Tag: Jagdeep Dhankhar

Jagdeep Dhankhar

  • Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা চান জেল থেকে সরকার চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা। কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালালে তা গণতন্ত্রের গরিমাকে আহত করে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইস্তফার পর থেকে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে বিরোধীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানালেন, ‘অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’

    জেল থেকে সরকার চলুক

    ৩০ দিন জেলে থাকলেই ৩১ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিল নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের আবহে বিল নিয়ে অনড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “আসলে আজও এরা চেষ্টা করছেন, কখনও জেলে গেলেও জেলে বসেই সহজে সরকার চালিয়ে নেবেন। জেলকেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা প্রধানমন্ত্রীর দফতর বানিয়ে নেবেন। তারপর জেল থেকে ডিজিপি, মুখ্যসচিব, ক্যাবিনেট সচিব বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেবেন।” শাহের (Amit Shah) কথায়, “যদি জামিন পেয়ে যান তিনি শপথ নিয়ে পুনরায় পদ সামলাতেই পারেন। কিন্তু জেল থেকে সরকার চালানো কি উচিত?”

    অন্তর্ভুক্ত প্রধানমন্ত্রীর পদও

    অমিত শাহ জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে চেয়েছিলেন এই বিলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকেও অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি স্মরণ করালেন, ইন্দিরা গান্ধী ৩৯তম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের পদকে বিচারিক পর্যালোচনার বাইরে রেখেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার তার উল্টো পথে হেঁটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (130th Constitutional Amendment Bill) দেশের গণতন্ত্রের গরিমা রক্ষার জন্য আবশ্যিক।

    জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গ

    হঠাৎ সকলকে অবাক করে গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই নিয়ে তুমুল চর্চা, বিতর্কও হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে ধনখড়ের বিবাদের জল্পনাও উঠে আসে। সরকারের তরফে সে সময়ে কোনও বিবৃতি মেলেনি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন, “এই বিষয়টি দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।” সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জগদীপ ধনখড়ের কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ধনখড়জি যখন সাংবিধানিক পদে ছিলেন, তাঁর সময়কালে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ভালো কাজ করেছেন। ধনখড় সাহেবের ইস্তফাপত্রে স্পষ্ট যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও সরকারের বাকি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।”

    রাহুলের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন শাহের

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী (130th Constitutional Amendment Bill) ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতেই শাহের নিশানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ২০১৩ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলের ঘটনা প্রসঙ্গে শাহ বলেন,“লালুপ্রসাদ যাদবকে বাঁচাতে মনমোহন সিং সরকারের আনা অধ্যাদেশ কেন রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলেছিলেন? সেই দিন যদি তাঁর নীতিবোধ থেকে তিনি তা করে থাকেন, তাহলে এখন কী হলো? পরপর তিনটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কি আপনার নীতিবোধ বদলেছে? নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের কোনও সম্পর্ক নেই, বরং নৈতিক মূল্যবোধ চাঁদ-সূর্যের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।’এখানেই শেষ নয়, সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে শাহ বলেন, ‘নিজের দলের সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছিলেন যে রাহুল, তিনি এখন বিহার নির্বাচনে জেতার জন্য দোষী লালুপ্রসাদকে জড়িয়ে ধরছেন। তা হলে সেই দিন প্রতিবাদ করেছিলেন কেন। মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ইতিহাসের কাছে দোষী হয়ে গেলেন চিরজীবনের মতো।”

    জনগনকে জবাব দিতে হবে

    বিরোধীরা সংসদে বিল পেশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করছে, এ প্রসঙ্গে শাহ (Amit Shah) বললেন,“সংসদ কি শুধু শোরগোল করার জায়গা, না কি বিতর্কের জন্য? আমরাও অতীতে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু কোনও বিলকেই উপস্থাপন করতে না দেওয়া আসলে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। এর জবাব বিরোধীদের জনগণকে দিতেই হবে।” বিরোধীরা যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলকে (130th Constitutional Amendment Bill) ‘কালা আইন’ বলছে, তখন শাহ জবাব দিলেন, “দেশ কোনও একজন মানুষ ছাড়া চলবে না, এই ধারণা আমরা একেবারেই মানি না। একজন সরে গেলে দলের অন্য সদস্য সরকার চালাবেন। আর যখন জামিন পাবেন, তখন ফের পদে ফিরতে পারবেন। তাতে আপত্তি কোথায়?” এই বিল সংসদে পাশ হবে এবং কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরেরও অনেকে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিলকে সমর্থন করবেন বলে আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

  • Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Vice-Presidential Election: ধনখড়ের উত্তরসূরী কে? নতুন উপরাষ্ট্রপতির নাম ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরী (Vice-Presidential Election) ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড (BJP Parliamentary Board Meeting)। সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিজেপি সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকেই দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। জানা যাচ্ছে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীরা উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়নে অংশ নেবেন। দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে রবিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি সংসদীয় বোর্ড।

    কবে, কীভাবে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    এনডি-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ২১ অগাস্ট মনোনয়ন জমা দেবেন। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন গত ৭ অগাস্ট নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত এবং নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে ১৭-তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ইলেক্টোরাল কলেজ দ্বারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ

    উল্লেখ্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন সভার কাজ করার পর জগদীপ ধনখড়ের আশ্চর্যজনক পদত্যাগের পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে লেখা চিঠিতে ধনখড় স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন।

    বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অন্য বিষয়

    নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কৌশলগতভাবে তার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে, যাতে ভোটের সর্বাধিক সমর্থন নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বিজেপি তার দুই কক্ষের সাংসদদের দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এই কর্মশালা চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্বোধন করবেন বিজেপি জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই নিয়েও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সেশনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা, যাঁরা সাংসদদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশ দেবেন। কর্মশালায় পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক এবং সাংসদদের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান আবশ্যিক

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের দিন সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এনডিএ শরিক দলের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদদের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির বৈঠক সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কর্মশালার অংশ হিসেবে থাকবে একটি ‘মক ভোটিং’ বা অনুশীলনী ভোটাভ্যাস, যেখানে প্রথমবার নির্বাচিত এবং তরুণ সাংসদদের ভোটদানের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। কৌশলগতভাবে, এনডিএ-র পরিকল্পনা হল সাংসদদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে সেই দলে শরিক দলের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া, যাতে ৯ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে সাংসদদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

    একমত হওয়ার চেষ্টা

    সরকারের পরিকল্পনার আরও একটি দিক হল—সেইসব দলগুলিকে কাছে টানা যারা অতীতে নিরপেক্ষ বা নমনীয় অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিআরএস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডি, যারা প্রার্থীর প্রোফাইল দেখে অতীতে এনডিএ-র প্রার্থীদের সমর্থন করেছে। এখনও পর্যন্ত এনডিএ বা বিরোধী পক্ষ কেউই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় সদন নেতা জে পি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু – এই শীর্ষ মন্ত্রীরা বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন একটি ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে। তবে বিরোধী পক্ষের ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের প্রেক্ষিতে এনডিএ-র সঙ্গে কোনও সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। বিরোধী দলগুলিও নিজস্ব প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

    জয় নিশ্চিত

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি। জগদীপ ধনখড়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটের আগে আগামী সপ্তাহে এনডিএ সাংসদদের ওই মেগা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ এনডিএ শিবিরের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। সেখানেই প্রার্থীর নাম জানানোর কথা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই দু-দুবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছে এনডিএ। গত বৈঠকেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে শরিক নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। এদিন শরিক নেতৃত্ব সেই প্রধানমন্ত্রী ও নাড্ডার ওপর প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ-র সকল শরিক একমত হয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও জেপি নাড্ডার উপর ছেড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সবার মত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হবে।

     

     

     

     

  • Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এই আবহে একটি খবর প্রচারিত হয় যে ধনখড়কে নাকি অবিলম্বে তাঁর বাসভবন ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে, সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘর—এমন খবর ঘুরতে থাকে। তবে এই তথ্য সম্পূর্ণ এবং ভিত্তিহীন—সে কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট পিআইবি-র (Jagdeep Dhankhar)

    এমনও খবর রটে যায় যে পদত্যাগের রাত থেকেই নাকি ধনখড় বাংলো ছাড়ার জন্য প্যাকিং শুরু করে দিয়েছেন। এর পরে পিআইবির ফ্যাক্ট চেকিংয়ে জানা যায়, তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এবং এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে। এ নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করে পিআইবি। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে জগদীপ ধনখড়ের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে তা খালি করতে বলা হয়েছে—যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন তথ্য।’’ এই ধরনের ভুয়ো তথ্যে পা দিতেও বারণ করেছে পিআইবি।

    টাইপ-এইট বাংলো পেতে পারেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড়ের বর্তমান বয়স হল ৭৪। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে,  চার্চ রোডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভে তিনি চলে এসেছিলেন। বিগত ১৫ মাস ধরে এটাই ছিল জগদীপ ধনখড়ের বাসভবন। সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে তৈরি করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভ। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ রয়েছে। এই কারণে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি একটি নয়া সরকারি বাংলোতে স্থানান্তরিত হতে চলেছেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জাতীয় দলের নেতাদের জন্য যেরকম বাসস্থান বরাদ্দ করা হয়, সেরকমই কোনও বাসস্থান তিনি পেতে চলেছেন। দিল্লিতে তাঁকে টাইপ-এইট বাংলো দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন (PIB)। অন্যদিকে, পদত্যাগ করার ফলে উপরাষ্ট্রপতির পদ খালি রয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপররাষ্ট্রপতি নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইমতো প্রস্তুতিও চলছে (Jagdeep Dhankhar)।

  • Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    Vice President Jagdeep Dhankhar: “অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত”, স্বাস্থ্যের জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসা পরামর্শ মেনে চলার জন্য, আমি সংবিধানের ৬৭(এ) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এখন থেকেই তা কার্যকর।” অর্থাৎ আজ, মঙ্গলবার থেকেই আর দায়িত্বে থাকছেন না ধনখড়।

    সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ

    ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত বলে জানিয়েছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। দায়িত্বে থাকাকালীন কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি লিখেছেন, “যে আন্তরিকতা পেয়েছি, যেভাবে আমার উপর আস্থা রাখা হয়েছে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যে অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের জাতির ইতিহাসের এই রূপান্তরমূলক যুগে সেবা করা সত্যিই সম্মানের।”

    ধনখড়ের কর্মজীবন

    ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে জন্ম ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar)। ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজস্থান হাইকোর্টে তাঁর দীর্ঘ আইনি কেরিয়ার রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। চন্দ্রশেখর সরকারে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীও থেকেছেন অল্প সময়ের জন্য। জনতা দল, কংগ্রেস হয়ে ২০০৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেন ধনখড়। তার মধ্যে ব্যবধান ছিল প্রায় ১০ বছরের। বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েই রাজনৈতিক কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩৪৬ ভোটে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে তিনি পরাজিত করেন। ৫২৮টি ভোট পেয়ে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ধনখড়। অন্যদিকে, বিরোধী প্রার্থী ১৮২টি ভোট পেয়েছিলেন মাত্র। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত মার্চ মাসে ৭৩ বছরের ধনকড়কে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি করানো হয়। শুধু তাই নয়, গত মাসে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

  • Jagdeep Dhankhar: ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনী! ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানো যায় না’ সাফ বললেন উপরাষ্ট্রপতি

    Jagdeep Dhankhar: ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনী! ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানো যায় না’ সাফ বললেন উপরাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) জানান, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও ধরনের পরিবর্তন করা যায়না। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান ছাড়া অন্য কোনও সংবিধানের প্রস্তাবনা কখনও পরিবর্তিত হয়নি। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনা অপরিবর্তনযোগ্য।’’ এর পরেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘কিন্তু আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা জরুরি অবস্থার সময়, ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংবিধান (সংশোধনী) আইন দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল। ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ শব্দগুলি যুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে (Jagdeep Dhankhar)।’’

    কী বলেছিলেন আরএসএস নেতা?

    ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ‘সরকার্যবাহ’ (সাধারণ সম্পাদক) দত্তাত্রেয় হোসাবলে মন্তব্য করেন যে, জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি সংযোজন করেছিল। আরএসএস নেতার মতে, সেই দুটি শব্দ এখন প্রস্তাবনা থেকে অপসারণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় (Preamble of Constitution) যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’

    সংবিধান হত্যা দিবস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জরুরি অবস্থার ৫০তম (Preamble of Constitution) বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা এই জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন এবং তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার ঘটনা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। কংগ্রেস শুধু সংবিধানের চেতনাকেই লঙ্ঘন করেনি, উপরন্তু গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করেছিল। একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন যে, ভারত কখনও ভুলবে না এই সময়কালকে। এই সময় দেশের সংসদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

  • PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) দেখতে এইমসে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার মধ্য রাতে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা অধুনা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।

    হাসপাতালে উপরাষ্ট্রপতি (PM Modi)

    রবিবার দুপুরে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে তিনি উপরাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিতে দিল্লি এইমস হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” উপরাষ্ট্রপতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন এইমসের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান রাজীব নারাঙের তত্ত্বাবধানে। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে নানাবিধ পরীক্ষা হয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট এলে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে (PM Modi)। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু ধনখড়ের

    এর আগেও একবার ধনখড়কে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। ম্যালেরিয়া হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই সময় তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক হন ধনখড়। কর্মজীবন শুরু করেন আইনজীবী হিসেবে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছেন ধনখড়।

    ধনখড় ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর আগে তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। ১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ধনখড়ের। ঝুনঝুনু লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে রাজনীতিতে চলে আসেন তিনি। পরের বছরই সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আজমের জেলার কিষানগড় অসনে জয়ী হন তিনি। পিভি নরসিংহের আমলে যোগ দেন কংগ্রেসে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পরেই হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই সময় বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে সংঘাত বাঁধে তাঁর। ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) আমলেই রাজভবন ও নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল (PM Modi)।

  • Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে জায়গা দিতে ভারতের ইতিহাস (Indian History) বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ইতিহাস বই বিকৃত করার অভিযোগ করেন।

    কী বললেন ধনখড়? (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ভারতের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই দাবি করার জন্য একচেটিয়া জায়গা দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরাই ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি সম্পর্কে মানুষকে খুব ভিন্নভাবে শেখানো হয়েছে। ইতিহাস বই আমাদের আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করেছে। আমাদের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল, এবং এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একচেটিয়া স্থান দেওয়া হয়েছে যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্ব পেয়েছে। এটা আমাদের বিবেকের ওপর একটি অসহনীয় ব্যথা। এটা আমাদের আত্মা ও হৃদয়ের ওপর একটি বোঝা।”

    বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ

    তিনি ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বানও জানান। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আমাদের ইতিহাস বইগুলো রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংকে তিনি একজন স্বাভাবিক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী ও জাতীয়তাবাদী হিসেবে অভিহিত করেন। এই অবহেলাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন উপরাষ্ট্রপতি। ইতিহাসের ভুল উপস্থাপনাকে সংশোধন করার গুরুত্বও এদিনের বক্তৃতায় তুলে ধরেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপনকারী ব্যক্তিদের যাতে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তাই এটা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচার, কী ট্র্যাজেডি। আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, আমরা ব্যর্থ হয়েছি—ভয়ানকভাবে ব্যর্থ হয়েছি—রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মতো মহান মানুষের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকার করতে। আমাদের ইতিহাস তাঁকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তিগুলি, যেগুলি তাঁর মতো মানুষদের এবং অন্যান্য অবহেলিত বা কম পরিচিত বীরদের সর্বোচ্চ ত্যাগের (Indian History) ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্ম (Dharma) হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, যা জীবনের সব দিক নির্দেশ করে।” কথাগুলি বললেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।

    ধর্ম কী (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ধর্ম একদিকে পথ, যাত্রা, অন্যদিকে, গন্তব্য এবং লক্ষ্যকেও উপস্থাপন করে, যা সমস্ত অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, এমনকি দেবতাদের ক্ষেত্রেও।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ধর্ম ন্যায়পরায়ণ জীবনের জন্য এক বাস্তবিক আদর্শ হিসেবে কাজ করে, কল্পনাতীত নয়।” তিনি বলেন, “সনাতন সহানুভূতি,  সহমর্মিতা, সহিষ্ণুতা, অহিংসা, পবিত্রতা, উচ্চমার্গতা, রিলিজিয়সিটি-এই সব গুণাবলীকে একত্রিত করে। এক কথায় সংহতির প্রতীক।” বেঙ্গালুরু, কর্নাটকে শৃঙ্গেরী শ্রী শারদা পীঠম আয়োজিত ‘নমঃ শিবায়’ পারায়ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ‘মন্ত্র কসমোপোলিস’কে একটি বিরল ও চমৎকার অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন।

    কী বললেন ধনখড়

    তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, এটি মনের, হৃদয়ের ও আত্মার গভীরে স্পর্শ করে এবং সবার মধ্যে ঐক্যের সুর বয়ে আনে। ধনখড় বলেন, “বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, যা মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন ও ধারাবাহিক মৌখিক ঐতিহ্য, আমাদের পূর্বপুরুষদের গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জীবন্ত যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে। এই পবিত্র মন্ত্রগুলির সুনির্দিষ্ট ছন্দ, স্বর, এবং কম্পন এমন একটি শক্তিশালী অনুরণন সৃষ্টি করে যা মানসিক শান্তি এবং পরিবেশগত সামঞ্জস্য বয়ে আনে।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, যা সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন ঐতিহ্যের মিশ্রণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এই যাত্রা বিনম্রতা এবং অহিংসার মূল্যবোধ গড়ে তুলেছে। ভারত এর অন্তর্ভুক্তির জন্য অবিস্মরণীয়, যা মানবজাতির সব অংশের ঐক্যের অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে।” তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির দিব্য সত্তা হল এর সর্বজনীন দয়া, যা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ দর্শনে ধারণ করা হয়েছে।” তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, ভারত হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের মতো প্রধান ধর্মগুলোর (Dharma) জন্মভূমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘জনবিন্যাসে ভারসাম্যহীনতার বিপদ পারমাণবিক বোমার চেয়ে কম নয়’’, মত ধনখড়ের

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘জনবিন্যাসে ভারসাম্যহীনতার বিপদ পারমাণবিক বোমার চেয়ে কম নয়’’, মত ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘জনবিন্যাসে ভারসাম্যহীনতার বিপদ কোনও অংশে পারমাণবিক বোমার চেয়ে কম নয়’’। মঙ্গলবার এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল উপরাষ্ট্রপতি (Vice President of India) জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar)। দেশের বেশ কিছু রাজ্যের ক্রমবর্ধমান জনবিন্যাস পরিবর্তনের কারণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই জানিয়েছেন তিনি এবং এরজন্য নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকেই দায়ী করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘দেশের বেশ কিছু বিস্তীর্ণ অঞ্চল নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দুর্গে পরিণত হয়েছে, যেখানে নির্বাচনের আলাদা কোনও অর্থ নেই।’’ কিছু রাজনৈতিক দল এই ঘটনার মদত দিয়ে, জাতীয় স্বার্থকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    রাজস্থানের জয়পুরের বিড়লা অডিটোরিয়ামে বক্তব্য রাখেন ধনখড়

    মঙ্গলবারই রাজস্থানের জয়পুরের বিড়লা অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে দেশের বেশ কিছু এলাকায় জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটেছে এবং সেগুলি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর দুর্গে পরিণত হয়েছে।’’ এভাবেই গণতন্ত্র তার গুরুত্ব হারিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

    ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জও জানাচ্ছে জনবিন্যাসের পরিবর্তন 

    নিজের বক্তব্যে উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) সাফ জানিয়েছেন, প্রাকৃতিকভাবে জনবিন্যাসের পরিবর্তন নিয়ে তিনি কখনও উদ্বিগ্ন নন। কিন্তু বিশেষ কোনও অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কৌশলের মাধ্যমে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে এবং তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন যে বিগত কয়েক দশক ধরেই এই ধরনের পরিবর্তনগুলি সামনে এসেছে এবং তা আমাদের ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জও জানাচ্ছে। উপরাষ্ট্রপতির (Vice President of India) নিজের ভাষায়, ‘‘যদি এইভাবে জনবিন্যাসের পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে পদ্ধতিগতভাবে মোকাবিলা না করা যায়, তাহলে তা জাতির অস্তিত্বের পক্ষে হুমকির কারণ হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জনবিন্যাসের এই পরিবর্তনের কারণেই অনেক দেশ নিজেদের জাতীয় সত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলেছে। সেগুলি নাম বলার দরকার নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (Bharat) ক্রমশই রাম রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে, নেতৃত্বে রয়েছেন মোদি, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার এ কথা বলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জাতীয় নেতৃত্বে তত্ত্বাবধানে গত ১০ বছরে। নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, ‘‘অনেক নেতার নাম রয়েছে কিন্তু নর যুক্ত ইন্দ্র, নরেন্দ্র সমস্ত কিছুকেই সম্ভব করেছেন এদেশে।’’ মোদি সরকারের এমন ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় উপরাষ্ট্রপতিকে নয়াদিল্লিতে।

    জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে (Jagdeep Dhankhar) 

    তিনি (Jagdeep Dhankhar) আরও বলেন, ‘‘বিগত ১০ বছরে দেশজুড়ে অসংখ্য পাকা বাড়ির দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, গ্য়াস কানেকশন পেয়েছেন দরিদ্র মানুষরা, ঘরে ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎ। ১০ বছরে এমনই অগ্রগতির সাক্ষী রয়েছে দেশের মানুষ। তাঁরা বলছেন যে এবার সঠিক মানুষকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে।’’ নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, একমাত্র জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার যে, দেশ রাম রাজ্যের পথে এগিয়ে চলেছে। সরকার যা কিছু ভাবে করে সেটাই সম্ভব হয়। দেশের মানুষের পক্ষে কল্যাণকর এত কাজ কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? এটা সম্ভব হচ্ছে এই দেশের সেই ব্যক্তিটার জন্যই যিনি দেশকে (Bharat) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’

    শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

    প্রসঙ্গত বিগত বছরগুলিতে মোদি সরকারের অন্যতম প্রয়াস দেখা গিয়েছে যে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিভাবানরা যাতে সম্মান পায়। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেশে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। শিক্ষা নিয়েও এদিন উল্লেখযোগ্য বিবৃতি দেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব যে আপনারা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদান করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share