Tag: Kashmir Terror Attack

Kashmir Terror Attack

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন একের পর এক পর্যটক ৷ একবার দেখে মনে হতে পারে বৈসরণের ঘন সবুজ প্রান্তরে কেউ যেন লাল রং ঢেলে দিয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত সইফুল্লা।

    পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সইফুল্লার সঙ্গে পাক যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে রয়েছে লস্কর নেতা সইফুল্লা। তাঁর পরিকল্পনা মাফিক লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ এর পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। পাক সেনায় যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে সইফুল্লার। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাটেলিয়নে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে আহ্বান করেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সইফুল্লাকে ডাকা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা

    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারত বিদ্বেষী বক্তৃতা করেন। এ ছাড়াও, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দিতে শোনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।

    পাকিস্তানের হাত ধরেই টিআরএফ-এর উত্থান

    টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সে সময় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

    টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?

    টিআরএফ (TRF) হল প্রথম সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দ ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ী কাজ করে। সূত্রের খবর, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবল পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান। টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।

    নিহতদের পরিবারের পাশে শাহ, মোদির বৈঠক, ট্রাম্পের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লি বিমানবন্দরে তিন জনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বুধবার সকালে তিনি জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

    চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ

    পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়। জঙ্গিরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই ভারতে আসে তারা। এমনকি এলাকা পরিদর্শনও করে যায়।

  • Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের উপর ছোট্ট সবুজ স্বপ্নিল উপত্যকা বৈসরনে তখন প্রায় জনা চল্লিশেক পর্যটকের ভিড়৷ হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল সশস্ত্র জঙ্গিরা ৷ তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র৷ সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে তাঁদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে নাম জিজ্ঞাসা হয় করা হয় পর্যটকদের। বলা হয় ‘কালমা’ পড়তে। না পড়তে পারলেই নিশ্চিত করা হয় হিন্দুত্ব। চলে গুলি। এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক৷ আহতদের কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন ৷ কেউ বা আতঙ্কে কথাই বলতে পারছেন না! কারও রক্তে ভেজা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের উপর ৷ মঙ্গলবার এমনই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) জেলার বৈসরন উপত্যকা ৷

    নিশানায় হিন্দু পর্যটকরা

    কাশ্মীরের (Kashmir Terrorist Attack) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। বৈসরণে যে পৈশাচিক হামলা চালায় জঙ্গিরা, প্রতক্ষদর্শীদের মুখে তার বিবরণ শুনে মানুষ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। বৈসরণে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালায়, সেখানে নাম শুনে, পরিচয় পত্র দেখে তবেই পর্যটকদের (Kashmir Tourist) মারা হয়েছে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। নাম জিজ্ঞেস করে, যাঁরা মুসলিম নন, সেই সমস্ত পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তাই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক তরুণীকে। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তবেই গুলি করার কথা বলে জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে যেখানে এক তরুণী হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলা হলে ওই তরুণীকে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মৃতদেহ পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। জঙ্গিরা নাম জিজ্ঞাসা করে, পরিচয় পত্র দেখে ইচ্ছে করে তাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে দেয় বলে জানান ওই তরুণী।

    ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো

    ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Pahalgam Terror Attack) এক মহিলা বলেন, “আমরা ভেলপুরি খাচ্ছিলাম, তখনই ওরা এসে আমার স্বামীকে গুলি করে। একজন বলে উঠল, ‘এটা মুসলিম নয়’ – তারপরই ওকে গুলি করে মেরে ফেলল।” এক প্রতক্ষ্যদর্শীর কথায়, সন্ত্রাসীরা মানুষের ধর্ম নিশ্চিত করতে তাদের ‘কালমা’ পড়তে বলে – ইসলাম ধর্মে কালমা হলো ইমানের ঘোষণা। যারা এটি পড়তে পারেননি, তাদের অমুসলিম মনে করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গিরা লোকজনকে বিবস্ত্র করে ‘খৎনা’ আছে কি না তা পরীক্ষা করে, এবং যাদের মধ্যে খৎনা পাওয়া যায়নি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তাই প্রথমে তাদের বোঝা যায়নি, বলেও জানান পর্যটকরা। কাশ্মীরে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩ জন-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রাণ গিয়েছে হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন ।

    ‘মোদিকে গিয়ে বোলো

    ফিরে এল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)-এর স্মৃতি। ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি সমগ্র কাশ্মীরে (Kashmir) যে পাঁচ হাজার হিন্দু পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। এখানে দেখা যায় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেহাদিদের হিংস্র স্লোগান “কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরি মুসলমানদের, এখানে থাকতে হলে আজাদিকে সমর্থন করো, নইলে কাশ্মীর হবে হিন্দু পুরুষহীন, শুধু হিন্দু মহিলারা থাকবেন।” এদিনও যেন তাই হল। জম্মু-কাশ্মীরে কর্নাটক থেকে সপরিবারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাও। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে পল্লবী বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’ পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদিকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) গিয়ে বোলো।’’

  • Kashmir Terror Attack: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইকে গুলি করল জঙ্গিরা, মৃত এক

    Kashmir Terror Attack: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইকে গুলি করল জঙ্গিরা, মৃত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। ফের বিপন্ন  কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় ফের মৃত্যু হল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। ওই হামলাতেই জখম তাঁর ভাই। এই নিয়ে কম সময়ের বিরতিতে পর পর দুবার হামলা চালানো হল কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ওপর। কিছুদিন আগেই ওই একই সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। 

    মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাটি ঘটে সোপিয়ানের চিতপোরা এলাকায়। একটি আপেল বাগানে জঙ্গিরা ওই দুই পণ্ডিতের ওপর গুলি চালায়। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁদের মধ্যে এক জন। গুরুতরভাবে আহত অন্যজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ট্যুইটারে কাশ্মীর পুলিশ লিখেছে, খুব শীঘ্রই পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানানো হবে। তবে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হামলাকারীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

     

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম সুনীল কুমার। কাছের ছোটিগাম গ্রামের বাসিন্দা সুনীল এবং তাঁর ভাই পিন্টু। সুনীল কুমারের শরীরের দুটি গুলি লাগে। জঙ্গি হামলায় আহত হন তাঁর ভাই পিন্টুও। হামলার পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    ঘটনার পরে, উপত্যকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকদিন ধরেই জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত ভূস্বর্গ। রবিবারই নাওহাটায় জঙ্গি হামলায় এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বিহার থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিককেও বান্দিপোরায় গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এই নিয়ে চলতি বছরে ভিনরাজ্যের চার নম্বর বাসিন্দাকে খুন করল জঙ্গিরা। 

    সোপিয়ানের জঙ্গি আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “সোপিয়ানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি।”

     

    ঘটনার নিন্দা করেছেন কাশ্মীরের লেফটান্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “কাশ্মীরের সোপিয়ানের হামলায় গভীরভাবে শোকাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি সমব্যাথী। আহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এই ঘটনার নিন্দা সবার করা উচিৎ। যেই জঙ্গিরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষমা করা হবে না।” 

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলার দায় শিকার করেছে জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (KFF)। মূলত এটি লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন। এদের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে। 

     

     

LinkedIn
Share