Tag: JK

JK

  • Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করেছিল (Statehood Resolution) ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার মন্ত্রিসভা। পরে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কাছে। বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। এবার তোড়জোড় চলছে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার।

    রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব (Jammu Kashmir)

    বৃহস্পতিবারই প্রথম বৈঠকে বসে ওমর মন্ত্রিসভা। এদিনের বৈঠকে পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী ওমর ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ডেপুটি সুরিন্দর চৌধুরী, মন্ত্রী সাকিনা মাসুদ ইতু, জাভেদ আহমেদ রানা, জাভেদ আহমেদ দার ও সতীশ শর্মা। মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে উপরাজ্যপাল স্বাক্ষর করার পরে সেটি পাঠানো হবে দিল্লিতে। আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাওয়ার কথা ওমরের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব তুলে দেবেন ওমর। আর্জি জানানো হবে জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য

    জম্মু-কাশ্মীরের এক সরকারি আধিকারিক জানান, মন্ত্রিসভার পাশ করা প্রস্তাবে বাড়তি কিছু যোগ করেননি উপরাজ্যপাল। মন্ত্রিসভায় গৃহীত প্রস্তাব তাঁর কাছে আসতেই তিনি তাতে স্বাক্ষর করে দেন। তিনি বলেন, “এই প্রস্তাবের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা ফিরে পাবেন তাঁদের পরিচিতি ও সাংবিধানিক অধিকার।” ওমর সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া উপত্যকায়। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে বিরোধী পিডিপি-সহ একাধিক দল। তাদের দাবি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা ও বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসতে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই ভূস্বর্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। যদিও সঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে (Statehood Resolution) আশ্বাস দেয় কেন্দ্র (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক, তাই ঠাঁই হয়নি ওমর মন্ত্রিসভায়”, কটাক্ষ বিজেপির

    Jammu And Kashmir: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক, তাই ঠাঁই হয়নি ওমর মন্ত্রিসভায়”, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক। তাই ঠাঁই হয়নি ওমর আবদুল্লার (জম্মু-কাশ্মীর) মন্ত্রিসভায় (Jammu And Kashmir)।” রাহুল গান্ধীর দলকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের নয়া মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের ঠাঁই হয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্স এখন বুঝতে পেরেছে যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক। এই ঘটনা ইন্ডি জোটের ভঙ্গুরত্ব প্রদর্শন করে। তাদের জোট ভেঙে গিয়েছে। এই জোটে কংগ্রেস একটা জোকে পরিণত হয়েছে। তাদের প্রতি কারও শ্রদ্ধাও নেই।”

    অমিত মালব্যর খোঁচা (Jammu And Kashmir)

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “কেবল হরিয়ানা নয়, জম্মু-কাশ্মীরেও কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কংগ্রেস তাদের (কংগ্রেসকে) সরকারে নেয়নি। রাহুল গান্ধীর দল ৬টি আসনে জিতেছে (সপ্তম প্রার্থী জয়ী হয়েছে নির্দল হিসেবে), যদিও তারা প্রার্থী দিয়েছিল ৩২ আসনে।” জনতা দল (ইউনাইটেড) মুখপাত্র রাজীব রাজন প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “কংগ্রেসের যোগ দেওয়া উচিত ছিল। প্রধান ইস্যুগুলিতে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে কংগ্রেসের মতপার্থক্য হতে পারে। কিন্তু তাদের সরকারে যোগ দেওয়া উচিত ছিল। সরকারে যোগ না দিয়ে তারা মানুষকে আঘাত করল।”

    কটাক্ষ প্রহ্লাদ জোশীরও

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট না হলে, ভূস্বর্গে কংগ্রেস একটা আসনও পেত না বলেন দাবি (Jammu And Kashmir) করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে কংগ্রেস কোথাও ছিল না। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট করায় তারা ৬টি আসন পেয়েছে। তা না হলে একাধিক রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরে শূন্য হয়ে যেত কংগ্রেস।” উপত্যকার বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপি। সেখানকার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভোট গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় উৎসব। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের রায়কে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। সর্বোপরি, এই নির্বাচনে জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।”

    আরও পড়ুন: যত নষ্টের গোড়া ট্রুডো! নিজ্জর খুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা ভারতের

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে ৪২টি আসনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। পদ্ম ফুটেছে ২৯টি কেন্দ্রে। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৬টি আসন। বুধবারই শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী পদে (BJP) শপথ নেন ওমর (Jammu And Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir Assembly Election: উৎসবের মেজাজেই নির্বাচন ভূস্বর্গে, শেষ দফায়ও রেকর্ড ভোট

    Jammu & Kashmir Assembly Election: উৎসবের মেজাজেই নির্বাচন ভূস্বর্গে, শেষ দফায়ও রেকর্ড ভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মেজাজেই শেষ হল ভূস্বর্গের নির্বাচন (Jammu & Kashmir Assembly Election)। ১ অক্টোবর ছিল শেষ দফার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই দুদফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ১০ বছর পরে বিধানসভার নির্বাচন হল জম্মু-কাশ্মীরে। এদিন নির্বাচন হয়েছে ৪০টি আসনে। আগের দুদফায় নির্বাচন হয়েছে ৫০টি আসনে।

    রেকর্ড ভোট (Jammu & Kashmir Assembly Election)

    এদিন যে ৪০টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২৪টি আসন রয়েছে জম্মুতে (Phase 3 Poll)। আসনগুলি রয়েছে জম্মুর চারটি জেলায়। বাকি ১৬টি আসন কাশ্মীরের দুই জেলায়। এই দফায় প্রার্থী ছিলেন ৪১৫ জন। ভোটার প্রায় ৩৯ লাখ। এদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে প্রায় ৫৬ শতাংশ। ভূস্বর্গে এবার নির্বাচন হয়েছে নির্বিঘ্নেই। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই দফায় ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর, ভোটদানের হার ৫৭.৩ শতাংশ। মঙ্গলবারও কার্যত উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন উপত্যকাবাসী।

    কোথায় কোথায় ভোট

    এদিন উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পিপলস কনফারেন্সের প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাজ্জাদ লোন, প্যান্থারস পার্টির সভাপতি দেব সিংহ এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধরী লাল সিংহ। এদিন ভোট হয়েছে, কাশ্মীরের কারনা, ত্রেগাম, কুপওয়াড়া, লোলাব, হান্দওয়ারা, লাঙ্গাতে, সোপোর, রাফিয়াবাদ, উরি, বারমুল্লা, গুলমার্গ, ওয়াগুরা-কৃরি, পাট্টান, সোনাওয়ারি (Jammu & Kashmir Assembly Election), বান্দিপোরা এবং গুরেজে। নির্বাচন হয়েছে জম্মুর উধমপুর পূর্ব ও পশ্চিম, চেনানি, রামনগর, বানি, বিল্লাওয়ার, বাসোলি, জাসরোতা, কাঠুয়া, হিরানগর, রামগড়, সাম্বা, বিজয়ুর, বিষ্ণা, সুচেতাগড়, আরএস পুরা, জম্মু পূর্ব ও দক্ষিণ, বাহু, নাগ্রোতা, জম্মু উত্তর ও পশ্চিম, মাড়, আখনু এবং ছাম্বে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    জম্মু-কাশ্মীরে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে ন্যাশনাল কংগ্রেস, কংগ্রেস, পিডিপি এবং বিজেপি। বেশ কিছু ছোট দলও রয়েছে লড়াইয়ের ময়দানে। ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ছে কংগ্রেস। ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, উপত্যকায় উন্নয়ন যজ্ঞ এবং জম্মুতে পোক্ত সংগঠন এই জোড়া কারণে ভোট বৈতরণী অনায়াসে পার হয়ে যাবে বিজেপি। তবে ভূস্বর্গের রাশ কার হাতে যাবে, তা জানা (Phase 3 Poll) যাবে ৮ অক্টোবর, ভোটের ফল বেরনোর দিন (Jammu & Kashmir Assembly Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kashmir Mange Azadi Slogan: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    Kashmir Mange Azadi Slogan: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারদের মিছিলে উঠল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan)। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই মিছিল হচ্ছিল। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। মন্ত্রকের নির্দেশে দিল্লিতে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবারই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে শাহের মন্ত্রকে।

    রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Kashmir Mange Azadi Slogan)

    সূত্রের খবর, মিছিলের উদ্যোক্তাদের পরিচয়, স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত না বিক্ষিপ্তভাবে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে – এ সব বিষয়েই জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই পাটুলি থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।

    ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত

    মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর শেষ দফার নির্বাচন ছিল জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir Mange Azadi Slogan)। এহেন আবহে খোদ কলকাতার বুকে কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি স্লোগানের বিষয়টিকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে রাজি নন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ঘটনায় যাদবপুরের কয়েকজন প্রাক্তনী গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। অতীতেও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা সময় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই স্লোগানের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫-২০ জনকে চিহ্নিত করে ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘ওকেও উৎসব মণ্ডল করে দেব’’, ধৃত বাংলাদেশি হিন্দুকে মারার চেষ্টা মুসলিমদের

    গত ১০ বছর পরে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। শেষ দফার নির্বাচন হয়েছে মঙ্গলবার। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। অবলুপ্তি হয় ৩৫এ ধারাও। তার পর এই নির্বাচনে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন কাশ্মীরিরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই গাত্রদাহের কারণ ‘দেশদ্রোহী’দের। সেই কারণেই তারা এহেন স্লোগান দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে।” তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ (Amit Shah) আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে (Kashmir Mange Azadi Slogan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pushkar Singh Dhami: “জিহাদকে লালন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, তার সঙ্গে জোট কংগ্রেসের? প্রশ্ন ধামির

    Pushkar Singh Dhami: “জিহাদকে লালন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, তার সঙ্গে জোট কংগ্রেসের? প্রশ্ন ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যাশনাল কনফারেন্স সন্ত্রাসবাদকে লালন করেছে। পালন করেছে জিহাদকে। এখন কংগ্রেসের উদ্দেশ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।” শনিবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটকে নিশানা করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)।

    ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট (Pushkar Singh Dhami)

    প্রায় দশ বছর পরে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir)। নির্বাচন হবে তিন দফায়। এই নির্বাচনেই ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। সেই জোটকেই কটাক্ষ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ন্যাশনাল কনফারেন্স গত তিন দশক ধরে কাশ্মীরকে পিছনে ঠেলে দিয়েছে। এই দল বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে। প্রশ্রয় দিয়েছে অশুভ শক্তিকে।”

    কী বললেন ধামি?

    এর পরে তিনি বলেন, “ন্যাশনাল কনফারেন্স সন্ত্রাসবাদকে লালন করেছে, পালন করেছে জিহাদকে। জনগণের কাছে কংগ্রেসের লক্ষ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই দলের (ন্যাশনাল কনফারেন্স) সঙ্গে জোট বাঁধায় কংগ্রেসের উদ্দেশ্যটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জোট বেঁধে এরা কাশ্মীরকে হিংসার আগুনে নিক্ষেপ করতে চায়।” তাঁর প্রশ্ন, “কংগ্রেস কি কাশ্মীরের যুবকদের বিনিময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলে বিচ্ছন্নতাবাদকে আবার সমর্থন করবে?” বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশেও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: মোদির মাস্টারস্ট্রোক, ইউনিফায়েড স্কিমের ঘোষণা, পেনশন হবে বেতনের ৫০ শতাংশ

    তিনি বলেন, “ওঁর দল কী ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে একটি আলাদা পতাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সমর্থন করে? তারা কি আবার কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদ-বিচ্ছিন্নতাবাদের যুগে ঠেলে দিতে চায়? কংগ্রেস কি ফের পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চালু করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হবে (Jammu Kashmir)? এলওসি বাণিজ্য যা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও তার মেশিনারিকে উৎসাহিত করবে?” তাঁর প্রশ্ন, “ন্যাশনাল কনফারেন্স নাম পরিবর্তনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কংগ্রেস কি তাকে সমর্থন করে? জম্মু-কাশ্মীরের বিখ্যাত জায়গা যেমন শঙ্করাচার্য পাহাড় ও হরি পাহাড় নামগুলোর কি ইসলামিক অর্থ আছে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ফের আগুন, আবারও পুড়ল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাড়ি, নাশকতা?

    Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ফের আগুন, আবারও পুড়ল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাড়ি, নাশকতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে ভূস্বর্গে আগুন জ্বালানোর সুযোগ করে দিয়েছিল কংগ্রেস। যার জেরে ভিটেছাড়া হতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit)। তাঁদের ফেলে আসা (Jammu And Kashmir) জমি-জিরেত দখল করে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে কড়া হাতে জঙ্গি দমন করে উপত্যকায় অশান্তির আগুনে জল ঢালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে মোটামুটি শান্তই জম্মু-কাশ্মীর।

    পুড়ল পাঁচ বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের অশান্তির আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেল পাঁচ-পাঁচটি বাড়ি। সবগুলোই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মাত্তান এলাকার ঘটনা। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দিতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িগুলিতে। তাঁরা যাতে ভূস্বর্গে আর না ফেরেন, তাই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হুমকি দেওয়া হল ভিটে ছেড়ে আসা পণ্ডিতদের।

    নিভল আগুন 

    আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন মাত্তানের এসএইচও। পুলিশ ও দমকলকে সঙ্গে নিয়েই আসেন তিনি। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে (Jammu And Kashmir)। এসএইচও-র আশ্বাস, তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। দমকলের আধিকারিক নাসির আহমেদ বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই আগুন আয়ত্ত্বে আসে।”

    বুধবার গভীর রাতের এই আগুনের দিন দুয়েক আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এই মাত্তান এলাকায়ই। সেদিন কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের তিনটি বাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের অগ্নিকাণ্ড। এবং লক্ষ্যবস্তু পণ্ডিতদের বাড়িই।

    আরও পড়ুন: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    কাশ্মীর সারদাপীঠ আস্থাপনের সভাপতি রবীন্দ্র পণ্ডিত জানান, এই বাড়িগুলির বাসিন্দারা সকলেই বাইরে থাকেন। তাঁরা কাশ্মীরি উদ্বাস্তু। বাড়িগুলিতে কেউ থাকেন না। তাই শর্ট সার্কিট কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্পষ্টতই এটা নাশকতার ঘটনা। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব জেলার ডেপুটি কমিশনারের। তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) ফেলে যাওয়া সম্পদ রক্ষায় সরকার পদক্ষেপ করুক।” পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি (Jammu And Kashmir)।

    অল টেম্পলস অ্যান্ড শ্রাইনস ইন সাউথ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট অশোক কুমার বলেন, “আমরা এতে ভীত নয়, পরোয়াও করি না। ১৯৯০ সাল থেকে এই হুমকি আমরা পাচ্ছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্মভূমি। আমরা আমাদের মন্দির ও বিল্ডিংগুলো সংস্কার করছি। ওদের কাজে আমরা পিছিয়ে আসব না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্পত্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) অনুপ্রবেশ করেছে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি জঙ্গি। সেই কারণেই আরও আঁটসাঁট করা হল ভূস্বর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর (Indian Army), প্রায় ৫০০ প্যারা স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ৫০ থেকে ৫৫ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি। এলাকায় অশান্তির ছক কষেছে তারা। এদেরই দমন করতে মোতায়েন করা হচ্ছে ওই কমান্ডোদের।

    গোয়েন্দা তৎপরতা তুঙ্গে (Jammu And Kashmir)

    অভিযান চালানোর আগে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। এই অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দাদের তৎপরতাও। এই জঙ্গিদের কারা সাহায্য করছে, কোথা থেকেই বা রসদ জোগাড় করছে, সেসবও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ভারতীয় সেনার তরফে টহলদারির জন্য অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনীতে রয়েছেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার দক্ষ সেনা। জঙ্গি দমনের ছকও কষে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    জঙ্গি মোকাবিলায় গুচ্ছ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও উন্নত কমিউনিকেশন ডিভাইস রয়েছে এই জঙ্গিদের হাতে। তাদের হাতে চলে এসেছে আফগানিস্তানে নেটো ও মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক সব অস্ত্র (Jammu And Kashmir)। জঙ্গিদের সেই অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা। এদের মোকাবিলায় তাই মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষ সেনা। এই এলাকায় সন্ত্রাস-বিরোধী পরিকাঠামোও সম্প্রতি গড়ে তুলেছে ভারতীয় সেনা। যাতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের দুটি ব্যাটেলিয়ন – রোমিও এবং ডেল্টা ফোর্স। এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রেগুলার ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনও।

    আরও পড়ুন: ‘‘জনজাতিদের জমি ও অধিকার রক্ষা করবে বিজেপি’’, ঝাড়খণ্ডে বললেন অমিত শাহ

    জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে উন্নয়ন যজ্ঞ। জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিয়ে সেই উন্নয়ন যজ্ঞই ব্যাহত করতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই ভারতে জঙ্গি ঢুকিয়ে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় পাক সরকার। এতে লাভ হয় দু’দিক থেকে। এক, ‘হা-ভাতে’র দেশ পাকিস্তানে অনায়াসেই মেলে জঙ্গি হওয়ার জন্য তাজা রক্ত। আর দুই, ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ চালিয়ে গেলে দেশে বয়ে যায় দেশপ্রেমের বন্যা। তখন আর অনাহার-অপুষ্টি নিয়ে (Indian Army) বিশেষ মাথা ঘামায় না কেউ। তাই ভূস্বর্গে (Jammu And Kashmir) নিরন্তর জ্বলতে থাকে অশান্তির গনগনে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ (Infiltration) রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) কুপওয়ারা জেলার কেরন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ভিনদেশিরা। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বলছেন ব্রিগেডিয়ার? (Jammu & Kashmir)

    সেনার এক আধিকারিক জানান, ১৩-১৪ জুলাই রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সচরাচর যেসব রাস্তায় এ দেশে ঢোকে, সেই সব রুটে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই গুলি ছুড়তে শুরু করে অনুপ্রবেশকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ২৬৮তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, কেরন সেক্টরের ব্রিগেডিয়ার এনআর কুলকার্নি বলেন, “গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম এলাকায় অশান্তি পাকাতে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল জঙ্গিকা এলাকায় অশান্তি পাকানোর পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। ১২ জুলাই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর দেয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও এ বিষয়ে খবর পায়। তার পরেই চালানো হয় অভিযান।”

    যৌথ অভিযানেই মিলল সাফল্য

    তিনি বলেন, “বিদেশি জঙ্গিরা কেরন সেক্টর দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এই অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা। অনেকগুলি নালাও রয়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে (Jammu & Kashmir) অনুপ্রবেশ করার তালে ছিল জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সেনা, বিএসএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানেই মিলেছে সাফল্য। ১৩-১৪ জুলাই চালানো হয় অভিযান। কয়েকজন খতম হয়। বাকিরা সম্ভবত ফিরে গিয়েছে।” ব্রিগেডিয়ার বলেন, “ওই এলাকায় আমরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। ঘন জঙ্গল এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা।“

    আরও পড়ুন: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল বলেও জানান কুলকার্নি। তিনি বলেন, “ওদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সুসজ্জিত ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে।” তিনি বলেন, “বেশ খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা (Infiltration) জানতে চলেছিল অভিযান। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে (Jammu & Kashmir)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohammad Shafi: মৃৎশিল্প বাঁচাতে প্রাণপাত করছেন কাশ্মীরের সফি

    Mohammad Shafi: মৃৎশিল্প বাঁচাতে প্রাণপাত করছেন কাশ্মীরের সফি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁসা-পিতল-অ্যালুমিনিয়াম এবং ফাইবারের দাপটে সেই কবেই শিকেয় উঠেছে মাটির পাত্র। অথচ জীবন সায়াহ্নে পৌঁছেও জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) এক কুমোর যেন পণ করেছেন মাটির পাত্রকে ভারতীয় জীবনের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে তুলতে। বছর সাতাত্তরের এই বৃদ্ধের নাম মহম্মদ সফি (Mohammad Shafi)। জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলার রামনগর তহশিলের মার্তা পঞ্চায়েতের লাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। মৃৎশিল্পকে বাঁচাতেই যেন জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। শফি ও তাঁর পরিবারের বাসিন্দাদের হাতে তৈরি মৃৎশিল্পের কদর আজ ভূস্বর্গজুড়ে।

    মৃৎশিল্পের পেশায় সফি (Mohammad Shafi)

    ষাট বছর ধরে মৃৎশিল্পের পেশায় রয়েছেন সফি। সেই কোন ছোটবেলায় কাজ শিখেছেন বাবার কাছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাটির কাজে নিজেকে ‘ওস্তাদ’ করে তুলেছেন তিনি। মাটির পাত্র কীভাবে যুগে যুগে মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে, সস্তায় সরবরাহ করেছে বাসনকোসন, তা-ও জানান শফি। যে সময় ফ্রিজ ছিল না, তখন ঠান্ডা জলের অভাব পূরণ করেছে মাটির কুঁজোই, দাবি তাঁর। কাশ্মীরের এই ভূমিপুত্র (Mohammad Shafi) বলেন, “আমরা গত কত কয়েক শতাব্দী ধরে এই পাত্রগুলি তৈরি করে আসছি।”

    কী বলছেন সফি?

    মাটির পাত্র যে পরিবেশবান্ধব, সে কথা মনে করিয়ে দেন কাশ্মীরের এই বৃদ্ধ। সফি বলেন, “প্রাচীনকালে লোকজন জল ঠান্ডা করার জন্য ‘ঘারাস’ ব্যবহার করত। এখন সেই জায়গা দখল করেছে ফ্রিজ। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই হাঁড়ি-কলসি তৈরি করে আসছি। এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য। মানুষ যাতে বিশুদ্ধ, স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধে পেতে পারেন, তাই এসব তৈরি করে যাব আমি।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাটির পাত্রের চাহিদা যে আধুনিক যুগেও বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন সফি। বলেন, “মাটির পাত্র তৈরি করে প্রথম দিকে আমি প্রতিদিন ১০০-১৫০ টাকা আয় করতাম। আর এখন মৃৎশিল্পের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এখন প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করি।”

    ছোটবেলায় বাবার কাছে কাজ শিখেছেন সফি। তারপর আস্তে আস্তে অর্জন করেছেন দক্ষতা। সেই দক্ষতা এবং হাতযশের জেরেই এক তাল মাটি সফির (Mohammad Shafi) হাতে পড়ে কখনও রূপ পায় চায়ের ভাঁড়ের, কখনও হাঁড়ি-কলসি-প্রদীপ কিংবা অন্য কিছুর (Jammu & Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Muntasir Mohd Dar: জেইই টপার ভূস্বর্গের মুনতাসির, সাফল্যের কাহিনি ফিরছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীতে

    Muntasir Mohd Dar: জেইই টপার ভূস্বর্গের মুনতাসির, সাফল্যের কাহিনি ফিরছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ভূস্বর্গে নিত্য খেলা হত রক্তের হোরি। ভূস্বর্গ কাশ্মীর হয়ে উঠেছিল নরকের সমতুল। মোদি জমানায় ছন্দে ফিরেছে ভূস্বর্গ। বন্ধ হয়েছে জঙ্গি-তাণ্ডব। পড়াশোনার পরিবেশ ফিরেছে উপত্যকায়। তার সুফলও ফলেছে। এবার জেইই পরীক্ষায় টপার হয়েছেন শ্রীনগরের ছেলে মুনতাসির মহম্মদ দার (Muntasir Mohd Dar)।

    মুনতাসিরের পরামর্শ (Muntasir Mohd Dar)

    অন্যতম কঠিন এই পরীক্ষায় বসার জন্য একটি কোচিং সেন্টারের গাইড নিয়েছিলেন তিনি। তবে সব চেয়ে বেশি পড়েছেন নিজেই। ভবিষ্যৎ পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “কেবল কোচিং সেন্টারের ওপর ভরসা না করে নিজে পড়াশোনার ওপর জোর দাও। বেস তৈরির জন্য কোচিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তবে নিজেকে পড়তে হবে অনেক বেশি।” মুনতাসির (Muntasir Mohd Dar) বলেন, “পড়াশোনার প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করা এবং কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প আর নেই।”

    সাফল্যের রহস্য

    শ্রীনগরের নিগের এলাকার এই তরুণ সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “প্রথম থেকে আমি কম্পিউটার সায়েন্সের বিষয়ে আগ্রহী ছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চেয়েছিলাম। তাই জেইই পরীক্ষা দিয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “জানুয়ারিতে সেশন ওয়ানের পরীক্ষায় আমি আশানুরূপ নম্বর পাইনি। কিন্তু এপ্রিলে সেশন টুয়ের আগে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। তার সুফলও পেয়েছি। শেষমেশ আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি।” তিনি বলেন, “আগাগোড়া আমার পরিবার আমার পাশে ছিল। আমার সাফল্যে তাঁদের অবদানও কম নয়।” ভূস্বর্গের এই নিষ্পাপ তরুণ বলেন, “জেইই-আইআইটি খুব কঠিন পরীক্ষা নয়। তবে ঠিকঠাকভাবে নিজেকে পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হতে হবে।”

    আর পড়ুন: “জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছিল সংবিধানের ওপর আক্রমণ”, বললেন রাষ্ট্রপতি

    বর্তমানে মুনতাসিরের সাফল্যের গল্প ফিরছে উপত্যকাবাসীর ঘরে ঘরে। এক সময় সন্ত্রাসদীর্ণ উপত্যকায় উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও ছিল না। কমবয়সী তরুণরা বইখাতা ফেলে জঙ্গিদের খপ্পরে পড়ে হাতে তুলে নিত আগ্নেয়াস্ত্র। এখন সেখানেই সাফল্যের কলি ফুটিয়েছেন মুনতাসির। কেবল কাশ্মীর নয়, কন্যাকুমারীর ঘরে ঘরেও শোনা যাচ্ছে এক পাহাড়ি যুবকের সাফল্যের কাহিনি। যে কাহানি শুনিয়ে একদিকে যেমন ছেলেমেয়েকে পড়াশোনায় উৎসাহিত করছেন লাদাখের কোনও স্বপ্নদর্শী মা, তেমনি সেই একই গল্প শুনিয়ে ছেলে কিংবা মেয়েকে ঘুম পাড়াচ্ছেন কেরলের কোনও মা। তিনিও যে স্বপ্ন দেখেন, একদিন সাফল্যের কলি ফোটাবে তাঁরাও শিশুটি (Muntasir Mohd Dar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share