Tag: Karnataka

Karnataka

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে একঘরও মুসলমান নেই। তবে মহরম উৎসব আছে। এবং সেই উৎসব পালন করেন হিন্দুরাই। আজব মনে হলেও, ফি বছর মহরমের শোভাযাত্রা বের হয় কর্নাটকের (Karnataka) ইয়াদগির জেলার তালাওয়ারগেরে গ্রামে। হিন্দু গ্রামের এই মহরম পালনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক (Ganesha Idol) অনন্য নজির। মহরমের এই উৎসব চলে ছ’দিন ধরে। শোভাযাত্রায় অংশ নেন শত শত হিন্দু। শোভাযাত্রায় হয় ভক্তিমূলক গান। হাসান, হুসেন এবং এক মৌলালির প্রতিকৃতি কাঁধে বহন করেন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির (Karnataka)

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তে যখন সেই ১৯২৫ সাল থেকে মহরম পালন করছেন হিন্দুরা, সেই সময় শিবামগ্গা গ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি ভাঙচুর করল এক মুসলমান। জানা গিয়েছে, ১৯২৫ সালে যখন একজন সুফি সন্তের দর্শনের মাধ্যমে প্লেগ ও খরার হাত থেকে রক্ষা পান গ্রামবাসীরা, তার পর থেকে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর মহরম পালন করেন গ্রামবাসীরা। ওই সুফি সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে আশুরখানা রং-ও করেন তাঁরা (Karnataka)। বিলানো হয় মিষ্টি। এদিন বহু মানুষ এখানে আসেন ওই সুফি সন্তের আশীর্বাদ নিতে।

    গণেশের মূর্তি ড্রেনে

    ইয়াদগিরে হিন্দুরা যখন মুসলমানদের উৎসব পালন করছেন ঘটা করে, তখন শিবামগ্গার আকাশে ঘনাচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার মেঘ। রাখিগুড্ডার বাঙ্গারাপ্পা লে আউটে দেখা গিয়েছে ৩ জুলাই সৈয়দ নামে এক ব্যক্তি গণেশের মূর্তি পা দিয়ে মাড়িয়ে দেন। তিনি নাগারার একটি মূর্তি ড্রেনে ছুঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মূর্তি দুটি একটি পার্কে বসিয়েছিলেন।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মূর্তিগুলির অবমাননা করেছে বলে কবুল করেছে। সে বলেছে, “আমাদের বাড়ির বাইরে মন্দির থাকবে কেন?” পরে সে নাকি ক্ষমাও চেয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ সৈয়দ ও তার সঙ্গী রেহমতুল্লাহকে আটক করেছে। স্থানীয় বিধায়ক এসএন চন্নবাসাপ্পা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা ঘটনাস্থল (Ganesha Idol) পরিদর্শন করেন এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি জানান। পুলিশ (Karnataka) জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে কর্নাটকের (Karnataka) নাগরিকরা ২০২৪ সালে হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা। সে রাজ্যের সিআইডি -এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে সর্বাধিক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। যেখানে কর্নাটক জুড়ে সংঘটিত মোট সাইবার অপরাধের ৪২.৯ শতাংশই বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে (Cyber Fraudsters)।

    কীভাবে চলে জালিয়াতি (Karnataka)

    রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই কারণেই বেঙ্গালুরু শহরের ১৯টি থানায় অসংখ্য এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিআইডি-র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে (Cyber Fraudsters), সাইবার প্রতারকরা প্রথমে নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে। তারা ‘দ্রুত লাভ’, ‘দ্বিগুণ রিটার্ন’ অথবা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। দেখা গিয়েছে, মোট সাইবার প্রতারণার ৭০.৫ শতাংশ ঘটনা এই ধরনের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছে প্রতারকরা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ফাঁদ পেতে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

    ডিজিটাল অ্যারেস্ট করেও টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটেছে

    সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামক নতুন প্রতারণার কৌশল। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জানিয়েছে, এটি সাইবার অপরাধীদের একটি আধুনিক ফাঁদ। কর্নাটকেও (Karnataka) এই ধরনের প্রতারণার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে অপরাধীরা পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সেজে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে এই ধরনের প্রতারণা চালায়—যেমন ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি, সামাজিক মাধ্যমে ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ, অথবা ভুয়া কল করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু শহর মূলত সাইবার প্রতারকদের টার্গেট হয়ে উঠেছে, কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন লেনদেন হয় এবং শহরজুড়ে অসংখ্য প্রযুক্তি সংস্থা, শিক্ষার্থী ও কর্মরত পেশাজীবীর উপস্থিতি রয়েছে—যাঁরা অনেক সময়ই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

  • Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তার নামে কর্নাটকে (karnataka) এক ব্রাহ্মণ পরীক্ষার্থীর যজ্ঞোপবীত বা পৈতা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, শিবমোগগার আদিচুঞ্চনগিরি সিইটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার নামে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এক্ষেত্রে। বলা দরকার, হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের মধ্যে পৈতা পরার একটি রীতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের কাছে পৈতা হল ধর্ম এবং আস্থার প্রতীক। কিন্তু সেই পবিত্র পৈতা ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিরাপত্তার অজুহাতে। এক্ষেত্রে শাসক দল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি না আসায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

    ছাত্র অরাজি ছিল পৈতা খুলতে, তাও জোরপূর্বক খোলা হয় পৈতা

    কর্নাটকের (karnataka) আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ওই পড়ুয়াকে তাঁর কব্জির ধাগা খুলে ফেলার কথা বলে। একই সঙ্গে তাঁকে বলা হয়, পৈতাও খুলতে হবে। কিন্তু ওই ছাত্র দৃঢ়ভাবে একথার প্রতিবাদ জানায়। নিরাপত্তা আধিকারিকদের সামনে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, কেন এগুলোকে খোলা হবে? এরপর ওই ছাত্র জানায়, যা ইচ্ছা আপনারা করতে পারেন আমি কোনওভাবেই আমার পৈতা খুলব না। এরপরেই তাঁর পৈতে কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পড়ুয়া মহলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা নিজেদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন। রঘুরাম নামের ব্রাহ্মণ সমাজ নামের এক প্রতিনিধি, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কেবি সহ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতা প্রসন্নকুমার ও দত্তাত্রেয়-এই চারজনের প্রতিনিধি দল ওই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসেন। কেন ওই ছাত্রের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল তা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান। একইসঙ্গে জেলা শাসকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে (karnataka)

    প্রতিনিধি দলটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শন করার পরে এধরনের কাজের তীব্র নিন্দা করেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। পৈতা খুলে নেওয়া এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াকে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করেছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করে ওই প্রতিনিধি দল। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, সংবিধানে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা আছে। সেখানে এভাবে একটি হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে কোন স্বার্থে? অনেকেরই প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেখানে সংখ্যালঘুদের রীতিনীতিগুলিকে সুরক্ষিত রাখা হয়, সেখানে হিন্দুদের রীতিনীতিকে এইভাবে অপমান কেন করা হল?

    নীরব থেকেছে ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস

    বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মুসলিম পড়ুয়ারা যখন স্কুলের ভিতরে হিজাব পরার জন্য জোর করে আন্দোলন শুরু করে তখন কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করে আওয়াজ তোলে, গলা ফাটায়। তবে হিন্দু পড়ুয়াদের পৈতা যখন জোর করে খুলে দেওয়া হয়, হাতের ধাগা কেটে দেওয়া হয়, তখন ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য কোনও আন্দোলনেই নামে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার পৈতা কোনও বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য পরা হয় না। বরং তা হিন্দু ধর্মের এক গভীর আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয়ভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণ সমাজ এই পৈতা ধারণ করে।

    এর আগে কর্নাটকে মঙ্গলসূত্র খোলার অভিযোগও এসেছে

    অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হিন্দু বিরোধী অবস্থান প্রথম থেকেই নেয়। হিন্দুদের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে যে কোনও সময় আঘাত করলে তারা রাজনৈতিকভাবে নীরব থাকে। কিন্তু যখন উগ্র মৌলবাদীরা যে কোনও ধরনের দেশদ্রোহি কাজ করে তখনও নীরব থাকে কংগ্রেস সমেত অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি। এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন! কংগ্রেস দলের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কি কেবল সংখ্যালঘু তোষণেই সীমাবদ্ধ? দেখা যায় যে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে একটা দূরত্ব তারা বজায় রেখেই চলে। যেখানে যে কোনও মন্দিরকেন্দ্রিক (Yajnopavita) ঘটনা হোক পৈতা খুলে নেওয়া হোক- সবকিছুতেই তারা অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে। একি কেবলই তোষণের জন্য? এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অনেকে উদাহরণ দিচ্ছেন এক বছর আগের একটি ঘটনা। কর্নাটক রাজ্যেই ঘটেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করা হয়। এখানেও কংগ্রেস নীরব (karnataka) ছিল। কারণ মঙ্গলসূত্র হিন্দু ধর্মের প্রতীক।

    চাপে পড়ে জেলা প্রশাসন রিপোর্ট তলব করেছে

    এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় জেলা প্রশাসন। সরকারের এক আধিকারিক গুরুদত্ত হেগড়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে ধর্মীয় অনুভূতিতে যে কোনও ধরনের আঘাতের ঘটনা কখনও সহ্য করা হবে না। এই ঘটনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যায় যদি প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন ওই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। প্রসঙ্গত, অনেকে বলছেন এই ঘটনাতে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তার কারণ পৈতা খুলে নেওয়ার এই ধরনের ঘটনাগুলির মাধ্যমে হিন্দু প্রতীকগুলিতে অত্যন্ত সুক্ষভাবে আঘাত আনা হচ্ছে। তাই এগুলি কেবলমাত্র কোনও ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, একটি সমাজকে (karnataka) লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টা। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্রাহ্মণ সংগঠন সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

  • Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা (Muslim population) বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ। এমনটাই উঠে এসেছে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষায়। জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালে যে জনগণনা হয়েছিল তখন মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১২.৯২ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে তা ১৮.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মাত্র চার বছরের মধ্যেই ৫.১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক কারণে মুসলিমদের জন্য যে সংরক্ষণ নীতি চালু হয় কর্নাটকে, তারই প্রভাব এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    কর্নাটকে মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটক রাজ্যে (Muslim population) ২০১৫ সালে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল ৬.৩৫ কোটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে এই সমীক্ষায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসির মধ্যে মুসলমানরাই সবথেকে বড় জনগোষ্ঠী হিসেবে সামনে আসে। রাজ্যে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৭৫.২৫ লক্ষ। কর্নাটকে ওবিসির মধ্যে মুসলমানরা আছে ২-বি ক্যাটাগরিতে। ঠিক এই কারণে কর্নাটকের কমিশন মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে। সামগ্রিকভাবে ওবিসি সংরক্ষণ ৩২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫১ শতাংশ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটকে মোট জনসংখ্যার ৬৯.৬ শতাংশই হল ওবিসি।

    ১৭ এপ্রিল বৈঠকে বসছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক রাজ্যের (Muslim population) সমীক্ষা বলছে যে মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৪৪.৬৩ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন। অন্যদিকে মাত্র ৩২.৩৬ লক্ষ মুসলিম গ্রামীণ কর্নাটকে বাস করেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মুসলিমরা শহরেই বেশি বাস করছে। এই আবহে আগামী ১৭ এপ্রিল কর্নাটকে (Karnataka) কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়ার নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এখানে কোন কোন সুপারিশগুলি রাখা সম্ভব মুসলিম সংরক্ষণের (Muslim population) ক্ষেত্রে সে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে ১৯৫০ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ। ২০১৫ সালের তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। একইভাবে মুসলমানদের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ।

  • Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগিয়ে আসছে উগাদি উৎসব। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলম মন্দিরে দেবদর্শন করতে এবং দেবতা মল্লান্নার কাছে প্রার্থনা করতে রণ পায়ে (Kannada Devotees Stilt Walk) হাঁটছেন কন্নড় ভক্তদের একাংশ। কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শ্রী ভ্রমরাম্বা মল্লিকার্জুন স্বামী মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য শত শত কিলোমিটার হেঁটে যান।

    দেবদর্শনে ভক্তের সারি (Kannada Devotees Stilt Walk)

    মল্লান্না দেবতার মন্দিরের দিকে চলে যাওয়া রাস্তাগুলির বিভিন্ন জায়গায় শ্রীশৈলম মন্দিরের দিকে যাওয়া এমন ভক্তদের সারি দেখা যাচ্ছে। এই ভক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে কুর্নুল শহর এবং এর আশপাশে এলাকায় স্টিল্টে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে ভগবান শিবের নাম জপ করছেন। ভক্তদের একাংশকে শ্রীলিঙ্গম পাহাড়ের দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে পালকিতে করে শিবলিঙ্গ বহন করতেও দেখা গিয়েছে।

    উগাদি উৎসব

    উগাদি উৎসব (Kannada Devotees Stilt Walk) ইউগাদি নামেও পরিচিত। এটি একটি প্রাণবন্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব যা প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা এবং কর্ণাটকে উদযাপিত হয়। চান্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছরের সূচনা হিসাবে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়, যা বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। চলতি বছর এই উৎসব হবে ৩০ মার্চ। এই দিনে এই অঞ্চলগুলির লোকজন ঐতিহ্যপূর্ণ, সুস্বাদু খাবার রান্নাবান্না করেন। মন্দির দর্শন এবং পঞ্চাঙ্গ শ্রবণ এই দিনের মূল অনুষ্ঠান। উগাদি পাচাদি হল রান্নার হাইলাইট। এটি একটি অনন্য খাবার যা জীবনের ছটি স্বাদ—মিষ্টি, টক, নোনতা, তিক্ত, মশলাদার এবং কষা—জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণের প্রতীক। এর পাশাপাশি, পুলিহোরা, বোব্বাটলু, পায়সম এবং বড়ার মতো অন্যান্য উৎসবের খাবারও প্রস্তুত করা হয়। উৎসব উপলক্ষে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

    উগাদি উৎসব পালন করার (Kannada Devotees Stilt Walk) আগে পুণ্যার্থীরা কৃচ্ছসাধন করেন। এঁদের অনেকেই মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে দর্শন করেন শ্রীশৈলম মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছেন ভগবান শিব। আরও কিছু দেবদেবীও রয়েছেন। মূলত ভগবান শিবকে দর্শন করতেই নানা কসরত করেন ভক্তরা। দেবদর্শন শেষে বাড়ি ফিরে পালন করেন উগাদি পাচাডি (Kannada Devotees Stilt Walk)।

  • Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    Jayalalithaa: জয়ললিতার সব সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল তামিলনাড়ু সরকারের হাতে, কী কী ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার (Jayalalithaa) স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক কেজি সোনা ও রুপোর গয়নাও।

    আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি (Jayalalithaa)

    ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতাকে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ আদালত। সেই সময়ই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৫ সালে বন্দিদশা ঘোঁচে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল কর্নাটক সরকারের কোষাগারে। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই তাঁর আত্মীয়রা সম্পত্তি দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। শনিবার আদালতের নির্দেশে সেই সম্পত্তি বিশেষ আদালতের তরফে তুলে দেওয়া হয় তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।

    জয়ললিতার সম্পত্তির পরিমাণ

    সিনে দুনিয়ার দাপুটে অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ জয়ললিতার (Jayalalithaa) সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়নার পরিমাণ ২৭ কেজি। এর মধ্যে রয়েছে সোনার মুকুট, তরোয়াল, হাতঘড়ি, পেন এবং এক হাজার ৬০৬টি মূল্যবান গয়না। বিশেষ সরকারি আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে ২৭ কেজি ওজনের সোনার নানারকম গয়না-সামগ্রী তামিলনাড়ু সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সামগ্রীগুলি পরীক্ষা করে দেখেছেন তামিলনাড়ুর ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। এর সঙ্গে ১ হাজার ৫২৬ একর জমির আইনি কাগজপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের হাতে।” তিনি বলেন, “পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে ছটি ট্রাঙ্ক বোঝাই সম্পত্তি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু পৌঁছচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া শাড়িগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    এদিন জয়ললিতার যে সম্পত্তি তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৪৬৮ রকমের সোনা ও হিরেখচিত গয়না। এর ওজন ৭ হাজার ৪০ গ্রাম। রুপোর গয়না রয়েছে ৭০০ কেজির ৭৪০টি দামি চটি, ১১ হাজার ৩৪৪টি সিল্কের শাড়ি, ২৫০টি শাল, ১২টি ফ্রিজ, ১০টি টিভি সেট, ৪টি ভিসিআর, একটি ভিডিও ক্যামেরা, ৪টি সিডি প্লেয়ার, দুটি অডিও ডেক, ২৪টি টু-ইন-ওয়ান টেপ রেকর্ডার (Tamil Nadu), ১ হাজার ৪০টি ভিডিও ক্যাসেট, ৩টি আয়রন লকার, নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ২০২ টাকা এবং আরও অন্যান্য সামগ্রী (Jayalalithaa)।

  • Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।

    মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)

    এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।

    পুলিশ কর্তার বক্তব্য

    অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।

LinkedIn
Share