Tag: Khalistan

Khalistan

  • Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে ভারত-বিরোধী প্যারেড (Anti India Parade)। তায় আবার যোগ দিলেন খোদ কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডে দেশ থেকে হিন্দুদের ভারতে নির্বাসনের দাবি ওঠে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর পথেই হাঁটছে কানাডা? ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ভারত। সোমবার ভারত নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনের কাছে টরন্টোর ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্যারেডে একটি ট্রাকর ওপর জেলের আদলে কারা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের খাঁচাবদ্ধ কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৮ লাখ হিন্দুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানানো হয় ওই প্যারেডে। দিন কয়েক আগে কানাডার টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল হিন্দু বিরোধী একটি কুচকাওয়াজ। সেখানেই ওঠে কানাডা থেকে হিন্দু বিতাড়নের দাবি। জানা গিয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা এই প্যারেডের আয়োজন করেছিল।

    কানাডাক কড়া বার্তা ভারতের (Anti India Parade)

    সূত্রের খবর, এদিন ভারতের তরফে কানাডার হাইকমিশনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা আবারও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ভারত-বিরোধী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা ঘৃণা ছড়ায় এবং চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে।” কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “জিহাদিরা আমাদের রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে, ইহুদিদের হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।” তিনি (Canada) বলেন, “খালিস্তানিরা সমাজের জন্য সব চেয়ে ঘৃণ্য বিদেশি অর্থায়নের হুমকির বিরুদ্ধে তাদের অর্থের জন্য ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, “মার্ক কার্নির কানাডা কি জাস্টিন ট্রুডোর থেকে আলাদা হবে?” কানাডার ওই সাংবাদিক শন বিন্দা নামে এক ইউজারের একটি এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী হিন্দু বিরোধী ঘৃণা থেকে এই প্রতিবাদ করেছে।

    টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বার

    এক্স হ্যান্ডেলে বিন্দা লিখেছেন, “টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারার কে-গ্যাং নির্লজ্জভাবে ৮ লাখ হিন্দুকে – যারা ত্রিনিদাদ, গায়ানা, সুরিনাম, জামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া ও তার বাইরেও বিস্তৃত – তাদের হিন্দুস্তানে নির্বাসিত করার দাবি করছে। এটি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ নয়, এটি কানাডার সব চেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য কুখ্যাত একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর স্পষ্ট হিন্দু বিরোধী ঘৃণা, তবুও অহংকার করে থাকার অধিকার দাবি করছে।” এর পরেই তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ (Anti India Parade)।”

    হুমকিমূলক ভাষা প্রয়োগ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, “টরন্টোতে আয়োজিত এক প্যারেডে আমাদের নেতৃত্ব এবং কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য চিত্র ও হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা জোরালো ভাষায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”  বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “আমরা কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতবিরোধী সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানাই, যারা বিদ্বেষ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি প্রচার করে চলেছে।” টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে একটি হিন্দুবিরোধী প্যারেড হয়। প্যারেডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি কানাডায় শিখ গুরুদ্বার ও একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থী গ্রাফিতি এঁকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে (Canada)।

    বার বার বিতর্কিত প্যারেড

    কানাডার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে এটিকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রচারিত প্রকট হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ বলে নিন্দা করেন (Anti India Parade)। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার কয়েকদিন পরেই টরন্টোতে হিন্দু বিরোধী প্যারেড হয়। কানাডার জাতীয় নির্বাচনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কার্নি নয়া ম্যান্ডেট পেতে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যিনি তাঁর দলের মধ্যে সমর্থন হারানোর পরে তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন (Canada)।

    বিতর্কিত এই প্যারেডটি হয়েছে ঠিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের কয়েক দিন পরেই। অনেকেই আশা করেছিলেন যে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে উন্নত হবে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Anti India Parade)। এপ্রিল মাসে সারে শহরে বার্ষিক খালসা দিবস বৈশাখী মিছিলেও খালিস্তানপন্থী পতাকা ও ভারতবিরোধী ছবি দেখা গিয়েছিল (Canada)। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ছবিসহ ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার প্রদর্শনের ঘটনায় সেই মিছিলটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয় (Anti India Parade)।

  • Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডো সরে গেলেও খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada) সক্রিয় কানাডায়। এখনও খালিস্তান সমর্থকরা কানাডার বিভিন্ন স্থানে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং মন্দির ও গুরুদ্বারকে লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা তাদের স্লোগান লিখে দিয়ে যায়। সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা হয়। এই ঘটনার পরই ফের কানাডার হিন্দু ও শিখদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য।

    গুরুদ্বারে ভারত-বিরোধী স্লোগান খালিস্তানিদের

    রিপোর্ট অনুযায়ী, খালসা দিওয়ান সোসাইটির গুরুদ্বারে শনিবার ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে হামলা চালানো হয়। এটি রস স্ট্রিট গুরুদ্বার নামেও পরিচিত। গুরুদ্বারের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখরা আমাদের পবিত্র গুরুদ্বারের দেওয়াল বিকৃত করেছে এবং দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লিখেছে। খালসা সাজনা দিবস উপলক্ষে আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। সেখানে একটি গোষ্ঠীর এই কাজ নিন্দনীয়। চরমপন্থী শক্তি শিখদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় এবং এটা ভয় সৃষ্টির চেষ্টা। কট্টরপন্থীরা আমাদের গুরুজনদের আত্মত্যাগ বুঝতে পারছে না। আমাদের প্রবীণরা বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বিভক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না।’উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারটি ১৯০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। রবিবার গুরুদ্বারে নগরকীর্তন ও বৈশাখী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খালিস্তান সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।

    লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা

    গুরুদ্বার ছাড়াও সারে ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada)। সেখানেও দেওয়ালে খালিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে। মন্দিরের মুখপাত্র পুরুষোত্তম গোয়েল বলেছেন যে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরটি কানাডায় হিন্দু ও শিখদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। সেই কারণেই সেই মন্দিরকেও টার্গেট করা হয়েছে। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে এসব স্লোগান লেখা হয়েছে। এর আগেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কানাডার বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছিল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সেই সময় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও গোলমাল ছড়িয়েছিল খলিস্তানিরা।

    হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ

    কানাডায় খালিস্তান (Khalistani Attack on Canada) সমর্থকদের দ্বারা গুরুদ্বার এবং হিন্দু মন্দিরগুলি লক্ষ্য করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা গিয়েছে, তারা গুরুদ্বার এবং লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের বাইরে ভারত-বিরোধী পোস্টার লাগিয়েছে, স্লোগান দিয়েছে এবং মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে। ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন জানিয়েছেন, তারা তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    খালিস্তানি চরমপন্থার ভয়ানক নিদর্শন

    অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে খালিস্তানি চরমপন্থীদের গ্রাফিতি হামলার পর হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারের কাছে এই ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ করার দাবিও জানান। চন্দ্র আর্য এক্স-এ বলেন, “কিছু লোক আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।” চন্দ্র কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্সের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “হিন্দু মন্দিরে বারবার হামলার ঘটনা আজও অব্যাহত। এই সাম্প্রতিক গ্রাফিতি হলো খালিস্তানি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি ভয়ানক নিদর্শন। এই খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলো সংগঠিত, অর্থবলে বলীয়ান এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তারা কানাডায় হিন্দুদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।”

    নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়

    এছাড়াও, তিনি ভ্যাঙ্কুভারের খালসা দেওয়ান সোসাইটি (রস স্ট্রিট গুরুদ্বার) এ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি দেয়ার ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি (MP Chandra Arya) জানান, এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, শিখ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। চন্দ্রর মতে, “খালিস্তানি চরমপন্থীরা আমাদের শিখ ভাইদের পবিত্র স্থানেও হামলা চালাচ্ছে। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। কানাডার হিন্দু-কানাডিয়ানরা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখ-কানাডিয়ান ভাই-বোনেরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সরকারের সকল স্তরের কাছ থেকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা দাবি করুন। নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কানাডায় (Khalistani Attack on Canada) বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কী করবে, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

  • Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন, হিন্দু নিধন’, নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট এই কথা জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাবধারাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসি।

    হিন্দু-নির্যাতন দুর্ভাগ্যজনক

    সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের। উল্লেখ্য, তুলসি গ্যাবার্ড নিজে হিন্দু। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি সহানুভূতিশীল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সর্বত্রই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন তুলসি। তিনি নিজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু নির্বাচিত সদস্য।

    ইসলামিক সন্ত্রাস নিয়ে সরব তুলসি

    আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসার পরে দ্বিতীয় বার বিভিন্ন দেশের সফরে বেরিয়েছেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। রবিবার ভারতে এসেছেন তিনি। সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গেও বৈঠক করেন গ্যাবার্ড। এর পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খলিফার নীতি এবং শাসন চালু করা।’’

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছর অগস্টে গণ আন্দোলনের পরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা (Hindus in Bangladesh) নিশ্চিত করার কথাও বলেছে। গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি জানায়, হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আগেই সরব হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদির উপরেই ছাড়ছেন।

    বাংলাদেশের অভিমত

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন (Hindus in Bangladesh) প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসির (Tulsi Gabbard) কথায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। তুলসির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ১৭ মার্চ রাতেই এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনূসের সরকার বলে, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।’ ঢাকার তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘আরও দুঃখজনকভাবে, তিনি এসব হুমকির শিকড় ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসি গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র

    তবে, ঢাকা যাই বলুক না কেন, বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল ‘আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র’। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। এই আবহে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। ভারত সফরে এসে এবার এই কথাই ফের স্পষ্ট করেন তুলসি।

  • Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছাতে ভারতে এসেছেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। সোমবার তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, সিং ও গ্যাবার্ডের মধ্যে বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে বৈঠকে নাকি রাজনাথ সিং দাবি করেন, মার্কিন নিবাসী খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনটিকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হোক।

    দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন

    সূত্রের খবর, সিং এবং গ্যাবার্ডের মধ্যে এই বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই সফর এবং বৈঠক ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রবিবার ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ৷ সেদিন রাতেই তিনি বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অজিত ডোভালের সঙ্গে। ওই বৈঠকে ডোভাল ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী ছাড়াও ছিলেন ভারতের গোয়েন্দা প্রধান, কানাডার গোয়েন্দা প্রধান, ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। সূত্রের খবর, অজিত ডোভালের সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে ৷ ভারতে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে তুলসি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণই হবে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষা

    ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব শুরু হয় এবং ২০২০ সালে ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় এটি একটি ব্যাপক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উন্নীত হয়। গ্যাবার্ডের এই সফর এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার একটি প্রতিফলন। রাজনাথ সিং এবং তুলসী গ্যাবার্ডের বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়

    এই বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়েও কথা হয়েছে। ভারত সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের দিকে ঝুঁকেছে। লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাগ্রিমেন্ট (LEMOA), কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্ট (COMCASA) এবং বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (BECA)-এর মতো চুক্তিগুলি দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। গ্যাবার্ডের সঙ্গে এই আলোচনা এই সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

    তুলসী গ্যাবার্ড-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্পর্ক

    ৪৩ বছর বয়সী তুলসী গ্যাবার্ড মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য হিসেবে পরিচিত। তিনি হাওয়াই থেকে ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ত্যাগ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এবং এখন তাঁর প্রশাসনে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ভগবদ্গীতার হাতে শপথ নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সেই বইটি উপহার দিয়েছিলেন। গ্যাবার্ড ভারতের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য পরিচিত। তিনি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফর করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন, যা ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।

    খালিস্তান প্রসঙ্গ

    নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) এবং তার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোমবার দিল্লিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে রাজনাথ-গ্যাবার্ড বৈঠকে খলিস্তান-প্রসঙ্গ এসেছে বলেও খবর। জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন খালিস্তান নিয়ে একাধিক বার নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল আমেরিকায়। এমনকি, ওই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে তলব করেছিল আমেরিকার আদালত।

    একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা

    খালিস্তান প্রসঙ্গের পাশাপাশি, ডোভাল এবং রাজনাথের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন, মাদক বিরোধিতা, সীমান্ত নিরাপত্তা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা, যৌনশোষণ রোধ, মানব পাচার, সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি এসেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম কোনও শীর্ষস্থানীয় মার্কিন আধিকারিক ভারত সফরে এলেন। আড়াই দিনের এই সফরে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্কে নিয়ে একাধিক বৈঠক করবেন গ্যাবার্ড। ভারত সফর শেষে তিনি যাবেন জাপান ও সেখান থেকে ফ্রান্সে পৌঁছবেন।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসকে (Republic Day 2025) কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তৎপর পাঞ্জাব (Punjab)। রাজ্যের আনাচে-কানাচে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তল্লাশি ৷ জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) প্রধান গুরপতবন্ত সিং পন্নুন পাঞ্জাবের একাধিক স্কুলকে হুমকি পাঠিয়েছেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে থাকতে এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে হুমকি মেলে

    পাটিয়ালার (Punjab) কিছু স্কুলে সম্প্রতি একটি ইমেল পাঠানো হয়েছিল, যা পান্নুনের নামে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে “বাচ্চারা ঘরে থাকুন – নিরাপদ থাকুন… অভিভাবকরা, এটা একটি কঠোর পরামর্শ: আপনার সন্তানদের পাটিয়ালা পোলো গ্রাউন্ডে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে পাঠাবেন না। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) ২৬ জানুয়ারি পাটিয়ালায় উপস্থিত থাকবে।” এরপরেই পাটিয়ালা-সহ সমগ্র পাঞ্জাবে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    পাঞ্জাবে (Punjab) সক্রিয় শিখস ফর জাস্টিস

    প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আগে খালিস্তানি সংগঠনগুলি বিশেষভাবে পাঞ্জাবে সক্রিয় হয়েছে। ফরিদকোট শহরের প্রধান প্রবেশদ্বারে এবং নেহরু স্টেডিয়ামের কাছে খালিস্তানি পতাকা এবং গ্রাফিটি পাওয়া গিয়েছে, যা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে এই উপাদানগুলি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠান ফারিদকোট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানকার প্রধান প্রবেশদ্বারে খালিস্তানি গ্রাফিটি পাওয়া যাওয়ার পর অনুষ্ঠানটি পাটিয়ালার পোলো গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সরকারের দাবি, অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন কোনো হুমকির কারণে নয়, বরং উড়ান পরিস্থিতির কারণে।

    পাঞ্জাব (Punjab) সরকারকে হুমকি

    ফের ভারত-বিরোধী হুমকি শোনা গিয়েছে খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত পান্নুনের মুখে। ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান ও পাঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদবকে সরাসরি খুনের হুমকি দিয়েছেন পান্নুন। ২৬ জানুয়ারিই তাঁদের উপর হামলা চালানো হবে বলে ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন এই জঙ্গি নেতা। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেই কাজের জন্য পাঞ্জাবের (Punjab) গ্যাংস্টারদের একত্র হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এই ভিডিও বার্তাটি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী হুমকির সুর শোনা গিয়েছে শিখ ফর জাস্টিস প্রতিষ্ঠাতা পান্নুনের মুখে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পতাকা ছেড়ে পান্নুন খালিস্তানের পতাকা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

    মার্কিন মুলুকে পান্নুনের উপস্থিতি

    মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Singh Pannun) সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (US President Trump) অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় লিবার্টি হলে উপস্থিত ছিলেন পান্নুন। দাবি করা হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে পান্নুন আমন্ত্রিত ছিল না। তবে নিজের টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানের টিকিট কিনতে সমর্থ হয়েছিলেন পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)।

    এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, লিবার্টি হলে অনুষ্ঠান চলাকালীন খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান তুলছিল পান্নুন। এরপরই ফের একবার আন্তর্জাতিক স্তরে খালিস্তান নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করবে ভারত। যেখানেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, আমরা বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সরকারকে অবগত করব। যে যে ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা আছে, এবং যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে মুখ খুলবে ভারত।’’

     

  • Digital Terrorism: ৩ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করেছে মোদি সরকার

    Digital Terrorism: ৩ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করেছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের প্রচার চালাতে সমাজ মাধ্যম এখন বড় ভরসা হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের (Digital Terrorism)। সমাজ মাধ্যমেই প্রচার চালিয়ে আর্থিক ফান্ডিংও জোগাড় করে সন্ত্রাসবাদীরা। এবার সেই ডিজিটাল সন্ত্রাসেই বড় আঘাত হানল মোদি সরকার। খালিস্থানপন্থীরা (Khalistan) সমাজ মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালায়, জাতি দাঙ্গায় উসকানি দেয়, এমন অভিযোগ অনেকদিনের। এর পাশাপাশি ইদানিং খালিস্তানের দাবিতে গণভোটেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছিল সমাজ মাধ্যমে। তবে খালিস্তানপন্থীদের এমন অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে মোদি সরকার। তথ্য বলছে, গত তিন বছরে এরকমই ১০ হাজার ৫০০ খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক করতে সমর্থ হয়েছে মোদি সরকার। 

    তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৯(এ) ধারা অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার

    জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০০-এর ৬৯ (এ) ধারা অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপ জাতীয় অখণ্ডতাকে রক্ষা করা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শের প্রচার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর মাধ্যমে আরও একটি বিষয় সামনে আসছে যে মোদি জমানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে দেশে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তির মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তথ্য উঠে এসেছে, গত তিন বছরে ১০,৫০০ খালিস্তানপন্থী ইউআরএল ব্লক (Digital Terrorism) করতে সমর্থ হয়েছে মোদি সরকার।

    তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রেস বিবৃতি

    ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে একটি প্রেস বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা বলছে, ‘‘খালিস্তানের (Khalistan) দাবিতে গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এমন দশ হাজার পাঁচশো ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে। গণভোটের প্রচার করার জন্য অনেক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, সেগুলির অধিকাংশই ব্লক করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই এমন কাজ করা হয়েছে।’’

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ২,১০০টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে 

    প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র খালিস্তানপন্থীদেরই নয়, একইসঙ্গে ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হওয়া কেরলের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ২,১০০টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ ভারতের জঙ্গি সংগঠন বলে পরিচিত এলটিটিই আবার জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলি, পাঞ্জাবের ওয়ারিস পাঞ্জাব ডি, প্রভৃতি সংগঠনের অজস্র অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করা হয়েছে।  কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারতবর্ষে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালায় এমন সংগঠনগুলির মোট ২৮ হাজার ৭৯টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে। এরমধ্যে দেখা যাচ্ছে যে ফেসবুকেই ব্লক করা হয়েছে ১০,৯৭৬টি অ্যাকাউন্ট এবং এক্স হ্যান্ডেল বা সাবেক ট্যুইটারে ব্লক করা হয়েছে ১০,১৩৯টি অ্যাকাউন্ট (Digital Terrorism)।

    কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য দিয়েছে বিগত তিন বছরে সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা নিয়ে তা নিম্নলিখিত-

    ফেসবুক: ২০২২ সালে ১,৭৪৩টি ইউআরএল, ২০২৩ সালে ৬,০৭৪টি ইউআরএল এবং ২০২৪ সালের (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৩,১৫৯টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে।

    এক্স হ্যান্ডেল: ২০২২ সালে ৩,৪১৭ অ্যাকাউন্ট ব্লক, ২০২৩ সালে ৩,৭৭২ অ্যাকাউন্ট ব্লক এবং ২০২৪ সালে ২,৯৫০ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।

    ইউটিউব: গত তিন বছরে মোট ২,২১১টি অ্যাকাউন্ট সামগ্রিকভাবে ব্লক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে ৮০৯টি, ২০২৩ সালে ৮৬২টি এবং ২০২৪ সালে সালে ৫৪০টি।

    ইনস্টাগ্রাম: মোট ২,১৯৮ টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে গত তিন বছরে। 

    হোয়াটসঅ্যাপ: ২০২২ সালে ৬৬টি এবং ২০২৪ সালে ৫৬টি সহ মোট ১৩৮টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে৷

    টেলিগ্রাম: গত তিন বছরে ২২৫টি ইউআরএল ব্লক করা হয়েছে।

    নজরদারি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা

    এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত ইউআরএলগুলিকে (Digital Terrorism) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই ব্লক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই অ্যাকাউন্ট গলির ওপরে নজরদারি চালিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছিলেন, কিছু সাইট এবং অ্যাপে এমন কিছু কার্যকলাপ চলছে যা ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিকে সরাসরি নামেও চালানো হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবার কিছু অ্যাকাউন্ট চালানো হত, যেগুলিতে ঘরে বসে কাজের অফার দেওয়া হত অথবা নানা ইনভেস্টমেন্ট করতে বলা হত। প্রসঙ্গত সরকার যে এমন পদক্ষেপ করতে পারে তা আইটি অ্যাক্টের ৬৯ (এ) ধারাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকার চাইলেই তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, যদি তারা দেখে, কোনও রকমের কম্পিউটার ভিত্তিক তথ্য অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে হামলা, দূতাবাসে হামলা, এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা প্রশাসন (Khaistani Leader Arrested)। এখন আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় চাপে কি ট্রুডোর সরকার (Canada)? ট্রাম্প-মোদি সখ্যতার কথা ভালই জানেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। তাই কি এখন মোদিকে তুষ্ট করতেই একের পর এক খলিস্তানি জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করছে কানাডা পুলিশ। রবিবার, কানাডিয়ান পুলিশ ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ও খালিস্তানি সন্ত্রাসী তথা নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। ২৭ বা ২৮ অক্টোবর কানাডার মিল্টন শহরে একটি গুলি চালনার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় শনিবার ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। 

    ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অর্শ ডাল্লা

    ভারতীয় নিরাপত্তা (Khaistani Leader Arrested) সংস্থার সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই ডাল্লাকে খোঁজা হচ্ছিল। এমনকি, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণাও করা হয়েছিল। এত দিন কানাডায় লুকিয়ে ছিল সে। রবিবার সেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ। গত মাসে মিলটন শহরে একটি গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই ঘটনায় যোগ ছিল অর্শদীপের। আততায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল ডাল্লা-ই। সেই মামলাতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কানাডায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করে অর্শদীপ। তার গ্রেফতারির বিষয়টির উপর গভীর ভাবে নজর রাখছে ভারত। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে বলে খবর। অর্শদীপ ছিল খালিস্তানি টাইগার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। নিহত সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জরের উত্তরসূরি হিসাবেও দেখা হয় তাকে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    দিল্লিতে কানাডা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করেও মুক্তি দেয় কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। মনে করা হচ্ছে, পান্নুনের প্রভাবেই কানাডা পুলিশ মুক্তি দেয় তাঁকে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে ট্রুডোর প্রশাসন। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে কানাডা হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শত শত মানুষ। হিন্দু-শিখ গ্লোবাল ফোরামের ব্যানারে বহু মানুষ মিছিল করে হাই কমিশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাঁরা কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদান মজুত রয়েছে। রয়েছেন খালিস্তানপন্থীরাও। শেষমেশ স্বীকার করে নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এও জানিয়ে দিলেন, এরা (খালিস্তানপন্থীরা) পুরো শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে (Justin Trudeau) না। ওটাওয়ার পার্লামেন্ট হিলে দীপাবলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এই ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র কথা ব্যক্ত করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    জান কবুল ট্রুডোর (Justin Trudeau)

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডার মাটিতে। বছরখানেক আগের সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। তার জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্কে অবনতি হয়। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বার্তা কানাডায় ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রুডো বলেন, “কানাডায় অনেক খালিস্তানপন্থী রয়েছেন। খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদানও মজুত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিখ সম্প্রদায় বলতে সেটি বোঝায় না। মোদি সরকারেরও অনেক সমর্থক রয়েছেন কানাডায়। কিন্তু তাঁরা সার্বিকভাবে কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।” সোমবারও প্রায় একই কথা কানাডার পার্লামেন্টে বলেছিলেন ট্রুডো। যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি, সেই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই ট্রুডো সোমবার বলেছিলেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় শিখদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    ট্রুডোর দেশে ভোট 

    যেহেতু কানাডায় বসবাসকারী শিখদের একটা অংশ খালিস্তানপন্থী এবং শিখদের একটা বড় অংশ ট্রুডোর সমর্থক, তাই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী সব হিন্দু মোদি সরকারের সমর্থক নন।” শিখদের সমর্থনেই এখনও কোনওক্রমে টিকে রয়েছে সংখ্যালঘু ট্রুডো সরকার। এদিকে খালিস্তানপন্থীদের ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ায় নিজের দল লিবারেল পার্টির অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রুডোর নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করলেন ট্রুডো। আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। নানা জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ওই নির্বাচনে হারতে চলেছেন ট্রুডো। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভোট-বৈতরণী পার হতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গলায় এক দিকে যেমন শোনা গিয়েছে সে দেশে খালিস্তানপন্থীদের উপস্থিতির কথা, তেমনি অন্যদিকে শোনা গিয়েছে (Justin Trudeau) প্রচ্ছন্ন মোদি বিরোধিতার সুরও (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share