Tag: kp

kp

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় (Kolkata Police)। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। তার আগেই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি (Bengal govt)। ডিলিট করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টও। তার পরেও কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় আইনের এক ছাত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা নামের ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলে অভিহিত করেন।

    দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার (Kolkata Police)

    সেই তিনিই একটি পাকিস্তানি ট্রোলকে উদ্দেশ করে ভিডিও বানানো এক দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করলেন। শর্মিষ্ঠার একমাত্র ‘অপরাধ’, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যা জেহাদিদের সমর্থন করে। তারা অমুসলিম ‘কাফের’দের হত্যা করে — এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। যদিও তার ভিডিওতে গালিগালাজ ও উত্তেজিত ভাষা ছিল, তা ছিল মূলত পাকিস্তানি ট্রোলদের বিরুদ্ধে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল এবং পহেলগাঁও হামলার ধর্মীয় উদ্দেশ্য অস্বীকার করছিল। শর্মিষ্ঠা ওই পাকিস্তানি ট্রোলকে কটাক্ষ করেন এবং ইসলামিক ৭২ হুর ও তাদের নবীকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামপন্থীদের একটা বড় অংশ।

    শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া ছিল তারই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি এক ট্রোলের প্রতি এই প্রতিক্রিয়াই ভারতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক নয় (Kolkata Police)। কারণ মমতা সরকার ইসলামপন্থীদের খুশি করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে। বর্তমান ঘটনাটি মমতা সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার আর একটি উদাহরণ, যেখানে তারা নিজেদের রাজ্যেই ইসলামপন্থী দাঙ্গাবাজদের দ্বারা নিপীড়িত হিন্দুদের দুরবস্থার প্রতি চোখ বুজে থাকে। তাঁদের মতে, গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের অধীনে মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালিতে হিন্দুদের ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অত্যাচার একেবারে সরকারের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে। মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ই এপ্রিল ‘ওয়াক্‌ফ (সংশোধন) আইন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    জলের ট্যাংকে বিষ

    বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়েছে। তাদের জলের ট্যাংকে বিষ মেশানো হয়েছে, এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষা করে (Bengal govt)। ইসলামপন্থীরা হিন্দু নারীদের বলেছিল, নিজেদের ধর্ষিত হতে দাও, তবেই পরিবার বাঁচবে। তাদের সিঁদুর মুছে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। গত বছর সন্দেশখালিতেও হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মূলত নারীরা। এই মহিলারা তৃণমূল নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মী — শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    নিপীড়নের প্রতিবাদ

    সেদিন সন্দেশখালির শত শত মহিলা ঝাঁটা, লাঠি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাতে পথে নামেন। অবরোধ করেন সড়ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের বিবাহিত হিন্দু নারীদের বয়স ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া হত। রাতে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এই মহিলাদের স্বামীদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, তাদের স্ত্রীর ওপর তাদের কোনও ‘অধিকার’ নেই। যদি তারা মহিলাদের ওপর হওয়া এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের (Bengal govt) নির্মমভাবে মারধর করা হয় (Kolkata Police)।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে দ্রুততায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, সেই তৎপরতা একেবারেই দেখা যায়নি যখন রাজ্যের হিন্দু জনগণ ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাতে নির্মম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিল। মুসলিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেও একজন মহিলা, হিন্দু নারীদের ওপর হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে (Bengal govt) তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (Kolkata Police)।

     

LinkedIn
Share