Tag: ISRO

ISRO

  • JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছেন। হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

    ‘জোন’ ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন 

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশকে আলাদা ‘জোন’ হিসাবে ভাগ করে পরিদর্শন করে ইসরোর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরলেও এদিন তাঁরা মেন হস্টেলেও যান। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।উপাচার্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা বলেছিলেন। যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার

    সূত্রের খবর, মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই (RFDI)কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইসরো।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা।  এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে এই প্রতিনিধি দল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: প্রজ্ঞানের পর চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ বিক্রমও! জাগবে কবে?

    Chandrayaan-3: প্রজ্ঞানের পর চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ বিক্রমও! জাগবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন হল! এবার ‘বিশ্রাম’ নেওয়ার পালা। প্রজ্ঞানের মতোই এবার চাঁদের পৃষ্ঠে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ ল্যান্ডার বিক্রমও। ইসরোর তরফে সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানান হয়েছে, ল্যান্ডারটিকে সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানো হয়েছে। তবে তার আগে আরেকটি কাজও সেরেছে সে। বিক্রমের ইঞ্জিনকে সচল করে তাকে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৪০ সেমি তুলে নেওয়া হয়েছে এদিন। তারপর আবার তাকে অবতরণ করানো হয়েছে আগের পজিশন থেকে ৪০ সেমি দূরে। সেই ভিডিও-ই প্রকাশ করেছে ইসরো। 

    স্লিপ মোডে বিক্রম

    ইতিমধ্যেই  অফ করে দেওয়া হয়েছে বিক্রমের সমস্ত স্যুইচ। স্লিপ মোডে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকেও। তবে এখনই ঘুমিয়ে পড়ছে না বিক্রম। তার ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনও। চাঁদেও এখনও বেশ কিছুটা সূর্যালোক রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি রাত নামলে, বিক্রমের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে সে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

    তবে এখনই ঘুমিয়ে পড়ছে না বিক্রম। তার ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনও। চাঁদেও এখনও বেশ কিছুটা সূর্যালোক রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি রাত নামলে, বিক্রমের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে সে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে ফের সূর্যের আলো উঠলে ঘুম ভাঙবে ল্যান্ডার এবং রোভারেরও।

    আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    লাফ দিল বিক্রম

    চাঁদের পৃষ্ঠে লাফ দিচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রম। ধুলো উড়ছে। চার পায়ে ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় লাফ দিয়েছে ছোট্ট বিক্রম। ঠিক সেই সময়ে ল্যান্ডারটি ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্বও কভার করেছে। ইসরো ট্যুইট করে জানিয়েছে যে, বিক্রম আবার সফট ল্যান্ডিং করেছে। বিক্রম ল্যান্ডার তার মিশনের উদ্দেশ্যের চেয়ে বেশি তথ্য দিচ্ছে।” এই লাফের পর চাঁদের মাটি থেকে ফেরার প্রাথমিক প্রস্তুতি সফল হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    লাফ দেওয়ার সময়ে বিক্রম ল্যান্ডারের সমস্ত যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করেছে। লাফ দেওয়ার আগে বিক্রম ল্যান্ডারের র‌্যাম্প, চেস্ট এবং আইএলএসএ পেলোডগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আবার সফট ল্যান্ডিংয়ের পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার আগে কাউন্টডাউন করেছিলেন বিজ্ঞানী এন ভালারমতি। এই বিজ্ঞানীর কণ্ঠস্বরেই সারা বিশ্ব জানতে পেরেছিল প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ভারতবর্ষ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিজ্ঞানী ভালারমতি (Chandrayaan 3)। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারাদেশে।

    এন ভালারমতির সংক্ষিপ্ত জীবন

    ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্ম হয় বিজ্ঞানী এন ভালারমতির। জানা যায় ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি ইসরোর কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট মহাকাশের সফলভাবে স্থাপিত হয় ২০১২ সালে। এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন ভালারমতি। যেকোনও বিষয়ে ইসরোতে তাঁকে ধারাভাষ্য দিতে শোনা যেত। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ুর আব্দুল কালাম পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, “শ্রীহরিকোটায় ইসরোর (Chandrayaan 3) পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”

    ফের অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের, কীভাবে? 

    অন্যদিকে, ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে,  ফের একবার চাঁদের বুকে অবতরণ করানো হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমকে (Chandrayaan 3)। কিন্তু কীভাবে? আসলে এটির উপর একটি হপ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মানে বিষয়টি সরলভাবে বললে দাঁড়ায়, ইঞ্জিনগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে। এই সময় প্রত্যাশিতভাবে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3) চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার উপরে উঠে পড়ে। এরপর সেই স্থান থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে গিয়ে আবার সফলভাবে ল্যান্ডিং করে। এই পদ্ধতিকে কিকস্টার্টও বলা হয়ে থাকে।  এতে ভবিষ্যতে মানব মিশন পাঠানোর ব্যাপারে আরও উৎসাহ পাওয়া গেল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Chandrayaan 3)। সাধারণভাবে এই পদ্ধতিতে পুনরায় স্টার্ট করে ল্যান্ডারকে (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করানো হয়, সংযোগ করা হয় মূল মহাকাশযানে সঙ্গে তারপর তা পৃথিবীতে ফিরে আসে। অ্যাপোলো মিশনগুলিতে এভাবেই ৪ বার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ফিরে এসেছিলেন নাসার মহাকাশচারীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদে ঘনাচ্ছে আঁধার, ‘হাতের কাজ’ শেষ করে বিক্রমের পেটে সেঁধিয়ে গেল প্রজ্ঞান

    Chandrayaan 3: চাঁদে ঘনাচ্ছে আঁধার, ‘হাতের কাজ’ শেষ করে বিক্রমের পেটে সেঁধিয়ে গেল প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করে ফেলল চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে আঁধার ঘনাতে আর বেশি দেরি নেই। চন্দ্রালোকে রাত্রি নামলে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

    কাজ শেষ করল প্রজ্ঞান

    সোলার প্যানেলের সাহায্যে কাজ করছে প্রজ্ঞান। তাই চাঁদে যে সময়টা সূর্যালোক থাকবে না (পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন), সেই সময়টা কাজ করতে পারবে না প্রজ্ঞান। তাই সোলার প্যানেল ফুল চার্জ করিয়ে নিয়ে ল্যান্ডার বিক্রমের পেটে সেঁধিয়ে গিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদে সূর্যোদয় হলে তখনও যদি জীবনীশক্তি থাকে, তাহলে ফের কাজ শুরু করবে প্রজ্ঞান। হাড়হিম করা ঠান্ডায় শক্তিহীন হয়ে পড়লে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চিরতরে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে রয়ে যাবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।

    চন্দ্রযান ৩

    প্রসঙ্গত, ১৪ জুলাই দেশের মাটি ছেড়ে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয় চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। টানা চল্লিশ দিন জার্নি করে ২৩ অগাস্ট চাঁদে পা রাখে চন্দ্রযান ৩। এদিন ভোরে চাঁদের মাটিতে পা রাখে ইসরো প্রেরিত এই যান। তার পর বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে কাজ শুরু করে দেয় প্রজ্ঞান। যে কাজ দিয়ে প্রজ্ঞানকে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল, ইতিমধ্যেই সেই কাজ শেষ করে ফেলেছে এই রোভার। শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে ইসরোর তরফে লেখা হয়, “চন্দ্রযান ৩-এর রোভার সব অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে ফেলেছে। নিরাপদ স্থানে তাকে পার্কিং করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার স্লিপ মোড সেট করে দেওয়া হয়েছে। এপিএক্সএস এবং এলআইবিএস পেলোডগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পেলোডগুলি থেকে পাওয়া সমস্ত ডেটা ল্যান্ডার বিক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    এদিকে, স্লিপ মোডে যাওয়ার আগে চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা চালাচ্ছিল প্রজ্ঞান। প্রতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতিতে এগোতে পারে সে। ইসরোর এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, “চাঁদের মাটিতে এখনও পর্যন্ত ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে প্রজ্ঞান। শিবশক্তি পয়েন্ট (যে স্থানে ল্যান্ডারটি অবতরণ করেছিল) থেকে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করেছে এখনও পর্যন্ত।”

    আরও পড়ুুন: লোডশেডিং-এ জেরবার, সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ইসরোর তরফে জানানো হয়, চাঁদের (Chandrayaan 3) মাটিতে ইতিমধ্যেই সালফার, অক্সিজেন, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন শনাক্ত করেছে প্রজ্ঞান। চাঁদে হাইড্রোজনের খোঁজও করছিল রোভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • New Spaceport: তামিলনাড়ুতে আরও একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ছে ইসরো, সবুজ সংকেত মিলল কেন্দ্রের  

    New Spaceport: তামিলনাড়ুতে আরও একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ছে ইসরো, সবুজ সংকেত মিলল কেন্দ্রের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে চন্দ্রাভিযানের। সূর্যের তথ্য জোগাড় করতে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল-ওয়ান। আরও একাধিক উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর। সেই কারণে ক্রমশই চাপ বাড়ছে তামিলনাড়ুর শ্রীহরিকোটায়। সেজন্য দীর্ঘ দিন ধরে আরও একটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের (New Spaceport) প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন ইসরোর কর্তারা। এজন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদনও করেছিলেন।

    লঞ্চপ্যাডে মিলল সবুজ সংকেত

    শেষমেশ মোদি সরকারের তরফে মিলল সবুজ সংকেত। এই উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটিও হতে চলেছে তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুরই কুলাসেকারাপত্তিনামে গড়ে উঠবে এই উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। তবে বড় স্যাটেলাইটগুলি যেমন শ্রীহরিকোটা থেকে উক্ষেপণ করা হচ্ছিল, তেমনি হবে। আর স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চিং ভেহিক্যালসগুলি উৎক্ষেপণ করা হবে নয়া ওই উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে। রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।

    শেষের পথে জমি অধিগ্রহণের কাজ

    মহাকাশ গবেষণায় ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। তাই বিশ্বে বাড়ছে ভারতের কদর। তাই ঠিক হয়েছে, কুলাসেকারাপত্তিনামে যে নয়া উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি (New Spaceport) গড়ে উঠবে, সেখানে বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানিগুলিকেও উৎক্ষেপণ করতে দেওয়া হবে। এই কোম্পানিগুলি কক্ষপথে ছোট উপগ্রহ পাঠায়। ইসরোর চেয়ারম্যান এ সোমনাথ জানিয়েছেন,  কুলাসেকারাপত্তিনামে ইসরো যে নয়া লঞ্চপ্যাড তৈরি করছে, সেটা হচ্ছে থুথুকুড়ি জেলায় তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর। ২ হাজার একর জমিতে গড়ে উঠবে এই লঞ্চপ্যাড। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার ইসরোকে ৯৯ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেছে। ইসরো কর্তা বলেন, “নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে লঞ্চপ্যাডটি পুরোপুরি কাজ শুরু করতে অন্তত দু বছর লাগবে। যাইহোক, আমরা সেখান থেকে সাব-অর্বিটাল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হব।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    জানা গিয়েছে, নয়া লঞ্চপ্যাডটি (New Spaceport) যে অঞ্চলে গড়ে উঠছে, সেই এলাকায় স্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলতে চাইছে তামিলনাড়ু সরকার। অগ্নিকুল কসমসের সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীনাথ রবিচন্দরণ বলেছিলেন, “ছোট ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কুলাসেকারাপত্তিনাম খুব সুন্দর জায়গা। নিয়ম হল, আপনি যদি অরবিটে থাকেন, তাহলে আপনি একটি এলাকার ওপর দিয়ে উড়তে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি আন্টার্টিকার ওপর দিয়ে উড়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে আপনি অরবিটে রয়েছেন।” ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে একটি কার্গো ট্রাক এবং চারটি ক্যারাভান লাগে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Aditya-L1: “আদিত্য এল ওয়ান” নির্মাণে বিশেষ ভুমিকা রয়েছে রাণীগঞ্জের কৃতি সন্তান সানি মিত্রের

    Aditya-L1: “আদিত্য এল ওয়ান” নির্মাণে বিশেষ ভুমিকা রয়েছে রাণীগঞ্জের কৃতি সন্তান সানি মিত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর মিশন সূর্যের আদিত্য এল ওয়ান (Aditya-L1) প্রযুক্তির টিমে বিশেষ কৃতিত্ব রেখেছেন রাণীগঞ্জের বাঙালি সন্তান সানি মিত্র। কয়েকদিন আগেই চন্দ্রযান ৩ এর মতন মিশনে কাজ করে সুনাম অর্জন করে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের এই বাঙালি যুবক। সূর্যের গগন অভিযানে এই বাঙালী যুবকের ভূমিকায় জেলাবাসী আপ্লুত।

    সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান (Aditya-L1)

    চন্দ্রযান ৩ মিশনের মতন সূর্যের আদিত্য এল ওয়ানেও (Aditya-L1) বিশেষ প্রযুক্তির কাজ করছেন রাণীগঞ্জের বাঙালি সন্তান সানি মিত্র। শনিবার সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রী হরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ওয়ান। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে এল ওয়ানে অবস্থান করবে এই সৌরযান। এই সৌরযানের অবস্থান বিন্দু দাঁড়াবে পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে। এই বিষয়ে ইসরোর মহানির্দেশক এস সোমনাথন্‌ বলেন, এই সৌরযান সঠিক ব্যাসার্ধে পৌঁছাতে সময় লাগবে মোট ১২৫ দিন। সূর্যের বাইরে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে, তাঁর উপর বিশেষ সংবাদ দেবে এই আদিত্য এল ওয়ান। সৌরমণ্ডলের আরও অজানা তথ্য যেমন সূর্যের রশ্মি, ওজন স্তর সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানতে সাহায্য করবে এই সৌরযান।

    রাণীগঞ্জের বিজ্ঞানী সানি মিত্র

    সানি মিত্র ইতিমধ্যেই ইসরোতে চন্দ্রযান ৩ এর মধ্যে বিকাশ ইঞ্জিনের বিভাগে কাজ করেছেন। এবার সৌরযানেও তাঁর বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে। সৌরযানেও (Aditya-L1) সানি মিত্র বিকাশ ইঞ্জিন বিভাগে কাজ করছেন। সানির পড়াশুনা মূলত দুর্গাপুরে। ইংরেজি মাধ্যমের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনা করতেন সানি। এরপর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে খড়গপুর আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক এবং স্নতকোত্তর পাশ করেন। এরপর ২০১৮ সালে ইসরোতে যোগদান করেন তিনি। তাঁর কৃতিত্বে বাংলার মুকুটে আরেক পালক সংযোজন হল বলে মনে করছেন জেলাবাসী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) মিশনের জন্য ইসরোর অন্য বিজ্ঞানীদের দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ছেলে জয়ন্ত পাল। শনিবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে আদিত্য এল-১ (Aditya- L1)-র উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইসরো। এদিন সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই ইসরো-র আদিত্য এল-১ (Aditya- L1) মিশনের সাফল্য কামনা করেন।

    কী বললেন বিজ্ঞানীর পরিবারের লোকজন? (Aditya- L1)

    বাদুড়িয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে জয়ন্তবাবু। ২০১৮ সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। সেই অভিযান পুরোপুরি সফল না হলেও, সাফল্য এসেছে ২০২৩-এ। চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর সেই অভিযানের টিমেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার তিনি। এবার সূর্যযানেও (Aditya-L1) অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন জয়ন্ত। তবে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জয়ন্ত যে এভাবে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে তা বাবা-মায়ের আশার অতীত ছিল। আজ বাদুড়িয়া তথা গোটা বাংলার গর্ব জয়ন্ত। জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক আনুকুল্য তেমন ছিল না কোনও দিনই। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্নপূরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর মা আলপনা পাল ছেলেকে শিক্ষার পথ থেকে সরে যেতে দেননি কখনও। সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল ও মা আলপনা পাল। আলপনা দেবী বলেন, আমি মা হিসেবে চাই জয়ন্তর নাম একদিন গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব যেন জানতে পারে। জয়ন্ত পালের বাবা অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ছেলে ফের এত বড় ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। এদিন জন প্রতিনিধি থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পাল বাড়িতে ভিড় জমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্টের ২৩ তারিখই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। গড়েছে নতুন ইতিহাস। প্রথম কোনও দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পেরেছে আমাদের ভারত। এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সূর্য অভিযানের। শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটি থেকে এই মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। সৌর মিশনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে ইসরোতে। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই সূর্যকে নিরীক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা (Aditya-L1) চালাবেন অনুসন্ধান এবং গবেষণা।

     

     

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিটে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১  

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা পিএসএলভি-এক্সএল রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। নজরদারি চালাবে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের আবরণের। এর ফলে সৃষ্টির আদিতে সূর্য কেমন ছিল! সূর্য (Aditya-L1) ভবিষ্যতে কিরকম হতে পারে! তার অনেক কিছুই জানা যাবে। এই অভিযানের মাধ্যমে। এই আবহে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘সফলভাবে উৎক্ষেপণের (Aditya-L1) মহড়া শেষ হয়েছে। এদিকে সব যন্ত্রাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, সেই পরীক্ষাও সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’’

    সৌরমিশনের আরও খুঁটিনাটি

    সূর্যের উপর গবেষণা চালানোর জন্য রয়েছে ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট। জানা যায়, গণিতবিদ জোসেফ লুইস ল্যাগ্রাঞ্জ এই পয়েন্টের আবিষ্কারক ছিলেন। এখান থেকে নিরাপদ ভাবে সূর্যকে নিরীক্ষণ (Aditya-L1) করা যায়। পর্যবেক্ষণ করা যায়। কোন রকমের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই। সব তথ্য এখান থেকে হাতে পাওয়া সম্ভব। ইসরোর মহাকাশযান এই ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট থেকে এই সূর্যকে গবেষণা চালাবে। জানা গিয়েছে, এই মহাকাশযান আগামী পাঁচ বছর ধরে সূর্যকে নিরীক্ষণ করবে। প্রসঙ্গত, সূর্যকে পর্যবেক্ষণ (Aditya-L1) করতেই প্রথম কোনও উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট সাতটি যন্ত্র। এই উপগ্রহের মূল পেলোডটি তৈরি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্র ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেবে ১২৫ দিন। যেখানে এই স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে সেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫ লাখ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3 Update: কেঁপে উঠল চাঁদ! চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম কী বার্তা দিল ইসরোকে?

    Chandrayaan-3 Update: কেঁপে উঠল চাঁদ! চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম কী বার্তা দিল ইসরোকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদেও কি ভূমিকম্প হয়? বৃহস্পতিবার ইসরো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3 Update) মিশন পরিচালিত আরেকটি ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে। সেখানেই মিলেছে এই মহাজাগতিক ঘটনার প্রমাণ। লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (ILSA) নতুন একটি তথ্য রেকর্ড করেছে। ঘটনাটিকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করছে ইসরো। তবে এবিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    ইসরোর ট্যুইট

    ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশন, ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র – চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারে লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (আইএলএসএ) পেলোড চাঁদে প্রথম মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম (এমইএমএস) প্রযুক্তি-ভিত্তিক যন্ত্র রোভারের ও অন্যান্য পেলোডের গতিবিধি রেকর্ড করেছে। উপরন্তু ২৬ অগাস্ট ২০২৩-এ এমন একটি ঘটনা রেকর্ড করেছে যা একটি ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে এবিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।

    কী কী তথ্য পেল ইসরো

    চাঁদের মাটিতে নানান ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ তাতে সাহায্য করছে। আর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3 Update) এর খুঁজে বের করা জিনিসপত্রের ফলাফল থেকেই দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে কম্পন খেলে যাওয়ার বিষয়টি ‘প্রাকৃতিক’। এছাড়াও, রোভার প্রজ্ঞান ও বাকি পেলোড চাঁদের মাটিতে চলাচলের ফলে যে কম্পন হচ্ছে, তাও রেকর্ড করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডারে ‘ইনসট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসেমিক অ্যাক্টিভিটি পে লোড’ নিজের কাজ চালাচ্ছে। তার দৌলতেই চাঁদের মাটিতে কিছু ‘মুভমেন্ট’ রেকর্ড করতে পারা গিয়েছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    চন্দ্রযান-৩ এর ‘ইনসট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসেমিক অ্যাক্টিভিটি পে লোড’ -এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে কোথায় স্বাভাবিক কম্পন হচ্ছে, কোথায় কম্পনের প্রভাব রয়েছে, আর্টিফিশিয়াল কোনও ঘটনা ঘটছে কি না, তার সম্পূর্ণটা রেকর্ড করা।  সামনে এসছে আরও একটি তথ্য। ইসরো বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, চাঁদের যে অংশে বিক্রম অবতরণ করেছে, সেখানকার তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। কিন্তু সেই ভাবনা ছিল ভুল। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, সেখানকার তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ইসরোর কাছে সময় চাইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কেন জানেন?

    Jadavpur University: ইসরোর কাছে সময় চাইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তার পরেই যাদবপুরে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন ইসরো কর্তা।

    সময় চাইল বিশ্ববিদ্যালয় 

    ঠিক হয়েছিল, ইসরোর এক প্রতিনিধি দল আসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেও। তবে দু এক দিনের মধ্যেই যাদবপুরে আসছে না ইসরোর প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ তাঁদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসেছেন গণিতের শিক্ষক বুদ্ধদেব সাউ। ছাত্রমৃত্যুর ব্যাপারে যে পরিমাণ নথি জোগাড় করা প্রয়োজন ছিল, তা এখনও করে উঠতে পারেননি তিনি। তাই সপ্তাহখানেক সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে ইসরোর কাছে।

    অস্বাভাবিক মৃত্যু পড়ুয়ার 

    দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় স্নাতক বাংলা প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। নদিয়ার ওই ছাত্রমৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তার পরেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বলেন আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়রে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। ইসরোর প্রতিনিধি দলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার অনুরোধ জানান রাজ্যপাল। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই যাদবপুরে আসছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    জানা গিয়েছে, ইসরোর প্রতিনিধি দল মূলত দেখবে স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করা যায় কিনা। ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মদ-মাদক নিয়ে প্রবেশ বন্ধ করতে কোনও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ধরনের যন্ত্র বসানো রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে সিসি ক্যামেরাও বসানো হচ্ছে বলে খবর। এজন্য রাজ্যের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা পাঠানো হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে, শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই যোগ দেবেন ওই বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share