Tag: JK

JK

  • Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে আমরা তা মেনে নেব না। জম্মুর (Jammu) একটি অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    দু দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছেন রাজনাথ। এদিন যোগ দিয়েছিলেন হরি সিং নিবাস প্যালেসে মহারাজা গুলাব সিংয়ের রাজপদে অভিষিক্ত হওয়ার দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশাপাশি নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকেও।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    নয়ের দশক থেকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। বেছে বেছে ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়েছে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে মাঠে নামেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভা। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজ। দ্রুত শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    শান্তির ভূস্বর্গে সম্প্রতি শুরু হয়েছে টার্গেট কিংলিং। বেছে বেছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন করা হচ্ছে নৃশংসভাবে। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজনাথ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে জোর করে তাড়ানো হলে তা মেনে নেব না। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর অভিবাসনের কষ্ট পেয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই আর তা হতে দেব না। আর কোনও সম্প্রদায়কে জম্মু-কাশ্মীরের কোনও অংশ থেকে তাড়ানো হলে, তা মেনে নেব না।

    তিনি বলেন, সম্প্রতি উপত্যকায় ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভাদরবা এলাকায় যা ঘটে গিয়েছে, তা জম্মু-কাশ্মীরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সত্তর বছর ধরে যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়েছে কাশ্মীর। রোগমুক্তি ঘটেছে। এখন যে জম্মু-কাশ্মীর দেখছেন, তা নতুন। আত্মনির্ভর। নবকলেবরের এই জম্মু-কাশ্মীর কেবল ভারত নয়, গোটা এশিয়া মহাদেশেই একটি ঈর্ষনীয় মডেল।

    এদিন নাম না করে পাকিস্তানকেও নিশানা করেছেন রাজনাথ। বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশী দেশ জম্মু-কাশ্মীরে ঘৃণার বীজ বপন করে চলেছে। ১৯৪৭-৪৮ সালের কাবাইলি হামলা থেকে সম্প্রতি শুরু হওয়া টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্র করে চলেছে তারা।

     

  • Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট (assembly election) শীঘ্রই! রাজস্থানের জয়পুরে বিজেপির কর্মকর্তাদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ভূস্বর্গে শান্তি ফিরছে বলেও জানান তিনি। নাড্ডা বলেন, নাশকতা থেকে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির তখতে ফিরে আসে বিজেপি। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে (Ladakh) পরিণত করা হয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। শুরু হয় উন্নয়নযজ্ঞ। যার জেরে ক্রমেই শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে।

    জম্মু-কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদির সরকার যে বিধানসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর, বিভিন্ন সময় তা জানিয়ে দিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ। সেই মতো উপত্যকায় শান্তি ফিরতেই শুরু হয় ডিলিমিটেশনের (Delimitation) কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশন কাশ্মীরে ৪৭টি ও জম্মুতে ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের সুপারিশ করে। সুপারিশ করা হয় পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রেরও। পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বিধানসভায় দুই কাশ্মীরি অভিবাসীকেও মনোনীত করার সুপারিশও করে ওই কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়তেই বোঝা গিয়েছিল, খুব বেশি দূরে নেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    এদিন নাড্ডাও জানান, ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলেই ভোট হবে ভূস্বর্গে। জম্মু-কাশ্মীরে যে শান্তি ফিরছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, জেলা উন্নয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরে এসেছে। ইদানিং উপত্যকায় আর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটছে না। নাড্ডা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে পর্যটন এবং ব্যবসার উন্নতি হচ্ছে। কাশ্মীরে বিক্ষিপ্ত যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হতাশার ফল। তাঁর মতে, এরা চায় না উপত্যকায় শান্তি ফিরে আসুক। নাড্ডার আশ্বাস, জঙ্গিদের এই বিক্ষিপ্ত হত্যাকাণ্ডও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জঙ্গিবাদের প্রতি উপত্যকাবাসীর সমর্থন শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষ এখন আর জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন না। সহিংসতায় তাঁরা বিরক্ত। তাঁরা চান, শান্তি ফিরে আসুক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপত্যকায় উন্নয়নযজ্ঞ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, জঙ্গিবাদ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির ভিত যে পোক্ত হচ্ছে, এদিন তাঁর ভাষণে তা জানিয়ে দেন বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবিন্দর রায়না। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভিত্তি হারিয়েছে কংগ্রেস। ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপির সমর্থনের ভিত্তিও হয়েছে সঙ্কুচিত।

     

  • Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    Pulwama Encounter: পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলায় জড়িত ২ আল-বদর জঙ্গি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় খতম ২ আল-বদর জঙ্গি। বুধবার বিকেল থেকে মিত্রিগ্রাম এলাকায় জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়৷ তাতেই ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। এই কথা টুইট করে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে নির্দিষ্ট সূত্র মারফৎ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার মিতরিগাম এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। সময় নষ্ট না করে, দ্রুত তল্লাশি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভীর রাতে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হানা দেয় পুলিশ, আধাসেনা ও সেনাকে নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ যৌথবাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পেতেই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। প্রায় রাতভর চলা এনকাউন্টার শেষে দুই জঙ্গি নিহত হয়। আহত হয়েছেন এক জওয়ানও। 

    [tw]


    [/tw]

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন আল বদরের সদস্য। তাদের নাম–আইজাজ হাফিজ ও শাহিদ আয়ুব। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং হামলায় জড়িত ছিল এই ২ জঙ্গি। ঘটনাস্থলে থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। 

     

     

     

  • Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপনায় রাশ টানতে ফের পদক্ষেপ করল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) সরকার। ভূস্বর্গে জামাত-ই-ইসলামির (Jamat-e-Islami) সঙ্গে সম্পর্কিত ফালাহ-ই-আম (Falah-e-Aam) ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত সব স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মুখ্য সচিব বি কে সিং বলেন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে সমস্ত শিক্ষাক্রম অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

    আরও পড়ুন : জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মঙ্গলবার সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, এই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পাঠরত সব শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য কাছাকাছি সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২টি স্কুল ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ছাড়াও আরও ডজনখানেক প্রাথমিক ও মধ্যমস্তরের স্কুল রয়েছে যা এই আদেশের আওতায় আসবে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলগুলিতে পড়ে। তাদের কাছাকাছি কোনও সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে বলা হয়েছে।

    চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অনেকের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে অভিযান চালিয়ে দু ডজনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অন্যত্র সরানোর দাবি খারিজ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

    প্রশাসনের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই স্কুলগুলিতে নতুন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবং এই স্কুলগুলিকে নতুন করে আর রেজিস্ট্রেশন করা হবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে জামাত-ই-ইসলামি ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩০০ স্কুল স্থাপন করে এই ট্রাস্ট। এই স্কুলগুলি কাশ্মীরে ভীষণ জনপ্রিয়। ট্রাস্টের সংবিধান অনুযায়ী, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ এই ট্রাস্টের অন্যতম লক্ষ্য।

    ইদানিং ফের রক্তাক্ত হচ্ছে উপত্যকা। বাড়ছে জঙ্গিপনা। অভিযোগ, এই জঙ্গিপনায় মদত দিচ্ছে এই জাতীয় ট্রাস্ট। তাই এই ট্রাস্টগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

     

LinkedIn
Share