Tag: jnusu

jnusu

  • JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস তৈরি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (JNUSU Elections)। ছাত্র সংসদের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি। প্রসঙ্গত, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬টি স্কুল এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মিনা। এবিভিপি-র এই বিপুল জয়ে আর কখনও এটা বলা যাবে না যে জেএনইউ লাল দুর্গ। এবিভিপির (ABVP) এই বিপুল উত্থানে একেবারেই লাল দুর্গ ভেঙে পড়ল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, এটি একটি মাইলফলকও বটে, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এই বিপুল জয়ে পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকেই গ্রহণ করল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেন্ট্রাল প্যানেলের একটিমাত্র সহ-সম্পাদক পদে জয় এলেও বাকি সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদেও এবিভিপি জোর টক্কর দিয়েছে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলেছে বামপন্থী ছাত্র জোটের উপরে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সমস্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এর সত্ত্বেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবিভিপি লড়াই দিয়ে যায়।

    রাজস্থানের বাসিন্দা  এবিভিপির বৈভব মিনা জিতলেন সহ-সম্পাদক পদে

    সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন এবিভিপির বৈভব মিনা। জানা যাচ্ছে,  তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। সে রাজ্যের কারাওলি থেকে তিনি পড়তে আসেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৈভব মিনা একজন তফশিলি জাতির ছাত্র। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। জয়পুরে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে হিন্দি সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নেন বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি হিন্দি সাহিত্যের ওপরে গবেষণা করছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে। একইসঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর দুবছরের এনএসএস প্রোগ্রামও। বর্তমানে তিনি জেএনইউ-র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) কাবেরি হস্টেলের সভাপতি রয়েছেন।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, এবিভিপি (ABVP) কোথা থেকে কত আসন জিতল

    স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে দুটি আসন। এখানে এবিভিপি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন এখানে রয়েছে একটি আসন, এবিভিপি জয় পেয়েছে ওই আসনে।

    স্কুল অফ কম্পিউটেশনাল এবং ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্স, এখানে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ কম্পিউটার অ্যান্ড সিস্টেম সায়েন্স, এখানে রয়েছে তিনটি আসন যার মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এখানে চারটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবিভিপি জয় পেয়েছে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স, এখানে রয়েছে একটি আসন এবিভিপি একটিতেই জয় পেয়েছে।

    স্কুল অফ সংস্কৃত অ্যান্ড ইন্ডিক্ট স্টাডিজ, এখানে রয়েছে তিনটি আসন, তিনটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অ্যামালগামেটেড সেন্টারে দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্সে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অটল বিহারী বাজপেয়ি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়েন্সিপ, এখানে একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    সার্টিফিকেট প্রফেসিয়েন্সির একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র সোশ্যাল সায়েন্সকে মনে করা হত যে বামেদের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২৫ বছর পরে এবিভিপি এই জায়গা থেকে দুটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব (ABVP)

    এ নিয়ে এবিভিপির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU Elections) শাখার সভাপতি রাজেশেখরকান্ত দুবে বলেন, ‘‘আমাদের এই জয় শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করে না যে আমরা কতটা সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনে, এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণ করে বিদ্যার্থী পরিষদের ওপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক কতটা বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে।’’ এবিভিপি তরফ থেকে নবনির্বাচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক বৈভব মিনা বলেন, ‘‘আমি এটিকে আমার ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছি না। এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের জয়।’’

  • JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (JNUSU Elections) নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল হতে চলেছে ভোট। এই আবহে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) শুরু করেছে প্রচার। ক্যাম্পাসে এবিভিপির প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব। সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই এবিভিপির প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ-অবাধ-স্বচ্ছ হয় সে দাবিও রেখেছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদ এই নির্বাচনে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে দুটি থিমের ওপর একটি হল, ‘রুম-টু-রুম’ এবং অপরটি হচ্ছে ‘ক্লাস-টু-ক্লাস’। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ক্লাসরুম, ক্যান্টিন থেকে কমনরুম- সমস্ত জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এবিভিপি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা উঠে আসছে এবিভিপির প্রচারে (JNUSU Elections)

    বিগত বছরগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উন্নত হয়েছে, সে নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে এবিভিপি। প্রচারে উঠে আসছে র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসের কথা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) নানা বিভাগের সংস্কারের কথাও বলছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, ভর্তির পদ্ধতিও আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। একইসঙ্গে, সময় মতো পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়া এবং হস্টেলগুলিতে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন ফেলোশিপ, স্কলারশিপ চালু হওয়ার কথাও নিজেদের প্রচারে তুলে এনেছে এবিভিপি।

    কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্ব?

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) এবিভিপির তরফ থেকে প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন আনন্দকে। অর্জুন আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা প্রচার চালাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে (JNUSU Elections) সামনে রেখে। প্রচারের কাজে আমরা টিম তৈরি করেছি। এই টিম প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। তাঁদের মতামত শুনছে এবং কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন আরও ভালোভাবে করা যায় সে নিয়েও তাঁরা কথা বলছেন।’’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক হলেন এবিভিপির বিকাশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’

  • JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    JNU: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট, উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও নির্বাচনে জেএনইউ-তে (JNU) চ্যালেঞ্জের মুখে বাম জোট। রবিবার ভোট গণনা চলাকালীন একাধিক সংবাদমাধ্যম পূর্বাভাস দিতে শুরু করে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার গেরুয়া হতে চলেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স খুলতেই বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন এবিভিপির প্রার্থীরা। রবিবার ২৫ মার্চ গণনা শুরু হতেই লড়াইতে একেবারে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দেখা যায়। কিন্তু, রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সেন্ট্রাল প্যানেলের চার আসনেই জিতেছেন বাম জোটের প্রার্থীরা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন জেএনইউতে উল্লেখযোগ্যভাবে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে এবিভিপির।

    জোর টক্কর

    এত ভোট আগে কখনও পায়নি আরএসএস অনুপ্রাণিত এই ছাত্র সংগঠন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবিভিপি-কে রুখতে সমস্ত বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে জোট করে। এর ফলে বাম ভোট কোনওভাবে ভাগ হয়নি। এতকিছুর পরেও দেখা যায়, এবিভিপির প্রার্থীরা জোর টক্কর দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে সালে জেএনইউ (JNU) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাপট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ছিল ব্যাপক। এবার প্রথম নির্বাচন যখন তাদের দাপট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

    একনজরে ভোটের ফলাফল

    প্রেসিডেন্ট পদ

    ধনঞ্জয় (বাম)- ৩,১০০
    উমেশ চন্দ্র আজমীরা (এবিভিপি)- ২,১১৮

    ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ

    অভিজিৎ ঘোষ (বাম)- ২৭৬২
    দীপিকা শর্মা (এবিভিপি)- ১৮৪৮

    সাধারণ সম্পাদক পদ

    অর্জুন আনন্দ (এবিভিপি)- ২৪১২
    প্রিয়ংশী আর্য (বাপসা)- ৩৪৪০

    যুগ্ম সম্পাদক পদ

    গোবিন্দ ডাঙ্গি (এবিভিপি)- ২৫৯১
    মহঃ সাজিদ (বাম)- ৩০৩৫

    রেকর্ড ভোট চলতি বছরে

    জেএনইউ-র (JNU) ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে গত ১২ বছরে রেকর্ড ভোট পড়েছে চলতি বছরের ভোটগ্রহণে। ৭৩ শতাংশ ভোট পড়ে। ৭৭৫১ সংখ্যক ভোটার সংখ্যা নিয়ে চার পদের জন্য ভোট হয় জেএনইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নে। শেষবার ২০১৯ সালে জেএনইউএর ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৭.৯ শতাংশ। এমনটাই বলছে, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোট বেশি পড়লে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতারই প্রতিফলন হয় সাধারণত। এবারেও তাই হল। উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হল এবিভিপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share