Tag: ISRO

ISRO

  • ISRO: সৌরযান আদিত্য-এল১ নিজের গন্তব্যে কবে পৌঁছাবে, জানিয়ে দিলেন ইসরো প্রধান

    ISRO: সৌরযান আদিত্য-এল১ নিজের গন্তব্যে কবে পৌঁছাবে, জানিয়ে দিলেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’ কবে পৌঁছাবে তা জানিয়ে দিল ইসরো (ISRO)। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সূর্যের বিভিন্ন সময়ের ছবি তুলে পাঠিয়েছিল আদিত্য-এল১। সেই ছবি নিজেদের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, “আদিত্য-এল১ একবার সফল ভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলে আগামী ৫ বছরের জন্য সূর্যের বিভিন্ন অবস্থার সম্পর্কে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।” উল্লেখ্য পৃথিবীর উপর সূর্যের প্রভাব কেমন হবে সেই সম্পর্কেও নানা তথ্য উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের জন্য মহাকাশ গবেষণার এই সময় পর্ব বেশ উল্লেখযোগ্য মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশের মানুষ।

    কী বলেন ইসরো প্রধান (ISRO)?

    গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল সূর্যযান আদিত্য-এল১ সৌরযানকে। ইসরো (ISRO) মহানির্দেশক এস সোমনাথ বলেছেন, “আদিত্য-এল১ নিজের নির্ধারিত গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ১১০ দিন। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকেই আদিত্য-এল১ নিজের নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাবে। আগামী ৬ জানুয়ারি শুক্রবার এই সূর্যযান নিজের গন্তব্য স্থল ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট-১ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই সূর্যযান। ভারতের জন্য এই সময় অমৃত কাল, অত্যন্ত গর্বের সময়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ পর্যবেক্ষণেই সম্ভব হয়েছে সৌরযানের উৎক্ষেপণে।”

    চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    উল্লেখ্য, গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মাটিতে সফল ভাবে অবতরণ করেছিল বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার। সেই ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ইসরো। দেশের মধ্যে চন্দ্রযান ৩ নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা ও উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মাধ্যমেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত পা রেখেছিল। ইসরোর সেই সাফল্যের সুখ্যাতি নাসাও করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের বায়ুসেনার সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথাও কয়েকদিন আগে জানিয়েছে ইসরো। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, নাসার সঙ্গে ইসরো যৌথ উদ্যোগে পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি, জলভাগ এবং বনাঞ্চলগুলিকে পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ‘নিসার’ উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠাবে। সম্প্রতি এবিষয়ে নাসার এক বিজ্ঞানী ভারতে এসেছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাস নির্মাণ করেছে ইসরো (ISRO)। এই সাফল্যে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ভারত। এরপর সূর্যের উপর নজর রাখতে সাফল্যের সঙ্গে আদিত্য-এল ১ উৎক্ষেপণ সম্পূর্ণ করেছে ইসরো। তাতেও বিরাট সাফল্য বলে দেখছেন বিশ্বের মহাকশ বিজ্ঞানীরা। এবার ইসরোর কর্ণধার এস সোমনাথ জানালেন, ভারতের গগনযান মিশনের চার মহাকাশচারী– ভারতীয় বায়ুসেনার চারজন পাইলটকে এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে তাঁদের। একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, “২০৪০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশচারীরা চাঁদের বুকে পদার্পণ করবেন।”

    কী বলা হয়েছে ইসরোর পক্ষ থেকে (ISRO)?

    ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “ভারতীয় চারজন বায়ুসেনা অফিসারকে নির্বাচিত করা হয়েছে। দুই থেকে তিনজন মহাকাশচারীকে ‘লো আর্থ অরবিট’ বা পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্নভাগে পাঠানো হবে। সেখানে দুই-তিন দিন কাটানোর পর আবার তাঁদের সুরক্ষিত ভাবে ফিরিয়ে আনা হবে। এটা হবে ভারতের জন্য প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠানোর অভিযান। ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুতে অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং ফেসিলিটিতে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে ইসরোর কর্ণধার এস সোমনাথ আরও বলেন, “গগনযান অভিযানের জন্য ভারত এখন প্রস্তুত। পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্নভাগে প্রথমে মহাকাশচারীদের পাঠানো হবে, এরপর নির্ধারিত স্থানে নামিয়ে আনার কাজ করা হবে।”

    আর কী জানা গিয়েছে?

    ইসরোর (ISRO) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এলভিএমথ্রি লঞ্চ ভেহিক্যলের উপর একটি অরবিটাল মডিউল নির্মাণ করা হবে। এই যন্ত্রের মাধ্যমেই মহাকাশচারীরা মহাকাশে যাত্রা করবেন। এই লঞ্চ ভেহিক্যলকে অত্যন্ত নিরপাদ এবং সুরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিটাল মডিউলটিতে একটি ক্রু মডিউল এবং একটি সার্ভিস মডিউল থাকবে। মহাকাশের শূন্যে যাত্রা করার জন্য থাকবে সবরকম ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থাও থাকবে।

    ক্রু মডিউলটির ভিতরের পরিবেশ থাকবে পৃথিবীর মতো। আর তাতে করেই নিরাপদে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারবেন মহাকাশযাত্রীরা। সেই সঙ্গে থাকবে একটি ক্রু এসকেপ সিস্টেম, বিপদ বুঝে তার মাধ্যমে দ্রুত অবতরণ করতে পারবেন মহাকাশচারীরা। মূল অভিযানের আগে আরও দুটি পরীক্ষা হবে, তবে সেখানে মানুষ থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Somanath Autobiography: দিনের আলো দেখছে না ‘নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গলে’, জানুন নেপথ্যের কারণ

    S Somanath Autobiography: দিনের আলো দেখছে না ‘নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গলে’, জানুন নেপথ্যের কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর আত্মজীবনীতে পূর্বতনের সমালোচনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চন্দ্রযান ২-এর ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভূতপূর্ব ইসরো কর্তা কে শিবনের কিছু নীতির সমালোচনা করা হয়েছে তাঁর আত্মজীবনী ‘নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গলে’ (S Somanath Autobiography)। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘যে সিংহরা জ্যোৎস্না পান করেছিল’।

    ‘নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গল’

    এই বিতর্কের মাঝে তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ করবেন না বলেই জানিয়ে দিলেন ইসরোর বর্তমান কর্তা এস সোমনাথ। শনিবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত দিনের আলো দেখছে না ‘নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গল’। তাঁর আত্মজীবনীতে যে চন্দ্রযান ২ অভিযান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সোমনাথ। সেই অভিযান কেন ব্যর্থ হয়েছিল, তাও তিনি লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে। যেহেতু আত্মজীবনীটিকে নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, তাই বইটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান।

    ‘চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকের জীবনের অঙ্গ’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সোমনাথ (S Somanath Autobiography) বলেছিলেন, “আমার জীবনের কাহিনি বর্ণনা করা এই বইয়ের উদ্দেশ্য নয়। যাঁরা জীবনের চ্যালেঞ্জগুলিকে অতিক্রম করে স্বপ্ন ছুঁতে চান, তাঁদের অনুপ্রাণিত করাই এই বইয়ের একমাত্র উদ্দেশ্যে।” তবে শনিবার ফের সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইসরো কর্তা বলেন, “কোনও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে পৌঁছানোর রাস্তায় সকলকেই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকের জীবনের অঙ্গ। আমি নিজের জীবনের সব চ্যালেঞ্জগুলিই এই বইতে লিপিবদ্ধ করেছি। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। কোনও একজন ব্যক্তিকে আলাদা করে আক্রমণ করা আমার উদ্দেশ্যও ছিল না। আমি একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গীকে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম মাত্র। কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে অভিযোগ তুলিনি।”

    আরও পড়ুুন: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের চেষ্টায় শেষমেশ সফল হয় ভারতের চন্দ্রযান মিশন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে ল্যান্ডর বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য আসে তখন, যখন ইসরোর কর্তা সোমনাথ (S Somanath Autobiography)। মিশন চন্দ্রযান ২ যখন ব্যর্থ হয়, তখন ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন শিবন। সেই অভিযান ব্যর্থ হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সোমনাথ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “তাড়াহুড়োর কারণেই ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান ২ মিশন। চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণের আগে যতবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়নি। মিশন ব্যর্থ হওয়ার ঘোষণা করার সময় ব্যর্থতাগুলি, গাফিলতিগুলিও লুকিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: চাঁদ-সূর্যের পরে এবার পরের লক্ষ্য শুক্র অভিযান, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

    ISRO: চাঁদ-সূর্যের পরে এবার পরের লক্ষ্য শুক্র অভিযান, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারত আগেই পা রেখেছে। সূর্যকে নিরীক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে মহাকাশযান আদিত্য-এল১। এবার ইসরোর পরের মিশন হতে পারে শুক্র গ্রহ (Venus Mission)। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একথা ঘোষণা করেছেন। প্রসঙ্গত সৌরজগতের সব থেকে উজ্জ্বলতম গ্রহ শুক্র গ্রহ, যাকে আমরা শুকতারাও বলে থাকি। মঙ্গলবার দিল্লির ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমিতে বক্তব্য রাখেন ইসরো প্রধান এবং সেখানে তিনি জানিয়েছেন, একাধিক মহাকাশ অভিযান পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে এবং শুক্র গ্রহ অভিযান নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে শুক্র অভিযানে যে সমস্ত পেলোডগুলি ইসরো ব্যবহার করবে সেগুলি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইসরোর শুক্র অভিযান মূলত শুক্র গ্রহের মাটি এবং বায়ুমণ্ডলকে নিরীক্ষণ করার উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হবে।

    এবিষয়ে কী বললেন ইসরো প্রধান?

    দিল্লির সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসরো (ISRO) প্রধান বলেন, ‘‘শুক্র অভিযানে যাবে ইসরোর ‘শুক্রযান’। এই অভিযানের (Venus Mission) নামও তা-ই দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হবে শুক্রগ্রহের মাটি এবং বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করা।’’ এস সোমনাথের মতে, শুক্র খুব আকর্ষণীয় গ্রহ। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর তুলনায় ১০০ গুণ বেশি এটা এতটাই ভারী যে, তা ভেদ করা যায় না। তাই আমরা জানি না, শুক্রের ভূপৃষ্ঠ আদৌ কঠিন কি না। এই গ্রহে অভিযান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য আমাদের হাতে আসতে পারে। তা আগামী দিনে আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘পৃথিবী এক দিন শুক্র হয়ে উঠতে পারে। আমরা কেউ জানি না কী হবে। হয়তো ১০ হাজার বছর পরে পৃথিবীর অবস্থাও শুক্রের মতো হয়ে যাবে। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী তার চরিত্র বদলায়। কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবী এখনকার মতো ছিল না।’’ 

    শুক্র অভিযানে বিভিন্ন দেশ

    প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিগুলি শুক্র অভিযান (Venus Mission) চালিয়েছিল। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ভেনাস বা শুক্র অভিযান চলেছিল। এর আগে নাসাও একাধিকবার শুক্র অভিযানে নেমেছে। নাসার পরবর্তী শুক্র অভিযান হতে চলেছে ২০২৯ এবং ২০৩০ এবং ২০৩১ সালে।

    ইসরোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

    শুধুমাত্র শুক্রগ্রহই (Venus Mission) নয়, মহাশূন্যে মৃত নক্ষত্রগুলির উপর নজরদারি চালাতে চলেছে ইসরো (ISRO)। এর জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই রওনা দেবে ইসরোর এক্সপোস্যাট (XPoSat) মহাকাশযান। কৃষ্ণগহ্বরের উৎস নিয়ে গবেষণা চালাবে সেটি। পাশাপাশি, সৌরজগতের বাইরে যে সমস্ত গ্রহ রয়েছে, যারা সূর্যেরই মতো অন্য কোনও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে, তাদের নিয়েও পরিকল্পনা চালাচ্ছে ইয়রো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না ঘুমন্ত বিক্রম ও প্রজ্ঞান, চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

    Chandrayaan 3: ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না ঘুমন্ত বিক্রম ও প্রজ্ঞান, চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্টের ২৩ তারিখে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর চালিয়েছে একাধিক খোঁজ। বিক্রমের পেট থেকে গুটিগুটি পায়ে বের হয়েছিল প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য অস্ত গেলে ঘুমিয়ে পড়ে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। এরপরে জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ মেরুতে সূর্যোদয় হলে পুনরায় বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে। তবে শুক্রবার ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত সফল হতে পারেননি।

    বিক্রম-প্রজ্ঞানের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল আসছে না

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিক্রম বা প্রজ্ঞানের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল আসছে না পৃথিবীতে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ইসরো। তাতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লিখেছ, ‘‘চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) অভিযানের খবর: বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল এসে পৌঁছয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি থাকবে।’’

    সূর্যের আলো থেকেই শক্তি সংগ্রহ করত বিক্রম ও প্রজ্ঞান

    প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর স্লিপ মোডে পাঠানো হয়েছিল ল্যান্ডার এবং রোভারকে (Chandrayaan 3)।কারণ তখনই চন্দ্রপৃষ্ঠের সূর্য অস্ত যায়। সূর্যের আলো না থাকলে চন্দ্রপৃষ্ঠে কাজ করা বিক্রম বা রোভারের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ প্রয়োজনীয় শক্তি তারা সূর্য থেকেই সংগ্রহ করে। চাঁদে (Chandrayaan 3) সূর্যের আলো থাকতেই প্রয়োজনীয় গবেষণা এবং অনুসন্ধানের কাজ শেষ করে নেই ইসরো, কারণ চন্দ্রপৃষ্ঠে সূর্য অস্ত গেলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে যায় আর এত বিপুল ঠান্ডায় যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যেতে পারে। তবে এখনও হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যোদয়! বিক্রম, প্রজ্ঞানকে কবে জাগানোর চেষ্টা করবে ইসরো?

    Chandrayaan 3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যোদয়! বিক্রম, প্রজ্ঞানকে কবে জাগানোর চেষ্টা করবে ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোর হলো, দোর খোলো’ বিক্রম! কাতর আর্জি ভারতবাসীর। কাজ শুরু করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। চলছে চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan-3 Update) ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠে গিয়েছে বুধবার। সূর্যের ক্ষীণ আলো এসে পড়েছে শিবশক্তি পয়েন্টেও। তবে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রম বা প্রজ্ঞান কাউকেই জাগানো সম্ভব নয়। গত ১৫ দিন ধরে যে শীতল আবহাওয়ায় যন্ত্রগুলি অকেজো হয়ে পড়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছুটা তাপের প্রয়োজন। এখনই সূর্য থেকে সেই তাপ মিলবে না। ইসরো জানিয়েছে, সূর্যালোকে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ব্যাটারি রিচার্জ হবে। তার জন্যই অপেক্ষা করে আছেন ইসরোর আধিকারিকেরা। ব্যাটারি রিচার্জ সম্পূর্ণ হলেই আবার ল্যান্ডার এবং রোভারকে সক্রিয় করে তোলা যাবে বলে আশাবাদী ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    প্রাণ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ

    পৃথিবীতে যেমন ২৪ ঘণ্টায় একদিন হয়, এক চন্দ্রদিবস (Chandrayaan-3 Update) বলতে পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিনকে বোঝায়। পৃথিবীর হিসেবে ধরলে, ১৪ দিন চাঁদের উপর সূর্যের আলো পড়ে, তখন হয় দিন। তার পরের ১৪ দিন আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার। তখন হয় রাত। পৃথিবীর হিসেবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম'(Lander Vikram) এবং রোভার ‘প্রজ্ঞানে’ (Rover Pragyan) চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখার ১২ দিন পর চাঁদে রাত্রি নামে। গোড়াতে ১৪ দিনের মাথায় ঘুম পাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু সূর্যের অবস্থানের নিরিখে সময়ের আগে ঘুম পাড়ানো হয় তাদের। ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চাঁদের পিঠে সূর্যালোক পড়লেই শুক্রবার থেকে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনগুলি ল্যান্ডার ও রোভারের মডিউলগুলির এবং অন-বোর্ড যন্ত্রগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করবে। তবে প্রাণ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবুও দমতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। আশার আলোর নিভু নিভু হলেও একেবারে নিভে কিন্তু যায়নি। এমনটাও হতে পারে, হয়তো বা জেগেও উঠল ল্য়ান্ডার ও রোভার, তবে কর্মক্ষম রইল না।

    আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    প্রত্যাশার থেকে বেশি কাজ করেছে চন্দ্রযান-৩

    যদিও আশা করতে বাধা নেই। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3 Update) প্রত্যাশার থেকে বেশি কাজ করেছে চাঁদের বুকে। মূল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইসরো সিদ্ধান্ত নেয় ল্যান্ডার ও রোভারের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে। তাই চাঁদের বুকে সমস্ত যন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করে দেয় এবং সেগুলিকে স্লিপ মোডে রেখে দেয়। স্লিপ মোডের আগে ব্যাটারিগুলি ফুল চার্জ অবস্থায় ছিল। যেহেতু চার্জড আপ অবস্থাতেই স্লিপ মোডে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান-৩-কে, তাই রাতের কঠিন ঠান্ডাতেও নিজেদের কিছুটা হলেও গরম রাখতে পারবে যন্ত্রগুলি, এমনটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদি কোনও ভাবে জেগে উঠতে পারে চন্দ্রযান-৩ তবে ল্যান্ডার এবং রোভার কমপক্ষে আরও ১৪ দিনের জন্য (পৃথিবীর হিসেবে) চাঁদের বুকে একই ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। ফের গুটি গুটি পায়ে চাঁদের বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান, স্বপ্ন সকল ভারতবাসীর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L1: গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ‘ডেটা কালেক্ট’ শুরু ! আজ গভীর রাতে ‘সব থেকে বড়’ পরীক্ষায় আদিত্য

    Aditya L1: গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ‘ডেটা কালেক্ট’ শুরু ! আজ গভীর রাতে ‘সব থেকে বড়’ পরীক্ষায় আদিত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই পৃথিবীর চতুর্থ কক্ষপথ পেরিয়ে গিয়েছে সৌরযান আদিত্য-এল১ (Aditya L1)। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও শুরু করে দিয়েছে ইসরোর (ISRO) এই মহাকাশযান। সোমবার ইসরোর এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করা হয়, বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে আদিত্য-এল১। উৎক্ষেপণের পর এখনও পর্যন্ত চারবার অনায়াসেই কক্ষপথ পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় সফল ভাবে উতরে গিয়েছে আদিত্য-এল১। ১৮ সেপ্টম্বর মধ্যরাতে ২টোর সময় (ইংরেজি মতে ১৯ সেপ্টেম্বর ভোররাত ২টো) পরবর্তী পরীক্ষায় বসতে চলেছে আদিত্য।

    শেষবারের মতো কক্ষপথ বদল

    সোমবার মধ্যরাতে শেষবারের মতো কক্ষপথ বদলে নিজের গন্তব্যের দিকে ছুটবে আদিত্য (Aditya L1)। রাত ২টোর সময় সম্পাদিত হবে এই প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে পৃথিবীর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সৌরযান। ইসরো এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, “ল্যাগরেজিনায় পয়েন্ট ইনসারশন (TL1) সম্পন্ন হবে ১৯ সেপ্টেম্বর ভোররাত ২টোর সময়। সম্পূর্ণ ভাবে পৃথিবীর বাইরে বেরিয়ে যাবে এই মহাকাশযান।”

    ইসরোর এই সৌরযান কক্ষপথ বদলের প্রথম পরীক্ষায় বসে ৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে। এর আগে গত শনিবার রাতে পৃথিবীর কক্ষপথে নিজের তৃতীয় পরীক্ষায় বসেছিল ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল১।  তার আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয়বার কক্ষপথ পরিবর্তন করেছিল ইসরোর সৌরযান আদিত্য (Aditya L1)। 

    এখন কোথায় আদিত্য-এল১

    বর্তমানে ২৫৬ কিমি X ১,২১,৯৭৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে আদিত্য (Aditya L1)। এরপর ফের আজ (ইংরেজি মতে ১৯ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ২টোর সময় কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য। বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক, মরিশাস ও আন্দামানে নিজেদের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে কক্ষপথ বদলের বিষয়টির ওপর নজর রাখবে ইসরো। নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাড়ি দিতে ইসরোর সৌরযানটিকে পাড়ি দিতে হবে ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ। চাঁদে পৌঁছতে যেখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল, সেই জায়গায় সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই পথ অনেকটাই বেশি। এই প্রজেক্টের জন্য় ইসরোর খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: চতুর্থ কক্ষপথ বদল সফলভাবে করল আদিত্য-এল১, এর পর কী?

    কী কাজ করল আদিত্য

    গন্তব্যের যাওয়ার পথে নিজের লক্ষ্য়ে অবিচল আদিত্য। কাজ সারতে সারতে অগ্রসর হচ্ছে গন্তব্য়ের দিকে। ইতিমধ্যে স্টেপস যন্ত্রের সেন্সরগুলি পৃথিবী থেকে ৫০,০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সুপার-থার্মাল এবং শক্তিশালী আয়ন এবং ইলেকট্রন পরিমাপ করা শুরু করেছে। পৃথিবীর চারপাশের কণার আচরণ বিশ্লেষণে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে এই তথ্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণভূমে পা রেখেছে ভারত। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) চন্দ্রবিজয়ের প্রতিটি মুহূর্ত ইউটিউবে স্ট্রিম করেছিল ইসরো। এই সময়টা বিশ্বে ইউটিউবে চোখ রেখেছিলেন ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সেই কারণে এবার ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউটিউব কর্তা। 

    স্পেনের রেকর্ড ভাঙল 

    বৃহস্পতিবার এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে ইসরোকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ইউটিউবের প্রধান নীল মোহন ওই অভিনন্দন জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এটা (চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ) দেখা খুব উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। ইসরোর গোটা টিমকে অনেক অভিনন্দন। এক সঙ্গে ৮ মিলিয়ন ভিউয়ার থাকা অসাধারণ একটি বিষয়।” পোস্টের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হয়েছে একটি ভিডিও-ও। সেখানে ধরা রয়েছে ইসরোর চাঁরমারির প্রতিটি মুহূর্ত। পোস্টের সঙ্গে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে সেটি ১৬ সেকেন্ডের। ইসরোর আগে রেকর্ড গড়েছিল স্পেন। স্পেনের এলবিএআইয়ের ৩৪ লক্ষ ভিউয়ারের বিশ্ব রেকর্ড ছিল। আর ইসরোর চন্দ্রাভিযান দেখেছেন ৮০ লক্ষের বেশি মানুষ।

    চন্দ্রভূমে ঘুমের দেশে 

    ২৩ অগাস্ট সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তারই পর পর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। পৃথিবীতে সেই সময় সন্ধে হলেও, চাঁদে হচ্ছিল সূর্যোদয়। চাঁদের একটি দিন মানে পৃথিবীতে ১৪ দিন। রাত্রিও ১৪ দিনের। প্রজ্ঞানে রয়েছে সৌর প্যানেল। তাই চাঁদে যতদিন দিনের আলো ছিল, ততদিন হেঁটে-চলে বেড়িয়ে নিজের কাজ করেছে প্রজ্ঞান। ছ’ পায়ে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও তুলেছে সে। বিক্রম আবার সেই ছবি পাঠিয়েছে আঁতুড়ঘর ইসরোয়। দিনের আলো থাকতে থাকতেই হাতের কাজ শেষ করেছে প্রজ্ঞান।

    আরও পড়ুুন: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    তারপর চাঁদে যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়েছে, গুটি গুটি পায়ে সে ফের গিয়ে সেঁধিয়ে গিয়েছে বিক্রমের পেটে। ঘুমিয়ে পড়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। চাঁদে এখন চলছে রাত। সূর্য উঠবে সেই ২২ তারিখে। সেদিন ফের বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে ওঠে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ইসরোর পাশাপাশি তামাম ভারতবাসীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, জানেন কি? তবে এটা জানলে অবাকই হবেন যে, চন্দ্রযান ৩ তৈরির যা বাজেট, তার ৫৭ শতাংশ মমতা বিলিয়েছেন পুজো কমিটিগুলিকে। দেশ যেখানে কম খরচে চাঁদে যান পাঠাচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকা ডোল দিল স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে? বাজারে অন্তত এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023) দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা করে। ইসরো এত কম খরচে চাঁদে চন্দ্রযান ৩ পাঠাল, অথচ এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে পুজোর ক্লাবগুলির পিছনে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দুর্গাপুজো কেবল উৎসব নয়! প্রচুর বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, তাই এই অনুদান। পাল্টা রাজ্যের অনুদান বিতরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তারা বলছে, ক্লাবের নামে তৃণমূলের চোরেদের টাকা দিচ্ছে সরকার। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অর্থ সঙ্কটের কথা বলছেন। তাহলে এই টাকা আসছে কোথা থেকে?

    মোট কত অনুদান দেওয়া হচ্ছে (Durga Puja 2023)?

    রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ অনুদান ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই বছর প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023)  ১০ হাজার করে টাকা বৃদ্ধি করে, মোট অনুদান দেওয়া হবে ৭০ হাজার টাকা। অর্থ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতার ৪ হাজার সহ রাজ্যের মোট ৪০ হাজার পুজোর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এক কথায় বেরিয়ে যাবে ২৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাবদ ৭০ কোটি ধরলে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। আর রাজ্যের পুজো কমিটিকে অনুদানের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা! ফলে সব মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে চন্দ্রযান তৈরি করতে যত টাকা খরচ হয়েছে, তার ৫৭ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী খরচ করছেন পুজোর ক্লাবগুলির জন্য। অথচ রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মিলছে না। তাই একে কটাক্ষ করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। যে টাকায় ভারতের চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পৌঁছেছে, সেই টাকার একটা বড় অংশ খরচ হচ্ছে উন্নয়নের জন্য নয়, ক্লাবগুলির জন্য। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বেলাগাম অনুদানে সরব হয়েছে বিজেপিও।

    তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়া হল!

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মতো মানুষরা ভারতের চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ নিয়ে অবিবেচকের মতো মন্তব্য করেছেন। তাঁর কাছে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ মানে অর্থের অপচয় করা মাত্র। রাজ্য সরকার যে অর্থ অপচয় করে পুজো কমিটিগুলিকে দিতে চলেছে, তা তো সাধারণ মানুষের করের টাকা। রাজ্য সরকার এইভাবে সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করতে পারে কি? রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করেছেন, এই পুজোর ক্লাবে অনুদান, কার্যত কিছু তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়ারই সমান। এছাড়াও বিজেপির কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, আমাদের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো (Durga Puja 2023) বেশ বড় পুজো। লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে সরকারের এই অনুদান গ্রহণ করছি না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L1: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

    Aditya L1: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল-১ (Aditya L1)। এর আগে পরপর দু’ বার সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তন করেছিল এই সৌরযান। শনিবার রাতে পেরলো তৃতীয় কক্ষপথটিও। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে আদিত্য এল-১-এর স্বাস্থ্য ঠিকই রয়েছে। সব যন্ত্রাংশও ঠিকঠাক রয়েছে। সবকিছু কাজ করছে ঠিকঠাকভাবে।

    আদিত্য এল-১

    ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে রওনা দেয় আদিত্য এল-১ (Aditya L1)। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথমবার কক্ষপথ পার হয় ভারতের এই সৌরযান। দ্বিতীয়বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে ৫ সেপ্টেম্বর। ৯ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটে নাগাদ আদিত্য এল-১ পার হয় তৃতীয় কক্ষপথ। পরবর্তী কক্ষপথটি পার হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

    ইসরোর লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে আদিত্য এল-১ যখন পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে থাকছে, তখন তার দূরত্ব দাঁড়ায় ২৯৬ কিলোমিটার। আর পৃথিবী থেকে যখন সব চেয়ে দূরে থাকে, তখন এর দূরত্ব বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ হাজার ৭৬৭ কিলোমিটার। ইসরোর লক্ষ্যই হল পৃথিবী-সূর্য সিস্টেমের হ্যালো কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এ আদিত্য এল-১কে (Aditya L1) পৌঁছে দেওয়া। এই পয়েন্ট থেকে গ্রহণ-বিহীনভাবে সূর্যের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ভারতের প্রথম সৌরযান।

    সূর্য সম্বন্ধে নানা তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে আদিত্য এল-১। উল্লেখ্য যে, পৃথিবী থেকে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এর দূরত্ব ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। আদিত্য এল-১কে (Aditya L1) পার হতে হবে আরও কয়েকটি কক্ষপথ। এই সব কক্ষপথ সফলভাবে পার হলে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট-১-এর দিকে এগোতে থাকবে এই সৌরযান। কক্ষপথের গেরো পার হলে নিজের গতিও বাড়াতে পারবে সে। লক্ষ্যে পৌঁছতে তার সময় লাগবে মাস চারেক। 

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদকে এক ইঞ্চিও জমি নয়, জানানো হল জি২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে

    মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে পাঁচটি ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা পার্কিং এরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে ভারত প্রেরিত সৌরযানটি থাকবে পয়েন্ট ১-এ।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share