Tag: ISRO

ISRO

  • Chandrayaan 3: ‘‘চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ’’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Chandrayaan 3: ‘‘চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ’’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারই চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ (আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর)। রবিবার এমনই বিবৃতি দিলেন মহাকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরে ৬ চাকার রোভারটি ১৪ দিন ধরে অনুসন্ধান ও গবেষণা চালাবে বলে জানা গিয়েছে। রোভারটিতে রয়েছে একাধিক ক্যামেরা, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে।

    আরও পড়ুন: ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! ল্যান্ডিং কবে, জানিয়ে দিল ইসরো

    মিশনের ৩ উদ্দেশ্য

    মহাকাশ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশনের তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, এই মিশনের দ্বারা চাঁদের মাটি ছোঁয়া, দ্বিতীয়ত, রোভারটিকে চাঁদের মাটিতে সক্রিয়ভাবে চালানো এবং তৃতীয়ত চাঁদের বিভিন্ন অজানা দিকগুলি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো। রবিবার কেন্দ্রীয় মহাকাশ মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মোদি জমানায় মহাকাশ গবেষণায় ভারত এগিয়েছে অনেকটা বেশি। ইসরোর পরিকাঠামোগত অনেক উন্নয়নই হয়েছে মোদি জমানায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদির জমানায় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছে। মহাকাশ মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মার্কিন সফর মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আমেরিকার মতো দেশ যারা আমাদের অনেক আগে মহাকাশ গবেষণা চালাচ্ছে, তারাও আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে। আমাদের দেশের সঙ্গে তারা বেশ কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    মিশনের খুঁটিনাটি

    ২০১৯ সালে ভারত ‘চন্দ্রযান ২’ উৎক্ষেপণ করেছিল। ল্যান্ডিংয়ের আগে, মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযানের। চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’। তারপর চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে নামছে ইসরো। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। এস সোমনাথ বলেন, “আমরা চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সক্ষম হব।” ইতিমধ্যেই, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3) মহাকাশে বহনকারী রকেটের সাথে সংযুক্ত করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’ বা ‘জিএসএলভি মার্ক ৩’ (GSLV Mark 3) রকেটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’। বুধবার, এই রকেটের মাথায় পেলোড সংযুক্ত করা হয়। এই পেলোডের মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। মূলত তিনটি জিনিস রয়েছে এই মডিউলে। একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালসন মডিউল। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এই পেলোড ফেয়ারিংয়ে ভর করে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল চাঁদের উপরে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে অবতরণ-পর্ব শুরু করবে ল্যান্ডার ও রোভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৪ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফ থেকে এই দিনটিকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব। চন্দ্রযান বহনকারী হেভিয়েস্ট স্পেস ক্র্যাফ্ট লঞ্চ হবে সেইদিন। এটিই ভারতের প্রথম হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। এটি তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। জানা গিয়েছে, যে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে, ইতিমধ্যে সেটি অ্যাসেম্বল করা হয়ে গিয়েছে।

    ভারতের ইতিহাসে পূর্বের কিছু চন্দ্র অভিযান

    ২০০৮ সালে ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু হয় চন্দ্রযান-১ এর মাধ্যমে। সেই বছর চাঁদের কক্ষপথে এটিকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। এর পর ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের পর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরে গিয়ে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। ফলে এটি অসফল থেকে যায়। আর এই অসফল প্রজেক্টকে সফল করার লক্ষ্যেই এখন পাখির চোখ চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    এবারের চন্দ্রযানে (Chandrayaan-3) কী কী নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে?

    চাঁদের মাটিতে দক্ষিণ প্রান্তে সফলভাবে ল্যান্ড করানোর উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ তে (Chandrayaan-3) থাকবে একটি ল্যান্ডার ও রোভার এবং একটি প্রোপালশান মডিউল। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩-এর সঙ্গে ইতিমধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে। এই চন্দ্রযানটির মোট ওজন চার হাজার কিলোগ্রামের কাছাকাছি। এর মধ্যে বিশেষভাবে প্রোপালশান মডিউলটিকে গবেষণার শীর্ষে রাখা হয়েছিল। কারণ চাঁদের কক্ষপথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ল্যান্ডার ও রোভারটিকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য একমাত্র এই প্রোপালশান মডিউলের। এটির ওজন ২ হাজার ১৪৮ কিলোগ্রাম। রোভারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে নামানোর কাজ করবে ল্যান্ডারটি। একটি ফর্মারের ভিতরে যুক্ত রয়েছে এই রোভারটি, যার ওজন ১ হাজার ৭৫২ কিলোগ্রাম।

    পূর্বের চন্দ্রযান ২ এর রোভারের সাথে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর রোভারের কী পার্থক্য রয়েছে?

    চন্দ্রযান-২ এর রোভারের সাথে বিশেষ কিছু পার্থক্য না থাকলেও এর কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনও রকম যান্ত্রিক গোলযোগ এবং সমস্যার যাতে সম্মুখীন না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগের থেকে রোভারটির কিছু যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রোপালশান মডিউলটির ৭৫৮ ওয়াট, ল্যান্ডার মডিউলটির ৭৩৮ ওয়াট এবং রোভারটির ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এবার (Chandrayaan-3)।

    কী উদ্দেশ্য এই চন্দ্রযান-৩ এর (Chandrayaan-3)?

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফ থেকে জানা গেছে, চাঁদের মাটিতে বিনা সমস্যায় নির্বিঘ্নে এই চন্দ্রযানটিকে অবতরণ করিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। যেটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের অজানা তথ্যকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে এই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    সমগ্র প্রকল্পটিতে কত খরচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত?

    ইসরোর তরফ থেকে ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী এই সমগ্র প্রকল্পটির (Chandrayaan-3) জন্য যে অর্থায়নের অনুরোধ করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা বা ৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব বহন বাবদ ধার্য করা হয়েছিল। ইসরোর সভাপতি কে সিভান জানিয়েছিলেন, এই সমগ্র অভিযানে খরচ হবে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা, যা মার্কিন ৮৬ মিলিয়ন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ১৩ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩, ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: ১৩ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩, ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। চন্দ্রযান-২ মিশনে অবতরণের ঠিক প্রাক মুহূর্তে ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম। প্রধানমন্ত্রীর সামনে সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন। ৪ বছরের অপেক্ষা ও ইসরোর পরিশ্রমের পর ফের একবার চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্পর্ধা দেখাতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)।  একবার ব্যর্থ হলেও এবার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না ইসরো। বুধবারই চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণের দিন ঘোষণা করে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) কবে পাড়ি দিচ্ছে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই দুপুর আড়াইটে নাগাদ চাঁদের দেশে রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের সবচেয়ে ভারী লঞ্চ ভেহিকেল থেকে। এই লঞ্চ ভেহিকেলের নাম মার্ক-৩। এই মিশনটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৬১৫ কোটি টাকা।

    চাঁদের মাটিতে নেমে দু সপ্তাহ গবেষণা চালাবে

    ইসরো সূত্রে খবর, চন্দ্রযান-২ অভিযানে পাঠানো অরবিটরটি এখনও ভালোভাবেই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তাই এবারের অভিযানে ইসরো আর কোনও অরবিটার পাঠাবে না চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদের মাটিতে নামতে কক্ষপথে থাকা চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেওয়া হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর সঙ্গে যাওয়া ল্যান্ডার আর তার ভিতরে থাকা রোভার চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে।

    চাঁদের দেশে রোভারের কাজ

    চাঁদের মাটিতে নেমে রোভারটি গবেষণা চালাবে দু’সপ্তাহ। যার জন্য এসা-র পাশাপাশি নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কেরও সাহায্য নেবে ইসরো। কী কারণে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সফ্ট ল্যান্ডিং সফল হয়নি, তা নিয়েও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে ইসরো। সেখানে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন আসল কারণ।

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। সোমবার মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হল দেশীয় অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনএভিএস-০১ (ISRO NVS-01)। নাবিক শ্রেণির এই উপগ্রহের ফলে দেশে যোগাযোগ ও ম্যাপিং ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, ভীষণভাবে উপকৃত হবে দেশের সামরিক বাহিনী বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

    জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত

    এদিন ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ২ হাজার ৪২০ টন ওজনের বিশাল জিএসএলভি এফ-১২ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় নতুন প্রজন্মের ২৩২ কেজির উপগ্রহটি। ১৯ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় লোয়ার আর্থ অরবিট বা নিম্ন কক্ষপথে উপগ্রহটিকে পৌঁছে দেয় রকেটটি। এর পর সেখান থেকে নিজে যাত্রা করে ৩৬ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত হয় এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরবে এই স্যাটেলাইট। 

    কতটা উন্নত হবে নেভিগেশন ব্যবস্থা?

    ইসরোর এই পদক্ষেপ দেশীয় নেভিগেশন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এটি আদতে ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা (ISRO NVS-01)। এতদিন সকলে যেমন মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবহার করে এসেছেন, এবার তার পরিবর্তে ভারতে তৈরি ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থায় বজায় থাকবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, এটি সাতটি উপগ্রহের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ, যা সশস্ত্র বাহিনী-সহ অসামরিক যানকে নেভিগেশন পরিষেবা প্রদান করবে। 

    এর আগে ভারতীয় আঞ্চলিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম (IRNSS)-এর অধীনে সাতটি NavIC উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল আইআরএনএস-১এ, আইআরএনএস-১বি, আইআরএনএস-১সি, আইআরএনএস-১ডি, আইআরএনএস-১ই, আইআরএনএস-১এফ ও আইআরএনএস-১জি স্যাটেলাইট। এদিন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, পুরনো সাতটির মধ্যে তিনটে অকেজো হয়ে গিয়েছে। যে কারণে, এবার নতুন পাঁচটি পরবর্তী প্রজন্মের নাবিক স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    উপগ্রহে রয়েছে পারমাণবিক ঘড়ি

    ইসরোর দাবি, নতুন প্রজন্মের এই উপগ্রহের কাজ হল মোবাইলে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা করা। স্যাটেলাইটের জন্য কক্ষপথ নির্ধারণ করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পাওয়ার গ্রিড এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলির জন্য সময় পরিষেবা করা। রিয়েল টাইম পজিশনিং বা ঠিক সেই মুহূর্তের অবস্থান বলতে সক্ষম এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ, এই উপগ্রহে ব্যবহার করা হয়েছে রুবিডিয়াম পারমাণবিক ঘড়ি। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। 

    কতটা লাভবান হবে সেনা?

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপগ্রহের ফলে সামরিক বাহিনী ভীষণভাবে উপকৃত হবে। তাঁরা জানান, এবার জঙ্গিদের সঠিক পজিশন জানতে কষ্ট করতে হবে না বাহিনীকে। জঙ্গিদের সেই মুহূর্তের সঠিক অবস্থান একেবারে হাতের মুঠোয় থাকবে। ফলে, যে কোনও অভিযানে এটি দারুন কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়, পাক অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য জানতে জিপিএস পজিশনিং ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ভারত। ওয়াশিংটন তা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন থেকেই নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

  • Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম মহাকাশচারী ছিলেন রাকেশ শর্মা। রাকেশ শর্মা মহাকাশ থেকে ভারতবর্ষকে কেমন দেখছেন? এমনটাই প্রশ্ন ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। প্রশ্নের উত্তরে নিজের মাতৃভূমিকে মহাকাশ থেকে বর্ণনা করেছিলেন রাকেশ শর্মা। আবারও গগনজানের (Gaganyaan)  মাধ্যমে মহাকাশে মানব পাঠাতে চলেছে আমাদের দেশ।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কী বললেন ?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চলতি মাসের পয়লা দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তৃতভাবে বলেন ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার বিষয়ে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ এর সালে ভারতবর্ষ মহাকাশে পাঠাবে গগনযান যার প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণার সাফল্যের দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাপেক্ষে মহাকাশ গবেষণায় ভারতবর্ষ যে খুব পিছিয়ে নেই,সেটাও বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায় জানা গেছে যে গগনজানের (Gaganyaan) পরিকল্পনা ২০২২ সালেই সম্পন্ন হত। ২০২২ সালেই হয়তো ভারতবর্ষের কোন মানবকে গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে দেখা যেত কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছুই বদলে যায়।
    সূত্রমতে গগনজানের (Gaganyaan) ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তুতি পর্ব নেওয়া হবে। তার কারণ গগনযান (Gaganyaan) ভারতের মাটি থেকে যেমন মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে তেমনি মহাকাশ থেকে সুষ্ঠুভাবে ফিরে আসবে। প্রথম দুটি পরীক্ষামূলক উড়ানে কোনও মানুষ পাঠানো হবে না, রোবট পাঠানো হবে। তৃতীয় বারে মানুষ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। তবে তৃতীয়বারে মানুষ তখনই পাঠানো হবে যদি প্রথম দুটি প্রস্তুতি পর্ব সফলভাবে সংঘটিত হয়।

    জানা গেছে এই গগনজান (Gaganyaan) তিনজন মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যেতে সক্ষম। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে এই গগনযান তিন দিন ধরে অবস্থান করবে মহাকাশে, তারপরে আবার তা পুনরায় পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসবে।

    গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে যাঁরা মহাকাশে যাবেন সেই সমস্ত মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বেঙ্গালুরুতে। ক্লাসরুম ট্রেনিং, ফিটনেস ট্রেনিং, এবং মহাকাশে থাকার বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কতগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইসরো (ISRO)। ২০২৩-এ সূর্য ও চন্দ্র, দুই দিকেই নজর থাকবে ইসরোর (ISRO)। সূর্য গবেষণার ক্ষেত্রে মিশন আদিত্য এবং চন্দ্র গবেষণার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩  মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখবে ভারতীয় মহাকাশ  গবেষণা সংস্থা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে জানান, ২০২৩ সালে ইসরোর অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, সূর্য এবং চন্দ্র অভিযানের পাশাপাশি চলতি বছরে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকে রিইউজেবল (পুনর্ব্যবহারযোগ্য) লঞ্চ ভেহিকল সংক্রান্ত প্রথম রানওয়ে ল্যান্ডিং এক্সপেরিমেন্ট (RLV-LEX) পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    একইসঙ্গে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসায়িক দিকেও থাকবে নজর।  বেসরকারি খাতের জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসা। গত নভেম্বরেই বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশে গেছে।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    চলতি বছরেই মানুষ যাবে মহাকাশে 

    নতুন বছরেই ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযানের প্রাথমিক সূচনা হতে  চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে ইসরো (ISRO) সূত্রে। তবে প্রথমেই মানুষ পাঠানো হবে না। ‘গগনযান’ অভিযানের মাধ্যমে প্রথমে একেবারে  প্রস্তুত লঞ্চ ভেহিকেল-কে যাচাই করে দেখে নেবে ইসরো (ISRO)। পরে মানুষ যাবে।  

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    ২০২৩ সালের  শেষ তিন মাসে সেই পরীক্ষামূলক অভিযান হবে। লঞ্চ ভেহিকল, অরবিটাল মডিউল  প্রপালশন সিস্টেম এবং রিকভারি অপারেশন একেবারে তৈরি কিনা, তারই পরীক্ষা করবে ইসরো। সেটি সফল হলেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাতে আর কোনও বাধা থাকবে না ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

      

  • ISRO Recruitment: ইসরোর বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জেনে নিন যোগ্যতা কী

    ISRO Recruitment: ইসরোর বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জেনে নিন যোগ্যতা কী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেছেন, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁদের কাছে বিশেষ সুযোগ এনে দিল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। বিজ্ঞানী ও গবেষক পদে নিয়োগের (ISRO Recruitment) জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু করেছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আগ্রহী প্রার্থীরা ইসরো-র (ISRO Recruitment) সরকারি ওয়েবসাইট-isro.gov.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। 
    গেট পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে গ্রুপ ‘এ’ গেজেটেড এই পদগুলিতে দশম বেতনক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। এই পদে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন জানানোর শেষ দিন ১৯ ডিসেম্বর। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের বয়স ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ তারিখে ২৮ বছর হতে হবে। মোট ৬৮টি শূন্যপদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার পদে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। নিযুক্ত প্রার্থীদের ইসরোর বিভিন্ন কেন্দ্রে পোস্টিং (ISRO Recruitment) দেওয়া হবে। আবেদন ফি মাত্র ২৫০ টাকা। এবার নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা যাক।

    আরও পড়ুন: ভারত ইলেক্টনিক্স লিমিটেডে ২৬০ শূন্যপদে নিয়োগ, বেতন ৫০,০০০ টাকা

    শূন্যপদের বিবরণ:

    মোট ৬৮টি শূন্যপদের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স বিভাগে রয়েছে ২১টি,  মেকানিক্যাল বিভাগে রয়েছে ৩৩টি এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে রয়েছে ১৪টি।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা:

    ইলেকট্রনিক্স বিভাগ: এই বিভাগের জন্য আবেদনকারীদের বিই বা বিটেক ডিগ্রি অথবা এর সমতুল ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ-সহ প্রথম শ্রেণিতে পাশ করতে হবে বা ১০-এ ৬.৮৪ সিজিপিএ থাকতে হবে।

    মেকানিক্যাল বিভাগ: এই বিভাগের জন্য আবেদনকারীদের বিই বা বিটেক ডিগ্রি অথবা এর সমতুল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ-সহ প্রথম শ্রেণিতে পাশ করতে হবে বা ১০-এ ৬.৮৪ সিজিপিএ থাকতে হবে।

    কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ: এই বিভাগের জন্য আবেদনকারীদের বিই বা বিটেক ডিগ্রি অথবা এর সমতুল কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কোর্সে ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ-সহ প্রথম শ্রেণিতে পাশ করতে হবে বা ১০-এ ৬.৮৪ সিজিপিএ থাকতে হবে।

    প্রার্থীরা কী ভাবে এই পদগুলিতে আবেদন জানাবেন?

    – পরীক্ষার্থীদের প্রথমেই ইসরোর (ISRO Recruitment) সরকারি ওয়েবসাইট- https://www.isro.gov.in/-এ যেতে হবে।

    – এর পর হোমপেজে ‘কেরিয়ার’ ট্যাবে গিয়ে ‘কারেন্ট অপারচুনিটিজ়’-এ ক্লিক করতে হবে।

    – এ বার ‘রিক্রুটমেন্ট টু দ্য পোস্ট অফ সায়েন্টিস্ট/ইঞ্জিনিয়ার এসসি অন দ্য বেসিস অফ গেট স্কোর’ লিঙ্কটিতে ক্লিক করতে হবে।

    – লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেই অনলাইন আবেদনপত্রের আর একটি লিঙ্ক স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া যাবে।

    – সেখানে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে আবেদনপত্রটি জমা দিয়ে দিতে হবে।

    – পরীক্ষার্থীরা আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে পারেন ভবিষ্যতের সুবিধার্থে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবেই সম্পন্ন হল ইসরোর মিশন PSLV-C54, এই মিশনের দ্বারা  Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) এর সঙ্গে আরও ৮টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপিত হল। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এদিন জানিয়েছেন, উপগ্রহগুলি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে। এটি ছিল PSLV-এর ৫৬তম মহাকাশ অভিযান। বেলা ১১:৫৬ মিনিটে, ৪৪.৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রকেটটি যাত্রা করে ৩২১ টন ওজন সমেত। মোট ৯টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ৮টি স্যাটেলাইট হল ন্যানো স্যাটেলাইট। অন্য Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) স্যাটেলাইটটির ওজন ১,১১৭ কেজি, এটি তৈরি হয়েছে ইসরোর UR Rao Satellite Centre-এ।

    আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    ইসরো চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    Earth Observation Satellite-6 হল ওশেনস্যাট সিরিজের থার্ড জেনারেশন স্যাটেলাইট। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল অবিরাম ভাবে Ocean Colour এবং Wind Vector ডেটা প্রাপ্তি। ইসরো চেয়ারম্যান মিশন কন্ট্রোল কেন্দ্রে তাঁর বক্তব্যে বলেন,”আমরা প্রত্যেকেই পর্যবেক্ষণ করেছি যে, এই রকেটটির কার্যক্ষমতা প্রতিটি ধাপেই সফল। PSLV এর সমস্ত টিমকে অভিনন্দন, সফল উৎক্ষেপণ এর জন্য। রকেটটির দ্বারা স্যাটেলাইটটি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে ৭৪২ কিমি উচ্চতায়, সময় লেগেছে ১,০৩৩ সেকেন্ড”।

    আরও পড়ুন: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    spacecraft separation সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, একথা লিখে ইসরো থেকে এদিন ট্যুইটও করা হয়েছে। ২০২২ সালে এটাই ইসরোর শেষ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Skyroot Aerospace: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    Skyroot Aerospace: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারী রকেট নির্মাতা সংস্থা স্কাইরুট অ্যারোস্পেস আগামী ১২ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর শ্রীহরিকোটা মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তিনটি পেলোড সহ বিক্রম-এস নামে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস (Skyroot Aerospace)

    গত ২০২০ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণের জন্য মহাকাশ খাত উন্মুক্ত করে দেয়।তারপর থেকে এটিই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ যা কিনা সম্পূর্ণভাবে একটি দেশীয় সংস্থার তৈরি ও পরিচালিত। হায়দ্রাবাদের এই স্পেস স্টার্টআপ কোম্পানিটি মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

    স্কাইরুটের অভিযান(Skyroot Space Launch)

    স্কাইরুটের তরফে এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে প্রারম্ভ। এই প্রসঙ্গে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের সিইও পবন কুমার চন্দানা বলেন, এক নতুন পথের সূচনা হতে চলেছে।সেহেতু এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে প্রারম্ভ।
    তিনি আরও জানান, ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে রকেটটিকে উৎক্ষেপণের সময় দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে রকেট উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২ 

    বিক্রম-এস(Vikram-S)

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস নির্মিত রকেটটি ভারতের স্বনামধন্য গবেষক তথা মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে। স্কাইরুট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,এটি একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। বিবৃতিতে আরও জানান, এই সাবঅরবিটাল স্পেস রকেটটি তিন গ্রাহকের বরাত অনুযায়ী পেলোড বহন করবে। সেগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারলেই কাজ হাসিল। তবে কোন কোন গ্রাহকের থেকে সেই বরাত মিলেছে, তা জানা যায়নি।রকেট প্রস্তুতিতে ইসরো ‘স্কাইরুট’-কে সাহায্য করায় ধন্যবাদও জানিয়েছেন কোম্পানির সিইও। এই প্রসঙ্গে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসেই সিইও পবন কুমার চন্দনা সংবাদমাধ্যমে জানান, আমরা এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের বিক্রম-এস রকেট মিশন তৈরি করতে পেরেছি শুধুমাত্র ISRO এবং IN-SPACE-এর কাছ থেকে পাওয়া অমূল্য সমর্থনের কারণে।
    সাধারণত, একটি সাবঅরবিটাল স্পেস রকেটগুলি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতাকে মধ্যে যায়। এটি অরবিটাল ফ্লাইটের তুলনা অনেক কম হয়।
    এই ধরনের বেসরকারি রকেট সংস্থার মূল লক্ষ্য থাকে মুনাফা করা। রকেট নির্মাণ, সেটি প্রেরণ করার বিষয়ে সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করে। এদিকে এদের গ্রাহক হন মহাকাশে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণে ইচ্ছুক সংস্থা। টাকার বিনিময়ে তাদের থেকে বরাত নিয়ে মহাকাশে সেই কৃত্রিম উপগ্রহ পৌঁছে দেয় এই সংস্থাগুলি। 

     

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস(Skyroot Aerospace) তহবিল

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস(Skyroot Aerospace) এখনও পর্যন্ত ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা। এটি বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বেশি ফান্ডেড বাণিজ্যিক স্পেস স্টার্টআপ। ভারতেই সম্পূর্ণ 3D-প্রিন্টেড প্রযুক্তিতে রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা প্রথম সংস্থাগুলি মধ্যেও এটি অন্যতম। গত বছরের নভেম্বরে সংস্থাটি সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রদর্শন করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, ১৯ মে, এই সংস্থা Kalam-100 নামের একটি ভারতে নির্মিত সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনও পরীক্ষা করেছে।

    প্রসঙ্গত,মহাকাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনস্পেস (IN-SPACE) -এর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত উৎক্ষেপণের অনুমোদন পাওয়ার পরই ISRO-এর চেয়ারম্যান ড. এস. সোমানাথ বেঙ্গালুরুতে ISRO-এর প্রথম মিশন চালু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Mission Venus ISRO: শুক্রগ্রহে অভিযানের আগে ফের চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযান চালাবে ইসরো

    Mission Venus ISRO: শুক্রগ্রহে অভিযানের আগে ফের চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে সফলতার সাথে চন্দ্রযান ও মঙ্গলযান পাঠানোর পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো শুক্রগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি করছে। চলতি বছরের মে মাসেই ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ঘোষণা করেছিলেন ইসরো শুক্রগ্রহে অভিযান শুরু করবে। সরকার এবং ইসরোর বৈজ্ঞানিকেরা এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তিনি জানান, ভারতের জন্য শুক্রগ্রহে অভিযান চালানো যথেষ্ট সহজ। ২০২৪ সালের মধ্যেই শুক্রগ্রহে শুক্রযান নামে মহাকাশযানটি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন । ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ এই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এমনভাবে অ্যালাইন হবে যে সেই সময় পৃথিবী ও শুক্রগ্রহ প্রায় এক সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে। খুব সামান্য পরিমাণেই প্রপেল্যান্ট ব্যবহারের মাধ্যমেই মহাকাশযানটি প্রতিবেশী গ্রহের কক্ষপথে পাঠানো যাবে। যদি কোনো কারণে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে দীর্ঘ সাত বছর পর ২০৩১ সালে এমন সুযোগ আসবে।
    এই মিশনে শুক্র গ্রহে জীবকূল বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ রয়েছে কি না তার খোঁজ করা হবে। এছাড়াও গ্রহটিতে কোন জীব রয়েছে কিনা, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ করা হবে। ইসরো তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের এই রিসার্চ কোনও দেশের অনুকরণে হবে না। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রিসার্চ করে নতুন কিছু বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে।

    অপরদিকে, শুক্রগ্রহ অভিযানের আগে মঙ্গল ও চাঁদে ফের অনুসন্ধান চালাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে জাপানের সঙ্গে গাঁটছড়ায় এই প্রকল্পটি করা হবে বলে জানিয়েছে মহাকাশ সংস্থাটি।

    ইসরোর বৈজ্ঞানিক অনিল ভরদ্বাজ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, চাঁদের ছায়া অঞ্চলটি নিয়ে গবেষণার জন্য  জাপানিজ সংস্থা Japanese Aeroplane Exploitation Agency এর একটি রকেটে ইসরো নির্মিত চন্দ্র রোভারকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করানো হবে। 

    এছাড়াও তিনি জানান, আদিত্য এল-১ সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইসরো থেকে আরও একটি নতুন অভিযান হতে চলেছে। ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি উপগ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। যার সাহায্যে সৌর বায়ুত্ব্ররণ ও পৃথিবীর কাছাকাছি আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে এছাড়াও নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে এই উপগ্রহ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share