Tag: ISRO

ISRO

  • Chandrayaan 3: ‘‘বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্য’’, ভারতের চন্দ্রাভিযানকে কুর্নিশ জানাল পাকিস্তান

    Chandrayaan 3: ‘‘বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্য’’, ভারতের চন্দ্রাভিযানকে কুর্নিশ জানাল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তারপরেই উচ্ছ্বাসে মেতেছে দেশবাসী। দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশের সফল অবতরণ হিসেবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমও প্রশংসা করেছে ভারতের চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3)। বাদ যায়নি পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলিও। সে দেশের প্রথম সারির দৈনিক দ্য ডন পত্রিকা বৃহস্পতিবারই ছেপেছে ভারতের সাফল্যের কথা। প্রথম পাতাতেই তার শিরোনামে আসে। লেখা হয়,‘‘ভারতের এই চন্দ্রাভিযান থেকে পাকিস্তানের অনেক কিছু শেখার আছে।’’ পাকিস্তানি সংবাদপত্রে ছাপা হয় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্যগাথা। ট্রিবিউন, বিজনেস রেকর্ডার, জিও নিউজের মতো সে দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়াও সম্প্রচার করে ইসরোর সাফল্যের (Chandrayaan 3) খবর।

    ভারতের চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) প্রশংসা পাকিস্তানের

    এবার ভারতের চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) প্রশংসা শোনা গেল পাক সরকারের মুখেও। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মমতাজ জোহরা বালোচ বলেন,‘‘আমি বলতে পারি যে এটি একটি বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্য। যে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন প্রাপ্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর।’’ চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) সাফল্যে পাকিস্তানের সমাজ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকে যেমন এক্ষেত্রে বিরূপ মন্তব্য করছেন, তেমনই নাগরিক সমাজের একাংশ প্রশংসাও করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীদেরও। পাশাপাশি তাঁরা সরব হয়েছেন সে দেশের দূরাবস্থা এবং বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও।

    চন্দ্রাভিযানের (Chandrayaan 3) সরাসরি সম্প্রচার চেয়েছিলেন প্রাক্তন পাক মন্ত্রী

    সূত্রের খবর, দক্ষিণ মেরুতে ভারতের অবতরণ নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী থাকা ফাওয়াদ চৌধুরী  সর্বসমক্ষে প্রশংসা করেছেন ইসরোর (Chandrayaan 3)। জানা গিয়েছে, বুধবার ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের (Chandrayaan 3) কিছু আগে পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেলকে তা সম্প্রচার করার অনুরোধও করেছিলেন নাকি পূর্বতন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। যদিও তাঁর সেই অনুরোধ আমল দেয়নি পাকিস্তান সরকার।

    আরও পড়ুুন: গ্রিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের, জলপাইগুড়িতে উৎসবের আমেজ

    Chandrayaan 3: ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের, জলপাইগুড়িতে উৎসবের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা জানতেন না কিছুই। ফোনে ছেলে বলেছিল, সন্ধ্যায় টিভিতে নজর রেখো। বিকেল থেকেই টিভির সামনে মা। সন্ধ্যায় চাঁদে বিজয়কেতন (Chandrayaan 3) ভারতের। জয়ের স্থপতিদের মধ্যে রয়েছে ছেলেও। টিভিতে ছেলের ছবি দেখে আপ্লুত মা। জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক নাগের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এল মা সোনালি দেবীর।

    জানতেন না অনেকেই (Chandrayaan 3) 

    সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের। জয়ের কারিগরদের তালিকায় নাম জলপাইগুড়ির ছেলের। জানতেন না অনেকেই। টিম ইসরোর সদস্যদের উচ্ছ্বাসের ছবি (Chandrayaan 3) টিভির পর্দায় ফুটে উঠতেই ঘরের ছেলে কৌশিককে চিনতে পেরে হতবাক অনেকেই। তাঁর মাও জানতেন না যে তাঁর ছেলেও রয়েছে স্বপ্নজয়ীদের দলে।

    মাকেও জানাননি ছেলে (Chandrayaan 3) 

    শহর সংলগ্ন এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১১ সালে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন কৌশিক নাগ। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে ২০১৮ সালে যোগদান দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায়। এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এরও সদস্য ছিলেন কৌশিক। সেবার অল্পের জন্য ফস্কেছিল লক্ষ্য। এবার তা হয়নি। তবে এবার এই প্রজেক্টে থাকার কথা মাকেও আগেভাগে জানাননি ছেলে। মা জেনেছেন সকালে। টিভির স্ক্রিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বাসের ছবিতে গোলাপি শার্ট পরা বছর একত্রিশের কৌশিক নাগকে চিনতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি সহপাঠী, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের। মুহূর্তে সেই ছবি (Chandrayaan 3) ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের বর্ধিত মোহন্ত পাড়ায় কৌশিকের বাড়িতেও পৌঁছে যায় শুভেচ্ছাবার্তা।

    দেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে, বললেন মা 

    কৌশিকের মা সোনালি দেবী বলেন, বিকেল পাঁচটা থেকে টিভি খুলে বসে আছি। সন্ধ্যায় চন্দ্রযান ছুঁল চাঁদের মাটি। ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের। জানালেন, দেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞে (Chandrayaan 3) আমার ছেলেরও অবদান রয়েছে, এটা ভেবে আরও ভালো লাগছে। এদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও কৌশিকের কৃতিত্বে খুশি। বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে কৌশিক নাগের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে অভিনন্দন জানানো হয়। পাশাপাশি কৌশিকের আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর বানানো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) অরবিটার নেই। শুধু ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞান নিয়েই চাঁদ জয় করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবারের রোভার অনেক বেশি উন্নত। রোভারের চারদিকেই সোলার প্যানেল লাগানো। সেই সঙ্গেই রোভার প্রজ্ঞানে আছে হাই-রেজলিউশন ক্যামেরা। প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা যে টিম তৈরি করেছে তার অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। বুধবার ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনেও দেখা গিয়েছিল জয়ন্তকে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখতে উচ্ছাসে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল বাংলার এই সন্তানকে।

    ‘চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যে খুশি বিজ্ঞানী জয়ন্ত লাহার মা, কী বললেন? (Chandrayaan-3)

    উত্তরপাড়ার সরকারি হাইস্কুলে পড়াশোনা জয়ন্তর। ছোট থেকেই মেধাবী। শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে খড়্গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন জয়ন্ত। তারপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত লাহা। তাঁর সাফল্যে এখন গোটা উত্তরপাড়ায় উৎসবের মেজাজ। জয়ন্তের বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্তবাবুর বানানো নেভিগেশন ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটি দেখবে, ছবি তুলবে চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে কাজ শুরু করার পরেই সক্রিয় হবে প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখতে আনন্দে মেতে ওঠেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। টিভির পর্দায় বিজ্ঞানীদের ভিড়ে ছেলেকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন গর্বিত বাবা-মা। জয়ন্তবাবুর মা চন্দনা লাহা বলেন, ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। অসুস্থ ছিল। আমরাও ওকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে, খুব পড়তে ভালবাসত। পড়াশুনাতেও ভাল ছিল। ছেলে আরও বড় হোক এই আশীর্বাদ করি।

    চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের ছবি তোলা, দিকনির্ণয়ের কাজটা পরিচালনা করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম

    চাঁদের মাটিতে এখনও কাজ শুরু করেনি প্রজ্ঞান। অবতরণ স্থলের চারপাশ ভাল করে পরীক্ষা করার পরেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) তার কাজ শুরু হবে। ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রজ্ঞানকে পরিচালনা করবেন বিজ্ঞানীরা। রোভারের চাকা গড়ালেই অ্যাকটিভ হবে নেভিগেশন ক্যামেরা। চাঁদের মাটির ছবি তোলা, দিকনির্ণয় করে এগিয়ে যাওয়ার কাজ করবে নেভিগেশন টুল। প্রজ্ঞানের এই কাজটা পরিচালনা করবেন জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ইসরোর বাঙালি গবেষক। বাবা-মা তাই গর্বিত। সফল ভাবে চাঁদে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩। অবতরণের শুভ মুহূর্তের প্রহর গুনছে এই বাঙালি গবেষকের পরিবার। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকায় ইসরো বাঙালি গবেষক মানস সরকারের বাড়ি।

    চন্দ্রযান ৩ অবতরণে বাঙালি গবেষক

    বাঙালি গবেষক মানস সরকার ২০০৬ সাল থেকে ইসরোতে গবেষণার কাজে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি। সেই দিনের ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি গবেষকের পরিবার। বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার, মা রঞ্জিতা সরকার সে কথা আজও বলেন। তাই সফল অবতরণের আশায় প্রহর গুনছেন সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা। তাঁদের কাছে যেমন আবেগ, অন্যদিকে একটু ভয়ও কাজ করছে। শেষ মুহূর্তে চাঁদে পা রাখার ব্যাপারে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা। একদিকে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন, অন্যদিকে প্রার্থনা করছেন যাতে গোটা ভারতবর্ষের কাছে এই সাফল্য তুলে দেওয়া যায়। সব মিলিয়ে বাঙালি গবেষকের পরিবার তাকিয়ে রয়েছে শুধু সময়ের দিকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    চন্দ্রযান ৩ -এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম। মা রঞ্জিতা দেবী জানান, বসিরহাট গাছা আঁখারপুর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে ছিল তাঁদের পরিবারের আদি বাড়ি। ছোটবেলা থেকে ইসরোর গবেষক মানসের সেখানেই বেড়ে ওঠা। সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনার পর যাদবপুর, রাজাবাজার এবং হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাঠ শেষের পর প্রফেসর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মানস। মেধাবী এই বাঙালি বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে। ২০০৬ সালের আগেই হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন মানস। সেই সময় অ্যামেরিকা থেকে ডাক পেলেও, তিনি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে, সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এরপরই ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে কারিগরি বিভাগে নিযুক্ত হন বসিরহাটের মানস। আজ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য গর্ব অনুভব করছে গোটা সরকার পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Luna-25 Crashed: চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান, ৪৭ বছর পরে অভিযান ব্যর্থ মস্কোর

    Luna-25 Crashed: চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান, ৪৭ বছর পরে অভিযান ব্যর্থ মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে আছাড় খেল রাশিয়ার মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)। ব্যর্থ হল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রশকসমসের সমস্ত প্রচেষ্টা। দিন কয়েক আগেই সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল রাশিয়ার মহাকাশ যান ‘লুনা-২৫’ (Luna-25 Crashed) এর। রুশ মহাকাশ সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে , প্রায় ৪৭ বছর পরে ফের চন্দ্র অভিযানের সামিল হয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু সফল হল না। যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। শনিবার থেকেই খারাপ খবর মিলতে থাকে। সংশয় তৈরি হয় অভিযানকে নিয়ে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায় যে জরুরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। শুধু তাই নয় নির্ধারিত গতিবেগের থেকে অনেক বেশি গতিতে ছুটতে থাকে সেটি (Luna-25 Crashed)। এবং অবশেষে ভেঙে পড়ে চাঁদের মাটিতে।

    চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)

    ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩, সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রায় একমাস পরে রাশিয়ার মহাকাশ যান ‘লুনা-২৫’ (Luna-25 Crashed) ১০ অগাস্ট চাঁদের দেশে পাড়ি দেয়। এবং সোমবারেই চাঁদের মাটিতে নামার কথা ছিল রুশ মহাকাশযানের (Luna-25 Crashed)। জানা গিয়েছে, চাঁদে নামার ঠিক আগের ধাপেই গন্ডগোল শুরু হয় রাশিয়ার মহাকাশযানের। যার নাম পোশাকি নাম ছিল প্রি-ল্যান্ডিং অর্বিট। সেখানেই যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)।

    চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় সামান্য পিছল ল্যান্ডার বিক্রমের

    অন্যদিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়সীমার সামান্য বদল হল ল্যান্ডার বিক্রমের। ২৩ অগাস্ট ৫টা ৪৭ মিনিটে ল্যান্ডিং হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে হল সন্ধ্যা ছ’টা বেজে চার মিনিটে। রবিবার দুপুরে ইসরোর তরফ থেকে এই সময় বদলের বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করা হয়। প্রসঙ্গত, চন্দ্র অভিযানের একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে ভারত। চাঁদ থেকে চন্দ্রযানের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদ থেকে দূরত্ব আর মাত্র ২৫ কিমি, শেষ ধাপে চন্দ্র-অভিযান

    Chandrayaan 3: চাঁদ থেকে দূরত্ব আর মাত্র ২৫ কিমি, শেষ ধাপে চন্দ্র-অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই দ্বিতীয় ও শেষ ডি-বুস্টিং অপারেশন সম্পন্ন করল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। অর্থাৎ চাঁদের মাটিতে পা দিতে আর মাত্র এক ধাপ। ইতিমধ্যে এই খবর ট্যুইট করে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফ থেকে। ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদের মাটিতে (Chandrayaan 3) অবতরণ করার কথা ২৩ অগাস্ট ঠিক বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে। জানা গিয়েছে, শেষ ধাপের এই অপারেশনটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

    চাঁদ থেকে দূরত্ব মাত্র ২৫ কিমি

    শনিবারই ইসরোর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, ‘‘চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর দ্বিতীয় ও শেষ ডি-বুস্টিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। বর্তমানে চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব কমে ২৫ কিলোমিটার হল চন্দ্রযানের।’’ প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রোপালসন মডেল থেকে বিচ্ছিন্ন হয় ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। শুক্রবার, সম্পন্ন হয় প্রথম ডি-বুস্টিং অপারেশন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করলেই নতুন ইতিহাস গড়বে ভারত এবং চতুর্থ দেশ হিসেবে ছোঁবে চাঁদের মাটি। ২০১৯ সালে শেষ পর্যায়ে এসেই ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্র-অভিযান (Chandrayaan 3)। তবে এবার তেমন কিছুই হবে না বলে জানাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন যে সমস্ত সেন্সার সহ ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলেও বিক্রম সফলভাবেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। বিক্রমের পেটের ভিতরে রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।

    ধাক্কা খেল রাশিয়ার চন্দ্র অভিযান 

    রাশিয়ার চন্দ্র অভিযান  ধাক্কা খেল। গত সপ্তাহতেই মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল রাশিয়া। যার নাম লুনা-২৫। প্রসঙ্গত, ৪৭ বছর পরে ফের চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। এই মহাকাশযানের লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখা। কিন্তু চাঁদের কক্ষপথে শেষ ল্যাবে পৌঁছাতে গিয়ে বড়োসড় বিপদের মুখে পড়ল রুশ চন্দ্রযান লুনা-২৫।  সূত্রের খবর, রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতির কারণে কক্ষপথে প্রবেশ করতে পারেনি চন্দ্রযান। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L-1: আদিত্য এল-১ পৌঁছল শ্রীহরিকোটায়, সূর্য মিশনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ইসরোর

    Aditya L-1: আদিত্য এল-১ পৌঁছল শ্রীহরিকোটায়, সূর্য মিশনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ অগাস্ট বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। চন্দ্রযান ৩ মিশনের মাঝেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো নামছে সূর্য অভিযানে। এই মিশনের নাম ‘আদিত্য এল-১’ (Aditya L-1)। ইতিমধ্যে ১৪ অগাস্ট ইসরোর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ছবিও প্রকাশ করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

    শ্রীহরিকোটায় পৌঁছেছে ‘আদিত্য এল-১’

    শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, সম্ভবত ২৬ অগাস্ট উৎক্ষেপণ হতে পারে ‘আদিত্য এল-১’। কৃত্রিম উপগ্রহটি ইতিমধ্যে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে এসে পৌঁছেছে এবং এটি যুক্ত করা হবে পিএসএলভি রকেটের সঙ্গে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ‘আদিত্য এল-১’ (Aditya L-1) মিশন হল সূর্য গবেষণার জন্য ভারতের প্রথম মহাকাশযান এবং তা উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। 

    ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দেবে ‘আদিত্য এল-১’

    হিন্দু দেবতা সূর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটির। জ্বালানি-সহ প্রায় ১৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই উপগ্রহ সাতটা সায়েন্স পে-লোড নিয়ে যাবে বলে ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে। মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট এল ১-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এই পয়েন্টের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তা হল, কোনও গ্রহণ ছাড়াই সূর্যকে অবিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এই পথটাই পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১। আদিত্য এল-১ উপগ্রহকে তাই সে ভাবেই বানানো হচ্ছে। 

    কী কী কাজ করবে ‘আদিত্য এল-১’?

    আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা এবং বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য নেওয়া। জানা গিয়েছে, সূর্যের করোনা, সৌর নির্গমন, শিখা করোনাল এই সমস্ত কিছু অধ্যয়ন করবে কৃত্রিম উপগ্রহ। ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের ছবিও তুলতে সক্ষম এই কৃত্রিম উপগ্রহ। জানা গিয়েছে, সমগ্র আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে সৌর আবহাওয়া। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য হলো এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য খোঁজা। এর পাশাপাশি সৌর ঝড় সম্পর্কে অধ্যয়ন করবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। পাশাপাশি মহাকাশে প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কমাতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা সেদিকেও নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরমণ্ডল এবং পৃথিবীর পরিবেশের উপর সূর্যের ঠিক কী প্রভাব পড়ে সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সামনে আসতে পারে এই অভিযান সফল হলে। 

    সূর্যের স্তর ‘সোলার করোনা’ নিয়েই গবেষণা করবে আদিত্য এল-১। সূর্যের বহিস্তরের তাপমাত্রা প্রায় ১ কোটি কেলভিন, নিম্নস্তরের প্রায় ৬০০০ কেলভিন। সূর্যের পৃষ্ঠদেশে ও করোনার তাপমাত্রার ফারাক এবং করোনা থেকে ছিটকে আসা আগুনে রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কীভাবে প্রভাব ফেলে সেটাই খুঁজে বার করবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের করোনার তাপমাত্রা গড়ে ১০ লক্ষ বা তার কিছু বেশি ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা সব সময় একরকমের থাকে না। কখনও বৃদ্ধি হয় কখনও কমে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে আদিত্য এল-১। প্রসঙ্গত, সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করল চন্দ্রযান-৩, এবার চাঁদের দেশে পা রাখার অপেক্ষা

    Chandrayaan-3: চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করল চন্দ্রযান-৩, এবার চাঁদের দেশে পা রাখার অপেক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) চাঁদের সীমানায় ঢুকল। শনিবার সন্ধ্যায় কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৩, ইসরোর তরফ থেকে তা জানানো হয়েছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কাটিয়ে আগেই চন্দ্রযান-৩ বেরিয়ে গিয়েছিল। এবার শনিবার চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ল। ধীরে ধীরে চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3), জানা গিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে ঘোরার সময় চন্দ্রযান-৩ এর গতি ক্রমশ কমে আসবে। প্রসঙ্গত, চাঁদের আকর্ষণ বল পৃথিবীর চেয়ে ৬ গুণ কম।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    ২৩ অগাস্ট চাঁদের দেশে পা রাখবে প্রজ্ঞান

    জানা গিয়েছে,  চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর প্রাথমিক গন্তব্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে এবং তারপরেই সব থেকে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করবে ইসরোর জন্য। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে চলতি মাসের ২৩ তারিখ ঠিক সন্ধ্যা ৫টা ৪৭মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে সফট ল্যান্ডিং করার কথা ল্যান্ডার বিক্রমের। ২০১৯ সালে ঠিক এই জায়গাতেই ব্যর্থ হয়ে গেছিল ইসরোর চন্দ্রযান-২।

    চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হলে, চাঁদের দেশে চতুর্থ নাম হবে ভারতের

    চন্দ্রযান-৩ মিশন যদি সফল হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে ভারতের মহাকাশ গবেষণার মুকুটে নতুন পালক জুড়বে। এবং আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে অবতরণ করার তালিকায় উঠে আসবে আমাদের দেশের নাম। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই ঠিক দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রী হরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ এর। যাত্রা শুরুর ২২ দিন পরে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করল।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে অশান্তির আঁচ! ৩৭০ ধারা রদের চতুর্থ বার্ষিকীতে ফের গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ৭টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর রকেটে চড়ে

    ISRO: ৭টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর রকেটে চড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে কয়েকদিন আগেই। ফের ইসরোর (ISRO) মুকুটে জুড়লো নয়া পালক।  শুরু হল পিএসএলভি-সি৫৬/ ডিএস-সার (PSLV-C56/ DS-SAR) মিশন। পিএসএলভি-সি৫৬ রকেটে পাঠানো হল সিঙ্গাপুরের সাতটি স্যাটেলাইট। রবিবার সকাল ৬.৩০টায় উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলানো হয় উৎক্ষেপণের সময়। ৪ মিনিট পিছিয়ে যায় উৎক্ষেপণের সময়। ৬টা ৩৪ মিনিটে উৎক্ষেপণ হয়। ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে প্রতিট কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৫৩৫ কিমি উপরে স্থাপিত হবে।

    একনজরে দেখে নেব সাতটি স্যাটেলাইট

    ১. ডিএস-সার (DS-SAR)

    ২. ভেলোক্স-এএম (VELOX-AM ), এটি একধরনের টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন মাইক্রোস্যাটেলাইট

    ৩. আর্কেড (ARCADE)-এটি একটি পরীক্ষামূলক উপগ্রহ

    ৪. স্কুব-২- এটি হল একটি থ্রি ইউ (3U) ন্যানো স্যাটেলাইট

    ৫. নুলিয়ন (NuLIon) স্যাটেলাইট- এটি খুবই উন্নত থ্রি ইউ (3U) ন্যানোস্যাটেলাইট। জানা গিয়েছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ শহুরে এবং দূরবর্তী উভয় স্থানেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে আইওটি ( IoT-Internet Of Things) সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম।

    ৬. গালাসিয়া-২ (Galassia-2), এটি একটি থ্রি ইউ (3U) ন্য়ানোস্য়াটেলাইট।

    ৭. ওআরবি-১২ স্ট্রিডার (ORB-12 STRIDER)- এই স্যাটেলাইটটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২৬ অগাস্ট ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য এল-১ উৎক্ষেপণ হবে

    ২০২০ সালেই সৌর মিশনের পরিকল্পনা করেছিল ভারত (ISRO)। সেবছর আদিত্য এল-১ মিশনের প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিল ভারত। কিন্তু সেসময় করোনা পরিস্থিতির কারণে এই মিশন পিছিয়ে যায়। ২০২৩ সালে ফের সেই সূর্য মিশনে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরো (ISRO)। চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রোভার চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ২৩-২৪ অগাস্ট। এবং দেশের সৌর মিশনের দিন ইসরো (ISRO) ঠিক করেছে ২৬ অগাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    Birbhum: বীরভূমের বাঙালি সন্তানের যোগ মিলল চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে, উচ্ছ্বসিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে বিশেষ যোগ মিলল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বাঙালি সন্তান বিজয়কুমার দাই-এর। ইসরোর গবেষণাগারে বসে চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার এই সন্তান। তফশিলি দরিদ্র চাষি পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় কুমার দারিদ্রতাকে জয় করে চাঁদে যান পাঠালেন। বিশ্বজোড়া কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা ও তাঁর গ্রামের মানুষজন। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলে আশা তাঁর বাবা ও মায়ের। এই যোগদানে বিজয় কুমারের জন্য রাজ্যবাসীও আপ্লুত।

    কোথায় পড়াশুনা করেছেন বিজয়কুমার দাই (Birbhum)?

    ২০০০ সালে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয়কুমার দাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরেই চাকরি পেয়ে যান ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে। এরপর সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বিজয়কুমার দাই-এর এই সাফল্যে খুশি দক্ষিণগ্রামের মানুষজন। দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষককরাও ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Birbhum) পক্ষে বাবা নারায়ণচন্দ্র দাই বলেন, এই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের সাফল্য কামনা করি। অনেক পরিশ্রম করে ইসরোতে চাকরি পেয়েছে আমার ছেলে। পড়াশুনায় কোনও খামতি রাখেনি বিজয়। দিনরাত পরিশ্রম এবং পড়াশুনা করে আজ এই জায়গাতে পৌঁছেছে। ওর মঙ্গল কামনা করি। তবে ছেলে কাজের জন্য খুব ব্যস্ত থাকে, তাই রাতের দিকেই মূলত ওর সঙ্গে কথা হয়। মা শ্যামলী দাই বলেন, টিভিতে দেখলাম চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের ছবি, খুব ভালো লাগেছে। ছেলের জন্য বেশ গর্ব অনুভব করি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার বড় ছেলে ওকে এই পড়াশুনার জন্য উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তো চাষাবাস করি অত বুঝি না। বড় ছেলে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বড় ছেলেই মেজ ছেলেকে যে পথ দেখিয়েছে তারপর থেকে সেই পথেই চলছে বিজয়। ভগবান ওর মঙ্গল কামনা করুক, ওঁদের অভিযান যেন সর্বাত্মক সাফল্য লাভ করে, ঈশ্বরের কাছে সেই কামনাই করি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share