Tag: justice amrita sinha

justice amrita sinha

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোম্পানি লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে একই কথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অপর দিকে প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তদন্তের প্রক্রিয়ায় একদম সন্তুষ্ট নন তিনি। ফলে চাপ বাড়ল ইডি’র। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।

    হাইকোর্টে ইডির বক্তব্য (Abhishek Banerjee)

    আজ হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, “আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধও নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তা এলেই তদন্তের আরও অগ্রগতি ঘটবে।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এভাবে সময় চলে গেলে প্রত্যেকে তদন্তের বাইরে চলে যাবে। তখন আর কিছু পাবেন না। এত দিনের সব পদক্ষেপ কাজে লাগবে না। আর কত দিন লাগবে?” উত্তরে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “প্রত্যেক পদক্ষেপে আমরা মামলায় জড়িয়ে পড়ছি। যে কোনও নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।” আবার বিচারপতি বলেন, “আপনারা কি মনে করছেন খুব সহজ? অপারাধ যত সামনে আসবে, এই ধরনের মামলার চাপ আরও বাড়বে।” আবার উত্তরে আইনজীবী বলেন, “আমরা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। আমাদের নখ, দাঁত বের করে লড়াই করছি। পরবর্তী শুনানির দিন আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দেব।”

    সিবিআই-এর মুখে ‘সোনার কেল্লা’

    তৃণমূল নেতাদের (Abhishek Banerjee) দুর্নীতি নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার উদাহরণ টেনে আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলেন, “এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তাঁরা (ফেলুদা) সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানে দুর্নীতির মামলায় আমরাও আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মক্কা থেকে মনোনয়ন, অবিলম্বে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    North 24 Parganas: মক্কা থেকে মনোনয়ন, অবিলম্বে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি। বিডিও পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া আদালতে ঝুলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃত সিনহা মামলার শুনানিতে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

    কেন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি? (North 24 Parganas)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর মনোনয়ন পরীক্ষায় পাশও হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। আদালত মনোনয়ন বাতিল করে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। যার জেরে বোর্ড গঠন হয়নি ওই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত চালাচ্ছিলেন বিডিও। আর সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েতে এখনও ভোটগ্রহণ হয়নি শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিনি বলেন, এতদিনে শূন্য আসনে ভোট করাননি কেন? অবিলম্বে ভোটগ্রহণ করে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি বলেন, বিডিও কেন পঞ্চায়েত চালাবেন? এটা তাঁর কাজ না কি? বিডিওর আরও অনেক কাজ আছে।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের পরঅভিযোগ ওঠে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতেরএকটি সংসদে তৃণমূলের টিকিটে মইনুদ্দিন গাজি নামে একব্যক্তি যখন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তখন তিনি সৌদিআরবের মক্কায়। ৪ জুন হজ করতে দেশ ছাড়েন মইনুদ্দিন। ১২ জুন তাঁর নামে জমা পড়ে মনোনয়ন। ১৬ জুলাই দেশে ফেরেন তিনি। হজ কমিটি মইনুদ্দিনের হজে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর পরই বিডিওর সঙ্গে যোগসাজসে বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ারঅভিযোগ প্রমাণিত হয় মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁর মনোয়ন খারিজ করে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    CID: ‘হেনস্থা’ করছে সিআইডি! প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি (CID) তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি বিচারপতির স্বামী চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকেও।

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা 

    আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-র বক্তব্য, তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল যেখানে সিআইডি (CID) তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখার জন্যও চাপ দিতে থাকে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একের পর এক নির্দেশে খুশি হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি, বিচারপতি সিনহা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির উৎস কী, তাও জানতে চেয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই  বিচারপতি সিনহার স্বামীকে এভাবে হেনস্থা করছে রাজ্যের সিআইডি (CID)।

    জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিচারপতির স্বামীকে কিছু খেতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ

    সিআইডির বিরুদ্ধে প্রতাপচন্দ্র দে আরও জানিয়েছেন, আদালতের কাজকর্ম শেষ করে দুপুর দুটো নাগা তিনি সিআইডি (CID) অফিসে হাজিরা দিতে যান। তখন থেকে রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত সেখানে সিআইডি অফিসাররা তাঁর ওপর কার্যত অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিচারপতির স্বামীর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে ওষুধ নিতে হয় সেদিন সিআইডি সে বিষয়ে কোনও গুরুত্বও দেয়নি বলে অভিযোগ প্রতাপচন্দ্র দের।

    প্রতাপবাবুর মতে, যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করেছে সিআইডি (CID) অফিসাররা। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলাতে চাপ দেওয়া হয়। প্রতাপবাবুর দাবি, নানা কুকথা বলে মিথ্যে অভিযোগ করার কথা বলা হয়। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হয়। প্রতাপবাবুর অভিযোগ, তাঁকে টানা ন’ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee:  অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আয়ের উৎস কী? একথা জানতে চেয়ে ইডিকে প্রশ্ন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই জবাব জমা দিল মুখবন্ধ খামে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে ব্যবহার করা হতো, কালো টাকা সাদা করতে, এই অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার এই সংস্থা সংক্রান্ত রিপোর্টও ইডি জমা করল আদালতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত দেখেননি বিচারপতি। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন রিপোর্ট দেখার পরেই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন।

    মঙ্গলবারের শুনানি 

    মঙ্গলবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেন ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের এবং তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কি? সেদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পাতার নথি আগেই জমা করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।  ইডির আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে, তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ ইডির আইনজীবীর কাছে একথা শোনার পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন হয়েছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন আপনারা? আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস খুঁজে দেখেছেন? আইন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই তো আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আগেই আদালতে বিশদে জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যার মধ্যে ছিল সংস্থার ৬ জন ডিরেক্টরের নাম, সংস্থার আর্থিক লেনদেন, এই সংস্থা কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাশাপাশি সিইও হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, সংস্থার যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কে কবে থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তার বিবরণ, সংস্থা কেন ঠিকানা পরিবর্তন করল ইত্যাদি বিষয়ে। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাওড়ার একটি বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় প্রোমোটারকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী তিনমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের আবাসন খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তারপরই আবাসনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গার্ডেনরিচ (Garden Reach) বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনার পরই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। গার্ডেনরিচের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করলেন। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্তদের ভাল শিক্ষা দিতে হবে। যাতে আগামীতে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়’। বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) মন্তব্য, ‘আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না, বিচার না দিলে অন্যায় করা হবে। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ডিভিশন বেঞ্চের কোন স্থগিতাদেশ নেই।’’ শুধু তাই নয়, ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে না চাওয়া অভিযুক্তের জরিমানা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করল আদালত। বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে পুরসভার আপ-টু-ডেট যন্ত্রপাতি রয়েছে কিনা তাও এদিন জানতে চান বিচারপতি।  এ বিষয়ে পুর কমিশনারের থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা তলব করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?

    কড়া নির্দেশ বিচারপতির

    আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল একটি পাঁচতলা আবাসন। শুধু তাই নয় সেই আবাসনটির প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। নির্মাণটিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মামলা চলাকালীনই একতলা থেকে সেটিকে পাঁচ তলায় রূপান্তরিত করে দেন প্রোমোটার। এদিন মামলার শুনানিতে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, ‘আদালত এতদিন নরম ছিল তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে তাতে আদালত আর কোন বেআইনি নির্মাণকে রেয়াত করবে না।’ আবাসনের বাসিন্দারা এদিন আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চান। তাঁদের দাবি ছিল, ব্যাঙ্ক লোন করে সর্বস্ব দিয়ে ফ্ল্যাটগুলি কিনেছেন। ফ্ল্যাটটি খালি করতে তাঁদের অন্তত এক বছর সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha)। ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট যেন মৌচাকের মতো বহুমুখী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) এই মন্তব্য করেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং তাঁর নির্দেশনামা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) সিবিআই রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো। অনেকটা মৌচাকের মতো বহুমুখী। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিচারপতি বলেন, “যে পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। টাকা এক হাত থেকে আরেক হাতে বিভিন্ন স্তরে গিয়েছে। এই অপরাধ এক হাত থেকে আরেক হাতে, এক দফতর থেকে আরেক দফতরে মসৃণভাবে প্রবেশ করেছে। শুধু রাজ্য না রাজ্যের বাইরেও টাকা গেছে। অপরাধের তীব্রতা শকিং।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি চাকরি এখানে গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে।” যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে না, বলেও জানান বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha)।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    তদন্ত দ্রুত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করা উচিত বলেই মনে করে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেলের রিপোর্ট শীঘ্রই সংগ্রহ করতে হবে। নির্দেশনামা অনুযায়ী, ইডির রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, পিএমএলএ (টাকা তছরুপ)-এর মামলায় ইডিকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা সিএফএসএল থেকে দ্রুত আনার জন্য ইডিকে পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, অপরাধ কী ভাবে এগিয়েছে, বিশেষত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা, তার ডিরেক্টর এবং কর্মীরা কী ভাবে এত টাকা সঞ্চয় করেছেন, যা ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরবর্তী শুনানির দিন, আগামী ২৪ এপ্রিল ইডি-সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে গিয়েই এই দাবি করে সিবিআই। এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্যান্ডোরার বাক্স

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সিবিআই এবং ইডি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকার উৎস নিয়ে কিছু জানা গেল কি না। আইনজীবী বলেন, “কখনওই শেষ না হওয়ার মতো উৎস। আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটা দুর্নীতি উঠে আসছে। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই কণ্ঠ স্বরের নমুনার রিপোর্ট সম্পর্কেও বুধবার জানতে চায় আদালত। সিবিআই জানায়, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাঁদের হাতে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২ মাস হয়ে গেছে। ওটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্তে কি সহযোগিতা হবে? প্রশ্ন করেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

     এসএসসিতে দুর্নীতি

    এদিকে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বেআইনি নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে, প্রাথমিক মামলায় জানালেন বিচারপতি

    Recruitment Scam: বেআইনি নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে, প্রাথমিক মামলায় জানালেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে, বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন,  খুব শীঘ্রই বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গেই তদন্তে কেন গতি আসছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআই-কে তদন্তে গতি আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।’’

    আদালতের নির্দেশ 

    ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্ত করে আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে ৯৪ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। গত অক্টোবরে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহা। প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। প্যানেল প্রকাশের উপর উচ্চ আদালত পরে স্থগিতাদেশ দেয়। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আদালত ঠিক করেছে বেআইনি যে সমস্ত চাকরি রয়েছে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    আইনজীবীদের দাবি 

    প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন ধরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বসে রয়েছেন রাস্তা। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ৯৪জনের জায়গায় যারা যোগ্য তাদের চাকরি দেওয়া হোক। কিন্তু বেআইনি বলে উল্লেখ করা চাকুরিরতদের আইনজীবীদের দাবি, প্যানেল যদি বেআইনি হয় তবে সেই প্যানেল থেকে নতুন করে নিয়োগ করা যায় না। সেক্ষেত্রে নতুন করে প্যানেল করা হোক। অর্থাৎ শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর তা করা হলে তাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন সকলেই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এবার এজি-কে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি  অমৃতা সিনহা। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারবেন না মুখ্য আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এজি হিসাবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে কীভাবে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কিশোর দত্ত? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন

    তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই দুর্নীতির মামলায় কোনও এক অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন। যদি এটা হয় তাহলে সরাসরি একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট) তৈরি হচ্ছে। এই জন্য আমি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠিয়েছি।’ রাজ্যের লিগল অ্যাডভাইসার কিশোর দত্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত  সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রেরও আইনজীবী। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।” এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    বিরক্ত বিচারপতি সিনহা

    এদিন শুনানির সময় প্রাথমিকে নিয়েগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “চাকরি প্রার্থীদের এক একটা দিন নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ দেওয়া হবে? আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।” এই মামলার পরের শুনানি ৬ ফ্রেবরুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share