Tag: ISRO

ISRO

  • Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২০২৪-২০২৫ এ ‘গগনযান’(Gaganyaan) অভিযানের আওতায় চার নভোশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন ভাগে তিন দিন কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গগনযানে’ চেপেই এই অভিযান চলবে। তার জন্যই বেঙ্গালুরুতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চার মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রদাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই অভিযান সফল হলে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের। 

    কেমন চলছে প্রশিক্ষণ

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার নভোশ্চরের নাম প্রকাশ করা হয়। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী কী অনুশীলন

    বর্তমানে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। সেকীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সিমুলেটরের মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক প্রশিক্ষণ করছেন তাঁরা। বিশেষ ধরনের যোগও করছেন বলে ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব মরশুমেই যাতায়াত সহজ! চিনকে ঠেকাতে লাদাখে নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    অবতরণের জন্য সতর্কতা

    মিশনের (Gaganyaan) একেবারে শেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে অবতরণ করতে অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরব সাগরে প্রাথমিক ল্যান্ডিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় এজেন্সিগুলো যে কোনও জরুরির পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবে। মিশনটি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, ৪৮টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং সাইট নির্বাচন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য আসে গত অগাস্টে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। আর চাঁদে যে পয়েন্টে গিয়ে ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ড করেছিল, সেই জায়গার নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া সেই নাম ‘শিবশক্তি’কে অনুমোদন দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ২০২৩ সালের ২৮ অগাস্ট ইসরোর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘোষণা করেন। শিবশক্তি নামকরণের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, শিব শব্দের অর্থ মানব সভ্যতার কল্যাণ। শক্তি শব্দ মানব কল্যাণকে টেনে নিয়ে যায়।

    সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন

    চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টকে এবার থেকে আন্তর্জাতিকভাবে শিবশক্তি পয়েন্ট হিসাবে গণ্য করা হবে। শিবশক্তি নামটিতে সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন। জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ এই অনুমোদন মিলেছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে এই অনুমোদন যে কোনও দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করা হয় (Chandrayaan 3)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের তরফে যে সমস্ত মহাজাগতিক বিষয়গুলির নামকরণ করা হয়, সেই ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’-এ শিবশক্তি নামকরণকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ওই জায়গাতেই প্রথম নামে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।

    চন্দ্রযান মহাকাশে পাড়ি দেয় ২০২৩ সালের জুলাইতে

    ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, চাঁদের মাটিতে প্রথম নামে বিক্রম ল্যান্ডার। গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল। শুরু হয় উৎসব। সফল হয় ইসরোর পরিশ্রম। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রওনা হয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) । ১ মাস ৯ দিনের মাথায় দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ বিক্রম। ভারতই হয় প্রথম দেশ যা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে ১০ দিনের অন্বেষণ চালায় রোভার। তার ক্যামেরায় তোলে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাশূন্যে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত। মহাকাশচারী হিসেবে মোট চারজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অভিযানের জন্য। গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে তাঁরা পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। মঙ্গলবার সেই চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ওই চারজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন পি বালকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার এস শুক্লা। ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের আওতায় মহাকাশচারীদের রকেটে চাপিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। তিন দিন পর আবার তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। অবতরণ করানো হবে আরব সাগরের জলভাগে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়াতেও চলে প্রশিক্ষণ

    অভিযানের (Gaganyaan) জন্য এই চার মহাকাশচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে রীতিমতো। শারীরিক সক্ষমতার বিভিন্ন পরীক্ষায় উতরোতে হয় তাঁদের। এরপাশাপাশি চলে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও। রাশিয়াতেও মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। মহাকাশে যে কোনও পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হওয়ার, প্রাণ বাঁচানোর কৌশলও শেখানো হয় তাঁদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan) চার যাত্রীর নাম জানতে পারলেন দেশবাসী। কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র চার মানুষের নাম নয়। চার অদম্য শক্তির নাম, যাঁরা ১৪০ কোটি ভারতীয়র মহাকাশ-স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। ৪০ বছর পর কোনও ভারতীয় মহাকাশে যাচ্ছেন। তবে এবার আমাদের নিজেদের রকেটে চেপে যাওয়া হচ্ছে।’’

    একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি

    কেরলে সফরে এদিন বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গগনযান অভিযানের প্রস্তুতিও পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বেশ কতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। যার মধ্যে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের জন্য ১৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর পাশাপাশি তিনি উদ্বোধন করেন ইসরোর প্রোপালসেন কমপ্লেক্সের যা মহেন্দ্রগিরিতে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন, ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথ এস সমেত অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: সফলভাবেই মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর ‘দুষ্টু ছেলে’, পূর্বাভাস দেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের

    ISRO: সফলভাবেই মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর ‘দুষ্টু ছেলে’, পূর্বাভাস দেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ঠিক বিকেল ৫.৩৫ মিনিট। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-৩ডিএস উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেয় ইসরোর ‘নটি বয়’ বা ‘দুষ্টু ছেলে’ (ISRO)। ইসরো সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে জিএসএলভি রকেট। তবে তার মধ্যে ছ’বার যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য মহাকাশযাত্রা ব্যর্থ হয়। এবারের পরীক্ষা সফল হবে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। পৃথিবীর কক্ষপথে ওই উপগ্রহ নিরাপদে বসলেই ইসরোর মুকুটে ফের নতুন পালক জুড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল তুষারপাত, বন্যা বেড়েই চলেছে। ভয়ঙ্কর দাবানলের গ্রাসে ছাই হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনভূমি। পৃথিবীর নিম্নকক্ষে বসে জলবায়ুর গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখবে ইনস্যাট (ISRO)। লক্ষ্য করবে সাগর-মহাসাগরকে। দুর্যোগ আসবে কিনা তার আগাম বার্তা পাঠাবে।

    কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান?

    ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘আমি জানাতে চাই, GSLV-F14 INSAT-3DS-এর সফল উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি আমরা। সকলকে অভিনন্দন। রকেটের সমস্ত যন্ত্রাংশই সঠিকভাবে কাজ করছে।’’

    দুষ্টু ছেলে নাম কেন?

    ‘দুষ্টু ছেলের’ ভালো নাম অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। এই ডাকনাম ঠিক করেছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান। রকেটটির মতিগতি বুঝতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে ইসরোকে। তাই আদর করেই এমন নাম রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই রকেটের (ISRO) হাবভাবও নাকি দুষ্টু ছেলেরই মতো। যদি রকেটের মুড ঠিক থাকে তাহলেই মহাকাশযাত্রা সফল হয়, আর যদি বিগড়ে যায় তাহলেই ব্যর্থ। এইভাবে ছয় বার এই দুষ্টু ছেলে পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INSAT-3DS: চলতি মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহ, খবর দেবে আবহাওয়ার

    INSAT-3DS: চলতি মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহ, খবর দেবে আবহাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে ফের একঝাঁক প্রকল্প নিয়ে নেমেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চলতি মাসেই ইসোরর সিলমোহর নিয়ে ফের এক কৃত্রিম উপগ্রহ পাড়ি দেবে মহাশূন্যের পথে। জানা গিয়েছে, মহাকাশে ইসরো এবার পাঠাতে চলেছে কৃত্রিম উপগ্রহ INSAT-3DS. চলতি বছরে শুরুতেই ইসরো শুরু করে তাদের নতুন বছরের অভিযান। সেসময় মহাকাশে পাঠানো হয় এক কৃত্রিম উপগ্রহকে। তারপরেই ফের অভিযানে নামল ইসরো। ইসরোর এই নয়া উপগ্রহের কাজ কী হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেবে এই উপগ্রহ। এমনটাই জানা গিয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফে।

    কবে মহাকাশে রওনা হবে এই উপগ্রহ?

    জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ১৭ তারিখ সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভিএফ-৪ রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে কৃত্রিম উপগ্রহ INSAT-3DS. এমনটাই জানিয়েছেন ইসোরর বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, ইসরোর কাছে গত বছর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং সাফল্যের। ২০২৩ সালেই ইসরো সফল হয় তাদের চন্দ্রাভিযানে। পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে ভারত। অন্যদিকে গত বছরই সফল হয় ইসরোর সূর্য অভিযান।

    নয়া কৃত্রিম উপগ্রহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সংকেত দেবে

    INSAT-3DS কে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে তা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে। এছাড়াও যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও আগে থেকে জানান দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। জানা গিয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহে সিক্স চ্যানেল ইমেজার থাকবে এবং একটি ইনফ্রা রেড সাউন্ডারও থাকবে। প্রসঙ্গত ইনস্যাট সিরিজের এই উপগ্রহ গুলির উৎক্ষেপণ শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকেই। জানা গিয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি স্থাপিত হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার উচ্চতায়, ৮২° পূর্ব দ্রাঘিমায়।

     

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার পরে আবু ধাবি, সৌদি আরবের প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল

    ISRO: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর (ISRO) মুকুটে জুড়লো ফের নয়া পালক। গত অগাস্ট মাসেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল ল্যান্ডার বিক্রম। সেই চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউলকে সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এতদিন পর্যন্ত চাঁদের কক্ষপথেই ঘুরছিল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল। তা এবার ফিরে এল পৃথিবীর কক্ষপথে।

    মহাকাশযানকেও ফিরিয়ে আনতে পারে ইসরো

    এ থেকে প্রমাণ হল যে চাঁদের কক্ষপথে থাকা মহাকাশযানকেও সাফল্যের সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে পারে ইসরো (ISRO)। প্রসঙ্গত, এই প্রোপালশন মডিউলে চেপেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। এর সঙ্গে জোড়া হয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। যার পেটের ভেতর ছিল রোভার প্রজ্ঞান। মোটামুটি সাড়ে তিন মাস চাঁদের কক্ষপথে ঘোরার পরে প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কাছে ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণাও সফল হল এর মাধ্যমে। চাঁদ থেকে এরপর থেকে নমুনা ফেরানোর কাজ সহজেই করতে পারবে ইসরো।

    ২৩ অগাস্ট অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম

    প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল মহাকাশ যান চন্দ্রযান ৩। এরপর ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান-৩। বিক্রম ল্যান্ডারের পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তারপর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় উঠেছে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও। পৃথিবীর প্রথম কোনও দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে সক্ষম হয় ভারত। জানা গিয়েছে তারপর থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছিল এই মহাকাশযান প্রোপালশন মডিউল। এরপর থেকে প্রোপালশন মডিউলের গতিপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা (ISRO)। জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর মাস থেকেই প্রোপালশন মডিউলকে (ISRO) ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। ১০ নভেম্বর চাঁদের কক্ষপথ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয় এটি। বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর আরও একবার ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পুজোর আগে হল গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষা মূলক উৎক্ষেপণ। তবে উৎক্ষেপণের সময় কিছু ত্রুটি দেখা দিলেও, মহাকশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে নিয়ে আসার সিস্টেমিক পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন করল ইসরো। দেশে খুশির আবহ ইসরোর এই সাফল্যে। আগামী বছর ২০২৪ সালে শুরু হবে চূড়ান্ত গগনযান মিশন। আনুমানিক ৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে এই অভিযানে।

    পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ 

    গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষামূলক ভাবে সফল উৎক্ষেপণ হল শনিবারে। তবে সকালে দু’বার থমকে গিয়েছিল পরীক্ষামূলক যাত্রা। এদিন সকাল ৮ টায় শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে গগনযান যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, নির্ধারিত সময় থেকে ৪৫ মিনিট পর উৎক্ষেপণ করা হবে। এরপরে এই উৎক্ষেপণ হয় ৮ টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু উৎক্ষেপণের ঠিক ৫ সেকেন্ড আগে, কাউণ্টডাউন ক্লকে ‘লাল হোল্ড’ শব্দ উঠে আসে। এরপর ইসরো সাময়িক ভাবে উৎক্ষেপণ স্থগিত রেখে, আবার সকাল ১০ টায় চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ করে। মিশনের নাম রাখা হয়েছে টেস্ট ভেহিকেল অ্য়াবর্ট মিশন-১। এছাড়া এটিকে টেস্ট ভেহিকেল ডেভেলপমেন্ট ফ্লাইট (TV-D1) নামকরণে ডাকা হবে বলে জানা গেছে।

    গগনযান মিশন কী (Gaganyaan Test Flight)?

    গগনযান মিশনের জন্য চার বিমান বাহিনীর মহাকাশচারীকে নির্বাচন করা হয়েছে। অভিযানকে বাস্তবায়িত করতে শনিবার প্রথম টেস্ট ভেহিকেলের উৎক্ষেপণ করল ইসরো। পরীক্ষা করার সময় ত্রুটি দেখা দিলেও মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিচে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা গেছে। আর এটাই পরীক্ষামূলক সফলতা। ৪০০ কিমি কক্ষপথে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে, দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবট মহাকাশে পাঠাবে বলে জানিয়েছে ইসরো। সেই অভিযান সম্পূর্ণ হলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু হবে।

    ইসরোর বক্তব্য

    গগনযান অভিযানে ইসরো জানিয়েছে, “আপৎকালীন পরিস্থিতে মহাকাশচারীরা প্যারসুটের মাধ্যমে নেমে আসতে পারেন কিনা, তাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। আর এই পরীক্ষা আজ সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে গগনযান (Gaganyaan Test Flight) থেকে বঙ্গোপসাগরে সফল ভাবে নেমে আসে প্যারাসুট।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত? ইসরোকে লক্ষ্য বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত? ইসরোকে লক্ষ্য বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো (ISRO)! অন্তত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে সেরকমই সময়সীমা বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার গগনযান মিশন নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারতে নিজস্ব স্পেস স্টেশন

    সেখানেই বিজ্ঞানীদের জানান তিনি, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিতে হবে। তবে ঠিক তার ৫ বছর আগে ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারতে নিজস্ব স্পেস স্টেশন (ISRO) স্থাপন করার লক্ষ্যও নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের স্পেস স্টেশনের নামকরণও মঙ্গলবার  ঠিক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  স্পেস স্টেশনটর নাম হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’। জানা গিয়েছে, এদিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গল ও শুক্র অভিযান নিয়ে যাবতীয় কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    ইসরোর আগামী মিশনগুলি

    আগামীতে ইসরোর (ISRO) বেশ কতগুলো মিশন রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গগনযান-১, গগনযান-২, গগনযান-৩, শুক্রযান-১, মঙ্গলযান-২, লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন বা লুপেক্স। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবেই উড়ে যাবে গগনযান-১, প্রথম ধাপে কোনও মানুষ অবশ্য থাকবে না গগনযানে। এটি পরীক্ষামূলক মিশন হবে। গগনযান-২ এর ক্ষেত্রে মহাকাশযানে একটি রোবটকে পাঠানো হবে। অবশেষে গগনযান-৩ তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। গগনযান-১ পরীক্ষামূলকভাবে উড়ে যাবে অবশ্য দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনই। ২১ অক্টোবর পাড়ি দেবে গগনযান-১। মহাকাশ থেকে পরে তা অবতরণ বঙ্গোপসাগরে। সেই মতো প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে নামছে ইসরো। মহাকাশচারীদের নিয়ে কবে রওনা দেবে গগনযান (Gaganyaan Mission)? তারই দিনক্ষণ প্রকাশ করল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনযান মিশন দুটি ধাপে হবে, প্রথমেই কোনও মহাকাশচারী থাকবে না গগনযানে (Gaganyaan Mission)। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হবে গগনযানকে। মহাকাশে পাঠিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য মিললে আগামী বছরেই মহাকাশে পাড়ি দেবে মানুষ সমেত গগনযান। আগামী ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে গগনযানকে উৎক্ষেপণ করা হবে। গগনযান ফিরে আসার পরে তা বঙ্গোপসাগরে নামবে এবং সেই মতো ভারতের উপকূল রক্ষাবাহিনীও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গগনযানের এই প্রকল্পে মহাকাশচারীরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকেই নিরাপদ ভাবে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরেও আসবেন।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইসরো প্রধান

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan Mission) টেস্ট ভেহিকল স্পেস ফ্লাইট (TV-D1) আগামী ২১ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হবে। অবতরণের সময় কী ভাবে এই গগনযান থেকে মহাকাশচারীরা বেরিয়ে আসবেন সেটির পরীক্ষা করা হবে এই টেস্ট স্পেস ভেহিকলে।’’ গগনযান সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিবৃতি সামনে এসেছে ইসরোর প্রধান সোমনাথের। তিনি বলেন, ‘‘গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া ও তাঁদের ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ব্যবহার করা হবে একটি লঞ্চ ভেহিকল। মহাকাশে ক্রুদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি জরুরি। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে ও সেই মতো মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিষয়গুলি সম্বন্ধীয় আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর রয়েছে আমাদের।’’

    শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ পর্বও

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক গগনযানে (Gaganyaan Mission) কোনও মানুষ থাকছে না তবে আগামী বছরের মহাকাশচারী সমেত যে গগনযান পাড়ি দেবে সেখানে তিন জন নভোশ্চরকে দেখা যাবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দুজন মহাকাশচারীকে জিমে শরীর চর্চা করতে দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন হার না মানার লড়াই। শত বাধা ও আর্থিক প্রতিকূলতাকে জয় করে আগরপাড়ার রাজীব সাহা আজ ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-৩ তৈরিতেও তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপন হওয়ার পর অন্যান্য ভারতীয়দের মতো আগরপাড়ার মানুষও বেশি গর্বিত হন। কারণ, এই এলাকার ছেলে রাজীববাবু চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে সরাসরি অংশীদার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আগরপাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন। নিজের স্কুল তাকে সংবর্ধনা দেন। নিজের ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সংবর্ধনা পেয়ে কার্যত আপ্লুত হয়ে পড়েন ইসরোর এই বিজ্ঞানী।

    ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী হওয়ার আগে রাজীববাবু কী করতেন জানেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীববাবু ছোটবেলায় আগরপাড়া নেতাজি শিক্ষায়তনে পড়াশুনা করেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের সামনে তার জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত এবং জীবন সংগ্রামের কথা তিনি তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে, নেতাজি শিক্ষায়তনে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। ভুল চিকিৎসার জন্য তাঁর পা বাদ চলে যাচ্ছিল। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে তিনি ছয় মাস ভর্তি ছিলেন। পায়ে ইনফেকশন এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তার বেঁচে থাকারই কথা ছিল না। তবে, চিকিৎসকদের তৎপরতায় তিনি প্রাণ ফিরে পান। ছমাস স্কুল কামাই করলেও স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ক্লাস সিক্সে ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলও করেছিলেন। বাবা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেই কাজও একদিন চলে যায়। ফলে, চরম আর্থিক অনটনে রাজীববাবুর প্রায় পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। পরে, বাবা সরস্বতী প্রেসে ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ পান। সেখানে বাবার সঙ্গে তিনিও ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিনের জন্য। সেখানে দৈনিক ৩০ টাকা করে রোজগার ছিল তাঁর। তাতে পড়াশুনার খরচ তিনি চালিয়ে নিতেন।  মাধ্যমিকে স্কুলের মধ্যে তিনি প্রথম হন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করেন তিনি। আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তিনি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বসতে পারেননি। তাই, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে  তিনি পলিটেকনিক পাশ করেছিলেন। পরে, সাত হাজার টাকা বেতনের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে তিনি কাজ পান। কিন্তু, সেই টাকায় সংসারে কোনও কাজেই আসছিল না। চাকরির পাশাপাশি তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিটেক করার সুযোগ পান। পাস করে তিনি একটি ভাল চাকরির সুযোগ পান। সেখানে বছরে ১৮ লক্ষ টাকা তাঁর বেতন ছিল। সেখানে কিছুদিন চাকরি করার পরও সেই চাকরিও তিনি ছেড়ে দেন। বাড়িতে এসে দাদার গ্যারেজে কিছুদিন তিনি কাজ করেছেন। সময়ের ফাঁকে ফাঁকে তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্তরে একাধিক চাকরির পরীক্ষায় তিনি বসেন। পরে, ইসরাতো (ISRO) কাজ করার জন্য তিনি পরীক্ষায় বসেন। সেবার ইসরোতে সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ জনকে নেওয়ার কথা ছিল। সর্বভারতীয় স্তরে তিনি ২১ স্থান পেয়েছিলেন।

    কী বললেন রাজীব?

    রাজীববাবু বলেন, ছোট থেকেই আমার জীবনে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু, মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে ছিল বড় কিছু করার। তাই সব সময়ের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টাই করে গিয়েছি। আর মন দিয়ে যদি কোনওদিন কেউ কিছু চায় ভগবানও তা পেতে সাহায্য করে।  আমি আমার জীবন সংগ্রাম দিয়ে যে সাফল্য পেয়েছি এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share