Tag: Jay Shah

Jay Shah

  • ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে সাফল্য ছিল ‘প্রায়’-এর গল্প। ২০০৫ ও ২০১৭, দু’দুবার ফাইনালে পৌঁছেও শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু হরমনপ্রীতদের হাতে যখন সেই বহু প্রতীক্ষিত কাপ উঠল, তখন যেন দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার স্বপ্নও বাস্তব হয়ে গেল। ১৯৮৩ অনুপ্রাণিত করেছিল এক প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখতে। এদিন মেয়েরা সেই কাজটাই করল—দেশের হাজারো মেয়েকে দেখিয়ে দিল, তারাও একদিন ব্যাট হাতে বিশ্বজয় করতে পারে। নারী শক্তির এই জয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন জয় অমিতভাই শাহ।

    সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার ঘোষণা

    রাজনৈতিক কারণে আপনি জয় শাহকে পছন্দ করতে পারেন বা অপছন্দ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এই মানুষটা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন, তা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা ততটা না জানলেও বা বুঝলেও হরমনপ্রীত কৌররা জানেন। তাই সেই কৃতজ্ঞতা, সেই অ্যাডমিরেশন থেকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে কাপ গ্রহণের আগে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গেলেন হরমনপ্রীত কৌর। ২০২২ সালে জয় শাহের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট বোর্ড ছিলো, যারা পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে দিয়েছিল।

    দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য

    এই বিজয় মানে আত্মবিশ্বাসের পুনর্জন্ম। এখন মেয়েদের ক্রিকেটে পরিকাঠামো, স্পনসরশিপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ আগের চেয়ে অনেক উন্নত। বোর্ডের বিনিয়োগও বেড়েছে। তবু দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য, যে সাফল্য দর্শক, মিডিয়া ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দিতে পারে। সেই ব্রেকথ্রু এল রবিবার। হরমনপ্রীতের হাতে সেই কাপ, যা মিতালি রাজ (Mithali Raj) বা ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami) প্রজন্মের নাগালের বাইরে থেকে গিয়েছিল। তাঁদের পাতা পথেই দাঁড়িয়ে আজ ভারতীয় মেয়েরা দেখাল, কঠোর পরিশ্রম আর বিশ্বাস থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়। আর সমতা কোনও দয়া নয়, সাফল্যের শর্ত।

    উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু

    আইপিএল এর সাফল্যের ব্যাপারে ক্রিকেট ভক্তরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু আইপিএলের ধাঁচে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু করে মহিলা ক্রিকেটের উন্মাদনা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন জয় শাহ ২০২৩ সালে। প্লেয়ার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ডব্লু পি এলের অবদান এখন সর্বজনবিদিত। বিনামূল্যে টিকিট দিয়ে মহিলা ক্রিকেট দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছেন জয় শাহ-ই। দেশের ভেতরে মহিলা ক্রিকেটের জন্য প্রোপার ডোমেস্টিক প্ল্যাটফর্ম, ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তি ও ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা করা যে বৃথা যায়নি, তা বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারা প্রমাণিত।

    মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ

    ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ভারতীয় বোর্ড পুরুষ ও মহিলা দলের জন্য সমস্ত টুর্নামেন্টে প্রাইজ মানি সমান করেছে। আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ করেছেন। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। একসময় যেখানে মহিলা খেলোয়াড়দের সাফল্য মানে ছিল “সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়”, আজ তা হয়ে উঠেছে “ব্যবস্থার সহায়তায় জয়”। সমান পারিশ্রমিকের সিদ্ধান্ত কাগজে লেখা একটি নীতিমালা ছিল, আজ তা বাস্তবের উজ্জ্বল উদাহরণ।

  • ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) অনেকের কষ্ট মুছে দেয়। ৬ বিশ্বকাপ খেলেও মিতালি রাজ পারেননি। ৫টা বিশ্বকাপ খেলে পারেননি ঝুলন গোস্বামী। সব আক্ষেপ এক রাতে মুছে দিলেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি, দীপ্তি, শেফালিরা। ফারাক একটাই সমতা। নবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের উজ্জ্বল আলোয় ইতিহাস রচনা করলেন হারমনপ্রীত কৌর। শেষ বলে উড়ে আসা ক্যাচটি যখন তিনি মাথার উপরে তুলে ধরলেন, তখন তাঁর সতীর্থরা ছুটে এলেন মাঠে, চোখে জল, মুখে অবিশ্বাসের হাসি। প্রথমবার ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল জয় করল বিশ্বের সর্বোচ্চ মঞ্চ—ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু এই জয় শুধুই ক্রিকেটের নয়, এটি এক নীতির জয়—যার সূচনা হয়েছিল তিন বছর আগে বোর্ডরুমের এক নীরব বৈঠকে।

    “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”ই যুক্তিযুক্ত

    ২০২২ সালের অক্টোবরে, বিসিসিআই-এর (BCCI) ১৫তম অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত—পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সমান ম্যাচ ফি চালুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রোহিত-বিরাটদের মতো পারিশ্রমিক বা ম্যাচ -ফি পেতে শুরু করেন হরমনপ্রীত, মান্ধানারা। সেই সিদ্ধান্ত তখন আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব ক্রীড়ামহলে। তখন বিসিসিআই সচিব পদে ছোট-খাটো চেহারার এক ব্যক্তি জয় অমিতভাই শাহ। যার রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তিনি নীরবে কাজ করে গিয়েছেন। সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন—মহিলা ক্রিকেট কি এখনও সেই অর্থনৈতিক উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে সমান পারিশ্রমিক যুক্তিযুক্ত? কেউ কেউ বলেছিলেন এটি “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”, যুক্তির নয়।

    বিশ্বাসে অটল বিসিসিআই

    সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের (ICC Women’s World Cup) লিগ পর্বে যখন ভারতের পারফরম্যান্স দুর্বল হচ্ছিল, তখন সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়। সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য। কিন্তু বিসিসিআই তাদের বিশ্বাসে অটল ছিল। বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে হরমনপ্রীতরা প্রমাণ করলেন, সেই বিশ্বাস বৃথা যায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এক টুইটে লেখেন, “ভারতের মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ভারতের প্রতিটি নাগরিককে গর্বিত করেছে। দলের লড়াই, আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তেমনি বিসিসিআই-এর নীতিগত সিদ্ধান্ত—সমান পারিশ্রমিক, বাড়তি বিনিয়োগ, উন্নত কোচিং কাঠামো ও উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ-এর অভিজ্ঞতা—এই সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছে।”

    এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল

    এই জয় আকস্মিক নয়, এটি এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল। সমান পারিশ্রমিকের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ক্রিকেটে এসেছে উন্নত পরিকাঠামো, দক্ষ কোচিং স্টাফ, এবং উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এর মতো প্রতিযোগিতা, যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়েছে। সমান পারিশ্রমিক শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক বিপ্লবও ঘটিয়েছে। মহিলা ক্রিকেটাররা এখন সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত। সেই আত্মবিশ্বাসই আজ প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেটে প্রতিফলিত। সমান পারিশ্রমিক তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে—সমতা কোনও দয়া নয়, এটি অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত।

    ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা

    বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) জয়ের পর ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (BCCI)। সংস্থার সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানান, এই পুরস্কার দলের সব সদস্য, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “জয় শাহ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন মেয়েদের ক্রিকেটে একাধিক বদল এনেছেন। পে প্যারিটি বা সমান বেতন কাঠামোর বিষয়টি তখনই কার্যকর হয়। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিসিসিআই ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-তেও নয়া ধারা

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-র তরফেও প্রাইজমানির পরিমাণ এবার বেড়েছে। ভারত পেয়েছে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আগের আসরে যেখানে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি। রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ কোটি টাকা), আর সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল প্রত্যেকে পেয়েছে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। পুরো টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজমানি ছিল ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৩ কোটি টাকা), যা আগের বিশ্বকাপের ৩.৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। এমনকি এই পরিমাণ পুরস্কার ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার অর্থকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

    সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই

    ভারতের এই সাফল্য বিশ্ব ক্রীড়াজগতে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। এতদিন মহিলা ক্রিকেটারদের বলা হত, “প্রথমে তোমাদের খেলা বাণিজ্যিকভাবে সফল হোক, তারপর আসবে সমান অধিকার।” ভারত দেখিয়ে দিল—সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই। বিসিসিআইয়ের (BCCI) মতো একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রভাবশালী বোর্ড যখন সমতাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে, তখন সেটি বিশ্ব ক্রীড়ার মানদণ্ড বদলে দেয়। এই জয় শুধু ট্রফি নয়—এটি এক নতুন ভারতীয় বাস্তবতার প্রতীক। ডিওয়াই পাতিলের আকাশে যখন তেরঙা উড়ছিল, ট্রফি হাতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল নতুন ভবিষ্যতের ছবি আঁকছিল। এটি শুধু ভারতের মেয়েদের জয় নয়—এটি সারা বিশ্বের কাছে এক বার্তা: সমান সুযোগ দিলে, মেয়েরা ইতিহাস লেখে।

  • Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে পদত্যাগ করলেন আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালারডাইস। ২০২১ সাল থেকে আইসিসির সিইও পদে ছিলেন জিওফ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই সরে গেলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে পাকিস্তান যে এখনও তৈরি হতে পারেনি, তার দায় নিয়েই সরলেন তিনি। যদিও জিওফ নিজে থেকেই সরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে একটি মিডিয়া বিবৃতিতে এ কথা জানান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তবে জিওফ-এর পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি।

    চাপে ছিলেন জিওফ

    আইসিসি সূত্রে খবর, চাপে ছিলেন জিওফ। গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান যে এখনও প্রস্তুত নয়, তার দায় চাপানো হয় তাঁর ওপরই। রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচি এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি হয়নি। এই বিষয়টি আইসিসির বোর্ডকে জানাননি অ্যালারডাইস। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর আইসিসির ইভেন্ট হেড ক্রিস টেটলি এবং মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং পদত্যাগ করেন। দুর্নীতিবিরোধী শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালও ইস্তফা দেন। এবার সরলেন সিইও জিওফ। তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও পদ সামলানোর দায়িত্ব পাওয়াটা সত্যিই বড় ব্যাপার। ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যা করেছি, তাতে আমি খুশি। আমার মনে হয় এটাই সেরা সময় আমার সরে যাওয়ার। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।”

    প্রস্তুত নয় পাকিস্তান

    ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025)। নিরাপত্তার কারণে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। কিন্তু বাকি সব ম্যাচ হবে পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে। এই তিন জায়গার মাঠ এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সংস্কারের কাজ চলছে, যা অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখনও বোঝা যাচ্ছে না আদৌ করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠ সময়ের আগে তৈরি হবে কি না। প্রথম ম্যাচ করাচিতেই। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ যদিও অ্যালারডাইসের প্রশংসাই করেছেন। তিনি বলেন, “আইসিসির তরফে অ্যালারডাইসকে ধন্যবাদ। তাঁর পরিশ্রম ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছে। অ্যালারডাইসকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।” ইতিমধ্যেই নতুন সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিসির দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। তিনি যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমস্যায় সরাসরি ঢোকেননি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের চরম গাফিলতিতে যে জয় শাহর আইসিসি ক্ষুব্ধ তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।

  • Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পরই টেস্ট ক্রিকেটে বড়সড় এক বদলের পরিকল্পনা করছেন জয় শাহ (ICC Chairman Jay Shah)। টেস্ট ক্রিকেটে টু-টিয়ার সিস্টেম বা দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছেন আইসিসির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা মিলে এই নীল নকশা তৈরি করছেন। যার নেতৃত্বে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আইপিএল ও টি-টোয়েন্টির যুগে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের টেস্ট ক্রিকেট। আধুনিক ক্রিকেটের ঘরানায় ধরে খেলা, উইকেটে থেকে খেলা দর্শক মনে জায়গা করে নিতে পারছে না। দুমদাম শট দেখতেই মাঠে ভিড় জমাচ্ছে দর্শক। সম্প্রতি এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) রেকর্ড দর্শকসংখ্যার পরে সেই ধারণা ভেঙে গিয়েছে। ভালো খেলা হলে দর্শক মাঠে আসতে বাধ্য তা প্রমাণ করেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। রোহিত-বিরাট-যশস্বী-পন্থদের সঙ্গে কামিন্স-স্টার্কদের দ্বৈরথ দেখতে প্রতিদিন মাঠে এসেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বুমরা-স্মিথ-হেড-সিরাজ বা জাদেজা-কনস্টাসদের খেলা নজর কেড়েছে সকলের। তাই টেস্ট ক্রিকট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইসিসি। অ্যাশেজ সিরিজের বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় মাঠে এত ভিড় আর কোনও সিরিজে হয়নি। সদ্যসমাপ্ত বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে মোট দর্শকসংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৯। শুধু ১৯৩৬-৩৭, ২০১৭-১৮ ও ১৯৪৬-৪৭ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বেশি দর্শক স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছিলেন।

    কীভাবে হবে শ্রেণিবিন্যাস

    টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো শ্রেণিতে ভাঙার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বায়ার্ড, ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো আলাদা আলাদা ডিভিশনে ভাঙার জন্য। টেস্ট ক্রিকেটকে টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ তে ভাঙা হবে। বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড— এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে চার বছরে দু’বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। টেস্ট খেলিয়ে তিনটে প্রথম সারির দলের ক্ষেত্রে যেটা অনেক কম বলে মনে করে আইসিসি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিসি যেই পরিকল্পনা করেছে তাতে এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে তিন বছরে দু’বার করে টেস্ট খেলবে।

    কোন বিভাগে কারা

    আইসিসি যেই প্রস্তাব দিয়েছে তাতে প্রথম ডিভিশনে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এই গ্রুপ বিন্যাসের অর্থ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ম্যাচ খেলবে। তিন মহাশক্তিধর টেস্ট খেলিয়ে দেশ নিজেদের মধ্যে বেশি করে খেললে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে খবর আইসিসির অন্দরে। তাই তিন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসি একটা চুক্তি করতে চাইছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বৈঠক করবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে।

    বিতর্কে নতুন ফরম্যাট

    তবে প্রস্তাবিত এই ফর্ম্যাট নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই দ্বিস্তরীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনায় অবনমন প্রথা থাকবে বলে খবর নেই। সেক্ষেত্রে ওপরের পর্বে যাওয়ারও সুযোগ থাকবে না দ্বিতীয় গ্রেডে থাকা দলগুলির। কী করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ঐতিহ্যশালী দলকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়, স্যর গ্যারি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডস, পেস বোলিংয়ের পঞ্চপাণ্ডব, ব্রায়ান লারার দেশকে গ্রেড টুয়ে রাখা আসলে উপেক্ষা করা কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

    এই ভাবনা নতুন নয়

    তবে, এই প্রথম নয়, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ ভাগ করার কথা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন সব ক্রিকেট বোর্ড তা খারিজ করে দেয়, তালিকায় ছিল বিসিসিআইও। সেই সময় ভারতের যুক্তি ছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হলে ছোট দলগুলো পিছিয়ে যাবে এবং টেস্টে এগোতে পারবে না। কিন্তু ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের যা ছবি ছিল সেটা এখন বদলেছে। এখন সমর্থকরা নির্দিষ্ট কিছু দলের ম্যাচ দেখতে টেস্টে ভিড় করেন। তাই আইসিসি চাইছে পুরোনো প্রস্তাব ফিরিয়ে আনতে ও সেটাকে বাস্তবায়িত করতে। 

    কবে থেকে নতুন ফরম্যাট

    নতুন ফরম্যাট চালু হলে সবটাই হবে ২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর। এখন আইসিসির টেস্ট সাইকেল চলছে। সেই সাইকেল অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত টেস্ট সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই হিসেবে যদি টেস্টকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে সূচিতে বদল আনতে হবে। মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে চলা টেস্ট সাইকেল শেষ হলে তারপর নতুন নিয়ম চালু করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে আইসিসি-র চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জয় শাহ

    Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে আইসিসি-র চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জয় শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল আইসিসি। আর সেই আন্তর্জাতিক সংস্থার মাথায় ফের বসলেন কোনও ভারতীয়। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান (Icc Chairman) পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন জয় শাহ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে আইসিসির পদে ছিলেন গ্রেগ বার্কলে। ২০২৪ সালে এই পদে বসলেন জয় শাহ (Jay Shah)। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রথম ক্রিকেট প্রশাসনে এসেছিলেন জয় শাহ। সেসময় গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে বিসিসিআইয়ে কনিষ্ঠতম সচিবও হন তিনি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

    দায়িত্ব নিয়ে কী বললেন জয় শাহ (Jay Shah)?

    দায়িত্ব নেওয়ার পর জয় শাহ (Jay Shah) বলেন, ‘‘আইসিসির চেয়ারম্যানের (Icc Chairman) দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। আইসিসির পরিচালক এবং সদস্য বোর্ডগুলির সমর্থন এবং বিশ্বাসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা এখন ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্স গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশ্বে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছি আমরা। চেষ্টা করা হচ্ছে খেলাটাকে আরও আকর্ষণীয় করার। তিন ধরনের ক্রিকেটকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মহিলাদের ক্রিকেটেরও বিশ্বব্যাপী প্রসারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আইসিসির সব কমিটি এবং সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে চাই।’’ নিজের বক্তব্যে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রেগ বার্কলেকেও।

    সবচেয়ে কম বয়সি সভাপতি (Jay Shah)

    প্রসঙ্গত, জয় শাহ হলেন আইসিসির সবচেয়ে কম বয়সি প্রেসিডেন্ট। এর আগে ভারতীয় হিসেবে আইসিসির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, শশাঙ্ক মনোহর প্রমুখ। প্রসঙ্গত,  বিসিসিআইয়ের সচিব থাকার সময় জয় শাহ বারবার মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কথা বলতেন। তিনি সচিব থাকাকালীনই মেয়েদের প্রিমিয়াম লিগ শুরু করে বিসিসিআই। পাশাপাশি মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য পুরুষদের সমান বেতনও চালু করেন তিনি। এবার আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পরেও তাঁর মুখে শোনা গেল মহিলা ক্রিকেটে জোর দেওয়ার কথা। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে গতি আরও বাড়াতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষস্থানে জয় শাহ, কীভাবে উপকৃত হবে ভারতের বাইশ গজ?

    Jay Shah: বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষস্থানে জয় শাহ, কীভাবে উপকৃত হবে ভারতের বাইশ গজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসির মসনদে পা রেখেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান। বোর্ড সচিব হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রেখেছেন জয়। এ বার আইসিসির (ICC) দায়িত্বে এসে ক্রিকেটের আরও উন্নতি করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষস্থানে এর আগেও চার ভারতীয় নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবার পালা জয়ের। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদ লাভ করায় ভারত আরও সুবিধা পাবে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। তবে এখন কিন্তু শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয় বিশ্ব ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভাবতে হবে তাঁকে এমনই দাবি আইসিসির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির।

    ক্রিকেটে জয়-যাত্রা

    ১৯৮৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুজরাটে জয়ের জন্ম। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সোনাল শাহের পুত্র তিনি। জয়ের ছোটবেলা কেটেছে গুজরাটেই। সেখানেই পড়াশোনা করেছেন। আমেদাবাদের নিরমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক করেন জয়। ২০০৯ সালে জিসিএ-র এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০১৩ সালে সহ-সচিব। বিসিসিআই-এর অন্দরে প্রথম পা রাখেন ২০১৫ সালে। হন ফিনান্স কমিটির সদস্য। এরপর ২০১৯-এ পান সচিবের দায়িত্ব। বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় এই আসন সামলাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন জয়। এবার সেসব পিছনে ফেলে আইসিসি’র মসনদে বসছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ৩০ নভেম্বরের পর আসন আর ধরে রাখতে চান না তিনি। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ২৭ অগাস্ট অবধি। জয় শাহের (Jay Shah) বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী না দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরবর্তী সচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

    আইসিসির দায়িত্ব নেওয়ার পরই জয় শাহর প্রথম চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নির্বিঘ্নে আয়োজন করা। পাকিস্তান আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট টিম পাক সফরে যায়নি। জয় শাহ আইসিসি-র দায়িত্বে থাকায় ভারত কি পাকিস্তানে খেলতে যাবে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়া বিশ্বে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা কেন্দ্র সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। এখন জয় শাহ মধ্যস্থতা করে ভারতেকে পাকভূমে খেলাতে নিয়ে যেতে পারেন। আবার ভারত না চাইলে নিরপেক্ষ কোনও জায়গাতেও হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

    ভারতে মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি

    জয় শাহের নেতৃত্বে বিসিসিআই মহিলাদের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) শুরু করেছিল, যা অত্যন্ত সফল। এই লিগ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চুক্তির পরিমাণ বাড়ায়, যা মেয়েদের ক্রিকেটে আসতে উৎসাহ দিয়েছে। শাহ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য অভিন্ন ম্যাচ ফি প্রয়োগ করে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। এবার বিশ্ব ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়ে তিনি যে মহিলা ক্রিকেটের আরও উন্নতির চেষ্টা করবেন তা বলাই বাহুল্য।

    ঘরোয়া ক্রিকেটে গুরুত্ব

    জয় শাহ খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করেন। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) কে নতুনভাবে সাজিয়েছেন জয়। বর্তমানে অ্যাকাডেমিটি শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। আমদাবাদে প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জয় আইসিসি-র দায়িত্ব নিলেও তাঁর নজর যে সবসময় দেশের ক্রিকেটকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার দিকে থাকবে তা মনে করছে ক্রীড়ামহল।

    টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি

    আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পরে দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন শাহ। টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “হতে পারে এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না যে ক্রিকেটের ভিত হল টেস্ট। তাই সকলে যাতে ক্রিকেটের বড় ফরম্যাট খেলতে চায় সে দিকে নজর দিতে হবে। টেস্টকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এখন টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও দর্শকেরা মাঠ ভরাচ্ছেন। এটা ভাল ছবি। দিন-রাতের টেস্ট শুরু হয়েছে। সেটাও আকর্ষণীয়।” চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই জয়ের হাতে থাকবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দায়িত্ব। গত দুবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেনি ভারত। এবার জয়ের অপেক্ষায় রোহিতরা।

    কবে দায়িত্বগ্রহণ

    আইসিসির কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৫ বছরের জয় শাহ। এখন আইসিসির সদস্য সংখ্যা ১৬। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে জয়কে সমর্থন করেছিলেন ১৫ জন সদস্য। শুধু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন পাননি বিসিসিআই সচিব। জয় শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডকে পাশে পেয়েছিলেন। পরে অন্য সদস্য দেশগুলির সমর্থন পেতেও সমস্যা হয়নি তাঁর। সব দেখেশুনে পিসিবি জয়ের বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জয়। বোর্ড সচিব হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রেখেছেন জয়। ২০২২ সালে তাঁর আমলেই আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব রেকর্ড ৪৮,৩৯০ কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এই চুক্তির পরেই আইপিএল বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান ক্রীড়া লিগে পরিণত হয়। এবার বিশ্ব ক্রিকেটে সফল প্রশাসক হিসেবে একজন ভারতীয়ের ‘জয়’যাত্রার অপেক্ষায় ক্রিকেট অনুরাগীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আপনার ভাইরাও নানা পদে’’, জয় শাহকে কটাক্ষ করায় মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আপনার ভাইরাও নানা পদে’’, জয় শাহকে কটাক্ষ করায় মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় অমিত শাহকে (Amit Shah) ‘খোঁচা’ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    মমতার পোস্ট

    সদ্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ (Jay Shah)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার একদিন পরে অমিত শাহকে ‘খোঁচা’ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ অগাস্ট করা ওই পোস্টে জয় শাহের নাম না নিয়েই মমতা লিখেছিলেন, ‘‘আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হয়নি। কিন্তু তার থেকেও আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছে। অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আপনার পুত্র রাজনীতিবিদ না হলেও আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই পদটি অধিকাংশ রাজনৈতিক পদের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুত্র সত্যিই অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছেন। ওঁর এই সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’’ 

    শুভেন্দুর জবাব

    মমতার (Mamata Banerjee) পাল্টা হিসেবে সোশ্যাল সাইটে ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ পাল্টা পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘বাংলার ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন। আপনার ভাইয়েরা রাজনীতিবদ হননি। পরিবর্তে তাঁরা হয়েছেন— অজিত বন্দোপাধ্যায় (ষষ্ঠী) আইএফএ (বাংলার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা) সভাপতি। বাবুন বন্দোপাধ্য়ায় (স্বপন) বাংলা অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি, মোহনবাগান ফুটবল ক্লাবের মাঠ সচিব, পশ্চিমবঙ্গ হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ অ্যামেচার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ক্রীড়া প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের এই পোস্টগুলি পাওয়ার আকাঙ্খা অনেক রাজনীতিবিদেরই থাকে। আপনার ভাইয়েরা নিঃসন্দেহে ভীষণ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং তাঁদের এই সাফল্যে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কুর্নিশ।’’

    এর আগেও অমিত শাহের ছেলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের পদাধিকারী হওয়ায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা এবং তৃণমূল নেতারা। আর এবার আইসিসির কনিষ্ঠতম সভাপতি হয়েছেন জয় শাহ। যা নিয়ে অমিত শাহকে ‘খোঁচা’ মেরে অভিনন্দন জানান মমতা (Mamata Banerjee)। আর তারই পালটা জবাব দিয়ে মমতার ভাইদের পদ নিয়ে পোস্ট করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: আইসিসিতে ইতিহাস, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত জয় শাহ

    Jay Shah: আইসিসিতে ইতিহাস, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত জয় শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান (ICC Chairman) নির্বাচিত হলেন জয় শাহ (Jay Shah)। গ্রেগ বার্কলের ছেড়ে যাওয়ার পর, ১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন জয়। সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান হতে চলেছেন তিনি। আমেদাবাদ ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু, তারপর গুজরাট, বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব সামলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উন্নতির দায়িত্ব ৩৫ বছরের জয়  শাহের কাঁধে। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন না জমা দেওয়ায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান হলেন জয়।

    ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোই লক্ষ্য

    আইসিসির চেয়ারম্যান (ICC Chairman) নির্বাচিত হয়েই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তোলার বিষয়ে কাজ করার কথা বলেন অমিত শাহ পুত্র (Jay Shah)। জয় বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল ক্রিকেটকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া, এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানো। আমরা যেমন অতীত থেকে শিক্ষা নেব, তেমনই বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নতুন পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে বড় পদক্ষেপ। আমি নিশ্চিত এর ফলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।’’

    টেস্ট ক্রিকেটের প্রচার

    জয় শাহ (Jay Shah) পরিষ্কার করে দিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বোর্ডের এক বিবৃতিতে জয় শাহ বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি স্বাভাবিকভাবে এক উত্তেজক ফর্ম্যাট। একইসঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সকলের কাছে এটার আলাদা প্রাধান্য রয়েছে।’’ জয় বলেন, ‘‘আমার মেয়াদ থাকাকালীন আমি আলাদা করে ট্যালেন্ট সার্চ (প্রতিভার অন্বেষণ) করতে চাই। আশা করি আমি এই প্রোগ্রামে সকলের সমর্থন পাব। আইসিসির চেয়ারম্যানের (ICC Chairman) দায়িত্ব আমাকে দেওয়ার জন্য আইসিসি বোর্ডের সদস্যদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা যে ভরসা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি সকলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব।’’

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    জয় শাহের যাত্রা

    ক্রিকেট পরিচালনায় জয় শাহের (Jay Shah) যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আমেদাবাদ (সিবিসিএ) এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (GCA) যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে এর যুগ্ম সম্পাদক হন। তারপর বিসিসিআই-এর দায়িত্ব নেন জয়। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় তাঁর দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম সবাইকে মুগ্ধ করে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক এবং তাঁর পরিচালনার দক্ষতা তাঁকে এই অবস্থানে নিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বোর্ডের সচিবের পদ ছেড়ে এবার বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ (ICC) পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। মঙ্গলবার রাতেই নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দিয়েছেন, আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে আর লড়বেন না। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে জয় শাহকে নিয়ে। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে জয় শাহ বসলে, তিনিই হবেন সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান।

    দৌড়ে নেই বার্কলে

    আগামী ৩০ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বার্কলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২৭ অগাস্টের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। যদি একের বেশি মনোনয়ন জমা পড়ে, তা হলে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে, ১৬টি ভোটের মধ্যে ৯টি ভোট পেলেই চলবে জয় শাহের (Jay Shah)। আইসিসি (ICC) চেয়ারম্যান পদে কোনও ব্যক্তি দু’বছর করে সর্বোচ্চ তিন বার ক্ষমতায় থাকতে পারেন। ২০২০ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন বার্কলে। ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। হিসেব মতো আরও দু’বছর পদে থাকতে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই বার্কলে আর দাঁড়াচ্ছেন না। 

    কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান

    আইসিসি-র (ICC)  ইতিহাসে কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ রয়েছে জয় শাহের (Jay Shah) কাছে। অতীতে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া  (১৯৯৭-২০০০), শরদ পাওয়ার (২০১০-২০১২), এন শ্রীনিবাসন (২০১৪-২০১৫) এবং শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০২০) আইসিসি-র চেয়ারম্যান হয়েছেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন জয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘বেফাঁস বলে এখন নাটক করছেন’’! সৌরভের আরজি কর প্রতিবাদকে ‘ট্রোল’ নেটপাড়ার

    জয় শাহ-র প্রভাব

    এখন আইসিসি-র (ICC) অর্থ এবং বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান জয় শাহ (Jay Shah)। তাঁর পক্ষে সমর্থন রয়েছে একাধিক দেশের। তাঁকে সমর্থন জানাবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে জয় শাহের আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বিপক্ষ হয়তো কেউ না-ও দাঁড়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আইসিসি-তে চলে যাবেন জয় শাহ। আইসিসি-তে গেলে বোর্ডের পদ ছাড়তে হবে তাঁকে।

    বিসিসিআই থেকে পদত্যাগ

    লোধা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের পর বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে চলে যেতে হবে জয় শাহকে। তাই বোর্ডের পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি আইসিসি-র চেয়ারম্যান হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জয় যদি আইসিসির চেয়ারম্য়ান হয়ে যান, তা হলে আবার বোর্ডে ফিরতে অসুবিধা হবে না। একই সঙ্গে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে থাকা মানে ভারত নানা দিকে সুবিধাও পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anshuman Gaekwad:  “ভারতের তিন সাহসী ক্রিকেটারের একজন”, গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকাহত গাভাসকর

    Anshuman Gaekwad: “ভারতের তিন সাহসী ক্রিকেটারের একজন”, গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকাহত গাভাসকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন অংশুমান গায়কোয়াড় (Anshuman Gaekwad)। অবশেষে সেই লড়াই থেমে গেল। বুধবার প্রয়াত হন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লন্ডনে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রিকেট মহলে। জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকজ্ঞাপন করেছেন।

    শোকাহত ক্রিকেটমহল

    তাঁর চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কাপিল দেব, সন্দীপ পাতিলরা। তাঁদের অনুরোধে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকী, প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য অংশুমান গায়কোয়াড়কে (Anshuman Gaekwad) আরও অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। লন্ডনে চিকিৎসার পর অনেকটাই ভালো ছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার। গত মাসেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ভদোদরায় নিজের শহরেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু বুধবার রাতে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল।  সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিল কুম্বলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও শোকস্তব্ধ। শেক প্রকাশ করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    ক্রিকেটার ও কোচ হিসেবে সাফল্য

    ২২ বছরের ক্রিকেট জীবনে বহু সাফল্য যোগ হয়েছে অংশুমানের (Anshuman Gaekwad) মুকুটে। খেলেছেন ৪০টি টেস্ট ম্যাচ। দুটি শতরান-সহ তাঁর সংগ্রহ মোট ১৯৮৫ রান। ১৯৭৪ সালের কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। প্রতিপক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে তাঁর চোয়াল চাপা লড়াই সর্বজনবিদিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় তিনি ক্রিজে কাটিয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অংশুমান গায়কেয়াড়। একদিনের ফরম্যাটেও দেশের হয়ে ১৫টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব সামলে ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে ১৯৯৯ সালে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে নজির গড়েছিলেন প্রাক্তন স্পিনার অনিল কুম্বলে।

    আরও পড়ুন: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    ভারতীয় ক্রিকেটে সাহসী চরিত্র

    অংশুমান গায়কোয়াড়ের মৃত্যুর খবর শুনে মন খারাপ সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar)। সানির কথায়, “ভারতীয় ক্রিকেটের তিন সাহসী ক্রিকেটার একনাথ সোলকার, মহিন্দর অমরনাথ এবং অংশুমান গায়কোয়াড়ের (Anshuman Gaekwad) সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমরা নরি কনট্র্যাক্টরের সাহসের কথা শুনেছি। কী ভাবে তিনি ভাঙা পাঁজর নিয়ে লর্ডসে ৮১ রান করেছিলেন। উদীয়মান ক্রিকেটারদের সেই ঘটনা অনুপ্রেরণা দেয়। কীভাবে দেশের হয়ে সর্বস্ব দিয়ে লড়তে হয়, সেটাই এক্কি (একনাথ), জিমি (মহিন্দর) এবং চার্লি (অংশুমান) দেশের হয়ে খেলার সময় করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “মন খারাপ করে দেওয়ার মতো খবর। চার্লি দেখিয়ে দিল, বিনা লড়াইয়ে সে জীবনের উইকেটও ছুড়ে দেবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share