Tag: JK

JK

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৪৮টি পর্যটন স্থল। সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে ৮৭টি পর্যটন স্থান। তারই একটা বড় অংশ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এমন আবহে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে হামলা সফল হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে জঙ্গিরা। তাই সক্রিয় হয়েছে উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কিছু স্লিপার সেল। তাদের অপারেশন শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওপর মহল থেকে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদেরও লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তার জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৮টি পর্যটনস্থলের দ্বার।

    বাড়ছে জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা! (Pahalgam Attack)

    গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলায় বিশেষ করে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, সিআইডি কর্তা-কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করেছে (Jammu and Kashmir)।পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীরে ৯ জন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর পরেই জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা আরও জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই এবার তারা শুরু করেছে আরও বড় ধরনের হামলা চালানোর সলতে পাকানোর কাজ। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রেল পরিকাঠামোর সংবেদনশীলতা ও উপত্যকায় স্থানীয় নন এমন রেলকর্মীদের ব্যাপক (Pahalgam Attack) উপস্থিতির কারণে রেলওয়েকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তাঁদের নির্ধারিত ক্যাম্প ও বারাকের বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এই জায়গাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ

    কাশ্মীর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা। সে কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮টি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলি হল, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারি, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসর্ট, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম এবং আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসর্ট এবং লাচপাত্রি)।

    দ্বার বন্ধ

    বারমুল্লা জেলার যে পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, তার মধ্যে রয়েছে, উলার / ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত (Pahalgam Attack), ইকোপার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি এবং বদরকোট। বদগাঁও জেলায় যেসব স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসিময়দান এবং দুধপাথরি (Jammu and Kashmir)। অনন্তনাগ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ এবং আকদ পার্ক। কুলগাঁও জেলায় বন্ধ করা হয়েছে আহরবাল এবং কাউসারনাগের দরজা। কুপওয়াড়া জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম এবং বাঙ্গুস ভ্যালি। গান্ডেরবাল জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাং পার্ক এবং নারানাগ। পুলওয়ামা জেলায় বন্ধ করা হয়েছে একটিমাত্র পর্যটনস্থল। সেটি হল সাঙ্গারওয়ানি।

    এনআইএ-র তদন্ত

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ভূস্বর্গে আসছেন পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়েও বেড়াতে আসছিলেন পর্যটকরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রাজ্যজুড়ে জোরালো জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় শতাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলকে (Pahalgam Attack)। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পহেলগাঁওকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক জঙ্গি। সেই কারণেই আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। দুরমুশ করে দেওয়া হয়েছে ৯ জঙ্গির বাড়ি। এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করেছে। এনআইএর আধিকারিকরা স্থানীয় কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। গুজরাটি পর্যটক ঋষি ভট্টের মতো যাঁরা সেদিন বেঁচে ফিরেছেন পহেলগাঁও থেকে এবং যাঁর (Jammu and Kashmir) ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের ছবি ধরা পড়েছে, তাঁদেরও জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের (Arab World) বিভিন্ন দেশ। মঙ্গলবারই দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই দুপুরে পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গি হামলায় এক নেপালি-সহ মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

    কুয়েতের প্রতিক্রিয়া (Pahalgam Terror Attack)

    কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স, সাবাহ খালেদ আল হামাদ আল সাবাহ পহেলগাঁওয়ে মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য বুধবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন আহতদের। সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রকও এই হামলার নিন্দা করে জারি করেছে বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, “সব ধরনের হিংসা, চরমপন্থা এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেটে পরিণত করার ক্ষেত্রে সৌদি আরব তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করে।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ভুক্তভোগীদের পরিবার ও ভারত প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে।”

    সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া

    প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যেখানে নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যে কোনও কারণেই হোক না কেন, কোনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম বা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং সকল ধরণের সহিংস চরমপন্থা মানবতার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে রয়েছে (Pahalgam Terror Attack)।”

    জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে সকল ধরণের হিংসা ও সন্ত্রাসবাদকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাখ্যান করছে (Arab World)।” সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ভারত সরকার ও জনগণের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে (Pahalgam Terror Attack)।

  • Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন অন্তত ২৮ জন পর্যটক (Pahalgam Massacre)। এঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু। বেছে বেছে কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বী পর্যটকদেরই খুন করা হয়েছে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। জঙ্গিদের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ ঘোষণা বলে আখ্যা দিয়েছে ভিএইচপি (VHP)। তারা ভারত সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে।

    ভিএইচপির বক্তব্য (Pahalgam Massacre)

    ভিএইচপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “এই বর্বর ঘটনা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়, এটি পাক-মদতপুষ্ট ইসলামি জিহাদি শক্তির খোলাখুলি যুদ্ধ। নয়ের দশকে উপত্যকায় যে সন্ত্রাসের ছায়া নেমে এসেছিল, এটি তারই ভয়াবহ একটি স্মৃতিচারণ। কাশ্মীরে পুনরায় মাথা তোলার সাহস দেখানো ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে আমাদের মূলোৎপাটিত করতেই হবে।” পহেলগাঁওয়ের এই হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হামলাকারীরা পর্যটকদের প্যান্ট খুলিয়ে, কালমা পাঠ করতে বাধ্য করে এবং তাঁদের আইডি পরীক্ষা করে অমুসলিম নিশ্চিত হওয়া ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যা করে। জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিগত টার্গেটিং স্পষ্ট প্রমাণ করে যে হামলাটির পিছনে ধর্মীয় উসকানি কাজ করেছে।”

    টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড

    তিনি আরও বলেন, “এটি পাক-মদতপুষ্ট জিহাদি ও তাদের স্থানীয় স্লিপার সেলের পরিকল্পিত, টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড। তাদের অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট— উপত্যকা থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করা, নয়ের দশকের ভয়াবহতা ফের সৃষ্টি করা (Pahalgam Massacre)।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতা পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে রাজনৈতিক বক্তব্য ও পাকিস্তানি সামরিক বক্তব্য-সহ একটি ডিস্টার্বিং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি একজন ভারতীয় সংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উদাহরণ দেন। ওই সাংসদ কাশ্মীরে পর্যটন ও জমি কেনাকে ‘সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ওই সাংসদের বক্তব্যের সঙ্গে পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যকে যুক্ত করেছেন। পাক সেনা প্রধান সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘কাশ্মীরই একমাত্র অবশিষ্ট অ্যাজেন্ডা’। জৈনের অভিযোগ, এই যে মতাদর্শগত সমর্থন, এটাই পহেলগাঁওয়ে রক্তপাতের পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি বলেন, “এই পরিবেশ — ক্ষমতার করিডর থেকে পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর পর্যন্ত — এই কাজগুলিকে সম্ভব করছে। এখন দ্বিধাহীনচিত্তে এটিকে ধ্বংস করার সময় এসে গিয়েছে (VHP)।”

    জনরোষ চরম আকার নিতে পারে!

    সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুসলমানদের একাংশ। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনার পর তারা আর মুখ খোলেনি। ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছেন, সে প্রশ্ন তোলেন জৈন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা জাতীয় অস্থিরতা সৃষ্টি করেন, কিন্তু নিরীহ হিন্দু তীর্থযাত্রীদের হত্যার নিন্দা করতে তাঁরা এগিয়ে আসেন না? এই নির্বাচিত ক্ষোভ মেনে নেওয়া যায় না (Pahalgam Massacre)।” সরকার যদি দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনরোষ চরম আকার নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন জৈন। তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, এই ক্ষোভ আরও তীব্র হবে। সরকারের এখন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করার সময় এসেছে।”

    ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বিজেপি ও বজরং দল ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল করা এবং পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো। জৈন বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত যখন ভারতকে বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমাদের মাটিতে ধর্মীয় নির্মূলকরণ আমরা আর কখনও সহ্য করব না।”

    বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের সমস্ত বাজার, স্কুল-কলেজ, পরিবহণ পরিষেবা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উপত্যকার (VHP) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বাণিজ্যিক সংগঠনগুলি সর্বতোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে (Pahalgam Massacre)।

    মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বক্তব্য

    মুতাহিদা মজলিস উলেমার প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যে কেউ যদি একজন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করে, সে আসলে সম্পূর্ণ মানবজাতিকেই হত্যা করে। কাশ্মীরের রক্তাক্ত ইতিহাসে আর একটি হত্যাকাণ্ড। ইসলামে এই ধরনের নৃশংসতা ঘৃণ্য। আমরা জম্মু কাশ্মীরের জনগণের কাছে বন‍্‍ধ পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ করার আবেদন করছি।” পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতিও শোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সকল কাশ্মীরিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় নিহত (VHP) নিরীহ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বন‍্‍ধকে সমর্থন করেন। এটি কেবল কয়েকজনের ওপর আক্রমণ নয় – এটি আমাদের সকলের ওপর আক্রমণ (Pahalgam Massacre)।”

  • Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার পর্যটকদের ভিড়ে মিশেছিল জঙ্গিরা (Pakistan)। পরে স্বমূর্তি ধারণ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এদিন যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হিন্দু। বৈসরন এলাকার এই হত্যালীলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়াবহ অসামরিক হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী।

    হতাশার বহিঃপ্রকাশ! (Pahalgam Attack)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহেলগাঁওয়ে এই হামলা একটি বৃহত্তর ও আরও উদ্বেগজনক ধারার অংশ। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ হওয়ার পরে নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার। এর পরেই কৌশল বদলায় পাকিস্তান। তারা কাশ্মীর থেকে তাদের ফোকাস ঘোরায় শান্ত এবং হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর পার্বত্য জেলাগুলিতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন রাজৌরি, রেয়াসি এবং পুঞ্চের বাসিন্দারা। এই জায়গাগুলিকেই ফোকাস করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এভাবে তারা যেমন একদিকে ভারতের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ভারতের দুর্বলতাও খুঁজতে চেয়েছে। এসব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সুবিধাও নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশের নিরন্তর চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে পাক সেনা। সম্প্রতি জে সেক্টরে তারা এলওসি অতিক্রম করেছিল। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। পাক সেনাদের এহেন কাজকর্ম একাধিক ফ্রন্টে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের একটি পরীক্ষাও বটে।

    পাকিস্তানের মুখে চুনকালি

    উনিশ সালে (Pahalgam Attack) ভূস্বর্গ থেকে লুপ্ত করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের কাশ্মীরের ওপর থেকে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে থাকে। অথচ মোদি সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন থেকে কূটনৈতিক, সামরিক কিংবা বাকযুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঢের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মুখে পড়েছ চুনকালি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ছিল নির্বিকার। ওআইসি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েই খালাস। ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর কাশ্মীরে বয়ে গিয়েছে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। শান্তির ভূস্বর্গে ক্রমেই নামছিল পর্যটকদের ঢল। অর্থনীতি চাঙা হয়েছিল ভূস্বর্গের। অবাধে হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীরের রাশ গিয়েছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে। রাওয়ালপিন্ডি এক সময় যে স্বাভাবিকতার প্রতীকগুলিকে উপহাস করত, সেগুলিই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কাশ্মীরে। তাই স্থানীয় কাশ্মীরিদের খেপিয়ে তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে পাক সেনার।

    পাক সেনার ইন্ধন

    এহেন প্রেক্ষাপটে (Pahalgam Attack) ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ঘোষণা (Pakistan)। তিনি কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের জীবনরেখা’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিয়া আমলের পর থেকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি কোনও পাক রাজনীতিক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি কোনও কৌশলগত সংকেত নয়, বরং পাকিস্তানের গলায় হতাশার সুর স্পষ্ট, যে নিজের চোখের সামনে তার নিজের আদর্শিক পরিচয়ের মূলস্তম্ভকে হাতছাড়া হতে দেখছে। পাক সেনার বক্তব্য যতই জোরালো হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাওয়ালপিন্ডি আর কাশ্মীরের ডিসকোর্স নির্ধারণ করছে না, বরং পরোক্ষে তাদের পরাজয়েরই মোকাবিলা করছে।

    কেন প্ররোচনা?

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একের পর এক সমস্যায় যখন জর্জরিত পাকিস্তান, তখন পাক সেনার এহেন প্ররোচনা (কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক) অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। উপজাতীয় অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান তাদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখছে। বালোচ বিদ্রোহীরা সৈন্যদের আস্ত একটি ট্রেনকে পণবন্দি করেছিল। পড়শি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দৃশ্যতই দেশটি বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশের এই দুঃসময়ে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে মাতল কেন পাকিস্তান? এর (Pahalgam Attack) এক এবং একমাত্র উত্তর হল, দেশে যখনই ভয়ঙ্কর কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানিরা যাতে সরকার কিংবা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে না দেন, তাই ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে তাক করা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা, হামলা চালানো, প্রতিশোধের ঝুঁকি নেওয়া – এসবই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পাক সেনার পুরানো চাল। এদিক থেকে বিচার করলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলাও যুক্তিসঙ্গত হয়ে ওঠে। কারণ ‘ভারত-কার্ড’ খেলে দিয়ে পাক সেনা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আদতে দেশের অভ্যন্তরীণ (Pakistan) সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানোরই চেষ্টা করেছে (Pahalgam Attack)।

  • Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলাকে জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছে আরএসএস (RSS)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) এক বিবৃতিতে এই হামলায় প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

    কী বলছেন আরএসএস কর্তা (Dattatreya Hosabale)

    হোসাবলে তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার এই জঘন্য কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হৃদয়বিদারক। আমরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং এই হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এটি আমাদের জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর একটি আক্রমণ। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে তাদের মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এই সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা করতে হবে।” হোসাবলে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য পায় সরকারের উচিত তা নিশ্চিত করা। এই হামলার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিও যেন দেওয়া হয়।”

    ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’

    পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় জঙ্গিরা পর্যটকদের নিশানা করে, সেই বৈসরন উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। ফি বছর কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন ভূস্বর্গে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি (Dattatreya Hosabale) প্রক্সি গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল ৪ থেকে ৬ জন। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরি। বাকিরা পাকিস্তানের নাগরিক।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলাকে জঘন্য কাণ্ড বলে নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই হামলার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “পাকিস্তানিরা যেন তাদের সন্তানদের (RSS) হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে চরম পার্থক্য রয়েছে, তা শেখান (Dattatreya Hosabale)।”

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill) ২০২৫ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে (Darakhshan Andrabi)।” বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দরাবি। তিনি বলেন, “সংসদে পেশ করা বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে মনে হয় না। যদি ওয়াকফের এত জমি থাকে, তাহলে এত মুসলমান গরিব কেন? যদি বোর্ডটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দায়বদ্ধ করা হয়, তাহলে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

    জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য (Waqf Bill)

    তিনি বলেন, “বিলটি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই পেশ করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিলটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছুই নেই।” এদিন সকালে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, “কেন ওয়াকফের সম্পত্তি দেশ ও মুসলমানদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, ভারতের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তখন সেগুলি দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়নি কেন (Darakhshan Andrabi)? এ ব্যাপারে এতদিনে কেন কোনও অগ্রগতি হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মুসলমানদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হল, ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এটি পূর্ববর্তী আইনের ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়াকফ বোর্ডের দক্ষতা বাড়ানো, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং ওয়াকফ রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশের আগে গঠন করা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। সেই কমিটি দেশের বিভিন্ন (Waqf Bill) নাগরিক কমিটি ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭২টি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দ, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এবং জামায়াতের বিভিন্ন শাখার মতো বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াকফ সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি, প্রশাসনিক এবং সাম্প্রদায়িক (Darakhshan Andrabi) উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল (Waqf Bill)।

LinkedIn
Share