Tag: Kali Puja

Kali Puja

  • Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    Durgapur: কালী মন্দিরের মূল মন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’, দেবী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে দেবদেবীর সংখ্যা অসংখ্য। তার মধ্যে প্রায় গোটা ভারতবর্ষে দেবী কালী পূজিত হয়ে আসছেন অনেক রাজ্যেই। আর এই দেবী কালী যে এক রূপেই বিরাজ করেন, তা কিন্তু নয়। কালীর আছে অসংখ্য রূপ। হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালীর বিভিন্ন রূপ যেমন: দক্ষিণাকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, মহাকালী ইত্যাদি। কিন্তু পুরান শাস্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে এই মা কালীর আরও একটি রূপ আছে, যা গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিল্পনগরী দুর্গাপুরেই (Durgapur) দেখা যায়। এখানে ভবনী পাঠকের আরাধ্য দেবী কালী পূজিত হন ভারতমাতা রূপে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এমনটাই হয়ে আসছে দীর্ঘ কয়েকশো বছর আগে থেকে। যা অনেক ইতিহাস বহন করে নিয়ে আসছে।

    কোথায় অবস্থিত এই মন্দির? কী এর ইতিহাস? (Durgapur)

    পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে অবস্থিত এই মন্দির ভবানী মাতার মন্দির নামেই পরিচিত। এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেবী কালি ভারতমাতা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন দীর্ঘ সময় থেকে। পুজোর সময় মূল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ‘বন্দে মাতরম, জয় জয় ভারতবর্ষম। ঐক্যং শরণম গচ্ছামি। সত্যম শরণম গচ্ছামি। স্বরাজম শরণম গচ্ছামি’। এই মন্ত্র একদম ব্যতিক্রমী। এমনকী মন্দির খোলা এবং বন্ধের সময় ঠিক এই মন্ত্রই জপ করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগে এই মন্দির ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি বড় আখড়া। মন্দিরের পুরোহিতদের কাছ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মন্দিরের পরিবেশ নির্জন হওয়ায় অনেক সময় অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মন্দিরে এসে আশ্রয় নিতেন। এমনকী ব্রিটিশ সৈন্যদের পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যানের নকশা (ব্লু প্রিন্ট) এখানে বসেই তৈরি করা হত। এই সময় ভারতমাতা রূপে কালীকে প্রণাম করেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের উদ্দেশ্যের পথে রওনা দিতেন। এমনকী কথিত আছেে, দেশ ছাড়ার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই মন্দিরে (Durgapur) এসে রাত্রিযাপন করেছিলেন।

    ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা কী জানাচ্ছেন?

    বিভিন্ন ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিভিন্ন বিপ্লবীরা এই কালীকে ভারতমাতা রূপে পুজো করার সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিলেন। সংগ্রামীরা মনে করতেন দেবী কালী যা ভারতমাতা রূপে পূজিত হন, সেই দেবী সব সময় সংগ্রামীদের রক্ষা করবেন, সঙ্গে দেশবাসীকেও মাতৃরূপে রক্ষা করবেন। ঠিক আবার তেমনি মহাকালী রূপে শত্রুদের দমনও করবেন তিনিই। সেই সময় থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেবী কালীর (Durgapur) আরাধনা করতেন। 
    ইতিহাসবিদদের মতে, এই মন্দিরের দেবী মূর্তির পিছনে একটি অখণ্ড ভারতবর্ষের মানচিত্র ছিল। যে মানচিত্র বর্তমানে আর নেই। কিন্তু বিপ্লবীরা যেভাবে দেবীকে পুজো করে এসেছেন, এখনও সেই রীতি মেনেই পুজো করা হয় এই কালীকে। এমনকী দেবীর বেদীতে এখনও পর্যন্ত বন্দে মাতরম লেখা আছে (Durgapur)। মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় ভারতমাতার জপমন্ত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার শ্রীহট্ট গ্রামে কালী মায়ের নিচে থাকা শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতীরা! কালীপুজোর মাত্র দুই দিন আগেই এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদে এই ভাবে শিব ঠাকুরের মাথা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় কালীভক্ত হিন্দু সমাজের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য গত দুই বছর আগে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকায় হিন্দু ধর্মের দুর্গা প্রতিমার ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকেই হিন্দু মূর্তি ও মন্দির ভাঙার খবর আসে সবথেকে বেশি। ফলে মুর্শিদাবাদে কি বাংলাদেশের ছায়া? এই প্রশ্ন করছেন এলাকারই লোকজন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা

    ঠিক কালীপুজোর দুই দিন আগেই শ্রীহট্ট গ্রামের (Murshidabad) বুধবার রাত্রে দুইজন দুষ্কৃতী এসে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো। ঘটনার দৃশ্য স্পষ্ট দেখে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের এসে দেখে যে শিবের মাথা নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গ্রামের সমস্ত লোকজনদের। গ্রামের সবাই ছুটে আসেন, এসে তাঁরা লক্ষ করেন মন্দিরের সামনে যেখানে কালীমূর্তি তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে শিবের মাথার অস্তিত্ব নেই। তবে কে বা কারা করেছে তাদের নাম এখনও স্পষ্ট  হয়নি। 

    তদন্তে পুলিশে

    এরপর মূর্তি ভাঙার খবর দেওয়া হয় বড়ঞা (Murshidabad) থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীহট্ট গ্রামের মন্দিরের পাশে কালীমূর্তি থেকে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এলাকার মানুষ স্তম্ভিত। এলাকার (Murshidabad) বাসিন্দা অসীম কর্মকার বলেন, “এই পুজো আমরা বাপ ঠাকুরদার আগের থেকে হচ্ছে কিন্তু কোনও দিন এইরকম ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। আমরা শুনেছি বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এক সময় খবরের শিরোনামে থাকত। তিনি মাকে ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরাতেন। এবার জেল ফেরত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কালীপুজো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কেন তৃণমূল নেতার পুজো ঘিরে চর্চা? (Jalpaiguri)

    গত কয়েক বছর ধরে সৈকত ‘যুব ঐক্য’ নাম দিয়ে কালীপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছেন। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর থেকে সৈকত প্রথমে পুলিশ, তার পরে জেল হেফাজতে ছিলেন। এবার সৈকতের নির্দেশ ছিল, পুজো চালিয়ে যাওয়ার। তবে আড়ম্বর না করার কথা বলা হয়েছিল। ১ নভেম্বর সৈকত জামিন পেতেই পুরো সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বড় অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা হয়। প্রায় একশোটি বিমান টিকিট কাটা হয়েছে শিল্পীদের আসা-যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসবে মেয়েদের একটি গানের দল। শিল্পী এবং সঙ্গীদের কয়েক জন আসবেন বিমানে। শুধু বিমান ভাড়াতেই লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। সঙ্গে রয়েছে শিল্পীদের বাকি সঙ্গীদের জন্য ট্রেন ভাড়া। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দিন টানা সাত জন শিল্পীকে আনতেই প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। মণ্ডপ তৈরিতে পড়ছে প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দননগর থেকে আসছে আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভিতরে এক রকম, বাইরে এক রকম এবং মঞ্চে আর এক রকম আলোর সাজসজ্জা থাকছে। জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব স্কুলের মাঠে পুজো এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বাঁশের কাজ, আলো মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি ডেকোরেটর সংস্থা এবং ইভেন্ট পরিচালনা সংস্থা কাজ করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেল থেকে বেরিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার পুজোর আয়োজন। এক তাড়াতাড়ি এতগুলো টাকা জোগাড় হল কী করে? অন্য পুজোর মতো রসিদ ছাপিয়ে বাড়ি-দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয় না সৈকতের পুজোয়। টাকার উৎস নিয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত বলেন, মানুষের ভালোবাসাতেই সব জোগাড় হচ্ছে। সদস্য চাঁদা রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই, তাঁরা হিংসে থেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূল নেতার পুজোর আয়োজন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদা তুলে এই পুজো করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অর্থের জোগান রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছেন তার তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বীরভূম জেলার শেষ কথা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবারও পুজো হবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। আর কেষ্ট ছাড়া এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রতর সময় পুজোর আয়োজন কেমন হত? (Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেষ্টদা (Anubrata Mondal) এবার পুজোয় থাকবেন আমরা সকলেই আশা করেছিলাম। কিন্তু, সেটা তো হল না। খারাপ লাগছে। নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রশ্নে তাঁর জবাব, অন্তরের শ্রদ্ধাই বড় কথা, কতটা গয়না দেবীকে পরানো হল, বড় কথা নয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর যেটুকু গয়না পরানো হয়েছিল, এ বছর তার থেকেও কম অলঙ্কারে সাজানো হবে কালীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: চুল্লির আগুনে পুড়ছে শব, কেওড়াতলায় “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা..”

    Kali Puja 2023: চুল্লির আগুনে পুড়ছে শব, কেওড়াতলায় “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা..”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পুড়ছে শবদেহ। পাশেই তন্ত্রমতে পুজো হচ্ছে শ্মশানকালীর (Kali Puja 2023)। ফি বছর কালীপুজোর রাতে এ ছবি দেখা যায় কালীঘাটের কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। এক সময় এখানে দেহ দাহ হত কাঠের চুল্লিতে। পরে হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। চুল্লি জ্বলে প্রায় সারাদিনই। কালীপুজোর রাতেও এর বিরাম থাকে না। এই আবহেই এখানে হয় মাতৃ আরাধনা।

    মাতৃমূর্তি করুণাময়ী

    কেওড়াতলায় মাতৃমূর্তি করুণাময়ী। ১৬ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি লোলজিহ্বা নয়, হাস্যময়ী। অসুর মুণ্ডমালিনী নয়। দেবীর দুই হাত। ডান হাতে নৈবেদ্যরূপী মাংস, অন্য হাতে মদ। অনেকেই এখানে দেবীকে মদ্য মানত করেন। সেই পানপাত্র থেকে মদ্যের একটা অংশ নিয়ে পুরোহিত দেবীর হাতে থাকা পাত্রে রাখেন। বাকিটা প্রসাদ করে তুলে দেওয়া হয় মানতকারীর হাতে। কালীপুজোয় বলিদান সিদ্ধ। তাই বলিদানের রীতি শুরু থেকেই রয়েছে এখানে। ভক্তদের (Kali Puja 2023) মানত করা ছাগ বলি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, কেওড়াতলার মা কালী কাউকে শূন্য হাতে ফেরান না।

    রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান

    এখানে শ্মশানকালী পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ এই এলাকায় এক সময় ছিল শুধুই শ্মশান। মূলত দেহ দাহ করতেই লোকজন আসতেন এখানে। এই জায়গাটিকেই সাধনস্থল হিসেবে বেছে নিলেন জনৈক চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও মতিলাল ভট্টাচার্য। এক অমাবস্যার রাতে এখানে এসে হাজির হন ভিনদেশি এক তান্ত্রিক। হাতে লৌহনির্মিত একটি ছোট্ট কালীমূর্তি। সাধনারত দুই ব্রহ্মণকে তিনি বললেন, “আজকের এই রাত্রির লগ্ন মাতৃপূজার শুভক্ষণ। আমি এখানে দেবীর আরাধনা করতে চাই। আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন।” তখনই ব্রাহ্মণরা আয়োজন করলেন মাতৃ আরাধনার। স্থানীয় জনবসতি থেকে জোগাড় হল পুজোর উপকরণ। রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান। তন্ত্রমতে সাঙ্গ হল দেবী আরাধনা।  

    আরও পড়ুুন: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    আকাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেবীমূর্তি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তান্ত্রিক। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও হচ্ছে পুজো। যেহেতু তান্ত্রিক তাঁর দেবীমূর্তি নিয়ে চলে গিয়েছেন, তাই এখন মৃণ্ময়ী প্রতিমা গড়ে হয় পুজো। তবে পুজোর নিয়ম অনুসরণ করা হয় সেই তান্ত্রিকের মতোই। জনশ্রুতি এই (Kali Puja 2023) যে, দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে যখন মায়ের আরাধনা হয়, তখনও জ্বলতে থাকে চিতা। কালীপুজোর রাতে এখানে এলে মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সেই কথা কটি, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: অ্যান্টনির নাম জড়িয়েই কি ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি? জানেন এর ইতিহাস?

    Kali Puja 2023: অ্যান্টনির নাম জড়িয়েই কি ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি? জানেন এর ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোককথা থেকে রূপোলি পর্দায় বার বার উঠে এসেছে এই মন্দিরের কথা। কথিত আছে, এই মন্দিরে বসে গান গাইতেন অ্যান্টনি কবিয়াল। ভিনদেশি ভক্ত কবিয়ালের নামেই পরিচিত পেয়েছে মন্দির। যদিও অনেকে একথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ফিরিঙ্গি পাড়ার কাছাকাছি হওয়াতেই নাম হয়েছে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি (Kali Puja 2023)। নতুবা এই কালীবাড়ি বহু প্রাচীন।

    কোথায়, কবে তৈরি হয় এই মন্দির?

    ২৪৪, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট, ৭০০০১২। বউবাজার থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দিকে যে রাস্তা গিয়েছে, সেই রাস্তার ডান দিকে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। এক সময় এই অঞ্চলটি ছিল শ্মশান। হোগলাপাতার একটি ঘরে ছিল শিবের অবস্থান। সামনে ছিল গঙ্গা থেকে আসা একটা খাল। কালীবাড়ির ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ১৪৩৭ সনে ভাগীরথী নদীর তীরে জঙ্গলের মধ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিব ও কালী বিগ্রহের। মূলত মন্দিরটি প্রথমে ছিল একটি শিবমন্দির। ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সঠিক প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। জনশ্রুতি অনুযায়ী, মন্দিরটি ৫০০ বছরের পুরনো।

    কেন ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি

    জানা যায়, ১৮২০ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত এই মন্দিরের পূজারি ছিলেন নিঃসন্তান শ্রীমন্ত পণ্ডিত। কালীমন্দির ও দেবীমূর্তি সর্বপ্রথম কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কেউই তা জানেন না। কথিত আছে, এই শিবমন্দিরে কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি আসতেন। একদিন এখানেই প্রতিষ্ঠিত হল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির সিদ্ধেশ্বরী কালী। পর্তুগিজ অ্যান্টনি মায়ের পুজোর দায়িত্ব দিলেন শ্রীমন্ত পণ্ডিতকে। ১৮৮০ সালে শশীভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ টাকার বিনিময় এই দেবোত্তর সম্পত্তি হাতে পান। সেই থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এখনও এই ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সেবায়েত। 

    সিদ্ধেশ্বরী মাতৃমূর্তি

    ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি একটি চাঁদনি স্থাপত্যের মন্দির। এই মন্দিরের কালী মূর্তিটি মাটির তৈরি। বিগ্রহটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। বিগ্রহটি সবসনা। ত্রিনয়নী সুদর্শনা। মন্দির সংলগ্ন শিবের মন্দিরটি আটচালা। কালীমূর্তি ছাড়াও মন্দিরে আছে শীতলা, মনসা, দুর্গা, শিব ও নারায়ণের মূর্তি। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মূর্তিটি দেখার মতো। চোখে পড়ে দেবীর রুপোর মুকুটটি। ত্রিনয়নে কোনও উগ্রতা নেই। নানা অলংকারে দেবী সজ্জিতা। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন-সব ধর্মের মানুষ দেবীকে প্রণাম করেন, জানান তাঁদের অন্তরের কথা। 

    আরও পড়ুন: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    মন্দিরে বিশেষ পুজো

    মন্দিরে প্রতি অমাবস্যায় কালীপুজো ও প্রতি পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ পুজো হয়। প্রতিদিন মন্দির রাত ন’টায় বন্ধ হলেও দীপান্বিতা কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন যতক্ষণ অমাবস্যা থাকবে মন্দির খোলা থাকবে। প্রতি বছর কালীপুজোর আগে মায়ের অঙ্গরাগ হয়। কালীপুজোর দিন মায়ের ভোগে থাকে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, দু’রকমের তরকারি, পোলাও, চাটনি, পায়েস। এছাড়া থাকে দই, মিষ্টি। দেবীকে দেওয়া হয় নিরামিষ ভোগ। এখনও এখানে পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈদিক মতে। একদা পশুবলি হলেও এখন আর তা হয় না। এখন মন্দিরের ছয় শরিক। সেই অনুযায়ী পালা পড়ে। এ বছর যাবতীয় আচার মেনেই কালীপুজো সম্পন্ন হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কালীপুজোর দিন কালীঘাটে হয় মা লক্ষ্মীর পুজো, কেন জানেন?

    Kali Puja 2023: কালীপুজোর দিন কালীঘাটে হয় মা লক্ষ্মীর পুজো, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামাম বাংলা যখন কালীপুজোয় (Kali Puja 2023) মেতে, তখন কালীঘাটে হয় লক্ষ্মীপুজো। অলক্ষ্মীকে বিদায় জানিয়ে এদিন প্রদোষকালে (সূর্যাস্তের পর ঘণ্টা দেড়েক সময়) আরাধনা করা হয় মা লক্ষ্মীর। খড়ের পুতুলে আগুন জ্বালিয়ে মা কালীর মন্দির প্রদক্ষিণ করা হয় সাত পাক। তারপর কালীঘাটের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালিকাকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়।

    কালীঘাট সতীপীঠ

    কালীঘাট সতীপীঠ। দেবীর ৫১ পীঠের একটি এটি। লোকশ্রুতি, এখানে পড়েছিল সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল সহ চারটি আঙুল। দেবী এখানে দক্ষিণা কালিকা হিসেবে পুজো পান। ভৈরব নকুল। কালীঘাট মন্দিরে প্রতিদিনই দুপুরে দেবীকে নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। কালীপুজোর দিনও এর অন্যথা হয় না। মন্দিরের এক সেবাইত জানান, প্রতিদিনের মতোই এদিনও মা কালীকে (Kali Puja 2023) সকালে ফল, নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়। দুপুরে মায়ের ভোগে থাকে শুক্তো, পাঁচ রকম ভাজা, সাদা ভাত, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস, পোলাও এবং পায়েস।

    দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো

    কালীপুজোর দিন মন্দিরের সব সেবাইতের বাড়ি থেকেই মায়ের জন্য ভোগ আসে। লক্ষ্মীপুজোর পর ফের দেওয়া হয় একপ্রস্ত ভোগ। কালীঘাটে নিত্য ছাগ বলি হয়। সেই মাংসই রান্না করে নিবেদন করা হয় মা কালীকে। তবে মা লক্ষ্মীকে যে ভোগ নিবেদন করা হয়, তাতে বলির মাংস থাকে না। মন্দিরের এক সেবাইত বলেন, “কালীঘাটে শাস্ত্রমতে দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়। সন্ধ্যায় অলক্ষ্মী দূর করার উদ্দেশ্য সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করা। সমাজ ও সংসার থেকে অন্ধকার দূর করে আলোয় ভরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই কালীপুজোর দিন কালীঘাটে দক্ষিণা কালীকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হয়।”

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    কালীঘাটের বর্তমান মন্দির তৈরি করেন বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা, ১৮০৯ সালে। যদিও মায়ের পুজো হয়ে আসছে তারও ঢের আগে থেকে। কথিত আছে, জঙ্গলাকীর্ণ কালীঘাটে গঙ্গাতীরে সন্ধ্যা-আহ্নিক করে ফেরার পথে উজ্জ্বল আলোর শিখা দেখে বিস্মিত হন এক ব্রাহ্মণ। আলোর উৎস অনুসরণ করে জঙ্গলের গভীরে চলে যান ওই ব্রাহ্মণ। সেখানে গিয়ে দেখেন একটি প্রস্তরখণ্ড থেকে উৎসারিত হচ্ছে আলোক ধারা। ব্রাহ্মণ দেখেন, প্রস্তরখণ্ডটি ডান পায়ের চারটি আঙুলের মতো। তিনি সেই প্রস্তরখণ্ডকে দেবী জ্ঞানে পুজো করেন। জঙ্গলের যে জায়গায় প্রস্তরখণ্ডটি পড়েছিল, সেখানেই হোগলা পাতা দিয়ে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করেন ওই ব্রাহ্মণ। অনেক পরে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামে এক ব্রাহ্মণকে কালীঘাট মন্দিরের সেবাপুজোর দায়িত্ব দেন। পরে নির্মিত হয় নয়া মন্দির (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2022: জানেন কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দ রকমের শাক কেন খাওয়া হয় ?

    Kali Puja 2022: জানেন কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দ রকমের শাক কেন খাওয়া হয় ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উৎসব মানে বাহ্যিক দিক থেকে আলোক সজ্জা, মন্ডপ সজ্জা, থিমের জমজমাট পুজোতো রয়েছেই, তারসাথে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন আচার এবং অনুষ্ঠান। যেমন ধরুন খাওয়া দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলো তে গৃহস্থ কত্রীরা শুধু মাত্র ময়দার তৈরী খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া দাওয়ার আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কালীপুজো উৎসব (Kali Puja)। দীপান্বিতা কালীপুজো। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হলো, চৌদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে ? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে।  হিন্দুশাস্ত্র মতে,  আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি— প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চৌদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের  শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই শাক গুলি হলো , জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতি গুলির  পিছনে বিজ্ঞান সম্মত কারণ  রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞান সম্মত হয় এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালে শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।  এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাক গুলির কি কি গুণ রয়েছে। জয়ন্তী— উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে।

    শাঞ্চে— রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

    হিংচে— পিত্তনাশক।

    ওল— অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়।

    পুঁই— হজমে সহায়ক।

    বেতো— কৃমিনাশক।

    সর্ষে— যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে।

    কালকাসুন্দে— অর্শ, কাশি দূর করে।

    নিম— যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে।

    পলতা— শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখে।

    শুলকা— হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখে।

    গুলঞ্চ— উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে।

    ভাঁটপাতা— ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

    শুষণী— স্মৃতিবর্ধক

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন কেবল কালীপুজো (Kali Puja), দুর্গাপুজোতেই (Durga Puja) দেখা যেত থিমের ছড়াছড়ি। এবার থিমের ছোঁয়া চলে এল সরস্বতী পুজোয়ও (Saraswati Puja)। দুর্গাপুজো গোটা বঙ্গদেশজুড়ে হলেও, কালী সহ অন্যান্য দেবদেবীর পুজো একেকটা অঞ্চলে হয় জাঁকজমক সহকারে। যেমন গোটা বাংলায় কালীপুজো হলেও, বারাসতে কালীপুজো হয় থিমের, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে। কাটোয়ায় কার্তিক পুজো হয় থিমের। নদিয়ায় রাস উৎসব হয় ঘটা করে। সেখানেও থিমের ছড়াছড়ি।কালনার সরস্বতী পুজোও হয় জাঁকজমক সহকারে। এখানেও থিমের ছড়াছড়ি।

    থিমের পুজো…

    হাওড়ার খালনায় কয়েক লক্ষ টাকা করে খরচ করে হয় লক্ষ্মীপুজো। সেখানেও দেখা যায় নানান থিম। এবার তার রেশ এসে লাগল সরস্বতী পুজোয়ও। দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোয় থিম করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। তবে দুর্গাপুজোয় যেমন অনায়াসেই স্পনসর মেলে সরস্বতী পুজোয় তা হয় না। তাই সরস্বতীপুজোয় যাঁরা থিমের কথা ভাবেন, তাঁদের ভরসা করতে হয় দাতাদের ওপর। কোনও কোনও উদ্যোক্তা আবার দুর্গাপুজোর বাজেট কিছুটা কাটছাঁট করে তুলে রেখে দেন সরস্বতীপুজোয় খরচ করবেন বলে।

    ঘটা করে দু্র্গাপুজো করে টালা প্রত্যয়। তারা সরস্বতীপুজোও (Saraswati Puja) করে জাঁকজমক সহকারে। এবার বাণীবন্দনায় তাঁদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। এদের এবারের থিম, চলো ভালবাসার বর্ণমালায় ফেরা যাক। এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৪৬ ফুট। প্রতিমা ১৪ ফুটের। এই মণ্ডপে এলে নল্ট্যালজিক হয়ে পড়বেন দর্শক। উদ্যোক্তাদের তরফে ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, এই মণ্ডপে এলে অতীতের সরস্বতী পুজোর সকালে ফেরা যাবে। দর্শক হয়ে পড়বেন নস্ট্যালজিক। তিনি জানান, দুর্গাপুজোর ফান্ডের একটা অংশ সরিয়ে রাখা হয়েছিল সরস্বতীপুজোর জন্য।

    আরও পড়ুুন: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    আমহার্স্ট স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) কমিটির এবারের বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। এই পুজোর মাথায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা পিয়াল চৌধুরী। তিনি জানান, পুরো খরচই এসেছে ডোনেশন থেকে। পিয়াল বলেন, সরস্বতী পুজোয় স্পনসর মেলে না। তাই আমরা ডোনেশনের ওপরই নির্ভর করেছিলাম। মানুষ দিয়েছেন দেরাজ হস্তে। আমরা বাইরে কোথাও চাঁদা তুলতে যাইনি।   

    উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সংহতির এবারের সরস্বতীপুজোর (Saraswati Puja) বাজেট ৯ লক্ষ টাকা। ২৮ ফুটের অতিকায় প্যান্ডেলে রয়েছে ১৫ ফুটের দেবী প্রতিমা। ক্লাবের সম্পাদক রাজদীপ পাত্র বলেন, গত দুবছর ধরে আমরা থিমের পুজো করে আসছি। আমরা আগের থেকে অনেক কর্পোরেট স্পনসরও পাচ্ছি।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    Tarapith: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2022)জমজমাট বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি ৷ দেবীও নিরাশ করেননি ৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারা মায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত। আজ, সোমবার অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হবে এখানে। আলোয় সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর।

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    এদিন সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়।  পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালী পুজোর দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন তারা ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা। 

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারা মায়ের যে ভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী যোগিনীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগ আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share