Tag: ISRO

ISRO

  • NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই দুটি মিশনে মার্কিন সহযগিতা পাবে ভারত। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, “আমেরিকা এই বছরের শেষ নাগাদ একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। এছাড়াও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মধ্যে একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ মিশন হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিসার’ (NISAR) প্রকল্প। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মিশন চালু হবে।”

    কী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা এ বছর একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম যে, ২০২৪-এর শেষ নাগাদ, আমরা এটি সম্পন্ন করব।” 

    ট্র্যাকে রয়েছে মিশন

    দুটি মিশনই ট্র্যাকে রয়েছে। ভারতবাসীর জন্য এ খবর খুবই গর্বের। ইসরো মহাকাশ গবেষণার নয়া দিগন্ত তুলে ধরেছে। গারসেটি জানিয়েছেন যে, নিসার (NISAR) প্রকল্প একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষক মিশন। এর পুরো নাম— NASA ISRO Synthetic Aperture Radar। এটি একটি স্যাটেলাইট যা নাসা এবং ইসরো মিলে তৈরি করছে। এই পর্যবেক্ষক মিশন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উৎক্ষেপণের তারিখ দ্রুত নির্ধারণ করা হবে। মহাকাশযানটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করবে।

    নিসার ভারতের অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট (NISAR)

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের আগে কাজ শেষ করার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইটের ৩৯-ফুট-ব্যাস (১২-মিটার) রেডার অ্যান্টেনা, প্রতিফলকের (Reflector) হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিতে একটি বিশেষ আবরণ প্রয়োগ করা, যা মিশনে নাসার প্রাথমিক অবদানগুলির মধ্যে একটি। এই বিশেষ আবরণ তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে প্রশমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    এর বিশাল প্রতিফলক পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাইক্রোওয়েভ সংকেত প্রেরণ করবে এবং গ্রহণ করবে। প্রতি ১২ দিনে দুবার প্রায় সমস্ত গ্রহের ভূমি এবং বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করতে সক্ষম করবে এই স্যাটেলাইট।

    কী কাজে লাগবে এই স্যাটেলাইট

    এই মিশনের মাধ্যমে (NISAR)  নাসা এবং ইসরোর মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ সহযোগিতা হচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ট্রেলব্লেজিং স্যাটেলাইট। দুই ধরনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারকে একত্রিত করে, এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিমাপ পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষত মেরু অঞ্চলের বরফের চাদর এবং হিমালয়ের হিমবাহ, জলাভূমি এবং বনভূমি এবং আগ্নেয়গিরির পরিবর্তন লক্ষ করা ছাড়াও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবে এই স্যাটেলাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO:  নতুন মাইলফলক ইসরোর, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা

    ISRO:  নতুন মাইলফলক ইসরোর, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর (ISRO) মুকুটে নয়া পালক ৷ অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং (এএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করলেন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ৷  পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল) এর পিএস4 ইঞ্জিনে এই নতুন তরলটি পরীক্ষা করা হয় ৷ মাত্র ৬৬৫ সেকেন্ডের মধ্যে এই পরীক্ষাটি শেষ করেন বিজ্ঞানীরা ৷ সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবে তৈরি এই ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করা হয় ওড়িশার মহেন্দ্রগিড়িতে অবস্থিত ইসরো-র প্রোপালসন কমপ্লেক্সে ৷ 

    এই ইঞ্জিনে নতুন কী

    প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্মিত এই পিএস৪ ইঞ্জিনটি পিএসএলভি-এর চতুর্থ পর্যায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৷ বায়ুশূন্য অবস্থায় এই ইঞ্জিনের বলপ্রয়োগের ক্ষমতা ৭.৩৩ কিলোনিউটন ৷ পিএসএলভি-র প্রথম পর্যায়ের বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাতেও (রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম) এই ইঞ্জিনটিকে ব্যবহার করা হয় ৷ ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে, লিকুইড প্রোপালসন সিস্টেম সেন্টার (এলপিএসসি) দ্বারা নির্মিত এই ইঞ্জিনে অক্সিডাইজার হিসেবে নাইট্রোজেন টেট্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয় ৷ সেইসঙ্গে প্রেসার-ফেড অবস্থায় জ্বালানী হিসেবে মোনো মিথাইল হাইচড্রেজিন ব্যবহার করা হয়েছে ৷ অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এই ইঞ্জিনটিকে পুনর্গঠন করেছে এলপিএসসি ৷ যার ফলে তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ইসরোর বিজ্ঞানীদের ৷ 

    দেশেই তৈরি

    ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, এই নতুন ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ রূপে ভারতে তৈরি করা হয়েছে। উইপ্রো ৩ডি এই ইঞ্জিন তৈরি করেছে। এই ইঞ্জিনে রয়েছে লেজার পাউডার বেড ফিউশন ৷ নয়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের সংখ্যা কমানো যাবে ৷ ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের সংখ্যা ১৪ থেকে একক-পিসে কমিয়ে আনা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, নতুন ডিজাইনে ১৯ টি জোড় জয়েন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেট ইঞ্জিন থেকে ওয়েল্ড জয়েন্টগুলির সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে ৷ ফলে প্রতি ইঞ্জিনে কাঁচামাল ব্যবহার কম করতে হবে ৷ অন্যদিকে নয়া এই প্রযুক্তির সাহায্যে সামগ্রিক উৎপাদনের সময় কমেছে ৬০ শতাংশ ৷ উল্লেখ্য, নয়া এই এম পিএস৪ ইঞ্জিনটিকে খুব শীঘ্রই পিএসএলভি প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ইসরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: ইসরোর মহাকাশযান নিয়ে গবেষণায় সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির অর্পিতা

    ISRO: ইসরোর মহাকাশযান নিয়ে গবেষণায় সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় (ISRO) মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরামের নবম শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতা সাহা। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে ডাক পেয়েছে সে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে প্রায় ২৫ দিন পঠনপাঠন ও গবেষণার সুযোগ পাবে অর্পিতা। তার মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। গতবছর একই প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছিল পতিরামের উপাসনা মণ্ডল। এবার ডাক পেল একই স্কুলের এবং একই এলাকার অর্পিতা।

    ছোট থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার আগ্রহ অর্পিতার (ISRO)

    ছোট থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার আগ্রহ অর্পিতার। সম্প্রতি, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের যাবতীয় বিষয় খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে। এবার সরাসরি ইসরোতে (ISRO) প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত অর্পিতা ও তার পরিবার। অর্পিতা বলে, ছোট থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল। গত বছর আমাদের এলাকার উপাসনা দিদি এই পরীক্ষায় পাশ করে ইসরোতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এবছর সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাব ভাবিনি। ইসরো থেকে চন্দ্রযান-৩ পাঠানো হয়। কীভাবে ওই সেটি পাঠানো হয়েছিল, ভালো করে দেখব। সুযোগ পেলে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কী বললেন?

    অর্পিতা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দীপঙ্কর সাহা ব্যবসায়ী। মা বর্ণা সাহা গৃহবধূ। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অর্পিতা। এবছর ১ মার্চ অনলাইনে ইসরোর (ISRO) ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় বসে সে। রেজাল্ট বের হওয়ার পর ইসরো থেকে অর্পিতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশে বাবাকে নিয়ে রওনা হচ্ছে অর্পিতা। অর্পিতার স্কুল তথা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা লাবণী সরকার বলেন, অর্পিতা মেধাবী। শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের। গত বছরও আমাদের স্কুলের উপাসনা এই সুযোগ পেয়েছিল। আমাদের গ্রামের স্কুল থেকে এই সাফল্যে সকলেই গর্বিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Water under moon surface: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    Water under moon surface: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে এত পরিমাণ জল (Water under moon surface) রয়েছে যে তা ভেবে কল্পনা করা কঠিন। সম্প্রতি আবারও চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান পেল ইসরো। আইআইটি কানপুর, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, জেট প্রপালশন ল্যাব এবং আইআইটি ধানবাদের গবেষকদের সহায়তায় স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন চাঁদের গর্তগুলিতে জমে রয়েছে বরফ। ইসরোর প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, যে ভূপৃষ্ঠের কয়েক মিটার নীচে বরফের পরিমাণ ভূপৃষ্ঠের তুলনায় ৫ থেকে ৮ গুণ বেশি। সেই কারণেই অনুমান, চাঁদে ঠিক এতটা পরিমাণ জল রয়েছে যা কল্পনারও বাইরে।  

    প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জলের হদিশ (Water under moon surface) 

    যদিও চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এ বার বিজ্ঞানীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ জলের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মেরুর তুলনায় উত্তর মেরুতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জল বরফ আকারে সঞ্চিত রয়েছে। চাঁদে এই বিপুল পরিমাণ জলের হদিশ পেয়ে উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা। 
    এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সাতটি যন্ত্রের ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে র‍্যাডার, লেজার, অপটিক্যাল, নিউট্রন স্পেক্ট্রোমিটার, আলট্রাভায়োলেট স্পেক্ট্রোমিটার এভং থার্মাল রেডিওমিটার। তবে চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান পেতে সাহায্য করেছে ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান ২-ও। 

    চাঁদের মাটিতে কীভাবে জমল বরফ?

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৩.৮৫ বিলিয়ন বছর আগে ইমব্রিয়ান সময়কালে ঘটে যাওয়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে চাঁদের গর্তগুলিতে জল জমেছিল। সেই জলই (Water under moon surface) এখন বরফে পরিনত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে পরবর্তীকালে ইসরো বা অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলি চাঁদে জল খোঁজার জন্য ড্রিলিং মেশিন পাঠাতে পারে।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযানে সহায়ক হবে এই বরফ 

    ইসরো বলেছে যে এই তথ্য ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযান মিশনে বরফের নমুনা সংগ্রহ করতে বা চাঁদে মানুষের দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির জন্য সহায়তা করবে। এমনকি এই বরফের (Water under moon surface) উপর নির্ভর করে, ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণের জন্য সঠিক স্থান এবং সঠিক নমুনা সংগ্রহের পয়েন্ট নির্বাচন করাও সহজ হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২০২৪-২০২৫ এ ‘গগনযান’(Gaganyaan) অভিযানের আওতায় চার নভোশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন ভাগে তিন দিন কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গগনযানে’ চেপেই এই অভিযান চলবে। তার জন্যই বেঙ্গালুরুতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চার মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রদাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই অভিযান সফল হলে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের। 

    কেমন চলছে প্রশিক্ষণ

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার নভোশ্চরের নাম প্রকাশ করা হয়। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী কী অনুশীলন

    বর্তমানে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। সেকীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সিমুলেটরের মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক প্রশিক্ষণ করছেন তাঁরা। বিশেষ ধরনের যোগও করছেন বলে ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব মরশুমেই যাতায়াত সহজ! চিনকে ঠেকাতে লাদাখে নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    অবতরণের জন্য সতর্কতা

    মিশনের (Gaganyaan) একেবারে শেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে অবতরণ করতে অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরব সাগরে প্রাথমিক ল্যান্ডিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় এজেন্সিগুলো যে কোনও জরুরির পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবে। মিশনটি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, ৪৮টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং সাইট নির্বাচন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেন মোদি, মিলল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য আসে গত অগাস্টে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। আর চাঁদে যে পয়েন্টে গিয়ে ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ড করেছিল, সেই জায়গার নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া সেই নাম ‘শিবশক্তি’কে অনুমোদন দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ২০২৩ সালের ২৮ অগাস্ট ইসরোর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘোষণা করেন। শিবশক্তি নামকরণের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, শিব শব্দের অর্থ মানব সভ্যতার কল্যাণ। শক্তি শব্দ মানব কল্যাণকে টেনে নিয়ে যায়।

    সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন

    চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টকে এবার থেকে আন্তর্জাতিকভাবে শিবশক্তি পয়েন্ট হিসাবে গণ্য করা হবে। শিবশক্তি নামটিতে সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন। জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ এই অনুমোদন মিলেছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে এই অনুমোদন যে কোনও দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করা হয় (Chandrayaan 3)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের তরফে যে সমস্ত মহাজাগতিক বিষয়গুলির নামকরণ করা হয়, সেই ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’-এ শিবশক্তি নামকরণকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ওই জায়গাতেই প্রথম নামে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।

    চন্দ্রযান মহাকাশে পাড়ি দেয় ২০২৩ সালের জুলাইতে

    ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, চাঁদের মাটিতে প্রথম নামে বিক্রম ল্যান্ডার। গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল। শুরু হয় উৎসব। সফল হয় ইসরোর পরিশ্রম। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রওনা হয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) । ১ মাস ৯ দিনের মাথায় দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ বিক্রম। ভারতই হয় প্রথম দেশ যা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে ১০ দিনের অন্বেষণ চালায় রোভার। তার ক্যামেরায় তোলে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাশূন্যে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত। মহাকাশচারী হিসেবে মোট চারজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অভিযানের জন্য। গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে তাঁরা পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। মঙ্গলবার সেই চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ওই চারজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন পি বালকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার এস শুক্লা। ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের আওতায় মহাকাশচারীদের রকেটে চাপিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। তিন দিন পর আবার তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। অবতরণ করানো হবে আরব সাগরের জলভাগে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়াতেও চলে প্রশিক্ষণ

    অভিযানের (Gaganyaan) জন্য এই চার মহাকাশচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে রীতিমতো। শারীরিক সক্ষমতার বিভিন্ন পরীক্ষায় উতরোতে হয় তাঁদের। এরপাশাপাশি চলে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও। রাশিয়াতেও মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। মহাকাশে যে কোনও পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হওয়ার, প্রাণ বাঁচানোর কৌশলও শেখানো হয় তাঁদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan) চার যাত্রীর নাম জানতে পারলেন দেশবাসী। কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র চার মানুষের নাম নয়। চার অদম্য শক্তির নাম, যাঁরা ১৪০ কোটি ভারতীয়র মহাকাশ-স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। ৪০ বছর পর কোনও ভারতীয় মহাকাশে যাচ্ছেন। তবে এবার আমাদের নিজেদের রকেটে চেপে যাওয়া হচ্ছে।’’

    একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি

    কেরলে সফরে এদিন বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গগনযান অভিযানের প্রস্তুতিও পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বেশ কতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। যার মধ্যে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের জন্য ১৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর পাশাপাশি তিনি উদ্বোধন করেন ইসরোর প্রোপালসেন কমপ্লেক্সের যা মহেন্দ্রগিরিতে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন, ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথ এস সমেত অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: সফলভাবেই মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর ‘দুষ্টু ছেলে’, পূর্বাভাস দেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের

    ISRO: সফলভাবেই মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর ‘দুষ্টু ছেলে’, পূর্বাভাস দেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ঠিক বিকেল ৫.৩৫ মিনিট। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-৩ডিএস উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেয় ইসরোর ‘নটি বয়’ বা ‘দুষ্টু ছেলে’ (ISRO)। ইসরো সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে জিএসএলভি রকেট। তবে তার মধ্যে ছ’বার যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য মহাকাশযাত্রা ব্যর্থ হয়। এবারের পরীক্ষা সফল হবে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। পৃথিবীর কক্ষপথে ওই উপগ্রহ নিরাপদে বসলেই ইসরোর মুকুটে ফের নতুন পালক জুড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল তুষারপাত, বন্যা বেড়েই চলেছে। ভয়ঙ্কর দাবানলের গ্রাসে ছাই হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনভূমি। পৃথিবীর নিম্নকক্ষে বসে জলবায়ুর গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখবে ইনস্যাট (ISRO)। লক্ষ্য করবে সাগর-মহাসাগরকে। দুর্যোগ আসবে কিনা তার আগাম বার্তা পাঠাবে।

    কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান?

    ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘আমি জানাতে চাই, GSLV-F14 INSAT-3DS-এর সফল উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি আমরা। সকলকে অভিনন্দন। রকেটের সমস্ত যন্ত্রাংশই সঠিকভাবে কাজ করছে।’’

    দুষ্টু ছেলে নাম কেন?

    ‘দুষ্টু ছেলের’ ভালো নাম অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। এই ডাকনাম ঠিক করেছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান। রকেটটির মতিগতি বুঝতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে ইসরোকে। তাই আদর করেই এমন নাম রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই রকেটের (ISRO) হাবভাবও নাকি দুষ্টু ছেলেরই মতো। যদি রকেটের মুড ঠিক থাকে তাহলেই মহাকাশযাত্রা সফল হয়, আর যদি বিগড়ে যায় তাহলেই ব্যর্থ। এইভাবে ছয় বার এই দুষ্টু ছেলে পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INSAT-3DS: চলতি মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহ, খবর দেবে আবহাওয়ার

    INSAT-3DS: চলতি মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহ, খবর দেবে আবহাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে ফের একঝাঁক প্রকল্প নিয়ে নেমেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চলতি মাসেই ইসোরর সিলমোহর নিয়ে ফের এক কৃত্রিম উপগ্রহ পাড়ি দেবে মহাশূন্যের পথে। জানা গিয়েছে, মহাকাশে ইসরো এবার পাঠাতে চলেছে কৃত্রিম উপগ্রহ INSAT-3DS. চলতি বছরে শুরুতেই ইসরো শুরু করে তাদের নতুন বছরের অভিযান। সেসময় মহাকাশে পাঠানো হয় এক কৃত্রিম উপগ্রহকে। তারপরেই ফের অভিযানে নামল ইসরো। ইসরোর এই নয়া উপগ্রহের কাজ কী হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেবে এই উপগ্রহ। এমনটাই জানা গিয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফে।

    কবে মহাকাশে রওনা হবে এই উপগ্রহ?

    জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ১৭ তারিখ সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভিএফ-৪ রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে কৃত্রিম উপগ্রহ INSAT-3DS. এমনটাই জানিয়েছেন ইসোরর বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, ইসরোর কাছে গত বছর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং সাফল্যের। ২০২৩ সালেই ইসরো সফল হয় তাদের চন্দ্রাভিযানে। পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে ভারত। অন্যদিকে গত বছরই সফল হয় ইসরোর সূর্য অভিযান।

    নয়া কৃত্রিম উপগ্রহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সংকেত দেবে

    INSAT-3DS কে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে তা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে। এছাড়াও যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও আগে থেকে জানান দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। জানা গিয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহে সিক্স চ্যানেল ইমেজার থাকবে এবং একটি ইনফ্রা রেড সাউন্ডারও থাকবে। প্রসঙ্গত ইনস্যাট সিরিজের এই উপগ্রহ গুলির উৎক্ষেপণ শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকেই। জানা গিয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি স্থাপিত হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার উচ্চতায়, ৮২° পূর্ব দ্রাঘিমায়।

     

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার পরে আবু ধাবি, সৌদি আরবের প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল

    ISRO: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর (ISRO) মুকুটে জুড়লো ফের নয়া পালক। গত অগাস্ট মাসেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল ল্যান্ডার বিক্রম। সেই চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউলকে সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এতদিন পর্যন্ত চাঁদের কক্ষপথেই ঘুরছিল চন্দ্রযানের প্রোপালশন মডিউল। তা এবার ফিরে এল পৃথিবীর কক্ষপথে।

    মহাকাশযানকেও ফিরিয়ে আনতে পারে ইসরো

    এ থেকে প্রমাণ হল যে চাঁদের কক্ষপথে থাকা মহাকাশযানকেও সাফল্যের সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে পারে ইসরো (ISRO)। প্রসঙ্গত, এই প্রোপালশন মডিউলে চেপেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। এর সঙ্গে জোড়া হয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। যার পেটের ভেতর ছিল রোভার প্রজ্ঞান। মোটামুটি সাড়ে তিন মাস চাঁদের কক্ষপথে ঘোরার পরে প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কাছে ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণাও সফল হল এর মাধ্যমে। চাঁদ থেকে এরপর থেকে নমুনা ফেরানোর কাজ সহজেই করতে পারবে ইসরো।

    ২৩ অগাস্ট অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম

    প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল মহাকাশ যান চন্দ্রযান ৩। এরপর ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান-৩। বিক্রম ল্যান্ডারের পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তারপর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় উঠেছে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও। পৃথিবীর প্রথম কোনও দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে সক্ষম হয় ভারত। জানা গিয়েছে তারপর থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছিল এই মহাকাশযান প্রোপালশন মডিউল। এরপর থেকে প্রোপালশন মডিউলের গতিপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা (ISRO)। জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর মাস থেকেই প্রোপালশন মডিউলকে (ISRO) ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। ১০ নভেম্বর চাঁদের কক্ষপথ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয় এটি। বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share