Tag: Kolkata

Kolkata

  • Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে সোদপুরের বিটি রোডে বিলাসবহুল গাড়িতে গরু পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পাচার হওয়া গরুসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এবার কলকাতার (Salt Lake Kolkata) দুটি জায়গায় গাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে (Salt Lake Kolkata) দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে পাওয়া গেল কয়েক কোটি টাকার মাদক। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে বড় প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজারের বেশি ছোট ছোট প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। সেগুলো শহরেরই নানা জায়গায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে নওডাঙার  অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ মেলে। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন রাখা ছিল। কিছুদিন আগে বিধাননগরের নাওডাঙায় তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোমিন খান ও মেহতাব বিবি নামে ওই দম্পতি ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে বহুমূল্য মাদকের কারবার চালাত। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হত। হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। এই মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর অবধি বিস্তৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃত দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পশুপালনের আড়ালে মাদক তৈরি ও বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাদের কাছ থেকে  প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার শহরে, কোথায় জানেন? Salt Lake Kolkata

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ইএম বাইপাসে (Salt Lake Kolkata) একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে ১২৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের চোখে ধূলো দিতে গাড়ির সিটের নীচে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইমরান বলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্য থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনার একটি জায়গায় গাঁজা পাচার করার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে ধরল পড়ল পাচারকারী। ধৃত ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Missing: বারো বছর ধরে নিখোঁজ!  খুঁজে পেলেন বাড়ির ঠিকানা, কীভাবে?

    Missing: বারো বছর ধরে নিখোঁজ! খুঁজে পেলেন বাড়ির ঠিকানা, কীভাবে?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক বা দুবছর নয়, বারো বছরের বেশি সময় ধরে কোনও খোঁজ  ছিল না শিব নারায়ণ শর্মার। মধ্য প্রদেশের বরেথা গ্রামে তাঁর বাড়ির লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ (Missing) ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু, আর তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন যায়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, শিব নারায়ণ শর্মা রয়েছে। আর তাঁর বেঁচে থাকার খবর পৌঁছাতেই আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের লোকজন। তাঁরা শিব নারায়ণবাবুকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতার উদ্দেশে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন।

    কী করে নিখোঁজ হয়েছিলেন শিব নারায়ণ? Missing

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিব নারায়ণবাবু পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। বাড়িতে মা, বাবা, ভাই সকলেই ছিলেন। তিনি তখনও বিয়ে থা করেন নি। ভাই ছোট ছিল। ট্রাক নিয়ে তিনি ভিন রাজ্যে যেতেন।  বারো বছর আগে তিনি ট্রাক নিয়ে মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন। রাস্তার ধারে একটি ধাবায় খালাসির সঙ্গে তিনি খেতে বসেন। তারপর হাত ধুতে যাচ্ছি বলে তিনি চলে যান। আর তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। গাড়ির মালিক বাড়ির লোকজনকে জানান। বাড়ির লোকজন থানায় মিসিং (Missing) ডায়েরি করেন। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শিব নারয়ণের ভাই ভগবান শর্মা বলেন, দাদা বেঁচে রয়েছে তা আমরা ভাবতে পারিনি। এখন মা, বাবা কেউ আর বেঁচে নেই। ওরা থাকলে আরও খুশি হত। এতদিন পর দাদাকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।  দাদাকে আনার জন্য আমরা রওনা দিয়েছি।

    কী করে খোঁজ মিলল? Missing

    মহারাষ্ট্রে নিখোঁজ (Missing)  হওয়ার পর তিনি একাধিক রাজ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন। পরে, ট্রেনে করে কলকাতায় আসেন। পরে, সেখান থেকে ট্রেনে করে হিঙ্গলগঞ্জ চলে যান। এই বিষয়ে হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল শাখার রাজ্য সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, শিব নারায়ণবাবুকে হিঙ্গলগঞ্জ বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বৃষ্টির মধ্যে ভিচ্ছিলেন। বাজার কমিটির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে, তাঁকে নতুন পোশাক পড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর করেন। পরে, তিনি আমাদের বিষয়টি জানান। আমরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর ছবি পাঠিয়ে দিই। পরে, মধ্য প্রদেশ থেকে তাঁর গ্রামের ঠিকানা পাই। পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। আর শিব নারায়ণবাবুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ১২ বছর আগে মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। গত ১২ বছরে তিনি বিহার, উত্তর প্রদেশ, আসামসহ একাধিক রাজ্য ঘুরে বেরিয়েছেন। এতদিন পর ফিরে পেলেন তাঁর বাড়ির ঠিকানা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: অ্যাডিনো-আতঙ্ক! অযথা কলকাতায় রেফার নয়, জেলা হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ

    Adeno Virus: অ্যাডিনো-আতঙ্ক! অযথা কলকাতায় রেফার নয়, জেলা হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপটে একের পর এক হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। চিন্তার ছাপ অভিভাবকদের চোখে -মুখে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত দুদিনে সরকারি হাসপাতালে নিউমোনিয়া, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বেডের সঙ্কট প্রকট। প্রায় সব হাসপাতালেই পেডিয়াট্রিক আইসিইউয়ের জন্য হাহাকার। কলকাতার হাসপাতালগুলিতে রোগীর চাপ সামলানো দায় হচ্ছে প্রতিদিন। তাই অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) রোগীদের পরিষেবার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার জন্য জেলাগুলিকে পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য ভবন।

    অ্যাডিনো-দাপট ঠেকাতে নয়া নির্দেশিকা

    সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। মূলত অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা করাই ছিল বৈঠকের উদ্দেশ্য। বৈঠকে স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, কলকাতার তুলনায় এই মুহূর্তে জেলাগুলিতে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপট অনেকাংশেই কম। তাই জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে ইচ্ছামতো কোনও রোগীকে রেফার করা যাবে না। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই রোগীদের রেফার করতে হবে। জেলা থেকে রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় অথবা যেখানে তার বন্দোবস্ত রয়েছে, সেখানে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া, জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যু হলে তার কারণ বিশ্লেষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও কি অ্যাডিনোয় আক্রান্ত? নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের

    অ্যাডিনো ভাইরাসের জেরে শিশুদের নয়া ওয়ার্ড

    অ্যাডিনো (Adeno Virus) সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, শিশু ভর্তির সংখ্যা হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে এদিন স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বেলেঘাটা আইডিতে শিশুদের নতুন ওয়ার্ড করা হবে। বিসি রায় হাসপাতালের চাপ কমাতে বেলেঘাটা আইডিতে ৫০ বেডের ওয়ার্ড খুলবে স্বাস্থ্য ভবন। শিশু বিভাগ থাকা হাসপাতালগুলিকে আরও ২ সপ্তাহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে হাসপাতালগুলিকে। কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসকদের জেলাগুলিতে পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের যোগ্যতায় প্রাপ্য চাকরি দিতেই হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। এই দাবিতে আজ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ‘মহাজোট’পথে নামল। সোমবার ৯টি সংগঠনের জোট মঞ্চ পথে নামে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মহামিছিল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই মিছিলের ফলে শিয়ালদহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    মিছিল থেকে দাবি

    এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কেন মহাজোট হবে না ? দেখিয়ে দেব বঞ্চিতদের কতটা শক্তি। সাদা খাতা দিয়ে কীভাবে চাকরি, টাকার বিনিময়ে?’উল্লেখ্য, কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে, যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এঁরা। এবার আর আলাদা আলাদা নয়, একজোট হয়ে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদহ থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল যায় ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল  ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    সুবিশাল মিছিলের জন্য আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যদিও, এক বাস যাত্রী বলেন,“আমাদের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। তবে তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য লড়ছেন। তাঁদের দাবি ন্যায্য। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা উচিত।” অপরদিকে কীতর্ন করতে দেখা যায় কয়েকজন চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি হরিনামের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের আর্তনাদ তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। এই মিছিলের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মধ্য কলকাতা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধীরে ধীরে জমায়েত শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে শহরের ট্র্যাফিক পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • R G Kar Hospital: রোগীর বিছানায় বিড়াল, পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আরজিকরের ‘পরিষেবায়’ বাড়ছে সংক্রমণ

    R G Kar Hospital: রোগীর বিছানায় বিড়াল, পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আরজিকরের ‘পরিষেবায়’ বাড়ছে সংক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিরিশের জয়িতা দত্ত। শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন তিনেকের মধ্যে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। পরিবার জানায়, হাসপাতালে জয়িতার বিছানায় বিড়াল এসে বসতো। খাবারেও মুখ দিয়েছে। আর সেই থেকেই রোগীর সংক্রমণ বেড়েছে।

    বছর পঞ্চাশের রজত মজুমদার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়েই আরজিকর হাসপাতালের বক্ষঃরোগ বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার বালাই নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শৌচালয়ের অবস্থা দুর্বিষহ। আর অপরিচ্ছন্ন শৌচালয় ব্যবহারের জেরে দেহে অন্য সংক্রমণ হয়ে যাচ্ছে। জয়িতা দত্ত কিংবা রজত বাবুর পরিবারের অভিযোগ কোনও ব্যতিক্রম নয়। আরজিকর হাসপাতালের বক্ষঃরোগ বিভাগের অপরিচ্ছন্ন ও নজরদারির অভাবের এমন একাধিক অভিযোগ জমা হচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না। 

    রোগীর পরিবারের অভিযোগ

    রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নীল সাদা বহুতলের ঝকঝকে চেহারা বাইরে থাকলেও, ভিতরের পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। বক্ষঃরোগ বিভাগে নূন্যতম পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। সব সময় কুকুর, বেড়াল ঘুরে বেড়ায়। শুধু ওয়ার্ডের ভিতরে নয়, রোগীর বিছানাতেও কুকুর, বেড়ালের যাতায়াত লেগে থাকছে। রোগীর দুপুর কিংবা রাতের খাবার দীর্ঘক্ষণ খোলা অবস্থায় ওয়ার্ডের বাইরে পড়ে থাকে। সেই খাবার রোগীকে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বেড়ালে কামড়ানোর জেরে রোগী ভোগান্তির ঘটনাও বেড়েছে। এমনকি ডিপথেরিয়ার টিকা নিতে রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোও হয়েছে। রোগীর পরিবারের একাংশের অভিযোগ, রোগী ভর্তির পরেই রোগীদের হাতে একটা করে লাঠি দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, হাসপাতালে বেড়ালের উৎপাত রয়েছে। তাই প্রয়োজনে  লাঠি ব্যবহার করতে হবে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা করাতে গিয়ে, বেড়াল তাড়াবেন, এমন ব্যবস্থায় যথেষ্ট বিরক্ত রোগীর পরিজন।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিন আগেই বলেছেন তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না। এমন পরিস্থিতি তিনি জানেন বলেই চিকিৎসা করাতে যান না। রোগীকে যদি চিকিৎসা করাতে গিয়ে বেড়াল মারতে হয়, আরও নানান রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সেটাকে কি হাসপাতাল বলে? কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব? ” 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বক্ষঃরোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা জরুরি। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়েই অধিকাংশ রোগী ওই বিভাগে ভর্তি হন। তার উপরে যদি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকেন, তাহলে আরও বিপদ বাড়তে পারে। দেহের অন্য কোনও অঙ্গে সংক্রমণ হলে রোগীর প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই এই বিভাগের স্বচ্ছতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। এ বিষয়ে আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য জানান, পরিচ্ছন্নতার দিকে যথেষ্ট নজর দেওয়া হয়। কিন্তু কুকুর, বেড়াল আটকানো সব সময় সম্ভব নয়। তবে রোগীদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IPL 2024: কলকাতায় এলেন মিচেল স্টার্ক, নড়বড়ে শ্রেয়স, কেকেআর-এর অনুশীলনে ঝোড়ো ব্যাটিং সল্টের

    IPL 2024: কলকাতায় এলেন মিচেল স্টার্ক, নড়বড়ে শ্রেয়স, কেকেআর-এর অনুশীলনে ঝোড়ো ব্যাটিং সল্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে এলেন আইপিএলের (IPL 2024) সব থেকে দামি পেসার, বিশ্বজয়ী মিচেল স্টার্ক। রবিবার রাতেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) শিবিরে যোগ দিলেন তিনি।  ইতিমধ্যেই কেকেআর ইডেনে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। রবিবার অনুশীলন ম্যাচও খেলন তারা। ইডেনে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার ফিল সল্ট। অনশীলন ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন তিনি। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে দলনেতা শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স চাপে রাখল কেকেআর কর্তৃপক্ষকে।

    নাইট শিবিরে স্টার্ক

    ন’বছর পর আইপিএলে (IPL 2024) ফিরছেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার পেসারকে এর আগে ২০১৮ সালে ৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল কলকাতা (Kolkata Knight Riders)। কিন্তু সে বার খেলেননি স্টার্ক। তিনি শেষ বার আইপিএলে খেলেছিলেন ২০১৫ সালে। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছিলেন স্টার্ক। দু’মরসুমে নিয়েছিলেন ৩৪টি উইকেট। এবার আইপিএল নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মিচেল স্টার্ককে কিনেছে নাইট রাইডার্স। রবিবার নাইট শিবিরে যোগ দিলেন স্টার্ক। তাঁকে পেয়ে চাঙ্গা কেকেআর শিবির। কেকেআরের প্রথম ম্যাচ ২৩ মার্চ। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ইডেনে। 

    সল্টের ঝোড়ো ব্যাটিং

    রবিবার ইডেনে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে কেকেআর। অনুশীলন ম্যাচে কেকেআর-কে (Kolkata Knight Riders) দু’টি টিমে ভাগ করা হয়েছিল। টিম গোল্ড এবং টিম পার্পল। টিম গোল্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে। ঝোড়ো ব্যাটিং করেন ফিল্ট সল্ট। ৭টি ছক্কার হাত ধরে ৪১ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩২ বলে ৫০ করেন নীতীশ রানা। রিঙ্কু সিং ১২ বলে ৩০ রান করে ফিনিশিং টাচ দেন। ২৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৩২ রান করে টিম পার্পল। ৫ রানে ম্যাচটি তারা হেরে যায়।

    এদিন কেকেআরের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে ইংরেজ ব্যাটার বলেন, “টপ অর্ডারে ব্যাট করে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। দলকে জেতাতে চাই। পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে আমার দায়িত্ব প্রত্যাশার চাপ সরিয়ে খেলা। আমি জানি এখানে সমর্থকেরা জয়ের অপেক্ষায় আছে। শহরে যে ভাবে আমাকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত।”

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    শ্রেয়সের দুর্বল ব্যাটিং

    আইপিএলে (IPL 2024) এবার কেকেআর-কে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। অথচ রবিবার প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা চাপেই থাকবে নাইটরা। এদিন শ্রেয়স নড়বড় করে শুরু করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান। বাঁ-হাতি স্পিনার সুয়াশ শর্মার বলে ফিল সল্ট তাঁকে স্টাম্পড আউট করেন। এদিন অফ স্টাম্পের বাইরের বল একেবারেই খেলতে পারছিলেন না শ্রেয়স। স্পিনারদের বলেও নড়বড় করতে দেখা যায় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণার পর্ব শুরু হলেও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। বাংলায় নির্বাচনের সময় যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে এবং ভোটারদের আস্থা ফেরাতে মার্চ মাসের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে এ রাজ্যে। 

    এই মর্মে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। জেলায় জেলায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার রাস্তা ধরে রুট মার্চ করছেন জওয়ানরা। এই বাহিনীর মধ্যে কোন কোন জেলায় কত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাতে।

    উত্তর ২৪ পরগনায় কত (Lok Sabha Election 2024)?

    উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র বসিরহাটেই মোতায়েন রয়েছে ৫ কোম্পানি। এছাড়া, বারাসতে ৩, বনগাঁয় ৩, বারাকপুরে ৬, বিধাননগরে ৪ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। এই জেলার সব জায়গায় বিএসএফ বাহিনী থাকবে। কেবলমাত্র বিধাননগরে সিআরপিএফ রাখা হবে।

    দক্ষিণবঙ্গে আর কোথায় কত?

    অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবাড়, সুন্দরবনে মোট ৯ কোম্পানি বাহিনী রাখা হবে। একই সঙ্গে বাঁকুড়ায় ৪, বীরভূমে ৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে। আবার নদিয়া জেলায় ৮ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮, পশ্চিম বর্ধমানে ৬, পূর্ব বর্ধমানে ৪, পুরুলিয়ায় ৪  এবং ঝাড়গ্রামে ৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কলকাতায় কত বাহিনী (Lok Sabha Election 2024)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ কোম্পানি বিএসএফ এবং দুই কোম্পানি সিআরপিএফ। হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে হুগলির চন্দননগরেই রয়েছে ৫ কোম্পানি বাহিনী।

    উত্তরবঙ্গে কত (Lok Sabha Election 2024)?

    দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এর মধ্যে দার্জিলিঙে ৭ কোম্পানি, কোচবিহারে ৫ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৩ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে চার কোম্পানি, কালিম্পঙে ২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। উত্তর-দক্ষিণ দুই দিনাজপুরে থাকবে মোট ৭ এবং ৪ কোম্পানি। মালদায় মোতায়েন করা হবে ৭ কোম্পানি বাহিনী।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: ফের জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তের রঙিন ছোঁয়া আকাশে-বাতাসে। মনোরম আবহাওয়া (Weather Update)। সকালে সন্ধ্যে ঠান্ডার আমেজ। বেলা বাড়লে, সোনা রোদের দেখা মিলতেই বাড়ছে তাপমাত্রা। এরই মধ্যে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বৃষ্টি হলেও তার মধ্যে সারা রাজ্যের তাপমাত্রা এক লাফে অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    শহরের তাপমাত্রা

    সোমবার সকাল থেকে আকাশ মূলত পরিষ্কার রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে তিন ডিগ্রি কম। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া (Weather Update) অফিস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ২৮ থেকে ৮৭ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকলেও মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এক লাফে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার মেঘলা আকাশ ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডার্বি জিতে আইএসএল টেবিলের শীর্ষে মোহনবাগান, চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের

    বৃষ্টির সম্ভাবনা

    বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বিভিন্ন জেলা। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা। তা ছাড়া কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও দিনাজপুরে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকাতেও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Bengal: রাজ্যে ফের প্রধানমন্ত্রী, বুধে সভা বারাসতে, থাকবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা?

    Modi in Bengal: রাজ্যে ফের প্রধানমন্ত্রী, বুধে সভা বারাসতে, থাকবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল-সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Bengal)। বুধবার বারাসতে জনসভা করবেন তিনি। সেই কারণেই এদিন এলেন শহরে। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে যান রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। এখানেই ভর্তি রয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নবতিপর প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। তাঁকে দেখতেই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী।

    স্বামী স্মরণানন্দকে দেখতে হাসপাতালে মোদি

    রামকৃষ্ণ মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। ৭টা ১৩ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রওনা দেয় রাজভবনের উদ্দেশে। এখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। বুধবার সকাল থেকেই গুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (Modi in Bengal)। এদিন সকালে হাওড়া-ধর্মতলা রুটে মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি 

    এর পাশাপাশি ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড সহ মোট তিনটি মেট্রো রেল রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে দমদম বিমানবন্দর চত্বর থেকে ১১ কিলোমিটার রোড শো করে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন বারাসতের কাছারি ময়দানে। বেলা ১১.৩০টা থেকে ১২.৩০টা পর্যন্ত থাকবেন এখানকার জনসভায়।

    প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়ই দেখা যেতে পারে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। পার্টি মিটিংয়ের অছিলায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দলবল এলাকার সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিস কিংবা বাগানবাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ। তার পর চলত নির্যাতন। প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো হত। এই নির্যাতিতারাই মুখ ঢেকে উপস্থিত হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সভায়। তাঁকে শোনাতে পারেন শাহজাহানের দলবলের অত্যাচারের কাহিনি।

    আরও পড়ুুন: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    বারাসতের মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রওনা হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন ১টা বেজে ৫ মিনিটে। ১টা বেজে ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান রওনা দেবে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে। আগামী ৯ মার্চ তৃতীয় দফায় রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন শিলিগুড়িতে একদিকে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। পরে যোগ দেবেন দলীয় সমাবেশে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই একবার বাংলা সফর করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। হুগলির আরামবাগ এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করেছেন তিনি (Modi in Bengal)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share