Tag: iss

iss

  • NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই দুটি মিশনে মার্কিন সহযগিতা পাবে ভারত। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, “আমেরিকা এই বছরের শেষ নাগাদ একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। এছাড়াও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মধ্যে একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ মিশন হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিসার’ (NISAR) প্রকল্প। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মিশন চালু হবে।”

    কী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা এ বছর একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম যে, ২০২৪-এর শেষ নাগাদ, আমরা এটি সম্পন্ন করব।” 

    ট্র্যাকে রয়েছে মিশন

    দুটি মিশনই ট্র্যাকে রয়েছে। ভারতবাসীর জন্য এ খবর খুবই গর্বের। ইসরো মহাকাশ গবেষণার নয়া দিগন্ত তুলে ধরেছে। গারসেটি জানিয়েছেন যে, নিসার (NISAR) প্রকল্প একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষক মিশন। এর পুরো নাম— NASA ISRO Synthetic Aperture Radar। এটি একটি স্যাটেলাইট যা নাসা এবং ইসরো মিলে তৈরি করছে। এই পর্যবেক্ষক মিশন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উৎক্ষেপণের তারিখ দ্রুত নির্ধারণ করা হবে। মহাকাশযানটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করবে।

    নিসার ভারতের অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট (NISAR)

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের আগে কাজ শেষ করার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইটের ৩৯-ফুট-ব্যাস (১২-মিটার) রেডার অ্যান্টেনা, প্রতিফলকের (Reflector) হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিতে একটি বিশেষ আবরণ প্রয়োগ করা, যা মিশনে নাসার প্রাথমিক অবদানগুলির মধ্যে একটি। এই বিশেষ আবরণ তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে প্রশমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    এর বিশাল প্রতিফলক পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাইক্রোওয়েভ সংকেত প্রেরণ করবে এবং গ্রহণ করবে। প্রতি ১২ দিনে দুবার প্রায় সমস্ত গ্রহের ভূমি এবং বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করতে সক্ষম করবে এই স্যাটেলাইট।

    কী কাজে লাগবে এই স্যাটেলাইট

    এই মিশনের মাধ্যমে (NISAR)  নাসা এবং ইসরোর মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ সহযোগিতা হচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ট্রেলব্লেজিং স্যাটেলাইট। দুই ধরনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারকে একত্রিত করে, এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিমাপ পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষত মেরু অঞ্চলের বরফের চাদর এবং হিমালয়ের হিমবাহ, জলাভূমি এবং বনভূমি এবং আগ্নেয়গিরির পরিবর্তন লক্ষ করা ছাড়াও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবে এই স্যাটেলাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Space Station: মুম্বই, বেঙ্গালুরুর ওপর দিয়ে উড়ে গেল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, কেমন দেখাল ভারতকে?

    International Space Station: মুম্বই, বেঙ্গালুরুর ওপর দিয়ে উড়ে গেল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, কেমন দেখাল ভারতকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই (Mumbai), বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ওপর দিয়ে উড়ে গেল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (International Space Station)। এই উড়ন্ত ল্যাবরেটরিটি ভূপৃষ্ঠের চারশো কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে। এক দেশের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ভ্রমণ করছে অন্য দেশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই উড়ন্ত ল্যাবরেটরিটি উড়ে গিয়েছে ভারতের ওপর দিয়ে। গোটা ভারতের ওপর দিয়ে অবশ্য উড়ে যায়নি উড়ন্ত এই ল্যাবরেটরিটি। সেটি উড়ে গিয়েছে কেবল মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর ওপর দিয়ে।

    নাসা…

    সম্প্রতি নাসা এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও রিলিজ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সীমান্তের কাছ থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূল অঞ্চল দিয়ে ভারতে ঢুকছে ওই উড়ন্ত ল্যাবরেটরি। উড়ে যাওয়ার সময় জিরো গ্র্যাভিটি এই ল্যাবটি আরও কয়েকটি শহরের সঙ্গে সঙ্গে অতিক্রম করেছে সাতারা, সাঙ্গালি এবং পুণেও।

    ২২ ডিসেম্বর এটি উড়ে যায় ভারতের (India) ওপর দিয়ে। তখনই স্পেস স্টেশন (International Space Station) থেকে তোলা হয় ছবি। ট্যুইট-বার্তায় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের টিম জানান, আজ ভারতের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আকাশ ছিল পরিষ্কার। পাকিস্তান সীমান্তের কাছ দিয়ে উত্তর-পশ্চিম উপকূল অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলাম। মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর ওপর দিয়ে উড়ে গেলাম। সেসব শহরের ওপর দিয়ে এই উড়ন্ত ল্যাবরেটরিটি উড়ে গিয়েছে, তার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে নাসা।

    আরও পড়ুন: ‘মায়ের শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব’, হীরাবেন মোদির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, নেতানেত্রীর

    ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনটি (International Space Station) গত তিন দশক ধরে গবেষণামূলক কাজে লিপ্ত রয়েছে। পৃথিবীর বাইরে এটিই মানুষের একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা। গত তিন দশক ধরে মহাকাশে একাই ছিল এই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনটি। সম্প্রতি একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করেছে চিনও। তার পর থেকে মহাকাশে গবেষণার কাজ করছে এই দুই মহাকাশ স্টেশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share