Tag: junk food

junk food

  • Flu in Children: সন্ধ্যা হলেই পেটে যাচ্ছে ফুচকা-সিঙাড়া থেকে রোল-চপ-পিৎজা! কী কী বিপদ হতে পারে, জানেন?

    Flu in Children: সন্ধ্যা হলেই পেটে যাচ্ছে ফুচকা-সিঙাড়া থেকে রোল-চপ-পিৎজা! কী কী বিপদ হতে পারে, জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সন্ধ্যার জলখাবারই বাড়াচ্ছে বিপদ! কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি, কিডনির অসুখ, স্থূলতা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের বীজ লুকিয়ে আছে জলখাবারেই! অন্তত এমনি তথ্য উঠে‌ আসছে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায়। চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয়র সন্ধ্যার টুকিটাকি খাবারেই সমস্যা বাড়াচ্ছে। এমন খাবার অধিকাংশ সময় খাওয়া হচ্ছে, যাতে পুষ্টিগুণ নেই।‌ বরং শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংস্থা দেশজুড়ে সমীক্ষা চালায়। তার ভিত্তিতেই চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় সন্ধ্যায় অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার কিংবা মশলাদার খাবার খান।‌ তার জেরে শরীরে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ওই গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যার খাবারের তালিকায় ৩০-৩৫ শতাংশ ভারতীয়দের থাকে অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার। যেমন সিঙাড়া, চপ জাতীয় খাবার। আবার ২০% বেশি ভারতীয় সন্ধ্যায় চটজলদি খাবারে (বলা ভালো ফাস্ট ফুড) অভ্যস্ত। অনেকেই সন্ধ্যায় কফির সঙ্গে রোল, বার্গার কিংবা পিৎজার মতো খাবার খান। ফুচকা কিংবা পাপড়ি চাটের মতো খাবার ও অনেকের পছন্দ! কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এই ধরনের খাবারে‌ সমস্যা বাড়াচ্ছে।

    কী সমস্যা হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সিঙাড়া, চপ, ফুচকা কিংবা পিৎজার মতো খাবারে কোনও‌ পুষ্টিগুণ নেই। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন কিংবা মিনারেলের চাহিদা এই খাবার পূরণ করতে পারে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সূর্যাস্তের পরে শরীরের একাধিক কোষের সক্রিয়তা কমে। ফলে শরীরের নানান অঙ্গের কার্যশক্তিও‌ কমে। শরীর বিশ্রাম চায়। তাই সুস্থ থাকতে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। সন্ধ্যায় এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা সহজপাচ্য।‌ আবার যা খেলে শরীরের‌ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পাবে। আবার সহজে হজম হয়ে যাবে। রাতে খাবার সময়ে অসুবিধা হবে না।‌ কিন্তু অতিরিক্ত তেলে ভাজা কিংবা মশলা দিয়ে তৈরি খাবার হজম করতে সময় লাগে। অন্ত্রের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। এর ফলে হজমের গোলমাল হয়। লিভার ও পাকস্থলীর নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল‌ দেওয়া খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। কোলেস্টেরল বাড়ায়।‌ আবার বার্গার, পিৎজার মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে।

    কোন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার জলখাবারের মেনুতে সহজ‌ পাচ্য খাবার রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাই মেনুতে থাকুক ভুট্টা, মিলেটের মতো‌ শস্য জাতীয় খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভুট্টার দানা ভিজিয়ে সেদ্ধ করে পরিমাণ মতো নুন দিয়ে কাঁচা পিঁয়াজ আর লেবুর রস মিশিয়ে সন্ধ্যায় খাওয়া যেতেই পারে। ভুট্টায় থাকে ফাইবার সহ একাধিক খনিজ পদার্থ। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি।‌ এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। পাশপাশি মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা ছিলা জাতীয় খাবার সন্ধ্যায় খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও হবে না।‌

    সন্ধ্যায় প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে ড্রাই ফ্রুটস মেনুতে রাখার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফি কিংবা চায়ের সঙ্গে কাজুবাদাম, পেস্তা, কিসমিস, কাঠবাদামের মতো বাদাম জাতীয় খাবার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতেই পারে। সারাদিনের পরে ক্লান্ত শরীর এই খাবার থেকে সহজেই এনার্জি ফিরে পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও হবে না।

    সন্ধ্যার জলখাবারে মাখনা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাখনা সহজ পাচ্য। আবার এই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল। ফলে শরীরের জন্য এই খাবার বিশেষ উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে যেমন নজর দেওয়া জরুরি। তেমনি দরকার তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও খেয়াল রাখা।‌ তবে সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ultra-Processed Foods: পিৎজা, বার্গার, প্যাস্ট্রি খচ্ছেন প্রতিদিন, ডেকে আনছেন অকাল মৃত্যু! কী বলছে গবেষণা?

    Ultra-Processed Foods: পিৎজা, বার্গার, প্যাস্ট্রি খচ্ছেন প্রতিদিন, ডেকে আনছেন অকাল মৃত্যু! কী বলছে গবেষণা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত-প্রক্রিয়াজাত খাবার (Ultra-Processed Foods) হতে পারে অকাল মৃত্যুর কারণ। এখনকার দিনের বেশিরভাগ মানুষই বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। এই খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আলট্রা প্রসেসড ফুড যা আপনার শরীরে ক্যান্সার বা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আলট্রা প্রসেসড ফুড’ (UPFs) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদ্‌রোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও।

    কী বলছে গবেষণা

    নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলট্রা প্রসেসড ফুড (Ultra-Processed Foods) অতিরিক্ত গ্রহণের সঙ্গে অকাল মৃত্যুর হারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আটটি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিলি, কলোম্বিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র) জাতীয় পর্যায়ের খাদ্যতথ্য ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে। গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন-এ। ব্রাজিলের এক গবেষক ড. এডুয়ার্দো অগুস্তো ফার্নান্ডেজ নিলসন বলেন, “এই খাবারগুলোতে শুধু উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি মজুত তাই নয়, বরং শিল্প পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণের ফলে স্বাস্থ্যহানিকর নানা কৃত্রিম উপাদান—যেমন কৃত্রিম রং, স্বাদ, মিষ্টতা, এমালসিফায়ার ও অন্যান্য অ্যাডিটিভস—যোগ করা হয়, যা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

    কীভাবে হয় গবেষণা

    আটটি দেশের প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা দেখেন যে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের (Ultra-Processed Foods) পরিমাণ যত বাড়ছে, মৃত্যুঝুঁকিও তত বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাদ্যতালিকায় অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ প্রতি ১০ শতাংশ বাড়লে, যে কোনও কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি আনুমানিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এমনকি অল্প পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব স্পষ্ট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।

    ৩২টি রোগের কারণ

    গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত আলট্রা প্রসেসড ফুড  (Ultra-Processed Foods) গ্রহণ ৩২টি রোগের সঙ্গে জড়িত—এর মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কিছু ক্যান্সার ও বিষণ্ণতা। বিশ্বের প্রথম এই ধরনের গবেষণা বলছে, প্রতিটি দেশেই অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে অকাল মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য, এবং এটি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যনীতি ও জনস্বাস্থ্য কৌশলে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনা জরুরি। শুধু শরীর নয়, এর পাশাপাশি এই খাবার পরিবেশ দূষণের কারণও হতে পারে। গবেষণায় অকালমৃত্যু বলতে ৩০ থেকে ৬৯ বছর বয়সে ঘটে যাওয়া মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের খাবার খাওয়ার মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা গেছে। গবেষকেরা বলেন, যেসব দেশে খাদ্যতালিকায় ইউপিএফের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম (২০ শতাংশের নিচে), যেমন ব্রাজিল ও কলম্বিয়া, সেখানে অকালমৃত্যুর হারও তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৪ শতাংশ)।

    ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম উপকরণ

    আলট্রা প্রসেসড ফুড বা অতিরিক্ত-প্রক্রিয়াজাত খাবার (Ultra-Processed Foods) সাধারণত তৈরি হয় ল্যাব বা ইন্ডাস্ট্রিতে, যেখানে আসল খাবারের বদলে ব্যবহৃত হয় খাদ্য থেকে উত্তোলিত উপাদান বা কৃত্রিম উপকরণ। অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হল এমন ধরনের খাবার, যা প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে বেশি পরিমাণে কৃত্রিম উপাদান ও কসমেটিক অ্যাডিটিভ (যেমন: রং, স্বাদ, সংরক্ষণকারী পদার্থ) দিয়ে তৈরি। এ ধরনের খাবারের সাধারণ উদাহরণ হল—প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কারখানায় তৈরি পাউরুটি ও পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রস্তুত খাবার মিষ্টি দুধজাত পণ্য, সফট ড্রিংকস, জেলি। এসব খাবার ধীরে ধীরে তাজা ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরিতে নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক নীতির মাধ্যমে আলট্রা প্রসেসড ফুড গ্রহণ হ্রাস করাই উচিত সরকারের।

    মোদি সরকারের নীতি

    বার্গার, পিৎজা-সহ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য (Ultra-Processed Foods) বা জাঙ্কফুডের বিক্রি উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ভারতেও। ফুলেফেঁপে উঠছে সংস্থাগুলির ব্যবসা। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। লোকসভায় চলতি বছর আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে নরম পানীয়, প্যাকেটবন্দি ভাজা খাবার, চকলেট, নাগেটস, অতিরিক্ত চিনি-নুন মেশানো খাবারের ব্যাপারে সতর্কবাণী রয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ধরনের খাবারে বিপুল পরিমাণে ফ্যাট-সহ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে। যা ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রেই স্থূলতা, হৃদরোগ-সহ বিভিন্ন বিরূপ প্রভাব ফেলে। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে এই শ্রেণির খাদ্যপণ্যকে ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে দাবি করে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনও প্রচার করে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি। রিপোর্টে সুপারিশ, দেশের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই-এর মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করুক স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হোক ক্রেতাসুরক্ষা আইনে। যেখানে এফএসএসএআই অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের স্পষ্ট সংজ্ঞা তৈরি করবে। মোড়কের উপরে অত্যাবশ্যক সাবধানবার্তা চালু করে ধারাবাহিক কড়া নজরদারিরও ব্যবস্থা করবে।

  • Health Tips: তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি পরামর্শ

    Health Tips: তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ: ডেস্ক বয়সকে ধরে রাখা (Age Control) যায় না। এটা সম্ভবও নয়। কারণ আমরা সময়কে বেঁধে রাখতে পারি না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ক্ষয় হয়ে যায়। কিন্তু আমরা যেটি করতে পারি প্রক্রিয়াটিকে ধীর করতে পারি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যস্ততম জীবনযাত্রার ফলে মানুষ সহজেই বুড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যস্ততার জন্য রেস্টুরেন্টের জাঙ্ক ফুড দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সারাদিনের ক্লান্তির পর বিছানায় যখন শুতে যাওয়া হচ্ছে তখন ঘুম আসছে না। যার ফলে পরের দিনেও শরীরে ক্লান্তি থেকেই যাচ্ছে। দৈনন্দিন যতোই ব্যস্ততা থাকুক শারিরীক পরিশ্রম না থাকায় শরীরে কোলেস্টেরল, সুগার এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। আর এই সকল খারাপ অভ্যাসের ফলে বয়স দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।

    তবে নিম্নোক্ত এই নির্দেশগুলি (Health Tips) পালন করলে বয়স বাড়লেও তারুন্য ধরে রাখা যাবে-

    ১)পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করা প্রয়োজন-

    আজকালকার জীবনে এত ব্যস্ততার মধ্যে আমরা জলপান (Drinking Water) করতেই ভুলে যাই। আবার অনেকে রয়েছেন যাঁরা জলপান করতেই চান না। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে জলের ঘাটতি হলে দ্রুত দেখা দিতে পারে সমস্যা। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান করা। এই শীতেও কিন্তু আপনাকে জলপান করে যেতে হবে। মোটামুটি ২ লিটার জলপান করতেই হবে। এবার এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, কার কতটা জলপান করা দরকার তা ঠিক হয় তিনি কী কাজ করেন দেখে। এই যেমন ধরুন, কেউ রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করেন আবার কেউ এসিতে। এবার এসিতে থাকা মানুষের জলের চাহিদা বাইরে রোদে কাজ করা মানুষের তুলনায় হবে কম।

    ​২)এক্সারসাইজ

    শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে এক্সারসাইজের (Exercise) থেকে ভালো কোনও পথ নেই। তাই আলস্যকে গুলি মারুন। চলে আসুন এক্সারসাইজ করতে। এক্সারসাইজ আপনার শরীরকে এনে দিতে পারে যৌবনের ক্ষমতা। এছাড়া বয়স ধরে রাখতেও এক্সারসাইজের কোনও জুরি নেই। তাই দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ হল মাস্ট। এক্ষেত্রে কোন ধরনের এক্সারসাইজ করবেন, তা ঠিক করবেন একজন বিশেষজ্ঞ। নিজের থেকে করতে চাইলে দৌড়াতে পারেন, হাঁটতে পারেন।

    ৩)ঘুম

    ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামের। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। কারণ ঘুম শরীর সুস্থ রাখে। যৌবনকে ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে রোজ রাতে ১০টা থেকে ১০টা ৩০-এর মধ্যে ঘুমাতে যান।

    ​৪)দুশ্চিন্তা দূর করুন

    দুশ্চিন্তা (Stress) দূর করতেই হবে। কারণ এই দুশ্চিন্তা ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষত, আপনাকে বুড়িয়ে দিতে পারে এই দুশ্চিন্তা। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি দুশ্চিন্তা দূর করায় জোর দিন। দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রাণায়াম বা মাইন্ডফুলনেস করতে হবে।

    ৫)জাঙ্কফুড বা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

    যৌবনকে ধরে রাখতে জাঙ্কফুড বা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার, বাইরের ফাস্টফুড ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। অল্প মসলা ও তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খান। এ ছাড়া টাটকা সবজি, টিফিন হিসেবে খান সবজির স্যুপ ও সামুদ্রিক মাছ। 

    ৬)মাছের তেল

    সপ্তাহে ৩-৪ দিন খান মাছের তেল। কারণ মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বয়সের ছাপ রুখতে সাহায্য করে। 

    ৭)ত্বক ও চুলের যত্ন

    বেশি বয়সেও তারুণ্যতা বজায় রাখতে অবশ্যই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। কারণ কোঁচকানো ত্বক ও পেকে যাওয়া চুল বার্ধক্যের চিহ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Holi: দোল মানেই দেদার খাওয়া সঙ্গে ভাঙের নেশা! জানুন এরপর নিজেকে ঠিক রাখতে কী কী করবেন?

    Holi: দোল মানেই দেদার খাওয়া সঙ্গে ভাঙের নেশা! জানুন এরপর নিজেকে ঠিক রাখতে কী কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল মানেই রঙের বাহার। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গে হইচই আর ভূরিভোজ। আবার অনেকের কাছে ভাঙের নেশা ছাড়া দোলের রঙ ফিকে। কিন্তু সাবধান দু-একদিনের ছুটির পরই ফিরতে হবে কাজে। তাই উৎসবের আনন্দে শরীরের যত্ন নিতে ভুলবেন না। হ্যাংওভার কাটিয়ে পরের দিন অফিস যেতে যআতে ঝামেলায় পড়তে না হয় তার জন্য রইল কয়েকটি টিপস 

    প্রচুর জল পান

    দোলের দিন নানা উল্টো পাল্টা খাওয়ার পর শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয় এবং মানুষ অনেক সময় কম জল পান করে তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। জল আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এমন অবস্থায় যেন জলের অভাব না হয়। তবে একসঙ্গে অনেকটা জল খাবেন না। বারেবারে অল্প করে জল খান। যাঁরা ভাঙ খাবেন, তাঁরা সম্ভব হলে হালকা গরম জলতে লেবু মিশিয়ে পান করুন। 

    দই 

    দোলের দিন মিষ্টি, গুজিয়া, লাড্ডু থেকে নমকিন, ফুচকা সবই চলে তাই এরপর পেটে গোলমাল হলে, আমাদের বোঝা উচিত পেটের কিছুটা বিশ্রাম দরকার। এমন অবস্থায় হালকা ও হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। এমন অবস্থায় মুগ ডালের খিচড়ি ও দই খাওয়া যেতে পারে। এতে পেটে আরাম মিলবে। তাহলে বদহজম বা গ্যাসের মতো সমস্যায় উপশম হবে।

    আদা চা

    আদার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। পেটে গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা দূর করতে এটি কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এমন অবস্থায় আদা চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে এই চায়ে দুধ ব্যবহার করতে হবে না। জলতে আদা সিদ্ধ করার পর সামান্য লেবু ও মধু মিশিয়ে এই চা পান করুন। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। এতে শরীরও গরম থাকবে।

    ভাজা জিরা

    পেট খারাপের ক্ষেত্রেও ভাজা জিরা খুব উপকারী। কুসুম গরম জলতে ভাজা জিরা খেলে খুব উপশম হয়। আপনি চাইলে জিরা জল ফুটিয়ে পান করতে পারেন। এটিও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।

    কলা

    লুজ মোশনের সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত। কলাতে পেকটিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। এটি লুজ মোশনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও আপনার বাড়িতে যদি তুলসী গাছ থাকে তবে এর তাজা পাতার নির্যাস নিন। তুলসী পাতার নির্যাস খেলে পাকস্থলী ভালো হয়। 

    লেবু জল-জোয়ান জল

    যাঁরা অ্যালকোহল খেয়েছেন বা ভাঙ খেয়েছেন, নেশা কাটাতে তাঁদের জন্য অব্যর্থ লেবুজল। সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভাল। খুব আইঢাই অবস্থা হলে বা অস্বস্তি হলে সামান্য জোয়ান মুখে দিতে পারেন। এতে গা গোলানো বা বমি ভাব হবে না।

    ভাজাভুজি এড়িয়ে যান

    ভাঙ খেলে ভাজাভুজি খাবেন না।  ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবার একেবারেই খাবেন না। পরিমিত জল খান। একটু জোলো বা রসালো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খান লাঞ্চ এবং ডিনারে। 

    আরও পড়ুন: হার্ট ভাল রাখে সঙ্গে স্ট্রেসও কমায়! জানুন ডার্ক চকোলেটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

    খালি পেটে ভাঙ না

    খালি পেটে ভাঙ খাবেন না। ভাঙ খাওয়ার আগে ওট্‌স খেতে পারেন। পেট ভরা থাকলে পানীয়ের প্রভাব শরীরে ততটাও পড়ে না। ওট্‌সের কুকিজ়, গ্র্যানোলা বার, স্মুদি খেয়ে নিতে পারেন। এই দুই ধরনের খাবারের পাশাপাশি একমুঠো চিনাবাদাম বা আমন্ড খেয়ে নিলেও ঝরঝরে থাকে শরীর। 

    স্নান করুন

    শরীর অতিরিক্ত খারাপ লাগলে ভাল করে স্নান করুন। তারপর কোনও এসেন্সিয়াল অয়েল বা বাম লাগিয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নজর দিন ঘুমের সময়ের উপর। পরিমিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। শরীর ঠিকভাবে বিশ্রাম পেলেই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন আপনি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    Junk Foods: জাঙ্ক ফুড কীভাবে ডিপ্রেশন, উদ্বেগের কারণ হতে পারে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল জাঙ্ক ফুড খাওয়াার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, জাঙ্ক ফুড খেতে সুস্বাদু হলেও এর উপকারিতা কম, ক্ষতিই বেশি। এর একটি কারণ হল আমাদের ব্যস্ত জীবনধারা, যার কারণে আমাদের সময় কম, আমরা এমন খাবারের দিকে চলে যাই যা পাওয়া সহজ, তৈরি করাও সহজ। তাই এই ধরনের খাবারকে ফাস্ট ফুডও বলা হয়। তবে জানেন কী জাঙ্ক ফুড খাওয়া আমাদের শরীরের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

    জাঙ্ক ফুড খুব তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এটি খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, তাই এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়াই ঠিক। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ইত্যাদির মত রোগ দেখা যায়, তেমনি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে বাড়তে পারে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ইত্যাদি।

    আরও পড়ুন: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    গবেষকরা জানিয়েছেন, মনের অবস্থা অবশ্যই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে। আমরা কী খাচ্ছি তা আমাদের ডিপ্রেশনের মাত্রাকে বাড়িতে বা কমিয়ে আনে। কারও ক্ষেত্রে নতুন করে স্ট্রেস দেয়। আমাদের খাবারের অভ্যাসের ফলে শরীর মোটা-রোগা হয়। শরীরে পুষ্টির কমতি দেখা যায়। এইসব কিছুই বিষণ্ণতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

    কিছু আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যারাই অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি পরিমাণে খায়, তাদেরই মানসিক অবস্থা ঠিক থাকে না। তাদের স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বেড়ে যায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের অতি-প্রক্রিয়াজাতকরণ তার পুষ্টির মানকে কমিয়ে দেয় এবং ক্যালোরির সংখ্যাও বাড়ায়, কারণ অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যেখানে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল কম থাকে। ফলে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায় ও এর পাশাপাশি উদ্বেগ, ডিপ্রেশনের শিকার হয় মানুষ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

LinkedIn
Share