Tag: ISRO

ISRO

  • Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর আরও একবার ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পুজোর আগে হল গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষা মূলক উৎক্ষেপণ। তবে উৎক্ষেপণের সময় কিছু ত্রুটি দেখা দিলেও, মহাকশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে নিয়ে আসার সিস্টেমিক পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন করল ইসরো। দেশে খুশির আবহ ইসরোর এই সাফল্যে। আগামী বছর ২০২৪ সালে শুরু হবে চূড়ান্ত গগনযান মিশন। আনুমানিক ৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে এই অভিযানে।

    পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ 

    গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষামূলক ভাবে সফল উৎক্ষেপণ হল শনিবারে। তবে সকালে দু’বার থমকে গিয়েছিল পরীক্ষামূলক যাত্রা। এদিন সকাল ৮ টায় শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে গগনযান যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, নির্ধারিত সময় থেকে ৪৫ মিনিট পর উৎক্ষেপণ করা হবে। এরপরে এই উৎক্ষেপণ হয় ৮ টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু উৎক্ষেপণের ঠিক ৫ সেকেন্ড আগে, কাউণ্টডাউন ক্লকে ‘লাল হোল্ড’ শব্দ উঠে আসে। এরপর ইসরো সাময়িক ভাবে উৎক্ষেপণ স্থগিত রেখে, আবার সকাল ১০ টায় চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ করে। মিশনের নাম রাখা হয়েছে টেস্ট ভেহিকেল অ্য়াবর্ট মিশন-১। এছাড়া এটিকে টেস্ট ভেহিকেল ডেভেলপমেন্ট ফ্লাইট (TV-D1) নামকরণে ডাকা হবে বলে জানা গেছে।

    গগনযান মিশন কী (Gaganyaan Test Flight)?

    গগনযান মিশনের জন্য চার বিমান বাহিনীর মহাকাশচারীকে নির্বাচন করা হয়েছে। অভিযানকে বাস্তবায়িত করতে শনিবার প্রথম টেস্ট ভেহিকেলের উৎক্ষেপণ করল ইসরো। পরীক্ষা করার সময় ত্রুটি দেখা দিলেও মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিচে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা গেছে। আর এটাই পরীক্ষামূলক সফলতা। ৪০০ কিমি কক্ষপথে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে, দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবট মহাকাশে পাঠাবে বলে জানিয়েছে ইসরো। সেই অভিযান সম্পূর্ণ হলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু হবে।

    ইসরোর বক্তব্য

    গগনযান অভিযানে ইসরো জানিয়েছে, “আপৎকালীন পরিস্থিতে মহাকাশচারীরা প্যারসুটের মাধ্যমে নেমে আসতে পারেন কিনা, তাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। আর এই পরীক্ষা আজ সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে গগনযান (Gaganyaan Test Flight) থেকে বঙ্গোপসাগরে সফল ভাবে নেমে আসে প্যারাসুট।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত? ইসরোকে লক্ষ্য বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত? ইসরোকে লক্ষ্য বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো (ISRO)! অন্তত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে সেরকমই সময়সীমা বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার গগনযান মিশন নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারতে নিজস্ব স্পেস স্টেশন

    সেখানেই বিজ্ঞানীদের জানান তিনি, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিতে হবে। তবে ঠিক তার ৫ বছর আগে ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারতে নিজস্ব স্পেস স্টেশন (ISRO) স্থাপন করার লক্ষ্যও নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের স্পেস স্টেশনের নামকরণও মঙ্গলবার  ঠিক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী  স্পেস স্টেশনটর নাম হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’। জানা গিয়েছে, এদিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গল ও শুক্র অভিযান নিয়ে যাবতীয় কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    ইসরোর আগামী মিশনগুলি

    আগামীতে ইসরোর (ISRO) বেশ কতগুলো মিশন রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গগনযান-১, গগনযান-২, গগনযান-৩, শুক্রযান-১, মঙ্গলযান-২, লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন বা লুপেক্স। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবেই উড়ে যাবে গগনযান-১, প্রথম ধাপে কোনও মানুষ অবশ্য থাকবে না গগনযানে। এটি পরীক্ষামূলক মিশন হবে। গগনযান-২ এর ক্ষেত্রে মহাকাশযানে একটি রোবটকে পাঠানো হবে। অবশেষে গগনযান-৩ তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। গগনযান-১ পরীক্ষামূলকভাবে উড়ে যাবে অবশ্য দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনই। ২১ অক্টোবর পাড়ি দেবে গগনযান-১। মহাকাশ থেকে পরে তা অবতরণ বঙ্গোপসাগরে। সেই মতো প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে নামছে ইসরো। মহাকাশচারীদের নিয়ে কবে রওনা দেবে গগনযান (Gaganyaan Mission)? তারই দিনক্ষণ প্রকাশ করল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনযান মিশন দুটি ধাপে হবে, প্রথমেই কোনও মহাকাশচারী থাকবে না গগনযানে (Gaganyaan Mission)। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হবে গগনযানকে। মহাকাশে পাঠিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য মিললে আগামী বছরেই মহাকাশে পাড়ি দেবে মানুষ সমেত গগনযান। আগামী ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে গগনযানকে উৎক্ষেপণ করা হবে। গগনযান ফিরে আসার পরে তা বঙ্গোপসাগরে নামবে এবং সেই মতো ভারতের উপকূল রক্ষাবাহিনীও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গগনযানের এই প্রকল্পে মহাকাশচারীরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকেই নিরাপদ ভাবে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরেও আসবেন।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইসরো প্রধান

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan Mission) টেস্ট ভেহিকল স্পেস ফ্লাইট (TV-D1) আগামী ২১ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হবে। অবতরণের সময় কী ভাবে এই গগনযান থেকে মহাকাশচারীরা বেরিয়ে আসবেন সেটির পরীক্ষা করা হবে এই টেস্ট স্পেস ভেহিকলে।’’ গগনযান সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিবৃতি সামনে এসেছে ইসরোর প্রধান সোমনাথের। তিনি বলেন, ‘‘গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া ও তাঁদের ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ব্যবহার করা হবে একটি লঞ্চ ভেহিকল। মহাকাশে ক্রুদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি জরুরি। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে ও সেই মতো মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিষয়গুলি সম্বন্ধীয় আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর রয়েছে আমাদের।’’

    শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ পর্বও

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক গগনযানে (Gaganyaan Mission) কোনও মানুষ থাকছে না তবে আগামী বছরের মহাকাশচারী সমেত যে গগনযান পাড়ি দেবে সেখানে তিন জন নভোশ্চরকে দেখা যাবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দুজন মহাকাশচারীকে জিমে শরীর চর্চা করতে দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন হার না মানার লড়াই। শত বাধা ও আর্থিক প্রতিকূলতাকে জয় করে আগরপাড়ার রাজীব সাহা আজ ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-৩ তৈরিতেও তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপন হওয়ার পর অন্যান্য ভারতীয়দের মতো আগরপাড়ার মানুষও বেশি গর্বিত হন। কারণ, এই এলাকার ছেলে রাজীববাবু চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে সরাসরি অংশীদার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আগরপাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন। নিজের স্কুল তাকে সংবর্ধনা দেন। নিজের ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সংবর্ধনা পেয়ে কার্যত আপ্লুত হয়ে পড়েন ইসরোর এই বিজ্ঞানী।

    ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী হওয়ার আগে রাজীববাবু কী করতেন জানেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীববাবু ছোটবেলায় আগরপাড়া নেতাজি শিক্ষায়তনে পড়াশুনা করেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের সামনে তার জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত এবং জীবন সংগ্রামের কথা তিনি তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে, নেতাজি শিক্ষায়তনে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। ভুল চিকিৎসার জন্য তাঁর পা বাদ চলে যাচ্ছিল। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে তিনি ছয় মাস ভর্তি ছিলেন। পায়ে ইনফেকশন এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তার বেঁচে থাকারই কথা ছিল না। তবে, চিকিৎসকদের তৎপরতায় তিনি প্রাণ ফিরে পান। ছমাস স্কুল কামাই করলেও স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ক্লাস সিক্সে ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলও করেছিলেন। বাবা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেই কাজও একদিন চলে যায়। ফলে, চরম আর্থিক অনটনে রাজীববাবুর প্রায় পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। পরে, বাবা সরস্বতী প্রেসে ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ পান। সেখানে বাবার সঙ্গে তিনিও ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিনের জন্য। সেখানে দৈনিক ৩০ টাকা করে রোজগার ছিল তাঁর। তাতে পড়াশুনার খরচ তিনি চালিয়ে নিতেন।  মাধ্যমিকে স্কুলের মধ্যে তিনি প্রথম হন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করেন তিনি। আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তিনি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বসতে পারেননি। তাই, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে  তিনি পলিটেকনিক পাশ করেছিলেন। পরে, সাত হাজার টাকা বেতনের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে তিনি কাজ পান। কিন্তু, সেই টাকায় সংসারে কোনও কাজেই আসছিল না। চাকরির পাশাপাশি তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিটেক করার সুযোগ পান। পাস করে তিনি একটি ভাল চাকরির সুযোগ পান। সেখানে বছরে ১৮ লক্ষ টাকা তাঁর বেতন ছিল। সেখানে কিছুদিন চাকরি করার পরও সেই চাকরিও তিনি ছেড়ে দেন। বাড়িতে এসে দাদার গ্যারেজে কিছুদিন তিনি কাজ করেছেন। সময়ের ফাঁকে ফাঁকে তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্তরে একাধিক চাকরির পরীক্ষায় তিনি বসেন। পরে, ইসরাতো (ISRO) কাজ করার জন্য তিনি পরীক্ষায় বসেন। সেবার ইসরোতে সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ জনকে নেওয়ার কথা ছিল। সর্বভারতীয় স্তরে তিনি ২১ স্থান পেয়েছিলেন।

    কী বললেন রাজীব?

    রাজীববাবু বলেন, ছোট থেকেই আমার জীবনে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু, মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে ছিল বড় কিছু করার। তাই সব সময়ের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টাই করে গিয়েছি। আর মন দিয়ে যদি কোনওদিন কেউ কিছু চায় ভগবানও তা পেতে সাহায্য করে।  আমি আমার জীবন সংগ্রাম দিয়ে যে সাফল্য পেয়েছি এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L-1: রবিবার সফলভাবে কক্ষপথ বদল করল আদিত্য এল-১, বাড়ল গতি

    Aditya L-1: রবিবার সফলভাবে কক্ষপথ বদল করল আদিত্য এল-১, বাড়ল গতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় সৌরযান আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। রবিবার সৌরযানের (Aditya L-1) সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তন সফলভাবেই পরিববর্তন করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Aditya L-1)। রবিবার ঠিক দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ সফলভাবে কক্ষপথ পরিবর্তন করানো হয়েছে সৌরযানের যা ইতিমধ্যে ট্যুইট করে জানিয়ে  দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    ট্যুইট করে কী জানাল ইসরো (Aditya L-1)  

    এদিন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ট্য়ুইটে লেখে, ‘‘ঠিকঠাকই কাজ করছে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বেঙ্গালুরু থেকে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এর কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করানো হয়েছে।

    পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পার হতে মহাকাশযানেকে এখনও ২২ হাজার ৪৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে

    জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পাড় হতে মহাকাশযানেকে এখনও ২২ হাজার ৪৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। মহাকাশযানটি (Aditya L-1) দ্বিতীয়বারের জন্য কক্ষপথ বদলাবে ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা নাগাদ। জানা গিয়েছে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এমন ৫ বার কক্ষপথ বদলানো হতে পারে। যতবারই কক্ষপথ বদল করবে মহাকাশযান (Aditya L-1) ততই তার গতিও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মোট পাঁচটি ধাপ পরিবর্তনের পরে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে পেরিয়ে যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ১৬ দিন তারপরে গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগবে আরও ১১০ দিন সময় লাগবে। প্রসঙ্গত পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)।

    সৌর অভিযানের জন্য খরচ কত হল

    ইসরোর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের এই সূর্য অভিযানে (Aditya L-1) খরচ হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। স্বল্প বাজেটের এই মিশনে ভারত পৃথিবীর সেই সমস্ত দেশগুলির সারিতে চলে এল, যারা সূর্য অভিযান (Aditya L-1) করতে পেরেছে। সফলভাবে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছানোর পর সূর্যের বায়ুমণ্ডল সমেত সৃষ্টির আদিতে সূর্য কেমন ছিল, ভবিষ্যতে সূর্য কেমন হবে এই সমস্ত একাধিক বিষয়ে গবেষণা চালাবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুরিয়ে আসছে আয়ু। তাই শেষ করতে হবে হাতের কাজ। ইতিমধ্যেই চাঁদে ছ’ দিন কাটিয়ে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ‘শিবশক্তি পয়েন্টে’ ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। ছ’ চাকায় ভর করে চন্দ্রালোকে তথ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। সংগৃহীত তথ্য প্রজ্ঞান পাঠাচ্ছে বিক্রমকে। বিক্রম সেই তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে চন্দ্রযান ২-র আঁতুড় ঘর ইসরোয়।

    চন্দ্রযান ৩

    ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টি ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান ৩। যে এলাকায় পা রেখেছে ভারত, সেই অঞ্চলে বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পৌঁছতেও পারেনি। তাই চাঁদ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করবেন, তাঁদের কাছে চাঁদের এই অঞ্চলের রহস্যের দুয়ার খুলে দেবে প্রজ্ঞান। সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতি প্রজ্ঞানের। তাতেই বাজিমাত করে চলেছে সে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের খনিজ পরীক্ষা করছে প্রজ্ঞান। চন্দ্রভূমে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং টাইটানিয়াম রয়েছে। চাঁদের যে অংশে পা রেখেছে বিক্রম, তার চারপাশের শিলাগুলিও পরীক্ষা করে চলেছে প্রজ্ঞান।

    চন্দ্রযান ৩-র আয়ু

    পৃথিবীর হিসেবে চাঁদে (Chandrayaan 3) ১৪ দিন দিন থাকে। বাকি ১৪ দিন থাকে রাত। বর্তমানে চাঁদে চলছে দিন। সূর্য অস্ত যেতে বাকি আর মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলতে হবে প্রজ্ঞানকে। কারণ চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে। সূর্য যতক্ষণ কিরণ দেবে, ততক্ষণই কাজ করবে এই প্যানেল। সূর্য অস্ত গেলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে চন্দ্রযান ৩। যেহেতু আট দিন পরে সূর্য অস্ত যাবে চাঁদে, তাই চন্দ্রযান ৩-র আয়ুও ওই ক’ দিন। তার পর কী ফের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে চন্দ্রযান ৩-র?

    আরও পড়ুুন: অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন বেজিংয়ের! চিনা আগ্রাসনে রুষ্ট ভারত

    বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, “ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি ঠিকই। তবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের চলাফেরার ক্ষমতা নির্ভর করছে অনেকগুলি ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। ১৪ দিনের সকাল শেষে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাত। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির (Chandrayaan 3) একটি কণাও পৌঁছবে না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সেই সময় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান ৩-র যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি হিন্দু মহাসভার নেতার

    Chandrayaan 3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি হিন্দু মহাসভার নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদকে ঘোষণা করা হোক হিন্দুরাষ্ট্র এবং রাজধানীর নাম হোক শিবশক্তি। এবার এমনই দাবি করতে শোনা গেল হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণিকে। ২৩ অগাস্ট বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে অবতরণ (Chandrayaan 3) করে ভারতের বিক্রম ল্যান্ডার। ইসরোর সদর দফতরে গিয়ে অবতরণ স্থানের নাম ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ঘোষণা করেন, এবার থেকে ২৩ অগাস্ট জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসাবে পালিত হবে। ধর্মগুরু স্বামী চক্রপাণি মহারাজ ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অন্য কোনও ধর্ম চাঁদের (Chandrayaan 3) উপর মালিকানা ঘোষণা করার আগেই যেন ভারতীয় সংসদ হিন্দু রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করে চাঁদকে।

    কী বললেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি?

    নিজের একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন স্বামী চক্রপাণি মহারাজ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘সংসদের তরফে চাঁদকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হোক। যেখানে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করেছে, সেই শিবশক্তি পয়েন্টকে (Chandrayaan 3) রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হোক, যাতে কোনও জিহাদি মানসিকতা সেখানে পৌঁছতে না পারে। ভারত সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে কোনও জঙ্গি সেখানে পৌঁছতে না পারে।’’ তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্ট করেই ক্ষান্ত হননি এই ধর্মগুরু। তাঁর দাবি, তিনি এ নিয়ে চিঠিও লিখবেন। ধর্মগুরু বলেন, ‘‘হিন্দু মহাসভা এবং সন্ত মহাসভার তরফে এই চিঠি লিখব। আমরা দাবি জানাবো দ্রুত চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার। চাঁদে (Chandrayaan 3) যাতায়াত শুরু হলেই শিবশক্তি পয়েন্টে আমরা ভগবান শিব, মাতা পার্বতী এবং ভগবান গণেশের একটি মন্দির তৈরি করব।’’

    শিবশক্তি পয়েন্ট নামকরণে রাজনৈতিক তরজা

    চন্দ্রযান-১, ২০০৮ সালে যেখানে ভেঙে পড়েছিল, সেই স্থানের নামকরণ কংগ্রেস সরকার করেছিল জওহর। অর্থাৎ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে। এই নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের কথাই তুলে ধরেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে শিবশক্তি পয়েন্ট (Chandrayaan 3) নামকরণের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এনিয়ে বিজেপির জবাব,  ‘‘কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকলে চাঁদে (Chandrayaan 3) বিভিন্ন পয়েন্টের নাম রাখা হতো ইন্দিরা পয়েন্ট, রাজীব পয়েন্ট ইত্যাদি।’’ অন্যদিকে অবতরণস্থানের নামকরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিবশক্তি পয়েন্ট নামকরণে কোনও সমস্যাই নেই। কোনও মহাকাশযানের অবতরণ স্থানের (Chandrayaan 3) নামকরণ করা স্বাভাবিক বিষয় এবং সেটা যে কোনও দেশের ট্রাডিশন।  শিবশক্তি পয়েন্ট একটি ভারতীয় নাম। অতএব এতে কোনও সমস্যা নেই।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: গুটিগুটি পায়ে ঘুরছে প্রজ্ঞান, ভিডিও প্রকাশ করল ইসরো

    Chandrayaan 3: গুটিগুটি পায়ে ঘুরছে প্রজ্ঞান, ভিডিও প্রকাশ করল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজ্ঞান রোভারের  নতুন ভিডিও পোস্ট করল ইসরো এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে শিবশক্তি পয়েন্টের আশেপাশেই ঘুরে চলেছে রোভারটি (Chandrayaan 3)। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রম যেখানে অবতরণ করে সেই স্থানের নামকরণ করেছেন শিবশক্তি পয়েন্ট। শনিবার প্রজ্ঞান রোভারের গতিবিধি নিয়ে দিন ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও (Chandrayaan 3) পোস্ট করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    ভিডিও প্রকাশ ইসরোর (Chandrayaan 3)

    এর আগে বিক্রম ল্যান্ডারের থেকে রোভারের বেরিয়ে আসার ভিডিও প্রকাশ করেছিল ইসরো। এবার তিন দিনের মাথায় আরও একটি নতুন ভিডিও সামনে এলো। নতুন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিভাবে গুটিগুটি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান রোভার। জানা গিয়েছে ১৪ দিন চাঁদে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান রোভার। চাঁদের (Chandrayaan 3) বায়ুমন্ডলের গঠন কেমন? চাঁদের মাটির রাসায়নিক গঠন কেমন? এ সমস্ত কিছুই  জানাবে রোভার। এই সময়টাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Chandrayaan 3) সূর্যের আলো থাকে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করবে রোভার। শনিবার ইসরোর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রজ্ঞানের চাকার ছাপ পড়ছে চাঁদের মাটিতে। প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞানের চাকাতে রয়েছে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো। অর্থাৎ যতদূর পর্যন্ত প্রজ্ঞান যাবে ততদূর পর্যন্ত ভারতের জাতীয় প্রতীকের ছাপও উঠবে।

    ইসরোর দফতরে প্রধানমন্ত্রী 

    চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তিনি দেশে ফেরার পরে শনিবারে যান ইসরো সদর দফতরে। ইসরোর দফতর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ল্যান্ডার বিক্রম যেখানে অবতরণ করেছে সেই স্থানের নাম দেওয়া হল শিবশক্তি পয়েন্ট। অন্যদিকে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ যেখানে ভেঙে পড়েছিল সেই স্থানটির নাম দেওয়া হল তেরঙ্গা। এরই সঙ্গে ২৩ অগাস্ট দিনটিকে জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে (Chandrayaan 3) পালন করার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পরে ‘চন্দ্রযান-৪’ মিশনের প্রস্তুতি শুরু ইসরোর

    ISRO: দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পরে ‘চন্দ্রযান-৪’ মিশনের প্রস্তুতি শুরু ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান-৩ মিশন (ISRO)। এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সংস্থার ভাবনা চন্দ্রযান-৪ নিয়ে। বুধবারই সন্ধ্যায় পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। খুশিতে মেতে ওঠে গোটা দেশ। এরপরেই বিক্রম ল্যান্ডারের পেটের ভিতর থেকে রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসে। বিক্রমের পেট থেকে রোভারকে বের করে আনতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কারণ চাঁদের মাটিতে ধুলো ঝড় হয়েছিল বুধবার। তাই ধুলো লেগে ক্যামেরা বা যন্ত্রাংশের কোনও যাতে ক্ষতি না হয়, তাই এই সতর্কতা অবলম্বন করেন বিজ্ঞানীরা। প্রত্যাশা মতোই সেদিন গুটিগুটি পায়ে ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রপৃষ্ঠের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এই রোভার। চাঁদের বায়ুমণ্ডলের মৌলিক গঠন সহ একাধিক বিষয়ে তথ্য পাঠাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে। ভারতের চন্দ্র জয়ের এই সাফল্যে বিশ্বনেতাদেরও শুভেচ্ছা পেয়েছে ইসরো (ISRO)। বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে শুধুই ভারতের চন্দ্রাভিযানের সাফল্য নিয়ে। এরই মধ্যে ইসরো শুরু করে দিল চন্দ্রযান-৪ মিশনের প্রস্তুতি।

    ইসরোর (ISRO) মিশন চন্দ্রযান-৪

    এবারে চন্দ্রাভিযানকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে পরিকল্পনা শুরু করল ইসরো (ISRO)। জানা গিয়েছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা বা জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নাকি একটি চূড়ান্ত চুক্তিও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।

    মিশনের নাম হবে লুপেক্স

    চন্দ্রযান-৪ মিশন ভারত এবং জাপানের যৌথ উদ্যোগের সম্পন্ন হবে। এই অভিযানের নাম হবে লুপেক্স অর্থাৎ লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন। এই মিশনে চাঁদের মাটি, ভৌগোলিক গঠন নিয়ে বিশ্লেষণ করবে দুই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। খুঁজে দেখা হবে চাঁদে কি সত্যিই জল আছে! তবে এই মিশন শুরু হতো এখনো তিন বছর বাকি বলেই জানা গিয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ইসরো (ISRO) এবং জাক্সার এই যৌথ মিশন সম্পন্ন হবেবলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুরে আসছে ইসরোর দল, বসছে ২৬টি সিসিটিভি

    Jadavpur University: র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুরে আসছে ইসরোর দল, বসছে ২৬টি সিসিটিভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)  র‌্যাগিং ঠেকাতে ঠিক কী কী প্রযুক্তি অবলম্বন করা যায়, তা নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল ইসরো প্রধানকে। এবার রাজ্যপালের আহ্বানে সাড়া দিয়ে  র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আসছে ইসরোর একটি দল। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল গোটা বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। সেই মতো ইসরোর সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনাও সেরে ফেলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) উপাচার্য। কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে সে নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। 

    কী বলছেন উপাচার্য?

    শনিবার এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবং বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি বসানো হবে নজরদারি চালাতে।’’ সিসিটিভি বসানোর কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্য আরও বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবে ইসরো। সিসিটিভি ছাড়া আরও কী কী প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রয়োজন আছে, সেগুলো তাঁরা পরামর্শ দেবেন।’’

    ২৬টি সিসিটিভি বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) 

    এদিকে জানা গিয়েছে, র‌্যাগিং রুখতে মোট ২৬টি সিসিটিভি আপাতত বসছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) ক্যাম্পাস জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি জায়গা ইতিমধ্যে খুঁজে বের করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে মেন হোস্টেল। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনায় পুলিশকে তদন্ত করতে হচ্ছে গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের বয়ান, ফরেন্সিক রিপোর্ট ইত্যাদির ভিত্তিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘যদি ক্যাম্পাসে সিসিটিভি থাকতো তাহলে সেই ফুটেজ দেখে কাজ আরও বেশি সহজ হয়ে যেত।’’ এবং অন্য একটি মহলের মতে, ‘‘ক্যাম্পাসে যেভাবে মাদক নিয়ে কারবার চলছে, মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে সিসিটিভির ব্যবহার হলে এগুলি কমে যাবে।’’ সূত্রের খবর ১ থেকে ৫ নম্বর গেটে বসানো হবে দশটি সিসিটিভি। গাড়ির নজরদারিতে থাকছে দুটি এনপিআর ক্যামেরা। হস্টেলে থাকছে ১১ টি সিসিটিভি এবং তিনটি এনপিআর ক্যামেরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share