Tag: isreal

  • Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) হানায় কাঁপছে ইরান। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইরানের হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে। এই হেভি ওয়াটার, যার বিজ্ঞানের ভাষায় নাম হল ডিউটেরিয়াম অক্সাইড (D2O), সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় যে বিক্রিয়ায় নিউট্রনের গতিকে ধীর করার জন্য। এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইউরেনিয়াম। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় ২৩৯-প্লুটোনিয়াম, যারই মাধ্যমে তৈরি হয় পরমাণু বোমা। দেখা যায় ভারত অথবা উত্তর কোরিয়া এভাবেই তৈরি করেছে তাদের পরমাণু অস্ত্র।

    আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে

    এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইজরায়েলের (Israel) ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে যে, তারা অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে এবং তা আরক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে ধ্বংস করতে চালানো হয়েছে। কারণ তারা প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কারণ এই প্লুটোনিয়ামের মাধ্যমেই ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জানা যায়, ইরান এই আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু করে আজ থেকে ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালেই। কিন্তু কোনও রকমের বৈধ ছাড়পত্র তারা পায়নি এই কাজের। এই আরক রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার জন্য তাদেরকে কোনও অনুমতি দেয়নি ইন্টারন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স। কিন্তু তারপরেও গোপনে এই কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে ইরান।

    ব্যর্থ হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    পরবর্তীকালে ইজরায়েল এবং ইরানের যুদ্ধ শুরু হলে তেল আভিভ থেকে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি সম্প্রচার করা হয়। এই সম্প্রচারের মাধ্যমে তারা জানায় যে, আরকে অবস্থিত নাগরিকরা যেন তাড়াতাড়ি সেই স্থান খালি করেন। তারা আরও জানায় যে, সেখানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। জানা যায়, অত্যন্ত উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েল হামলা চালায় ওই পরমাণু কেন্দ্রে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও ইজরায়েলের হামলাকে রুখতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।

    পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম ধ্বংস

    ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম পরবর্তীকালে মেনে নেয় যে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ওই কেন্দ্রে। তারা আরও বলে যে ইজরায়েলের ঘোষণার পরেই খালি করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ আরককে এবং সেখানে বর্তমানে কোনও তেজস্ক্রিয় বিপদ নেই। এখনও পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ যে ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম, তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ইজরায়েলের হানায় এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উয়েপন-গ্রেড প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন।

    ইরাক ও সিরিয়াতেও এমন হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল

    প্রথমেই তবে ইরানের ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায়নি ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক ৭ দিনের মাথায়, যখন ইরান বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের হাসপাতালে। তারপরেই প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। তাঁদের দেশের অসামরিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইরান। এনিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধা্নমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।” এরপরেই ইরানের (Iran) ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইজরায়েল এমন হামলা চালিয়েছিল ১৯৮১ সালে ইরাকের অসিরাক রিঅ্যাক্টরে, পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে সিরিয়াতে। এরপরেই ২০২৫ সালে এই একই হামলা দেখা গেল ইরানে।

    কী বলছেন ইরানের রাজনৈতিক নেতারা?

    ইরানের (Iran) রাজনৈতিক নেতারা ইজরায়েলের এমন হানাকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাঁরা জানিয়েছেন যে, এভাবেই তারা (ইজরায়েল) আন্তর্জাতিক আইনকে না মেনে এমন কাজ করেছে। ইজরায়েলের এমন হানার পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে একটি সরাসরি সম্প্রচারে আসতে দেখা যায়। সেখানে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং বলেন যে, ইজরায়েল যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার প্রত্যাঘাত হবেই। আমরা তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেব। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে এই যুদ্ধে ইরান ব্যবহার করতে পারে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে এবং ইরাকের জঙ্গি সংগঠন শিয়া মিলিশিয়াকে।

  • Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইহুদি দেশটি। এর পরমাণু কেন্দ্র, সামরিক কেন্দ্র এবং গোয়েন্দা পরিকাঠামোগুলিতে বড় আঘাত হানে তারা (Nuclear Blueprints)। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হানায় ২২৪ জন ইরানির মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান এই যুদ্ধ রাতারাতি শুরু হয়নি। এর বীজ বহু বছর আগে থেকেই পোঁতা শুরু হয়েছিল ইজরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির রাতে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্টরা ছোট্ট দলে গঠন করে ইরানের রাজধানী দক্ষিণ তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা রক্ষী আসার আগেই অপারেশন শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা। তখন তাদের হাতে সময় ছিল ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। এক বছর ধরে ওই গুদামের নজরদারি চালায় মোসাদ (Mossad)। তারপরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয় যাতে নির্ধারণ করা যায়, কতটা সময় পাবে ওই গুদামে ঢোকার জন্য।

    হাতানো হয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র

    ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার (Mossad) এখান থেকে হাতিয়ে নেয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র, পরিকল্পনা নিয়ে লেখা অনেক নথি ছিল। এই সবই ইরান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল এবং এগুলো ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্রের সম্পর্কিত। জানা যায়, এরপরে মোসাদের এজেন্টরা অত্যন্ত গোপনে সেই গুদাম ত্যাগ করে (Nuclear Blueprints)। তারা এমন টর্চ ব্যবহার করে যাতে কারও নজরে না আসে। এভাবেই তারা ইরানের বোমার নকশা হাতিয়ে নেয়। পরে জানা যায়, যে পরিমাণ উপাদান তারা সেই গুদাম থেকে নিয়ে এসেছিল, তার ওজন হয় ৫০০ কেজি।

    নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দেখে চুরি গিয়েছে নথি (Mossad)

    প্রসঙ্গত, ওই গুদামের ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রক্ষীরা কীভাবে কাজ করবে, কতক্ষণ ডিউটি করবে, কীভাবে নজরদারি চালাবে—তা সূক্ষ্মভাবে দেখভাল করা হতো প্রতিদিন। এছাড়াও সেখানে ছিল অ্যালার্ম সিস্টেম—অর্থাৎ, অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে পড়লে গোটা গুদাম জুড়ে শুরু হয়ে যেত অ্যালার্ম। কিন্তু ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস তা অকেজো করতে সক্ষম হয়। ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিসের এই অভিযান বাস্তবিকপক্ষে কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সকাল পর্যন্ত মোসাদের চুরি ধরতেই পারেনি ইরানের সরকার। এর পরে, যখন প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী এসে দেখে যে দরজা ভাঙা এবং সমস্ত কিছু খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তখন তারা বুঝতে পারে যে চুরি হয়েছে।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে নথি প্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    এই ঘটনার ঠিক একেবারে তিন মাস পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠেন বক্তব্য রাখতে। তখনই তিনি একটি কালো ফোল্ডার এবং ডিস্কের স্তূপ নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন মোসাদের এই সাফল্যের কথা। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কারবার করছে এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অনেক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য হিসেবে ইরান, নেতানিয়াহুর দেখানো সেই আর্কাইভকে জাল বলে উড়িয়ে দেয়।

  • Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের মধ্যে  যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। টানা চার দিন ধরে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। এই সংঘাতের আবহে রবিবার ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেম। এর মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করা হলেই যুদ্ধ শেষ হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে খামেনেই কোনও এক অজানা জায়গায় নিরাপদ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।

    খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, ইজরায়েল কি খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? জবাবে তিনি (Netanyahu) বলেন, ‘‘যা করতে হবে, আমরা তাই করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁকে সরাতে পারলে এই সংঘাত শেষ হবে।’’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল আগেও ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে টার্গেট করতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় বাধা দেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “ইরান কি এখনও কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে? এর উত্তর হল, না। তাই, যতক্ষণ না তারা এধরনের কাজ করছে, আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশানা করার কথাও ভাবছি না।”

    মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে ইরান

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) মতে, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে। তাঁর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছর ধরে এই শাসনব্যবস্থা গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এরা সবাইকে ভয় দেখায়। এরা সৌদি আরবের আরামকো তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। এরা সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।” ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয়, ইজরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক। এই বিপদ খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকাতেও পৌঁছাতে পারে।”

    নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, চড়ছে উত্তেজনার পারদ

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইজরায়েল সত্যিই খামেনেইকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এতে শুধু ইরান ও ইজরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলিও জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর হামলা হলে সেটি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয় পুরো ইরান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর

    অন্যদিকে, ইজরায়েল লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের উপর। ইহুদিদের চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সরকারি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। প্রসঙ্গত, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে হামলা চালানো হবে, এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর ধ্বংস হয়েছে। এর জেরে গোটা ইরানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানের নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানান, তাঁরা যেন দ্রুত শহর ছেড়ে দেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তেহরানে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চলবে।

    আতঙ্কিত ইরানবাসী

    হামলার ফলে তেহরানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিদেশি দূতাবাসের দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে। এই সংখ্যা ইরানের মোট মিসাইল লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে, তারা ইজরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। ইরান ও ইজরায়েলের এই সংঘাতের আবহে আকাশে বিস্ফোরণের ধোঁয়া পর্যন্ত দেখা গেছে। দুই দেশের এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলায় ইজরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইজরায়েলের হামলায় ইরানের ২২৪ জন নাগরিক মারা গেছেন।

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) গাজায় অভিযানকে আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে গাজাতে ইজরায়েলের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতেই এক ভিডিও বার্তা জারি করা হয়। সেখানেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্প নেই। শুধু আমাদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যতক্ষণ না আমরা জিতছি ততক্ষণ।’’

    হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ নয় (Benjamin Netanyahu)

    এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি এখন হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী যে সমস্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেটাকে অসম্মান জানানো হবে। অসম্মান জানানো হবে আমাদের সেই সমস্ত বীরদের প্রতিও, যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছেন এবং তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন।’’

    হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত

    ইজরায়েরেল প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) আরও জানান, রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ও হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার,সম্প্রতি ইজরায়েল মধস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান হবে।

    ইজরায়েলের হামলায় ৫২ জন নিহত, দাবি  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার

    এদিকে গত শনিবার দিনভর ইজরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসির এক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনারা।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সেই শুরু। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে যুদ্ধ।

LinkedIn
Share