Tag: Kabir

  • Humayun Kabir: “বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ করবই, যে কোনও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে”, হুমকি তৃণমূলের হুমায়ূনের

    Humayun Kabir: “বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ করবই, যে কোনও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে”, হুমকি তৃণমূলের হুমায়ূনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ করব, করব, করবই। যে কোনও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে। আর তাতে আমি-সহ ১০০ জন শহিদ হলে ৫০০ জনকে শহিদ করব।” বুধবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর (Humayun Kabir)। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি জমিতে ওই মসজিদ হবে বলে জল্পনা ছড়ায়। বুধবার সকালে দেখা যায়, জমিটি ঘিরে দিয়েছেন জমির মালিক নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, এই জমি কেউ তাঁর কাছ থেকে টাকা দিয়ে কেনেননি। আর যদি কেউ বলেন, তাহলে তিনি চিটিংবাজির কথা বলছেন (Babri Masjid)। তিনি বলেন, “এই বিতর্কিত ইস্যুতে মানুষের আবেগ নিয়ে নাড়াচাড়া করার কোনও মানেই হয় না।”

    হুমকি তৃণমূলের হুমায়ূনের (Humayun Kabir)

    এর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন হুমায়ূন। বলেন, “আমি হুমায়ূন কবীর আজ বলছি, এই বেলডাঙায় মসজিদ বানানো থেকে কোনও শক্তিই আমায় আটকাতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করেই বেঁচে আছি।” তিনি বলেন, “জেলায় বাবরি মসজিদ হবে। আমি করব। বাবরের পুত্রের নাম হুমায়ূন। আমি ভাগ্যক্রমে হুমায়ূন কবীর, বাবরি মসজিদ করব। বাধা দিলে লড়াই হবে, কেউ আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। মুর্শিদাবাদে ৭২ শতাংশ মুসলমান, গোটা রাজ্যে ৩৭ শতাংশ। বাবরি মসজিদ এখানে হবেই। এখানেই মসজিদ করব, করব, করবই। যে কোনও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে। আর তাতে আমি-সহ ১০০ জন শহিদ হলে ৫০০ জনকে শহিদ করব।”

    হোক লড়াই!

    তৃণমূলের এই বিধায়ক বলেন, “আমি ২০২৪ সালেই এই মসজিদ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছি। কালকে কেন উনি বললেন শান্তি-শৃঙ্খলার কথা। শান্তি বজায় রাখার দায় আমার একার নাকি? হোক লড়াই। এই লড়াই করেই দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার একটা লড়াই হোক মুর্শিদাবাদে। আমাদের নবি লড়াই করে কোরান প্রকাশ্যে এনেছেন। তাই বেলডাঙায় এই মসজিদ তৈরি করা থেকে আমায় কেউ আটকাতে পারবে না(Humayun Kabir)।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হুমায়ূন জানিয়েছিলেন, ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এই দিনটি অযোধ্যায় বিতর্কিত কাঠামো ভাঙার ৩৩ বছর। তৃণমূলের এই বিধায়ক বলেন, “আমরা ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব। এটি সম্পূর্ণ হতে তিন বছর সময় লাগবে। বিভিন্ন মুসলিম নেতা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন (Babri Masjid)।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    হুমায়ূনের বাবরি মসজিদ তৈরি প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “যাঁরা নিজেদের বাবর এবং ঔরঙ্গজেবের সন্তান বলে দাবি করেন, তাঁদের ভারতে থাকার কোনও অধিকারই নেই।” এদিন ঠিক এই ভাষায়ই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন গিরিরাজ। তিনি এও বলেন, “এমন মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে বাংলার শাসকদল অনুপ্রবেশকারী ভোটব্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল।” গিরিরাজ বলেন, “তৃণমূল বিধায়কদের এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক এবং এই ধরনের মানুষের ভারতে বসবাস করার কোনও অধিকারই নেই।” তিনি বলেন, “বাংলা এখন বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। তাদের আইডি কার্ড এবং অন্যান্য নথি দিয়ে অবৈধভাবে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল এই অনুপ্রবেশকারী ভোটব্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের তুষ্ট করার জন্য সব ধরনের অসাংবিধানিক এবং হিন্দু-বিরোধী কাজ করেন। বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই তিনি বলেন, “যাঁরা নিজেদের বাবর এবং ঔরঙ্গজেবের সন্তান বলে দাবি করেন (Humayun Kabir), তাঁদের ভারতে থাকার কোনও অধিকার নেই (Babri Masjid)।”

    বিতর্কিত কাঠামো ধ্বংস

    অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত বিতর্কিত কাঠামোটি ভেঙে ফেলা হয় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। কাঠামোটি ভেঙে ফেলেন কর সেবকরা। তার ৩২ বছর পর মুর্শিদাবাদে ওই মন্দির গড়ার কথা জানালেন হুমায়ূন। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা তৃণমূল বিধায়ককে নিশানা করেন। হুমায়ূনের মন্তব্যকে পুনাওয়ালা ভোটের প্রাক্কালে তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন। তৃণমূল নেতার ওই মন্তব্যকে বিতর্কিত বলে আখ্যা দিয়ে পুনাওয়ালা বলেন, “টিএমসি নেতা তাঁর ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে হিন্দুদের অপমান করা বিশ্বাস করেন।”  তৃণমূল নেতার পক্ষ নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ। তিনি বলেন, “এর বিরোধিতা করা লোকেরা অর্থহীন জল্পনা তৈরি করছে।” উদিত বলেন, “যদি একটি মন্দিরের (Babri Masjid) শিলান্যাস করা যেতে পারে, তবে মসজিদের শিলান্যাসে সমস্যা কোথায়? যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন তাঁরা অর্থহীন জল্পনা সৃষ্টি করছেন। এই দেশে এবং সব দেশেই এটি ধর্মীয় স্বাধীনতা (Humayun Kabir)।”

LinkedIn
Share