Tag: Jagdeep Dhankhar

Jagdeep Dhankhar

  • Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবেদন করেছিলেন পাঁচ বছর আগে। শেষমেশ বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বার মিলল পাঁচ বছর পরে। হ্যাঁ, এনডিএ (NDA) উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদপ্রার্থী  জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) নিজস্ব চেম্বার পেলেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে।

    ফি-বছর প্রচুর ছেলেমেয়ে ল’ পাশ করেন। তার পরেই তাঁরা বিভিন্ন কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর আবেদন করেন নিজস্ব চেম্বারের জন্য। এই চেম্বার সহজে মেলে না। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে সময় লাগে আরও বেশি সময়। এই যেমন জগদীপ ধনখড়। জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’য়ের ছাত্র ছিলেন ধনখড়। এলএলবি ডিগ্রি পান ১৯৭৯ সালে। সেই বছরই রাজস্থান কোর্টে বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

    ১৯৯০ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পান দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পর থকে সেখানেই প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি। লড়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৬ সালে শতদ্রু রিভার ওয়াটার বিতর্ক। এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের হয়ে লড়ছিলেন তিনি। এছাড়া, সলমন খানের বিরুদ্ধে ওঠা কৃষ্ণসার হত্যা মামলাতেও তিনি অভিনেতার পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ  করেছিলেন। রাজ্যপাল হওয়ার পর বন্ধ করে দেন প্র্যাকটিস।

    আরও পড়ুন : মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    তবে তার আগে ২০১৭ সালে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেন ধনখড়। সেই আবেদনপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় চেম্বার পাননি তিনি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাঁকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। পরে ফের সংশোধিত আবেদনপত্র পাঠানো হয় চেম্বার অ্যালটমেন্ট কমিটির কাছে। এই চেম্বার কমিটির মাথায় থাকেন প্রধান বিচারপতি।

    আইনজীবী ধনখড়ের বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বারই মিলল এতদিনে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডিশনাল বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ডি ব্লকে তাঁর ওই চেম্বার। সম্প্রতি যে ৪৬৮ জন আইনজীবীকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধনখড়ও। ধনখড়ের সঙ্গে বহু মামলা লড়েছেন এক প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, ধনখড় সম্ভবত এটা আশা করেননি। যখন তিনি রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন, তখন তিনি পেলেন চেম্বার। প্রসঙ্গত, ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, এই চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে। কারণ তখন আর আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

     

  • Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত পৌঁছল রাজস্থানে! 

    রাজস্থানে (Rajasthan) একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ বাংলার রাজ্যপাল। সোমবার রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) গিয়ে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) অভিযোগ করেন, বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। 

    রাজ্যপাল (West Bengal Governor) জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‌রাজ্যপাল হিসেবে শোচনীয় পরিস্থিতির সাক্ষী হতে হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় শাসনব্যবস্থা চিন্তার বিষয়। বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। ভোটের পর যে হিংসা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোট দেওয়ার পরিণামে মৃত্যু দেখেছি।’‌ তিনি যোগ করেন, রাজ্যপালের কাজ সংবিধান রক্ষা করা। বাংলায় রাজ্যপালকে কাজ করতে বাঁধা দেওয়া হয়।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    রাজ্যের সঙ্গে বিবাদ প্রথম থেকেই রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সম্প্রতি হলদিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বিচারপতিদের একাংশ তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন। এই ইস্যুতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।

    রবিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে, ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে সরব হন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, ‘‌সংবিধানের মৌলিক পরিকাঠামোর একটি অঙ্গ হল বিচারব্যবস্থা। গণতন্ত্রের জন্য বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা থাকা ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে বিচারপতিদের নিশানা করা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি চিন্তিত। যদি কোনও বিচারপতিকে নিশানা করা হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার উপর আক্রমণের সব থেকে নিকৃষ্ট উদাহরণ। বিচারপতিরা যে মামলাগুলি দেখছেন, তার জন্য যদি তাঁদের নিশানা করা হয়, তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। মানুষের কাছে যেন বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বিচারব্যবস্থার তোয়াক্কা করেন না।’‌

    শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের

    শুধু ধনখড় নন, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় (UP Assembly) বাংলা শাসনব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi) আদিত্যনাথ। তারও কিছুদিন আগে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলার আইন-ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। 

  • Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিচারবিভাগকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যের জের। তৃণমূল (TMC) সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ৬ জুনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

    রাজ্যপাল জানান, ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা ছোট করে দেখার বা এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। রাজ্যপাল এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এব্যাপারে একটি চিঠিও দেন। টুইটে সেই চিঠিও রাজ্যপাল অ্যাটাচ করে দিয়েছেন।

    ট্যুইটে জগদীপ ধনকড় লেখেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এরমধ্যে আছে কুখ্যাত এসএসসি কেলেঙ্কারিও (SSC Recruitment scam), যাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আপনি যেই হোন, আইন সবার থেকে বড়। এই সাংবিধানিক ধারণার সঙ্গে ওঁর মনোভাব খাপ খায় না।’

    গত শনিবার হলদিয়ার একটি জনসভা থেকে বিচারপতিদের একাংশকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থা একজন–দু’‌জন আছেন যাঁরা ষড়যন্ত্র করে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই করে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন।’

    রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‌এসএসসি মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি তাঁকে আক্রমণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করছেন। মুখ্যসচিবকে বলছি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’‌ 

    তার জবাবে অভিষেকও ট্যুইটও করেন। বলেন, তিনি এক শতাংশ বিচারপতির কথা বলেছিলেন। কারা লাল রেখা অতিক্রম করছেন সেটা সবাই দেখছেন। এরপর সোমবার দার্জিলিং থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

     

     

  • Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    Vice President Election: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi)পাশে বসিয়ে উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari), বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা।  

    আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে চলছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দেখুন ভোট দিলেন কারা

    [tw]


    [/tw]

    জগদীপ ধনখড়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই ট্যুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, “বিভিন্ন দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতারা শ্রী জগদীপ ধনখড়কে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গ দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে তিনি একজন চমৎকার এবং অনুপ্রেরণাদায়ী উপরাষ্ট্রপতি হবেন।” 

    আরও পড়ুন: জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন বিজেডি-এআইএডিএমকের, ইস্তফা দিলেন রাজ্যপাল

    [tw]


    [/tw] 

    গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দেন। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম গত তিনবছরে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। ধনখড়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততা বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে সেই জটিলতার অবসান। রবিবার রাতে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। সাময়িকভাবে বাংলার রাজ্যপালের পদ সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপাল এল গণেশন। ২০১৯ সালে ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ধনখড়। আগামী ৬ অগাস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ সামলাচ্ছেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু।   

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে হানা পুলিশের। পুলিশি হানার কারণ জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ঘটনার নিন্দায় সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

     

    [tw]


    [/tw]

     

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন এক অভিযোগ তুলে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী এদিন নন্দীগ্রামে মহুয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কার্যালয়ে হানা দেয়। অভিযোগ, আগাম কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

    ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ্যসচিবের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের। তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছি। 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যপালকে জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু নিজেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে আচমকা আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”

    [tw]


    [/tw]

    পদ মর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমান। তাই ঘটনাটি বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের ইতিহাসের লজ্জাজনক দিন। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করি, যেখানে সাংবিধানিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের কার্যালয় পর্যন্ত পুলিশ পাঠাতে বাকি রাখল না পশ্চিমবঙ্গের শাসক। এই ঘটনা এক প্রকাশ গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন অপরাধ দমন কম, বিরোধী দমন করতেই বেশি তৎপর।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পুলিশ কেন হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে? সোমবারই তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) মামলা দায়ের করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিনা নোটিসে তাঁর অফিসে কেন পুলিশি হানা? প্রশ্ন তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার হবে এই মামলার শুনানি।

    শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনকড়

    পদমর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসে হানা দিতে গেলে আগাম নোটিশ জারি প্রয়োজন। অথচ রবিবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। কার্যালয়ে থাকা লোকজন বাধা দিলেও, পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, আগাম নোটিস, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হানা দেয়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বাজি ধরে শুভেন্দুকে। একদা বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে ‘হেরে’ যান মমতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার(opposition leader) দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কার্যালয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেত্রীরই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। সেই কারণেই সার্চ ওয়ারেন্ট এবং আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হানা দেওয়া হয়েছে তাঁর কার্যালয়ে।

    আরও পড়ুন : ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

     

     

  • Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হোক বা বাণিজ্যিক, শিল্প হোক বা সামাজিক– কেন্দ্রকে বিঁধতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে কোনও সুযোগ ছাড়েন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা কারোরই অজানা নয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই প্রতিপক্ষমূলক রাজনীতি পছন্দ করেন। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি সম্ভবত লাল দাগ অতিক্রম করলেন। 

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজ্যপালকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাতে শিল্পপতিদের হেনস্থা না করে তা যেন তিনি কেন্দ্রকে বলে নিশ্চিত করেন। সেইসময় সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি থেকে শুরু করে ১৪টি দেশের আমন্ত্রিত শিল্প ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী একথা বলে দেন।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য আমরাও পেতে চাই। তবে শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপালের কাছেও আমার একটি অনুরোধ আছে। অনুরোধ এই যে, শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ কোনওরকম হেনস্তা না করা হয়। রাজ্যপালও যেন বিষয়টি কেন্দ্রের কানে পৌঁছে দেন।’ 

    শেষোক্তি কতটা যুক্তিযোগ্য়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য সম্মেলনের মতো একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা বলার কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? আর এই কথা তিনি বলছেন কাকে? — মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের রাজ্যপালকে। রাজনৈতিক মঞ্চ হলে হয়ত কোনও কথা ছিল না। প্রশাসনিক জায়গা হলে, তবুও মানা যেত। কিন্তু, রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের ফ্ল্যাগশিপ বাণিজ্য সম্মেলনে দেশী-বিদেশি অতিথিদের সামনে কেন্দ্রকে ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিকে শ্লেষাত্মক কথা বলা আদপেই নিষ্প্রয়োজন ছিল।

    মমতার এই মন্তব্য আরও অনভিপ্রেত এই কারণে যে, এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক আগে, নিজের বক্তব্যের সময় কেন্দ্র-রাজ্যের বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। ধনকড় বলেন, বাংলার উচিত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এতেই বাংলার ভাল হবে।

    সম্মেলনে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে পূর্ব-নির্ধারিত সূচি থাকায় সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, মমতা তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে বিঁধলেন শিল্পপতি ও রাজ্যপালের সামনেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত এটা ভুলে যাচ্ছেন, শিল্পপতিরা যাই করুক, তাঁরা কেউ-ই কেন্দ্রকে চটাতে চাইবেন না। ফলে, তাঁর এই মন্তব্য শিল্পপতিদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে বাধ্য। এটা মাথায় রাখতে হবে, বর্তমান যুগে, কোথায় কী হচ্ছে, কী ঘটছে, সে সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। রাজ্য ও রাজ্য প্রশাসন সম্পর্কে, সব খোঁজখবরই থাকছে সকলের কাছে। 

    ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য আখেরে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। অন্তত এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

     

LinkedIn
Share