Tag: Kolkata

Kolkata

  • Mysterious Light: কলকাতার আকাশে রহস্যময় আলো, কীসের সংকেত?

    Mysterious Light: কলকাতার আকাশে রহস্যময় আলো, কীসের সংকেত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আকাশে রহস্যময় আলো (Mysterious Light)! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের আকাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা গেল আলোর আভা। যা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে। কলকাতা-সহ বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু করে বর্ধমান বা উত্তর ২৪ পরগনা, সর্বত্রই এই আলো দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    শীত পড়তে না পড়তেই দিন ছোট হতে শুরু করেছে। বিকেল ৫ টার পরেই ডুবে যাচ্ছে সূর্য। এদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার আশপাশে অর্থাৎ সন্ধ্যার আকাশে আলো (Mysterious Light) দেখতে পান বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কেউ বলছেন কয়েক মুহূর্ত দেখা গিয়েছে ওই আলো, কেউ বলছেন আকাশে প্রায় তিন মিনিট ধরে আলো দেখা গিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন। অনেকেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইতিমধ্যেই। 

    কী জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? 

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আলোর তীব্রতা ছিল অত্যন্ত বেশি, দেখতে অনেকটা সার্চ লাইটের (Mysterious Light) মতো। আলোর ফোকাস ছিল ওপরের দিকে। অন্ধকার আকাশ রীতিমতো কয়েক মুহূর্তের জন্যে আলোয় ভরে যায়। এই রহস্যময় আলো নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কেউ উল্কাপাতের সম্ভাবনার কথা বলছেন, কারোর মনে হয়েছে কোনও বিমানে আগুন লেগে গিয়ে থাকতে পারে। একটিই উৎস থেকে আলো আসছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আলোর উৎস সম্পর্কে সঠিক করে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: চার বছরের স্নাতকের পরেই পিএইচডির সুযোগ, নুতুন নিয়ম আনছে ইউজিসি    

    কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী বলেন, “ছবি দেখে তাঁর মনে হয়েছে, এটি কোনও উল্কাপাত নয়। উল্কাপাতে সাধারণত এত তীব্র আলো (Mysterious Light) দেখা যাওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া উল্কাপাত হয় কয়েক মুহূর্তের জন্য, তাই এতগুলি জায়গা থেকে একসঙ্গে প্রায় ৩ মিনিটের জন্য সেই দৃশ্য দেখা যাওয়া সম্ভব নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Air Pollution: দিল্লি দূরে নয়! কলকাতার কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি

    Air Pollution: দিল্লি দূরে নয়! কলকাতার কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতেই শহরে বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। বায়ুদূষণে এবার দিল্লিকে ছুঁতে বসেছে কলকাতা। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কলকাতার কিছু এলাকায় দূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি। বাতাসে দূষণের পরিমাণ কতটা তা দেখা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে,এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI  শূন্য থেকে ৫০ হলে, সেখানকার বাতাসের মান ভাল।  AQI ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে হলে তা satisfactory বা সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০ হলে তা মডারেট বা পরিমিত। AQI ২০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত থাকলে সেখানকার বাষুদূষণ poor বা খারাপ। এই বাতাসে বেশিক্ষণ থাকলে ফুসফুসের সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তা ভীষণই উদ্বেগের। এরকম জায়গায় বেশিক্ষণ নিঃশ্বাস নিলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। আর AQI ৪০১- ৫০০ হলে তা সিভিয়ার, মারাত্মক উদ্বেগের। সারা বছর AQI ২০০-র আশপাশে ঘোরাফেরা করলেও, শীতের সময় দূষণের মাত্রা বাড়ে।  গত ২ দিনে, কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় দেখা যাচ্ছে, AQI ৩০০-র ওপরে।

    কলকাতার এখন অবস্থা

    ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দূষণের মাপ ধরা পড়েছে অনেকটাই বেশি। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার এই বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা। দীপাবলিতে মহানগরে যে পরিমাণ দূষণ ছিল ডিসেম্বরের প্রথম রবিবার তা ছাপিয়ে গেল৷ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, রবিবার শহরে দূষণের সূচক ছিল ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই-এর মধ্যে। এখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দূষণের সূচক ছিল ৩২৮ একিউআই। যাদবপুরে ৩১৩, সল্টলেকে ৩০২, বালিগঞ্জে ২৯৯ এবং আরবিইউতে ছিল ২৯১ একিউআই। এই অবস্থায় বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের শারীরিক সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। বায়ুদূষণ নিয়ে বোস ইনস্টিটিউটের পূর্বাভাস, ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর শীতে কলকাতায় বায়ুদূষণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুন: মাত্রা ছাড়া বায়ুদূষণ দেশের রাজধানীতে, স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল

    নিয়ন্ত্রণের উপায়

    বোস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে দূষণ কম ছিল৷ কিন্তু, করোনা কাটার পরেই দূষণও বেড়েছে। এই অবস্থায় দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই ইনস্টিটিউটের মতে, ২০২৩ সালে রাজ্যে এরোসল দূষণ ৮% বৃদ্ধি পাবে। যা এরোসল দূষণের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ রেড জোনে ঢুকে পড়বে। দেশে এরোসল দূষণের ক্ষেত্রে বিহারের পরেই পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করবে। গবেষণাপত্রে পশ্চিমবঙ্গের এরোসল দূষণের পরিমাণ কমানোর জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে। চিরাচরিত জ্বালানির পদ্ধতি থেকে তৈরি হওয়া দূষণ এরোসেল দূষণের প্রধান কারণ। সম্প্রতি এলপিজি দাম বৃদ্ধির ফলে গরিব মানুষেরা আবার চিরাচরিত কাঠ, কয়লা দিয়ে রান্নার পদ্ধতিতে ফিরে গেছে। পাশাপাশি রাস্তার ধারে খাবারের দোকানগুলির সংখ্যাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলি বন্ধ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। যদিও ঘেরাও তুললেও তাঁরা কিন্তু আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হচ্ছে। যদি কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত আগামী ২২ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিধি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ঘোষণা না করেন তবে তাঁরা আমরণ অনশনে সামিল হবেন। 

    ছাত্রদের দাবি

    ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। পূর্ব নির্ধারিত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন চেয়ে পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করেন। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

    আরও পড়ুন: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    রোগী পরিষেবা

    ছাত্র বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজন। প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত ছিল অস্ত্রোপচারও বলে দাবি করেন বেশ কিছু রোগীর পরিজনেরা। তবে দেড় দিন পর ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় প্রধানরা রোগী দেখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা ফের অনশনে বসলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ মার্কেট (New Market) এলাকার কয়েকটি রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ দখল হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দেবাশিস কুমার টাউন ভেন্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নিউ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন হকার (Hawker) পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এদিন নিউ মার্কেট চত্বর জুড়ে হকারদের জন্য তৈরি সমস্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজও করেন তিনি। দেবাশিসের সঙ্গে ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য এবং নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে এস এস হগ মার্কেট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুর সেক্রেটারি হরিহর প্রসাদ মণ্ডল এবং নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন দেবাশিস।

    পার্কিং লট…

    নিউ মার্কেট (New Market) এলাকায় রয়েছে বার্ট্রাম স্ট্রিট। এখানেই রয়েছে পার্কিং লট। এই রাস্তার পার্কিং লটের প্রায় পুরোটাই দখল করে ফেলেছেন হকাররা। এই সব হাকারের এই ব্যবসা ছাড়াও চার-পাঁচটি সারিতে ব্যবসা রয়েছে। দেবাশিস কার পার্কিং দফতরের চার্জেও রয়েছেন। পার্কিং লটের দুরাবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ডেকে পাঠান পার্কিং অ্যাটেনডেন্টকে। কথা বলেন তাঁর সঙ্গেও। নিউ মার্কেট প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট। এদিন যে সব এলাকায় সমীক্ষার কাজ হয়, সেগুলি হল বার্ট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্লেস, লিন্ডসে স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    নিউ মার্কেট (New Market) চত্বর পরিদর্শনের পর দেবাশিস কথা বলেন হকারদের প্রতিনিধির সঙ্গে। হকারদের রাস্তা দখলের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করেন। পুরসভার এ সংক্রান্ত নিয়ম কানুনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁকে। প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট চত্বর পরিদর্শন শেষে এদিন দেবাশিস বলেন, গাড়ি চলার রাস্তা এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন একদল হকার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি এটাও লক্ষ্য করলাম যে কার পার্কিংয়ের জায়গাটাও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আমরা টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই রিপোর্ট দেব। কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করব।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শপথবাক্য পাঠে বাংলার মানুষের ভালো-মন্দের দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিলেন নয়া রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন তিনি। নয়া রাজ্যপালের সময় অনুযায়ী, তিনি পরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার কথা জানান।

    রসগোল্লা উপহার

    আগের রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না রাজ্যের।  সিভি আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবারের নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। তাই শপথ গ্রহণের দিন সকাল সকাল এক হাড়ি রসগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে ১০০টি রসোগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিক্ততা ভুলে মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই, তাঁর যোগ্যতা-অভিজ্ঞতাকে যেন কাজে লাগায় রাজ্য সরকার’। তিনি আরও বলেন,“আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায় ।” 

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    কালীঘাট মন্দির দর্শন

    শপথগ্রহণের আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে মায়ের দর্শনও করেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমে কালীঘাট প্রসাদের দোকানগুলির সামনে দেখা যায় তাঁকে। তারপর মায়ের পুজো দেন। মায়ের পুজো দেওয়া পর গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুরোহিতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান,মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন । বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। তবে মায়ের আরতির আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের হোস্টেল পাওয়ার নিয়ম বাড়ির দূরত্ব অনুযায়ী। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা না দিলে হোস্টেলের ঘর পাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে জুটছে শারীরিক হেনস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital)। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি হতেই হোস্টেলের জন্য আবেদন জমা পড়ে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, সেই আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিক করে,কার হোস্টেলের আবেদন মঞ্জুর হবে। 

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের (Sagar Dutta Hospital) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তাদের জানানো হয়, ছাত্র নেতাদের ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তবেই তাদের আবেদন মঞ্জুর হবে। ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ ও ডিনের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও এর কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রতিবাদ করলে শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা  যে হোস্টেলে থাকেন,তাঁদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাঁদেরকে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ভুক্তভোগী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরাও পাশে থাকছেন না। তাই ডিনকে বারবার সমস্ত ঘটনা জানালেও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। এরকম হেনস্থা চললে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে কোর্স শেষ করব জানি না। প্রতি রাতে হোস্টেলের ঘরে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ” 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    হাসপাতাল প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়েই পরোক্ষে কাজ করে এ অভিযোগ ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতাল প্রশাসন এখন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলে। আর তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অধ্যক্ষের ঘরেই শাসকের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে নীরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই চলছে অবাধে। কোথাও প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে। কমিটি মিটিং করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। ” যদিও এই তদন্ত কমিটির উপর আস্থা নেই ভুক্তভোগীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুম চলছে। এরকম তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটিতেও অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন না। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেরা ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রত্যেক মুহূর্তে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। 

  • Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।  

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে।

    ২০১৯-এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৭৪৩ জন। এবছর এখনই সেই সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর এখনও পর্যন্ত গত সপ্তাহে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি  আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৮৬ এবং ১৪,৬৪৭। ২০২০ ও ২০২১-এ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২১৭৬ জন। এই দুবছরে করোনার কারণে ডেঙ্গির সংক্রমণ কম ছিল।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর 

    আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৩ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  এবছরে আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। হাওড়ায় গত সপ্তাহের আক্রান্তের  সংখ্যা ছিল ৬৩৬। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬৬। কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০০। এই  বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ জেলার ১২ টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জেলার যে ১২ টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ দমদম ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া এবং উত্তরপাড়া।   

    কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সাময়িক তৎপরতা দেখালেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বাসিন্দাদের কাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: নবান্ন অভিযানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কী বললেন তাঁরা?

    BJP: নবান্ন অভিযানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে (nabanna abhiyan) আহত নেতা কর্মীদের বাড়ি গেলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা দুই নেতা মঙ্গল পাণ্ডে এবং আশা লকড়া ঘুরে বেরাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বিধাননগর ও রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় গিয়ে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন আশা লকড়া। পাশাপাশি অপর কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে খড়দহ,পানিহাটি,উত্তর দমদম ও দমদম এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের দেখতে যান। এ দিন আহত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক আশা বলেন, ” রটানো হচ্ছে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে আক্রমণ করেছে, গাড়ি জ্বালিয়েছে। আসলে, তৃণমূলের গুন্ডারাই কোনও না কোনও ভাবে এই কাজ করে বিজেপির নামে মিথ্যা প্রচার করছে। বিজেপি এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে না। আইন হাতে নেয় না।”

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চল। রাজ্যে শাসকদলের প্ররোচনায় বিজেপি কর্মীদের আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ অভিযোগ বিজেপির। আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। ঘটনা খতিয়ে দেখতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঁচজনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে রাজ্যে আসে। ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজ লাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, সাংসদ ও প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওঁরাও। গতকাল তাঁরা প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানায় যায় বিজেপির এই দল। দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দেওয়ার কথা বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের।

    আরও পড়ুন :নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন বিজেপির

    কলকাতায় এসে নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও। এদিন প্রথমে কলেজ স্ট্রিটের কাছে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী সুবোধ দাসের বাড়িতে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। হাত ভাঙা বিজেপি কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। পরে বেলেঘাটায় আহত বিজেপি কর্মী রীতা রজকের বাড়িতেও যান তিনি। এরপর যান শ্যামবাজারে এক কর্মীর বাড়িতেও। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এবার করোনার পাশাপাশি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুশ্চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন অবধি, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী! 
          
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সারাফুল হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সন্দেশখালি ঘোষপুরের হাসপাতালে গতকাল থেকেই আউটডোরে ডেঙ্গি রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বেশিরভাগেরই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর নিয়ে ভর্তি অনেকে। হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলেরবিল ব্লক হাসপাতালে ইতিমধ্যে দুজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গির ন্যুনতম উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।   

    কলকাতায় ২৪টা ওয়ার্ডে ৪৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মহানগরীতে মোট ৮০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার কাশিপুর, কালীঘাট, পূর্বাচল হালতু শহীদ স্মৃতি, রাজডাঙ্গা, ব্যানার্জি পাড়া, কালমার্কস সরণি, চেতলা হাট, নিউ আলিপুর সহ ২০- ২৫টি এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গতকাল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি ও মাল্টি অর্গান ফেলিওরের উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকের পর মেয়র জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ‘‌ফিভার ক্যাম্প’‌ করবে পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কেএমডিএর জমিতে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি হবে। যেসব সংস্থা ডেঙ্গি টেস্ট করার পর পজিটিভ হলে সরকারকে জানাচ্ছে না ,তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    মেয়র আরও জানিয়েছেন, “যে সমন্ত ওয়ার্ড ডেঙ্গুপ্রবণ, সেইসব ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্পগুলি করা হবে। ক্যাম্পগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাবে। শিশুদের জন্য বেডও থাকবে সেখানে। বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুরে ৮০টা করে বেড থাকবে। দুটি হাসপাতালেই শিশুদের জন্য ১০টি করে সিসিইউ সংরক্ষিত থাকবে।” 

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। জরুরি নাগরিক পরিষেবা বিভাগের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। স্বাস্থ্য কর্মী ও কঞ্জারভেন্সি বিভাগের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কঠোর ভাবে নির্দেশিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share