Tag: ISRO

ISRO

  • ISRO Recruitment: ইসরোতে কাজের সুযোগ! বেতন শুনলে চমকে উঠবেন

    ISRO Recruitment: ইসরোতে কাজের সুযোগ! বেতন শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুরের অনুজ নন্দীকে নিয়ে ১৪ জুলাই জোর চর্চা চলেছিল। বাংলার এই ঘরের ছেলে চন্দ্রযানের ক্যামেরার ডিজাইন করেছিলেন বলে কথা। ১০ বছর তিনি কাজ করছেন ইসরোতে (Isro Recruitment)। মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় চাকরি অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। এবার সেই সুযোগ এনে দিল ইসরো। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাতে হতে চলেছে অসংখ্য কর্মী নিয়োগ। বিজ্ঞপ্তি তো জারি হয়েছেই, আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগ্রহী আবেদনকারীরা  vssc.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন পাঠাতে পারেন। শূন্যপদে আবেদন পাঠানোর শেষ তারিখ ২১ জুলাই। ইসরোর (ISRO Recruitment) তরফে জানানো হয়েছে, সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার সহ একাধিক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে।

    একনজরে জেনে নেব ইসরোর নিয়োগের (ISRO Recruitment) খুঁটিনাটি তথ্য 

    মোট শূন্যপদ-৬১টি 

    আবেদন ফি-পরীক্ষার আবেদন ফি ৭৫০ টাকা। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরে পুরো অর্থ মহিলা, এসসি, এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফেরতযোগ্য।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা-চাকরির পদ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্য়তা নির্ভর করবে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে।

    বয়স– কোন পদে আবেদন করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে বয়সসীমা। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া রয়েছে। 

    বেতনক্রম-বিজ্ঞানী/ইঞ্জিনিয়ার/লেভেল ১১ (৬৭,৭০০ টাকা থেকে ২,০৮,৭০০ টাকা)
                      বিজ্ঞানী/ইঞ্জিনিয়ার/লেভেল ১০ (৫৬,১০০ টাকা থেকে ১,৭৭,৫০০ টাকা) 
        
    নির্বাচন পদ্ধতি-আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রথমেই vssc.gov.in  এই ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে।

    সেখানে কেরিয়ার ট্যাব অপশন দেখাবে। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    এবার আবেদনপত্র দেখা যাবে, ফর্ম পূরণ করতে হবে।

    প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আপলোড করতে হবে।

    আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।

    আরও পড়ুন: উপার্জনের টাকা হাতে থাকছে না? জানুন আর্থিক পরিকল্পনার ৬ সহজ উপায়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: “রকেট আমার সন্তানের মতো…”, চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর বললেন ইসরো কর্তা

    Chandrayaan 3: “রকেট আমার সন্তানের মতো…”, চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর বললেন ইসরো কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রকেট আমার সন্তানের মতো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “শুক্রবার চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) প্রথম পর্বের উৎক্ষেপণ উপভোগ করেছি আমি।” তিনি জানান, পুরো ডেটা তিনি খুঁটিয়ে দেখেছেন। রকেটটি যে খুবই সুন্দর ছিল, তা দেখে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী। শুক্রবার সফলভাবে উক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ৩।

    চাঁদে পৌঁছতে লাগবে ৪১ দিন

    ইসরোর এই সাফল্যে খুশি দেশবাসী। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে এই যানটির সময় লাগবে ৪১ দিন। এর আগে চাঁদের এই অঞ্চলে পৌঁছতে পারেনি বিশ্বের কোনও দেশ। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-র পা রাখাটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জের। কারণ চন্দ্রযান ২ এটা পারেনি।

    ‘মেশিনকে বোঝা খুব ইন্টারেস্টিং’

    হায়দ্রাবাদ আইআইটির দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, “একজন ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানী হিসেবে, রকেটের প্রতি আমার একটা বিরাট ভালবাসা রয়েছে। রকেটগুলিকে আমি আমার সন্তান বলেই মনে করি। এর জন্ম দেখি, বেড়ে ওঠা দেখি, এর আবেগ দেখি। এর মেশিনগুলি এবং গতি এর জীবনের মতো।” সোমনাথ বলেন, “এর আগে যে চন্দ্রযান রকেটটি পাঠানো হয়েছিল, তাতে ২ হাজার মেজরমেন্ট ছিল। শেষমেশ সেগুলি আমাদের সামনে গ্রাফ এবং কার্ভ হয়ে এল। চিকিৎসক যেমন ইসিজির ছবি দেখেন, আমরাও সেভাবেই গ্রাফগুলি দেখছিলাম। এর গ্রাফ ও কার্ভগুলি দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, এর গতি কত হতে পারে। মেশিনকে বোঝা এবং একে উপলব্ধি করাটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার।”

    আরও পড়ুুন: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    ইসরোর এই বিজ্ঞানী বলেন, “অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করেন কেন মানুষই মহাকাশে যাবে, রোবট নয় কেন? আমি তাঁদের বলি, মানুষের যে চেতনা (Chandrayaan 3) রয়েছে, তার উপলব্ধি করার ক্ষমতা যতটা, তা রোবটের নেই। রোবটে সেন্সর লাগিয়ে যেদিন সেটা করা যাবে, সেদিন মানুষ আরও কাছাকাছি চলে আসবে মেশিনের।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মানুষ একদিন রোবটে সেন্সর বসাতে সক্ষম হবে। আর তখন মহাকাশে যাওয়ার জন্য মানুষের প্রয়োজন হবে না। পাঠানো হবে রোবট।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে”, সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

    ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

    সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

    ইসরো প্রধানের যুক্তি

    ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।” চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারত। আর বড়জোর মাস দেড়েক। তার পরেই চন্দ্রযান ৩-কে (Chandrayaan 3) সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর দৈত্যকায় জিএসএলভি রকেট। উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে।

    সোমবার, সফল এনভিএস-০১ নেভিগেশন উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) বিষয়ে খোলসা করেন। তিনি বলেন, “সব ঠিকঠাক চললে ১২ জুলাই চাঁদের দিকে রওনা হবে চন্দ্রযান ৩। আমি এই অভিযানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এই অভিযানের জন্য সরচেয়ে ভারি জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট (অধুনা লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা সংক্ষেপে এলভিএম-৩) ব্যবহার করতে চলেছে ইসরো। ইসরোর এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ এসে পৌঁছেছে শ্রীহরিকোটায়। চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যা চলছে। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২। সেই সময় ইসরো স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিশন ব্যর্থ হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর তৎকালীন প্রধান কে শিবন।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের ভৌত বৈশিষ্ট্য, ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং চাঁদে অবতরণ স্থানের আশেপাশে মৌলিক গঠন নিয়ে গবেষণায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই (Veda)। সেখান থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) এস সোমনাথ। বুধবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্ততা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যানের দাবি (ISRO Chairman)

    তাঁর দাবি, বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, এমনকি বিমানচালনার উৎসের সন্ধানও প্রথম বেদ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে সেগুলি আরব দেশগুলির মধ্যে দিয়ে ইউরোপে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেগুলিকে পশ্চিমি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব পরে এগুলো খুঁজে পেয়েছে মাত্র। কিন্তু তার আগে থেকেই এগুলোর অস্তিত্ব ছিল। ইসরো প্রধান (ISRO Chairman) হওয়ার পাশাপাশি সোমনাথ কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশ সংক্রান্ত দফতরের সচিব এবং স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যানও।

    সংস্কৃতের গুরুত্ব

    সোমনাথ বলেন, আগে সংস্কৃতের কোনও লিখিত লিপি ছিল না। সবাই তাই এই বিষয়গুলি শুনে শুনে মুখস্ত করতেন। এভাবেই এই ভাষাটা বেঁচে থেকেছে বহু শতাব্দী ধরে। পরে গিয়ে মানুষ সংস্কৃতের জন্য দেবনাগরী লিপি ব্যবহার শুরু করে। ইসরো কর্তা বলেন, ব্যাকরণের জন্যই বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা হল সংস্কৃত। ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানীদের প্রিয় ভাষা হল সংস্কৃত। কম্পিউটারের ভাষার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। তাই যাঁরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চান, তাঁরা সংস্কৃত শেখেন। সংস্কৃত ভাষাকে কীভাবে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বহু গবেষণাও হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    সোমনাথ (ISRO Chairman) বলেন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রাসায়নিক বিজ্ঞান ও বিমান চালানোর বিজ্ঞানের ফল সংস্কৃতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি এবং তা নিয়ে তখন গবেষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, একজন রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরুণ আমি সংস্কৃতের একটি বই দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বইটি সৌরজগত, সময় এবং পৃথিবীর আকার এবং পরিধি সম্পর্কে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোতে (ISRO) মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের নবম শ্রেণির ছাত্রী উপাসনা মণ্ডল। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সুযোগ পেয়েছে উপাসনা। তাই ইসরো থেকে ১৪ দিনের জন্য একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে ডাক পেয়েছে সে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ১৪ দিন ধরে পঠনপাঠন ও নানা গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে পাঁচজন পড়ুয়া ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। তার মধ্যে পতিরামের উপাসনা রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে।

    খুশির হাওয়া উপাসনার পরিবারে

    উপাসনার বাবার নাম ননীগোপাল মণ্ডল। বাড়ি পতিরাম থানার বাহিচা এলাকায়। তিনি বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। গত মার্চ মাসে অনলাইনে ইসরোর ‘যুবিকা’ (YUVIKA) নামক একটি পরীক্ষায় বসে উপাসনা। সম্প্রতি এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। তারপরই ইসরো থেকে উপাসনাকে ডেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশে রওনা হয় উপাসনা ও তার বাবা। আগামীতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চায় বলে উপাসনা জানিয়েছে। এবিষয়ে উপাসনা বলে, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে আমার মনে আগ্রহ ছিল। তাই বাবার পরামর্শে ইসরোর (ISRO) এই পরীক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাব, তা ভাবিনি। আমি আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়াশোনা করতে চাই। উপাসনার বাবা ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, সর্বভারতীয়স্তরে ইসরোর তরফে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় র‍্যাঙ্কের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের পাঁচজন ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। সেখানে গবেষণা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৪ দিনের ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমার মেয়ে সুযোগ পেয়েছে। আগামীতে চাইলে মহাকাশ গবেষনামূলক পড়াশোনারও সুযোগ থাকবে। মেয়ের এই সাফল্যে আমাদের পরিবার গর্বিত। উপাসনার মা মুনমুন সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়ের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতা, নাচ ও ছবি আঁকা সহ নানা বিষয়ে ও পারদর্শী। এই পরীক্ষার জন্য সে কঠিন পরিশ্রম করেছিল। তাই এই সুযোগ পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।

    গর্বিত তার স্কুলও

    অন্যদিকে, উপাসনার স্কুল তথা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিপা সরকার বলেন, প্রথম থেকেই উপাসনা ক্লাসের প্রথম দিকেই রোল থাকে। শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের। আমাদের মতো একটা গ্রামের স্কুল থেকে উপাসনার এই সাফল্যে (ISRO) আমরা সকলেই গর্বিত।

    সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ মে থেকে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়, কীভাবে মহাকাশ গবেষণা চলে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ চলবে। এছাড়াও সমস্ত পড়ুয়াদের ইয়ং সায়েন্টিস্ট হিসাবে নানা গবেষণামূলক পাঠ দেওয়া হবে৷ মহাকাশ গবেষণার কোন কোন দিক রয়েছে, তা জানানো হবে। এমনকী পরবর্তীতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনার সুযোগ থাকবে৷ এতদিন থাকা, খাওয়া, যাতায়াত সহ সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো। জানা গিয়েছে, ইসরোর (ISRO) ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় মার্কসের ভিত্তিতে গোটা দেশের মধ্যে মোট ৩৫০ জনকে ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ৩৬ উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল সর্ববৃহৎ এলভিএম-৩ রকেট

    ISRO: ৩৬ উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল সর্ববৃহৎ এলভিএম-৩ রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল দেশের সর্ববৃহৎ LVM3 রকেট। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ISRO) সর্ববৃহৎ LVM3 রকেটের উৎক্ষেপণ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। রবিবার সকাল ৯টায় শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ৫৮০৫ কেজি ওজনের ৩৬টি জেন ওয়ান স্যাটেলাইট নিয়ে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। OneWeb-এর ৩৬টি উপগ্রহ মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণের ফলে উপগ্রহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬১৬।

    ব্রিটিশ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে সম্পন্ন এই প্রকল্প

    ব্রিটেনের নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড (ওয়ানওয়েব গ্রুপ কোম্পানি) নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, এটি ইসরো-এর বাণিজ্যিক ইউনিট। জানা গেছে, এই চুক্তির আওতাতেই ৩৬টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ২৩ অক্টোবর ২০২২ সালে ওয়ানওয়েব গ্রুপ কোম্পানির জন্য প্রথম ৩৬টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই উৎক্ষেপণের জন্য ISRO এক হাজার কোটি টাকা ফি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: থানা নয়! সভা মিছিলের অনুমতি দেবেন জেলার পুলিশ সুপার বা সিপি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মিশনের নাম  LVM3-M3/ OneWeb India-2

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সাড়ে ৪৩ মিটার লম্বা ইসরো রকেটটি ব্রিটেনের একটি কোম্পানির ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে সফল ভাবে পাড়ি দিয়েছে। LVM3 যে স্যাটেলাইটগুলি নিয়ে উড়েছিল তার মোট ওজন ৫ হাজার ৮০৫ টন। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে LVM3-M3/ OneWeb India-2। ISRO ট্যুইট করে এই মিশন চালুর কথা আগেই জানিয়েছিল। ব্রিটেনের ওয়ানওয়েব গ্রুপ কোম্পানি ৭২টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরো-এর বাণিজ্যিক শাখা নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ঝড় বৃষ্টির ভ্রূকুটি! কতদিন চলবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • ISRO: তিন উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করার লক্ষ্যে সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর

    ISRO: তিন উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করার লক্ষ্যে সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাফল্যের তালিকায় এক নয়া সংযোজন। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে SSLV-D2 উৎক্ষেপণের মাধ্যমে একসঙ্গে তিনটি উপগ্রহ লঞ্চ করল ইসরো (ISRO)।

    ইসরো প্রধান এস সোমানাথ একটি লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে জানান, স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল নামক রকেটটি স্যাটেলাইট EOS-07 (আর্থ-অবজারভেশন স্যাটেলাইট-07), জানুস-1 এবং AzaadiSAT-2 কে ৪৫০ কিলোমিটার কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ইসরোর (ISRO) মতে, SSLV ব্যবহার করা হয় ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের স্যাটেলাইটকে তার কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করতে। ইসরো জানিয়েছে, তিনটি স্যাটেলাইট ৪৫০ কিলোমিটার দূরে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।

     

    এদিন সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে এই নতুন রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। এই রকেট অত্যন্ত কম খরচে তৈরি করা হয়েছে। এটাই এই রকেটের বিশেষত্ব। সহজেই একাধিক উপগ্রহকে তার কক্ষপথে স্থাপন করতে পারে এই রকেট।

    আরও পড়ুন: শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! কাটোয়া ও কাঁথিতে সভা করবেন নাড্ডা

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইসরো গত বছরের নভেম্বরে আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট ও আটটি ন্যানো স্যাটেলাইট মহাকাশে সফলভাবে পাঠিয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরু করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তারই অঙ্গ হিসেবে এই ধরনের পরিকল্পনা।   

    ইসরোর পরিকল্পনায় একাধিক অভিযান 

    সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ঘোষণা করেছেন, আরও একধাপ এগিয়ে নতুন চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে সঙ্গে সৌর অভিযানের পদক্ষেপও নিচ্ছে ইসরো (ISRO)। তিনি জানিয়েছেন, “আসলে পৃথিবীর আশপাশে এই ব্রহ্মাণ্ডে কী ঘটে চলেছে, তা বোঝা খুবই দরকারি। আদিত্য-এল১ এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ১৫ বছর আগে VELC একটি ধারণা দিয়েছিল মাত্র। এবার তার জটিল, যৌগিক স্তরগুলি আমাদের বুঝতে হবে। ইসরো ও আইআইএ-র মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল বিষয়।” আগামী জুন বা জুলাই মাসে এই অভিযান শুরু হতে পারে। এই কাজে ইসরোকে সাহায্য করতে পারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। মঙ্গল জয়েরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PM Modi: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    PM Modi: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন (G 20 Summit) নেতৃত্ব দেওয়াটা ভারতের (India) জন্য বিরাট সুযোগ। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ছিল ৯৫তম মন কি বাত অনুষ্ঠান। সেখানেই ভারতের বিরাট সুযোগের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত এই সুযোগ এমন একটা সময়ে পেয়েছে, যখন চলছে অমৃতকাল। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংকল্প এক বিশ্ব, এক সংকল্পের। যে কথা বলা হয়েছে বসুধৈব কুটুম্বকম শ্লোকে।

    জি ২০…

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেওয়াটা আমাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। আমাদের আলোকপাত করতে হবে কীভাবে বিশ্বের ভাল হবে, সেই দিকে। কীভাবে ফিরবে শান্তি, ঐক্য এবং বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সব কিছুর সমাধান রয়েছে ভারতে। তিনি বলেন, আমরা এই মন্ত্র বিশ্বকে দিয়েছি, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।

    এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষ আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ভারত এই সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা কতটা খুশি। এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা সুযোগ। এদিনের এই মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে, আমরা অবশ্যই এটাকে কাজে লাগাব। আমাদের ফোকাস থাকবে বিশ্বের ভাল ও কল্যাণের দিকে।

    আরও পড়ুন: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে এদিন ভারতের মহাকাশ অভিযান এবং ইসরোর সাফল্যের কথাও শোনা গিয়েছে। শনিবারই ভারত ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এটি দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের শক্তিকেই প্রকাশ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ১৮ নভেম্বর বিক্রম-এস রকেট উৎক্ষেপণ হয়েছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, বিক্রম-এস সব ভারতীয়কেই গর্বিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ভারত ক্রায়োজেনিক রকেট প্রযুক্তিকে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কেবল ভারতীয় প্রযুক্তিরই উন্নতি ঘটননি, আজ এর সাহায্যে মহাকাশে অসংখ্য উপগ্রহও পাঠাতে পারছি আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share