Tag: Kolkata

Kolkata

  • MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন (MLAs Salary) সংক্রান্ত দুটি বিল পাশ করাতে সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে রাজ্য সরকার। আজ, দ্বিতীয়ায় দুটি আইনে সংশোধনী আনার চেষ্টায় রাজ্য। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করবে বলে আগেই জানিয়েছিল। তারা এই অধিবেশনে থাকবে না ভাবলেও শেষবেলায় সিদ্ধান্ত বদল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁরা সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের হাজির থাকবেন। 

    পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি অধিবেশন

    দুটি বিল সংক্রান্ত নথি রাজভবনে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি রাজ্যপালের। ফলে অধিবেশনে বিল উত্থাপন করা বা টেবিল করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রবিবার এই অধিবেশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কাল সকাল ১১টায় সবাইকে ডেকেছি। আমরা ভিতরে ঢুকব। জোরালো ভাবে বিলের বিরোধিতা করব।’ গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৃদ্ধির প্রস্তাব ছাড়পত্রের জন্য দু’টি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্যই কার্যত পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি একদিনের অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন:কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কেন বিলের বিরোধিতা

    আজই, পুজো উদ্বোধনের জন্য শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই এই অধিবেশনে না থাকার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, দলের বিধায়কদের একাংশ চাইছেন, বিলগুলি নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ রাখতে। সে কারণে তাঁরা শেষ মুহূর্তে অধিবশেন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণকে বার্তা দিতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। বিজেপির যুক্তি রাজ্য সরকার চাকরি দিতে ব্যার্থ। কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিতে অসমর্থ। আর মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়াতে তৎপর। তাই এই বিল নিয়ে বিরক্ত বিজেপি। তাই, বিজেপি বিধায়কদের বিরোধিতায় বিল আলোচনার সময় উতপ্ত হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Puri Flight: পুরীতে হচ্ছে বিমানবন্দর! এক ঘণ্টায়ই যাওয়া যাবে জগন্নাথ দর্শনে

    Kolkata Puri Flight: পুরীতে হচ্ছে বিমানবন্দর! এক ঘণ্টায়ই যাওয়া যাবে জগন্নাথ দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র এক ঘণ্টা লাগবে জগন্নাথ দর্শনে যেতে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই হতে চলেছে। পুরীতে (Kolkata Puri Flight) শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছে ওড়িশা সরকার। প্রয়োজনীয় জমির ছাড়পত্র দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টস নীতি, ২০০৮ অনুযায়ী বিমানবন্দর তৈরির ছাড়পত্র চেয়েছিল মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। বছরখানেক আগে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দিয়েছিল ওড়িশা সরকার। সম্প্রতি সেই ছাড়পত্র মিলেছে। আগামী দু’ বছরের মধ্যে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের স্টিয়ারিং কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিপিআর সহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

    বিমানবন্দর নির্মাণে ব্যয়

    বিমানবন্দরের জন্য পুরী জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্রহ্মগিরি তহসিলের অধীনে সিপাসরুবালি ও সন্ধ্যাপুরে ৬৮ একর বনভূমি ও ২২১.৪৮ একর ব্যক্তিগত জমি সহ প্রায় ১,১৬৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেহেতু প্রস্তাবিত জমিতে কোথাও বসতি নেই, তাই পুনর্বাসন দিতে হবে না। বিমানবন্দরটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। 

    সাইট ক্লিয়ারেন্সে ছাড়পত্র

    বিমানবন্দর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা বলেন, “বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত জমি বাছাইয়ের পর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে জমির মালিকদের কাছ থেকে। কিছু সরকারি জমিও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইট ক্লিয়ারেন্সে ছাড়পত্র মেলায় কাজের গতি এবার বাড়বে।”

    আরও পড়ুুন: ইজরায়েলের হানায় হত নুখবার শীর্ষ কমান্ডার, এবার হামাসের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিধন!

    প্রতিদিন (Kolkata Puri Flight) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু পুণ্যার্থী আসেন জগন্নাথ দর্শনে। এখন তাঁদের যেতে হয় ট্রেন কিংবা বাসে করে পুরী স্টেশন। সেখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে যেতে হয় দেব দর্শনে। আর যাঁরা দূর-দুরান্ত কিংবা বিদেশ থেকে আসেন, আকাশ পথে তাঁরা এসে নামেন ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে। তার পর গাড়ি ধরে আসতে হয় পুরী। এতে পয়সা এবং পরিশ্রম দুইই খরচ হয় বেশি। সেই কারণেই পুরীর কাছাকাছি কোনও এলাকায় বিমানবন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছিল ওড়িশা সরকার। সেই মতো জমা দেওয়া হয় কাগজপত্র। জানা গিয়েছে, কলকাতা-পুরী (Kolkata Puri Flight) রুটে বিমান চলাচল শুরু হলে ঘণ্টাখানেক সময় ব্যয় করলেই পৌঁছে যাওয়া হবে শ্রীক্ষেত্র পুরীতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    ED: মিথিলেশের জায়গায় মুকেশ! এসেই কাজ শুরু ইডির নয়া অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ইডির নয়া তদন্তকারী আধিকারিক কাজ শুরু করলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির সময়ে মিথিলেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর বদলেই এলেন ইডি-র নতুন তদন্তকারী অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুকেশ কুমার।  ইতিমধ্যেই দায়িত্বগ্রহণ করেছেন তিনি। কোন পথে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগোবে সেই নিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের পাশাপাশি দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সাথেও তিনি কথা বলেছেন।

    কেন নতুন আধিকারিক

    সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডি-র তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ কুমারকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। শুনানিতে একাধিক কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। ইডি-র আধিকারিককে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের তদন্ত করার জন্য কি আদৌ প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর? তিনি কি আসলে এই তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কর্তা মিথিলেশ কুমারের নেতৃত্বে এতদিন ধরে তদন্ত স্লথ গতিতে চলেছে। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব তার বদলে নতুন অফিসার নিয়োগ করার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। ৩ অক্টোবর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশের পরই ইডির নতুন তদন্তকারী অফিসার মুকেশ কুমার দায়িত্বে এসেছেন।  

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করাই লক্ষ্য

    সূত্রের খবর, মুকেশ কুমার ছাড়া আরও একজন তদন্তকারী অফিসারকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যিনি মুকেশের সহযোগী হিসাবে কাজ করবেন। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে মুকেশ কুমার বাকি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি-র সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার কেস ডায়েরি হস্তান্তরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মুকেশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন, তাতে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়বেন। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায়ের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার কামদুনি (Kamduni Case) যাচ্ছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবার ও বান্ধবী মৌসুমী কয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।  সম্প্রতি কামদুনিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি জানান, সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ বিনা পয়সায় এই মামলা লড়বেন সুপ্রিম কোর্টে। 

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাত

    কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, ‘রাজ্য নাটক করছে। লোক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে আর এখানে ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দিচ্ছে। কামদুনির বোনের পরিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। আইনি সহায়তা সহ সব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি।’

    শীর্ষ আদালতে ধাক্কা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি। কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) এখনই কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নোটিশ জারি করে। সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সাতদিন বাদে সুপ্রিম কোর্ট কামদুনি কেসের পরবর্তী শুনানি।

    কামদুনির ঘটনা প্রবাহ 

    ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির (Kamduni Case) বুকে হওয়া এই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। ৭ জুন দিনে দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে যান। সেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের একজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি দু’জনের আমৃত্যু কারাবাস হয়। অন্যদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের একজনকে বেকসুর খালাসের পাশাপাশি আরও দু’জনের সাজা রদ করা হয়। তারই প্রতিবাদে ফের গর্জে ওঠে কামদুনি। পুলিশ, সিআইডির ভুল রিপোর্টের কারণে এই রায় বলে দাবি করেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মামলা লড়বেন বাঁশুরি স্বরাজ

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত বলেন, “নির্যাতিতার মা চাইছেন ওনার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ হয়েছে তার বিচার হোক। সেই বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যেতে হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা আশ্বস্ত করছি আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করব। নাম করা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ রাজি হয়েছেন। তিনি বিনা পয়সায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন। তাছাড়া আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথাও বলে এসেছি, রাজ্য সরকার ওনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে আমরা আপাতত ২-৩টি বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। গ্রামবাসীদের উপর গুলি চলেছে, মার খেয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দরকার।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জমিদারি’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার অর্থ তৃণ মূলে পৌঁছে যাওয়া। তৃণমূল কি তাহলে অন্যদের তৃণ মূলে পৌঁছতে বাধা দিতে চায়? কিসের ভয় তাদের? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’’

    রাজ্যপালের কড়া জবাব

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তখন ঘুরে দেখেছেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাজ্যের মানুষের কষ্টের কথা শুনেই বাংলায় ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে দিল্লি থেকে সোজা সেখানে যান তিনি। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের দিল্লি ফিরে যান তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীতে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যপাল পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন।’’ সেচমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের উত্তর, ‘‘মানুষ যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, আমি সেখানে যাব। উনি অন্তত পর্যটক হিসাবে হলেও এখানে থাকতে পারতেন। এখানে এলে উনি বুঝতেন, এখানে রাস্তা নেই। রাস্তা সব ভেসে গিয়েছে। আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।’’

    আরও পড়ুন: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    নব্যজমিদারি অভিমত বোসের

    অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, ‘‘জমিতে বা মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। বরং, জমিতে না নেমে শহরের বিলাসী আস্তানায় বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নব্যজমিদারি। রাজ্যপালের কাছে এই মাটি এবং তার মানুষ পবিত্র।’’ আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। বরাবরই আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপের পথ বদল! আগামী ৩ দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা 

    Weather Update: নিম্নচাপের পথ বদল! আগামী ৩ দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালবেলা ঘুম ভাঙতেই আকাশে মেঘের গর্জন সঙ্গে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে যেতেই সমস্যা। কোনও কোনও জায়গায় তো বৃষ্টি হল ধোঁয়ার মতো। শনিবার থেকে শুরু হয়েছিল বৃষ্টিপাত। তারপর থেকে আর বিরাম নেই। এরই মধ্যে ইউ টার্ন নিয়েছে নিম্নচাপ। ফলে এখনই বৃষ্টিপাত কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার কিছুটা আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। শনিবার থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৃষ্টিতে জেরবার জনজীবন

    মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা। বুধবার সকালেও তার ব্যতিক্রম নেই। নাজেহাল জনজীবন। দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুজো যত এগিয়ে আসছে আকাশের মুখ যেন ততই গোমড়া হচ্ছে। বুধবার উত্তর কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে হাট বসে। পুজোর আগে বৃষ্টিতে পণ্ড বিকিকিনি। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ হাওড়া এবং নদিয়া জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় আজ সারাদিন বৃষ্টি চলবে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও কখনও ভারী আবার কখনও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    নিম্নচাপের ইউটার্ন

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এর আগে পৌঁছয় ছত্তিশগড় সংলগ্ন এলাকাতে। কিন্তু, সেখান থেকে ফের নিম্নচাপ ইউটার্ন নিয়েছে। ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে তা অবস্থান করছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ কমপক্ষে শুক্রবার পর্যন্ত মেঘলাই থাকবে। শনিবার থেকে কিছুটা হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়ায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

    কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সারা দিন জুড়েই কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু’-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম এবং বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮৮ শতাংশ। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে।

    আরও পড়ুন: ফের তথ্য গোপন রাজ্যের! ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর এবার বঙ্গে হানা চিকুনগুনিয়ার

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা-সহ উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের (C V Ananda Bose) দীর্ঘ সংঘাত চলছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যস্থতায় আসরে নামতে হয়েছে শীর্ষ আদালতকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির (Search Committee) প্রতিনিধিদের তালিকা তৈরি। তাঁদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করা হবে। জানালেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যপাল

    উপাচার্য-নিয়োগ নিয়ে রাজ্য়পাল-রাজ্য় সরকার সংঘাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত  নেয় সর্বোচ্চ আদালত।স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে এবার সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। তিন পক্ষই থাকবে তাতে রাজ্য় সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি। ১০ দিনের মধ্য়ে সব পক্ষকে ৩ থেকে ৫ জন বিশিষ্ট ব্য়ক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতির দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি-কে, ৩-৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল (C V Anand Bose) জানান, কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ! আরও বাড়বে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ?

    গোপন চিঠি নিয়ে রাজ্যপাল

    ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের গতি আনতে বদ্ধপরিকর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য দূর করতেও সচেষ্ট তিনি। এদিন নবান্ন আর দিল্লিতে মাঝরাতে পাঠানো নিজের দুটো কনফিডেন্সিয়াল চিঠি নিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rain Forecast: উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস! শরতের শুরুতে কেন বৃষ্টি?

    Rain Forecast: উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস! শরতের শুরুতে কেন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জোড়া ফলা কী কারণে এত বৃষ্টি ? শরতের শুরুতে কেন এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা? বর্ষাকালে সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। পুজোর আগে শেষ লগ্নে বর্ষার ঝড়ো স্পেলে ব্যহত জীবনযাত্রা। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মুষলধারায় বৃষ্টির জন্য খানাখন্দ ভরা শহরের রাস্তার হাল খারাপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টাও টানা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতেও।

    কেন অসময়ে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে এর বর্তমান অবস্থান। এটি এরপর ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে স্থলভাগের মধ্যে দিয়ে ঝাড়খন্ড অতিক্রম করবে। অন্যদিকে, মৌসুমী অক্ষরেখা রাঁচির উপর দিয়ে বাংলা ওড়িশা উপকূলের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরেই প্রবল বর্ষণের সম্ভাবন বঙ্গের একাংশে।

    ব্যহত জীবনযাত্রা

    পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই।  তার আগে বৃষ্টির ফলে বিঘ্ন ঘটছে পুজোর বাজারেও। মাসের শুরুতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠতে শুরু করেছিল পুজোর বাজার। কলকাতাতেও পুজোর বাজার নিয়ে দোকানদারদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। তার মধ্যে নিম্নচাপ হওয়ায় তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিক্রেতাদের কপালে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি না থামলে শনি, রবিবারও পুজোর বাজারে মন্দা দেখা দেবে মত হাতিবাগান-গড়িয়াহাটের ছোট ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টির ফলে  নীচু জায়গায় জমতে পারে জল।  দিনভর বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা বাসিন্দাদের মনে। রাস্তায়ও যানজট চোখে পড়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    কবে থেকে কমবে বৃষ্টি

    আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ২০, ২১ ও ২২ তারিখ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হলেও, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় আজ ও আগামীকাল মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। আজ ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা  ৮৫ শতাংশ।

    উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত এরকমই থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির দাপট চলতে পারে সোমবার পর্যন্ত। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Import: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    Hilsa Import: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির (Hilsa Import) ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এগ্রিমেন্ট সই সাবুদের পর এবার পাতে বাংলাদেশের ইলিশ পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৭০ জন ভারতীয় আমদানিকারকের হাত ধরে ২১ থেকে ২৫টি কনসাইনমেন্টে রাজ্যে আসছে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ (Bangladeshi Hilsa)। 

    পুজোর আগেই পাতে ইলিশ

    ২০২২ সালে ৩৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির (Hilsa Import) অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল অক্টোবরে। ফলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে এই দেশের আমদানিকারীরা শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পেরেছিলেন মাত্র ৩০০০ মেট্রিক টন। এবার জুলাই থেকেই তাই আমদানিকারীদের চেষ্টা ছিল বেশি সময় ধরে বা সময় এগিয়ে এনে ধাপে ধাপে গোটা কনসাইমেন্ট ঘরে তোলার। দু’দিন দেরি হলেও, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা ষোলো আনা রয়েছে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে ধাপে ধাপে মোট ২১ থেকে ২৫টি আলাদা কনসাইনমেন্টে  প্রায় ৭০ জন আমদানকারির হাত ধরে মোট ৩৫০০ থেকে ৪০০০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ (Bangladeshi Hilsa) এই রাজ্যে ঢুকবে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। 

    ইলিশের চাহিদা বাংলায় বেশি

    বাংলাদেশের ইলিশের (Bangladeshi Hilsa)চাহিদা এ রাজ্যেই সবথেকে বেশি। যদিও ইলিশ রফতানিতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেই কারণে এবার অনেক আগে থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওপারের ইলিশ আনার (Hilsa Import) প্রচেষ্টায় ছিলেন। ভারতে এবার ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে হাসিনা সরকার। এর মধ্যে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যাচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ মেট্রিক টন ইলিশ। বাকি পুরোটাই এই রাজ্যের বাঙালির পাতে।

    আরও পড়ুুন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ 

    দাম মধ্যবিত্তের নাগালে

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই পেট্রাপোলে সীমান্তে চলে আসছে অনুমোদিত কয়েক টন ইলিশ (Hilsa Import)। এ নিয়ে ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের তরফে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি পেয়েছি। আগামিকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে বাংলাদেশের ইলিশ (Bangladeshi Hilsa)। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানিকৃত ইলিশ চলে আসবে এ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে।’’ তিনি জানান, শনিবার থেকে পাইকারি বাজারে ঢুকে পড়তে পারে বাংলাদেশি ইলিশ। শুরুর দিকে দাম হয়তো একটু বেশি থাকবে। ১ কেজি ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। ৭০০ গ্রামের ইলিশগুলো ৭০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে,বলে জানান তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share