Tag: Kashmir

Kashmir

  • Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ বিলুপ্তির পরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক শক্তিগুলি আবার বলতে শুরু করে যে ৩৭০ ধারা পুনরায় চালু করতে হবে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দাবি তোলে যে ১৩ জুলাইকে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তারা এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায়, কারণ ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই (Black Day July 13) শ্রীনগরে কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল।তাদের মতে, ওইদিন ২২ জন সাধারণ কাশ্মীরিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ডোগরা জওয়ানরা। প্রসঙ্গত, নিহত ২২ জনই ছিল মুসলমান এবং ডোগরা জওয়ানরা ছিলেন হিন্দু। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল আব্দুল কাদেরের জন্য। এই আব্দুল কাদের ছিলেন একজন মৌলবাদী, যিনি সবসময় ডোগরা হিন্দু শাসকদের বিরুদ্ধে সাধারণ কাশ্মীরি মুসলমানদের উসকানি দিতেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন মহারাজা হরি সিংকে ক্ষমতা থেকে সরানো।

    হিন্দু শাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন আব্দুল কাদের (Jammu and Kashmir)

    এক বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেছিলেন, “ডোগরা শাসকদের হত্যা করো এবং তাদের জ্বালিয়ে ফেলো।” তিনি আরও বলতেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন প্রত্যেক কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) মুসলমান মহারাজার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।” এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য মহারাজা হরি সিং তাকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁর বিচার চলতে থাকে। ১৩ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় (Black Day July 13)।

    আব্দুল কাদের ছিলেন বিদেশী

    এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আব্দুল কাদের ছিলেন একজন বিদেশি—একজন আফগান, এবং তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের হয়ে কাজ করতেন। কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) নেতাদের কাছে তিনি কখনও নিজের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেননি। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ২২ জন নিহত হয়। হরি সিংয়ের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ এবং নিহত ২২ জনের ঘটনাকেই এখন ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চলছে।

    উদার প্রকৃতির রাজা ছিলেন হরি সিং

    এইভাবে আব্দুল কাদেরকে প্রচারের আলোয় আনা হচ্ছে, যদিও তিনি ছিলেন একজন বিদেশি, দেশদ্রোহী এবং ষড়যন্ত্রকারী। কিন্তু তাঁকে বীরের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা আজও কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। এটি একটি ইসলামী অ্যাজেন্ডা, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি নাকি হিন্দু শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব হল, মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন উদার প্রকৃতির শাসক। তিনি জাতিভেদে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সমস্ত মন্দিরে দলিতদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জম্মুর রঘুনাথ মন্দির, যা তাঁর পরিবারের বহু আগের নির্মিত মন্দির।

  • PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    PM Modi: তুরস্ককে মাত দিতে ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তুরস্ককে ‘বেইমানি’র জবাব দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে প্রথম ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দূরে থাক, উল্টে ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নির্লজ্জভাবে মুসলমান রাষ্ট্র তুরস্ক আর এক ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়! অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে ইসলামাবাদকে। যদিও তুরস্কের সেই সব ‘হাতিয়ার’কে মাঝ আকাশেই ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘বিকশিত ভারতে’র উন্নততর প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র।

    মোদির সাইপ্রাস তাস (PM Modi)

    আপাতত (Cyprus) যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে পাকিস্তানের বন্ধুদেশকে জব্দ করতে এবার ‘সাইপ্রাস তাস’ খেলতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। যে সাইপ্রাসের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে তুরস্ক, সেই সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েই আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)-কে বার্তা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেরা যাক খবরে। জি৭ সামিটে যোগ দিতে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জ্বালানি ভরতে তাঁর বিমান থামবে সাইপ্রাসে। সাইপ্রাস হল ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র। এর সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক পাক-বন্ধু তুরস্কের। ২৩ বছর পরে তৃতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশে পা রাখছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এহেন কূট চালে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তুরস্ক। এর একটা কারণও আছে। কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে বরাবর সমর্থন করে এসেছে তুরস্ক। এই তুরস্কই অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছে সাইপ্রাসের একাংশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে পা রেখে তুরস্কের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে মোদির দেশ।

    সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব

    দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটির একদিকে রয়েছে তুরস্ক, অন্যদিকে গ্রিস। তাই সাইপ্রাস কব্জা করতে পারলেই কেল্লাফতে। কারণ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সাইপ্রাস থেকে। এখানে বসেই নজরদারি চালানো সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েল, লেবানন এবং সিরিয়ার ওপর। তাই সাইপ্রাসের ওপর শ্যেনদৃষ্টি তুরস্কের পাশাপাশি গ্রিসেরও। ১৯৬০ সালে (PM Modi) ব্রিটিশ জমানার অবসান শেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাইপ্রাস। তার পরেই তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করে গ্রিস। ১৯৭৪ সালে চরমপন্থীদের অভ্যুত্থানে রাতারাতি ক্ষমতাবদল হয় সাইপ্রাসে। এই অভ্যুত্থানে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে গ্রিসের জান্তা সরকার। এথেন্সের (গ্রিসের রাজধানী) এই আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে তুরস্ক। তাই দেরি না করে ওই বছরেরই ২০ জুলাই সাইপ্রাস আক্রমণ করে তুরস্ক।

    সাইপ্রাসের একাংশ দখল করে তুরস্ক

    সদ্য স্বাধীন হওয়া সাইপ্রাসের পক্ষে এই আক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাইপ্রাসের এক তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নেয় আঙ্কারা। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সাইপ্রাসের দখল করা এলাকা থেকে সেনা সরায়নি তুরস্ক। এই এলাকার পোশাকি নাম টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাস। একে স্বশাসিত এলাকা বলে তুরস্ক। আঙ্কারার দখলে থাকা এই এলাকাকে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। সাইপ্রাসও একে তুরস্কের অবৈধভাবে কব্জা করা এলাকা বলে মনে করে। তবে এলাকাটি তাদের বলেই দাবি করে তুরস্ক। তাদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তাই এর ওপর একমাত্র অধিকার থাকা উচিত কেবল আঙ্কারারই (Cyprus)।

    আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আঙ্কারার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইপ্রাস। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বরাবর পাশে রয়েছে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই এবার সাইপ্রাসে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৬২ সালে সাইপ্রাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে নয়াদিল্লি। ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। ২০০২ সালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার সে দেশে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারত-সাইপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০০২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সাইপ্রাস থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক

    সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় এই ইউনিয়নের সভাপতি হবে সাইপ্রাস। সেক্ষেত্রে ইইউ এবং ভারতের মধ্যে আরও মজবুত হতে পারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সফরে আসেন সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “আধুনিক যুগে আমাদের সম্পর্কের শেকড় প্রাক-স্বাধীনতা যুগে পৌঁছায়, যখন আমাদের জাতির পিতারা সাইপ্রাসের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিলেন। আর সাইপ্রাসও সব সময়ই বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সম্পর্কের প্রতিদান দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সব সময় সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৪ সালে ভারত দৃঢ়ভাবে সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারত সাইপ্রাসে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য পাঠিয়েছে। ভারত থেকে তিনজন ফোর্স কমান্ডার এই দায়িত্ব পালন করেছেন (Cyprus), এবং এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাদের সবাইকে সাইপ্রাসে আজও সস্নেহে স্মরণ করা হয় (PM Modi)।”

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Incident) মানবতা ও কাশ্মীরিয়তের ওপর আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো এবং পরিশ্রমী কাশ্মীরিদের জীবিকা ব্যাহত করা। সেই কারণেই তারা পর্যটকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে আদিলের কথা (PM Modi)

    শুক্রবার ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় স্থানীয় সহিস আদিল হুসেনের। এদিন কাশ্মীরের জনসভায় সেই আদিলের প্রসঙ্গও টানলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কেউ ঘোড়া চালান, কেউ আবার গাইড – সকলকে শেষ করার ষড়যন্ত্র ছিল পাকিস্তানের। সন্ত্রাসবাদীদের সামনে রুখে দাঁড়ানো আদিলও তো ওখানে রোজগারের আশায় গিয়েছিল। পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করত। সেই আদিলকেও মেরে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান কাশ্মীরের পর্যটনের ওপর হামলা করেছে। এই পর্যটন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের গরিব মানুষদের সংসার চলে, সেই পর্যটনকে নিশানা করেছে পাকিস্তান।” তিনি বলেন, “পর্যটন থেকে রোজগার বাড়ে। পর্যটন মানুষকে জোড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে পড়শি দেশ মানবতাবিরোধী এবং পর্যটনবিরোধী। পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল যা হয়েছে, এটা তার উদাহরণ।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে মানবতার ওপর আঘাত করেছে।”

    মোকাবিলা করবে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কারণে এখানকার মানুষ স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকেই নিজেদের ভাগ্য বলে মেনে নিতে শুরু করেছিল। তবে আমরা সেটা পাল্টে দিতে পেরেছি। এখন জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয়, তা পূরণও করছে।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিকাশ বন্ধ হবে না। এখানকার যুব সমাজের স্বপ্নপূরণে যদি কোনও বাধা আসে, তবে সেই বাধার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে মোদি।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে (PM Modi) অপারেশন সিঁদুরের কথা। তিনি বলেন, “৬ মে রাতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ওপর হামলা চলে। এখন পাকিস্তান যখনই অপারেশন সিঁদুরের নাম শুনবে, তখন তাদের সর্বনাশের কথা মনে পড়বে। পাকিস্তানি ফৌজ এবং সন্ত্রাসবাদীরা ভাবতে পারেনি পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে এভাবে হামলা চালাবে ভারত। ওরা যে সন্ত্রাসবাদের ইমারত তৈরি করেছিল, কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান কীভাবে (Pahalgam Incident) জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে (PM Modi)।”

  • Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    Chenab Rail Bridge: ভূমিকম্প, বিস্ফোরণেও থাকবে অটল! কাশ্মীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় চেনাব নদীর ওপর নির্মিত নয়া সেতুর (Chenab Rail Bridge) উদ্বোধন করলেন তিনি। নয়া এই সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় আরও কাছাকাছি চলে এল দিল্লি এবং কাশ্মীর। চেনাব সেতু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু। এর পাশাপাশি এদিন তিনি উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম কেবল রেলসেতু অঞ্জী ব্রিজেরও। তাঁর হাতেই ভূস্বর্গে যাত্রার সূচনা হতে চলেছে নয়া দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এরই সঙ্গে কাশ্মীরে মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    চেনাব সেতুর বিশেষত্ব (Chenab Rail Bridge)

    চেনাব নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে, যা কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে যুক্ত করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বিশ্বমানের চেনাব সেতুর ওপর দিয়ে চলবে, যা শুরুতে কাটরাকে যুক্ত করবে শ্রীনগরের সঙ্গে। চেনাব সেতুর সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য সেতুর, যে কারণে এটি বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি (Chenab Rail Bridge) এই আর্চ রেলসেতু প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু। দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। জম্মু ও শ্রীনগরের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করবে এটি। যাত্রাপথে পড়বে ৩৬টি টানেল এবং ৯৪৩টি ব্রিজ।

    ভূমিকম্পেও অটল

    সেতুটির নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্প টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। মাত্র তিন ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে কাটরা থেকে শ্রীনগর। চেনাব সেতু কুতুব মিনারের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি লম্বা। এই সেতুর উচ্চতা চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি। চেনাব সেতু মেঘের ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান। সেতুর এক পাশের পিলারের উচ্চতা প্রায় ১৩১ মিটার। ছবিতে এই সেতুর উচ্চতা এমন যে এর নীচে মেঘও দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসেই সেতুটির চূড়ান্ত খিলান বন্ধ করার কাজ শেষ করেছিল (Kashmir)। নির্মাতাদের দাবি, ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৮ হলেও, টলাতে পারবে না চেনাব সেতুকে। তীব্র বিস্ফোরণেও টুকরো হবে না সেতু। ১০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তারতম্যও সহ্য করতে পারবে এমনভাবেই ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারাল স্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে (Chenab Rail Bridge)।

    নির্মাতাদের দাবি

    ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই অংশে সারাবছর তাপমাত্রা মারাত্মক ওঠানামা করে। যাতে ব্রিজের স্থায়িত্ব ও কাঠামো ঠিক থাকে সেই কারণে উন্নত টেকলা প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে ট্রেনগুলি ঘণ্টা প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। তবে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলতে পারবে। বিশ্বমানের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এই প্রকল্পটি শেষ করতে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। হিমালয়ের প্রকৃতি, মাটির ধারণ ক্ষমতা, প্রতিকূল আবহাওয়া এসবই এই সেতু নির্মাণের সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করেই তৈরি করা হয়েছে নয়া সেতু। জানা গিয়েছে, চেনাব সেতুতে ব্যবহৃত হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত। ঘণ্টা প্রতি ২৬৬ কিমি বেগে বাতাস বইলেও সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।

    ট্রায়াল রান শেষে উদ্বোধন

    জম্মুর কাটরা থেকে শ্রীনগরের কাউরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্রিজ। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০২২ সালের মধ্যেই। তার পর থেকে এতদিন ধরে চলেছে ট্রায়াল রান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সফলভাবে এই সেতুর ওপর ট্রায়াল রান শেষ করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নয়া লাইনে এক জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল (Chenab Rail Bridge)। এর ফলে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা স্টেশনে পৌঁছানো যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় (Kashmir)।

    জাতীয় পতাকা হাতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেতুটির উদ্বোধন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সেটির ওপর হাঁটতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের গতি বাড়াবে। চেনাব ও আঞ্জি সেতু দেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতীক।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একে প্রযুক্তির বিস্ময় বলে অভিহিত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। অবশেষে উপত্যকা (Kashmir) রেল সংযোগের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে (Chenab Rail Bridge)।”

  • Kashmir: ভূস্বর্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পিএসএ মামলা দায়ের

    Kashmir: ভূস্বর্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পিএসএ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের অন্তত পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে সোমবার কঠোর জননিরাপত্তা আইনে (PSA) মামলা করা হয়েছে। এই পাঁচজন কাশ্মীরে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল। অভিযুক্তরা হল, নইম আহমেদ খান, ফাইজান আখতার ভাট, মেহরাজউদ্দিন ভাট, উমর হামিদ শেখ এবং সুহাইব শফি বাবা। অভিযুক্তরা সকলেই শ্রীনগরের বাসিন্দা।

    সরকারি মুখপাত্রের বক্তব্য (Kashmir)

    এক সরকারি মুখপাত্র জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত করা ডোজিয়ারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ নেওয়া হয় এবং তাদের জম্মুর কাঠুয়া, উদমপুর ও কোট বালওয়াল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। তবুও তারা নিজেদের আচরণ সংশোধন করেনি এবং আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও তারা নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রবিরোধী ও অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত ছিল, যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।”

    অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা শ্রীনগরে এমন দেশবিরোধী কাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করছে, এই ধরনের উপাদানগুলির বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন অভিযানের মাধ্যমে(Kashmir)। এক আধিকারিক বলেন, “এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তির পরিপন্থী যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল করতে আমরা আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি (PSA)।”

    পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, “যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর অবৈধ বা বিশৃঙ্খল কার্যকলাপে লিপ্ত, তাদের আমরা সাফ জানিয়ে দিচ্ছি — আইনের দীর্ঘ হাত তাদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ধরবে এবং প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।” “জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তির পরিপন্থী সকল অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল করতে আইনের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের অটল প্রতিশ্রুতি ফের একবার মনে করিয়ে দেয় তারা। তিনি বলেন, সেই সব ব্যক্তিদেরও সতর্ক করছি যারা জাতির নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অবৈধ বা বিশৃঙ্খল কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন—আইনের দীর্ঘ হাত তাদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ধরবে এবং প্রত্যেক অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করা হবে,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Kashmir)।

  • PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর (Operation Sindoor) মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত।” সোমবার গুজরাটে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম নিজের রাজ্য গুজরাটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দাহোদের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি খানিকক্ষণ হাঁটলেন স্মৃতির সরণী বেয়ে। গুজরাটবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ২৬ মে। ২০১৪ সালে এই দিনেই আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। প্রথমে গুজরাটের মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেন, তারপর কোটি কোটি ভারতীয় আমায় আশীর্বাদ করেন।”

    গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শুরু হয়েছে রোড-শো দিয়ে। এক কিলোমিটার পথ রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে ঢল নামে জনতার। গুজরাটবাসী অভিবাদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রতিনমস্কার জানান তিনিও। এই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারও। প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। কুরেশি ভাদোদরার বাসিন্দা। এদিনের রোড-শোয়ে উপস্থিত ছিলেন সোফিয়ার বাবা-মা, ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি এবং বোন শায়না সুনসারাও। সোফিয়ার মা হালিমা কুরেশি বলেন, “আমরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। সবাই এক সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো আমাদের কর্তব্য।” তিনি বলেন, “সোফিয়া কেবল আমাদের মেয়ে নয়, ও আমাদের দেশের মেয়ে (PM Modi)।”

    অপারেশন সিঁদুর কেন?  

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিন্তা করুন, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, তারপর কী আর ভারত চুপ করে বসে থাকতে পারে? কী, মোদি কি চুপ করে বসে থাকতে পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত। তাই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতীয়দের সংস্কৃতি এবং আমাদের অনুভূতির প্রকাশ। সন্ত্রাসবাদীরা ১৪০ কোটি ভারতীয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাই মোদি সেটাই করেছে, যার জন্য দেশবাসী আমায় প্রধান সেবকের দায়িত্ব দিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব। দেশ কয়েক দশকের পুরানো শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন (PM Modi)।”

  • OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় ইসলামিক কো-অপারেশন সংস্থার বৈঠক (OIC)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান (Pakistan) কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। যদিও তা ব্যর্থ হয়। এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হল ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিন। এই তিন মুসলিম দেশই পাকিস্তানের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। যার ফলে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেটি। আয়োজক দেশ ছিল ইন্দোনেশিয়া।

    ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা (OIC)

    ইসলামিক এই দেশটি পাকিস্তানের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার নীতিতে বিশ্বাসী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ওআইসির মঞ্চকে কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে টার্গেট করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় না। ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থানকে সমর্থন করে মিশর এবং বাহরিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিনের এই অবস্থান ভারতের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন।

    চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র

    জাকার্তা সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে প্যালেস্তাইন ও গাজায় চলা পরিস্থিতির কড়া নিন্দা করা হয়। যদিও ভারতের প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে সংযমী ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় মুখ পুড়লেও (OIC) স্বদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, তাদের অবস্থান ওআইসি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হলেও, ইসলামাবাদ নিজের দেশে তাদের কলঙ্কিত ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন আদায়ের জন্য ওআইসির দিকে দীর্ঘদিন ধরে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী দেশগুলির মধ্যে এই বিষয়ে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে যে তারা নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে এই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হতে দিতে চাইছে না। অনেক দেশ এখন আদর্শগত সংহতির চেয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও কৌশলগত সহযোগিতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তার জেরেই বারবার বিশ্ব দরবারে মুখ পুড়ছে ইসলামাবাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওআইসি পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রস্তাব আটকে যাওয়া ইসলামাবাদের (Pakistan) একটি বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা। নয়াদিল্লির কাছে এটি একটি বড় সাফল্য, যা মুসলিম বিশ্বের ভেতরে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক অবস্থানগুলির ইঙ্গিত দেয় (OIC)।

  • PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল দেশীয় প্রযুক্তির প্রশস্তি। প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের তৈরি অস্ত্র, কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এসেছে সাফল্য।” রবিবার ছিল ‘মন কি বাতে’র ১২২তম পর্বের সম্প্রচার। এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ‘মনের কথা’য় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, ক্রুদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    অপারেশন সিঁদুর (PM Modi)

    তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের সংকল্প, সাহস এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসামান্য বীরত্ব গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে এবং দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রা ও জনসমাবেশের মাধ্যমে এক অনন্য দেশাত্মবোধের আবহ তৈরি হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় অস্ত্রে সাফল্য এসেছে, যা আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছে সমগ্র দেশকে। অপারেশন সিঁদুর পাল্টে যাওয়া ভারতের ছবি (Mann Ki Baat)।” তিনি বলেন, “এই অপারেশন বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক নয়া আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাহিনী নির্ভুলভাবে সীমান্তের ও পারে থাকা জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযান শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং আমাদের সংকল্প, সাহস এবং পরিবর্তনশীল ভারতের একটি ছবি। এই ছবিই সমগ্র ভারতবাসীর দেশপ্রেমের অনুভূতিকে তেরঙ্গার রঙে রাঙিয়েছে।”

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’

    অপারেশন সিঁদুর যে আদতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির পরিচায়ক, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রশস্ত্র এই দেশের মাটিতেই তৈরি। আমাদের সেনার, ইঞ্জিনিয়রদের, টেকনিশিয়ানদের, এই দেশের রক্ত-ঘামের পরিচায়ক এই (PM Modi) সাফল্য।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই দুই এলাকায় অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। ঘটনার জেরে সীমান্তে বাড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় গোলাবর্ষণ। পরে (Mann Ki Baat) পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয় ভারত (PM Modi)।

  • Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। ভারতীয় সেনা এই অপারেশনে পাকিস্তানকে কাবু করে ফেলে। এই অপারেশনে সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ৩ হাজার অগ্নিবীরও (Agniveer)। এঁদের প্রায় সকলের বয়সই কুড়ির কোঠায়। গত দু’বছরের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা।

    অগ্নিবীরদের ভূমিকা (Agniveer)

    ৭ থেকে ১০ মে-র মধ্যে একাধিক ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি, বিমান ঘাঁটি এবং শহরগুলিতে পাকিস্তান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালালেও অগ্নিবীরদের হাঁটু কাঁপেনি। চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় সম্মানের সঙ্গে নিজেদের প্রমাণ করেছেন তাঁরা। এ বার অন্তত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। জানা গিয়েছে, এয়ার ডিফেন্স ইউনিটে চারটি প্রধান পেশায় বিশেষজ্ঞ অগ্নিবীরদের মোতায়েন করা হয়েছিল – গোলন্দাজ, ফায়ার কন্ট্রোল অপারেটর, রেডিও অপারেটর এবং কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র-সহ ভারী সামরিক যানবাহনের চালক। সেনা সূত্রে খবর, প্রতিটি ভূমিকায়ই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অগ্নিবীররা।

    অগ্নিবীরদের অবদান

    সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছিল যে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি তার প্রতিটিতে ১৫০-২০০ জন করে অগ্নিবীর ছিলেন। দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশতীর পরিচালনার ভার ছিল তাদের হাতে। সংঘর্ষের সময় ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই আকাশতীর। সেনা সূত্রে খবর, অগ্নিবীররা যথারীতি নিয়মিত সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে রেখে চালানো যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষের টার্গেট ধ্বংস করেছে। এল-৭০ এস, জেডইউ ২৩-২বি’র মতো কামান, পেচোরা, শিলকা, ওসাক, স্ট্রেলা এবং তুঙ্গুস্কা অস্ত্র ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন ধরণের রেডার পরিচালনা করেছে। যাঁরা সামরিক যান চালানোর দায়িত্বে ছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করার পরে তাঁরাও সৈন্য হিসেবে কাজ করেছেন (Agniveer)।

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর পদে নিয়োগ নিয়ে মোদি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দিয়েছেন অগ্নিবীররা। সূত্রের খবর, অগ্নিবীররা এই প্রথমবার যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির (Operation Sindoor) মুখোমুখি হয়েছিলেন। সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা দুরমুশ করে দিয়েছেন পাক সেনাদের (Agniveer)।

LinkedIn
Share