Tag: Kasba Gangrape incident

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Gangrape) ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্র-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরে রেখেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। এদিন মনোজিতের পাশাপাশি ধৃত প্রমিত ও জায়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার ওপর নজর রেখেছিল (Kasba Gangrape Incident) এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ

    ঘটনার দিন (Kasba Gangrape) কীভাবে পুরো বিষয়টি ঘটানো হবে, তা নিয়ে মনোজিতের মাথায় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল। এইসব তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, একটি কলেজে এমন এক প্রাক্তন ছাত্র দিনের পর দিন একজন ছাত্রীর ওপর নজর রেখে তাকে টার্গেট করছিল, অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ তা আঁচ করতে পারলেন না, কীভাবে? তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ধৃত তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে এই ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছেন তদন্তকারীরা

    এছাড়াও, মনোজিত সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার (Kasba Gangrape) দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তাদের জেরা করা হয় এবং সেই সময় গোটা প্রক্রিয়াটিকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে কসবা থানার পক্ষ থেকে অভিযোগকারিণী ও তিন অভিযুক্তেরই আইন মেনে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি পরবর্তীতে মামলার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    মনোজিৎ ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত (Kasba Gangrape Incident)

    কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gangrape) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই সহযোগী—প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। ‘ম্যাংগো’ নামে পরিচিত মনোজিত অতীতে ভাঙচুর, হুমকি এবং মারধরের মতো অপরাধে জেল খেটেছে, তবে তার দুই সঙ্গীর নামে এর আগে তেমন কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড মেলেনি। কসবা কাণ্ডে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিস্মিত হয়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা ও পরিচিতজনেরা।

    হাওড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়

    হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ১৬/১ হরিনাথ ন্যায়রত্ন লেনের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তার পরিচিত মহল। পাড়ায় ‘ঋজু’ নামে পরিচিত এই যুবকের নাম এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় চমকে গেছেন অনেকেই। এর আগে তার নামে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পুলিশের খাতায় নেই। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে প্রমিত। তবে, তার ভূমিকা শুধুমাত্র সাহায্যকারী নাকি সে নিজেও সমানভাবে অপরাধে যুক্ত, তা জানতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তিন অভিযুক্তই ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট—এই সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রমিতের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ। যেহেতু মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মচারী হিসেবে যুক্ত ছিল, তাই সে কীভাবে প্রমিতকে প্রভাবিত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিলজলা থানার বাসিন্দা জায়েব আহমেদ (Kasba Gangrape)

    তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ বসবাস করেন তিলজলা থানার অন্তর্গত ৬৪/এ, গুলাম জিলানী খান রোডে। তার নাম এলাকায় আগে কখনও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হলেও সে কলেজ শুরু হওয়ার বহু আগেই প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত এবং ফিরত রাতে। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে পুলিশ জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিহিংসাবশত এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না, তা জানতে জায়েবের মোবাইল ফোন খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে তদন্তকারী দল। মনোজিৎ মিশ্র কোনওভাবে জায়েবকে এই অপরাধে প্ররোচিত করেছিলেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মেয়েটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি তিন অভিযুক্ত

    পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মনোজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর একজন প্রেমিক আছেন। এরপর থেকেই মনোজিতের ব্যবহার আচমকা বদলে যায়। অভিযোগ, কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বেরোনোর পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মেয়েটি (Kasba Gangrape) বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমার শরীরটা ভালো নেই, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও।” কিন্তু মনোজিৎ ও তার দুই সঙ্গী সেই আবেদন শোনেনি।

  • Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) আইন কলেজের ক্যাম্পাসেই ছাত্রীকে ধর্ষণে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মনোজিৎ মিশ্র (Monojit Mishra) গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক কুকীর্তির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রস্তার দিয়ে একাধিক বার মেয়েদের যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে মারধরও করত মনোজিৎ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ প্রায়ই মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলত, ‘তুই কি আমায় বিয়ে করবি?’ সহপাঠী ও কলেজের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, এই কথাটি তার মুখ থেকে বারবার শোনা যেত। যদিও সব অভিযোগ লিখিত আকারে দায়ের করা হয়নি, তবু অনেকেই তার হাতে নির্যাতিত হয়েছেন।

    গুণধর মনোজিতের একাধিক কীর্তি- ভাঙচুর, মারধর, শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি তোলা

    মনোজিৎ ২০১৩ সালে কলেজে ভর্তি হয় (Kasba Gangrape)। কিন্তু তার খারাপ আচরণের কারণে ২০১৪ সালে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর প্রভাব ব্যবহার করে ২০১৭ সালে পুনরায় কলেজে ভর্তি হয় মনোজিৎ। যদিও ২০২২ সালে তার পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়, তবুও বহিরাগত হিসেবে নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকত সে। তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে গুন্ডাদের দিয়ে মারধরের হুমকির অভিযোগ ওঠে। চেতলা থানায় তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য একবার তাকে গ্রেফতারও করা হয়। অনেক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সে তাদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিত। কলেজের কয়েকজন জুনিয়র ও সহপাঠী জানিয়েছেন, মনোজিৎ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করত। মেয়েদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে ছড়াত। ২০১৬ সালে গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কলেজে শ্লীলতাহানি এবং মদের আসর বসানো তার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি।

    বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল মনোজিত (Kasba Gangrape)

    কসবার গণধর্ষণকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার (Kasba Gangrape) পরেই পুলিশ মনোজিৎ এবং তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনোজিতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। এর ফলে মনোজিত ও তার সঙ্গীদের শাস্তি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক কুকীর্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তার প্রভাব ও দাপটের কথা বহু ছাত্রছাত্রী স্বীকার করেছেন। এবার তার বিকৃত মানসিকতার কিছু দৃষ্টান্তও সামনে এসেছে। মনোজিতের বন্ধু, জুনিয়র এবং ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সে বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল এবং তাঁরা এ সংক্রান্ত নানা উদাহরণও তারা উপস্থাপন করেছেন।

    কসবা কাণ্ডের অভিযুক্ত মনোজিতের আরও নানান কুকীর্তি (Kasba Gangrape)

    দক্ষিণ কলকাতার ওই ল’কলেজের ক্যাম্পাসে খুবই দাপট ছিল গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের। ঘটনা সামনে আসতেই তার তৃণমূল যোগ সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ছবিও। সেই সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলেছে তার একাধিক কুকীর্তি। মনোজিতের বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠমহল বলছে, কসবা কাণ্ডের অভিযুক্তের বিকৃত চাহিদা মেটাতে অনেকেই নিজেদের মহিলা সহপাঠীর শরীরের নানান অংশের আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য হতেন ও সেগুলি মনোজিতকে দেখানো হত। শুধু তাই নয়, মনোজিৎ নিজেও তাঁর ফোনে মহিলাদের শরীরের নানান অঙ্গের ছবি তুলে রাখত বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ওই ছবি ও ভিডিওগুলি মনোজিৎ তার ঘনিষ্ঠ মহলে শেয়ার করত। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অতীতেও মনোজিতের হাতে একাধিক ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। সেই ঘটনাগুলিও সে নিজেই ক্যামেরায় ধারণ করত (Kasba Gangrape)। পরে সেগুলি শুধু নিজে দেখেই সন্তুষ্ট থাকত না, তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদেরও তা দেখাত বলে অভিযোগ।

    একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন (Kasba Gangrape)

    ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতাকে মনোজিৎ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে কোনও নতুন ছাত্রীকে পছন্দ হলেই সে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিত। আর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে শুরু হত হুমকি, হয়রানি ও নানা ধরনের নির্যাতন। জানা যাচ্ছে, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ বিভিন্ন সময়ে বহু নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছে। অভিযোগ, একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন। পরে মনোজিৎ সেই মুহূর্তগুলির ভিডিও বা ছবি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে নিজের ‘সফলতা’ হিসেবে প্রচার করত। এমনকি, কতজনের সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, তার তালিকাও নাকি সে রাখত।

    কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত

    শোনা যায়, কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত। সেই পরিস্থিতিতে একবার এক ছাত্রীকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর দাবি, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মনোজিৎ তাকে খুঁজে বেরিয়েছিল। কলেজের এক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, মনোজিৎ মারধর ও যন্ত্রণার ভিডিও দেখতে বেশি আগ্রহী ছিল। শুধু নিজে দেখেই থেমে থাকত না, সেগুলি অন্যদেরও দেখাতে সে বিশেষভাবে পছন্দ করত। ‘বিকৃত যৌনতা’ ভীষণভাবে পছন্দ ছিল তার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের (Monojit Mishra) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সময় যত গড়াচ্ছে, তার কুকর্মের তালিকাও ততই দীর্ঘ হচ্ছে। কীভাবে কলেজের ছাত্রীদের ‘শিকার’ বানাত সে, এবার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, উঠে এসেছে তার বিকৃত মানসিকতার একাধিক দৃষ্টান্তও।

LinkedIn
Share