Tag: JP Nadda

JP Nadda

  • Panchayat Election 2023: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    Panchayat Election 2023: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনা সরেজমিনে ফের রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। এ বার তফসিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদের দল গড়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। দলটি খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসবে। ওই দলে থাকবেন— বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। বিভিন্ন ভোটে হিংসার অভিযোগ রয়েছে যে সব এলাকায়, সে রকম কিছু এলাকা ঘুরে দেখবেন সাংসদীয় প্রতিনিধিরা। তাঁরা কথা বলবেন, হিংসা আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে। 

    রাজ্যে তৃতীয় প্রতিনিধি দল

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) পর রাজ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রতিনিধি দল পাঠাতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ভোট গণনার দিনই একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় রাজ্যে। যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ ছাড়া ওই দলে ছিলেন সাংসদ ডঃ রাজদীপ রায়, সত্যপাল সিং এবং রেখা ভার্মা। তাঁরা রাজ্যের ভোট হিংসা আক্রান্ত বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে। দ্বিতীয় দফায়, রাজ্যে  পঞ্চায়েত ভোট হিংসায় মহিলারা কতটা আক্রান্ত হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে মহিলা সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রমা দেবী, কবিতা পাতিদার, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। দুটি দলই রাজ্যে ভোট হিংসার তথ্যানুসন্ধান করে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আজ জেলায় জেলায় বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযান

    ফল প্রকাশের পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। কিন্তু, এখনও প্রায়শই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে হিংসার খবর। ঝরছে রক্ত। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভোট সন্ত্রাসের (Panchayat poll violence) জেরে এখনও ঘর ছাড়া বহু পরিবার। প্রশাসন সহায়তা করেনি, আতঙ্কে দিন কাটছে, অভিযোগ বহু এলাকার বাসিন্দাদের। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় বিজেপির আগের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। বহু জায়গায় উঠেছে তৃণমূল বিরোধী স্লোগানও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও বেশ কয়েকটি জনসভা করার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ৩১ মে রাজস্থানের আজমেড়ে প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন বিজেপির একমাসব্যাপী মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। সরকারের ন’বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরতে বিজেপি নেতাকর্মীরা গৃহ সম্পর্ক অভিযান, পথসভা, জনসভা, মিছিল, সাংবাদিক সম্মেলন, নাগরিক সেমিনার এ সমস্ত কিছুই করবেন আগামী এক মাস ধরে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও (Bengal BJP) শুরু হচ্ছে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান।

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বড় জনসভা করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন, অমিত শাহ রাঢ়বঙ্গে এবং জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা উত্তরবঙ্গে। দেশের প্রতিটি রাজ্যে মোট ৫১টি জনসভা করবে বিজেপি, যার মধ্যে তিনটি জনসভা হবে বাংলায়। বিজেপির সাংগঠনিক মণ্ডল কমিটিগুলি গ্রামীণক্ষেত্রে তৈরি হয় জেলা পরিষদের আসনকে ধরে। অন্যদিকে এক একটি শহরকে ধরে বিজেপির (Bengal BJP) নগর মণ্ডল তৈরি হয়। শহর বড় হলে নগর মণ্ডলের সংখ্যাও বাড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সমস্ত মণ্ডলগুলিতে এক হাজারেরও বেশি জনসভা করবেন তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্ব। হাজির থাকবেন এরাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ-বিধায়করাও।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বাংলার প্রতিটি বিধানসভায় যাবে বিজেপি (Bengal BJP) নেতৃত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, জুন মাসে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভাতেই জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব (Bengal BJP)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, সুশীল মোদির মতো নেতারা। তালিকায় রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নয়, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন বাংলার নেতারাও। আগামী ২১ থেকে ৩০ জুন মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসম্পর্ক কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ওপর লেখা বই ‘ডেমোক্রেসি ইন কোমা’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতবর্ষে, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা।’’ তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গও। ‘‘সন্ত্রাসের মুখোশ খুলেছে যে সিনেমা, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন স্বার্থে বন্ধ করলেন?’’ সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার এই অবস্থার বদল একমাত্র বিজেপিই করতে পারে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও হল পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সরকারের আমলে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে গরু পাচার, জাল নোটের কারবার সমেত দেশবিরোধী শক্তির গতিবিধি বাড়ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দিল্লি। বিজেপি সভাপতির আজকের বক্তব্য তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের (TMC Violence) পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলকে বিঁধতে থাকেন তিনি। একশো দিনের কাজে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।  এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম.এম কুমার সমেত অন্যান্যরা।   

    কী বললেন জেপি নাড্ডা?

    বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে দু’বার তাঁর ওপর হামলা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলে গুন্ডারা (TMC Violence) ভাঙচুর করে তাঁর গাড়িও। গোটা ঘটনার জন্য, মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেককে দায়ী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘আমার কনভয়ে প্রথমে সেদিন বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হল। স্বাভাবিকভাবেই এতে গোটা কনভয় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করতে থাকল গাড়িগুলি। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালাল। নিরাপত্তা পাওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এমন হামলা হলে, সাধারণ মানুষের কী নিদারুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে!’’

    নিজের ১৫ মিনিটের বক্তব্যে এদিন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ১২৩টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি ধর্ষণ। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ধর্ষিতাকে তৃণমূলের গুন্ডারা (TMC Violence) হুমকি দিয়েছে যে অভিযোগ জানালে প্রাণ চলে যাবে।’’  তিনি দাবি করেন, রেকর্ড অনুযায়ী ৮০ হাজারের বেশি লোক ঘরছাড়া হয়েছিলেন, যারমধ্যে এখনও অনেকে ফিরতে পারেননি। ৫৭টি তরতাজা প্রাণ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেপি নাড্ডা।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব নাড্ডা

    ‘‘১০০ দিনের কাজ সমেত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তৃণমূল দুর্নীতি করে, অথচ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে টাকা আটকানোর।’’ শুক্রবার দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে এভাবেই বিঁধলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গরীব, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভেবে মোদিজী চালু করেছিলেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর হতে দিচ্ছেনা তৃণমূল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    Sukanta Majumdar: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। হাওড়ার শিবপুর ও রিষড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশকেও এক হাত নিয়েছেন সুকান্ত। আজ শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসারও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    নাড্ডা-সুকান্ত ফোনালাপ

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ সুকান্তকে ফোন করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ফোন করে নাড্ডা হাওড়া ও হুগলির দুই জায়গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশদে জানতে চান। সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেসব এলাকায় অশান্তি হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জে পি নাড্ডাকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান তিনি। সুকান্ত বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করলে তবেই সত্যি সামনে আসবে।

    পুলিশে আস্থা নেই

    সুকান্ত দাবি করেন, “রাজ্যে রামনবমীর পর থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করছেন, তাতে আর কোনও হিন্দু মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করতে পারবেন না। “একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, “হনুমান জয়ন্তীতেও যাতে হামলা চলে, সেই ইঙ্গিতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন। তোষণের নোংরা রাজনীতি করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।” রাজ্য পুলিশ ও সিআইডিকে এক হাত নিয়ে সুকান্ত বলেন, “এই দুই বিভাগ মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুরের মতো কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেন তাই হয়। সত্যি সামনে আসে না।” 

    আজ শ্রীরামপুরে অবস্থান!

    দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আজ শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    তাঁর কথায়, ‘‘মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে শ্রীরামপুর বটতলায় অবস্থান শুরু করব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল হবে, যদি পুলিশ গ্রেফতার করা বন্ধ না করে। যাঁরা মার খেল, তাদের ধরছে পুলিশ। পুলিশ রিপোর্ট দিচ্ছে সব জায়গায় শান্তি। কোথাও শান্তি নেই। প্রতিবাদে বসব আমরা।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

     

  • Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    Suvendu Adhikari: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শাহি দরবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের বাংলার সাংসদরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার ঠিক আগের দিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শুভেন্দু প্রথমে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। দুজনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথাবার্তা বলেন। পরে শুভেন্দু সাক্ষাৎ করে নাড্ডার সঙ্গে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যে ওঠা একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সময় চাইছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অমিত শাহ সময় দিতেই রবিবার রাতে তড়িঘড়ি দিল্লির উড়ান ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছে যান শুভেন্দু। রাহুল গান্ধীকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের হইহট্টগোলের ফলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। ওই সময়ই শুভেন্দু সাক্ষাৎ করেন শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কীভাবে দলের কাজকর্ম চালানো যায়, কীভাবে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের কীভাবে উজ্জ্বীবিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনও করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা সে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক কিংবা স্বচ্ছ ভারত মিশন, বুয়া ভাতিজার সরকার এই কাজ করছে। শুভেন্দু বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিতে না পারায় কলকাতার কাছে আর একটি বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তিনি বলেন, বাংলার পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ। দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে বাংলায় বেকার ছিল ১ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটিরও বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন তিনি। এভাবেই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শনিবার তিনি বলেন, তাঁকে (রাহুল গান্ধীকে) গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লক, স্টক এবং ব্যারেল প্যাকিং করে পাঠানো উচিত। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজেপির ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ন্যাশনাল ইউথ পার্লামেন্ট। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাড্ডা। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। বিজেপির সভাপতি বলেন, যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, গণতন্ত্রে তাঁদের কোনও ঠাঁই নেই। তিনি বলেন, কংগ্রেস মানসিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ…

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ, রাহুল গান্ধী আমেরিকা এবং ইউরোপিয় দেশগুলিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ  ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করছেন। ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তাতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন। বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, কী ধরনের বাক্য তিনি ব্যবহার করেছেন? বলেছেন, ভারতবাসী তাঁর কথা শোনেন না, কেবল সহ্য করেন। এর পরেই বিজেপির সভাপতি বলেন, এহেন লজ্জাজনক মন্তব্য করে রাহুল গান্ধী কেবল দেশকে অপমান করেননি, তিনি অপমান করেছেন দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেও। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি শক্তিকে হস্তক্ষেপ করতেও আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ধৃত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের পিছনে পাক যোগ?

    শুক্রবারই একটি ভিডিও বার্তায় রাহুলের লন্ডন সফরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির সভাপতি (JP Nadda) বলেছিলেন, উনি (রাহুল গান্ধী) দেশবিরোধী স্থায়ী টুলকিট হয়ে উঠেছেন। রাহুল দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। ভিডিও বার্তায় নাড্ডা আরও বলেছিলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস দল দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। দেশবাসী তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর রাহুল গান্ধী এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশ হয়ে উঠেছেন।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সভায় গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। তিনি আরও বলেছিলেন, এটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসতে চলেছে। এটা বাইরে থেকে আমদানি করা যায় না। রাহুল এও বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্রের প্রভাব শুধু তার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যদি ভারতে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ে, তাতে গোটা বিশ্বেরই ক্ষতি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস দলটা দেশবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীর দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছেন। শুক্রবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। লন্ডনে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও জানান নাড্ডা।

    রাহুলের বক্তব্য…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়েছে সংসদও। টুলকিট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের মতামত বা পরিকল্পনাকে লিখিত ও ভিডিও-র মাধ্যমে সহজে শেয়ার করা যায়। যা এক ধরনের মাইক্রো ওয়েবসাইট যেখানে কোনও একটি বিষয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, রাহুলের মন্তব্য দেশের নির্বাচিত সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসীকে অপমান করেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাহুলের মন্তব্য দেশদ্রোহীদের হাত শক্ত করেনি? বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলছেন ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ইউরোপ ও আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! ভারত যে ক্রমেই শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে এ দেশে। আর রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশ ও সংসদের অপমান করছেন। পাকিস্তান ও গান্ধী পরিবার কেন এক সুরে কথা বলছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা। জর্জ সোরেস (মার্কিন ধনকুবের) এবং রাহুল গান্ধী কেন একই ভাষায় কথা বলেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বদল হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে। রবিবার বঙ্গ সফরে এসে এই বার্তাই দিলের বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন বাংলার দুই জেলায় দুটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একটি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। অন্যটি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলীর সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলা সব সময় দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা পরের দিন ভাবে। তিনি বলেন, জনসভার এই জনস্রোত বলছে, বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।

    নাড্ডা বলেন…

    নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদিজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে, সেই ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। তিনি বলেন, আপনারা শুনতেন গাড়ি বানায় জাপান। এখন মোদির জমানায় জাপানকে পিছনে ফেলে তিন নম্বর গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। তিনি বলেন, সব চেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতই তৈরি করছে।

    আরও পড়ুুন: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    এদিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, শস্য ভাণ্ডার বর্ধমানেই চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। আলু স্টোরে রাখতে যাবেন, তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই তার দখল নিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের দরজায় দরজায় তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পয়সা দিলে তবেই বন্ড পাবেন। সুকান্ত বলেন, কোভিডে মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অথচ এই সময়ে ভাইপোর রোজগার ছ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোন ম্যাজিকে এটা সম্ভব হল? কয়লা ম্যাজিকে? না গরু ম্যাজিকে তাঁর রোজগার এত বেড়ে গেল? বিজেপি যে বাংলা ভাগের বিপক্ষে, এদিনের সভায় তা আরও এবার স্পষ্ট করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি হল বাংলাকে আমরা খণ্ডিত হতে দেব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • JP Nadda: শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! কাটোয়া ও কাঁথিতে সভা করবেন নাড্ডা

    JP Nadda: শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! কাটোয়া ও কাঁথিতে সভা করবেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। রবিবার একদিনের ঝটিকা সফরে এলেও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক থেকে দুটি জনসভা করারও কথা রয়েছে বিজেপি সভাপতির। সেদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় ১২টি করে জনসভা করার কর্মসূচি স্থির হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। সেই সূচি অনুসারেই নাড্ডার বঙ্গ সফর।

    নাড্ডার সফর-সূচি

    বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৮টায় তাঁর বিমানে করে কলকাতায় আসার কথা রয়েছে। নিউটাউনের একটি হোটেলে রাত কাটাবেন নাড্ডা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকালে তিনি পূর্বস্থলির উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন। প্রথমে কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে সেখান থেকে সভাস্থলে যাবেন। পূর্বস্থলি থানা ময়দানে সকাল ১১টায় প্রথম জনসভা করার কথা জেপি নাড্ডার। এরপর, জেলা কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় সভাপতির। তা শেষে তিনি হেলিকপ্টারে করে কাঁথির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে রামনগরে আরএসএ ময়দানে তাঁর জনসভা রয়েছে দুপুর ৩টে নাগাদ। জনসভা শেষে  সেখানেও দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তারপর তিনি কলকাতায় ফিরে আসবেন এবং দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    রামনগরে সভার প্রস্তুতি

    বৃহস্পতিবার থেকে সভার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব রামনগরে সভার মাঠ ঘুরে দেখেন। সেখানে বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিভাগ ইনচার্জ মনোজ পান্ডে, রাজ্য সহ-সভাপতি শমিত দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, যে মাঠে নাড্ডার জনসভা, সেটির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। হেলিকপ্টারেই নাড্ডার রামনগরের সভায় আসার কথা। সে জন্য দিঘার হেলি প্যাড ব্যবহার করা হবে। তারপর সড়কপথে কয়েক কিলোমিটার গাড়িতে চেপে তিনি রামনগরের জনসভায় যোগ দেবেন। সেই সভায় চল্লিশ হাজার লোকের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জনসভায় নাড্ডা ছাড়াও রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষের মতন প্রথম সারির নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share