Tag: ISRO

ISRO

  • Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    Vikram-S: মহাকাশে দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট ‘বিক্রম-এস’, উচ্ছ্বসিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের পাড়ি দিল দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। শুক্রবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর তৈরি রকেটটির। রকেটের পেটে করে মহাকাশে পাড়ি দেয় দুটি দেশীয় ও একটি বিদেশি উপগ্রহ। রকেটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। রকেটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮১ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করবে। ইসরো সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের পর সফল ভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। 

    ‘‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো ও বেসরকারি উদ্যোগের যৌথ অংশদারির ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের তৈরি রকেট বিক্রম-এস শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করেছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করার জন্য ইসরো ও ইনস্পেসইন্ডকে অভিনন্দন। তিনি যোগ করেন, এই কৃতিত্ব আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকা প্রতিভার প্রতীক। 

    বেসরকারি সংস্থার  নাম ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’

    ‘বিক্রম-এস’(Vikram-S)। ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর এই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘প্রারম্ভ’ (Prarambh Mission)। প্রারম্ভ অর্থাৎ শুরু। প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি প্রথম রকেটটির নামকরণও করা হয়েছে ভারতের মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ এবং ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে। ‘বিক্রম-এস’-এর নির্মাতা সংস্থার তরফ থেকে  চলতি মাসের গোড়ায় জানানো হয়েছিল, তাঁদের রকেট নির্মাণের কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে উৎক্ষেপণ হবে। ইসরোর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইঞ্জিনের কিছু খুঁটিনাটি পরীক্ষার কারণেই সময়সীমা আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সফল উৎক্ষেপণের কথা নির্মাতা সংস্থার তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে। ‘মডিউলার স্পেস লঞ্চ ভেহিকেলস’ এর সিরিজ হলো এই ‘বিক্রম’ (Vikram-S)। যেখানে আগামী দশকে এই সিরিজের পক্ষ থেকে কুড়ি হাজার ছোট স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

     বিক্রম-এস (Vikram-S) এর গঠন 

    বিক্রম-এস’ (Vikram-S) একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে এই রকেট তৈরিতে সময় লেগেছে দুই বছর। বিক্রম-এস (Vikram-S) রকেটের ওজন ৫৪৫ কিলোগ্রাম। এই রকেট লম্বায় ৬ মিটার। এর ব্যাস ০.৩৭৫ মিটার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের পথে এগিয়েছিল মোদি সরকার। সেসময় সিদ্ধান্ত হয়, শুধুমাত্র ইসরো নয়, ভারতে এবার মহাকাশে পাড়ি জমানোর রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও। বানাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। দেশে মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাবও বছর কয়েক আগে অনুমোদিত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)’।

  • ISRO LVM3 Launch: “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…” কেন এমন বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান?

    ISRO LVM3 Launch: “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…” কেন এমন বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে আরও এক খুশির খবর। ইসরোর মুকুটে জুড়ল আরও এক নয়া পালক। ইতিহাস গড়ল আত্মনির্ভর ভারত। একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে সবচেয়ে ভারী রকেট LVM3-M2 মহাকাশে (ISRO LVM3 Launch) পাঠাল ইসরো। পাঁচ হাজার সাতশো ছিনানব্বই কেজি পেলোড নিয়ে একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপনে দীপাবলির আগেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরোর চেয়ারম্যান ডাঃ এস সোমানাথ বলেছেন, “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…।”

    ঘড়িতে রাত বারোটা বেজে সাত মিনিট। আর সেসময় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ব্রিটেনের ওয়ানওয়েব-এর (OneWeb) ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) LVM3-M3 রকেট (ISRO LVM3 Launch)। ভারতীয় মহাকাশ গবষেণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) তরফে রবিবার রাত ১.৪২ মিনিটে ঘোষণা করা হয়, LVM3-M2 পাঠানোর মিশন (ISRO LVM3 Launch) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬টি উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইসরো ও লন্ডনের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি ‘ওয়ানওয়েব’-এর যৌথ উদ্যোগে এই মিশনটি করা হয়েছে। আর এই মিশনের বেশিরভাগ বিনিয়োগ রয়েছে ইন্ডিয়া ভারতী গ্লোবালের। OneWeb, হল ভারতী গ্লোবাল এবং ব্রিটেন সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ব্যবস্থা। ইসরোর রকেটের মাধ্যমে উপগ্রহ পাঠানোর চুক্তিটি লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা ওয়ানওয়েব এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড, বা এনএসআইএল, একটি কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: আজই প্রথম বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ইসরো

    এই মিশনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি LVM3-এর প্রথম বাণিজ্যিক মিশন (ISRO LVM3 Launch) এবং লঞ্চ ভেহিকেল সহ NSIL-এর প্রথম মিশন। ISRO-এর মতে, মিশনে ৫,৭৯৬ কেজি ওজনের OneWeb-এর ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে যাওয়া প্রথম ভারতীয় রকেট হয়ে উঠেছে।  LVM3  নামক রকেটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪৩ মিটার। এর ওজন ৬৪৪ টন, যা দেশের সবচেয়ে ভারী রকেট। এই রকেটটি জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে(GTO) চার টন ওজনের স্যাটেলাইট স্থাপন করতে সক্ষম। লো আর্থ অরবিটে(LEO) আট টন পেলোড বহনের ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের।

    এনএসআইএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের প্রথমের দিকেই LVM3 রকেটের মাধ্যমেই OneWeb-এৎ ৩৬টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপন করেছে। তবে এতদিন হালকা রকেট উৎক্ষেপন করেছে ভারত। তবে এবার সবচেয়ে ভারী রকেটে উপগ্রহ (ISRO LVM3 Launch) পাঠিয়ে আত্মনির্ভর ভারতের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই সফল উৎক্ষেপণে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট বছর পর সফর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযানের (Mars Orbiter Mission)। যদিও এই মঙ্গলযানটিকে মাত্র ছয়মাসের জন্য বানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এর আয়ু ছিল মাত্র ছয় মাস। কিন্তু সেখানে এটি প্রায় আট বছর অতিক্রম করে দিয়েছে। মহাকাশে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি, মঙ্গলযানে থাকা জ্বালানি ও ব্যাটারি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই মঙ্গলযান অর্থাৎ মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission-MOM)-এর আট বছর আট দিনের যাত্রা শেষ হল।

    উল্লেখ্য যে, এই মিশনটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। পাশাপাশি, এটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। মূলত, এই মিশনের মাধ্যমে, ভারত প্রথম পদক্ষেপেই সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিশ্বের আর অন্য কোনও দেশের কাছে এই নজির নেই। মঙ্গলযান বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, যে এই যানটিকে তৈরি করা হয়েছিল মাত্র ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথে চলার প্রদক্ষিণ করার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের যে আশা ছিল, তাকেও ছাপিয়ে ছয়মাসের পরিবর্তে টানা আট বছর কাজ করেছে গিয়েছে ভারতের এই মঙ্গলযান।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলযানের ব্যাটারিকে ফের জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। তাই এটি ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান (Mars Orbiter Mission)।

    এটিকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতও যে অন্য গ্রহে পাড়ি দিতে পারে, তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই মঙ্গলযান তৈরি করা হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। এটির সাহায্য লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমণ্ডল এবং এক্সোস্ফিয়ার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও গ্রহের ধূলিকণা সম্পর্কে ধারণা করতে, মঙ্গল গ্রহে ভূমিধস অধ্যয়ন করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে আর কোনওভাবেই পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তবে এই মার্স অরবিটার মিশনটি পুরো বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (Mars Orbiter Mission)। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2) পাঠাতে চলেছে ইসরো।

     

  • NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    NavIC: ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে দেশী নেভিগেশন ব্যবহারের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি প্রযুক্তির উপর আর নির্ভরশীলতা নয়। দেশী প্রযুক্তিতে নির্ভরশীলতা বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এবার বিদেশি প্রযুক্তি ছেড়ে এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নেভিগেশন সিস্টেম (Home grown navigation system) ব্যবহার করার নির্দেশ দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিগত কয়েক বছর ধরে ইসরোর তৈরি স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন ‘NavlC’ – কে সম্প্রসার করছে কেন্দ্র।  

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক       

    এবার এই প্রযুক্তি ভারতে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে ব্যবহার করার  নির্দেশ দিল সরকার। Apple, Samsung, Xiaomi-সহ একাধিক সংস্থাকে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে নেভিগেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই নেভিগেশন প্রযুক্তিই বেশিরভাগ স্মার্টফোন এবং গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয়। চিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাপান তাদের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম বানিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। সেই দেশগুলিতে তাদের নিজস্ব নেভিগেশনই ব্যবহৃত হয়। এখন সেই পথে ভারত।  

    ২০১৮ সালে দেশের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ‘NavlC’ তৈরি করে ইসরো। কিন্তু এখন অবধি এই প্রযুক্তির সম্প্রসারণ খুব একটা হয়নি। আর সেই উদ্দেশ্যেই সরকার এবং ভারতের মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা চান এটির ব্যবহার বাড়ুক দেশে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    সরকারের তরফে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনে জিপিএসের পাশাপাশি NavlC ব্যবহার করার অপশন দিতে হবে। হার্ডওয়্যারে সেইমতো বদলও আনতে হবে। 

    বিষয়টি একটু চিন্তায় ফেলেছে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। কারণ স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তির পর্যাপ্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। এতে বাড়বে উৎপাদন খরচও। যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তাতে সংস্থাগুলির নতুন বছরে পরিকল্পনায় প্রভাব পরবে। Samsung এর ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ বিনু জর্জ বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল ফোনে NavIC সমর্থনের জন্য শুধু নতুন চিপসেট নয়, অন্যান্য অনেক উপাদানেরও প্রয়োজন। এর ফলে খরচ বাড়বে এবং  একাধিক হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করতে হবে।” সূত্রের খবর, এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল করার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাগুলি। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করবে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথিতযশা বিজ্ঞানী (Scientist) তথা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi of Indian Science)। যাঁর সম্পর্কে তিনি একথা বলেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ডাঃ বিক্রম সারাভাই (Vikaram Sarabhai)। ভারতীয় বিজ্ঞানের পথিকৃত। ১২ অগাস্ট হয়ে গেল তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী।

    ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদে এক শিল্পপতির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। গুজরাটের কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। পরে চলে যান কেমব্রিজে। ১৯৪০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারাভাই ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটেশ রমণের অধীনে আইআইএসসিতে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৪৫ সালে ফের চলে যান কেমব্রিজে। সেখানে কসমিক রে ইনভেস্টিগেশন ইন ট্রপিক্যাল শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দেন সারাভাই। এরপর ফের দেশে ফেরেন এই প্রবাদপ্রতীম বিজ্ঞানী। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর যখন ২৮ বছর বয়স, তখনই গুজরাটে তিনি গড়ে তোলেন উন্নতমানের ফিজিক্স-ল্যাব। ১৯৬২ সালে আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব ভূমিকা নেন সারাভাই।

    আরও পড়ুন : ভাল আছেন রুশদি, এবার হুমকি দেওয়া হল হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    ছয়ের দশকের গোড়ায় ভারতে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণা। ওই সময়ই আমেরিকার স্যাটেলাইট সিনকম-৩ এর সাহায্যে টোকিও অলিম্পিকের লাইভ ট্রান্সমিশন হয়। ইসরোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি দেখেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। রাশিয়া প্রথম কৃত্রিম আর্থ স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পরেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বস্তুত তিনিই ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার কোনও আগ্রহ নেই। দেশের নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। দেশের প্রযুক্তি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও প্রয়োজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী।

    আরও পড়ুন :গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

     

  • Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    Independence Day Wish: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মহাকাশ থেকে এল স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! দেখুন সেই ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মহাকাশ (Space) থেকেও এল স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগাম শুভেচ্ছা! এই শুভেচ্ছা এসেছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (International Space Station) বা আইএসএসের (ISS) থেকে। শুভেচ্ছা বার্তার সেই ভিডিয়ো নিজেদের ট্যুইটার (Twitter) থেকে পোস্ট করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) বা ‘ইসরো’ (ISRO)। এর পাশাপাশি ‘ইসরো’-র (ISRO) তরফেও ট্যুইট (Tweet) করে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে আইএসএস-কে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইতালির মহাকাশচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেত্তি (Italian astronaut Samantha Cristoforetti) ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মহাকাশ থেকেই ভারতের জন্য এই শুভেচ্ছাবার্তাটি পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইসরো কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার আরও উন্নতি এবং সফলতা কামনা করেছেন তিনি। আবার ২০২৩ সালে ভারতের ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের  ‘গগনযান’ (Gaganyaan) মিশন যেন সফল হয় সেই কথাও জানিয়েছেন সামান্থা। ভিডিওতে তিনি আইএসএ, নাসা এবং অন্যান্য সমস্ত আন্তর্জাতিক পার্টনারদের পক্ষ থেকেও ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের লক্ষ্য হল ইসরোর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করে একসঙ্গে মহাকাশের বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। এই ভিডিওটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরঞ্জিত সিং সাধুও শেয়ার করেছেন। তিনি এই ভিডিওটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার জনক, বিক্রম সারাভাইয়ের জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    এই এক মিনিট তেরো সেকেন্ডের ভিডিওতে সামান্থা পৃথিবীর উপর পর্যবেক্ষণ করার মিশনে ইসরো এবং নাসার একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলছেন। আবার মহাকাশ গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা যে ইসরোর সঙ্গে পার্টনারশিপ বাড়াচ্ছে, সে কথাও জানা গিয়েছে এই ভিডিও-এর মাধ্যমে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত মাসেই জানিয়েছেন, ‘গগনযান’-এর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং পরের বছরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে। এই মিশনের আগে দুটো ট্রায়াল করা হবে, যার মধ্যে প্রথম ট্রায়ালে কোনও মানুষ থাকবে না, দ্বিতীয়টায় মহিলা রোবট পাঠানো হবে যার নাম ‘ব্যোমমিত্রা’ (Vyommitra)। এই ট্রায়াল সফল হলেই ফাইনাল মিশনে ভারতীয় মহাকাশচারীরা মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন। ২০২৩ সালে ইসরোর এই গগনযান মিশন যদি সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে।

     

     

  • PSLV-C53: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    PSLV-C53: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সন্ধ্যায় মহাকাশে ইসরো (ISRO) পাঠাতে চলেছে তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite)। তামিলনাড়ুর শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে পিএসএলভি-সি৫৩ (PSLV C53) রকেটের। ইসরো-র অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হবে মহাকাশে। নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডের (NewSpace India Limited) সঙ্গে চুক্তিতে সিঙ্গাপুর এই তিনটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে। এটি ইসরোর ৫৫তম মিশন যা শ্রীহরিকোটার (Sriharikota) সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার (Satish Dhawan Sapce Centre) থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    উৎক্ষেপণের বিষয়টি ২৯ জুন ইসরো  ট্যুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    PSLV C-53 মিশনটি এনএসআইএল-এর দ্বিতীয় বাণিজ্যিক মিশন। এতে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহকে— DS-EO, NeuSAR, Scoob-1 পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। ইসরোর এই রকেটটি ৪৪.৪ মিটার দীর্ঘ ও এর ওজন ২২৮ টন। ৩৬৫ কেজির DS-EO উপগ্রহর সাহায্যে মহাকাশের ছবি আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। যে কোনও আবহাওয়াতে দিন ও রাতের ছবি পাঠাতে সাহায্য করবে কোরিয়ার Starec Initiative দ্বারা তৈরি ১৫৫ কেজির Neu-SAR উপগ্রহটি। ২.৮ কেজির Scoob-1 উপগ্রহটি ন্যানয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nanyang Technological University) পড়ুয়ারা তৈরি করেছে। এটি এদের ট্রেনিং-এর একটি অংশ। এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো মহাকাশের ছবি বা পৃথিবার বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়ে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    উৎক্ষেপণের পাশাপাশি, PS4 স্টেজকে একটা অরবিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে PSLV অরবিটাল এক্লপেরিমেন্টাল মডিউল (POEM) কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই প্রথমবার PS4 স্টেজ একটা অরবিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পৃথিবীকে পদক্ষিণ করবে। 

  • PSLV-C53: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    PSLV-C53: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ইসরো ( ISRO) সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে সফল হয়। এদিন ইসরো-র অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই সিঙ্গাপুরের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় মহাকাশে। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ইসরোর দ্বিতীয় সফল মিশন। পিএসএলভি-সি৫৩ (PSLV-C53) নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডের (NewSpace India Limited)  দ্বিতীয় বাণিজ্যিক মিশন।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল দেশীয় জিস্যাট-২৪ (GSAT-24) কৃত্রিম উপগ্রহকে। ২৩ জুন দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানায় (French Guyana) অবস্থিত কুরু (Kourou) উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ফরাসি সংস্থা আরিয়ানস্পেসের (Arianespace) আরিয়ান-৫ (Ariane-5) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিস্যাট-২৪। ডিটিএইচ চ্যানেলগুলি সরবরাহ করার জন্যে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    ৩০ জুন শ্রীহরিকোটার (Sriharikota) সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের থেকে মোট তিনটি উপগ্রহ (Satellite) উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। পিএসএলভি-সি৫৩ রকেটের সাহায্যেই এই তিনটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযান সফল হয়েছে। তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহকেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে ইসরোর রকেটটি। সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ— DS-EO, NeuSAR, Scoob-1 পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো সফল হয়েছে।

    ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) জানান, ৫৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে এই তিন উপগ্রহকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে ইসরোর রকেটটি। এবং নিউজ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটিডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাদের আরেকটি মিশন সফল হওয়ার জন্যে। ইসরো থেকে জানানো হয় যে মিশনটি সফল হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের ৩টি উপগ্রহ নিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩-র

    জানা যায়, DS-EO একটি ৩৬৫ কেজির, NeuSAR  একটি ১৫৫ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ এবং তিন নম্বর স্যাটেলাইটটি  সিঙ্গাপুরের ন্যানয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(Nanyang Technological University (NTU) পড়ুয়াদের দ্বারা তৈরি। এটি ২.৮ কেজির Scoob-1 স্যাটেলাইট।

    আরও জানা গিয়েছে, DS-EO কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর  বিভিন্ন জায়গার রঙিন ছবি শেয়ার করবে। NeuSAR- কৃত্রিম উপগ্রহ  আবার দিনে, রাতে এবং সমস্ত ধরনের আবহাওয়ায় ভাল মানের ছবি শেয়ার করতে পারবে। সিঙ্গাপুরের এই কৃত্রিম উপগ্রহ Scoob-1 স্টুডেন্ট স্যাটেলাইট সিরিজে রয়েছে । ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৩ রকেট সিঙ্গাপুরের এই তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

  • Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহে অভিযান (Venus Orbiter Mission) চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান (Spacecraft) প্রস্তুত করছে ইসরো। সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এছাড়াও পরিকল্পিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্রের পৃষ্ঠে ঘটে চলা প্রক্রিয়াগুলির সন্ধান, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির হটস্পট এবং লাভা প্রবাহ সহ অগভীর উপ-পৃষ্ঠের স্তরবিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের গঠন এবং গতিশীলতা অধ্যয়ন। এছাড়াও ভেনুসিয়ান আয়োনোস্ফিয়ারের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) বলেছেন, “শুক্র মিশনটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য় তহবিলের বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে।” সোমনাথ উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “শুক্র গ্রহের জন্য একটি মিশন তৈরি করা এবং স্থাপন করা ভারতের পক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। ভারতের কাছে এখন সেই সামর্থ্য আছে।”

    তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুক্র গ্রহের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের পর আবার এই ধরনের সুযোগ আসবে ২০৩১ সালে। শুক্রগ্রহে অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। মার্স বা চাঁদে যেরকম সফল অভিযান চালানো হয়েছিল শুক্রের ক্ষত্রেও তেমনই হবে, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল এই গ্রহ। অনেক বিজ্ঞানী একে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখানে প্রাণীরা বাস করতে পারে না এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই গ্রহকে নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ।

  • GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হল দেশীয় জিস্যাট-২৪ (GSAT-24) কৃত্রিম উপগ্রহকে। বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানায় (French Guyana) অবস্থিত কুরু (Kourou) উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ফরাসি সংস্থা আরিয়ানস্পেসের (Arianespace) আরিয়ান-৫ (Ariane-5) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিস্যাট-২৪।

    ভারত সরকারের মহাকাশ দফতরের অধীনস্থ সংস্থা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (NSIL) জন্য এই উপগ্রহ তৈরি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো (ISRO)। জানা গিয়েছে, এই উপগ্রহের সমগ্র ক্ষমতা বা টাটা প্লে-কে (Tata Play) লিজ দেওয়া হয়েছে। ইসরো-র দাবি, এর ফলে, ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হবে।

    আরও পড়ুন: আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    কী এই জিএসএটি (GSAT)?

    GSAT-এর পুরো নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট (Geosynchronous Satellite)। GSAT-24 একটি 24-Ku ব্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বা যোগাযোগ উপগ্রহ যার ওজন ৪ হাজার ১৮০ কেজি। সারা ভারতে ডিটিএইচ (DTH) অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটানোর জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই উপগ্রহটি সাধারণত বিভিন্ন তথ্য, অডিও, ভিডিও ব্রডকাস্টিং-এর জন্য ব্যবহার করা হবে। এই জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর (Earth) উচ্চ কক্ষপথে (High Orbit) স্থাপন করানো হয়েছে যাতে, উপগ্রহটি পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

    কীভাবে এই স্যাটেলাইটটি কমিউনিকেশনকে প্রভাবিত করবে?

    নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকে জানানো হয়েছে যে, GSAT-24  বেশি পরিমাণে ডিটিএইচ চ্যানেলগুলি সরবরাহ করবে ফলে টিভি দেখা অনেক বেশি ভালো হবে। এছাড়াও ডিজিটালে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধে হবে, ডিজিটাল সিনেমা, তথ্য ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি দেখা যাবে। ডিটিএইচ অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটাতে এই স্যাটেলাইটটি সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    NSIL-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) রাধাকৃষ্ণন দুরাইরাজ (Radhakrishnan Durairaj) জানান, এই স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্ত খরচ এনএসআইএল থেকে দেওয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট, লঞ্চ, পরিবহন, লঞ্চ ক্যাম্পেইন ইত্যাদির যাবতীয় খরচ NSIL বহন করেছে।

LinkedIn
Share