Tag: Jaishankar at New York

  • S Jaishankar: এভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না! আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: এভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না! আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিই উন্নয়নের ভিত্তি, কিন্তু উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলে শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি কোনও দেশের জন্যই সহায়ক নয়। বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে যোগ দিতে নিউইয়র্কে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাশিয়ার থেকে তেল কেনা ইস্যুতে ভারতের সমালোচনা করার বিষয়ে পশ্চিম বিশ্বের দ্বিচারিতার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নাম না করে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়নকে বিপন্ন করে আমরা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি না।’

    উন্নয়নের মাধ্যমেই শান্তি আসতে পারে

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জোর দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এর ফলে গ্লোবাল সাউথ এবং সারা বিশ্ব প্রভাবিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিউইয়র্কে জি২০ সদস্য দেশগুলির মধ্যে এক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা শান্তির মাধ্যমে উন্নয়ন আনতে পারি, কিন্তু উন্নয়নকে বিপন্ন করে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি না।’ শান্তি ও সংলাপের মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের মাধ্যমেই শান্তি আসতে পারে। জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাণিজ্যকে আরও অনিশ্চিত করে তোলা হলে কারও কোনও উপকার হবে না। ইতিমধ্যে একটি ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে রয়েছে জ্বালানি বাণিজ্য। তাই যেকোনও ইস্যু সংলাপ, কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এতে জটিলতা যুক্ত করা ঠিক নয়।’

    আমেরিকাকে নিশানা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। এই সফরের সময় তিনি নিউ ইয়র্কে ব্রিকস বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। জয়শঙ্কর বলেন যে, বিশ্ব বর্তমানে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে ৷ অনেক দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা, আলোচনা, কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য ব্রিকসকে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে। তাঁর ভাষণে, তিনি ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদ, শুল্ক সংক্রান্ত অস্থিরতাতা এবং শুল্ক-ভিন্ন অন্যান্য বাধার কারণে বাণিজ্যের উপর প্রভাবের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, যে এই কারণগুলির আলোকে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর ব্রিকস দেশগুলির সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বহুপাক্ষিকতাবাদ চাপের মধ্যে রয়েছে এবং গঠনমূলক পরিবর্তনের জন্য ব্রিকস দৃঢ়ভাবে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বিশ্বের অস্থির পরিবেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আলোচনা, কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার নীতিগুলিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বিদেশমন্ত্রী এক বারও নির্দিষ্ট কোনও দেশ বা ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি। তবে মনে করা হচ্ছে, আদতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকার সাম্প্রতিক নির্দেশিকার দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন তিনি।

LinkedIn
Share