েছে, এই সুড়ঙ্গে ঢুকে হামাস কমান্ডারদের খুঁজে খুঁজে নিকেশ করা হবে। তাদের দাবি, এই সুড়ঙ্গেই লুকিয়ে রয়েছে হামাসের চাঁইরা।

    গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ইহুদিদের। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নেয় ইজরায়েল। তার পর থেকে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই দু’ তরফে যুদ্ধের বলি হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ (Hamas Israel War)।

    আরও পড়ুুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: বিপুল কর্মসংস্থান! প্যালেস্তিনীয়দের ছাঁটাই করে ১ লক্ষ ভারতীয়কে নেবে ইজরায়েল সরকার?

    Hamas Israel War: বিপুল কর্মসংস্থান! প্যালেস্তিনীয়দের ছাঁটাই করে ১ লক্ষ ভারতীয়কে নেবে ইজরায়েল সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ‘কারও পৌষ মাস, তো কারও সর্বনাশ’! ক্যালেন্ডারে কার্তিক মাস হলেও, আক্ষরিক অর্থে ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের পৌষ মাস হতে চলেছে। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। আজ, মঙ্গলবারই হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তি হয়েছে।

    যুদ্ধবিরতি নয়

    এদিনই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সাময়িক যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে, তবে যুদ্ধবিরতি নয়। এর পর বেলা গড়ালে জানা যায়, হাতে মারার পাশাপাশি এবার প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের ভাতে মারতে চায় ইজরায়েল। সে দেশের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও শিল্পক্ষেত্রে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের ছাঁটাই করতে চায় ইজরায়েল সরকার। তার পরিবর্তে তারা সুযোগ দেবে ভারতীয়দের। প্রত্যাশিতভাবেই এটি ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের কাছে একটা বড় সুযোগ।

    বড় সুযোগ ভারতীয়দের 

    এক মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দিন (Hamas Israel War) কয়েক আগেই ইজরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাইম ফেইগলিন জানিয়েছিলেন, তাঁদের দেশের নির্মাণ শিল্পে কর্মরত ৯০ হাজারেরও বেশি প্যালেস্তিনীয়কে ছাঁটাই করা হবে। তার বদলে সুযোগ দেওয়া হবে এক লক্ষ ভারতীয়কে। সোমবার এ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ওই অ্যাসোসিয়েশন। এদিন ফেইগলিন বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছি। ইজরায়েল সরকারের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে আমরা আশাবাদী, ভারত থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ শ্রমিক এনে এই সেক্টরকে সচল রাখতে পারব।”

    আরও পড়ুুন: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর আচমকাই হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকে তারা প্রথমে আক্রমণ করে ইজরায়েলকে। পরে প্রত্যাঘাত করে তেল আভিভ। গত এক মাস ধরে চলছে সেই যুদ্ধ। ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গাজা স্ট্রিপে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ইজরায়েলি সেনা। তাতে জঙ্গিদের সাড়ে চারশোটি ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে গাজায়। গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনা (Hamas Israel War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    Hamas Israel War: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যুদ্ধ (Hamas Israel War) থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা সে কথা ভাবছিও না। তবে ত্রাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে সাময়িকভাবে মাঝেমধ্যে যুদ্ধ থামাতে আপত্তি নেই ইজরায়েলের।” সাফ জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও যে মাথা নত করবে না তেল আভিভ, নেতানিয়াহুর কথায়ই তা স্পষ্ট।

    ‘যুদ্ধবিরতি নয়’

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ত্রাণ ইত্যাদি বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িকভাবে আমরা যুদ্ধ আগেও থামিয়েছি, ভবিষ্যতেও থামাব। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, আমাদের পণবন্দিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও দু’ ঘণ্টার বিরতিতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারণভাবে যুদ্ধবিরতি এখনই হচ্ছে না।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও যুদ্ধবিরতি নয়।”

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের মাসপূর্তি 

    আজ, মঙ্গলবারই একমাস পূর্ণ হল হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের। তার পরেও বিরতি নেই গোলাগুলি বর্ষণে। ৭ অক্টোবর প্রথম ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামালা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকে হামলা চালায় তারা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। যার জেরে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। ইজরায়েল ও গাজা (Hamas Israel War) স্ট্রিপের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে স্বজন হারানোর কান্নায়। খাবার এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পেয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা।

    হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধের ‘কৌশলগত বিরতি’ ও অপহৃতদের মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই লড়াইয়ে অস্থায়ী ও স্থানীয়ভাবে বিরতির জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখব।”

    আরও পড়ুুন: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    এদিকে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Hamas Israel War) মাসপূর্তিতে গাজা স্ট্রিপে হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার আল সাতি শরণার্থী শিবিরে এয়ার স্ট্রাইক চালায় তারা। এতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গি জামাল মুসাও। ইজরায়েলি সেনার দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের সাড়ে চারশোরও বেশি ঠিকানা ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “আমাদের সেনা গাজা স্ট্রিপকে দুই অংশে ভাগ করে দিয়েছে। আপাতত সেনা ট্যাঙ্ক নিয়ে জঙ্গিদের ঠিকানাগুলি ধ্বংস করছে। সাধারণ মানুষকে সাউথ গাজায় চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share