Tag: ISRO

ISRO

  • Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার মডিউল চাঁদে নামার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে পা রাখবে ভারত। চার বছরে ব্যর্থ হয়েছে তিনটি অভিযান। এবার তাই সদা সতর্ক ইসরো। ‘চন্দ্রযান ২’ চাঁদের সামনে গিয়েও চাঁদে পা রাখতে পারেনি। তবে সেই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর রূপরেখা তৈরি করেছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। বুধবার অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পরই শুরু হবে আসল কাজ।

    কী করবে বিক্রম

    ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে একটা গোটা দিন (পৃথিবীতে ১৪ দিন) তার কাজ চালিয়ে যাবে। ল্যান্ডারে ৩টি পেলোড এবং ১টি রোভার রয়েছে। এছাড়াও এতে ৫ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে, যা পৃথিবীতে প্রচুর তথ্য পাঠাবে। সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবে। তবে রোভার শুধুই তথ্য সংগ্রহ করবে। কিন্তু পৃথিবীতে সেই সব তথ্য পাঠানোর কাজ হবে ল্যান্ডারের। এক্ষেত্রে, ল্যান্ডার যোগাযোগ রাখছে চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ‘চন্দ্রযান ৩’ প্রোপালশন মডিউল এবং ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমে রিলে পদ্ধতিতে সেই তথ্য পৃথিবীতে বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন অপারেশনস কন্ট্রোলে (MOX) এসে পৌঁছবে।

    চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের চিহ্ন

    চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরেই, বিক্রম ল্যান্ডারের এক পাশের প্যানেলটি খুলে যাবে। বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেরিয়ে একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারের ছয়টি চাকায় খোদিত রয়েছে জাতীয় পতাকার ছবি ও ইসরোর লোগো। ল্যান্ডারটি অবতরণের চার ঘণ্টা পরে বেরিয়ে আসবে এই রোভার। তারপর প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি বেগে ঘুরে-ফিরে বেড়াবে। অবতরণ স্থলের চারপাশ স্ক্যান করতে ব্যবহার করবে নেভিগেশন ক্যামেরা। রোভারটি ঘুরে ফিরে বেড়ানোর সময় চাঁদের পৃষ্ঠে ভারতের পতাকা ও ইসরোর লোগোর ছাপ পড়ে যাবে। ভারতের চিহ্ন আঁকা হবে চাঁদের বুকে।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    প্রবল ঠান্ডা সইতে হবে

    ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছে, রোভারের পেলোডগুলিতে ইনস্টল করা যন্ত্রগুলি চাঁদের সমস্ত ডেটা পাঠাবে। এগুলি চাঁদের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও দেবে। ল্যান্ডারে তিনটি পেলোড রয়েছে। এটি ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চাঁদের প্লাজমার ঘনত্ব, তাপমাত্রা এবং ভূমিকম্প পরিমাপ সবকিছুই করবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় বাড়ানো হতে পারে। এক চন্দ্রদিনের পরিবর্তে দুই চন্দ্রদিনও কাজ করতে পারে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তবে সেক্ষেত্রে ল্যান্ডার ও রোভারটিকে দ্বিতীয় চন্দ্রদিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে দক্ষিণ মেরুতে এক চন্দ্ররাতে (পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন) মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিমাঙ্কের তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: ‘ওয়েলকাম বন্ধু’! চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ‘বিক্রম’-এর

    Chandrayaan-3: ‘ওয়েলকাম বন্ধু’! চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ‘বিক্রম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা মতো চললে আর এক দিন পরেই চাঁদের পৃষ্ঠে পা রাখবে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। ২৩ অগাস্ট, বুধবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইতিহাস লিখবে ভারত। তার আগে চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান -৩ এর বিক্রমের সঙ্গে দেখা হল ২০১৯-এর চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের। তাদের সেই হঠাৎ দেখার পর ইসরো সামনে আনল কী কথা হল তাদের!

    ইসরোর ট্যুইট-বার্তা

    ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, ‘স্বাগত বন্ধু’, চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারটি আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানিয়ছে চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan-3) ল্যান্ডার মডিউলকে (LM)। দু’জনের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ল্যান্ডার মডিউলে পৌঁছানোর জন্য এমওএক্স-এর কাছে এখন আরও রুট রয়েছে ৷ অবতরণ প্রক্রিয়া (ল্যান্ডিং ইভেন্ট) সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে বুধবার ৫টা ২০ মিনিটে।

    সেই কবে ২০১৯ সালে পৃথিবী ছেড়ে চাঁদের পথে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান-২। সেই মিশন ব্যর্থ হলেও ১০০x১০০ কিলোমিটার কক্ষপথে আজও রয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার। চন্দ্রযান-২ অভিযানের সময় ইসরোর ডিরেক্টর ছিলেন কে শিবন। ওই অভিযানের দায়িত্বও ন্যস্ত ছিল তাঁর হাতে। শেষ মুহূর্তের গোলযোগে সে বার সফট ল্যান্ডিংয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। একই সঙ্গে তিনি জানালেন, চন্দ্রযান-২-এর অভিজ্ঞতা থেকেই এবার এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ব্যর্থতার সম্ভাবনা যতটা সম্ভব কমানো যায়। এজন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই অতিরিক্ত ব্যবস্থাগুলিও দেশেই তৈরি, জানান কে শিবন।

    আরও পড়ুন: বুধবার সন্ধেয় চাঁদে পা ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! কখন-কোথায় সরাসরি সম্প্রচার, জেনে নিন

    সতর্ক চন্দ্রযান-৩

    বুধবার চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ অবতরণ করতে পালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার ইতিহাস তৈরি করবে ভারত। এছাড়াও সার্বিক ভাবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে অবতরণের নজির গড়বে ভারত। চাঁদে অবতরণের পর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর ভিতর থেক বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেটি চাঁদের পিঠে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সংগঠিত করবে। এদিন আরও একটি পোস্ট করেছিল ইসরো। তাতে দেখা যাচ্ছে, সঠিক এলাকায় সঠিক ভাবে অবতরণের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ল্যান্ডার। চাঁদের মাটিতে চারদিকে গর্ত, মাটি অসমান, বন্ধুর। যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে পাথর। চাঁদের মেরু লাগোয়া এলাকার এমনই ছবি প্রকাশ্যে এনেছিল ইসরো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3 Landing: বুধবার সন্ধেয় চাঁদে পা ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! কখন-কোথায় সরাসরি সম্প্রচার, জেনে নিন

    Chandrayaan 3 Landing: বুধবার সন্ধেয় চাঁদে পা ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! কখন-কোথায় সরাসরি সম্প্রচার, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ২৩ অগাস্ট বুধবার সন্ধেয় পালকের মতো চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Landing)। আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে ইসরো। কমিয়ে আনা হয়েছে গতি। 

    গতি কমানো হল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর

    রবিবার দুপুরে রুশ মহাকাশযান ‘লুনা-২৫’ আছাড় খেয়ে পড়েছে চাঁদে। ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার মুন মিশন। এই ছবি দেখেই ‘স্লো বাট স্টেডি’ পদক্ষেপ করতে আগ্রহী ইসরো (ISRO)। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাই আরও বেশ খানিকটা গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর। ইসরো সূত্রে খবর, প্রতিটি পদক্ষেপ অতি সন্তর্পণে করা হচ্ছে। শেষ ল্যাপেই চাঁদের কক্ষপথে তাই ডি বুস্টিং করা হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর। অর্থাৎ গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । তাই ২৩ অগাস্ট পৌনে ৬টা নয়, আরও ১৯ মিনিট পিছিয়ে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে শিডিউল করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডিংয়ের সময়। ঝুঁকি এড়াতেই এই ১৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় নিল ইসরো। 

    রবিবার এ নিয়ে বিবৃতি জারি করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, অবতরণের আগের পর্যায়ে চাঁদের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ২৩ অগাস্ট বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে পালকের মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।

    আরও পড়ুন: চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান, ৪৭ বছর পরে অভিযান ব্যর্থ মস্কোর

    ঘরে বসে চাঁদে অবতরণ দেখার সুযোগ

    ঘরে বসেই চাঁদে চন্দ্রযানের অবতরণ দেখার সুযোগ মিলবে। ইসরো জানিয়েছে, গোটা  বিশ্বের মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানের অবতরণ দেখতে পারবেন সরাসরি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ২৭ মিনিটে ইসরো-র ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। ইসরোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট isro.gov.in, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং ডিডি ন্যাশনাল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সফট ল্যান্ডিং। এর পাশাপাশি ডিডি ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলেও দেখানো হবে সরাসরি চাঁদে অবতরণের ছবি (Chandrayaan 3 Landing Broadcast)। ‘চন্দ্রযান ৩’ সফল ভাবেই চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী ইসরোর প্রধান কে শিবন। ইসরোর তরফে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে, দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে লাইভ সম্প্রচার দেখার সুযোগ করে দেওয়া হোক। দেশের প্রতিটি পড়ুয়া ‘চন্দ্রযান ৩’-এর চাঁদে অবতরণের সাক্ষী থাকুক, আশা ইসরো প্রধানের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চাঁদের আরও কাছে! বৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রযান ৩, কী বলল ইসরো?

    Chandrayaan-3: চাঁদের আরও কাছে! বৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রযান ৩, কী বলল ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সফল ভাবে করে ফেলল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরই চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩, আশা করছে ইসরো। ১৬ অগাস্ট সফলভাবে কক্ষপথ উত্তোলনের কাজ সফল করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরোর দেওয়া খবর অনুসারে, এখন ১৫৩ কিমি x ১৬৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে চন্দ্রযান ৩। এর আগে সোমবার একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদের আরও কাছে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান। 

    ইতিহাসের পথে ইসরো

    ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৭ অগাস্ট, প্রপালশন মডিউল থেকে পৃথক হয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সহজ কথায় বলতে গেলে চন্দ্রযান-৩ থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তারপর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো হালকা স্পর্শে চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩। শেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে চন্দ্রযান ৩ কে। অতীতে অত্যন্ত দুর্গম খানাখন্দে ভরা ওই এলাকায় বিশ্বের কোনও মহাকাশযান অবতরণ করেনি। ফলে সেখানে নয়া আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দ্রযান ৩ মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন স্থাপন করতে পারবে ইসরো। তবে সেখানকার মাটি আক্ষরিক অর্থেই ডেলিকেট অর্থাৎ অত্যন্ত নরম। মাটি স্পর্শ করে অবতরণ বা ল্যান্ড করাই সেখানে এক বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন চাঁদে মহাকাশযানের সফল অবতরণ করিয়েছে। তবে তা হয়েছে চাঁদের উত্তর মেরুতে। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে বিশ্বের কোনও মহাকাশযান। ইসরো জানিয়েছে, আগে থেকে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য যে অরবিট রিডাকশন ম্যান্যুভার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পথেই সফলভাবে অগ্রসর হয়েছে ভারতের মহাকাশযান। 

    আরও পড়ুন: চাঁদেও ট্রাফিক জ্যাম! চন্দ্রযান-৩ ছাড়াও কক্ষপথে একাধিক স্যাটেলাইট

    ইসরোর স্বপ্নের উড়ান

    উল্লেখ্য, মাত্র ৬০০ কোটি টাকায় চন্দ্রযান ৩ মিশন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর স্বল্প ব্যয়ে এই স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দেওয়া স্বপ্ন সত্যি করার জন্য সমস্ত দেশের থেকে প্রশংসা কুড়োচ্ছে ভারত। ইসরোর এক আধিকারিকের কথায়, “মিতব্যয়ী উদ্ভাবনী তত্ত্বে এই পুরো মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অত্যন্ত অল্প টাকা খরচ করা হয়েছে। চাঁদে পৌঁছতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগলেও জ্বালানি এবং টাকা যাতে সাশ্রয় করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টা করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO Gaganyaan Mission: গগনযান মিশন সফলে সিরিজ পরীক্ষা ইসরোর, জানুন বিশদে

    ISRO Gaganyaan Mission: গগনযান মিশন সফলে সিরিজ পরীক্ষা ইসরোর, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাফল্যের পালক ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, সংক্ষেপে ইসরোর (ISRO Gaganyaan Mission) মুকুটে! সফলভাবে শেষ করল ড্রোগ প্যারাশুটের পরীক্ষা। গগনযান মিশনের লক্ষ্যেই চালানো হল এই পরীক্ষা। ইসরো জানিয়েছে, সফল হয়েছে এই পরীক্ষা। ইসরোর আশা, গগনযান মিশন সফল হলে নভঃশ্চরদের নিরাপদে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া ও ফিরে আসা যাবে। কোনও গতিশীল বস্তুর গতি এবং ভারসাম্য কমাতেও ড্রোগ প্যারাশুট মোতায়েন করা হয়। 

    বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে পরীক্ষা

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চণ্ডীগড়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির রেল ট্র্যাক রকেট স্লেড ড্রোগ প্যারাশুট ডিপ্লয়মেন্ট পরীক্ষা চালানো হয়েছে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। স্পেস সেন্টারটি রয়েছে তিরুবনন্তপুরমে। এডিআরডিই এবং ডিআরডিওর সহযোগিতায় এই সিরিজ পরীক্ষা করেছে ইসরো। ইসরো (ISRO Gaganyaan Mission) জানিয়েছে, শঙ্কু আকারের এই প্যারাশুটের ব্যাস ৫.৮ মিটার। জানা গিয়েছে, ড্রোগ প্যারাশুটের কার্যক্ষমতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি আরটিআরএস টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন টেস্ট ভেহিক্যাল-ডিওয়ান মিশনে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সেটি যে প্রস্তুত, তা বোঝা গিয়েছে।

    ১০টি প্যারাশুটের সাহায্য

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, গগনযান মিশন শেষ করে মহাকাশযানটি যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে, তখন ১০টি প্যারাশুটের সাহায্য নেওয়া হবে। প্রথমে খোলা হবে দুটি প্যারাশুট। পরে খোলা হবে আরও দুটি। মহাকাশযানের ভারসাম্য বজায় রাখতেই খোলা হবে দ্বিতীয় ধাপের দুই প্যারাশুট। তিন মহাকাশচারীর ব্যবহারের জন্য রয়েছে তিনটি প্যারাশুট। এই প্যারাশুটগুলিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (ISRO Gaganyaan Mission) পালন করবে গগনযান অবতরণের ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুুন: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    গগনযান মিশন হবে ইসরোর প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযান। এই মিশন সফল হলে ভারত হবে চতুর্থ। ভারতের আগে থাকবে কেবল আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন। কিছুদিন আগেই চন্দ্রযান ৩ পাঠিয়েছে ইসরো। ইতিমধ্যেই সেই যান প্রবেশ করেছে চাঁদের কক্ষপথে। যানটি ল্যান্ড করার কথা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এই মেরুতে ল্যান্ড করতে হলে যানটিকে পেরতে হবে সব মিলিয়ে পাঁচটি ধাপ। ইতিমধ্যেই এর দুটি ধাপ পেরিয়ে গিয়েছে ইসরো প্রেরিত চন্দ্রযান ৩। বাকি তিন ধাপ পেরিয়ে গেলেই সফল হবে ইসরোর (ISRO Gaganyaan Mission) মিশন চন্দ্রযান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gaganyaaan Mission: জোর কদমে চলছে গগনযান মিশনের প্রস্তুতি, ইসরোর পাশাপাশি ব্যস্ত নৌবাহিনীও, কেন জানেন?

    Gaganyaaan Mission: জোর কদমে চলছে গগনযান মিশনের প্রস্তুতি, ইসরোর পাশাপাশি ব্যস্ত নৌবাহিনীও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে প্রথমবার মহাকাশে নভোশ্চর পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ইসরো। নাম দেওয়া হয়েছে গগনযান মিশন (Gaganyaaan Mission)। আপাতত তারই প্রস্তুতি চলছে। এনিয়ে ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ইসরো চাইছে দেশের তরফে প্রথম পাঠানো নভোশ্চরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর নভোশ্চর নিয়ে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছবে এই গগনযান।

    তিনদিনের মিশন

    তিনদিনের এই মিশন শেষে নভোশ্চরদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। মহাকাশ সফর শেষে মাঝ সমুদ্রে নামানো হবে নভোশ্চরবাহী এই মহাকাশযানটিকে। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করবেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেই কারণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি চরম ব্যস্ততা ভারতীয় নৌবাহিনীতেও। কীভাবে মহাকাশ ফেরত নভোশ্চরদের (Gaganyaaan Mission) সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, তার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সেরে ফেলল ইসরো ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ২০ জুলাই বিশাখাপত্তনমের নাভাল ফেরিঘাটে হয়েছিল ট্রায়াল-পর্ব। এই পর্বে দেখা হয়েছে, মহাকাশযানটি মাঝ সমুদ্রে অবতরণ করলে কীভাবে উদ্ধার করা হবে মহাকাশচারীদের।

    আশার আলো দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও

    মহাকাশযানটি অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই নভোশ্চরদের উদ্ধার করা হবে না। এজন্য পার হতে হবে বেশ কয়েকটি পর্যায়। এই ধাপগুলি পেরিয়েই মহাকাশযানটি থেকে একে একে উদ্ধার করে আনা হবে নভোশ্চরদের। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্ব সফল হওয়ায় আশার আলো দেখছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। এই পর্যায়ে মাস অ্যান্ড শেপ সিমুলেটেড ক্রু মডিউল মকআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু নৌবাহিনীর তরফে এদিনের ট্রায়াল-পর্ব সফল হয়েছে, তাই মিশন গগনযান সফল হবে বলেই আশার আলো দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। জানা গিয়েছে, গগনযানে তিনজন নভোশ্চর থাকবেন। তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার যাবতীয় ব্যবস্থা ফুলপ্রুফ করতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি নৌবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরাও।

    আরও পড়ুুন: “বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের তালিকা তৈরি করুন”, নির্দেশ ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আগামী বছর তাঁদের লক্ষ্য গগনযান মিশন (Gaganyaaan Mission)। ওই বছরই ২৬ অগাস্ট থেকে শুরু হবে মিশন সূর্য। এজন্য ইসরো তৈরি করবে আদিত্য এল-ওয়ান। মিশন সূর্যর জন্য ব্যয় হতে পারে ৩৭৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • ISRO Recruitment: ইসরোতে কাজের সুযোগ! বেতন শুনলে চমকে উঠবেন

    ISRO Recruitment: ইসরোতে কাজের সুযোগ! বেতন শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুরের অনুজ নন্দীকে নিয়ে ১৪ জুলাই জোর চর্চা চলেছিল। বাংলার এই ঘরের ছেলে চন্দ্রযানের ক্যামেরার ডিজাইন করেছিলেন বলে কথা। ১০ বছর তিনি কাজ করছেন ইসরোতে (Isro Recruitment)। মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় চাকরি অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। এবার সেই সুযোগ এনে দিল ইসরো। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাতে হতে চলেছে অসংখ্য কর্মী নিয়োগ। বিজ্ঞপ্তি তো জারি হয়েছেই, আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগ্রহী আবেদনকারীরা  vssc.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন পাঠাতে পারেন। শূন্যপদে আবেদন পাঠানোর শেষ তারিখ ২১ জুলাই। ইসরোর (ISRO Recruitment) তরফে জানানো হয়েছে, সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার সহ একাধিক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে।

    একনজরে জেনে নেব ইসরোর নিয়োগের (ISRO Recruitment) খুঁটিনাটি তথ্য 

    মোট শূন্যপদ-৬১টি 

    আবেদন ফি-পরীক্ষার আবেদন ফি ৭৫০ টাকা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরে পুরো অর্থ মহিলা, এসসি, এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফেরতযোগ্য।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা-চাকরির পদ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্য়তা নির্ভর করবে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে।

    বয়স– কোন পদে আবেদন করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে বয়সসীমা। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া রয়েছে। 

    বেতনক্রম-বিজ্ঞানী/ইঞ্জিনিয়ার/লেভেল ১১ (৬৭,৭০০ টাকা থেকে ২,০৮,৭০০ টাকা)
                      বিজ্ঞানী/ইঞ্জিনিয়ার/লেভেল ১০ (৫৬,১০০ টাকা থেকে ১,৭৭,৫০০ টাকা) 
        
    নির্বাচন পদ্ধতি-আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রথমেই vssc.gov.in  এই ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে।

    সেখানে কেরিয়ার ট্যাব অপশন দেখাবে। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    এবার আবেদনপত্র দেখা যাবে, ফর্ম পূরণ করতে হবে।

    প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আপলোড করতে হবে।

    আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।

    আরও পড়ুন: উপার্জনের টাকা হাতে থাকছে না? জানুন আর্থিক পরিকল্পনার ৬ সহজ উপায়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: “রকেট আমার সন্তানের মতো…”, চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর বললেন ইসরো কর্তা

    Chandrayaan 3: “রকেট আমার সন্তানের মতো…”, চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর বললেন ইসরো কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রকেট আমার সন্তানের মতো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “শুক্রবার চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) প্রথম পর্বের উৎক্ষেপণ উপভোগ করেছি আমি।” তিনি জানান, পুরো ডেটা তিনি খুঁটিয়ে দেখেছেন। রকেটটি যে খুবই সুন্দর ছিল, তা দেখে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী। শুক্রবার সফলভাবে উক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩।

    চাঁদে পৌঁছতে লাগবে ৪১ দিন

    ইসরোর এই সাফল্যে খুশি দেশবাসী। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে এই যানটির সময় লাগবে ৪১ দিন। এর আগে চাঁদের এই অঞ্চলে পৌঁছতে পারেনি বিশ্বের কোনও দেশ। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-র পা রাখাটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জের। কারণ চন্দ্রযান ২ এটা পারেনি।

    ‘মেশিনকে বোঝা খুব ইন্টারেস্টিং’

    হায়দ্রাবাদ আইআইটির দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, “একজন ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানী হিসেবে, রকেটের প্রতি আমার একটা বিরাট ভালবাসা রয়েছে। রকেটগুলিকে আমি আমার সন্তান বলেই মনে করি। এর জন্ম দেখি, বেড়ে ওঠা দেখি, এর আবেগ দেখি। এর মেশিনগুলি এবং গতি এর জীবনের মতো।” সোমনাথ বলেন, “এর আগে যে চন্দ্রযান রকেটটি পাঠানো হয়েছিল, তাতে ২ হাজার মেজরমেন্ট ছিল। শেষমেশ সেগুলি আমাদের সামনে গ্রাফ এবং কার্ভ হয়ে এল। চিকিৎসক যেমন ইসিজির ছবি দেখেন, আমরাও সেভাবেই গ্রাফগুলি দেখছিলাম। এর গ্রাফ ও কার্ভগুলি দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, এর গতি কত হতে পারে। মেশিনকে বোঝা এবং একে উপলব্ধি করাটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার।”

    আরও পড়ুুন: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    ইসরোর এই বিজ্ঞানী বলেন, “অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করেন কেন মানুষই মহাকাশে যাবে, রোবট নয় কেন? আমি তাঁদের বলি, মানুষের যে চেতনা (Chandrayaan 3) রয়েছে, তার উপলব্ধি করার ক্ষমতা যতটা, তা রোবটের নেই। রোবটে সেন্সর লাগিয়ে যেদিন সেটা করা যাবে, সেদিন মানুষ আরও কাছাকাছি চলে আসবে মেশিনের।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মানুষ একদিন রোবটে সেন্সর বসাতে সক্ষম হবে। আর তখন মহাকাশে যাওয়ার জন্য মানুষের প্রয়োজন হবে না। পাঠানো হবে রোবট।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে”, সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

    ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

    সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

    ইসরো প্রধানের যুক্তি

    ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।” চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারত। আর বড়জোর মাস দেড়েক। তার পরেই চন্দ্রযান ৩-কে (Chandrayaan 3) সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর দৈত্যকায় জিএসএলভি রকেট। উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে।

    সোমবার, সফল এনভিএস-০১ নেভিগেশন উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) বিষয়ে খোলসা করেন। তিনি বলেন, “সব ঠিকঠাক চললে ১২ জুলাই চাঁদের দিকে রওনা হবে চন্দ্রযান ৩। আমি এই অভিযানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এই অভিযানের জন্য সরচেয়ে ভারি জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট (অধুনা লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা সংক্ষেপে এলভিএম-৩) ব্যবহার করতে চলেছে ইসরো। ইসরোর এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ এসে পৌঁছেছে শ্রীহরিকোটায়। চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যা চলছে। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২। সেই সময় ইসরো স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিশন ব্যর্থ হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর তৎকালীন প্রধান কে শিবন।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের ভৌত বৈশিষ্ট্য, ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং চাঁদে অবতরণ স্থানের আশেপাশে মৌলিক গঠন নিয়ে গবেষণায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share