Tag: Jodhpur

Jodhpur

  • Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh)-এর অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা। রবিবার সমন্বয় বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মলনে সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর জানান পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আরএসএস-এর সভায়। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিংসা হ্রাস ও উন্নয়নের ধারাকে ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মণিপুরে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনাগুলিতে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা, সমাজ ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এই সভায়।

    দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা

    শুক্রবার রাজস্থানের যোধপুরে আরএসএস-এর তিন দিনের সমন্বয় বৈঠক শুরু হয়, চলে রবিবার পর্যন্ত। এখানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়৷ দেশজুড়ে সঙ্ঘ পরিবারের যে ৩২টি শাখা রয়েছে, সেখানকার শীর্ষ পদাধিকারীরাও এই বৈঠকে এসেছিলেন। বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত৷ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা–সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রথম সারির বিজেপি নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই মোদি সরকারের কার্যকাল এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে জনজাতি অঞ্চল উন্নয়নের বিষয়ও উঠে আসে আরএসএসের সভায়।

    দশমীর দিন শতবর্ষে পা আরএসএস-এর

    এই বছর দশমীর দিন শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস৷ কী কী ভাবে তা দেশজুড়ে পালন করা হবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয় এই বৈঠকে। দশমীর সকালে নাগপুরে সংঘের সদর দফতরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের৷ শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হবে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন আরও মজবুত করার লক্ষ্যে অল আউট ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিল আরএসএস৷ রাজস্থানের যোধপুরে চলতে থাকা আরএসএস-র সমন্বয় বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংঘ পরিবার সূত্রে খবর৷ রাজ্যে আরএসএস-এর সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে৷ দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আরও দক্ষ ও মজবুত সংগঠন প্রয়োজন বলেই মনে করছে সংঘ। পাশাপাশি রাজ্যের যে সব জেলায় সংঘের শাখা সব থেকে কম আছে, সেখানে অবিলম্বে শাখার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস৷

    বাংলায় আরএসএস-এর প্রচার

    গত ১০০ বছরে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে সঙ্ঘ পরিবার কী ভাবে দেশ গড়ার কাজ করে গিয়েছে লাগাতার, তার বিবরণ তুলে ধরে সারা দেশে চালানো হবে বিশেষ প্রচার৷ দিল্লিতে দিন কয়েক আগেই সঙ্ঘের তরফে আয়োজিত ব্যাখ্যানমালার মাধ্যমে আরএসএস-র মত ও পথ তুলে ধরেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত৷ আগামী দিনে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘের মতাদর্শ তুলে ধরার লক্ষ্যে নির্ধারিত প্রচারাভিযানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গ৷ সূত্রের দাবি, সরসংঘচালক ভাগবত নিজেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে সংঘের মতাদর্শ নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন৷ তার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামবেন আরএসএস-এর প্রচারকরা৷ সূত্রের দাবি, মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের শুরুতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হবে প্রচারাভিযান৷ এর সঙ্গেই চালানো হবে নাগরিক সম্মেলন এবং গৃহ সম্পর্ক অভিযান৷ এই দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংঘ পরিবারের মতাদর্শ তুলে ধরবেন আরএসএস প্রচারকরা৷ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে উত্তর এবং দক্ষিণ— দুই বঙ্গে আলাদা ভাবে আয়োজিত হবে হিন্দু সম্মেলন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন সংঘের সর্বভারতীয় পদাধিকারীরা৷

    শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব

    ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিন দিনের এই বৈঠকে বিশেষভাবে শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, বিদ্যা ভারতী, শিক্ষা সংস্কৃতি উন্নয়ন ন্যাস, ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদসহ একাধিক সংগঠন জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সুনীল আম্বেকর জানান, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে উৎসাহিত করতে ভারতীয় ভাষাগুলোর প্রসারে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক পুনর্লিখন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার ভারতীয়করণের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চলছে। ইংরেজির বিরোধিতা নয়, তবে ভারতীয় ভাষাগুলিকে শিক্ষা ও প্রশাসনে সম্মানজনক স্থান দিতে চায় আরএসএস। প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, এবং সমস্ত ভারতীয় ভাষার প্রতি সমান সম্মান থাকা উচিত, বলে মনে কর সংঘ।

    দেশের সামাজিক পরিস্থিতি

    সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। পাঞ্জাবে যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তি ও ধর্মান্তর প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেবা ভারতী ও বিদ্যার্থী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত সচেতনতা ও পুনর্বাসন অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়। নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, ক্রীড়া ভারতী নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগবিদ্যা ও অধ্যয়নের প্রসার ঘটাচ্ছে। তিনি জানান, অপারেশন সিন্দুর কর্মসূচির অধীনে ৮৮৭টি নারী-কেন্দ্রিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা সংঘের কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। ধর্মান্তর, অনুপ্রবেশ ও কাশী-মথুরা ইস্যুতেও আলোচনা হয়। জানানো হয়, এ বিষয়গুলির সমাধান সংঘাত বা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে খোঁজা হবে। উপজাতি অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। বলা হয়, নকশাল ও মাওবাদী হিংসা অনেকটাই কমেছে, কিন্তু সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা এখনো চলমান। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের হোস্টেল নির্মাণ ও উপজাতি অধিকার নিয়ে কাজ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় ভাবনাকে উপজাতি সমাজে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়। সংঘের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ, পারিবারিক সচেতনতা, ও নাগরিক কর্তব্য নিয়ে বিশেষ কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

     

     

     

     

     

  • RSS: ৫ সেপ্টেম্বর যোধপুরে বসছে আরএসএস-এর বার্ষিক অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    RSS: ৫ সেপ্টেম্বর যোধপুরে বসছে আরএসএস-এর বার্ষিক অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছরের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক (RSS) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজস্থানের যোধপুরে (Jodhpur)। এই বৈঠক চলবে ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, মোট তিন দিন। প্রতি বছরেই সংঘের সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর এই বৈঠক কেরলের পালাক্কাড় জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই জাতীয় সমন্বয় বৈঠকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ৩২টি শাখা সংগঠনের নির্বাচিত প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন বলে সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সমস্ত সংগঠন সমাজিক ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে এবং তারা আরএসএস-এর আদর্শ ও ভাবধারার অনুসারী।

    উপস্থিত থাকবেন সংঘের সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবত

    বৈঠকে প্রতিটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বর্তমান কার্যক্রম ও পরিস্থিতি তুলে ধরবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশদ আলোচনা করবেন। সেইসঙ্গে, দেশের ঐক্য, নিরাপত্তা, এবং সামাজিক নীতিসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে। সারাদেশে বর্তমানে চলমান নানা বিষয়ে আরএসএস কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়েও এই বৈঠকে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ৩২টি শাখা সংগঠনের জাতীয় সভাপতি, সংগঠন সম্পাদক ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।

    শতবর্ষে সংঘ (RSS)

    এই সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় জনতা পার্টি, ভারতীয় কিষাণ সংঘ, বিদ্যাভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শততম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। আগামী ২ অক্টোবর পড়েছে বিজয়া দশমী। এই উপলক্ষে সমন্বয় বৈঠকে বিশেষ আলোচনা হতে পারে বলে আরএসএস নেতৃত্ব জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে নাগপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, এ বছরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

  • Jagdeep Dhankhar: নিশানায় কংগ্রেস, ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: নিশানায় কংগ্রেস, ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দেশ বিরোধী শক্তি’ নিয়ে দেশবাসীকে সাবধান করে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। উপরাষ্ট্রপতি অবশ্য কংগ্রেসের (Congress) নাম নেননি। তবে তাঁর নিশানায় যে কংগ্রেসই, তা স্পষ্ট। ‘ভারতেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি হবে’। এমন ভয় দেখাচ্ছেন কিছু মানুষ। সেই বিষয়েই দেশবিরোধী শক্তি থেকে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন ধনখড়।

    কী বললেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “সাবধান! অনেকে এমন একটা ন্যারেটিভ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন যে, আমাদের প্রতিবেশী দেশে যেটা হয়েছে, তেমনটা ভারতেও হতে চলেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।” শনিবার যোধপুরে রাজস্থান হাইকোর্টের প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই সতর্ক করেন দেশবাসীকে। ধনখড় বলেন, “এই দেশের একজন নাগরিক, যিনি কিনা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমানে সাংসদ সদস্যও, এবং অন্য একজন, যিনি ফরেন সার্ভিসে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন, তাঁরা কীভাবে বলতে পারেন যে প্রতিবেশী দেশে যা ঘটেছে, তা ভারতেও ঘটবে? এরকম দায়িত্বশীল লোকজন কীভাবে এসব কথা বলতে পারেন?

    খুরশিদের বেফাঁস মন্তব্য

    সংরক্ষণকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। নির্বিচারে চলছে হিন্দু নিধন। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ হিন্দু। এঁরা আওয়ামি লিগের সমর্থক। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। আন্দোলনকারীরা সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’ লুট করে। সে প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, “ভারতে আপাতত স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলেও, এখানেও বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” প্রায় একই ধরনের কথা বলেছিলেন প্রাক্তন কূটনীতিক মণিশঙ্কর আইয়ারও।

    আরও পড়ুন: “মায়ের প্রাণ বাঁচানোয় মোদির কাছে কৃতজ্ঞ”, বললেন হাসিনা পুত্র

    উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “এই সব দেশবিরোধী শক্তি সাংবিধানিক প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে বৈধতা লাভ করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এই সব শক্তির দ্বারা নষ্ট হচ্ছে। তারা আমাদের দেশকে পথভ্রষ্ট করছে, বিপথে চালিত করছে গণতন্ত্রকে।” ধনখড় বলেন, “এই সব শক্তি ফেব্রিকেটেড ন্যারেটিভ তৈরি করে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চাইছে। তবে জানেন কি, আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থ (Congress) সর্বাগ্রে। এর সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা যায় না (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhairon Singh Rathore: মারা গেলেন ১৯৭১-এ পাক যুদ্ধের সৈনিক ভৈরোঁ সিং রাঠোর! শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Bhairon Singh Rathore: মারা গেলেন ১৯৭১-এ পাক যুদ্ধের সৈনিক ভৈরোঁ সিং রাঠোর! শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যুদ্ধের সৈনিক ভৈরোঁ সিং রাঠোর। জে পি দত্তর বিখ্যাত ছবি বর্ডারে সুনীল শেট্টির চরিত্রটি তৈরি হয়েছিল তাঁকে নিয়েই। রাজস্থানের প্রাক্তন সেনা ভৈরোঁ সিং রাঠোরের (Bhairon Singh Rathore) অনুকরণে তৈরি হয়েছিল এই চরিত্র। ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর এই কিংবদন্তি সেনা ভৈরোঁ সিং রাঠোর ছিলেন দেশের গর্ব। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 India-Pakistan war) অনন্য বীরত্বের নজির রেখেছিলেন তিনি। লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে তাঁরই নেতৃত্বে মাত্র ১২০ জন সেনা মিলে রুখে দিয়েছিলেন পাক সেনার ট্যাঙ্ক বাহিনীকে! দু’হাজার সদস্যের সেই বাহিনীর তুলনায় ভারতীয় সেনার আয়তন ছিল নিতান্তই কম। কিন্তু কম ছিল না সাহস এবং শক্তি। তারই ফলস্বরূপ এসেছিল জয়। ১৯৭২ সালে সেনা পদকও পেয়েছিলেন ভৈরোঁ সিং রাঠোর। জীবনের তোয়াক্কা না করে নিজের মার্তৃভূমিকে বাঁচানোর জন্য লড়েছিলেন BSF-এর নায়েক ভৈরোঁ সিং।

    সোমবার জয়পুরের AIIMS-এ প্রয়াত হন ৮১ বছরের ভৈরোঁ সিং রাঠোর। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের এই নায়কের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাঁর চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা অভিনেতা সুনীল শেট্টিও। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর যোধপুরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ICU-তে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। প্রয়াত নায়েক ভৈরোঁ সিংয়ের ছেলে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর বাবা অসুস্থ ছিলেন। তাঁর পায়ে পক্ষাঘাতের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। সম্ভবত ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর।

    আরও পড়ুন:নকাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম পণ্ডিত হত্যায় মূল অভিযুক্ত সহ ৩ লস্কর জঙ্গি

    সেদিনের কাহিনী

    ১৯৭১ সালে রাজস্থান সীমান্তে মরুভূমি দিয়ে পাকিস্তান ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। চোখে-চোখ রেখে লড়াই করে ভারতীয় সেনা। জয়শলমেরে থর মরুভূমির মাঝে লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে ডিউটিতে ছিলেন নায়েক ভৈরোঁ সিং। সঙ্গে ছিলেন আরও ছয় থেকে সাত জন BSF জওয়ান। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনার ২৩ পঞ্জাব রেজিমেন্টের ১২০ জন। তবে এই ছোট্ট বাহিনীই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রুখে দেয় পাকিস্তানের সেনা ব্রিগেডকে। ধংস করে দেয় পাক সেনার ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট। দেশের পূর্ব এবং পশ্চিম দুই সীমান্তে পাক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চলেছিল সেই সময়। শেষপর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ১৩ দিনের যুদ্ধের শেষে প্রায় ৯৩ হাজার সেনা নিয়ে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক বাহিনী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

LinkedIn
Share