Tag: Kasba law college

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজে (Kasba Case) গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি। আবার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে মঙ্গলবার ‘ভাইপো গ্যাং’-র তালিকা প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কসবার ল কলেজের মতো রাজ্যের প্রতিটি কলেজেই ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্যরা সক্রিয়, যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় মেয়েদের উপর নির্যাতন এবং টাকা তোলার মতো অপরাধে যুক্ত।

    কারা রয়েছে তালিকায়

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, যোগ্যরা সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সব ছাত্ররা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করে। মনোজিত মিশ্রের মতো বহু ছাত্রী নির্যাতনকারী আজ কলেজ চত্বরে ক্ষমতার রক্ষাকবচ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের নাম প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে করলে আরও ১,০০০ জনের তালিকা দিতে পারি। সেই প্রস্তুতিও চলছে।’’ সেইসব ছবিতে তৃণমূল ও টিএমসিপি-র কোন কোন নেতা-নেত্রী কোথায় চাকরি পেয়েছেন সেসব তুলে ধরেন শুভেন্দু। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা। যিনি বর্তমানে অশিক্ষক কর্মী। আবার টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজের কর্মী। আশুতোষ কলেজের টিএমসিপি-র প্রাক্তন জিএস উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নাসির বাগানি সোনারপুর কলেজের কর্মী।

    কেন এই হাল

    শাসকদলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিত রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা আজ তলানিতে ঠেকেছে। প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ, কারণ এরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক। অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ রুমগুলোকে নোংরামির জায়গায় পরিণত করেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে কিছু বলেন না। আরেকদল অযোগ্য হয়ে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে। তাই শাসকদলের ছাত্রদের চটাতে চায় না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আজ যে ৫০ জনের তালিকা দেওয়া হল তারা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে। যার জন্য যোগ্যরা বঞ্চিত। সিপিএমের আমলেও বড়ো বড়ো ক্যাডারারও এভাবে যোগদান করেছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করব। প্রথমে ক্যাজুয়াল ঢুকিয়ে দেয় তারপর কাজ দেখিয়ে রেগুলার করে দেয়।’’ এই তালিকায় ২-৪ জন অধ্যাপকও আছেন, যাদের জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    পুলিশই সমস্যা

    একই দিনে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং জানান, ‘‘এটাই প্রথম দেখলাম, নির্যাতিতার এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দিয়ে ‘এম. জে.’ লেখা হয়েছে। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগ বদলে দিচ্ছে। যেখানে অভিযোগই পালটে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে?’’ পুলিশকে নিশানা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মূল সমস্যা পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সব কিছুর সমাধান হবে।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক

    আগামী ৯ অগস্ট তিলোত্তমাকে খুনের এক বছর পূর্ণ। ওইদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওইদিন ২ জায়গা থেকে লাখ খানেক লোক আসবে। বাস আটকালে, ট্রেনে লোক আসবে। সাঁতরাগাছি থেকে লোক আসবে। সেদিন তিলোত্তমার সেন্টিমেন্টে ও তাঁর বাবার আহ্বানে ভিড় করবে মানুষ।” তিলোত্তমার খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়াবেন না। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রোজ মনিটরিং করেছে আরজি কর মামলা। সিবিআই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারে না। অভিজিৎ সরকারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের লড়াই দেখেছি। বাধ্য হয়েছে পরেশ পালের নাম ঢোকাতে। এখানেও সিবিআই বাধ্য হবে। ১৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আবার আরজি করের শুনানি রয়েছে। কেউ শিথিলতা দেখলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।”

    উত্তরকন্যা অভিযান

    আগামী ২১ জুলাই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে। ওইদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উত্তরকন্য়া অভিযানের অনুমতি দেবে না আমি জানি। দুটো কারণ, ২১ জুলাই কোথাও কোনও কিছু হোক এই সরকার চায় না। আমাদের কর্মসূচির কাছে ওদের ২১ জুলাই যদি ফ্লপ হয়ে যায়, তাই এটা করতে চায় না। মহামান্য আদালত অনুমতি দিলে কলকাতা থেকে ৬০০ কিমি দূরে কর্মসূচি সফল হবে।”

     

     

     

     

     

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Gangrape) ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্র-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরে রেখেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। এদিন মনোজিতের পাশাপাশি ধৃত প্রমিত ও জায়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার ওপর নজর রেখেছিল (Kasba Gangrape Incident) এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ

    ঘটনার দিন (Kasba Gangrape) কীভাবে পুরো বিষয়টি ঘটানো হবে, তা নিয়ে মনোজিতের মাথায় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল। এইসব তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, একটি কলেজে এমন এক প্রাক্তন ছাত্র দিনের পর দিন একজন ছাত্রীর ওপর নজর রেখে তাকে টার্গেট করছিল, অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ তা আঁচ করতে পারলেন না, কীভাবে? তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ধৃত তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে এই ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছেন তদন্তকারীরা

    এছাড়াও, মনোজিত সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার (Kasba Gangrape) দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তাদের জেরা করা হয় এবং সেই সময় গোটা প্রক্রিয়াটিকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে কসবা থানার পক্ষ থেকে অভিযোগকারিণী ও তিন অভিযুক্তেরই আইন মেনে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি পরবর্তীতে মামলার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    মনোজিৎ ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত (Kasba Gangrape Incident)

    কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gangrape) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই সহযোগী—প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। ‘ম্যাংগো’ নামে পরিচিত মনোজিত অতীতে ভাঙচুর, হুমকি এবং মারধরের মতো অপরাধে জেল খেটেছে, তবে তার দুই সঙ্গীর নামে এর আগে তেমন কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড মেলেনি। কসবা কাণ্ডে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিস্মিত হয়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা ও পরিচিতজনেরা।

    হাওড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়

    হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ১৬/১ হরিনাথ ন্যায়রত্ন লেনের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তার পরিচিত মহল। পাড়ায় ‘ঋজু’ নামে পরিচিত এই যুবকের নাম এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় চমকে গেছেন অনেকেই। এর আগে তার নামে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পুলিশের খাতায় নেই। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে প্রমিত। তবে, তার ভূমিকা শুধুমাত্র সাহায্যকারী নাকি সে নিজেও সমানভাবে অপরাধে যুক্ত, তা জানতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তিন অভিযুক্তই ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট—এই সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রমিতের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ। যেহেতু মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মচারী হিসেবে যুক্ত ছিল, তাই সে কীভাবে প্রমিতকে প্রভাবিত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিলজলা থানার বাসিন্দা জায়েব আহমেদ (Kasba Gangrape)

    তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ বসবাস করেন তিলজলা থানার অন্তর্গত ৬৪/এ, গুলাম জিলানী খান রোডে। তার নাম এলাকায় আগে কখনও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হলেও সে কলেজ শুরু হওয়ার বহু আগেই প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত এবং ফিরত রাতে। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে পুলিশ জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিহিংসাবশত এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না, তা জানতে জায়েবের মোবাইল ফোন খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে তদন্তকারী দল। মনোজিৎ মিশ্র কোনওভাবে জায়েবকে এই অপরাধে প্ররোচিত করেছিলেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মেয়েটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি তিন অভিযুক্ত

    পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মনোজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর একজন প্রেমিক আছেন। এরপর থেকেই মনোজিতের ব্যবহার আচমকা বদলে যায়। অভিযোগ, কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বেরোনোর পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মেয়েটি (Kasba Gangrape) বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমার শরীরটা ভালো নেই, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও।” কিন্তু মনোজিৎ ও তার দুই সঙ্গী সেই আবেদন শোনেনি।

  • Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পরে এবার দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ (Kasba Gangrape)। ‘গণধর্ষণে’র ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ঘটে এমন ভয়াবহ নির্যাতন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের জোরালো প্রশ্ন উঠছে সমাজের নানা স্তরে। এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে মহিলা কমিশনও।

    জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে (Kasba Gangrape)

    কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায়, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটনা ঘটে

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিং সংলগ্ন সিদ্ধার্থ শংকর রায় শিশু উদ্যানের কাছ থেকে মনোজিৎ মিশ্র ও জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে অপর অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে, আলিপুর আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তোপ দাগলেন শুভেন্দু

    খাস কলকাতায় এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে তিনি একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে আমি (Kasba Gangrape) একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গিয়েছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায় । জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু টেক আপ (BJP) করছি। খুব বড় জিনিস হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এই অ্যারেস্টও লোক দেখানো, এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’’

    কী বললেন সুকান্ত?

    অন্যদিকে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভয়াকাণ্ডের পর আবার এক কলেজে মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Gangrape)। যারা অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী, স্টাফ !’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, যারা অভিযুক্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত। আর জি কর কাণ্ডের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কলেজে শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যতই রথ টানুন না কেন! কালীগঞ্জে মেয়েকে বোমা মেরে খুন করা হচ্ছে, মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’’

LinkedIn
Share