Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি জুন মাসের ৬ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ট্রেনটি শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করে। একইসঙ্গে অপর একটি বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেল প্রতিমন্ত্রী রঘুবীর সিং বিট্টু। এই দুই ট্রেন একযোগে চলতে শুরু করে। একটি ছাড়ে কাটরা থেকে, অপরটি শ্রীনগর থেকে। নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তারা সময় নেয় প্রায় তিন ঘণ্টা। বিকেলেও এই দুই বন্দে ভারত ট্রেন চালু থাকে। কাটরা থেকে ছাড়ে ২টা ৫৫ মিনিটে, শ্রীনগর থেকে ছাড়ে ঠিক ২টোয়।

    টিকিট প্রায় নিঃশেষ (Vande Bharat)

    এখনও পর্যন্ত এক মাস হয়নি এই দুটি ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে টিকিট প্রায় নিঃশেষ। পরবর্তী এক মাসের জন্য সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বর্তমানে শুধুমাত্র ১৮ জুলাইয়ের টিকিটই বুকিংয়ের জন্য পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বন্দে ভারত নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহের শেষ নেই।
    এ নিয়েই কাটরা রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার যুগল কিশোর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে এই দুই ট্রেনকে ঘিরে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ উভয় ধরনের যাত্রীরাই বন্দে ভারতের অংশ হতে চাইছেন। টিকিটের চাহিদা এত বেশি যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কোনও আসন খালি থাকছে না।

    কেন এত উন্মাদনা (Vande Bharat)

    আসলে বন্দে ভারত নিয়ে এমন উন্মাদনার কারণ হল যে রুট দিয়ে ট্রেন যায়, তার পাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য, উচ্চ গতি এবং আধুনিক মানের পরিষেবা। এই সবকিছুই যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই ট্রেনে ২১ জুন কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করবেন তেমনই এর যাত্রী মহিন্দর পন্থ। তাঁর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন স্ত্রী রেনু শর্মা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দে ভারতের যাত্রা বেশ আকর্ষণীয় হবে।
    ব্যাঙ্কিং সেক্টরে চাকরি করেন পন্থ। বিগত ৩০ বছর ধরে কখনও সড়ক পথে, কখনও বিমান পথে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু এখন ট্রেনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে জম্মু ডিভিশন এবং কাশ্মীর। বন্দেভারতেই যাতায়াত করছেন পন্থ। বন্দে ভারত Vande Bharat Express) নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, এটি কাশ্মীরবাসীর এক দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ।

  • Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় চেনাব নদীর ওপর নির্মিত নয়া সেতুর (Chenab Rail Bridge) উদ্বোধন করলেন তিনি। নয়া এই সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় আরও কাছাকাছি চলে এল দিল্লি এবং কাশ্মীর। চেনাব সেতু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু। এর পাশাপাশি এদিন তিনি উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম কেবল রেলসেতু অঞ্জী ব্রিজেরও। তাঁর হাতেই ভূস্বর্গে যাত্রার সূচনা হতে চলেছে নয়া দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এরই সঙ্গে কাশ্মীরে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    চেনাব সেতুর বিশেষত্ব (Chenab Rail Bridge)

    চেনাব নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে, যা কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বিশ্বমানের চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে চলবে, যা শুরুতে কাটরাকে যুক্ত করবে শ্রীনগরের সঙ্গে। চেনাব সেতুর সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য সেতুর, যে কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি (Chenab Rail Bridge) এই আর্চ রেলসেতু প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু। দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। জম্মু ও শ্রীনগরের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করবে এটি। যাত্রাপথে পড়বে ৩৬টি টানেল এবং ৯৪৩টি ব্রিজ।

    ভূমিকম্পেও অটল

    সেতুটির নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্প টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। মাত্র তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে কাটরা থেকে শ্রীনগর। চেনাব সেতু কুতুব মিনারের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি লম্বা। এই সেতুর উচ্চতা চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি। চেনাব সেতু মেঘের ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান। সেতুর এক পাশের পিলারের উচ্চতা প্রায় ১৩১ মিটার। ছবিতে এই সেতুর উচ্চতা এমন যে এর নীচে মেঘও দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসেই সেতুটির চূড়ান্ত খিলান বন্ধ করার কাজ শেষ করেছিল (Kashmir)। নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৮ হলেও, টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। তীব্র বিস্ফোরণেও টুকরো হবে না সেতু। ১০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তারতম্যও সহ্য করতে পারবে এমনভাবেই ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল স্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে (Chenab Rail Bridge)।

    নির্মাতাদের দাবি

    ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই অংশে সারাবছর তাপমাত্রা মারাত্মক ওঠানামা করে। যাতে ব্রিজের স্থায়িত্ব ও কাঠামো ঠিক থাকে সেই কারণে উন্নত টেকলা প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে ট্রেনগুলি ঘণ্টা প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। তবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলতে পারবে। বিশ্বমানের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই প্রকল্পটি শেষ করতে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। হিমালয়ের প্রকৃতি, মাটির ধারণ ক্ষমতা, প্রতিকূল আবহাওয়া এসবই এই সেতু নির্মাণের সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করেই তৈরি করা হয়েছে নয়া সেতু। জানা গিয়েছে, চেনাব সেতুতে ব্যবহৃত হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত। ঘণ্টা প্রতি ২৬৬ কিমি বেগে বাতাস বইলেও সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।

    ট্রায়াল রান শেষে উদ্বোধন

    জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগরের কাউরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্রিজ। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালের মধ্যেই। তার পর থেকে এতদিন ধরে চলেছে ট্রায়াল রান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সফলভাবে এই সেতুর ওপর ট্রায়াল রান শেষ করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নয়া লাইনে এক জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল (Chenab Rail Bridge)। এর ফলে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা স্টেশনে পৌঁছানো যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় (Kashmir)।

    জাতীয় পতাকা হাতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেতুটির উদ্বোধন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সেটির ওপর হাঁটতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের গতি বাড়াবে। চেনাব ও আঞ্জি সেতু দেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতীক।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একে প্রযুক্তির বিস্ময় বলে অভিহিত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। অবশেষে উপত্যকা (Kashmir) রেল সংযোগের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে (Chenab Rail Bridge)।”

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ মিনিটেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) সফল করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবিষয়ে জানিয়েছে। পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করেই এই হামলা চালিয়েছে ভারত। এই ভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অভিযানে ভারতের কোনও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।

    কী বলা হল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতিতে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে (Operation Sindoor) বলা হয়েছে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরে পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুকের মতো যুদ্ধ-প্রমাণিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ব্যাট্‌ল প্রোভেন এডি) ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র। ‘আকাশ’ একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, যা সংবেদনশীল এলাকাগুলিকে আকাশপথে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থলবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সম্মিলিত সম্পদের মাধ্যমে গঠিত, যা দেশের আকাশে অভেদ্য দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছিল। পাকিস্তান এর ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দেশের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রুখে দেয় পাক হামলার প্রচেষ্টা

    প্রসঙ্গত, ৭ এবং ৮ মে রাতে পাকিস্তান ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র (Operation Sindoor) ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের (India) উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এগুলিকে অকেজো করে দেয়।

    ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ বা আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালায় ভারত

    ভারত (India) প্রত্যাঘাত চালানোর জন্য নিশানা করে পাকিস্তানের নূর খান এবং রহিমইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Operation Sindoor) জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলিতে হামলার জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ এক ধরনের আত্মঘাতী বা কামিকাজে ড্রোন, যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। তারপরেই হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে এবং আঘাত হানে।

    কোনও হামলাতেই ভারতের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কোনও হামলাতেই (Operation Sindoor) ভারতের সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। আমাদের প্রযুক্তি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির কার্যকারিতা এর থেকেই প্রমাণিত হয়। ভারতের বায়ুসেনা চিনের দেওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা পাশ কাটিয়েছে এবং অকেজো করে দিয়েছে। সমগ্র মিশন ২৩ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর থেকে প্রমাণিত হয়।’’

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

    একইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রমাণ সহ তুলে ধরেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাকিস্তানের হামলার চেষ্টার পরেই ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো। একইসঙ্গে তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেটও উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনেরও। এগুলি পাকিস্তান থেকে ছোড়া হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান যে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাবে তা আগেই আন্দাজ করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই অনুযায়ীই বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম। ভারতের সীমান্তের আকাশজুড়ে তৈরি ছিল ‘কাউন্টার আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’, ‘শোল্ডার-ফায়ার্‌ড অস্ত্র, লিগ্যাসি এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র এবং মডার্ন এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র। এমন বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।

    সাহায্য করেছে ইসরোর উপগ্রহ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একথাও নিজেদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরোর ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ অনবরত কাজ করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে সফল করতে। তাদের সাহায্যেই সমুদ্র ও ভারতের বিস্তীর্ণ উত্তর ভাগে নজরদারি চালানো হয়।

    আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে, পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুক এর মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর ফলেই ভারত রুখে দেয় পাকিস্তানের বিমান, ড্রোন ও মিসাইল হামলা। আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতেই কুপোকাত হয় পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, আকাশ হল একটি স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। বিমান হামলা থেকে স্থানগুলিকে রক্ষা করে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টার মেজারস (ECCM) বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের আবহেই শোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ সেনার, খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের আবহেই শোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ সেনার, খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে সন্ত্রাসকে নির্মূল করত ফের বড়সড় অভিযান চালাল সেনা। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে মঙ্গলবারই সোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ চালিয়ে ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তাবাহিনী। এরা প্রত্যেকেই লস্কর জঙ্গি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

    সোপিয়ানের জিনপাথের জঙ্গলে শুরু হয় গুলির লড়াই

    প্রসঙ্গত,পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই অ্যাকশন মোডে (Operation Sindoor) নামে ভারত সরকার। উপত্যকাজুড়ে লাগাতার অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গির বাড়ি। সন্ত্রাসযোগের অভিযোগে শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। এর পাশাপাশি খতম করা হয় একাধিক জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সোপিয়ানের জিনপাথের কেল্লের জঙ্গলঘেরা এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির গোপন খবর পায় সেনা। এরপরেই শুরু হয় অভিযান। যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন কেল্লার’। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। এই অবস্থায় পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে দুপক্ষের গুলির লড়াই। এরপরেই খবর আসে ৩ জঙ্গি নিহত হওয়ার।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানাল সরকার

    সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃত এক জঙ্গির নাম শাহিদ কুট্টে। মহম্মদ ইউসুফ কুট্টের ছেলে। সোপিয়ানের ছোটিপোড়া হিরাপোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল। ২০২৩ সালের ৮ মার্চ সে লস্কর-ই-তৈবাতে যোগ দিয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল ড্যানিস রিসর্টে গুলি চালানোর ঘটনার যুক্ত ছিল সে। সেদিন দুজন জার্মান পর্যটককে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এক চালক আহত হয়েছিলেন। সোপিয়ানের হিরাপোরাতে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করার ঘটনাতেও যুক্ত ছিল সে। ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুলগামে গুলি চালানোর ঘটনায় সে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

    দ্বিতীয় জঙ্গিকেও শনাক্ত করা গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যটকের নাম আদনান শাফি দার। সে মহম্মদ শাফি দারের ছেলে। তারও বাড়ি সোপিয়ানে। সোপিয়ানের ওয়ানদুনা মেলহোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। সে লস্করে যোগ দিয়েছিল ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর সোপিয়ানে স্থানীয় নয় এমন কয়েকজন শ্রমিকের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও এই জঙ্গি জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তৃতীয় জঙ্গির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এই বর্বর হামলা অপারেট করা করা পাকিস্তানে বসেই। বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে হত্যা করা হয় ২৫ পর্যটককে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক কাশ্মীরি যুবক (Jammu and Kashmir)। এমন হামলার পরে গত ৭ মে পাকিস্তানে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় শতাধিক জঙ্গির। তবে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সন্ত্রাসের মদতদাতারা। ভারতের ওপর পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। তবে তা রুখে দেয় ভারতের উন্নত মানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাকিস্তানের ওপর কড়া প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতের সেনা। এরপরেই পাকিস্তানের তরফে আসে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব। এরপর ভারত সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।

    মোদির কড়া বার্তা (Operation Sindoor)

    সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সন্ত্রাস নির্মূল করতে কড়া বার্তা দেন তিনি। তারপরে মঙ্গলবারই জঙ্গি দমনে সেনার সাফল্য সামনে এল। সোমবার মোদি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস ও আলোচনা) এক সঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।” অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের বড় উদাহরণ হল পহেলগাঁওকাণ্ড। প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।”

    পহেলগাঁও হত্যালীলায় জড়িত জঙ্গিদের ছবি-সহ পোস্টার সাঁটানো হয়েছে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজও জারি রয়েছে। চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। এই আবহে মঙ্গলবারই সামনে এসেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশিত একটি ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার সকালে পহেলগাঁও হত্যালীলায় জড়িত জঙ্গিদের ছবি-সহ পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের কোনও খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, তিন পাক জঙ্গির স্কেচ আগেই প্রকাশ করেছিল পুলিশ। এ বার তাদের ছবি ছাপিয়ে পোস্টার পড়ল কাশ্মীরে। পহেলগাঁও হামলার পরে তিন জন পাকিস্তানি জঙ্গিকে চিহ্নিত করে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। জানা যায়, এদের এক জন স্থানীয় জঙ্গিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। জঙ্গিদের খুঁজতে পুলিশ, সেনার পাশাপাশি এই হামলার তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও। জঙ্গিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে একশোরও বেশি স্থানীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত তাঁরা জঙ্গিদের ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে কাজ করত।

  • India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি সেনার (India Pakistan War) গোলাবর্ষণের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্বা সেক্টরে বড়সড় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তা ব্যর্থ করল বিএসএফ। একইসঙ্গে নিকেশ করা হয়েছে সাত জইশ জঙ্গিকে। বিএসএফে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ সাম্বা জেলার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। তবে জওয়ানরা সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।

    পহেলগাঁওয়ের পর থেকেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার (India Pakistan War) পর থেকে সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাকিস্তানি সেনা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রয়োগ করে। এর পরেই পাকিস্তানি সেনা বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণও শুরু করে সীমান্তে। বৃহস্পতিবারও ফের সীমান্ত এলাকাগুলিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানি সেনা। ছু়ড়তে থাকে মিসাইল, চলে ড্রোন হামলা। তবে এসব কিছুই প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে শুধু জঙ্গিঘাঁটিতেই আঘাত হানা হয়

    প্রসঙ্গত, ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। কোনও সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা হয়নি। তারপরও পাকিস্তান সেনা ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। ভারতীয় সেনা অবশ্য তার যোগ্য জবাব দেয় বৃহস্পতিবার রাতেই। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি হামলার চেষ্টা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে পাক ভূখণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেদেশের রাজধানী ইসলামাবাদেও অভিযান চালায় ভারতের বায়ুসেনা। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে  আগেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে প্রথম হামলা চলেছিল পাকিস্তানের মদতেই। ভারত কোনও হামলা চালায়নি। শুধুমাত্র জবাব দিয়েছে।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জঙ্গিদের টার্গেট (Terror Alert) কি জেল? জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও কোট বালওয়াল কেন্দ্রীয় কারাগারে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই দুই জেলেই বর্তমানে বন্দি রয়েছে বহু হাই-প্রোফাইল জঙ্গি এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারীরা। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, তাদের লজিস্টিক সহায়তা করেছে, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে এই দুই জেলে। এই কারণেই হামলা করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    রবিবারই এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (Terror Alert)

    সম্প্রতি, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জম্মুর শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল ও কোট বালওয়াল জেল- এই দুই কারাগারে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিরা হামলার ছক কষছে। এরপরেই দুই জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রবিবারই শ্রীনগরে সিআইএসএফ-এর ডিজির নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়। বহু শীর্ষ আধিকারিক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এখানেই নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়। এরপরেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ২০২৩ সাল থেকে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে

    প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিস পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এরপরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযান তীব্র করে প্রশাসন। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। ভাঙা হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এরই মধ্যে জম্মুর দুই জেলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর সামনে এল।

LinkedIn
Share