Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রশাসনের অধীনে রয়েছেন। এই মন্ত্রক ২৫টি বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই বইগুলির মধ্যে একটি রয়েছে বামপন্থী লেখিকা অরুন্ধতী রায়-এর লেখা আজাদি (Anti India Propaganda)। এই বইগুলোর বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ উঠেছে ভারত-বিরোধী ন্যারেটিভ ছড়ানোর। অরুন্ধতী রায়ের একাধিক লেখা, বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে তিনি ভারতের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব ও সংহতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই কারণেই তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর লেখায় রয়েছে মিথ্যা তথ্য ও দেশদ্রোহিতার স্বরূপ। সরকার এই বইগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ করেছে। এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত কিছু সাহিত্যকর্মে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং তা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দিচ্ছে। সরকারের হাতে আসা গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে এমন প্রমাণ মিলেছে, যেখানে দেখা গেছে— ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গের আড়ালে কিছু লেখনী মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যুবসমাজকে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের পথে প্রলুব্ধ করছে। এইসব সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব ছড়ানো হচ্ছে বলেই মনে করছে সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিবের বিবৃতি

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্র সচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আগে যথাযথ তদন্ত করা হয়েছে এবং বিশ্বস্ত সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এই বইগুলিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বইগুলির মধ্যে এমন বিষয় রয়েছে, যা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহিত করছে এবং তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক (Anti India Propaganda)।

    হিংসা ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা

    এই কারণেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫২, ১০০ এবং ৯৭ নম্বর ধারার আওতায় এগুলো অপরাধ হিসাবে গণ্য হচ্ছে। তাই এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পেছনে প্রতিটি বই সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। সেইসঙ্গে এই লেখকরা রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে মিথ্যার মোড়কে উপস্থাপন করেছেন, হিংসা ও সন্ত্রাসকে উসকানি দিয়েছেন, এমনকি ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। সরকারের বক্তব্য, এই বইগুলো পড়ে দেশের যুবসমাজ বিভ্রান্ত হতে পারে (Jammu And Kashmir), তারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, এমনকি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে।

    নিষিদ্ধ হওয়া কয়েকটি বইয়ের নাম (Jammu And Kashmir)

    উল্লেখযোগ্য যে, এই ২৫টি বইয়ের লেখকরা মূলত বামপন্থী চিন্তাধারার সমর্থক এবং অনেকেই ইসলামিক মৌলবাদী মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে কিছু বিদেশি লেখকও রয়েছেন।
    নিষিদ্ধ ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের তালিকা:

    অরুন্ধতী রায় – Azadi

    এ.জি. নূরানী – The Kashmir Dispute: 1947–2012

    সুমন্ত্র বোস – Kashmir at the Crossroads, Contested Lands

    ডেভিড দেবদাস – In Search of Future: The Kashmir Story

    অনুরাধা ভাসিন – The Untold Story of Kashmir After 370

    হাফসা খানজুয়াল – Closing Kashmir

    নিষিদ্ধ ইসলামিক মৌলবাদী লেখকদের বই

    মৌলানা আবুল আ’লা মওদুদী – Al-Jihad fil Islam

    হাসান আল বান্না – Mujahid ki Azan

    প্রসঙ্গত, অরুন্ধতী রায় একজন বামপন্থী লেখিকা। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে UAPA (Unlawful Activities Prevention Act)-এর আওতায় প্রসিকিউশন চলছে।

    ২০২৪ সাল থেকে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে চলছে আইনি প্রক্রিয়া

    ২০২৪ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. সাকসেনা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মূলত তাঁর বিতর্কিত বক্তব্য, দেশবিরোধী মন্তব্য এবং “আজাদি” নিয়ে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির একটি অডিটোরিয়ামে “Azadi: The Only Way” শিরোনামে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন— কাশ্মীর কখনও ভারতের অংশ ছিল না, ভারতীয় সেনা জোর করে তা দখল করে রেখেছে, এবং কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বাধীনতার পক্ষে তিনি জোরালো আওয়াজ তোলেন। এই বক্তব্যের রেকর্ডিং সামনে আসার পরই তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়।

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের মোদি সরকার সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ছয় বছর পর এমনই ভাবছে উপত্যকাবাসী। ৫ অগাস্ট— ২০১৯ সাল, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সঙ্গে রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ—তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকা এই পদক্ষেপকে “জাতীয় সংহতির পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ” বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। এই পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ করে তুলতে সাহায্য করেছে।

    ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরিবর্তনের ছবি

    ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর ব্যাপক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের হাত ধরে বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের চেহারা। নিত্যদিনের কার্ফিউ বা জঙ্গিদের সন্ত্রাস এখন নেই বললেই চলে। সেখানকার স্থানীয় মানুষই প্রতিহত করছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের যাবতীয় নাশকতার ছক। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা এখন রাজ্যে চাইছেন শান্তি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে হিংসাত্মক ঘটনা কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।

    সফল নির্বাচন ও ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীর প্রথমবারের মতো একাধিক সফল নির্বাচন দেখেছে। কয়েক দশক পর প্রথমবার, সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোটদান করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় উপত্যকায়। একইভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাদাতাদের উপস্থিতি ছিল ৬৩.৮৮ শতাংশ, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। নির্বাচনের সময় কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা বয়কটের ডাক দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে।

    পর্যটনে ব্যাপক উত্থান

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ২.১১ কোটির বেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। যদিও পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু কিছুটা ধাক্কা দেয় পর্যটনে, তবুও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং আবারও পর্যটকের ঢল নামে।

    পাথর ছোড়ার ঘটনা একেবারে বন্ধ

    অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়মিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটেনি। ২০১০ সালে যেখানে পাথর ছোঁড়ার সংখ্যা ছিল ২,৬৫৪টি, সেখানে আজ তা পুরোপুরি শূন্য বললেই চলে। পাশাপাশি, উপত্যকায় হরতালের ডাকও কার্যত নেই।

    পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ

    বড় ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ৪২ হাজার ৫০০ কোটির উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্প, যার অংশ হিসেবে চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু। এই রেল প্রকল্প কেবল জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করে না, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সংযোগেও গতি এসেছে।

    চেনাব সেতু: কাশ্মীরের পরিকাঠামো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরনই হল চেনাব সেতু। চেনাব নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আর্চ রেলসেতু। ইতিমধ্যেই চেনাব সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু কাশ্মীরের আর্থসামাজিক অবস্থাকেই বদলে দিচ্ছে। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি চেনাব আর্চ রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। চেনাব সেতু এখন কাশ্মীরিদের গর্ব। ভূমিকম্পেও অটল থাকবে এই সেতু।

    যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদল: রেল ছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিরাট বিরাট সড়ক। হাটবাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি গড়ে উঠছে অতি দ্রুত। ভারত স্বাধীনতার বহু যুগ কেটে গেলেও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ২০১৯ সালের আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে উপত্যকার সড়ক ব্যবস্থা। ভারত নেট প্রকল্পে মার্চেই ৭ হাজার ৭৮৯ ফাইবার-টু-দ্য-হোম সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিমানবন্দরেরও। ২০১৯ সালে যেখানে ৩৫টি বিমান প্রতিদিন যাতায়াত করতো এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৫।

    লগ্নি বেড়েছে উপত্যকায়: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়়ে উঠছে উপত্যকায়। বর্তমানে ৮৩৭টি নতুন শিল্প উদ্যোগ চালু আছে। এরমধ্যে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানই নারীদের দ্বারা পরিচালিত। শ্রীনগর শহর এখন স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ এ ফলে উপকৃত হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, এই ধারা রদের পর থেকে পরিসংখ্যান বলছে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার অংশগ্রহণ, পর্যটন, শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

  • Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) তিনজন জঙ্গির নিহত হওয়া এবং একজন জওয়ানের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেখানে “অপারেশন অখল” (Operation Akhal) নামে একটি সন্ত্রাস দমন অভিযান চলছে, যা চলতি বছরের অন্যতম বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার এই অভিযান তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে, এবং এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

    শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয় (Operation Akhal)

    এর আগে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আখাল বনাঞ্চলে শনিবার রাতে সারারাত বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল এই অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরই নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। আখাল বনাঞ্চলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের গোপন আস্তানাগুলিতে গুলি চালাতে শুরু করে (Operation Akhal)। শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ।

    শনিবার নিহত জঙ্গিরা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল

    প্রাথমিক পর্যায়ে গুলি বিনিময়ের পর, শুক্রবার রাতে সাময়িকভাবে অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার আবার অভিযান শুরু হলে, নিরাপত্তা বাহিনী তিনজন জঙ্গিকে খতম করতে সমর্থ হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী (Operation Akhal), শনিবার নিহত জঙ্গিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা-র শাখা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, এই সংগঠন পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। সেই হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

    অপারেশন মহাদেব

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাস দমন অভিযানে যৌথ বাহিনী বর্তমানে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা, ড্রোন, এবং উন্নত পরিকাঠামো ব্যবহার করছে। এর আগে, “অপারেশন মহাদেব” চালানো হয়, যেখানে শ্রীনগরের দাঁচিগাঁও এলাকায় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত লস্করের জঙ্গিদের খতম করা হয়। পরদিন, অর্থাৎ ২৯ জুলাই, চালানো হয় আরেকটি অভিযান “অপারেশন শিবশক্তি”, যেখানে আরও দুই সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ৬ ও ৭ মে তারিখে ভারত “অপারেশন সিঁদুর” চালায়, যেখানে পাকিস্তানি সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা সম্ভব হয় (Operation Akhal)।

  • Ancient Hindu Idols: খননকার্যে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় উদ্ধার প্রাচীন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    Ancient Hindu Idols: খননকার্যে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় উদ্ধার প্রাচীন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগ জেলার একটি ঝর্নার কাছে খনন কাজ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি হিন্দু দেবদেবীর প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলোর মধ্যে একটি শিবলিঙ্গও রয়েছে। খনন কাজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলি সবই পাথরের তৈরি এবং হিন্দু দেব দেবীদের মূর্তি (Ancient Hindu Idols)।

    গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে মূর্তিগুলি (Jammu And Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ত (PWD) বিভাগ জানিয়েছে, শ্রমিকরা খননের সময় এই মূর্তিগুলি আবিষ্কার করেন এবং সেগুলি সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের আর্কাইভ, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলিকে পরীক্ষার জন্য শ্রীনগরে পাঠানো হবে। সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি বিশেষজ্ঞ দল মূর্তিগুলির উপাদান, নির্মাণ পদ্ধতি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব যাচাই করবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই মূর্তিগুলি অনেক পুরনো এবং কারকোট রাজবংশ বা তারও পূর্ববর্তী কোনো সময়ে তৈরি হতে পারে। তবে সঠিক সময়কাল, নির্মাণশৈলী ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে, জিও-কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস, পাথর বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষণা করা হবে।বিশেষজ্ঞরা এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে নির্ধারণ করবেন, এই নিদর্শনগুলির ঐতিহাসিক মূল্য কতটা, এবং এগুলির সঙ্গে ওই এলাকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস কীভাবে জড়িত।

    কারকোট রাজবংশের সময়কার মূর্তি হতে পারে (Ancient Hindu Idols)

    প্রসঙ্গত, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাছে অনন্তনাগ জেলার এই এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কারকোট রাজবংশের সময়কার কোনও প্রাচীন মন্দিরের স্থান হতে পারে। এক গবেষক জানিয়েছেন, যেখানে মূর্তিগুলি পাওয়া গেছে, সেটি জেলার সদর শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে। তিনি আরও বলেন, খননের সময় (Ancient Hindu Idols) ঝর্নার পাশের একটি পুরোনো পুকুর থেকে এই মূর্তিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই এই প্রাচীন নিদর্শনগুলো সুরক্ষিত থাকুক। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি, যেখানে আগে একটি মন্দির ছিল, সেখানে একটি নতুন মন্দির নির্মাণ করা হোক এবং এই উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলিকে সেখানেই স্থাপন করা হোক।”

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

  • Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ বিলুপ্তির পরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক শক্তিগুলি আবার বলতে শুরু করে যে ৩৭০ ধারা পুনরায় চালু করতে হবে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দাবি তোলে যে ১৩ জুলাইকে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তারা এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায়, কারণ ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই (Black Day July 13) শ্রীনগরে কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল।তাদের মতে, ওইদিন ২২ জন সাধারণ কাশ্মীরিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ডোগরা জওয়ানরা। প্রসঙ্গত, নিহত ২২ জনই ছিল মুসলমান এবং ডোগরা জওয়ানরা ছিলেন হিন্দু। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল আব্দুল কাদেরের জন্য। এই আব্দুল কাদের ছিলেন একজন মৌলবাদী, যিনি সবসময় ডোগরা হিন্দু শাসকদের বিরুদ্ধে সাধারণ কাশ্মীরি মুসলমানদের উসকানি দিতেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন মহারাজা হরি সিংকে ক্ষমতা থেকে সরানো।

    হিন্দু শাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন আব্দুল কাদের (Jammu and Kashmir)

    এক বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেছিলেন, “ডোগরা শাসকদের হত্যা করো এবং তাদের জ্বালিয়ে ফেলো।” তিনি আরও বলতেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন প্রত্যেক কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) মুসলমান মহারাজার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।” এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য মহারাজা হরি সিং তাকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁর বিচার চলতে থাকে। ১৩ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় (Black Day July 13)।

    আব্দুল কাদের ছিলেন বিদেশী

    এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আব্দুল কাদের ছিলেন একজন বিদেশি—একজন আফগান, এবং তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের হয়ে কাজ করতেন। কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) নেতাদের কাছে তিনি কখনও নিজের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেননি। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ২২ জন নিহত হয়। হরি সিংয়ের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ এবং নিহত ২২ জনের ঘটনাকেই এখন ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চলছে।

    উদার প্রকৃতির রাজা ছিলেন হরি সিং

    এইভাবে আব্দুল কাদেরকে প্রচারের আলোয় আনা হচ্ছে, যদিও তিনি ছিলেন একজন বিদেশি, দেশদ্রোহী এবং ষড়যন্ত্রকারী। কিন্তু তাঁকে বীরের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা আজও কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। এটি একটি ইসলামী অ্যাজেন্ডা, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি নাকি হিন্দু শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব হল, মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন উদার প্রকৃতির শাসক। তিনি জাতিভেদে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সমস্ত মন্দিরে দলিতদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জম্মুর রঘুনাথ মন্দির, যা তাঁর পরিবারের বহু আগের নির্মিত মন্দির।

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    Vande Bharat: উদ্বোধন করেন মোদি, জম্মু-কাশ্মীরে বন্দে ভারত ঘিরে তুমুল আগ্রহ যাত্রীদের, নিঃশেষ টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি জুন মাসের ৬ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ট্রেনটি শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করে। একইসঙ্গে অপর একটি বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেল প্রতিমন্ত্রী রঘুবীর সিং বিট্টু। এই দুই ট্রেন একযোগে চলতে শুরু করে। একটি ছাড়ে কাটরা থেকে, অপরটি শ্রীনগর থেকে। নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তারা সময় নেয় প্রায় তিন ঘণ্টা। বিকেলেও এই দুই বন্দে ভারত ট্রেন চালু থাকে। কাটরা থেকে ছাড়ে ২টা ৫৫ মিনিটে, শ্রীনগর থেকে ছাড়ে ঠিক ২টোয়।

    টিকিট প্রায় নিঃশেষ (Vande Bharat)

    এখনও পর্যন্ত এক মাস হয়নি এই দুটি ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে টিকিট প্রায় নিঃশেষ। পরবর্তী এক মাসের জন্য সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বর্তমানে শুধুমাত্র ১৮ জুলাইয়ের টিকিটই বুকিংয়ের জন্য পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বন্দে ভারত নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহের শেষ নেই।
    এ নিয়েই কাটরা রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার যুগল কিশোর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে এই দুই ট্রেনকে ঘিরে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ উভয় ধরনের যাত্রীরাই বন্দে ভারতের অংশ হতে চাইছেন। টিকিটের চাহিদা এত বেশি যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কোনও আসন খালি থাকছে না।

    কেন এত উন্মাদনা (Vande Bharat)

    আসলে বন্দে ভারত নিয়ে এমন উন্মাদনার কারণ হল যে রুট দিয়ে ট্রেন যায়, তার পাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য, উচ্চ গতি এবং আধুনিক মানের পরিষেবা। এই সবকিছুই যাত্রীদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই ট্রেনে ২১ জুন কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত যাত্রা করবেন তেমনই এর যাত্রী মহিন্দর পন্থ। তাঁর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন স্ত্রী রেনু শর্মা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্দে ভারতের যাত্রা বেশ আকর্ষণীয় হবে।
    ব্যাঙ্কিং সেক্টরে চাকরি করেন পন্থ। বিগত ৩০ বছর ধরে কখনও সড়ক পথে, কখনও বিমান পথে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু এখন ট্রেনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে জম্মু ডিভিশন এবং কাশ্মীর। বন্দেভারতেই যাতায়াত করছেন পন্থ। বন্দে ভারত Vande Bharat Express) নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, এটি কাশ্মীরবাসীর এক দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ।

LinkedIn
Share